চতুর্থ শ্রেণীর হিন্দু ধর্ম | তৃতীয় অধ্যায় – প্রশ্ন ও উত্তর | PDF : চতুর্থ শ্রেণির হিন্দু ধর্ম বিষয়টির তৃতীয় অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
তৃতীয় অধ্যায় – মুনি-ঋষি ও ধর্মগ্রন্থ
অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব
লোভ-লালসা জয় করার উপায়
মুনি-ঋষি হওয়ার উপায়
ঋষিদের বিভিন্ন শ্রেণিবিভাগ.
নারী ঋষির পরিচয়
অধ্যায়ের মূলভাব জেনে নিই
প্রাচীনকালে অনেক. ধার্মিক. লোক. ছিলেন। তাঁদের অনেকে অরণ্যে বসে ঈশ্বরের তপস্যা করতেন। তপস্যার ফলে তাঁরা লোভ-লালসা জয় করতেন। তপস্যার মাধ্যমে তাঁরা ঈশ্বরকে উপলব্ধি করতেন। তাঁদের বলা হতো মুনি। আর এসব মুনির মধ্যে যারা তপস্যাবলে বেদমন্ত্র প্রকাশ করতে পারতেন, তাঁদের বলা হতো ঋষি। কয়েকজন বিখ্যাত মুনি-ঋষি হলেন- অত্রি, কশ্যপ, গৌতম, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, কণ্ব, মৈত্রেয়ী, গার্গী প্রভৃতি।
ঋষিদেরকে ব্রহ্মর্ষি, বেদর্ষি, মহর্ষি, পরমর্ষি, কান্ডর্ষি, শ্রæতর্ষি ও রাজর্ষি এ সাতটি শ্রেণিতে ভাগ. করা হয়েছে। মুনি-ঋষিরা সব সময় জগতের ও সকলের মঙ্গল কামনা করেন। ঋষি বিশ্বামিত্র ও বিদুষী গার্গীর জীবনী থেকে আমরা ত্যাগ. ও কষ্ট সহিষ্ণুতার শিক্ষা নিতে পারি। সেই সাথে আমরা এই নৈতিক. শিক্ষা পাই যে, বাহুবলের চেয়ে তপোবল বড়। অস্ত্র বলের চেয়ে জ্ঞানবল অনেক. বড়।
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১।মুনি-ঋষিরা অরণ্যে বসে ——— তপস্যা করতেন।
২।মুনিরা ধর্ম সম্পর্কে অনেক. ——— লাভ করেছিলেন।
৩।বেদের কবিতাগুলোকে বলা হয় ———।
৪।বিশ্বামিত্র ——— নামেও পরিচিত ছিলেন।
৫।আমরাও বিশ্বামিত্রের মতো মানুষের ——— করব।
৬।ব্রহ্মবিদ্যায় ——— গার্গী ছিলেন অগ্রগণ্য।
উত্তর : ১। ঈশ্বরের ২। জ্ঞান ৩। মন্ত্র ৪। কৌশিক. ৫। মঙ্গল ৬। বিদুষী
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১। বশিষ্ঠ ছিলেন একজন ২। বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠের কাছ থেকে নিতে চেয়েছিলেন ৩। যাজ্ঞবল্ক্যের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন ৪। মুনি-ঋষিরা ছিলেন ৫। মুনি-ঋষিদের কাছে |
আমরা শিখি কামধেনু। গার্গী। ত্যাগী। ব্রহ্মর্ষি। কষ্টসহিষ্ণুতা। মৈত্রেয়ী। |
উত্তর:
১।বশিষ্ট ছিলেন একজন ব্রহ্মর্ষি।
২।বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠের কাছ থেকে নিতে চেয়েছিলেন কামধেনু।
৩।যাজ্ঞবল্ক্যের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন গার্গী।
৪।মুনি-ঋষিরা ছিলেন ত্যাগী।
৫।মুনি-ঋষিদের কাছে আমরা শিখি কষ্টসহিষ্ণুতা।
গ. সঠিক. উত্তরটির পাশে টিক. () চিহ্ন দাও :
১। ঋষিদের কয়টি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে?
