পঞ্চম শ্রেণি | হিন্দুধর্ম | অধ্যায় ৪ | গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির হিন্দুধর্ম বিষয়টির ৪র্থ অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
চতুর্থ অধ্যায়
ঈশ্বরের একত্ব, ধর্মীয় সাম্য ও স¤প্রীতি
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১। সকল মানুষের মধ্যে রয়েছে —————।
২। মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা উপাসনালয়কে বলেন —————।
৩। ধর্মীয় সাম্য আমাদের ————— করে।
৪। মানুষে-মানুষে কোনো ————— করা উচিত নয়।
৫। ‘সবার উপরে ————— সত্য, তাহার উপরে নাই।’
উত্তর : ১. মনুষ্যত্ব ২. মসজিদ ৩. মমত্ববোধ জাগ্রত ৪. পার্থক্য ৫. মানুষ
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১। ধর্মে-ধর্মে একটি পার্থক্য রয়েছে————— অদ্বিতীয়।
২। খ্রিষ্টানেরা ঈশ্বরকে বলেন————— উপাসনা পদ্ধতিতে।
৩। ঈশ্বর এক এবং————— ভালোবাসা প্রদর্শন করব।
৪। ধর্মে-ধর্মে মত ও পথের বিভিন্নতা থাকলেও————— দল বেঁধে চলব।
৫। সকল মানুষের প্রতি গড————— ঈশ্বর কিন্তু এক।
উত্তর :
১। ধর্মে-ধর্মে একটি পার্থক্য রয়েছে উপাসনা পদ্ধতিতে।
২। খ্রিস্টানেরা ঈশ্বরকে বলেন গড।
৩। ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়।
৪। ধর্মে-ধর্মে মত ও পথের বিভিন্নতা থাকলেও ঈশ্বর কিন্তু এক।
৫। সকল মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করব।
গ. সঠিক উত্তরটির পাশে টিক () চিহ্ন দাও :
১। মানুষে-মানুষে মিলের একটি সূত্র হলো-
ক. টাকা-পয়সা
খ. জনবল
গ. মনুষ্যত্ব
ঘ. রাজত্ব
২। কার আরেকটি নাম পার্থ?
ক. ভীমের
খ. অর্জুনের
গ. নকুলের
ঘ. সহদেবের
৩। পার্থকে কে উপদেশ দিয়েছিলেন?
ক. যুধিষ্ঠির
খ. দুর্যোধন
গ. শ্রীকৃষ্ণ
ঘ. বলরাম
৪। সাধনার পথ-
ক. একটি
খ. দুটি
গ. পাঁচটি
ঘ. বহু
৫। ‘যত মত, তত পথ’ কথাটি কে বলেছেন?
ক. বিবেকানন্দ
খ. রামকৃষ্ণ
গ. সারদা দেবী
ঘ. রানি রাসমণি
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। পৃথিবীতে প্রচলিত চারটি প্রধান ধর্মের নাম কী?
উত্তর : পৃথিবীতে প্রচলিত চারটি প্রধান ধর্মের নাম হলো- হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্ট ও ইসলাম।
২। যে আমাকে যেভাবে উপাসনা করে আমি তাকে সেভাবেই সন্তুষ্ট করি- এ কথাটি কে এবং কাকে বলেছিলেন?
উত্তর: প্রশ্নে উল্লিখিত কথাটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পার্থকে (অর্জুন) বলেছিলেন।
৩। ধর্মীয় সাম্য রক্ষা করে চললে কী প্রতিষ্ঠিত হবে?
উত্তর : ধর্মীয় সাম্য রক্ষা করে চললে স¤প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হবে।
৪। মানুষ মানুষকে কীসের দৃষ্টিতে দেখবে?
উত্তর : মানুষ মানুষকে সমতার দৃষ্টিতে দেখবে।
৫। বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা ঈশ্বরকে কী কী নামে ডাকে?
উত্তর : বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা ঈশ্বরকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডেকে থাকে। যেমন হিন্দুরা বলে ঈশ্বর, খ্রিষ্টানরা বলে গড, মুসলমানরা বলে আল্লাহ।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১। সকল ধর্মের মূল কথা কী?
উত্তর : পৃথিবীতে বিভিন্ন ধর্ম আছে। এসব ধর্মের মত ও পথের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্য রয়েছে উপাসনার পদ্ধতিতেও। ধর্মমত ও উপাসনা পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও সকল ধর্মই এক ঈশ্বরের আরাধনা করে। সকল ধর্মের মূল উদ্দেশ্য একটাই। তা হলো নিজের মুক্তি এবং জীব ও জগতের মঙ্গল।
২। ‘যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহ্ম। মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ \’-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পার্থকে (অর্জুন) বলেছেন- “যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহ্ম। মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ \” -এর অর্থ হলো যে আমাকে যেভাবে উপাসনা করে, আমি সেভাবেই তাকে সন্তুষ্ট করি। হে পার্থ (অর্জুন), মানুষ সকল প্রকারে আমার পথই অনুসরণ করে। অর্থাৎ আমরা যে ধর্মই অনুসরণ করি না কেন আমাদের সকলের গন্তব্য এক ঈশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
৩। আমরা অন্য ধর্মের লোকদের সঙ্গে কেমন আচরণ করব?
