পঞ্চম শ্রেণি | ইসলাম শিক্ষা | অধ্যায় ১ | বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়টির ১ম অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রথম অধ্যায় – আকাইদ-বিশ্বাস
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন- ১ \ আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে জানা ও ইমান আনার জন্য আমাদের কী কী জানা জরুরি?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে জানা ও ইমান আনার জন্য আমাদের যেসব বিষয় জানা জরুরি তা হলো ১. আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব, ২. আল্লাহ তায়ালার গুণাবলি, ৩. আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা অনুযায়ী জীবনযাপন করার সঠিক পথ, ৪. আল্লাহ তায়ালার পছন্দনীয় কাজ, যা আমরা করব ৫. আল্লাহ তায়ালার অপছন্দনীয় কাজ, যা থেকে আমরা দূরে থাকব; ৬. আল্লাহর ইচ্ছার বিরোধী পথে চলার পরিণাম, ৭. আল্লাহর আদেশ মেনে চলার পুরস্কার লাভের উদ্দেশ্যে কবর, কিয়ামত, হাশর, মিযান, জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে জানা।
প্রশ্ন- ২ \ মুমিন কাকে বলে? ইমানের ফল কী?
উত্তর : ইসলামি পরিভাষায় যে ব্যক্তি আল্লাহর একত্ব, তাঁর গুণাবলি, তাঁর বিধান এবং তাঁর পুরস্কার ও শাস্তি সম্পর্কে জানে এবং অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে তাকে বলা হয় মুমিন।
ইমানের ফল : ইমানের ফল হলো মানুষকে আল্লাহর অনুগত বান্দা হিসেবে গড়ে তোলা। একজন মানুষ যখন ইমান আনেন তখন তিনি মুমিন হিসেবে জীবনযাপন শুরু করেন। ইমানের দাবি অনুযায়ী মুমিন সবকিছুই করেন ইমানদারীর সাথে। একজন ইমানদার ব্যক্তিকে সবাই ভালোবাসে, সম্মান করে। তার ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।
প্রশ্ন- ৩ \ সারা বিশ্বের পালনকর্তা কে? তাঁর লালনপালনের একটি বর্ণনা দাও।
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল সৃষ্টিকে লালনপালন করেন। আমরা ভাত, মাছ, গোশত, নানারকম ফলমূল ও শাকসবজি খাই। আর পশুপাখি ও জীবজন্তু ঘাস, লতাপাতা, পোকামাকড় ইত্যদি খায়। আবার গাছপালা ও লতাপাতা মাটির নিচ থেকে তাদের শিকড় দিয়ে রস শুষে নেয়, পাতার সাহায্যে সূর্যের আলো থেকে খাদ্য প্রস্তুত করে। মানুষসহ পশুপাখি ও জীবজন্তু শ্বাস নেয় ও শ্বাস ফেলে।
শ্বাস ফেলার সময় শ্বাসের সাথে আমাদের দেহ হতে কার্বন ডাইঅক্সাইড নামক এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ বের হয়। গাছপালা ও লতাপাতা এ বিষাক্ত পদার্থ খাদ্য তৈরির উপাদান হিসেবে গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। আমরা শ্বাস নেওয়ার সময় সেই অক্সিজেন গ্রহণ করি।
নদনদী, খালবিল, এমনকি গভীর সাগরে যে অসংখ্য মাছ ও অন্য জলজ প্রাণী রয়েছে তাদের জন্যও তিনি পানির নিচে শেওলা ও অন্যান্য খাদ্য সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তারা তা খেয়ে বেঁচে থাকে। এভাবে মহান আল্লাহ তায়ালা সারাবিশ্বের সকল সৃষ্টিকে লালনপালন করেন।
প্রশ্ন- ৪ \ আল্লাহ তায়ালার ৫টি গুণের নাম বাংলা অর্থসহ আরবিতে লেখ।
উত্তর : আল্লাহ তায়ালার ৫টি গুণের নাম বাংলা অর্থসহ আরবিতে লেখা হলো :
আল্লাহু গাফুরুন ﺍﷲ ﻏﻔﻮﺮ আল্লাহ অতিক্ষমাশীল
আল্লাহু হালিমুন ﺍﷲ ﺤﻠﻴﻢ আল্লাহ অতিসহনশীল
আল্লাহু সামিউন ﺍﷲ ﺴﻤﻴﻊ আল্লাহ সর্বশ্রোতা
আল্লাহু বাসিরুন ﺍﷲ ﺑﺼﻴﺮ আল্লাহ সর্বদ্রষ্টা
আল্লাহু কাদিরুন ﺍﷲ ﻘﺪﻴﺮ আল্লাহ সর্বশক্তিমান
প্রশ্ন- ৫ \ আল্লাহ ক্ষমাশীল তা বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : মানুষ শয়তানের প্ররোচনায় অন্যায় করে ফেলে। পাপকর্ম করে বসে। তখন যদি সে অনুতপ্ত হয়, ভুল স্বীকার করে, পাপ কাজ থেকে ফিরে আসে, আল্লাহ তায়ালার কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চায় তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। কেননা আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, আল্লাহর অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”। আমাদের ভুল হলে সাথে সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।
প্রশ্ন- ৬ \ নবি-রাসুলগণের শিক্ষার মূল কথাগুলো কী কী?
