ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৪ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৩১-৩৫ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ৩১ ‘কাজী ফার্মস লি.’ একটি স্বনামধন্য ও বৃহদায়তন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামো চার্টটি হলো নিæরূপ: অ
[চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. কমিটি কী? ১
খ. ম্যাট্রিকস সংগঠন বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত সংগঠন কাঠামোর ধরনটি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সংগঠন কাঠামো ব্যবহার সঠিক বলে তুমি মনে করো কি? যুক্তি দাও। ৪
৩১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ বিশেষ কোনো কাজ সম্পাদনের জন্য কতিপয় ব্যক্তিকে নিয়ে গঠিত সংগঠনকে কমিটি বলে।
উদাহরণ: ভর্তি কমিটি, তদন্ত কমিটি প্রভৃতি।
খ উত্তরঃ যে সংগঠন কাঠামো কার্যভিত্তিক ও দ্রব্যভিত্তিক উৎপাদন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠন করা হয় তাই মেট্রিক্স সংগঠন।
একটি প্রতিষ্ঠান একইসাথে দুই ধরনের সংগঠনের সুবিধা পাওয়ার জন্য মেট্রিক্স সংগঠন তৈরি করে। এর মাধ্যমে কার্যভিত্তিক ও প্রকল্প বা দ্রব্যভিত্তিক সংগঠনের সুবিধা পাওয়া যায়।
মেট্রিক্স সংগঠনে এক শ্রেণির নির্বাহীগণ কারিগরি (ঞবপযহরপধষ) বিষয়সমূহ এবং অন্য শ্রেণির নির্বাহীগণ ব্যবস্থাপকীয় কার্যাবলি তত্ত¡াবধান করেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত সংগঠন কাঠামোটি ‘সরলরৈখিক সংগঠন’ কাঠামো।
সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোতে কর্তৃত্ব উপর থেকে নিচের দিকে নামতে থাকে। অপরদিকে জবাবদিহিতা নিচ থেকে উপর দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ সংগঠন কাঠামোতে একজন নির্বাহী তার বিভাগের সকল কাজের দায়িত্ব পালন করে থাকে।
উদ্দীপকে কাজী ফার্মস লি. স্বনামধন্য ও বৃহদায়তন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠানের সংগঠন কাঠামোতে চেয়ারম্যান থেকে শুরু হয়ে কর্তৃত্ব সরলরেখায় নিচের দিকে নামতে থাকে। অন্যদিকে কর্মী থেকে শুরু করে জবাবদিহিতা উপরের দিকে প্রবাহিত হয়।
এছাড়াও প্রত্যেক নির্বাহী তার বিভাগের সার্বিক কাজের দায়িত্বে থাকেন। ‘কাজী ফার্মস লি.’-এর সংগঠন কাঠামোর সাথে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোর মিল রয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে বর্ণিত সংগঠনটি একটি সরলরৈখিক সংগঠন।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো অনুসরণ করা হয়। বৃহদায়তন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্র সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো সঠিক নয় বলে আমি মনে করি।
এ সংগঠন কাঠামোতে কর্তৃত্ব ধারাবাহিকভাবে উপর থেকে নিচে নামতে থাকে। এক্ষেত্রে অধস্তন কর্মীরা তাদের ঊর্ধ্বতনের আদেশ মানতে এবং জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে। অন্যদিকে বৃহদায়তন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য কার্যভিত্তিক সংগঠন উপযুক্ত। এরূপ সংগঠনে কাজের বিশেষায়ণ ঘটে। পাশাপাশি দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়।
উদ্দীপকে কাজী ফার্মস লি. একটি বৃহদায়তন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান কর্তৃত্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এরূপ সংগঠন কাঠামোতে কর্তৃত্ব সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সরলরেখায় নিচের দিকে নামতে থাকে। বৃহদায়তন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো সহায়ক।
এক্ষেত্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের সব দায়িত্ব দেয়া হয়। অপরদিকে কাজী ফার্মস লি.-এর সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোতে কাজ বিভাজনের সুযোগ থাকে না। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ে না।
পরিশেষে বলা যায়, বৃহদায়তন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরলরৈখিক সংগঠন-এর চেয়ে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো ব্যবহার সঠিক।
প্রশ্নঃ ৩২
[সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক. প্রশিক্ষণ কী? ১