ক.চারটি
খ.পাঁচটি
গ.ছয়টি
ঘ.সাতটি
২। মুনি-ঋষিরা কেন তপস্যা করেছেন?
ক.ধনী হওয়ার জন্য
খ.রাজা হওয়ার জন্য
গ.মানুষের মঙ্গল করার জন্য
ঘ.নিজের আনন্দের জন্য
৩। বহুদক্ষিণ যজ্ঞে কী করা হতো?
ক. অনেক. দান করা হতো
খ.যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া হতো
গ.আর্তের সেবা করা হতো
ঘ.আত্মীয়দের খাওয়ানো হতো
৪। ব্রহ্মর্ষি বিশ্বামিত্র ও বিদুষী গার্গীর জীবন থেকে আমরা শিক্ষা পাই
ক.বাহুবল বড়
খ.জনবল বড়
গ.অস্ত্রবল বড়
ঘ. তপোবল বড়
৫। ব্রহ্মবাদিনী বলতে আমরা কাকে বুঝি?
ক.যিনি জ্ঞান চর্চা করেন
খ.যিনি ব্রহ্মচিন্তা করেন
গ.যিনি ব্রহ্মলোকে বাস করেন
ঘ. যিনি ব্রহ্ম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১.মহর্ষি বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : মহর্ষি বলতে বোঝানো হয়েছে যাঁরা ঋষিদের মধ্যে প্রধান ও মহান।
২. যেকোনো দুই শ্রেণির ঋষির বর্ণনা দাও।
উত্তর : ব্রহ্মর্ষি : ব্রহ্ম বা ঈশ্বর সম্পর্কে যাঁদের বিশেষ জ্ঞান আছে তাঁরা ব্রহ্মর্ষি। যেমন- বশিষ্ঠ।
রাজর্ষি : রাজা হয়েও যিনি ঋষি তিনি রাজর্ষি। তিনি ঋষির মতো জ্ঞানী। ঋষির মতো আচরণ করেন। যেমন- রাজা জনক।
৩. যাজ্ঞবল্ক্য সহস্র গাভী গ্রহণের দাবি করলেন কেন?
উত্তর : ‘বহুদক্ষিণ যজ্ঞ’-এ রাজা জনক. ঘোষণা করলেন, ‘এ যজ্ঞ সভায় যিনি শ্রেষ্ঠ ব্রহ্মজ্ঞানী, তাঁকে আমি এক. সহস্র গাভী দান করব।’ জনকের এই ঘোষণা শুনে মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য উঠে দাঁড়িয়ে নিজেকে শ্রেষ্ঠ ব্রহ্মজ্ঞানী দাবি করে সহস্র গাভী গ্রহণ করার দাবি করলেন।
৪. কী নিয়ে ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য ও বিদুষী গার্গীর মধ্যে বিতর্ক. হয়েছিল?
উত্তর : ব্রহ্মবিদ্যা নিয়ে ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য ও বিদুষী গার্গীর মধ্যে বিতর্ক. হয়েছিল।
৫.পাঁচজন মুনি-ঋষির নাম লেখ।
উত্তর : পাঁচজন মুনি-ঋষির নাম হলো- অত্রি, কশ্যপ, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র ও গার্গী।
৬. পাঁচজন নারী ঋষির নাম লেখ।
উত্তর : পাঁচজন নারী ঋষির নাম হলো- গার্গী, ঘোষা, বিশ্ববারা, অপালা ও লোপামুদ্রা।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১. কাদের মুনি-ঋষি বলা হতো?
