পঞ্চম শ্রেণি | হিন্দুধর্ম | অধ্যায় ৭ | গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির হিন্দুধর্ম বিষয়টির ৭ম অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
সপ্তম অধ্যায় – স্বাস্থ্যরক্ষা ও যোগব্যায়াম এবং আসন
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১। শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার নাম ————-।
২। আগে শরীর পরে————-।
৩। যোগসাধনার একটি উপায় হলো ————-।
৪। পরিমিত আহার ————-জন্য উপকারী।
৫। স্বাস্থ্যের জন্য আহারের পাশাপাশি ————-প্রয়োজন।
উত্তর : ১। স্বাস্থ্য ২। ধর্মসাধনা ৩। যোগব্যায়াম ৪। স্বাস্থ্যের ৫। যোগব্যায়াম
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১। আগে শরীর পরে————-ধর্মসাধনা।
২। স্বাস্থ্যরক্ষার একটি উপায়————-বাড়ায়।
৩। পরিমিত আহার স্বাস্থ্যের জন্য————-মুখরোচক খাবার।
৪। উপবাস আহার গ্রহণের ক্ষমতা ————-প্রয়োজন।
উত্তর :
১। আগে শরীর পরে ধর্মসাধনা।
২। স্বাস্থ্যরক্ষার একটি উপায় যোগব্যায়াম।
৩। পরিমিত আহার স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।
৪। উপবাস আহার গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ায়।
গ. সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দাও :
১। স্বাস্থ্যের জন্য দরকার-
ক. যোগব্যায়াম
খ. প্রচুর খাবার
গ. মুখরোচক খাবার
ঘ. প্রতিনিয়ত উপবাস
২। যোগসাধনার পদ্ধতি কারা উদ্ভাবন করেছিলেন?
ক. রাজারা
খ. দেবতারা
গ. মুনি-ঋষিরা
ঘ. অসুরেরা
৩। কোন তিথিতে বিশেষভাবে উপবাস করার নিয়ম রয়েছে?
ক. একাদশী
খ. দ্বাদশী
গ. ত্রয়োদশী
ঘ. চতুর্দশী
৪। আমরা সাধারণত কেমন খাবার খেতে পছন্দ করি?
ক. মুখরোচক.
খ. পুষ্টিকর
গ. দামি
ঘ. সস্তা
৫। যোগব্যায়াম করলে মানুষ-
ক. ক্লান্ত হয়
খ. দুর্বল হয়
গ. স্বাস্থ্যবান হয়
ঘ. মোটা হয়
৬। উপাসনার জন্য প্রয়োজন-
ক. তীর্থযাত্রা
খ. শরীর ও মনের সুস্থতা
গ. ধন-সম্পদ
ঘ. মন্দির
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। যোগব্যায়াম কাকে বলে?
উত্তর : শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ, শরীর চালনা করার বিশেষ পদ্ধতিকে যোগব্যায়াম বলে।
২। উপবাস বলতে কী বোঝ?
উত্তর : আহার গ্রহণে বিরতি দেওয়ার নাম উপবাস।
৩। আহার বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : খাদ্য ও পানীয় গ্রহণকে আহার বলে।
৪। একদম না খেলে কী হয়?
উত্তর : একদম না খেলে শরীর অচল হয়ে যায়।
৫। শরীর সুস্থ রাখার একটি উপায় লেখ।
উত্তর : শরীর সুস্থ রাখার একটি উপায় হলো পরিমিত আহার।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১। যোগব্যায়াম কাকে বলে বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : যোগব্যায়াম হলো যোগসাধনার একটি মাধ্যম। এটি শরীর ও মনকে নিয়ন্ত্রণ করে স্বাস্থ্যরক্ষার অন্যতম উপায়। এককথায়, শ্বাস-প্রশ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ, শরীরকে চালনা করার বিশেষ-বিশেষ পদ্ধতি বা আসনকে যোগব্যায়াম বলে।
২। যোগব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যোগব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তা হলো :
১. মস্তিষ্কের ধারণ শক্তি বাড়ে।
২. স্নায়ু সতেজ ও মাংসপেশি সবল হয়।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৪. রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ে।
৫. কিছু-কিছু রোগ সেরে যায়।
৬. দেহের শক্তির পাশাপাশি মনের শক্তি বাড়ে।
৩। পরিমিত আহার বলতে কী বোঝ?
