ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১১ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২৬-৩০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের একাদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের একাদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১১ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২৬-৩০ | PDF
প্রশ্ন ২৬ রুক উত্তর:ি আহমেদ ২০১৫ সালে ‘মেঘনা’ লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এর সাথে মাসিক প্রিমিয়ার প্রদানের বিনিময়ে ১২ বছরের জন্য একটি বিমা চুক্তি সম্পাদন করেন। ১২ বছরের মধ্যে তিনি মারা গেলে তার মনোনীত সন্তানেরা বিমার অর্থ পাবেন আর বেঁচে থাকলে তিনি অর্থ পাবেন। ৬ বছর পর আঅর্থিক সঙ্গতির কারণে তিনি বিমা চুক্তিটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য আবেদন করেন এবং প্রদত্ত প্রিমিয়ামের ২৫% ফেরত প্রদানের দাবি করেন। [ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ]
ক.সাময়িক বিমা কী?১
খ.“জীবন বিমা চুক্তিকে কেন নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়”-ব্যাখ্যা করো।২
গ.উদ্দীপকে রুক উত্তর:ি আহমেদ কোন ধরনের জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছিলেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.‘মেঘনা’ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে রুক উত্তর:ি আহমেদকে কী তার দাবিকৃত অর্থ প্রদান করবে? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো।৪
২৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে বিমাপত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য করা হয় এবং ঐ সময়ের মধ্যে বিমাগ্রহীতা মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমা দাবি পরিশোধ করা হয়, তাকে সাময়িক বিমাপত্র বলে।
খ উত্তর: জীবন বিমার ক্ষেত্রে অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেয়া হয় বিধায় একে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়।
জীবন বিমা ব্যতীত সকল বিমাই ক্ষতিপূরণের চুক্তি। সম্পত্তির ক্ষতিতে ক্ষতিপূরণ প্রদান সম্ভব। কিন্তু জীবনের হানি বা ক্ষতিতে প্রকৃত ক্ষতিপূরণ প্রদান সম্ভব নয়। এ চুক্তি নুযায়ী নির্দিষ্ট কারণে বিমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুতে বা পঙ্গুত্ব বা বার্ধক্যজনিত কারণে সংঘটিত ক্ষতির বিপরীতে নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দেয়া হয়। তাই একে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে রুক উত্তর:ী আহমেদ মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছিলেন।
মেয়াদি জীবন বিমাপত্রের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে বিমাকৃত ব্যক্তি মারা গেলে মনোনীত ব্যক্তিকে বিমার অর্থ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। তবে উক্ত মেয়াদের মধ্যে বিমাকৃত ব্যক্তি মারা না গেলে তাকেই বিমার অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে রুক উত্তর:ি আহমেদ ২০১৫ সালে ‘মেঘনা’ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাথে একটি বিমা চুক্তি করেন। চুক্তি নুযায়ী তিনি ১২ বছর পর্যন্ত মাসিক প্রিমিয়াম প্রদান করবেন। এ চুক্তি নুযায়ী ১২ বছরের মধ্যে তিনি মারা গেলে তার মনোনীত সন্তানেরা বিমার অর্থ পাবেন।
