SSC | বাংলা ২য় গুরুত্বপূর্ণ ৫টি প্রতিবেদন | (PDF Download): নবম ও দশম শ্রেণীয় বাংলা দ্বিতীয় পত্র থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি কিছু প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আমাদের এখানে। আপনারা যদি চান এখান থেকে PDF ফাইলে আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন ।
১.তোমার বিদ্যালয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
২৪ এপ্রিল, ২০১৩
প্রধান শিক্ষক,
নড়িয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
নড়িয়া, শরীয়তপুর।
বিষয় : অত্র বিদ্যালয়ে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালা প্রসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন।
জনাব,
আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্যাপন অনুষ্ঠান সম্পর্কে যে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে (আদেশ নং ন. স. ক ই/২৯(৪) ২০১৩) তার প্রেক্ষিতে নিম্নরূপ বক্তব্য পেশ করা হলো
২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনের এক উল্লেখযোগ্য দিন। কারণ এদিনে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দানের জন্য আমাদের ভাইয়েরা বুকের তাজা রক্ত রাজপথে ঢেলে দিয়েছেন। সেদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর এ বিদ্যালয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয় এ বছরও তাই হয়েছে।
এ উপলক্ষে কবিতা রচনা ও পাঠ, প্রবন্ধ লিখন, কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, উপস্থিত বক্তৃতা, নির্ধারিত বক্তৃতা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। একটি বিষয়ের ওপর প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান প্রাপ্তদের জন্য সম্মানজনক পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়।
এছাড়া ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলার স্মরণে যে আলোচনা অনুষ্ঠান হয় তাতে তাঁর পুত্র বিশিষ্ট চিকিৎসাবিদ ডা. গোলাম ফারুক অংশ নেন। উল্লেখ্য আবৃত্তি অনুষ্ঠানে ডা. গোলাম মাওলার নাতনী তিশা প্রথম স্থান অধিকার করেন। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের বই দিয়ে পুরষ্কৃত করা হয়। পুরস্কারের মোট মূল্য ২০,০০০/= (বিশ হাজার) টাকা।
এছাড়া অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধনে ১০,৭৭৫/= (দশ হাজার সাতশত পঁচাত্তর) টাকা, আপ্যায়ন ৩,২২৫/= (তিন হাজার দু শত পঁচিশ) টাকা ব্যয় হয়। সর্বমোট ৪৪,০০০/= (চুয়াল্লিশ হাজার) টাকার ব্যয় হয়। এর মধ্যে ভাষাসৈনিক ডা. গোলাম মাওলার পুত্র ডা. গোলাম ফারুক অনুষ্ঠানের পুরস্কার বই এর মূল্য বাবদ ২০,০০০/= (বিশ হাজার) টাকা দান করেন এবং বাকি ২৪,০০০/= (চব্বিশ হাজার) টাকা বিদ্যালয় কোষাগার থেকে প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটি তাদের ০৮/০৪/২০১১ তারিখে অনুষ্ঠিত মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেন পুরস্কারের সকল গ্রন্থ হতে হবে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি এবং জাতীয় চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক। সে লক্ষ্যে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি এবং জাতীয় চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই দিয়ে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন ডা. গোলাম ফারুক, বিশেষ অথিতির আসন অলঙ্কৃত করেন স্থানীয় থানা প্রশাসক এভং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞ অধ্যক্ষ সাহেব। আমাদের জাতীয় চেতনা এবং নবজাগরণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বক্তারা বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ করে ডা. গোলাম ফারুক তাঁর পিতা ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলার জবানিতে ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে যে বস্তুনিষ্ঠ বক্তব্য প্রদান করেন তা বিদ্যালয়ের ছঅত্রছাত্রীদের নব প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সবশেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়।
আপনার বিশ্বস্ত-
মোশাররফ হোসেন ঢালী
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক
একুশ উদ্যাপন কমিটি
নড়িয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
নড়িয়া, শরীয়তপুর।
২.সড়ক দুর্ঘটনার ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
২৪ এপ্রিল, ২০১৩
সড়ক দুর্ঘটনার উপর প্রতিবেদন