উত্তর : নবি-রাসুলগণের শিক্ষার মূল কথাগুলো হলো :
১. তাওহিদ : আল্লাহ এক। তাঁর কোনো শরিক নেই।
২. রিসালাত : আল্লাহর বাণী মানুষের কাছে পৌঁছানো।
৩. দীন : আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষকে জানানো।
৪. আখলাক : চারিত্রিক গুণ ও ভালো ব্যবহারের নিয়ম-কানুন শিক্ষা দান।
৫. শরিয়ত : হালাল-হারাম ও জায়েজ-নাজায়েজের শিক্ষা প্রদান।
৬. আখিরাত : মৃত্যুর পরবর্তী জীবন সম্পর্কে জানানো।
প্রশ্ন- ৭ \ আখিরাত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কী কী?
উত্তর : আখিরাত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো :
১. কবর : কবর হলো আখিরাতের প্রথম ধাপ। কবরে দুজন ফেরেশতা আসেন এবং মৃত ব্যক্তিকে তিনটি প্রশ্ন করেন। পৃথিবীতে যারা পাপ কাজ থেকে বিরত রয়েছে, তারা কবরের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবে। তাদের জন্য কবর হবে আরাম ও শান্তিময় স্থান। আর যারা পাপী, তারা সঠিক উত্তর দিতে পারবে না। তাদের জন্য কবর হবে আজাবের স্থান।
২. কিয়ামত : আল্লাহ তায়ালা একদিন বিশ্বজগৎ এবং এর ভিতরের সবকিছু ধ্বংস করে দেবেন। এ দিনটির নাম হলো কিয়ামত।
৩. হাশর : বিশ্বজগৎ ধ্বংস হওয়ার অনেক বছর পর আল্লাহ তায়ালা সবাইকে পাপ-পুণ্যের বিচারের জন্য পুনরায় জীবিত করে তাঁর সামনে হাজির করবেন। একে বলা হয় হাশর।
৪. মিযান : হাশরের দিন আমাদের পাপ-পুণ্যের আমলনামা ওজন করা হবে। যার দ্বারা ওজন করা হবে তাকে বলে মিযান।
৫. জান্নাত ও জাহান্নাম : জান্নাত হলো চিরসুখের স্থান। পৃথিবীতে যারা ইমানদার ও ভালো ছিল, তারা চিরদিনের জন্য সেখানে বাস করবে। পক্ষান্তরে জাহান্নাম হলো চিরস্থায়ী কষ্টের স্থান। পৃথিবীতে যারা ইমান আনেনি ও ভালো কাজ করেনি, তারা সেখানে চিরদিন বাস করবে।
প্রশ্ন- ৮ \ একজন মুসলিমের চরিত্র কেমন হওয়া উচিত-এ সম্পর্কে ১০টি বাক্য লেখ।
উত্তর : একজন মুসলিমের চরিত্র কেমন হওয়া উচিত এ সম্পর্কে ১০টি বাক্য নিচে দেওয়া হলো :
১. একজন মুসলিমের চরিত্রে থাকবে আল্লাহ তায়ালার ভয়।
২. একজন মুসলিম হবে আমানতদার।
৩. মুসলিম মন্দ চিন্তা থেকে তার মনকে মুক্ত রাখবে।
৪. কানকে দূরে রাখবে অসৎ আলোচনা থেকে।
৫. কারো প্রতি কুদৃষ্টি দেওয়া থেকে চোখকে হিফাজত করবে।
৬. জিহŸাকে হেফাজত করবে মিথ্যা কথা বলা থেকে।
৭. সে হারাম জিনিস দিয়ে পেট ভরাবে না।
৮. কখনো অন্যায়ের পথেতার পা চালাবে না।
৯. মিথ্যার সামনে মাথা নত করবে না।
১০. তার চরিত্রে থাকবে সততা ও মহত্বের সমাবেশ।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন- ১ \ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাঁচটি উপায় লিখ।
উত্তর : আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ৫টি উপায় হলো :
১. গুনাহ করার পর অনুতপ্ত হওয়া।
২. ভুল স্বীকার করা।
৩. পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা।
৪. আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়া।
৫. আর যেন ভুল না হয় সেজন্য সাবধান থাকা।
প্রশ্ন- ২ \ সারাবিশ্বের পালনকর্তা কে? তাঁর লালনপালনের পদ্ধতি চারটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : সারাবিশ্বের পালনকর্তা একমাত্র আল্লাহ।
আল্লাহর লালনপালনের পদ্ধতি : আমাদের চারপাশে রয়েছে জীবজন্তু, পশুপাখি, গাছপালা আরও অনেক কিছু। আল্লাহ তায়ালা এগুলোকে খাদ্য, পানি ও আলো-বাতাস দিয়ে লালনপালন করেন। তাছাড়া তিনি তাঁর এক সৃষ্টির মাধ্যমে অপর সৃষ্টির লালনপালনের ব্যবস্থা করেন। যেমন : উদ্ভিদ বা গাছপালা মানুষের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করছে আবার মানুষ উদ্ভিদ বা গাছপালার জন্য কার্বন ডাইঅক্সাইড সরবরাহ করছে।