উত্তর : পরিমিত আহার হলো প্রয়োজন অনুসারে খাদ্য গ্রহণ।
৪। যোগব্যায়ামের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ধর্মচর্চার জন্য সুস্থতা জরুরি। শরীর নিরোগ ও কর্মক্ষম না হলে ঈশ্বর চিন্তা কেন, কোনো কাজই ভালোভাবে করা যায় না। তাই, পূর্বযুগে মুনি-ঋষিরা যোগসাধনা পদ্ধতি উদ্ভাবন করলেন। যোগব্যায়াম হলো যোগসাধনার একটি উপায়। এর ফলে শরীর ও মন সুস্থ থাকে। কর্মক্ষম থাকে এবং একমনে ঈশ্বরের উপাসনা করা যায়।
৫। উপবাসের উপকারিতা কী?
উত্তর : একদম উপোস করে থাকলে শরীর অচল হয়ে যাবে। আবার বেশি খেলেও শরীরের ক্ষতি হবে। আবার এই শরীর সুস্থ রাখার জন্য মাঝে-মাঝে উপবাস করতে হয়। হিন্দুধর্ম গ্রন্থে পরিমিত আহার গ্রহণের উপদেশ দেওয়ার পাশাপাশি নিয়ম করে উপবাস থাকার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। মাঝে-মাঝে পরিমিত সময়ের উপবাস শরীরের খাদ্যগ্রহণের ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
৬। ‘উপবাস ধর্মের অঙ্গ।’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যে শরীর ও মন দিয়ে আমরা ঈশ্বর ও দেব-দেবীর উপাসনা করব, তা যদি সুস্থ না থাকে, তাহলে আমরা সঠিকভাবে তাঁর উপাসনা করতে পারব না। তাই সঠিকভাবে ধর্মচর্চার জন্য শরীর ও মনের সুস্থতা প্রয়োজন। আর উপবাস হচ্ছে শরীর ও মন সুস্থ রাখার অন্যতম উপায়। সুতরাং আমরা বলতে পারি উপবাস ধর্মের অঙ্গ।
৭। কোন কোন তিথিতে বিশেষভাবে উপবাস পালনের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?
উত্তর : হিন্দুধর্মে একাদশী, পূর্ণিমা ও অমাবশ্যা তিথিতে উপবাস করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
যোগব্যায়াম
১. যোগসাধনা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন কারা?
ক. ডাক্তাররা
খ মুনি-ঋষিরা
গ. পণ্ডিতেরা
ঘ. কবিরাজরা
২. যোগসাধনার ফলে কী হয়?
ক. শরীর ও মন সুস্থ থাকে
খ. শরীর ও মন কর্মক্ষম থাকে
গ. একমনে ঈশ্বরের উপাসনা করা যায়
ঘ. উপরের সবগুলো
৩. নিয়মিত যোগব্যায়ামের মাধ্যমে
ক. ওজন হ্রাস পায়
খ. শক্তি অর্জন হয়
গ. শরীর সুগঠিত হয়
ঘ. মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়
পরিমিত আহার
৪. স্বাস্থ্য রক্ষার উপায় কী?
ক. পর্যাপ্ত পরিশ্রম
খ. পরিমিত আহার
গ. নিয়মিত উপবাস
ঘ. কঠোর পরিশ্রম
৫. আমারা আহার গ্রহণ করি কেন?
ক. পরিশ্রম করার জন্য
খ. ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য
গ. রোগমুক্তির জন্য
ঘ. দেহের বৃদ্ধি সাধনের জন্য
৬. আমরা কোন খাবার খেতে পছন্দ করি?
ক. মুখরোচক.
খ. পুষ্টিকর
গ. সুস্বাদু
ঘ. মিষ্টান্ন জাতীয়
৭. ‘বেশি খাবি তো কম খা’ – উক্তিটি কে বলেছেন?
ক. স্বামী প্রণবানন্দ
খ. স্বামী বিবেকানন্দ
গ. শ্রী রামকৃষ্ণ
ঘ. আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়
উপবাস
৮. আহার গ্রহণে বিরতি দেওয়াকে কী বলে?
ক. অনিয়মিত আহার
খ. অনিয়ম
গ. উপবাস
ঘ. অপরিমিত আহার
৯. নিচের কোন তিথিতে উপবাস বা হালকা খাবার গ্রহণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?
