পঞ্চম শ্রেণি | বাংলা | পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ ১-৩ | PDF: পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বিষয়টির ব্যকরণ অংশ হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ রচনা সমুহ নিয়ে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
অনুচ্ছেদ-০১
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন বাস করে। তাদের রয়েছে নিজস্ব জীবনযাপন পদ্ধতি, আনন্দ উৎসব। বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, হালুয়াঘাট ও আশপাশের এলাকায় গারো জাতিগোষ্ঠীর বাস। গারোরা নিজেদের ‘অচিকমান্দি’ বা পাহাড়ি মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। গারো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। অর্থাৎ মা পরিবারের প্রধান ও মেয়েরা সম্পদের উত্তরাধিকারী।
বাবা বিয়ের পর স্ত্রীর সাথে শ্বশুরালয়ে থাকেন এবং পরিবারের দেখাশোনা করেন। গারোরা ‘আবেং’ ভাষায় কথা বলে, যার কোনো লিখিত রূপ নেই। আরেকটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী হলো ত্রিপুরা। এরা বাংলা বছরের সমাপনী দুদিন এবং নববর্ষের প্রথম দিন ‘বৈসু’ উৎসব পালন করে। তখন গ্রামবাসী গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায়, কিশোরীরা কানে ফুল, গলায় টাকার ছড়া, পুঁতির মালা আর হাতে কুঁচিবালা ইত্যাদি পরে আনন্দ উৎসবে মাতে।
এই দিন ত্রিপুরা নারীরা ১০৮ প্রজাতির লতাপাতা ও ফলমূল সংগ্রহ করে বাড়িতে রান্না করে ও অতিথিদের আপ্যায়ন করে। বাংলাদেশের আরেকটি উল্লেখযোগ্য জাতিগোষ্ঠী হলো মণিপুরি। তাদের আদিবাস ভারতের আসাম ও মণিপুর রাজ্য। বর্তমানে তারা বাংলাদেশের সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় বাস করে। এরা মূলত কৃষিজীবী। অধিকাংশই সনাতন ধর্মের অনুসারী। মণিপুরি সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ।
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। গারোরা নিজেদের কী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে?
ক. পাহাড়ি মানুষ
খ. নদীর মানুষ
গ. মাটির মানুষ
ঘ. বন মানুষ
০২। ‘বৈসু’ উৎসব পালিত হয়
ক. বিয়ে উপলক্ষ্যে
খ. জন্মদিন উপলক্ষ্যে
গ. পূজা উপলক্ষ্যে
ঘ. নববর্ষ উপলক্ষ্যে
০৩। অনুচ্ছেদটি পড়ে আমরা জানতে পারব
ক. বাংলাদেশের মানুষের পেশা সম্বন্ধে
খ. বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পরিচয়
গ. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক. সৌন্দর্য সম্বন্ধে
ঘ. বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ সম্বন্ধে
আরো দেখুন
০৪। গারো নৃগোষ্ঠীর জীবনধারা দেখার জন্য তোমাকে কোথায় যেতে হবে?
ক. মৌলভীবাজার খ. হালুয়াঘাট গ. হবিগঞ্জ ঘ. চট্টগ্রাম
০৫। গারো, মণিপুরি ও ত্রিপুরারা তৈরি করেছে
ক. প্রাকৃতিক. বৈচিত্র্য খ. ধর্মীয় বৈষম্য গ. জাতিগত বৈচিত্র্য ঘ. জাতীয় সমস্যা
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ————- অর্থ
সনাতন————- চিরস্থায়ী
মাতৃতান্ত্রিক————- মা কর্তৃক. নিয়ন্ত্রিত
উত্তরাধিকারী ————- স্বজনের মৃত্যুর পর সম্পত্তির মালিক
শ্বশুরাল————- শ্বশুরবাড়ি
সমাপনী ————- শেষ
সমৃদ্ধ ————- উন্নত
(ক) বিলেত একটি ———— নগরী।
(খ) বড় আপা ———— থেকে আমাদের বাড়ি এলেন।
(গ) সভাপতি সাহেব ———— ভাষণ দিলেন।
(ঘ) ———— পরিবারে মায়েরাই প্রধান।
(ঙ) সালাম তার বাবার সম্পত্তির একমাত্র ————।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) ত্রিপুরারা কোন কোন দিন ‘বৈসু’ উৎসব পালন করে? উৎসবটি তারা যেভাবে পালন করে তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : ত্রিপুরারা বাংলা বছরের শেষ দুদিন এবং বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন ‘বৈসু’ উৎসব পালন করে। নিচে তিনটি বাক্যে তাদের উৎসব পালন সম্পর্কে লেখা হলো