আর বেঁচে থাকলে তিনি নিজেই এ অর্থ পাবেন। সাধারণত, মেয়াদি জীবন বিমার ক্ষেত্রে বিমাকৃত ব্যক্তি মেয়াদের মধ্যে মারা গেলে বিমার অর্থ মনোনীত ব্যক্তিকে এবং বেঁচে থাকলে তাকে প্রদান করা হয়। এখানে রুক উত্তর:ী আহমেদের বিমার বৈশিষ্ট্য এরূপ হওয়ায় নির্দ্বিধায় বলা যায় তিনি মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে ‘মেঘনা’ লাইফ ইন্স্যুরেন্স বিমায় সমর্পণ মূল্য হিসেবে রুক উত্তর:ী আহমেদকে তার দাবিকৃত অর্থ প্রদান করবে।
বিমাগ্রহীতা আঅর্থিক সচ্ছলতা বা ন্য কোনো কারণে প্রিমিয়াম প্রদানে সমঅর্থ হলে বিমা কোম্পানির নিকট তা সমর্পণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে, বিমা কোম্পানি বিমাগ্রহীতা কর্তৃক প্রদত্ত প্রিমিয়ামের যে ংশ প্রদান করবে তা সমর্পণ মূল্য হিসেবে বিবেচিত।
উদ্দীপকে রুক উত্তর:ী আহমেদ ‘মেঘনা’ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নিকট হতে ১২ বছর মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেন। ৬ বছর পর আঅর্থিক সঙ্গতির কারণে তিনি বিমা চুক্তিটি বন্ধের জন্য আবেদন করেন। তিনি প্রদত্ত প্রিমিয়ামের ২৫% ফেরত প্রদানের দাবি করেন।
সমর্পণ মূল্য সাধারণত মেয়াদি ও আজীবন বিমাপত্রের ক্ষেত্রেই প্রদান করা হয়ে থাকে। এখানে, রুক উত্তর:ী আহমেদের গৃহীত বিমাপত্রটি মেয়াদি বিমাপত্র হওয়ায় তিনি এ সমর্পণ মূল্য পাবার ধিকারী।
আবার সমর্পণ মূল্য পেতে হলে কমপক্ষে ২ বছর প্রিমিয়ামের টাকা পরিশাধ করতে হয়। এখানে, রুক উত্তর:ী আহমেদ ৬ বছর পর্যন্ত প্রিমিয়াম প্রদান করায় তিনি এ সমর্পণ মূল্য পাওয়ার ধিকারী। তাই বলা যায়, সকল শর্ত পূরণ করায় ‘মেঘনা’ লাইফ ইন্স্যুরেন্স বশ্যই তাকে সমর্পণ মূল্য হিসেবে এ বিমা দাবি প্রদান করবে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্ন ২৭: মি. আসাদ একজন ব্যবসায়ী। তার বয়স ৪০ বছর এবং তার স্ত্রীর বয়স ৩৭ বছর। পেশায় তিনি একজন বৈমানিক। মি. আসাদ নিজের ও তার স্ত্রীর নামে ২০ বছর মেয়াদি ৩০ লক্ষ টাকার দুটি পৃথক মেয়াদি বিমাপত্র খুললেন। এ জন্য তাকে প্রিমিয়াম বাবদ প্রতি তিন মাসে দুই জনের যথাক্রমে ১৭,০০০ ও ২০,০০০ টাকা করে প্রদান করতে হয়। [বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার]
ক.যৌথ জীবন বিমা কী?১
খ.মেয়াদপূর্তির পূর্বে পলিসি ফেরত দিলে যে মূল্য প্রদত্ত হয় তাকে কী বলে? ব্যাখ্যা করো।২
গ.মি. আসাদ কর্তৃক স্ত্রীর নামে বিমা চুক্তি সম্পাদনে বিমার কোন নীতি নুসৃত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.বয়স কম হওয়ার পরও মিসেস আসাদের পলিসিতে প্রিমিয়ামের হার বেশি হওয়া কতটা যৌক্তিক? মতামত দাও।৪
২৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: একটি বিমাপত্রের আওতায় একাধিক ব্যক্তির জীবন বিমা করা হলে তাকে যৌথ জীবন বিমাপত্র বলে।
খ উত্তর: মেয়াদপূর্তির পূর্বে পলিসি ফেরত দিলে যে মূল্য প্রদত্ত হয় তাকে সমর্পন মূল্য বলে।
উদাহরণস্বরূপ, জনাব রাফিন একটি বিমা কোম্পানিতে ১০ বছর মেয়াদি একটি বিমা পলিসি গ্রহণ করেন। চুক্তি নুযায়ী তিনি ১০ বছর পর্যন্ত কিস্তি প্রদান করবেন।
৬টি কিস্তি প্রদানের পর কোনো কারণে তিনি বিমা পলিসি চালিয়ে নিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় তিনি এ পলিসি বিমা কোম্পানির নিকট ফেরত দেন। এক্ষেত্রে, বিমা কোম্পানি তার প্রদত্ত কিস্তির যে ংশ ফেরত দিবে সেটিই হলো সমর্পন মূল্য।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. আসাদ কর্তৃক স্ত্রীর নামে বিমা চুক্তি সম্পাদনে বিমাযোগ্য স্বাঅর্থের নীতি নুসৃত হয়েছে।
বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ বলতে বিমার বিষয়বস্তুতে বিমাগ্রহীতার বৈধ ধিকার ও আঅর্থিক স্বাঅর্থকে বুঝায়। এরূপ স্বাঅর্থ না থাকলে বিমা চুক্তি করা যায় না।
উদ্দীপকে মি. আসাদ একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার স্ত্রীর নামে ২০ বছর মেয়াদি ৩০ লক্ষ টাকার বিমাপত্র খুলেছেন। এখানে, তার স্ত্রীর সুখে বা বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হলে স্বামী আসাদের আঅর্থিকভাবে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অর্থাৎ স্ত্রীর জীবনের ওপর মি. আসাদের বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ রয়েছে। আর এ কারণেই তিনি স্ত্রীর নামে জীবন বিমা পলিসি গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ এখানে বিমাযোগ্য স্বাঅর্থের নীতিটি প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে বয়স কম হওয়ার পরও মিসেস আসাদের পলিসিতে প্রিমিয়ামের হার বেশি হওয়া যৌক্তিক।
বিমার প্রিমিয়াম নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় হলো বিমাগ্রহীতার পেশা। সাধারণত, ধিক ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় কর্মরত ব্যক্তিদের জীবন বিমা পলিসিতে প্রিমিয়াম ধিক হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে মি. আসাদ একজন ব্যবসায়ী এবং তার স্ত্রী মিসেস আসাদ একজন বৈমানিক। মি. আসাদের বয়স ৪০ বছর বং তার স্ত্রীর বয়স ৩৭ বছর। তবে, মি. আসাদের জন্য গৃহীত বিমাপত্রের প্রিমিয়াম ১৭,০০০ টাকা এবং তার স্ত্রীর জন্য গৃহীত বিমাপত্রের প্রিমিয়াম ২০,০০০ টাকা।
এখানে, মিসেস আসাদের বয়স মি. আসাদের চেয়ে কম।
তবে মিসেস আসাদের জন্য গৃহীত বিমাপত্রের প্রিমিয়ামের হার বেশি। কেননা, মিসেস আসাদের বৈমানিক পেশাটি ধিক ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় কর্মরত ব্যক্তির ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বেশি থাকে। তাই এখানে মিসেস আসাদের জন্য গৃহীত বিমাপত্রের প্রিমিয়ামের পরিমাণ বেশি হওয়া যুক্তিযুক্ত।
প্রশ্ন ২৮ ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে জনাব হাবিব একটি ৫ বছর মেয়াদি ও কম প্রিমিয়ামের বিমা পলিসি গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে শুধু বিমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেই বিমা দাবি পরিশোধ করা হবে। ন্যদিকে জনাব লাবিব একটি ২০ বছর মেয়াদি বিমা পলিসি গ্রহণ করেন যা মেয়াদের মধ্যে জনাব লাবিব মারা গেলে তার স্ত্রীকে থবা মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তাকেই বিমাকৃত অর্থ বোনাসসহ প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করে। [আবদুল কাদির মোলা সিটি কলেজ, নরসিংদী]
ক.বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কী?১
খ.কোন নীতির ভিত্তিতে স্বামী তার স্ত্রীর জীবনের ওপর বিমা করতে পারে? ব্যাখ্যা করো।২
গ.জনাব হাবিবের বিমা পলিসি মেয়াদের ভিত্তিতে কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.“জনাব লাবিবের বিমা পত্রটি একাধারে নিরাপত্তা ও বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করে”-উদ্দীপকের আলোকে মূল্যায়ন করো।৪
২৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ হলো বাংলাদেশে বিমা ব্যবসায় পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে গঠিত প্রতিষ্ঠান।
খ উত্তর: বিমাযোগ্য স্বাঅর্থের নীতির ভিত্তিতেই স্বামী তার স্ত্রীর জীবনের ওপর বিমা করতে পারে।
বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ বলতে বিমার বিষয়বস্তুতে বিমাগ্রহীতার আঅর্থিক স্বাঅর্থকে বুঝায়। স্ত্রীর মৃত্যুতে বা তার সুস্থতাজনিত কারণে স্বামীর আঅর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অর্থাৎ স্ত্রীর জীবনের ওপর স্বামীর বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ রয়েছে। এ স্বাঅর্থের কারণেই স্বামী তার স্ত্রীর জীবনের ওপর এবং স্ত্রী তার স্বামীর জীবনের ওপর বিমা করতে পারে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব হাবিবের গৃহীত বিমা পলিসিটি হলো বিশুদ্ধ মেয়াদি বিমাপত্র।
বিশুদ্ধ মেয়াদি বিমাপত্র নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য খোলা হয়ে থাকে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেই শুধু বিমাগ্রহীতা বিমা দাবির অর্থ লাভ করে। আর যদি বিমাগ্রহীতা মারা যায় তবে তার উত্তরাধিকারী কোনো অর্থ পায় না।
উদ্দীপকে ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে জনাব হাবিব একটি বিমা পলিসি গ্রহণ করেন। তার বিমা পলিসির মেয়াদ ৫ বছর এবং এর প্রিমিয়ামের পরিমাণও কম।
তবে শুধু বিমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেই এক্ষেত্রে বিমা দাবি পরিশোধ করবে। অর্থাৎ জনাব হাবিবের গৃহীত বিমা পলিসির বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে বলা যায়, তিনি বিশুদ্ধ মেয়াদি বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন। কেননা, বিশুদ্ধ মেয়াদি বিমাপত্র সাধারণত স্বল্পমেয়াদি হয় এবং মেয়াদ শেষে শুধু বিমাগ্রহীতাকে অর্থ পরিশোধ করা হয়।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব লাবিবের গৃহীত সাধারণ মেয়াদি বিমাপত্রটি একাধারে নিরাপত্তা ও বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করে।
সাধারণ মেয়াদি জীবন বিমাপত্রের ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে বিমাগ্রহীতাকে বিমার অর্থ পরিশোধ করা হয়। আর বিমাগ্রহীতা যদি মারা যায় তাহলে তার মনোনীত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারদের বিমার অর্থ প্রদান করা হয়।
উদ্দীপকে জনাব লাবিব ২০ বছর মেয়াদি একটি বিমা পলিসি গ্রহণ করেন। চুক্তি নুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তাকে বোনাসসহ অর্থ পরিশোধ করা হবে। তিনি মারা গেলে তার স্ত্রীকে এ অর্থ পরিশোধ করা হবে। অর্থাৎ বিমাপত্রের বৈশিষ্ট্য নুযায়ী তিনি সাধারণ মেয়াদি বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
এরূপ বিমাপত্র গ্রহণের মাধ্যমে তিনি বিনিয়োগ ও নিরাপত্তা উভয় সুবিধাই পাচ্ছেন।
কেননা, ২০ বছর মেয়াদের মধ্যে তিনি মারা গেলে তার পরিবার বিমার অর্থ পাবে। তাই তার পরিবারের আঅর্থিক নিরাপত্তা এ বিমার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে বলা যায়। ন্যদিকে, নির্দিষ্ট সময় পর বোনাসসহ আসল অর্থ পাবেন। অর্থাৎ তিনি এ বিমা পলিসির মাধ্যমে বিনিয়োগ সুবিধাও পাচ্ছেন।
প্রশ্ন ২৯: মি. আজাদ একজন ব্যবসায়ী। তার বয়স ৪০ বছর এবং তার স্ত্রীর বয়স ৩৭ বছর। পেশায় তিনি একজন বৈমানিক। মি. আজাদ নিজের ও তার স্ত্রী নামে ২০ বছর মেয়াদি ৩০ লক্ষ টাকার দুটি পৃথক মেয়াদি বিমাপত্র খুললেন। এ জন্য তাকে প্রিমিয়াম বাবদ প্রতি তিন মাসে দুইজনের যথাক্রমে ১৭,০০০ ও ২০,০০০ টাকা করে প্রদান করতে হয়। [কুমিলা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ]
ক.যৌথ জীবন বিমা কী?১
খ.জীবন বিমায় মৃত্যুহার পঞ্জি ব্যবহার করা হয় কেন?২