প্রশ্ন- ৩ \ একজন মুসলিমের চরিত্র কেমন হওয়া উচিত? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : একজন মুসলিমের চরিত্র ও আচার-ব্যবহার সুন্দর হবে। সে সর্বদা সত্য কথা বলবে ও কাউকে কষ্ট দেবে না। একজন মুসলিম একমাত্র আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করবে এবং মহানবি (স)- এর দেখানো পথে চলবে। বিপদে-আপদে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবে। হিংসা-বিদ্বেষ করবে না এবং ফিৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি করবে না।
প্রশ্ন- ৪ \ আমরা কোন কোন মন্দ আচরণ থেকে দূরে থাকব? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : আমরা যেসব মন্দ আচরণ থেকে দূরে থাকব সেগুলো হলো :
১. মা-বাবার কথা অমান্য করব না।
২. ইয়াতিম, মিসকিন, গরিব ও অসহায় লোকদের সাথে খারাপ আচরণ করব না।
৩. জীবজন্তুকে কষ্ট দেব না।
৪. মিথ্যা কথা বলব না।
৫. বড়কে সম্মান ও ছোটকে স্নেহ করা থেকে বিরত থাকব না।
প্রশ্ন- ৫ \ কীভাবে তুমি একজন ভালো মুসলিম হতে পার? বর্ণনা কর।
উত্তর : একজন ভালো মুসলিম হতে হলে আমাকে সবসময় আল্লাহকে ভয় করতে হবে। আমি যা কিছু করি (আলোতে-অন্ধকারে) সবকিছুই আল্লাহ তায়ালা দেখেন এই বিশ্বাস করতে হবে। আমাকে খেয়াল রাখতে হবে, পাপ-পুণ্য যাই করি না কেন আল্লাহর সামনে একদিন সবকিছুর হিসাব দিতে হবে। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো পালন করতে হবে। এভাবে আমি একজন ভালো মুসলিম হতে পারব।
প্রশ্ন- ৬ \ ‘আল্লাহ ক্ষমাশীল’ এ সম্পর্কে তুমি যা শিক্ষাগ্রহণ করেছ তা পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। মানুষ শয়তানের প্ররোচনায় অন্যায় করে। অন্যায় করে কেউ যদি অনুতপ্ত হয় এবং পাপ কাজ থেকে ফিরে এসে আল্লাহ তায়ালার কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাই, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। আমাদের ভুল হলে সাথে সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব। আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন।
প্রশ্ন- ৭ \ নবি-রাসুলগণ সম্পর্কে তোমরা যা জানলে তা পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : নবি-রাসুলগণ সম্পর্কে আমরা যা জানলাম :
১. যিনি আল্লাহর বাণী তাঁর বান্দাদের কাছে পৌঁছান এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তাদের সৎপথে পরিচালিত করেন, তাঁকে নবি বা রাসুল বলা হয়।
২. নবি-রাসুলের কাজ বা দায়িত্বকে রিসালাত বলে।
৩. নবি-রাসুলগণ আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ।
৪. হযরত জিবরাইল (আ) নবি-রাসুলগণের কাছে ওহি নিয়ে আসতেন।
৫. নবি-রাসুলগণের জীবনের লক্ষ্য ছিল মানুষের কল্যাণ সাধন করা।
প্রশ্ন- ৮ \ আল্লাহ তায়ালার গুণাবলি সম্পর্কে জানা থাকলে কী উপকার পাওয়া যায় সে সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লিখ।