খ. সংগঠন কাঠামো বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে ঈউ লি.-এর সংগঠন কাঠামো কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. সংগঠন কাঠামোর দিক থেকে অই লি.-এর অসুবিধা বর্ণনা করো। ৪
৩২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যে প্রদত্ত বাস্তবসম্মত শিক্ষাই হলো প্রশিক্ষণ।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ধরনকে সংগঠন কাঠামো বলে।
সংগঠন কাঠামোর মাধ্যমে কর্মীর বিভাগ, উপবিভাগ, পদমর্যাদা সম্পর্কে জানা যায়। এতে কে কার অধীনে কাজ করবে এবং কে কার কাছে জবাবদিহি করবে সেই ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়াও কর্মীদের কর্তৃত্ব প্রবাহ সম্পর্কে জানা যায়। সর্বোপরি সংগঠন কাঠামোর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক চিত্র ফুটে ওঠে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে ঈউ লি.-এর সংগঠন কাঠামোর ধরন হলো কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো।
কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামোতে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী কাজকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা হয়। পরবর্তীতে প্রতিটি বিভাগের দায়িত্বে একেকজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে দেয়া হয়। ফলে কাজে বিশেষায়নের সুযোগ তৈরি হয়।
উদ্দীপকের ঈউ লি.-এর সংগঠন কাঠামো চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অধীনে কাজের ভিত্তিতে চারটি (৪) বিভাগ রাখা হয়েছে- অর্থ, প্রশাসন, উৎপাদন ও বিপণন।
উৎপাদনের ক্ষেত্রে আবার দুই (২) ধরনের বিভাগ করা হয়েছে- যন্ত্র প্রকৌশল ও মান। এরূপ কাজের ভিত্তিতে বিভাগ পরিচালনা করা হলেই তাকে কার্যভিত্তিক সংগঠন বলে। সুতরাং ঈউ লি. কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো অনুসরণ করছে বলা যায়।
ঘ উত্তরঃ অই লি.-এর সংগঠন কাঠামোর ধরনটি হলো সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো। এরূপ সংগঠনে সুবিধার পাশাপাশি নানাবিধ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
যে সংগঠন কাঠামোতে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার রেখা সর্বোচ্চ স্তর থেকে সরলরেখায় নিচের স্তরে নেমে আসে তাকে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো বলে। এ ধরনের সংগঠন কাঠামোতে বিশেষায়নের অভাব, কেন্দ্রীভ‚ত ক্ষমতা, দক্ষ কর্ক উত্তরঃর্তার অভাব, নমনীয়তার অভাব, বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানে অকার্যকর প্রভৃতি অসুবিধা লক্ষ্য করা যায়।
উদ্দীপকের অই লি.-এর সংগঠন কাঠামোতে সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। পরবর্তী পর্যায়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অধীনে মহাব্যবস্থাপক এবং তার অধীনে দুইজন (২) শাখা ব্যবস্থাপক রয়েছে।
অর্থাৎ এক্ষেত্রে কর্তৃত্ব রেখা সরলরেখায় উপর থেকে নিচের দিকে আসছে। অপরদিকে জবাবদিহিতা নিচ থেকে উপর দিকে যাচ্ছে।
উদ্দীপকে উলিখিত সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোতে নির্বাহী সব কাজের দায়িত্বে থাকেন। যে কারণে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা তার কাছে কেন্দ্রীভ‚ত থাকে। কাজ বিভক্ত না করায় কাজে বিশেষায়নের সুযোগ থাকে না। ফলে কর্মীদের দক্ষতা আশানুরূপ বাড়ে না।
এছাড়াও এরূপ সংগঠন কাঠামো ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর সম্ভাবনা কম। তাই বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোকে অকার্যকর মনে করা হয়। পরিশেষে বলা যায় যে, সুবিধার পাশাপাশি সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোতে উলেখযোগ্য অসুবিধাও রয়েছে।
প্রশ্নঃ ৩৩
[চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ]
ক. মেট্রিক্স সংগঠন কী? ১
খ. প্রেষণার সাথে কর্মীর মনোবলের সম্পর্ক কী? ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. উপরের চিত্রে উলিখিত সংগঠনটি কোন ধরনের বর্ণনা করো। ৩
ঘ. চিত্রে উলিখিত সংগঠনটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ততা পেলেও বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উপযোগী নয় বিশ্লেষণ করো। ৪
৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে সংগঠন কাঠামো কার্যভিত্তিক ও দ্রব্যভিত্তিক উৎপাদন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠন করা হয় তাকে মেট্রিক্স সংগঠন বলে।
খ উত্তরঃ প্রেষণা হলো কর্মীদের কাজের প্রতি উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার প্রক্রিয়া।
প্রেষণা প্রদানের মাধ্যমে মূলত কর্মীর মনকে উৎসাহিত করা হয়। এতে কাজের প্রতি কর্মীর আগ্রহ ও মনোবল বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে প্রেষণার অভাব হলে মনোবল ভেঙে যায় ও কাজের গতি কমে যায়। তাই বলা যায়, প্রেষণার সাথে কর্মীর মনোবল সম্পর্কিত।
গ উত্তরঃ উপরের চিত্রে উলিখিত সংগঠনটির ধরন সরলরৈখিক সংগঠন।
সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোতে কর্তৃত্ব সরলরেখার আকারে উপর থেকে নিচের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ সংগঠনে নির্বাহী সকল কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কাজের সব দায়িত্বও নির্বাহীর ওপর বর্তায়।
উদ্দীপকে চিত্রের মাধ্যমে একটি সংগঠন কাঠামো তুলে ধরা হয়েছে। এখানে সাধারণ ব্যবস্থাপকের অধীনে তিনজন (০৩) ব্যবস্থাপক রয়েছে। এছাড়াও উৎপাদন ব্যবস্থাপকের অধীনে ফোরম্যান এবং ফোরম্যানের অধীনে শ্রমিক কাজ করে।
এক্ষেত্রে কর্তৃত্ব রেখা সাধারণ ব্যবস্থাপক থেকে ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে নেমে আসে। অপরদিকে জবাবদিহিতা শ্রমিক থেকে ধারাবাহিকভাবে উপরের দিকে উঠে। চিত্রের সংগঠন কাঠামোর সাথে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো পুরোপুরি মিলে যায়। সুতরাং উদ্দীপকের সংগঠনটির ধরন হলো সরলরৈখিক সংগঠন।
ঘ উত্তরঃ চিত্রে উলিখিত সরলরৈখিক সংগঠন ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানের জন্য যথার্থ, তবে বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অকার্যকর।
সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো সহজ-সরল প্রকৃতির সংগঠন। এরূপ সংগঠন কাঠামোতে বিশেষায়নের অভাব, ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত, দক্ষ কর্ক উত্তরঃর্তার অভাব, নমনীয়তার অভাব প্রভৃতি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। যে কারণে বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানে এরূপ সংগঠনকে উপযুক্ত মনে করা হয় না।
উদ্দীপকের চিত্রে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো তুলে ধরা হয়েছে। এরূপ সংগঠন কাঠামোতে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে অধস্তনদের মাধ্যমে কাজ করিয়ে নেওয়া হয়। ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ঊর্ধ্বতনদের কাছে কেন্দ্রীভ‚ত করে রাখা হয়।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো উপযুক্ত। তবে বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কাজের বিশেষায়নের পাশাপাশি দক্ষ কর্মীর ওপর জোর দেওয়া হয়। কিন্তু সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোতে কাজের বিশেষায়ন সম্ভব হয় না।
এছাড়াও এরূপ সংগঠনের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ কম থাকে। সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায় যে, সরলরৈখিক সংগঠন ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যথার্থ হলেও বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়।
প্রশ্নঃ ৩৪ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যবস্থাপক জনাব মুহিতকে একটা চলমান বড় নতুন প্রজেক্টের দায়িত্ব দিলেন। তাকে বলা হলো তুমি প্রথমে বিভিন্ন বিভাগ-উপবিভাগের কাজগুলো ভাগ করে কর্তৃত্বের প্রবাহ রেখা কী হবে তা নির্দেশ করবে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত নির্বাহীদের মধ্যে সম্পর্কের রূপরেখা নির্দিষ্ট করবে। তুমি থাকবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক। জনাব মুহিত ভাবছেন একজন সাধারণ ব্যবস্থাপক রাখবেন এবং উৎপাদন ও বিক্রয় বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপকদের অধীনে একজন করে সহকারী ব্যবস্থাপক দেবেন। [জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক. কমিটি কী? ১