(১) ‘বৈসু’ উৎসবের সময় গ্রামবাসী ত্রিপুরারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায়।
(২) কিশোরীরা কানে পরে ফুল, গলায় ঝোলায় টাকার ছড়া, পুঁতির মালা আর হাতে থাকে কুঁচিবালা।
(৩) এই দিন ত্রিপুরা নারীরা ১০৮ প্রজাতির লতাপাতা ও ফলমূল সংগ্রহ করে বাড়িতে রান্না করে ও অতিথিদের আপ্যায়ন করে।
(খ) মণিপুরিদের সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : মণিপুরিদের সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য নিচে উল্লেখ. করা হলো
(১) মণিপুরিদের আদি নিবাস ছিল ভারতের আসাম ও মণিপুর রাজ্যে।
(২) বাংলাদেশের সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় মণিপুরিরা বাস করে।
(৩) মণিপুরিদের মূল পেশা কৃষিকাজ।
(৪) মণিপুরিরা মূলত সনাতন ধর্মের অনুসারী।
(৫) মণিপুরিদের সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
(গ) ‘গারো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক’কথাটি চারটি বাক্যে বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : গারো সমাজে মায়েরাই পরিবারের প্রধানের ভ‚মিকা পালন করেনÑ কথাটির মাধ্যমে এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে। এ সমাজে পুরুষ তাঁর স্ত্রীর সাথে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। পুরুষরাই পরিবার দেখাশোনার কাজ করেন। মেয়েরা সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়।
(ঘ) গারোরা বাংলাদেশে কোন কোন স্থানে বসবাস করে? ‘আবেং’ সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখ।
উত্তর : গারোরা বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, হালুয়াঘাট ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বসবাস করে।
‘আবেং’ হচ্ছে গারোদের নিজস্ব ভাষা। এ ভাষার কোনো লিখিত রূপ নেই।
অনুচ্ছেদ-০২
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বিশাল এ পৃথিবীকে জানার জন্য আমাদের অনন্ত উৎকণ্ঠা। আর পৃথিবীকে জানার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায় হলো ঘরের কোণে বন্দি না থেকে দেশভ্রমণে বেরিয়ে পড়া। দেশভ্রমণের মাধ্যমেই আমাদের বই পড়ে অর্জিত জ্ঞান পূর্ণতা লাভ করে। এর ফলে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়ে, মন উদার হয়। জাফর শরাফীও বুঝেছিলেন দেশভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা।
পেশায় ছিলেন দর্জি, আর নেশা ছিল সাইকেল চালানো। দেশভ্রমণকে জীবনের লক্ষ্য করে সাইকেল নিয়েই বেরিয়ে পড়েন তিনি। সাইকেলে চড়েই ঘুরে এসেছেন বাংলাদেশের সব জেলা, ভারতের আজমীর শরিফ ইত্যাদি স্থান। ইচ্ছে আছে নেপাল, ইরানসহ আশপাশের আরও অনেক. দেশ ঘুরে দেখার। তাঁর আগ্রহ সাইকেলে চড়ে সৌদি আরবে হজ পালন করতে যাওয়া এবং সেখান থেকে পরে বিশ্বভ্রমণে বের হওয়া। তবে যেখানেই যান না কেন সঙ্গী হবে প্রিয় সাইকেলটি।
দৃঢ় মনোবলের এই মানুষটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও। ১৯৭১ সালে ৪ নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। দেশভ্রমণে অপরিসীম আনন্দ পেলেও কষ্টও কম করতে হয়নি তাঁকে। খেয়েছেন সস্তা হোটেলে। থেকেছেন রাস্তায়। আর সাইকেল চালানোর শারীরিক. পরিশ্রম তো আছেই। সব বাধা অতিক্রম করে তিনি ছুটে চলেছেন আপন লক্ষ্যে। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে যদি মৃত্যু হয়, সেজন্য প্রস্তুতি হিসেবে সাথে রেখেছেন কাফনের কাপড়।
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। জাফর শরাফীর পেশা কী ছিল?
ক. জুতা সেলাই খ. কাপড় সেলাই গ. সাইকেল চালানো ঘ. রিকশা চালানো
০২। জাতীয় জাদুঘর সম্পর্কে তুমি কীভাবে সবচেয়ে ভালো জানতে পারবে?
ক. বইয়ে পড়ে
খ. টিভিতে দেখে
গ. শিক্ষকের কাছে শুনে
ঘ. বইয়ে পড়ে ও সেখানে ঘুরতে গিয়ে
০৩। জাফর শরাফীর কর্মকান্ডের সাথে নিচের কোন কথাটি মিলে যায়?