গ.মি. আজাদ কর্তৃক স্ত্রীর নামে বিমা চুক্তি সম্পাদনে বিমার কোন নীতিকে নুসৃত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.বয়স কম হওয়ার পরও মিসেস আজাদের পলিসিতে প্রিমিয়ামের হার বেশি হওয়া কতটা যৌক্তিক? মতামত দাও।৪
২৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: একটি বিমাপত্রের আওতায় একাধিক ব্যক্তির জীবন বিমা করা হলে তাকে যৌথ জীবন বিমা বলে।
খ উত্তর: মৃত্যুহার পঞ্জি হলো তীত মৃত্যুহারের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ মৃত্যুহার সম্পর্কে নুমান করার জন্য প্রস্তুতকৃত একটি তালিকা।
এ তালিকায় নির্দিষ্ট সময়ে প্রতি হাজারের মৃত ব্যক্তির সংখ্যা প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন বয়সে মৃত্যুহার বেশি বা কোন বয়সে মৃত্যু হার কম তা এ তালিকা হতে জানা যায়।
আর জীবন বিমায় বিষয়বস্তু হলো মানুষের জীবন। তাই মৃত্যু ঝুঁকি বিবেচনা করে প্রিমিয়াম নির্ধারণের জন্য এ তালিকা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. আজাদ কর্তৃক স্ত্রীর নামে বিমা চুক্তি সম্পাদনে বিমার বিমাযোগ্য স্বাঅর্থের নীতিটি নুসৃত হয়েছে।
বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ বলতে বিমার বিষয়বস্তুতে বিমাগ্রহীতার আঅর্থিক স্বাঅর্থকে বুঝায়। এ স্বাঅর্থ না থাকলে বিমা করা যায় না। জীবন বিমার ক্ষেত্রে স্বামীর জীবনের ওপর স্ত্রীর এবং স্ত্রীর জীবনের ওপর স্বামীর এ স্বাঅর্থ রয়েছে।
উদ্দীপকে মি. আজাদ একজন ব্যবসায়ী। তার বয়স ৪০ বছর এবং তার স্ত্রীর বয়স ৩৭ বছর। তিনি তার স্ত্রীর নামে ২০ বছর মেয়াদি ৩০ লক্ষ টাকার একটি মেয়াদি বিমাপত্র খুলেন।
স্ত্রীর মৃত্যুতে বা সুস্থতাজনিত কারণে বা ন্য কোনো কারণে স্বামী ও তার আঅর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ স্ত্রীর জীবনের ওপর স্বামীর বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ রয়েছে। আর এ স্বাঅর্থের কারণেই তিনি তার স্ত্রীর নামে বিমাপত্র খুলতে পেরেছেন। সুতরাং এখানে বিমাযোগ্য স্বাঅর্থের নীতিটি নুসৃত হয়েছে।
ঘ উত্তর: ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত থাকায় মিসেস আজাদের পলিসিতে প্রিমিয়ামের হার বেশি হওয়াটা যৌক্তিক।
বিমার প্রিমিয়াম নির্ধারণে পেশা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত ধিক ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের বিমা পলিসির প্রিমিয়াম বেশি হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে মি. আজাদ নিজের এবং তার স্ত্রীর জন্য দুটি বিমা পলিসি করেন। মি. আজাদের বয়স ৪০ এবং তার স্ত্রীর বয়স ৩৭ বছর। তবে তার নিজের পলিসির প্রিমিয়ামের চাইতে তার স্ত্রীর জন্য গৃহীত পলিসির প্রিমিয়াম বেশি।
এখানে, তার স্ত্রী অর্থাৎ মিসেস আজাদ পেশায় একজন বৈমানিক। এ পেশাটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনায় জীবনহানির সম্ভাবনা বেশি। আর এ কারণেই মিসেস আজাদের জন্য গৃহীত বিমা পলিসির প্রিমিয়ামের হার বেশি এবং তা যৌক্তিক।
প্রশ্ন ৩০: জনাব কবির ৪০ বছর ধরে সরকারি চাকরি করছেন। নিজ সন্তানের ভবিষ্যৎ ও লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে তিনি নিজ নামে ১৫ বছরের একটি জীবন বিমানপত্র গ্রহণ করেন। ২টি কিস্তি পরিশোধের পর জনাব কবিরের মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী বিমা কোম্পানির কাছে বিমা দাবি পেশ করে। [নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক.মৃত্যুহার পঞ্জি কী?১
