চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | মুক্তির ছড়া | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর: চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বিষয়টির মুক্তির ছড়া গল্পটির অনুশীলনী হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
মুক্তির ছড়া
সানাউল হক
কবি পরিচিতি
নাম : সানাউল হক।
জন্মতারিখ. : ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৩এ মে।
জন্মস্থান : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চাউড়া গ্রাম।
কর্মজীবন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। পরবর্তী সময়ে সরকারি
প্রশাসনে যোগ. দেন।
পুরস্কার : বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ইউনেস্কো পুরস্কার, একুশে পদক।
মৃত্যুতারিখ. : ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা মে।
কবিতাটি পড়ে জানতে পারব
দেশকে ভালোবাসার কথা
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক. সৌন্দর্যের কথা
স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান সম্পর্কে
স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ. মুজিবুর রহমানের অবদান সম্পর্কে
কবিতাটির মূলভাব জেনে নিই
বাংলাদেশ আমাদের অনেক. ভালোবাসার ও গর্বের দেশ। বিচিত্র রঙে-রূপে সাজানো এ দেশের প্রকৃতি। স্বাধীনতার আগে এ দেশের মানুষকে বারবার অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। মুক্তিপাগল বাঙালি নিজেদের জীবনের বিনিময়ে মাতৃভ‚মিকে স্বাধীন করেছে। আর সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ. মুজিবুর রহমান।
বানানগুলো লক্ষ করি
রুপালি, রূপ, ফিরোজা, নবীন, সবিশেষ, সহস্র, শহিদ, স্বাধীনতা, নিপীড়ন, নেতৃত্ব।
১. কথাগুলো জেনে নিই এবং শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করি।
সোনার বাংলাদেশ, সবুজ সোনালি ফিরোজা রুপালি, যতবার যায় মরা, নবীন যাত্রী, সবিশেষ মুজিবের, মুক্তিপাগল, সহস্র শহিদের।
উত্তর:
শব্দ অর্থ ———-বাক্য
সোনার বাংলাদেশ———-প্রিয় মাতৃভ‚মি। বাংলাদেশকে আমরা ভালোবাসি। এ দেশকে নিয়ে আমরা গৌরব করি। এ দেশ প্রচুর সম্পদে ভরা। তাই এই বাংলাকে বলে সোনার বাংলা।—–আমরা সোনার বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করব।
সবুজ সোনালি
ফিরোজা রুপালি———-বাংলার প্রকৃতি বিচিত্র ও সুন্দর। প্রকৃতির নানা রঙে যেন সাজানো এ দেশ। সবুজ শস্যে ভরা আমাদের এ মাঠ। পাটের সোনালি আঁশ আমাদের সম্পদ।—–কখনও আমাদের প্রকৃতি ধারণ করে ফিরোজা রঙের আভা। আমাদের নদীতে আছে রুপালি ইলিশ।
যতবার যায় মরা———-বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে এ দেশের মানুষকে মরণ-যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। বারবার সহ্য করতে হয়েছে দুঃখ, কষ্ট, অত্যাচার আর নিপীড়ন। তাই মৃত্যু যেন বারবার এসেছে।—–স্বাধীনতার জন্য বাংলার মানুষ যতবার যায় মরা ততবার মরতে পারে।
নবীন যাত্রী———-যারা নতুন যুগের শিশু।—–আমরা নবীন যাত্রী, আমাদের সামনে অনেক. স্বপ্ন।
সবিশেষ মুজিবের———-এ দেশ আমাদের সকলের। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ. মুজিবুর রহমান।—–এ দেশ সবিশেষ অর্থাৎ বিশেষভাবে বঙ্গবন্ধু মুজিবের।
মুক্তিপাগল———-এ দেশের মুক্তির জন্য যাঁরা সংগ্রাম করেছেন।—–স্বাধীনতার জন্য তাঁরা অধীর ছিলেন, তাই তাঁরা ছিলেন মুক্তিপাগল।
সহস্র শহিদের———-মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, সেইসব হাজার শহিদ।—–শত-সহস্র শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
২. প্রশ্নগুলোর উত্তর মুখে বলি ও লিখি।
ক) আমাদের দেশকে সোনার বাংলাদেশ বলি কেন?
উত্তর : বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। এদেশে জন্ম নিয়ে আমরা গর্বিত। একসময় এই দেশটি শস্যভরা মাঠ, মাছভরা নদী ইত্যাদি সম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। তাই এই দেশকে সোনার বাংলাদেশ বলা হয়।
খ) এ দেশের নানা রূপ কীভাবে দেখতে পাই?
উত্তর : এই দেশের প্রকৃতির মধ্য দিয়ে আমরা এর নানা রূপ দেখতে পাই। প্রকৃতির নানা রঙে সাজানো বাংলাদেশ। সবুজ শস্যে আর গাছ-গাছালিতে এই দেশের মাঠ-প্রান্তর ভরা। পাটের সোনালি আঁশ আমাদের মূল্যবান সম্পদ।
প্রকৃতিতে কখনো দেখা যায় ফিরোজা রঙের আভা। নদীতে আছে রুপালি বর্ণের ইলিশ। বছরের নানা ঋতুতে বাংলাদেশ পরে বিচিত্র রঙের সাজপোশাক। এভাবেই এই দেশকে আমরা নানা রঙে-রূপে সেজে উঠতে দেখি।
গ) ‘আমি তো মরেছি যতবার যায় মরা।’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এই দেশের মানুষ মরণ-যন্ত্রণা সহ্য করেছে। বারবার তারা শোষণ, অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। স্বাধীনতা লাভের আগে এই দেশের মানুষকে যে পরিমাণ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে তা দেখেই কবির মনে হয়েছে যে এই দেশের মানুষ বারবার মৃত্যুকে বরণ করেছে।
ঘ) নবীন যাত্রী কারা?