ক. ছবির মতো দেশ
খ. শুধু দেখো আর খুশি হও মনে
গ. দেখব এবার জগৎটাকে
ঘ. বইয়ের পাতায় প্রদীপ জ্বলে
০৪। অনুচ্ছেদটিতে মূলত বলা হয়েছে জাফর শরাফীর
ক. দেশপ্রেমের কথা খ. জীবন সংগ্রামের কথা গ. দুঃসাহসী অভিযাত্রার কথা ঘ. শারীরিক. সামর্থ্যরে কথা
০৫। জাফর শরাফী নিজের সাথে কাফনের কাপড় রেখেছেন, কেননাÑ
ক. তাঁর বাঁচার আগ্রহ নেই
খ. তাঁর কোনো পিছুটান নেই
গ. তিনি মৃত ব্যক্তিদের সৎকার করেন
ঘ. তিনি একজন দর্জি
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ————- অর্থ
উদার ————- মহৎ।
পূর্ণতা————- সফলতা।
সস্তা————- কম দামি।
অনন্ত ————- যার অন্ত বা শেষ নেই।
উৎকণ্ঠা————- ব্যাকুলতা।
শ্রেষ্ঠ ————- সবচেয়ে ভালো।
(ক) আমরা ———— নিয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি।
(খ) জ্ঞান লাভের ———— মাধ্যম হলো বই।
(গ) আকাশকে দেখে মনে হয় এটি অসীম, ————।
(ঘ) রহমান সাহেব ———— মনের মানুষ।
(ঙ) বাজারে আজ টমেটো খুব ————।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) জাফর শরাফী সাইকেল নিয়ে কোথায় কোথায় গিয়েছেন? দেশভ্রমণের তিনটি উপকারিতার কথা লেখ।
উত্তর : জাফর শরাফী সাইকেল নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেছেন।
দেশভ্রমণের তিনটি উপকারিতার কথা নিচে উল্লেখ. করা হলো :
(১) দেশভ্রমণে গেলে পৃথিবীর নানা দেশের নানা বিস্ময়কর জিনিস সম্পর্কে জানা যায়।
(২) দেশভ্রমণের মাধ্যমে আমাদের বই পড়ে অর্জিত জ্ঞান পূর্ণতা পায়।
(৩) দেশভ্রমণের মাধ্যমে জীবন সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়ে, আমরা উদার হতে শিখি।
(খ) জাফর শরাফীকে দেশভ্রমণের জন্য কেমন কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : জাফর শরাফীকে দেশভ্রমণের জন্য অনেক. কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে। সব জায়গায় তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন সাইকেলে চড়ে, যা খুবই পরিশ্রমের কাজ। আর্থিক. সংগতির অভাবে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হয়েছে। খেতে হয়েছে সস্তা হোটেলে। তবুও দমে যাননি তিনি।
(গ) জাফর শরাফী কেন এত কষ্ট স্বীকার করেছেন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : জাফর শরাফীর জীবনের লক্ষ্য ছিল দেশভ্রমণ। সে লক্ষ্য পূরণে তিনি ছিলেন দৃঢ়সংকল্প। পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের জোরেই মানুষ তার স্বপ্নকে সত্য করতে পারে। জাফর শরাফীও এ সত্যটি বুঝতে পেরেছিলেন। এ কারণেই সব কষ্টকে হাসি মুখে মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি।
(ঘ) জাফর শরাফী সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : জাফর শরাফী সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য নিচে উল্লেখ. করা হলো
(১) জাফর শরাফী একজন দুঃসাহসী অভিযাত্রী।
(২) তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
(৩) তিনি দৃঢ় মনোবলের অধিকারী।
(৪) লক্ষ্য পূরণে তিনি কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন।
(৫) সাইকেল চালানো তাঁর নেশা।
অনুচ্ছেদ-০৩
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫, ৬ ও ৭নং ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
চড়–ইয়ের মতোই ছোট্ট একটি পাখি টুনটুনি। পালকের রং জলপাই সবুজ। মাথায় লাল আভা। লম্বা ঠোঁট কালচে খয়েরি। পায়ের রং হলুদাভ। চড়–ই ও টুনটুনি দুজনেই মানুষের কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশ সুন্দর রাখে। টুনটুনি পাখি ফুলে ফুলে ঘুরে মধু খেয়ে পরাগায়ণেও সাহায্য করে। ময়না পাখি দেখতে যেমন মিষ্টি তেমনি মিষ্টি তার গান।
অন্য পাখির ডাক, মানুষের কথা অবিকল নকল করতে পটু সে। মানুষ এজন্য তাকে শখ. করে পোষে। চড়–ইয়ের মতো চঞ্চল একটি পাখি বুলবুলি। এরা কলহপ্রিয়, কিছুটা দুর্বিনীত। মাথার ওপর থাকে রাজকীয় কালো ঝুঁটি। ঠোঁট ও পা কৃষ্ণবর্ণের। পোকামাকড় ও কীট-পতঙ্গ. খেয়ে পরিবেশ বাঁচায়।
পানির সঙ্গে যার সখ্য, সেই পাখির নাম পানকৌড়ি। কুচকুচে কালো এই পাখি ডুব দিয়ে তিন মিটার পর্যন্ত সাঁতরাতে পারে। এদের পায়ের পাতা হাঁসের মতো। এরা খুব পেটুক. স্বভাবের হয়ে থাকে। পাখিরা আমাদের অনেক. উপকার করে। তারা আমাদের প্রতিবেশীর মতো। আমাদের বন্ধুর মতো।
সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। চঞ্চলতার জন্য বুলবুলিকে কোন পাখির সাথে তুলনা করা যায়?