উত্তর : প্রাচীনকালে অনেক. ধার্মিক. লোক. তপস্যার দ্বারা লোভ-লালসা জয় করে বিশেষ জ্ঞান লাভের মাধ্যমে ঈশ্বরকে উপলব্ধি করতেন। সেই সাথে তাঁরা ধর্ম সম্পর্কেও অনেক. জ্ঞান লাভ করেছিলেন, তাঁদের মুনি বলা হয়। আর ঋষি বলা হতো সেইসব মুনিদের যাঁরা তপস্যাবলে বেদমন্ত্র প্রকাশ করতে পারতেন। মুনি-ঋষিরা ছিলেন সেকালের শিক্ষক, জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা বিষয়ের উদ্ভাবক।
২. বিশ্বামিত্র রাজ্য ছেড়ে দিয়েছিলেন কেন?
উত্তর : বিশ্বামিত্রের ধারণা ছিল যে ক্ষত্রিয়রা সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। বশিষ্ঠের কামধেনুর ক্ষমতা দেখে অভিভ‚ত হয়ে বিশ্বামিত্র তা ছিনিয়ে নিতে বশিষ্ঠের সাথে তুমুল যুদ্ধে লিপ্ত হন। কিন্তু যুদ্ধে বিশ্বামিত্র পরাজিত হয়ে উপলব্ধি করলেন যে, ব্রাহ্মণের তপস্যাই শ্রেষ্ঠ শক্তি। তাই তিনি ব্রাহ্মণত্ব লাভের আশায় রাজ্য ছেড়ে তপস্যায় চলে গেলেন।
৩. বিশ্বামিত্র কোন ঋষির সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন? কেন?
উত্তর : বিশ্বামিত্রের ব্রহ্মর্ষি বশিষ্ঠের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন।
একবার রাজা বিশ্বামিত্র সৈন্য-সামন্তসহ শিকারে গিয়ে ঘুরতে ঘুরতে খুব পরিশ্রান্ত, ক্ষুধার্ত ও পিপার্সাত হয়ে পড়েন। তখন কাছেই থাকা ব্রহ্মর্ষি বশিষ্ঠের আশ্রমে রাজা বিশ্বামিত্র সৈন্যসহ আশ্রয় নিলেন। কামধেনুর সহায়তায় সবার ভালো খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হলো। বশিষ্ঠের এই কামধেনুর কাছে যা চাওয়া হতো তা-ই পাওয়া যেতো। তখন বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠের এ কামধেনুটি কামনা করলেন। বিনিময়ে তাঁকে এক. হাজার গাভী দিতে চাইলেন। কিন্তু বশিষ্ঠ এতে সম্মতি না দিলে বিশ্বামিত্র তা জোরপূর্বক. নিতে চাইলেন। তখন কামধেনুর ক্ষমতায় অনেক. সৈন্যের সৃষ্টি হলো এবং তারা বিশ্বামিত্রের সৈন্যের সাথে তুমুল যুদ্ধে লিপ্ত হলো।
৪. যাজ্ঞবল্ক্যকে অন্য ঋষিরা শ্রেষ্ঠ বলে মেনে নিয়েছিলেন কেন?
উত্তর : রাজা জনক. যখন ঘোষণা করলেন যে, যজ্ঞসভায় যিনি শ্রেষ্ঠ ব্রহ্মজ্ঞানী তাঁকে তিনি এক. হাজার গাভী দান করনে। তখন মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য উঠে দাঁড়িয়ে নিজেকে শ্রেষ্ঠ ব্রহ্মজ্ঞানী দাবি করলেন এবং এক. হাজার গাভী গ্রহণ করার কথা বলেন। কিন্তু সবাই তা বিনাবাক্যে মেনে নিলেন না। তখন সবাই যাজ্ঞবল্ককে ব্রহ্মবিদ্যা নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন। যাজ্ঞবল্ক্য সব প্রশ্নের ঠিকঠাক. উত্তর দিলেন। তখন অন্য ঋষিরা যাজ্ঞবল্ক্যকে শ্রেষ্ঠ বলে মেনে নিয়েছিলেন।
৫. ঋষি গার্গী কেন বিখ্যাত হয়েছিলেন?