উত্তর : আমরা অন্য ধর্মের লোকদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করব। কে কোন ধর্মের, কোন জাতির, কোন বর্ণের তা বিচার করব না। আপদে-বিপদে, আনন্দ-উৎসবে সকলের সঙ্গে স¤প্রীতিপূর্ণ আচরণ করব। সকল ধর্মের মানুষকে আপন বলে ভাবব।
৪। ধর্মীয় সাম্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর : কবি বড়– চণ্ডিদাস বলেছেন, “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।” সকল ধর্মের মানুষ একে অপরের ভাই। আর হিন্দুধর্ম বিশ্বাস করে সকল জীবের মধ্যে আত্মারূপে ঈশ্বর অবস্থান করে। তাই আমরা ধর্মীয় সাম্য রক্ষা করে চলব। এতে আমরা সকলেই শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারব। ফলে মানুষে মানুষে জেগে উঠবে মমত্ববোধ।
৫। ‘সাধনার পথ বহু, কিন্তু ঈশ্বর এক।’- কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : হিন্দুরা সৃষ্টিকর্তাকে ঈশ্বর বলেন, মুসলমানেরা বলেন আল্লাহ, খ্রিষ্টানেরা বলেন গড। হিন্দুরা উপাসনালয়কে বলেন মন্দির, মুসলমানেরা বলেন মসজিদ, খ্রিষ্টানেরা বলেন গির্জা। সবাই একই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন। ধর্মমত ও উপাসনা পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। সকল ধর্মই নিজের মুক্তি ও জীব ও জগতের মঙ্গল চায়। সুতরাং সাধনার পথ একটি নয়, বহু কিন্তু ঈশ্বর এক।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. হিন্দুরা সৃষ্টিকর্তাকে কী বলেন?
ক.গড
খ. ঈশ্বর
গ. আল্লাহ্
ঘ. বিষ্ণু
২. খ্রিষ্টানেরা উপাসনালয়কে কী বলেন?
ক.মঠ
খ.মসজিদ
গ.গির্জা
ঘ.মন্দির
৩.জীবের মধ্যে ঈশ্বর কীরূপে অবস্থান করেন?
ক. দেবাতারূপে
খ. ভ্রমরূপে
গ. মনরূপে
ঘ. আত্মারূপে
৪. ধর্মীয় সাম্য বজায় রাখলে কী প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক. ভালোবাসা
খ. শ্রদ্ধা
গ. অবজ্ঞা
ঘ. সামপ্রীতি
যোগ্যতাভিত্তিক
৫. তোমার এলাকায় বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বাস করেন। তাদের সাথে তুমি কেমন আচরণ করবে?
ক.স¤প্রীতিপূর্ণ
খ. অবজ্ঞাপূর্ণ
গ. এড়িয়ে চলব
ঘ. সামপ্রদায়িক
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. হিন্দুরা উপাসনালয়কে কী বলে?
উত্তর : হিন্দুরা উপাসনালয়কে বলে মন্দির।
২. সকল ধর্মের প্রতি কেন শ্রদ্ধা পোষণ করব?
উত্তর : সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করব কেননা এর মধ্য দিয়ে সবার মাঝে স¤প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হবে।
৩. সকল ধর্মের মানুষ একে অপরের কী?
উত্তর : সকল ধর্মের মানুষ একে অপরের ভাই।
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. হিন্দুধর্মমতে ঈশ্বর কোথায় অবস্থান করেন? ঈশ্বরের অবস্থান বিষয়ক বিশ্বাসের ফলে কী হয়? এর মাধ্যমে কীভাবে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে?
উত্তর : হিন্দুধর্মমতে ঈশ্বর সকল জীবের অন্তরে বাস করেন।
ঈশ্বর সকল জীবের অন্তরে বাস করেন এই বিশ্বাস ধর্মীয় সাম্যবোধ জাগ্রত করার প্রধান সহায়ক।
এই বিশ্বাসের মাধ্যমে সবার মধ্যে পরস্পরের প্রতি স¤প্রীতি ও মমত্ববোধ জেগে উঠবে। ফলে সমাজে শান্তি বিরাজ করবে।
২. ‘তুমি তাদের সকলের একমাত্র লক্ষ্য’ কে, কাদের একমাত্র লক্ষ্য?
উত্তর : ঈশ্বর হলেন সকলের একমাত্র লক্ষ্য। যেসব মানুষ বিভিন্ন কারণে সোজা-বাঁকা পথে নিজেদেরকে পরিচালিত করে তাদের লক্ষ্য হলো ঈশ্বর।
কারণ হলো :
১। সকল মানুষের রুচি ভিন্ন ও বৈচিত্র্যময়।
২। সকল মানুষ বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী।
৩। সকল মানুষ বিভিন্ন উৎস থেকে নিজেকে পরিচালিত করে।
৩. ধর্মীয় সাম্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা কী? এ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : ধর্মীয় সাম্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলো :
১) ধর্মীয় সাম্য সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা করে।
২) ধর্মীয় সাম্য বজায় রাখলে সমাজে স¤প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩) ধর্মীয় সাম্য বজায় রাখলে সমাজে শান্তি বজায় থাকে।
৪) মানুষে মানুষে মমত্ববোধ বৃদ্ধি পায়।
৫) সর্বজীবে ঈশ্বর বিরাজমান বিশ্বাসে পৃথিবী শান্তিময় হয়।
যোগ্যতাভিত্তিক
৪. আমরা সকল ধর্মের লোকদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করব তা পাঁচটি বাক্যে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমরা সকল ধর্মের লোকদের সাথে যেরূপ ব্যবহার করব তা পাঁচটি বাক্যে ব্যাখ্যা করা হলো
১. কখনও নিজের সাথে অন্য ধর্মের লোকদের কোনো পার্থক্য করব না।
২. সকল মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করব।
৩. সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করব।
৪. সকল ধর্মের মানুষকে আপন বলে ভাবব।
৫. আপদে-বিপদে, আনন্দ-উৎসবে সকলের সঙ্গে স¤প্রীতিপূর্ণ আচরণ করব।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।