ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২১-২৫ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২১-২৫ | PDF
প্রশ্ন ২১: ব্যাংক ব্যবস্থার জনপ্রিয়তা এবং গ্রাহকদের বিভিন্নমুখী সেবা প্রদানের জন্য ব্যাংকগুলোর মাঝে নেক সময় দেনা-পাওনার সৃষ্টি হয়। এই দেনা-পাওনার জন্য যাতে ব্যাংকগুলো নিজেদের মাঝে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে এবং তাদের মধ্যকার লেনদেনগুলো স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে পরিচালনা জন্য নিকাশঘর কাজ করে। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বিভিন্ন প্রকার সহায়তাদানের মাধ্যমে একটি দেশে সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী র্থনীতি গঠনে নিকাশঘর কাজ করে যাচ্ছে। [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, সৈয়দপুর]
ক. ব্যাংক হার নীতি কী? ১
খ. ঋণ আমানত সৃষ্টির আবশ্যকীয় শর্তাবলিগুলো ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে নিকাশঘরের কার্যক্রমের মাধ্যমে লেনদেন নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করো। ৩
ঘ. নিকাশঘর সম্প্রসারিত ব্যাংক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এ সম্পর্কে তোমার মতামত দাও। ৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংক হারের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশলই হলো ব্যাংক হার নীতি।
খ উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের ন্যতম কাজ হলো ঋণ আমানত সৃষ্টি করা।
ঋণ আমানত সৃষ্টির ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় শর্তগুলো হলো: দেশে একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংক ও তাদের একাধিক শাখা থাকতে হবে। বাজারে পর্যাপ্ত র্থ সরবরাহ থাকতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণদান নীতি কার্যকর থাকবে এবং ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনে জনগণের সচেতনতা থাকতে হবে। আর এ শর্তগুলো প্রতিষ্ঠিত হলেই ঋণ থেকে আমানত সৃষ্টির কার্যক্রম সম্ভব।
গ উত্তর: উদ্দীপকে নিকাশঘরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন নিষ্পত্তি করে থাকে।
নিকাশঘর হলো আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির একটি প্রক্রিয়া। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত এমন একটি স্থান যেখানে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের প্রতিনিধিগণ একত্রিত হয়ে তাদের আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করে।
উদ্দীপকে ব্যাংক ব্যবস্থার জনপ্রিয়তা ও গ্রাহকদের বিভিন্নমুখী সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে দেনা-পাওনার সৃষ্টি হয়। এই দেনা-পাওনা নিষ্পত্তিতে যেন কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিকাশঘর ব্যবস্থা চালু করেছে।
ব্যাংকগুলোর মধ্যকার লেনদেনে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার বিকাশে নিকাশঘর কাজ করে যাচ্ছে। প্রতি কার্যদিবসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিকাশঘরের মাধ্যমে ত্যন্ত দ্রুততার সাথে সব ব্যাংকের পারস্পরিক দেনাপাওনার নিষ্পত্তি করা হয়।
ঘ উত্তর: নিকাশঘর সম্প্রসারিত ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।
নিকাশঘরের কার্য সম্পাদন মূলত একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। নিকাশঘর হলো এমন একটি ব্যবস্থা বা পদ্ধতি যেখানে ব্যাংকগুলো তাদের আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা সহজে নিষ্পত্তি করতে পারে।
উদ্দীপকে ব্যাংক ব্যবস্থার জনপ্রিয়তা ও গ্রাহকদের বিভিন্নমুখী চাহিদা মেটাতে গিয়ে ব্যাংকসমূহের মধ্যে আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনার সৃষ্টি হয়। ব্যাংকগুলো যাতে নিজেদের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে এবং তাদের লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিকাশঘর কার্যক্রম প্রচলন করে।
নিকাশঘরের মূল উদ্দেশ্যে হলো এক ব্যাংকের চেক ন্য ব্যাংকে জমা দেওয়ার কারণে যে আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনার উদ্ভব হয়, তা নিষ্পত্তি করা। নিকাশঘরের সম্প্রসারণ ব্যাংক ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখে। নিকাশঘর ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত র্থ সংগ্রহ করা যায়।
এর ফলে সময় ও র্থের সাশ্রয় হয়। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংকের প্রতি নির্ভরতা বাড়ে। নিকাশঘর সুবিধার প্রয়োজনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ মানতে বাধ্য হয়।