উত্তর : একবার মিথিলার রাজা জনক. এক. বিরাট যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। সেই যজ্ঞে অনেক. জ্ঞানী-গুণী, মুনি-ঋষি ছিলেন। বিদুষী গার্গীও সেখানে গিয়েছিলেন। রাজা জনক. যখন ঘোষণা করলেন যে, তাঁর এই যজ্ঞ সভায় যিনি শ্রেষ্ঠ ব্রহ্মজ্ঞানী, তাঁকে তিনি এক. সহস্র গাভী দান করবেন। তখন মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য উঠে দাঁড়িয়ে নিজেকে শ্রেষ্ঠ ব্রহ্মজ্ঞানী দাবি করেন। কিন্তু অন্য মুনি-ঋষিদের সবাই তা বিনাবাক্যে মেনে নেননি। শুরু হয় বিতর্ক। একের পর এক. প্রশ্ন করে সঠিক. উত্তর পাওয়ায় গার্গী যাজ্ঞবল্ক্যকে প্রশ্ন করতে লাগলেন। এক. পর্যায়ে গার্গীর বিষয় ক্রমে কঠিন থেকে কঠিনতর হতে লাগল। গার্গী ব্রহ্মজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন করলেন। যদিও যাজ্ঞবল্ক্য গার্গীর সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছিলেন কিন্তু ব্রহ্মবিদ্যায় গার্গীর ছিল প্রচুর জ্ঞান। তাই সবাই তাঁকে ব্রহ্মবাদিনী বলে স্বীকার করে নিলেন। এ কারণে ঋষি গার্গী বিখ্যাত হয়েছিলেন।
৬. মুনি-ঋষির আদর্শ আমরা অনুসরণ করব কেন?
উত্তর : মুনি-ঋষিরা তপস্যার দ্বারা ঈশ্বরকে উপলব্ধি করেছিলেন। তাঁদের অনেক. গুণ ছিল। তাঁরা সব সময় জগতের ও সকলের মঙ্গল কামনা করতেন। জগতের মঙ্গলের জন্য তাঁরা নিজের জীবন দান করতেও সচেষ্ট ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে আমরা অনেক. জ্ঞানের কথা জানতে পাই। বিশ্বের সকলের মঙ্গলের কথা শুনতে পাই। এজন্য আমরা সকলের মঙ্গল করার জন্য মুনি-ঋষির আদর্শ অনুসরণ করব।
ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১) স্রষ্টা, সৃষ্টি, আত্মা, জন্ম-মৃত্যু সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ২) কামধেনু ছিল ৩) কান্যকুব্জের রাজা ৪) ব্রাহ্মণের কাজ ৫) গার্গী বশিষ্ঠের |
বিশ্বামিত্রের যাগ-যজ্ঞ করা ব্রহ্মবিদ্যা ব্রহ্মবাদিনী গাধি |
উত্তর :
১)স্রষ্টা, সৃষ্টি, আত্মা, জন্ম-মৃত্যু সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ব্রহ্মবিদ্যা।
২)কামধেনু ছিল বশিষ্ঠের।
৩)কান্যকুব্জের রাজা গাধি।
৪)ব্রাহ্মণের কাজ যাগ-যজ্ঞ করা।
৫)গার্গী ব্রহ্মবাদিনী।
শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্ণয় কর :
১)মুনি-ঋষিরা কেবল নিজেদের মঙ্গল কামনা করেন।
২)শ্রæতর্ষিরা অন্য ঋষির কাছ থেকে শুনে শুনে বেদমন্ত্র লাভ করেন।
৩)কামধেনুর হাম্বা হাম্বা ডাকে অনেক. হাতি সৃষ্টি হলো।
৪)জনক. কান্যকুব্জের রাজা ছিলেন।
৫)বেদের কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা করেছেন জৈমিনি।
উত্তর : ১. ‘অ’ ২. ‘শু’ ৩. ‘অ’ ৪. ‘অ’ ৫. ‘শু’
শূন্যস্থান পূরণ :
১. ——— দ্বারা মুনি-ঋষিরা লোভ-লালসা জয় করতেন।
২.ঋষিরা ——— প্রকাশ করতে পারতেন।
৩.পরম ব্রহ্মকে যিনি দর্শন করেছেন তিনি ———।
৪.বেদ ——— বাণী।
৫.ক্ষত্রিয়দের প্রধান কাজ হলো ——— রক্ষা করা।
উত্তর : ১. তপস্যার ২. বেদমন্ত্র ৩. পরমর্ষি ৪. ঈশ্বরের ৫. রাজ্য।
সাধারণ
১. বেদের কাণ্ড কয়টি?