গত ২৬ মার্চ সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যায়, ঢাকা থেকে বগুড়াগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের (নং-ঢাকা-ব-২৩২৫৬) সাথে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী মাল বোঝাই একটি ট্রাকের (নং-রাজশাহী-হ-২৫৬৩২) মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চালকসহ ৪ জন নিহত হয়। এছাড়া হাসপাতালে নেয়ার পথে ২ জন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর আরো ৩ জনের মৃত্যু ঘটে।
নিহতদের ৩ জনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হলো বগুড়া সদর উপজেলার ধুনট গ্রামের রোস্তম আলীর পুত্র হাতেম আলী (৩২), একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র সিরাজুল ইসলাম (২৭) এবং গাড়ির চালক গাজীপুর সদর উপজেলার পাইনশাইল গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার পুত্র মো. আ. জব্বার (৩২)।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্যান্য নিহতদের কোনো পরিচয় পাওয়া যায় নি। মারাত্মকভাবে আহত ৩ জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতল থেকে ঢাকা পুঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহত অন্যান্য যাত্রীরা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতল ও ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে। অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা চালায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে।
অরুন লাল
৩. দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
২৪ এপ্রিল, ২০১৩
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন
দফায় দফায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নিন্ম আয়ের মানুষসহ সাধারণ ক্রেতাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকার বার বার আশার বাণী শোনালেও বাজারে এখনো তার কোনো প্রভাব পড়ে নি।
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাউলের মূল্য কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ৬ থেকে ৮ টাকা। আলুর দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা। চিনি ও ছোলার দাম কমলেও মাছ, মাংস ও সব্জির দাম আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত তালিকা কেউ মানছে না।
একজন বিক্রেতার কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তিনি অতিরিক্ত পরিবহণ খরচের কথা উল্লেখ করে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের তালিকা অনুসরণ করলে লাভের পরিবর্তে তাদের লোকসান দিতে হবে। এসময় গুঁড়ো দুধ ও মসুরির ডালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক হারে। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচা মরিচের দাম। ৩ দিনের ব্যবধানে ২০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে এখন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বার্ড ফ্লুর কারণে মুরগির ডিম ও মাংসের চাহিদা হ্রাস পেলেও দাম খুব একটা কমেনি।
আদা ও রসুনের দাম কিছুটা স্বিথতিশীল থাকলেও বৃদ্ধি পেয়েছে পিয়াজের দাম। কিছু কিছু পণ্যের মূল্য অপরিবর্তিত থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের মূল্যই দিন দিন বেড়ে চলছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ও দেশীয় উৎপাদন হ্রাসের পাশাপাশি এক ধরনের নীরব মজুদদারীর কারণেই দফায় দফায় এসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে সরকার যেসব পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, তার ফলাফল দেখে সাধারণ মানুষ একণ খুবই হতাশ। তাই অনেকেই মনে করেন, এ ব্যাপারে সরকারের উচিত চলমান কৌশল পরিবর্তন করে নতুন কোনো কৌশল গ্রহণ করা।
মনসুর আলী
৪. তোমার এলাকার অগ্নিকান্ডের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
২৪ এপ্রিল, ২০১৩
অগ্নিকান্ডের উপর একটি প্রতিবেদন
অগ্নিকান্ডে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ভস্মীভূত হয়েছে। এছাড়া বলিপাড়া গ্রামে ৩টি বসতঘর পুড়ে গেছে। অপরদিকে বুড়িচংয়ের এক বাজারে অগ্নিকান্ডে ১৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকান ঘর এবং নগদ টাকা পুড়ে গেছে। যুগান্তর প্রতিনিধিরা জানান-
কলাপাড়া : কলাপাড়ার নবগঠিত বালিয়াতলী ইউনিয়নের বলিপাড়া গ্রামে এক অগ্নিকান্ডের তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার দুপুরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। চুলার ছাই থেকে আগুনের শিখা বাতাসে উড়ে প্রতিবন্ধী