খ. সংগঠন প্রক্রিয়ায় পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ প্রয়োজন কেন? ২
গ. জনাব মুহিত নির্দেশনা অনুযায়ী যে সম্পর্কের রূপরেখা গড়ে তুলবেন তা কিসের নির্দেশক? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. এ ধরনের কাজ প্রতিষ্ঠানের ব্যয় হ্রাসের ক্ষেত্রে কী ধরনের ভ‚মিকা রাখে? বিশ্লেষণ করো। ৪
৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ কোনো বিশেষ কাজ সম্পাদনের জন্য কয়েকজন ব্যক্তির সমন্বয়ে যে সংগঠন কাঠামো তৈরি করা হয় তাকে কমিটি বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের সকল বিভাগ, উপবিভাগ ও কর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করার কাজকে সংগঠন বলে।
সংগঠনের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ করে দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব সুনির্দিষ্ট করা হয়। ফলে প্রত্যেক কর্মী তার দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত থাকে। এছাড়াও কে কার কাছে জবাবদিহি করবে সেটাও জানা যায়। তাই বলা যায়, প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও উদ্দেশ্য অর্জনে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ।
গ উত্তরঃ জনাব মুহিত নির্দেশনা অনুযায়ী যে সম্পর্কের রূপরেখা গড়ে তুলবেন তা সংগঠন কাঠামোকে নির্দেশ করে।
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ধরনকে সংগঠন কাঠামো বলে। সংগঠন কাঠামোতে প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কর্মীদের অবস্থান, পদ, বিভাগ, দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব সম্পর্কে জানা যায়।
উদ্দীপকে জনাব মুহিতকে একটি চলমান বড় নতুন প্রজেক্টের দায়িত্ব দেওয়া হলো। তাকে বিভিন্ন বিভাগ উপবিভাগের কাজ ভাগ করে কর্তৃত্বের প্রবাহ রেখা নির্দেশ করতে বলা হয়েছে।
এতে করে কর্মরত নির্বাহীদের মধ্যে সম্পর্কের ধরন বোঝা যাবে। এসব নির্দেশনা অনুযায়ী যে সম্পর্কে ধরন তৈরি করা হবে তা সংগঠন কাঠামোর মাধ্যমেই সম্ভব। সুতরাং জনাব মুহিত সংগঠন কাঠামো তৈরির মাধ্যমে সম্পর্কের রূপরেখা গড়ে তুলবেন।
ঘ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের ব্যয় হ্রাসের ক্ষেত্রে ‘সংগঠন কাঠামো অনুসরণ’ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
সংগঠন কাঠামো তৈরির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিভাগ ও কর্মীদের দায়িত্ব সম্পর্কে জানানো হয়। সঠিক সংগঠন কাঠামো অনুসরণ করলে সম্পদের সু®ু¤ ব্যবহার, অপচয় হ্রাস, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি প্রভৃতি সুবিধা পাওয়া যায়।
উদ্দীপকে জনাব মুহিতকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক করে একটি সংগঠন কাঠামো তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনাব মুহিত ভাবছেন একজন সাধারণ ব্যবস্থাপক রাখবেন। এছাড়াও উৎপাদন ও বিক্রয় বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপকদের অধীনে একজন করে সহকারী ব্যবস্থাপক নিয়োগ দেবেন।
জনাব মুহিতের চিন্তা অনুযায়ী সংগঠন কাঠামো গড়ে তুললে নিয়োজিত সকল কর্মী তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সঠিক নির্দেশনা পাবে। ফলে দ্রুত সময়ে কাজ শেষ হবে। এছাড়া কর্তৃত্ব স্পষ্ট হওয়ায় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
কর্মীরা তাদের নির্দিষ্ট কাজ নিয়মিত করলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে। পরিশেষে বলা যায় যে, সঠিক সংগঠন কাঠামো অনুসরণ প্রতিষ্ঠানের ব্যয় কমাতে সহায়তা করে।
প্রশ্নঃ ৩৫ জনাব নাসরিন একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এতদিন প্রতিষ্ঠানের সকল সিদ্ধান্ত তিনি একাই গ্রহণ করলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠান বড় হওয়ায় কাজের জটিলতা বেড়েছে। তাই তিনি সাংগঠনিক অবস্থার উন্নতির জন্য সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেন। বিভিন্ন বিভাগে ব্যবস্থাপক নিয়োগ দিলেন। এতে জনাব নাসরিনের কাজের চাপ কমার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বাড়তে লাগল। [যশোর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. সংগঠন কী? ১