ক. একটি
খ. দুইটি
গ. তিনটি
ঘ. চারটি
২. বেদ কার বাণী?
ক.মানুষের
খ.দেবতার
গ.দেবীর
ঘ.ঈশ্বরের
৩. রাজা হয়েও যিনি ঋষির মতো আচরণ করেন তিনি
ক. ব্রহ্মর্ষি
খ. দেবর্ষি
গ. কাণ্ডর্ষি
ঘ. রাজর্ষি
৪. কে রাজ্য ছেড়ে দিয়ে তপস্যায় চলে গেলেন?
ক.বিশ্বামিত্র
খ.গাধি
গ.কুশিক
ঘ.বশিষ্ঠ
৫. কে রাজা জনকের দরবারে শ্রেষ্ঠ ব্রহ্মবিদ হলেন?
ক.গার্গী
খ.যাজ্ঞবল্ক্য
গ.বিশ্বামিত্র
ঘ.নারদ
৬. কোন ঋষির ঈশ্বর সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান ছিল?
ক. বশিষ্ট
খ. নারদ
গ. পৈল
ঘ. সুশ্রত
৭. জৈমিনিকে কোন ঋষি বলা হয়?
ক. ব্রহ্মর্ষি
খ. কাণ্ডর্ষি
গ. রাজর্ষি
ঘ. মহর্ষি
৮. ঋষিদের মধ্যে যারা প্রধান তাঁরা হলেন-
ক. ব্রহ্মার্ষি
খ. দেবর্ষি
গ. মহর্ষি
ঘ. কান্ডর্ষি
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | পাঠান মুলুকে | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | কাজলা দিদি | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | পাখির জগৎ | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
শিখনফল : বিতর্কের সীমা সম্পর্কে জানতে পারব।
৯. তোমার বন্ধু জয়দেব ব্রহ্মবিদ্যা সম্পর্কে ভালোভাবে জানার জন্য শিক্ষককে একের পর এক. প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। শিক্ষক. তখন তাকে বললেন যে, আগে আমার ক্লাসটি মনোযোগ. দিয়ে শোন, তাহলে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে। কোথায় প্রশ্ন করার সীমা নির্দেশ করা আছে? জ
ক.গীতায়
খ.মহাভারতে
গ.বেদে
ঘ.ব্রহ্মবিদ্যায়
১০. বিশ্বামিত্রের ধারণা ছিল ক্ষত্রিয়রা সবচেয়ে শক্তিশালী। কিন্তু ব্রহ্মর্ষি বশিষ্ঠের কাছে পরাজিত হয়ে তিনি উপলব্ধি করলেন তপস্যাই শ্রেষ্ঠ শক্তি। তাহলে কোন বল সবচেয়ে বড়? জ
ক.বাহুবল
খ.অস্ত্র বল
গ.তপবল
ঘ.সৈন্যবল
শিখনফল: ঋষিদের শ্রেণিবিভাগ. সম্পর্কে জানতে পারব।
১১. লোকে বলে ‘ক’ নামক. ব্যক্তি অন্য ঋষির কাছ থেকে শুনে বেদমন্ত্র লাভ করেছেন। এ কারণে তিনি হলেন- ঝ
ক. ব্রহ্মর্ষি
খ. মহর্ষি
গ. পরমর্ষি
ঘ. শ্রতর্ষি
১২. পৈল ঋষির মতো হতে হলে তোমাকে কী করতে হবে?