শ্রমিক আজাহার হাওলাদারের ঘরে লেগে মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে মকবুল হাওলাদার ও লিটন হাওলাদারে ঘরে। লিটন হাওলাদারের ঘরে থাকা ৫০ হাজার টাকা, মকবুল হাওলাদারের ২৬ হাজার টাকাসহ প্রায় তিন লাখ টাকা পুড়ে যায়। একই দিন দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স আগুনে পুড়ে গেছে।
উপজেলা মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আবদুল মতিন জানান, সকালে অ্যাম্বুলেন্স পরিষ্কার করে গ্যারেজে রেখে ড্রাইভার বাইরে গেলে হঠাৎ করে অ্যাম্বুলেন্স আগুন লেগে মূহূর্তের মধ্যেই তা পুড়ে যায়। তবে কিভাবে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগেছে তিনি তা জানাতে পারেননি।
বুড়িচং (কুমিল্লা) : মঙ্গলবার উপজেলার কংশনগর বাজারে রাত ১২টার দিকে এক অগ্নিকাÐে বাজারের ১৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকনঘর, নগদ টাকাসহ প্রায় ৩ কোটি টাকার মালামাল সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। ভারেলা ইউনিয়নের কংশনগর বাজারে রড়-সিমেন্টের দোকানে বিদ্যুতের শর্টসার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকান্ডেরসূত্রপাত ঘটে।
মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেনিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দমকল বাহিনী, পুলিশ ও এলাকাবাসী এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকাÐে বাজারের ধান, চাল, রড-সিমেন্টের দোকান, ওষুধের দোকান ও পাটের গুদামসহ ১৬টি দোকানপাট এবং নগদ ৫০ লাখ টাকা পড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যায়।
লিয়াকত হোসেন
৫। ‘যানজট একটি ভয়াবহ সমস্যা’ এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
অথবা, তোমার শহরের যানজট সমস্যার ওপরে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
প্রতিবেদনের শিরোনাম : ঢাকা শহরে যানজট : কারণ ও সমাধান
প্রতিবেদকের নাম : মোঃ আব্দুল রহমান রতন
ঠিকানা : ৫১/১ উত্তর যাত্রাবাড়ি, ঢাকা
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : রাত ৯টা ১৮ জুলাই, ২০১৩ইং
ঢাকা শহরের যানজট : কারণ ও সমাধান
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী এবং বর্তমানে এটি বিশ্ব পরিচিত একটি শহর। কিন্তু তা সত্তে¡ও ঢাকা শহরে সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে ‘যানজট’ সমস্যা। যানজট সমস্যা বর্তমানে এতই প্রকট যে, তাতে ঢাকা শহরে স্বাভাবিক জীবন যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ভয়াবহ যানজটের কারণে অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, হকার, মজুদ, দোকানদার কারো পক্ষেই সময়মতো নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে এ অস্বাভাবিক যানজটের কারণসমূহ নি¤œরূপ-
১. অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট।
২. বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক রাস্তা গর্ত করা।
৩. ট্রাক ও অন্যান্য ভারী যানবাহন ছোট রাস্তার ভিতরে প্রবেশ।
৪. হকারসহ অন্যান্য দোকানদারদের ফুটপাত দখল।
৫. রাস্তার পাশে যেখানে সেখানে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা।
৬. ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার শৈথিল্য।
৭. চালকদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা।
৮. রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি।
৯. লাইসেন্সবিহীন রিকশার বেপরোয়া চলাচল।
১০. সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব।
১১. রাস্তা পারাপারে জনগণের ভীড় বেশি থাকা।
১২. পর্যাপ্ত পরিমাণে ওভার ব্রীজের অভাব থাকা ইত্যাদি।
উল্লেখিত কারণসমূহ দূরীকরণের উপায়সমূহ
১. রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
২. ট্রাফিক আইন পুরোপুরি প্রয়োগ করা।
৩. লাইসেন্সবিহীন রিকশা চালাতে না দেওয়া।ম্যাক্সি জাতীয় গাড়ি সকল রোডে চালু করা।
৪. ট্রাক চলাচলের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া।অবৈধ দখল থেকে ফুটপাত মুক্ত করা।
৫. রিকশার মতো যানবাহন তুলে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৬. বড় বড় মোড়গুলাতে ওভার ব্রীজ তৈরি করা।
৭. যানজট দূরীকরণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা।
৮. মিউনিসিপ্যাল, কর্পোরেশন, ওয়াসা, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, ডি.আই.টি. ট্রাফিক অধিদপ্তর সকলের কর্মকান্ডের সমন্বয় সাধন করা ইত্যাদি। সরকার যত তাড়াতাড়ি ঢাকা শহরের যানজনট দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, ততই জনগণের মঙ্গল হবে।অন্যথায় রাজধানীর জনজীবন সার্বিকভাবে স্থবির হয়ে আসবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।