খ.কোন বিমা পারিবারিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে?২
গ.উদ্দীপকে জনাব কবির কোন ধরনের বিমাপত্র সংগ্রহ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.জনাব কবিরের স্ত্রী কি বিমা দাবি পাওয়ার ধিকারী? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।৪
৩০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: মৃত্যুহার পঞ্জি হলো তীত মৃত্যুহারের ভিত্তিত ভবিষ্যৎ মৃত্যুহার সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার একটি সারণী।
খ উত্তর: জীবন বিমা পারিবারিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে।
মানুষের জীবন সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি আঅর্থিকভাবে মোকাবেলার ব্যবস্থাই হলো জীবন বিমা। কোনো মানুষের মৃত্যুতে তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গ আঅর্থিক দুর্দশার শিকার হয়। জীবন বিমা এ আঅর্থিক দুর্দশা লাঘব করে।
কেননা, জীবন বিমা চুক্তি নুযায়ী বিমাগ্রহীতার মৃত্যুতে বা সুস্থতায় বা ন্য কোনো কারণে ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি তার পরিবারকে বা তাকে নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করে। তাই বলা যায়, জীবন বিমা পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব কবির মেয়াদি জীবন বিমাপত্র সংগ্রহ করেছেন।
মেয়াদি বিমাপত্র মূলত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য করা হয়ে থাকে। এই সময়ের মধ্যে বিমাগ্রহীতা মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি এ বিমার দাবি পেয়ে থাকেন। আর বেঁচে থাকলে তিনি নিজেই পাবেন।
উদ্দীপকে জনাব কবির ৪০ বছর ধরে সরকারি চাকরি করছেন। তিনি তার সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিজ নামে ১৫ বছরের জন্য একটি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেন।
অর্থাৎ বিমাচুক্তি নুযায়ী ১৫ বছর পর তিনি এ বিমাপত্রের অর্থ পাবেন। আর যদি মারা যান, তাহলে তার স্ত্রী ও সন্তানেরা এ অর্থ পাবে। অর্থাৎ জনাব কবিরের গৃহীত বিমাপত্রটির বৈশিষ্ট্য মেয়াদি জীবন বিমাপত্রের নুরূপ। তাই বলা যায়, তিনি মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে জীবন বিমাচুক্তি নুযায়ী জনাব কবিরের স্ত্রী বশ্যই বিমা দাবি পাওয়ার ধিকারী।
জীবন বিমা হলো আঅর্থিক নিশ্চয়তার চুক্তি। পরিবারের উপার্জনকারীদের মৃত্যুতে নির্ভরশীল সদস্যদের আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্র“তি দিয়েই জীবন বিমাচুক্তি করা হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে জনাব কবির নিজ নামে ১৫ বছরের একটি মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেন। দুটি কিস্তি প্রদানের পর তিনি মারা যান। তার স্ত্রী বিমা কোম্পানির কাছে বিমা দাবি পেশ করে।
পরিবারের কোনো সদস্যদের মৃত্যুতে ন্য সদস্যদের আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্র“তি দিয়েই জীবন বিমা চুক্তি সম্পাদিত হয়। এখানে জনাব কবিরের মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বে তার স্ত্রী ও সন্তানেরা।
অর্থাৎ তার স্ত্রী ও সন্তানেরাই বিমার অর্থ পাওয়ার দাবিদার। আবার মাত্র ২টি কিস্তি প্রদান করলেও বিমা চুক্তি নুযায়ী ১৫ বছরের মধ্যে তিনি মারা যাওয়ায় বিমা কোম্পানি বশ্যই বিমা দাবি প্রদানে বাধ্য। সুতরাং, জনাব কবিরের স্ত্রী বশ্যই বিমা দাবি পাওয়ার ধিকারী।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।