খ. মেট্রিক্স সংগঠন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. জনাব নাসরিনের প্রতিষ্ঠানে প্রথমে কোন ধরনের সংগঠন কাঠামো বিদ্যমান ছিল? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব নাসরিনের প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ও কর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণের কাঠামোকে সংগঠন বলে।
খ উত্তরঃ যে সংগঠন কাঠামো কার্যভিত্তিক ও প্রকল্প বা দ্রব্যভিত্তিক উৎপাদন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠন করা হয়, তাকে মেট্রিক্স সংগঠন বলে।
একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যভিত্তিক ও প্রকল্পভিত্তিক বিভাগীয়করণের সুবিধা অর্জনের জন্য এরূপ সংগঠন কাঠামো তৈরি করা হয়। এরূপ সংগঠনে এক শ্রেণির নির্বাহীগণ প্রতিষ্ঠানের টেকনিক্যাল বা কারিগরি বিষয়সমূহ তত্ত¡াবধান করেন আর অন্য শ্রেণির নির্বাহীগণ ব্যবস্থাপকীয় অন্য সাধারণ কার্যাবলি তত্ত¡াবধান করে থাকেন।
গ উত্তরঃ জনাব নাসরিনের প্রতিষ্ঠানে প্রথমে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো বিদ্যমান ছিল।
সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোতে কর্তৃত্ব সরলরেখার আকারে উপরের পর্যায় থেকে নিচে আসে। এরূপ সংগঠনে নির্বাহী সব ক্ষেত্রে একক কর্তৃত্বের অধিকারী হয়। তাই কাজের সকল দায়িত্বও তার ওপর বর্তায়।
উদ্দীপকের জনাব নাসরিন একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এতদিন প্রতিষ্ঠানের সকল সিদ্ধান্ত তিনি একাই নিয়েছেন। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্বাহী হওয়ায় জনাব নাসরিন একক কর্তৃত্বের অধিকারী ছিলেন।
ফলে প্রতিষ্ঠানের সকল কাজের দায়িত্বও তার ওপর ছিল। জনাব নাসরিনের প্রতিষ্ঠানে প্রথমে ব্যবহৃত এই সংগঠন কাঠামোর সাথে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো পুরোপুরি মিলে যায়। সুতরাং বলা যায় তার প্রতিষ্ঠানে প্রথমে ব্যবহৃত সংগঠনের ধরন ছিল সররৈখিক সংগঠন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ বর্তমানে বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় জনাব নাসরিনের প্রতিষ্ঠানে সরলরৈখিক এর পরিবর্তে কার্যভিত্তিক সংগঠন কাঠামো যথার্থ বলে আমি মনে করি।
কার্যভিত্তিক সংগঠনে প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। এরপর একেকটি বিভাগে একেকজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে নির্বাহীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। বৃহদায়তন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এরূপ সংগঠন কাঠামো সর্বাধিক কার্যকর। উদ্দীপকের জনাব নাসরিন একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এতদিন সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো ব্যবহার করলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠান বড় হওয়ায় কাজের জটিলতা বেড়েছে। তাই তিনি সাংগঠনিক অবস্থার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেন। বিভিন্ন বিভাগে ব্যবস্থাপক নিয়োগ দিলেন। ফলে জনাব নাসরিনের কাজের চাপ কমার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলাও বেেেড়ছে।
ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো উপযোগী। তবে প্রতিষ্ঠানের আকার বাড়ায় জনাব নাসরিন একা সব কাজের দায়িত্ব নিতে পারছিলেন না। এছাড়াও বড় প্রতিষ্ঠানে কাজের জটিলতাও বেশি থাকে।
সে কারণে কাজগুলোকে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভক্ত করে আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপক নিয়োগ দিলে নির্বাহীর চাপ কমে। এছাড়াও দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপক নিয়োগের ফলে কাজে বিশেষায়নের সুযোগ থাকে। কর্মীদের কাজের গতি ও উৎপাদনশীলতাও বাড়ে।
পরিশেষে বলা যায় যে, একটি বড় ও জটিল প্রকৃতির প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনাব নাসরিনের প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন অত্যন্ত যৌক্তিক।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।