পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৭ | বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর: পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়টির ৭ম অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু বর্ণনামূলক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
অধ্যায় ৭ মানবাধিকার কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ : তোমার বিদ্যালয়ে একটি অটিস্টিক শিশু রয়েছে। তাকেেনার জন্য উক্ত শিশুটির তিনটি বৈশিষ্ট্য লিখ। তার সাথে তুমি কীরূপ ব্যবহার করবে তার দুটি লিখ।
উত্তর : আমার বিদ্যালয়ের একটি অটিস্টিক শিশু রয়েছে। তার তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো :
১. অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাকে নাম ধরে ডাকলে সে সাড়া দেয় না।
২. তার কিছু দরকার হলে মুখে না বলে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়।
৩. অনেক সময় নিজের ভাষায় কথা না বলে অন্যের ভাষায় কথা বলে।
তার প্রতি আমার ব্যবহার হলো :
১. আমি তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করব।
২. তার কাজে বাধা দিয়ে বিরক্ত করব না।
প্রশ্ন-২ : মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পাঁচটি বাক্যে উল্লেখ কর।
উত্তর : মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য :
১. সকলের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা।
২. বাড়ির কাজে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা।
৩. নারী ও শিশু পাচার বন্ধ করা।
৪. নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করা।
৫. সামাজিক ও শারীরিকভাবে অসুবিধাগ্রস্ত ব্যক্তিদের সমান অধিকার দেওয়া।
প্রশ্ন-৩ : মানুষ হিসেবে আমাদের মৌলিক মানবাধিকারগুলো কী কী?
উত্তর : মানুষ হিসেবে আমাদের কতিপয় অধিকার নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন এবং সবার রয়েছে সমান মর্যাদা ও অধিকার।
২. প্রত্যেকের জীবনে স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা লাভের অধিকার আছে।
৩. কাউকে নির্যাতন ও অত্যাচার করা যাবে না।
৪. ব্যক্তি হিসেবে আইনেরোখে সবাই সমান।
৫. প্রত্যেকের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে।
প্রশ্ন-৪ : অটিজমের প্রতিকার সম্পর্কে তোমার অভিমত দাও।
উত্তর : অটিজমের প্রতিকার সম্পর্কে আমার অভিমত নিচে দেওয়া হলো :
১. অটিজম সমস্যার ধরনগুলো জেনে সঠিক শিক্ষা দিয়ে অটিস্টিক শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত করা।
২. তারা যাতে উত্তেজিত হয় এমন আচরণ না করা।
৩. অটিজম যেহেতু রোগ নয়, আচরণগত সমস্যা তাই আচরণ পরিবর্তনের কৌশল নেওয়া।
৪. তাদের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া, তাদের কষ্ট পাওয়া আচরণগুলো পরিহার করা।
৫. তাদের বিরক্ত না করা।
প্রশ্ন-৫ : সমাজে মানবাধিকার বিরোধী দুটি কাজের উল্লেখসহ এগুলো রক্ষায় তোমার ভূমিকা কী হবে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সমাজে মানবাধিকার বিরোধী দুটি কাজ হলো শিশু নির্যাতন, নারী ও শিশু পাচার। মানবাধিকার রক্ষায় আমার ভূমিকা হলো : মানবাধিকার রক্ষায় শিশু শ্রম বন্ধ করারেষ্টা করব। নারী-পুরুষের মজুরির বৈষম্য দূর করারেষ্টা করব। বাড়ির কাজে সহায়তাকারীদেরকে নির্যাতন বন্ধ করারেষ্টা করব।
নারী ও শিশু পাচারের মতো মানবাধিকার বিরোধী কাজ প্রতিরোধ করে তবে তাকে এ বিষয়ে সচেতন করব প্রয়োজন হলে মানবাধিকার বিরোধীদেরকে আইনের হাতে তুলে দিব। সরকার কর্তৃক এ লক্ষ্যে প্রণীত বিভিন্ন আইন মেনে।
প্রশ্ন-৬ : শিশুশ্রম কী? এর ফলে শিশুরা কী কী সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে?