ফলে ব্যাংক ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়। তাই নিকাশঘর ব্যবস্থার সম্প্রসারণ দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
প্রশ্ন ২২: দেশে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংককে মুদ্রানীতি রোধে সরকার বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এজন্য ঈজজ ৫% থেকে ৬% এ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ব্যাংকের ঋণদান সামর্থ্য কিছুটা কমলেও তা প্রত্যাশিত না হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে সুবিধাজনক শর্তে কিছু বন্ড ও বিল ছেড়েছে। এতে গ্রাহকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। [নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী? ১
খ. নিকাশঘর বলতে কী বুঝায়? ২
গ. বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণে প্রথমে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তীতে গৃহীত ব্যবস্থা পরোক্ষ হলেও কার্যকর হবেÑএ বক্তব্য কতটা যথার্থ বিশ্লেষণ করো। ৪
২২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে দেশের র্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীনে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে।
খ উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মধ্যকার আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির স্থানই হলো নিকাশঘর।
নিকাশঘরের ইংরেজি প্রতিশব্দ “ঈষবধৎরহম ঐড়ঁংব” যার আভিধানিক র্থ নিষ্পত্তিস্থল। নিকাশঘরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্যভুক্ত প্রতিটি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন ব্যাংক ও শাখার চেক, বিনিময় বিল প্রভৃতির দেনা-পাওনার নিষ্পত্তি নিকাশঘরের মাধ্যমে করে।
গ উত্তর: বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণে জমার হার পরিবর্তন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্তির শর্ত মোতাবেক বাণিজ্যিক ব্যাংককে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ র্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। ঋণ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নগদ জমার নুপাত হ্রাস-বৃদ্ধি করে, যাকে জমার হার পরিবর্তন নীতি বলে।
উদ্দীপকে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ কমানোর জন্য ঋণ নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবে জমার হার হ্রাস-বৃদ্ধি পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। ব্যাংকের ঋণদানের সামর্থ্য কমানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঈজজ ৫% থেকে ৬% এ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদান করার আর্থিক ক্ষমতা কিছুটা কমে যাবে। ফলে, দেশের মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ কমে যাবে।
তাই বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমে জমার হার পরিবর্তন নীতি নুসরণ করেছে।
ঘ উত্তর: “বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তীতে গৃহীত ব্যবস্থা পরোক্ষ হলেও কার্যকর হবে” উক্তিটি যৌক্তিক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের জন্য খোলাবাজারে বিভিন্ন ধরনের ঋণপত্রাদি ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। একে খোলাবাজার নীতি বলা হয়।
উদ্দীপকে দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি ন্যতম নীতি হলো খোলাবাজার নীতি। এ নীতির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক সুবিধাজনক শর্তে কিছু বন্ড ও বিল বাজারে ছেড়েছে। সাধারণত, ঋণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে বন্ড, বিল ও বিভিন্ন ঋণপত্রাদি বিক্রি করে।
উদ্দীপকে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজারে কিছু বন্ড ও বিল ছেড়েছে, যা ক্রয় করলে জনসাধারণের হাতের র্থ কমে যাবে। ফলে, এটি পরোক্ষভাবে দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর বদান রাখবে।
তাই বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তীতে গৃহীত পদক্ষেপ পরোক্ষ হলেও কার্যকর উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন ২৩ সুরমা ব্যাংক লি. একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। ব্যাংকটি বিগত পাঁচ বছর যাবৎ ত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করেই ব্যাংকটি লক্ষ করলো যে তাদের ঋণদান ক্ষমতা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। পরবর্তীতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জানতে পারলেন যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের ব্যাংক হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি করেছে। ফলে সুরমা ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতে ধিক হারে ঋণ গ্রহণ কমিয়ে দেয়। ফলে তাদের ঋণদান ক্ষমতাও হ্রাস পায়।
[চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ]
ক. বিশ্বের প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কী? ১
খ. বিধিবদ্ধ রিজার্ভ বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে সুরমা ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতির সম্মুখীন হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. সুরমা ব্যাংকটি ঋণ দেয়া থেকে বিরত থাকার যথার্থ কারণ বিশ্লেষণ করো। ৪
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিশ্বের প্রথম কেন্দ্রীয় বাংক হলো দি রিকস্ ব্যাংক ব সুইডেন।
খ উত্তর: তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংককে আমানতের যে নির্দিষ্ট ংশ বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয় তাকে বিধিবদ্ধ রিজার্ভ বলে।
আর্থিক স্থিতিশীলতা ও ঋণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঋণদানকারী ব্যাংকসমূহ কর্তৃক গৃহীত আমানতের একটি নির্দিষ্ট ংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমানত হিসেবে জমা রাখে। এ বিধিবদ্ধ রিজার্ভের কিছু ংশ নগদে ও কিছু ংশ ট্রেজারি বিল কিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে হয়। বর্তমানে এ বিধিবদ্ধ রিজার্ভের হার ১৯.৫%।
গ উত্তর: উদ্দীপকে সুরমা ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণের সংখ্যাগত পদ্ধতি ব্যাংক হার নীতির সম্মুখীন হয়েছে।
ঋণের উদ্দেশ্য বা ব্যবহার বিবেচনা না করে বাজারে ঋণের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধির কৌশল হলো সংখ্যাÍক পদ্ধতি। ব্যাংক হার নীতি হলো ঋণ নিয়ন্ত্রণের ন্যতম সংখ্যাগত পদ্ধতি। এ নীতি নুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট হারে বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রথম শ্রেণির সিকিউরিটিজ বাট্টাকরণ করে থাকে।
উদ্দীপকে সুরমা ব্যাংক লি. একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। ব্যাংকটি বিগত পাঁচ বছর ধরে ত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। কিন্তু হঠাৎ ব্যাংকটির ঋণদান ক্ষমতা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।
ব্যাংক হার পূর্বের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় সুরমা ব্যাংকের ঋণদান ক্ষমতা কমে। মূলত ব্যাংক হার নীতির আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ সুদের হার বাড়িয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। উদ্দীপকে সুরমা ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংক হার নীতির কারণে ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সম্মুখীন হয়েছে।
ঘ উত্তর: ঋণদানে সামর্থ্যরে কারণে সুরমা ব্যাংকটি ঋণদান থেকে বিরত থাকার বিষয়টি যথার্থ।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের ন্যতম কাজ হলো ঋণ বিতরণ করা। এ ব্যাংক সাধারণত ধার, নগদ ঋণ ও জমাতিরিক্ত ঋণের মাধ্যমে গ্রাহককে ঋণ দিয়ে থাকে। আমানত থেকে ঋণদান বাণিজ্যিক ব্যাংকের একটি ন্যতম কাজ।
উদ্দীপকে সুরমা ব্যাংক লি. একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটি বিগত পাঁচ বছর ধরে দক্ষতার সাথে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু হঠাৎ ব্যাংকটি লক্ষ করলো তাদের ঋণদান ক্ষমতা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক হার নীতি বাড়ানোর ফলেই সুরমা ব্যাংকের আর্থিক সামর্থ্য দেখা দিয়েছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ র্থ সংকটের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল। ব্যাংকগুলো যখন আর্থিক সংকটে পড়ে তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিলের বাট্টাকরণ, জামানতি ঋণদান, ব্যাংক হার কমানো প্রভৃতির মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকে।
উদ্দীপকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণগ্রহণের হার বাড়ানোয় সুরমা ব্যাংকের তারল্য সংকট দেখা দেয়। ফলে এ ব্যাংক ঋণদান থেকে বিরত থাকছে। সুতরাং সুরমা ব্যাংকের ঋণদান থেকে বিরত থাকার যথার্থ কারণ রয়েছে।