ক অমাবশ্যা খ চতুর্দশী গ অপরপক্ষ ঘ পঞ্চদশী
১০. নিচের কোনটি শরীর সুস্থ রাখার উপায়?
ক. অতিরিক্ত নিদ্রা
খ. অপরিমিত আহার
গ পরিমিত আহার
ঘ অতিরিক্ত ব্যায়াম
১১. পরিমিত আহার গ্রহণ ও উপবাস আমাদের কী শেখায়?
ক. শিষ্টাচার
খ. সংযম
গ পরমতসহিষ্ণুতা
ঘ কোনোটিই নয়
যোগ্যতাভিত্তিক
১২. শিমুল দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শরীরকে চালনা করার বিশেষ পদ্ধতির চর্চা করে। তার এই কাজের ফলে-
ক. শরীরে মেদ জমে যাবে
খ. স্নায়ু দুর্বল হয়ে যাবে
গ. অতিরিক্ত তন্দ্রা পাবে
ঘ. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে
১৩. আগামী মাসে সপ্তর্ষীর স্কুল পরীক্ষা। এমন অবস্থায় পড়াশুনার পাশাপাশি তাকে কোন কাজটি করতে হবে?
ক. পরিমিত আহার গ্রহণ করতে হবে
খ. নিয়মিত যোগব্যয়াম করতে হবে
গ. পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে
ঘ. পর্যাপ্ত ফলমূল খেতে হবে
১৪. উপল মুখরোচক খাবার পেলেই অনেক বেশি খেয়ে ফেলে। এর ফলে তার-
ক. মাংসপেশির ক্ষমতা হ্রাস পাবে
খ. স্নায়ু দুর্বল হয়ে যাবে
গ. মনের শক্তি হ্রাস পাবে
ঘ. কর্মশক্তি হ্রাস পাবে
১৫. অনিক মাঝে মাঝে আহার গ্রহণে উপোস থাকে। এর ফলে-
ক. শরীর দুর্বল হবে
খ. কাজ করার আগ্রহ সৃষ্টি হবে
গ. খাদ্য গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে
ঘ. মস্তিস্কের ধারণ বৃদ্ধি পাবে
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. স্বাস্থ্যরক্ষা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : স্বাস্থ্যরক্ষা বলতে শরীর ও মন সুস্থ রাখা বোঝায়।
২. স্বাস্থ্যরক্ষার তিনটি উপায় উল্লেখ কর।
উত্তর : স্বাস্থ্যরক্ষার তিনটি উপায় হলো যোগব্যায়াম, পরিমিত আহার, উপবাস।
৩. আহার গ্রহণে বিরতি দেওয়াকে কী বলে?
উত্তর : আহার গ্রহণে বিরতি দেওয়াকে উপবাস বলে।
৪. আমরা কখন উপবাস থাকি?
উত্তর : আমরা পূজা-পার্বণ ও ধর্মানুষ্ঠানের সময় উপবাস থাকি।
৫. অঞ্জলি দেওয়া হয় কোন পূজার সময়?
উত্তর : অঞ্জলি দেওয়া হয় সরস্বতী পূজার সময়।
৬. ধর্মের অন্যতম লক্ষণ কী?