উত্তর : যারা এই নতুন যুগে জন্মগ্রহণ করেছে তাদের, অর্থাৎ নতুন দিনের শিশুদের কবি নবীন যাত্রী বলেছেন।
ঙ) এ দেশ মুক্তিপাগলদের- সেই মুক্তিপাগল কারা?
উত্তর : এ দেশের সাহসী সন্তানেরা দেশের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীনতার জন্য তাঁরা অধীর ছিলেন। কবি তাঁদেরকেই মুক্তিপাগল বলেছেন।
৩. বিপরীত শব্দগুলো জেনে নিই ও লিখি।
শেষ—–শুরু
মরা—–বাঁচা
নবীন—–প্রবীণ
মুক্তি—–বন্দি
৪. শূন্যস্থানে সঠিক. শব্দটি লিখি।
ক) ———- ———- ফিরোজা রুপালি
রূপের নেই তো ———-।
খ) —– —– তোমাকে শোনাই ছড়া।
গ) এ দেশ ———- এ দেশ ———-
সবিশেষ —————।
উত্তর : ক) সবুজ, সোনালি, শেষ; খ) নবীন, যাত্রী; গ) আমার, তোমার, মুজিবের।
৫. কবিতাটি মুখস্থ বলি ও লিখি।
উত্তর : কবির নামসহ কবিতাটি মুখস্থ করে বল ও লেখ।
৬. আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লিখি।
উত্তর : আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখা হলো –
ক. বাংলাদেশ আমার প্রিয় মাতৃভ‚মি।
খ. বাংলাদেশের প্রকৃতি খুব সুন্দর।
গ. বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে।
ঘ. বাংলাদেশ সম্পদে ভরপুর।
ঙ. বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে আমরা গর্বিত।
৭. মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমার এলাকায় যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁদের নাম সংগ্রহ করে একটি তালিকা তৈরি করি।
উত্তর : প্রথমে তোমার এলাকার কয়েকজন বয়স্ক. ব্যক্তির সাথে কথা বল এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম ও ঠিকানা জান। এরপর তাঁদের সাথে দেখা করে এলাকার অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় জেনে নাও। এবার কাগজে তাঁদের নাম, ঠিকানা, যুদ্ধের স্থান ইত্যাদি লিখে একটি তালিকা তৈরি কর। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে শিক্ষক. বা বড়দের সহায়তা নাও।
সঠিক. উত্তরটি লেখ।
১। বাংলাদেশকে সোনার বাংলা বলা হয় ছ
ক. এই দেশে স্বর্ণের খনি আছে বলে
খ. এই দেশে অনেক. সম্পদ ছিল বলে
গ. এই দেশের প্রকৃতিতে নানা রং দেখা যায় বলে
ঘ. এই দেশ স্বাধীন দেশ বলে
২। সোনালি রঙের আঁশ কী থেকে পাওয়া যায়? চ
ক. পাট
খ. ধান
গ. গম
ঘ. আখ
৩। এই দেশের মানুষ স্বাধীনতার আগে জ
ক. আনন্দে দিন কাটাত
খ. সুখে ছিল
গ. অনেক. দুঃখ, কষ্ট সহ্য করেছে
ঘ. অত্যাচারিত ও নিপীড়িত হয়নি
৪। নবীন যাত্রী কারা? চ
ক. নতুন যুগের শিশু
খ. নতুন যুগের মানুষ
গ. নতুন ভাবনার মানুষ
ঘ. সাহসী যাত্রী যারা
নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
সবিশেষ, নবীন, সহস্র, মাতৃভ‚মি।
উত্তর :
শব্দ ———-বাক্য
সবিশেষ———-সবাই প্রধান শিক্ষককে সবিশেষ ধন্যবাদ জানাল।
নবীন———-আমরা চতুর্থ শ্রেণির নবীন ছাত্র।
সহস্র———-বাবা পাঁচ সহস্র টাকা পকেটে রাখলেন।
মাতৃভ‚মি———-বাংলাদেশ আমার প্রিয় মাতৃভ‚মি।
ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর।
নবীন যাত্রী ———-ফিরোজা রুপালি
রূপের নেই তো ———-এদেশ তোমার
এদেশ আমার ———-তোমাকে শোনাই ছড়া
সবুজ সোনালি ———-শেষ
উত্তর : নবীন যাত্রী তোমাকে শোনাই ছড়া
রূপের নেই তো শেষ
এদেশ আমার এদেশ তোমার
সবুজ সোনালি ফিরোজা রুপালি
নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লেখ।
রূপ, ফিরোজা, শোনাই, তোমার, ছড়া, সোনালি।
উত্তর :
মূল শব্দ ———-পদ———- মূল শব্দ পদ
রূপ—–বিশেষ্য তোমার—–সর্বনাম
ফিরোজা—–বিশেষণ ছড়া—–বিশেষ্য
শোনাই—–ক্রিয়া সোনালি—–বিশেষণ
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) আমাদের নদীতে কী আছে?
উত্তর : আমাদের নদীতে রুপালি রঙের ইলিশ মাছ আছে।
খ) বঙ্গবন্ধুর পুরো নাম লেখ।
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর পুরো নাম হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ. মুজিবুর রহমান।
নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ।
রূপালি, ফিরোযা, নবিন, মুক্তী, শবিশেষ।
উত্তর : ভুল বানান———- শুদ্ধ বানান
রূপালি ———- রুপালি
ফিরোযা ———- ফিরোজা
নবিন ———- নবীন
মুক্তী ———- মুক্তি
শবিশেষ ———- সবিশেষ
বুঝিয়ে লেখ
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।