ক. ঈশ্বর সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে হবে
খ. ঋষিদের সাথে ভালো সম্পর্ক. রাখতে হবে
গ. ঋষি হওয়ার পাশাপাশি পরম ব্রহ্মকে দর্শন করতে হবে
ঘ. ঋষি হওয়ার পাশাপাশি রাজা হতে হবে
প্রশ্ন ও উত্তরঃ
১. ক্ষত্রিয়দের প্রধান কাজ কী?
উত্তর : ক্ষত্রিয়দের প্রধান কাজ হলো যুদ্ধ করা ও রাজ্য রক্ষা করা।
২. ব্রাহ্মণের কাজ কী?
উত্তর : ব্রাহ্মণের কাজ হলো তপস্যা করা ও যাগযজ্ঞ করা।
৩. বিশ্বামিত্র কী প্রতিজ্ঞা করেছিলেন?
উত্তর : বিশ্বামিত্র ব্রাহ্মণত্ব লাভ করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।
৪. মিথিলার রাজা যে যজ্ঞে অনেক. দান-দক্ষিণা করেন তার নাম কী ছিল?
উত্তর : মিথিলার রাজা যে যজ্ঞে অনেক. দান-দক্ষিণা করেন তার নাম ছিল ‘বহুদক্ষিণ যজ্ঞ’।
সাধারণ
১। ঋষিদের প্রকারভেদ আলোচনা কর।
উত্তর: ঋষিদের সাতটি শ্রেণিতে ভাগ. করা হয়েছে। যথা- ব্রহ্মর্ষি, দেবর্ষি, মহর্ষি, পরমর্ষি, কাণ্ডর্ষি, শ্রæতর্ষি ও রাজর্ষি। নিম্নে ঋষিদের এসব প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো-
ব্রহ্মর্ষি- ব্রহ্ম বা ঈশ্বর সম্পর্কে যাদের বিশেষ জ্ঞান আছে তাঁরা ব্রহ্মর্ষি। যেমন- বশিষ্ঠ।
দেবর্ষি- যিনি দেবতা হয়েও ঋষি তিনি দেবর্ষি। যেমন- নারদ।
মহর্ষি- ঋষিদের মধ্যে যাঁরা প্রধান ও মহান তাঁরা মহর্ষি। যেমন- ব্যাসদেব।
পরমর্ষি- পরম ব্রহ্মকে যিনি দর্শন করেছেন তিনি পরমর্ষি। যেমন- পৈল।
কাণ্ডর্ষি- বেদের কোনো কাণ্ড সম্পর্কে জ্ঞানী ঋষিদের বলা হয় কাণ্ডর্ষি। যেমন- জৈমিনি বেদের কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা করেছেন।
শ্রতর্ষি- যাঁরা ঋষিদের কাছ থেকে শুনে শুনে বেদমন্ত্র লাভ করেছেন তাঁরাই শ্রæতর্ষি। যেমন- সুশ্রæত।
রাজর্ষি- রাজা হয়েও যিনি ঋষি তিনিই রাজর্ষি। যেমন- রাজা জনক।
যোগ্যতাভিত্তিক
১. মুনি-ঋষির পরিচয় সম্পর্কে যা জান, পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : নিচে পাঁচটি বাক্যে মুনি-ঋষির পরিচয় লেখা হলো :
১) মুনি-ঋষিদের অনেকেই অরণ্যে বসে ঈশ্বরের তপস্যা করতেন।
২) তাঁদের কোনো লোভ-লালসা ছিল না।
৩) তপস্যার মাধ্যমে তাঁরা বিশেষ জ্ঞান লাভ করেছিলেন।
৪) তাঁরা ঈশ্বরকে উপলব্ধি করেছিলেন।
৫) তাঁরা ছিলেন সেকালের শিক্ষক।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।