উত্তর : ধর্মের অন্যতম লক্ষণ সংযম।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. স্বাস্থ্য বলতে কী বুঝ? শরীর-মন সুস্থ না থাকলে কী হয়? স্বাস্থ্য রক্ষার তিনটি উপায় লেখ।
উত্তর : শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার নাম স্বাস্থ্য। শরীর-মন সুস্থ না থাকলে জীবন হয় অশান্তিময়। ঠিকমতো ধর্মচর্চাও করা যায় না।
স্বাস্থ্যরক্ষার তিনটি উপায় :
১. যোগব্যায়াম : শ্বাস-প্রশ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ ও শরীরকে চালনা করার বিশেষ বিশেষ পদ্ধতি বা আসনকে এক কথায় যোগব্যায়াম বলে।
২. পরিমিত আহার : শরীর গঠনে প্রয়োজনীয় খাদ্য।
৩. উপবাস : আহার গ্রহণে বিরতি দেওয়াকে উপবাস বলে।
২. উপবাস বলতে কী বোঝ? ‘উপবাস ধর্মের অঙ্গ’Ñব্যাখ্যা কর। [প্র৫. শি.স.প. ২০১৫]
উত্তর : আহার গ্রহণের বিরতি দেওয়ার নাম উপবাস।
‘উপবাস ধর্মের অঙ্গ’ নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো :
র) উপবাস শরীরে খাদ্রগ্রহণের ক্ষমতা বাড়ায়।
রর) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পূজা-পার্বনে উপবাস করা হয়।
ররর) উপবাস করে পূজা-পার্বন করলে দেবতা খুশি হন।
রা) উপবাস ও পূজা-অর্চনার মাধ্যমে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন।
যোগ্যতাভিত্তিক
৩. ডাক্তার তোমাকে পরিমিত আহারের নির্দেশ দিয়েছেন। এরূপ কাজের ৫টি উপকার লেখ।[সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা]
উত্তর: পরিমিত আহারের ৫টি উপকার :
১. পরিমিত আহারের যথাযথভাবে ক্ষয়পূরণ হয়;
২. দেহের বৃদ্ধি সাধন হয়;
৩. কর্মশক্তি ও রোগ প্রতিরোধের শক্তি সৃষ্টি হয়;
৪. দেহ ও মনকে সুস্থ রাখে;
৫. যথাযথভাবে ঈশ্বরের আরাধনা করা যায়।
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১। নিয়মিত আসন করলে শরীর ————-থাকে।
২। আসন অনুশীলন করলে সাধনার জন্য মন ————-হয়।
৩। পেশি সতেজ রাখা আসনের একটি ।
৪। সর্বাঙ্গাসন করলে সকল প্রকার ————-বিনাশ ঘটে।
উত্তর : ১। সুস্থ ২। প্রস্তুত ৩। উপকারিতা ৪। ব্যাধির
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১। আসন অনুশীলন করলে———-সর্বাঙ্গাসন।
২। সর্বাঙ্গাসন করলে———-ক্লান্তি দূর হয়।
৩। স্নায়ু সতেজ রাখার একটি উপায় হলো———-দেহ নমনীয় হয়।
৪। হাঁপানি প্রতিরোধ করে———-অঙ্গ।
৫। আসন ধর্মের ———-আসন।
উত্তর :
১। আসন অনুশীলন করলে দেহ নমনীয় হয়।
২। সর্বাঙ্গাসন করলে ক্লান্তি দূর হয়।
৩। স্নায়ু সতেজ রাখার একটি উপায় হলো আসন।
৪। হাঁপানি প্রতিরোধ করে সর্বাঙ্গাসন।
৫। আসন ধর্মের অঙ্গ।
গ. সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দাও :
১। আসন করলে সতেজ থাকে-
ক. পেশি খ. চুল গ. পা ঘ. পেট
২। গোমুখাসন অনুশীলনের সময় পায়ের অবস্থান হয়-
ক. কুকুরের মুখের মতো
খ. বিড়ালের মুখের মতো
গ. গরুর মুখের মতো
ঘ. পাখির ঠোঁটের মতো
৩। সর্বাঙ্গাসন করলে সুস্থ ও সবল হয়-
ক. হাঁটু
খ. হাত ও পা
গ. বুক ও পিঠ
ঘ. সকল অঙ্গ
৪। আসন মনকে-
ক. প্রশান্ত করে
খ. চঞ্চল করে
গ. উত্তেজিত করে
ঘ. ক্লান্ত করে
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। আসনের উপকারিতা কী?
উত্তর : নিয়মিত আসন অনুশীলন করলে শরীরের প্রতিটি স্নায়ুকোষ ও স্নায়ুতন্ত্র, টিস্যু, পেশি সতেজ হয় এবং কর্মক্ষম থাকে। এতে শরীর সুস্থ থাকে।
২। চিন্তার ক্ষেত্রে আসনের গুরুত্ব কী?
উত্তর : চিন্তার ক্ষেত্রে আসন অবাঞ্ছনীয় চিন্তাকে দূরে রাখে।
৩। গোমুখাসনের একটি উপকারিতা বর্ণনা কর।
উত্তর : গোমুখাসনের একটি উপকারিতা হলো অনিদ্রা দূর হওয়া।
৪। উপাসনার ক্ষেত্রে আসনের ভ‚মিকা কী?