ক. টুনটুনির সাথে খ. কাকের সাথে গ. ময়নার সাথে ঘ. চড়–ইয়ের সাথে
০২। মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে কোন কোন পাখি?
ক. কোকিল ও ময়না খ. টুনটুনি ও চড়–ই গ. দোয়েল ও চড়–ই ঘ. বুলবুলি ও টুনটুনি
০৩। ময়না পাখির কোন গুণের কথা অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে?
ক. পরাগায়ণে সাহায্য করে
খ. পরিবেশ সুন্দর রাখে
গ. মানুষের কথা নকল করতে পারে
ঘ. সহজে পোষ মানে
০৪। অনুচ্ছেদটি পড়ে বলা যায়
ক. পাখি শিকার করা খারাপ কাজ নখ. পাখি পরিবেশের জন্য অপকারী
গ. পাখিদের রক্ষা করা উচিত ঘ. পাখিরা খুবই চঞ্চল
০৫। ‘কলহ’ শব্দের সমার্থক. শব্দ কোনটি?
ক. ঝগড়া খ. আরাম গ. আনন্দ ঘ. কোলাহল
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ ————- অর্থ
দুর্বিনীত————- বিনয়ী বা সংযত নয় যে।
পরাগায়ণ ————- গাছের বংশবিস্তার প্রক্রিয়া।
রাজকী————- অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ।
অবিকল————- সম্পূর্ণ একই রকম।
শখ ————- পছন্দ, আগ্রহ।
পটু ————- দক্ষ।
(ক) ডাকটিকিট জমানো আমার ————।
(খ) ———— অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছোট ফুপুর বিয়ে হলো।
(গ) বাবুর চেহারা ———— তার যমজ ভাইয়ের মতো।
(ঘ) সেলিনা গল্প করায় খুব ————।
(ঙ) ———— হলে মানুষ ভালোবাসে না।
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
(ক) বুলবুলি কেমন স্বভাবের পাখি? চড়–ই ও টুনটুনি পাখির মধ্যে দুটি মিল লেখ।
উত্তর : বুলবুলি খুব চঞ্চল স্বভাবের। এরা কলহপ্রিয় আর খানিকটা দুর্বিনীত।
চড়–ই ও টুনটুনি পাখির মধ্যে দুটি মিল হলো
(১) চড়–ই ও টুনটুনি দুটিই আকারে খুব ছোট।
(২) এরা দুজনেই মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে।
(খ) ময়না পাখি সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : নিচে ময়না পাখি সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখা হলো
(১) ময়না পাখি দেখতে খুব সুন্দর।
(২) এর গলা খুব মিষ্টি।
(৩) এরা অন্য পাখির ডাক, মানুষের কথা ইত্যাদি নকল করতে পারে।
(৪) অনেকে শখ. করে ময়নাকে পোষে।
(গ) ‘পাখিরা আমাদের বন্ধুর মতো’- কথাটি পাঁচটি বাক্য বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : পাখিকে আমাদের বন্ধু বলা হয়েছে কারণ
০১। পাখিরা আমাদের পরিবেশেরই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
০২। এরা প্রতিবেশীর মতোই আমাদের কাছাকাছি বাস করে।
০৩। পাখিরা নানাভাবে আমাদের উপকার করে।
০৪। এরা ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশ সুন্দর রাখে।
০৫। কোনো কোনো পাখি পরাগায়ণে সহায়তা করে।
(ঘ) পানকৌড়ি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর : পানকৌড়ি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য নিচে উল্লেখ. করা হলো
০১। পানকৌড়ির বসবাস জলপূর্ণ স্থানে।
০২। এদের দেহ কুচকুচে কালো।
০৩। এরা সাঁতারে খুব দক্ষ।
০৪। এদের পায়ের পাতাগুলো হাঁসের মতো।
০৫। পানকৌড়ি পেটুক. স্বভাবের পাখি।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।