উত্তর : আল্লাহর গুণাবলি সম্পর্কে জানা থাকলে আল্লাহর আদেশমতো চলা সহজ হয়। অন্যায় থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়। আল্লাহর গুণে নিজেকে গুণান্বিত করতে পারলে চরিত্র ভালো হয়। আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে জানা যায়। আল্লাহর গুণাবলি জানা থাকলে এবং তার ওপর পূর্ণ বিশ্বাস থাকলে কারও পক্ষে অন্যায় করা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন- ৯ \ জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে তুমি কী জান? দশটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : জান্নাত ও জাহান্নাম আখিরাতের জীবনের সর্বশেষ স্তর। জান্নাত হলো চিরস্থায়ী সুখের স্থান। জান্নাতে আছে উত্তম খাদ্য, পানীয় এবং সুন্দর বাগান ও ফলফলাদি। পৃথিবীতে যারা ছিল ইমানদার, যারা ছিল ভালো, তারা চিরদিনের জন্য সেখানে বাস করবে। জান্নাতে আছে আরামের সবরকমের ব্যবস্থা। অন্যদিকে জাহান্নাম হলো চিরস্থায়ী কষ্টের স্থান।
জাহান্নামে আছে ভীষণ ও ভয়ঙ্কর শাস্তি। আগুনে পোড়ানো, সাপের দংশন, আরো নানারকম শাস্তি রয়েছে জাহান্নামে। জাহান্নামে কেবল দুঃখ আর দুঃখ। পৃথিবীতে যারা ইমান আনেনি, ভালো কাজ করেনি, তারা সেখানে চিরদিন বাস করবে।
আরো পড়তে পারেনঃ
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ১ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ২ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৩ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৫ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
সাধারণ
প্রশ্ন- ১০ \ আখিরাতে বিশ্বাস মানুষের জীবনে কীরূপ প্রভাব বিস্তার করে?
উত্তর : আখিরাতে বিশ্বাস মানুষের জীবনে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে। যে ব্যক্তি আখিরাত বিশ্বাস করে না, তার পক্ষে ইসলামের পথে চলা অসম্ভব। তাছাড়া আখিরাতে বিশ্বাসের ফলে মানুষ গরিবদেরকে যাকাত দিতে আগ্রহী হয়, সবসময় সত্যকথা বলার চিন্তা জাগ্রত হয় ও মিথ্যা থেকে বিরত থাকার প্রতি ইচ্ছা জাগে।
এছাড়াও এর ফলে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস জাগ্রত হয়। আখিরাতে বিশ্বাস মানুষকে ইসলামের বিপরীত সকল কাজকর্ম থেকে বিরত রেখে সত্যিকারে একজন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।
প্রশ্ন- ১১ \ আখিরাত সংক্রান্ত কোন কোন বিষয়ের ওপর ইমান আনা জরুরি?
উত্তর : আখিরাত সংক্রান্ত যেসব বিষয়ের ওপর ইমান আনা জরুরি তা হলো : ১. কবরে সওয়াল-জওয়াব। ২. কবরে আরাম অথবা আজাব। ৩. কিয়ামত। ৪. হাশর এবং মিযান। ৫. জান্নাত এবং জাহান্নাম।
প্রশ্ন- ১২ \ কিয়ামতের পরিচয় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লিখ।
উত্তর : কিয়ামতের পরিচয় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য তুলে ধরা হলো :
১. কিয়ামত আরবি শব্দ।
২. কিয়ামত অর্থ মহাধ্বংস।
৩. মানুষের অবাধ্যতা যখন চরমে পৌঁছাবে, আল্লাহর নাম নেয়ার মতো একটা লোকও থাকবে না, সেদিন আল্লাহর এই বিশ্বজগৎ এবং এর সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়ার নামই কিয়ামত।
৪. কিয়ামতের দিন গ্রহ-উপগ্রহের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটবে।
৫. কিয়ামত সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বলেন, এমন একসময় আসবে যখন সূর্য শীতল হয়ে যাবে, চাঁদের আলো থাকবে না।
প্রশ্ন- ১৩ \ ইমান সম্পর্কে যা জান লিখ।
উত্তর : ইমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস স্থাপন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টিকর্তা তিনি এক ও অদ্বিতীয়। মানুষকে সত্যের পথে আনার জন্য তিনি যুগে যুগে নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। হযরত মুহাম্মদ (স) তাঁর প্রেরিত সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রাসুল। ইসলামের এ মৌলিক বিষয়গুলোতে বিশ্বাস স্থাপন করে তদনুযায়ী জীবন গড়ার নামই ইমান।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।