উত্তর : উপাসনার ক্ষেত্রে আসন আমাদের দেহ ও মনকে একাগ্রচিত্তে উপাসনার জন্য প্রস্তুত করে।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১। নিয়মিত অনুশীলনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নিয়মিত অনুশীলন করলে শরীরের প্রতিটি স্নায়ুকোষ ও স্নায়ুতন্ত্র, টিস্যু, পেশি সতেজ হয় এবং কর্মক্ষম থাকে। এতে শরীর সুস্থ থাকে। মন প্রশান্ত থাকে।
অনুশীলন করলে আরও যে উপকারিতা হয়-
-দেহ নমনীয় হয়, সবল হয় এবং মাংসপেশি পুষ্ট হয়।
-দেহ ও মনের সমতা রক্ষিত হয়।
-অবাঞ্ছনীয় চিন্তাকে দূরে রাখা যায়।
-সাধনার জন্য মন প্রস্তুত হয়।
২। সর্বাঙ্গাসন অনুশীলনের পদ্ধতি বর্ণনা কর।
উত্তর : চিৎ হয়ে শুয়ে পা-দুটি সোজা করে ধীরে ধীরে উপরে তুলতে হবে। তারপর কনুই শরীরের সঙ্গে প্রায় সমান্তরাল রেখে হাতের চেটো দিয়ে পিঠ ঠেলে ধরতে হবে।
৩। গোমুখাসন অনুশীলনের পদ্ধতি বর্ণনা কর।
উত্তর : পা দুটিকে সামনে ছড়িয়ে দিয়ে বসতে হবে। বাম পা হাঁটুর কাছে ভাঁজ করে ওই পায়ের গোড়ালি ডান দিকের নিতম্বের পাশে স্পর্শ করাতে হবে। ঠিক একইভাবে বাম পায়ের উপর দিয়ে এনে ডান পায়ের গোড়ালি বাম দিকের নিতম্বে স্পর্শ করাতে হবে। এবার ডান হাত সোজা মাথার উপরে তুলে এনে ডান কনুই থেকে ভাঁজ করে রাখব পিঠের দিকে।
এবার বাম হাত কনুই থেকে ভাঁজ করে পিঠের উপর দিকে আনতে হবে। তারপর বাম হাতের আঙ্গুলগুলো দিয়ে ডান হাতের আঙ্গুলগুলো ধরার চেষ্টা করতে হবে। মেরুদণ্ড সোজা থাকবে। এভাবে প্রতি পায়ে দুবার করে চারবার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিবার অভ্যাসের পর কুড়ি সেকেন্ড শবাসন করতে হবে।
৪। উপাসনার ক্ষেত্রে আসনের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কিছু কিছু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট আসনে বসতে হয়। এ আসন আমাদের দেহ ও মনকে একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরের উপাসনার জন্য প্রস্তুত করে। অবাঞ্ছনীয় চিন্তাকে দূরে রাখে। শরীর সুস্থ, সবল ও সতেজ রাখে। মন প্রশান্ত রাখে। ফলে নির্দিষ্ট মনে উপাসনা করা যায়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. কী করলে অবাঞ্ছনীয় চিন্তাকে দূরে রাখা যায়?
ক. ঘুমালে
খ আসন
গ. হাসি-খুশি থাকলে
ঘ. আনন্দ
সর্বাঙ্গাসন
২.চিৎ হয়ে শুয়ে দুই পা উপরে তুলে ধরা হয় কোন আসনে?
ক. ভুজুঙ্গাসনে
খ. সর্বাঙ্গাসনে
গ. গোমুখাসনে
ঘ. যোগাসনে
৩. সর্বাঙ্গাসন কতবার করতে হয়?
ক. দুইবার
খ. তিনবার
গ চারবার
ঘ. পাঁচবার
৪. থাইরয়েড সতেজ হয় কোন আসনে?
ক সর্বাঙ্গাসনে
খ. ভুজুঙ্গাসনে
গ. শবাসনে
ঘ. গোমুখাসনে
৫. দেহের অপ্রয়োজনীয় মেদ কমাতে সাহায্য করে কোন আসন?
ক. শবাসন
খ গোমুখাসন
গ সর্বাঙ্গাসন
ঘ. পদ্মাসন
গোমুখাসন
৬. গোমুখাসনের ফলে নিচের কোনটি হয়?
ক. কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর হয়
খ. স্নায়ুমণ্ডলী সতেজ হয়
গ. হাঁপানি প্রতিরোধ করে
ঘ অনিদ্রা দূর হয়
৭. মেরুদণ্ড সোজা হয় কোন আসনের ফলে?