প্রশ্ন ২৪: দেশে মূলধনের সংকট দেখা দেওয়ায় শিল্পায়ন প্রক্রিয়া মারাÍকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ বস্থা মোকাবিলায় সরকার তার প্রতিনিধিত্বকারী ‘ঢ’ ব্যাংককে বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ দেয়। ‘ঢ’ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আমানতের হারে পরিবর্তন এনে এ সংকট থেকে উত্তরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
[চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ]
ক. নিকাশঘর কী? ১
খ. খোলাবাজার নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মূলধন সংকট সমাধানে সরকার কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘ঢ’ ব্যাংক কোন ধরনের ব্যাংক? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. দেশের মূলধন সংকট সমাধানে ‘ঢ’ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাটি কতটুকু বাস্তবসম্মত বলে তুমি মনে কর? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক মূল্যের আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা হলো নিকাশঘর।
খ উত্তর: খোলাবাজারে বিভিন্ন বিল ও সিকিউরিটিজ (বন্ড, ঋণপত্র) ক্রয়-বিক্রয় করে ঋণ নিয়ন্ত্রণের কৌশল হলো খোলাবাজার নীতি।
এটি ঋণ নিয়ন্ত্রণের ন্যতম সংখ্যাগত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে বাজারে ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারি বিল, বন্ড, ঋণপত্র প্রভৃতি বিক্রয়ের মাধ্যমে বাজারে র্থের পরিমাণ হ্রাস করে। আবার বাজারে র্থের পরিমাণ হ্রাস পেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খোলাবাজার থেকে বিল, বন্ড, ঋণপত্র প্রভৃতি কিনে নিয়ে বাজারে র্থ সরবরাহ বাড়ায়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মূলধন সংকট সমাধানে সরকার কর্তৃক দায়িত্ব প্রাপ্ত ‘ঢ’ ব্যাংকটি হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীনে পরিচালিত দেশের একক ও নন্য ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত সরকারের ব্যাংক, উপদেষ্টা ও প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে থাকে।
উদ্দীপকে মূলধন সংকটের কারণে দেশের শিল্পায়ন প্রক্রিয়া মারাÍকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বস্থা মোকাবিলার জন্য সরকার তার প্রতিনিধিত্বকারী ‘ঢ’ ব্যাংককে মূলধন সংগ্রহের দায়িত্ব প্রদান করেছে।
প্রতিটি দেশেই সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্য পরিচালনা করে থাকে। আর্থিক সংকটে এ ব্যাংক সরকারকে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে। সরকারের ব্যাংক হিসেবে কাজ করা ছাড়াও এ ব্যাংক ন্যান্য কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
ঘ উত্তর: দেশের মূলধন সংকট সমাধানে ‘ঢ’ ব্যাংক কর্তৃক জমার হার পরিবর্তন ব্যবস্থাটি সম্পূর্ণ বাস্তবসম্মত বলে আমি মনে করি।
জমার হার পরিবর্তন নীতি হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণের একটি সংখ্যাগত পদ্ধতি। প্রতিটি তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের মেয়াদি আমানতের একটি নির্দিষ্ট ংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাধ্যতামূলকভাবে জমা রাখে, যাকে বিধিবদ্ধ রিজার্ভ বলে। বিধিবদ্ধ রিজার্ভের হার বাড়িয়ে বা কমিয়ে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করাই হলো জমার হার পরিবর্তন নীতি।
উদ্দীপকে দেশে মূলধন সংকট দেখা দেওয়ায় শিল্পায়ন প্রক্রিয়া মারাÍকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ বস্থা মোকাবিলায় সরকার তার প্রতিনিধিত্বকারী ‘ঢ’ ব্যাংককে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেয়। ‘ঢ’ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আমানতের হার পরিবর্তন করে এ সংকট হতে উত্তরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
উদ্দীপকে ‘ঢ’ ব্যাংক জমার হার নীতি নুসরণের মাধ্যমে দেশের মূলধন সংকট নিরসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ‘ঢ’ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিধিবদ্ধ জামানতের হার কমিয়ে দেশের মূলধন সংকটের সমাধান করতে পারে।
জামানতের হার কমানোর ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তারল্য বেড়ে যাবে। ফলে এদের ঋণদান ক্ষমতা বাড়বে। ঋণদানের মাধ্যমে এ ব্যাংক দেশের শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে সুতরাং মূলধন সংকট সমাধানে ‘ঢ’ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাটি বাস্তবসম্মত।