উত্তর : অপ্রাপ্তবয়সে পড়াশোনা বাদ দিয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজে নিয়োজিত শিশুদের কাজকেই শিশুশ্রম বলা হয়ে থাকে। শিশুরা যে যে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় তা হলো :
১. শিশু শ্রমিকরা লেখাপড়ার সুযোগ পায় না।
২. অনেক ক্ষেত্রে সঠিক মজুরি পায় না।
৩. খাওয়া দাওয়া, থাকার জায়গা, সুচিকিৎসা, পোশাক থেকে বঞ্চিত হয়।
৪. শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়।
৫. শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ ঘটে না।
প্রশ্ন-৭ : পঞ্চম শ্রেণিতে তোমার একজন সহপাঠী রয়েছে। সহপাঠীর বাবা-মা হঠাৎ একদিন তার বিয়ে ঠিক করে। এক্ষেত্রে তোমার ৫টি করণীয় লেখ।
উত্তর : আমার পঞ্চম শ্রেণির সহপাঠীর বাবা হঠাৎ একদিন তার বিয়ে ঠিক করে ফেললে আমার করণীয় :
১. বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে শিক্ষককে জানাব।
২. শিক্ষকের সাথে গিয়ে তার বাবা-মাকে বোঝানোরেষ্টা করব।
৩. বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে ঐ সহপাঠীসহ শ্রেণির সবাইকে সচেতন করব।
৪. এ ধরনের বিয়ে যে অপরাধ তা বোঝানোরেষ্টা করব, প্রয়োজনে পুলিশকে খবর দিব।
৫. দারিদ্র্য বা অন্য কোনো কারণে এ বিয়ে সংঘটিত হলে, সেই বাধা সকলে মিলে দূর করারেষ্টা করব।
সাধারণ
প্রশ্ন-৮ : নারী ও শিশু পাচার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন কেন? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : আমাদের দেশ থেকে প্রায়ই নারী ও শিশুদের বিদেশে পাচার করা হয়। সেখানে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ ও অমানবিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এসব কাজ করতে যেয়ে অনেকে আহত হয়; এমনকি অনেকে মারা যায়। শিশু ও নারী পাচার মানবাধিকার বিরোধী কাজ। তাই নারী ও শিশু পাচার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
প্রশ্ন-৯ : মানবাধিকার কাকে বলে? মানবাধিকারেরারটি গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর : মানবাধিকার : মানুষের সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার বলে।
মানবাধিকারের গুরুত্ব : আমরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের নিকট থেকে মানবাধিকার পেয়ে থাকি। নিচে মানবাধিকারেরারটি গুরুত্ব উল্লেখ করা হলো :
১. মানবাধিকার মানুষের জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
২. মানবাধিকার লেখাপড়া শিখে যোগ্যতা ও মর্যাদার সাথে সমাজে বসবাসের সুযোগ করে দেয়।
৩. মানবাধিকার মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত হতে সাহায্য করে।
৪. মানবাধিকার মানুষে মানুষে স¤প্রীতি ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ
-
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ঘাসফুল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | ভাবুক ছেলেটি গল্প প্রশ্ন উত্তর | PDF
- ৫ম শ্রেণি | বাংলা | অবাক জলপান নাটকটির প্রশ্ন উত্তর | PDF
প্রশ্ন-১০ : মানবাধিকারকে সার্বজনীন বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : মানবাধিকার হচ্ছে সব মানুষের অধিকার। এ অধিকার কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, শ্রেণি বা দেশের অধিকার নয়। মানবাধিকার সব মানুষের অধিকার। তেমনি এ অধিকার সবার সমানভাবে প্রাপ্য। এ কারণে মানবাধিকারকে সার্বজনীন বলা হয়েছে।
প্রশ্ন-১১ : মানবাধিকার বিরোধী কয়েকটি কাজ উলেখ কর।
উত্তর : আমাদের সমাজে প্রায়ই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা শোনা যায়। নিচে মানবাধিকার বিরোধী কয়েকটি কাজ উলেখ করা হলো :
১. গ্রামের শিশুরা দারিদ্র্যের কারণে ক্ষেতে, ইটের ভাটায় কাজ করে।
২. শহরের শিশুরা বাসাবাড়িতে, দোকানে, কলকারখানায় কাজ করে।
৩. বাড়ির কাজে সহায়তাকারী ব্যক্তিরা অনেক সময় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়।
৪. আমাদের দেশ থেকে প্রায়ই নারী ও শিশুদের বিদেশে পাচার করা হয় এবং তাদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অমানবিক কাজ করানো হয়।
৫. আমাদের সমাজে শিক্ষা, খাদ্য, মজুরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য করা হয়।
প্রশ্ন-১২ : মানবাধিকার বাস্তবায়িত না হলে সমাজে কী অসুবিধা সৃষ্টি হবে?
উত্তর : মানবাধিকার বাস্তবায়িত না হলে সমাজে যেসব অসুবিধা দেখা দেয় সেগুলো নিচে দেয়া হলো :
১. মানবাধিকার বাস্তবায়িত না হলে মানুষ তার স্বাধীনতার অধিকার হারিয়ে পরাধীন হয়ে পড়বে।
২. সমাজে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
৩. সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে আইনের শাসন তিরোহিত হবে।
৪. বাকস্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তার পথ রহিত হবে।
৫. ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক সুযোগ লাভ থেকে মানুষ বঞ্চিত হবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।