ক. বজ্রাসন
খ শবাসন
গ গোমুখাসন
ঘ. ভুজুঙ্গাসন
যোগ্যতাভিত্তিক
৮. তোমার বোন পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন। তাকে তুমি কোন আসন করার পরামর্শ দিবে?
ক. শবাসন
খ গোমুখাসন
গ দেহাসন
ঘ. সর্বাঙ্গাসন
৯. তুমি আসন করার মাধ্যমে নীরোগ থাকতে চাও। এজন্য তোমাকে নিয়মিত কোন আসন করতে হবে?
ক. শবাসন
খ দেহাসন চ
গ ভুজুঙ্গাসন
ঘ. গোমুখাসন
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. সর্বাঙ্গাসন কাকে বলে?
উত্তর : যে আসন করলে দেহের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ, সবল ও নীরোগ হয় তাকে সর্বাঙ্গাসন বলে।
২. সর্বাঙ্গাসনের দুটি উপকারিতা লেখ।
উত্তর : সর্বাঙ্গাসনের দুটি উপকারিতা হলো :
১. দেহ সক্রিয় হয়।
২. সবল ও কর্মঠ হয়।
৩. গোমুখাসনের দুটি উপকারিতা লেখ।
উত্তর : গোমুখাসনের দুটি উপকারিতা হলো
১. অনিদ্রা দূর হয়।
২. অসমান কাঁধ সমান হয়।
৪. সকল প্রকার ব্যাধির বিনাশ ঘটে কোন আসনে?
উত্তর : সকল প্রকার ব্যাধির বিনাশ ঘটে সর্বাঙ্গাসনে।
৫. ধর্ম পালনে আসন কী ভ‚মিকা পালন করে?
উত্তর : ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে আসন আমাদের দেহ ও মনকে একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরের উপাসনার জন্য প্রস্তুত করে।
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. আসন কী? সর্বাঙ্গাসনের চারটি উপকারিতা লিখ।
উত্তর : যোগব্যায়ামের একটি বিশেষ পদ্ধতিকে আসন বলে।
সর্বাঙ্গাসনের চারটি উপকারিতা :
১. কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে।
২. দেহের অপ্রয়োজনীয় মেদ কমায়।
৩. দেহ সক্রিয় সবল ও কর্মঠ হয়।
৪. থাইরয়েড ও স্নায়ুমণ্ডলী সতেজ হয়।
২. যোগব্যায়ামের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শ্বাস-প্রশ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ, শরীরকে চালনা করার বিশেষ বিশেষ পদ্ধতি বা আসনকে এক কথায় যোগব্যায়াম বলে। যোগব্যায়ামের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক একনিষ্ঠভাবে জড়িত। কেননা দেহ ও মনের সুস্থতা না থাকলে উপাসনায় একাগ্রতা থাকে না। যোগব্যায়াম আমাদের দেহ ও মনকে একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরের উপাসনার জন্য প্রস্তুত করে। এভাবে যোগব্যায়াম হয়ে ওঠে ধর্মের অঙ্গ হিসেবে।
যোগ্যতাভিত্তিক
৩. ডাক্তার তোমার বাবাকে বাত রোগের জন্য যোগব্যায়াম করার পরামর্শ দেয়। যোগব্যায়াম কী? যোগব্যায়ামের কোন আসন অনুশীলন করলে তোমার বাবা সুস্থ হবেন? যোগব্যায়ামের চারটি পদ্ধতির নাম লেখ।
উত্তর : যোগসাধনার বিশেষ পদ্ধতি হলো যোগব্যায়াম।
যোগব্যায়ামের গোমুখাসন আসন অনুশীলন করলে আমার বাবা সুস্থ হবেন।
যোগব্যায়ামের ৪টি পদ্ধতি হলো :
র) গোমুখাসন রর) ভুজুঙ্গাসন ররর) সর্বাঙ্গাসন রা) শবাসন।
৪. সজল নিয়মিত যোগব্যায়াম করছে। তার যোগব্যায়াম করার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সজলের নিয়মিত যোগব্যায়াম করার কারণ হলোÑ
১. যোগব্যায়াম অনুশীলন ফলে মস্তিষ্কের ধারণ শক্তি বাড়ে।
২. স্নায়ু সতেজ ও মাংসপেশি সবল হয়।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৪. রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে।
৫. দেহের শক্তির পাশাপাশি মনের শক্তি বাড়ে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।