প্রশ্ন ২৫: সম্প্রতি পদ্মা ও মেঘনা ব্যাংক তিরিক্ত ঋণদান করে। ফলে বাজারে র্থের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং দেশে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। এ বস্থায় দেশের প্রধান ব্যাংক বিডি ব্যাংক আকর্ষণীয় সুদের হারে বাজারে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ঋণপত্র বিক্রি করে। ন্য ব্যাংকগুলো এসব ঋণপত্র ক্রয়ের ফলে বাজারে তিরিক্ত র্থ বিডি ব্যাংকে জমা হয়। এছাড়াও তিরিক্ত ঋণদানের কারণে পদ্মা ও মেঘনা ব্যাংকের বিল পুনঃবাট্টাকরণ করতে বিডি ব্যাংক স্বীকৃতি জানায়।
[জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক. ঝখজ কী? ১
খ. কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ঋণপত্র বিক্রয়ের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসে বিডি ব্যাংক কোন পদ্ধতি বলম্বন করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. পদ্মা ও মেঘনা ব্যাংকের বিল পুনঃবাট্টাকরণে বিডি ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে-এর আমানতের একটি ন্যূনতম ংশ বন্ড বা সিকিউরিটিজ ক্রয় করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখার বিধানকে ঝখজ বা ঝঃধঃঁঃড়ৎু খরয়ঁরফরঃু জধঃরড় বলে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ঝখজ হলো ১৩%।
খ উত্তর: দেশের ব্যাংক ও মুদ্রা ব্যবস্থায় নেতৃত্ব প্রদানের জন্য সরকারের মালিকানায় ও নিয়ন্ত্রণে পরিচালিক এক ও ন্যান্য ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক তালিকাভুক্ত ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে।
জনগণ যেমন ব্যাংকের সাথে লেনদেন করে তেমনি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে লেনদেন করে থাকে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সকল ব্যাংকের ব্যাংকার বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ঋণপত্র বিক্রয়ের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসে বিডি ব্যাংকা নীতি বলম্বন করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক খোলাবাজারে বিভিন্ন ধরনের বন্ড, সিকিউরিটিজ ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে ঋণনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করে থাকে। এ পদ্ধতিকে খোলাবাজার নীতি বলে। উদ্দীপকে পদ্মা ও মেঘনা নাক উত্তর: দুটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের তিরিক্ত ঋণ প্রদানের কারণে দেশে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে।
এ বস্থায় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বিডি ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এগিয়ে আসে। এ ব্যাংক খোলাবাজার নীতির আওতায় আকর্ষণীয় সুদের হারে বাজারে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ঋণপত্র বিক্রি করে।
ফলে বাজারের তিরিক্ত র্থ বিডি ব্যাংকে এসে জমা হয়। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ হ্রাস পায়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ঋণপত্র বিক্রির মাধ্যমে বিডি ব্যাংক খোলাবাজারে নীতিকে নুসরণ করেছে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: ‘পদ্মা ও মেঘনা ব্যাংকের বিল বাট্টাকরণ বিডি ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। উক্তিটি যথার্থ বলে আমি মনে করি।
মুদ্রাবাজারে র্থের পরিমাণ বাড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খোলাবাজার নীতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
উদ্দীপকে পদ্মা ও মেঘনা ব্যাংক বাজারে তিরিক্ত ঋণ প্রদান করে। যার ফলে মুদ্রাবাজারে র্থের পরিমাণ বাড়ে। ফলে দেশের মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বেড়ে যায়। এমতাবস্থায়, বিডি ব্যাংক খোলাবাজার নীতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
উদ্দীপকে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের জন্য বিডি ব্যাংক স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ঋণপত্র বাজারে ছাড়ে। এরূপ ঋণপত্র ক্রয়ের ফলে বাজারে র্থের পরিমাণ কমে যায়। পদ্মা ও মেঘনা ব্যাংক পুনরায় তিরিক্ত ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংকের বিল বাট্টাকরণের আবেদন করলে বিডি ব্যাংক তাতে স্বীকৃতি জানায়।
বিডি ব্যাংকের এরূপ পদক্ষেপের ফলে পদ্মা ও মেঘনা ব্যাংক তিরিক্ত ঋণপ্রদান করতে পারবে না। ফলে, মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আসবে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে বিডি ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপটি একটি যথার্থ সিদ্ধন্ত উক্তিটি সঠিক।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।