গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে।
আমাদের দেশের জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের সংখ্যা ও দূষণের সংখ্যা বাড়লেও আমাদের চাকরির পদের সংখ্যা কিন্তু বাড়েনি। তাই অনেক মানুষ এখন উচ্চশিক্ষা অর্জন করেও চাকুরীহীনতায় ভুগছে।
কিন্তু অনেকেই এর মাধ্যেই চাকরি করছে গুগল এর মতো বিশাল টেক জায়েন্ট কোম্পানিতে কাজ করছে।
কিভাবে তারা কাজ করছে? কিভাবে গুগল চাকরি পাওয়া যায়? গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায়? গুগলে চাকরি পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন? ইত্যাদি সকল বিষয় জানতে পারবেন এই লেখাটিতে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি মন দিয়ে পড়ুন।
গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় বা নিঞ্জা টেকনিক –
গুগল! নামটা শুনলেই একটা অন্যরকম অনুভূতি হয়। অনেকের ড্রিম কোম্পানি হচ্ছে গুগল।
অনেকেই স্বপ্ন দেখে গুগলে চাকরী করার কিংবা গুগলে সামান্য ইন্টার্নের সুযোগ পাওয়ার।
তবে গুগলের এই জার্নি একেবারেই সহজ নয়। আপনাকে লাখো মানুষের সাথে কম্পিটিশন করতে হবে না, তবে নিজের সাথে নিজের কম্পিটিশন করতে হবে।
কি? বুঝতে পারেননি?
আরও পড়ুনঃ অনার্স সকল সাবজেক্ট এর ফ্রি পিডিএফ বই ও সাজেশন
আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স সকল সাবজেক্ট এর ফ্রি পিডিএফ বই ও সাজেশন
আচ্ছা! বুঝিয়ে বলছি,
বাংলাদেশের চাকরীর বাজারের মতো এতো বিধঘুটে নয় গুগলের চাকরী। লাখ লাখ ক্যন্ডিডেটকে একসাথে বসিয়ে পরীক্ষাও নেওয়া হয়না গুগলে। আমি বুঝতেই পারছি আপনাদের মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে,
তাহলে কিভাবে গুগলে চাকরীর পরীক্ষা দেব?
গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় বা নিঞ্জা টেকনিক –
গুগলে পরীক্ষা পরে আসে আগে নিজেকে প্রমান করতে হয়। আপনি নিজেকে গুগলের যোগ্য করে তুলতে পারলে গুগল নিজেই আপনাকে ইন্টার্ভিউ এর জন্য ডাকবে। অবশ্য আপনি আবেদনও করতে পারেন।
কিন্তু আপনি একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, আপনাকে অনেক শিখতে হবে, টিম ওয়ার্ক করার ক্যাপাবিলিটি রাখতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে করার মানসিকতা রাখতে হবে। আর এর মধ্যে যদি গুগল আপনাকে ইনটারভিউ এর জন্য ডাকে তাহলে ধরেই নিবেন যে, আপনি একেবারেই যোগ্য গুগলে চাকরী করার জন্য।
আর সে ক্ষেত্রে আপনি কনফিডেন্স রাখুন এবং কনফিডেন্টলি ইনটারভিউ দিতে থাকুন। এবার আসি, একটা কমন প্রশ্নেঃ
যদি গুগল আমাদের ইন্টারভিউ এর জন্য না ডাকে থাহলে কি আমরা চাকরীর জন্য আবেদন করতে পারবনা?
উত্তর হচ্ছেঃ হ্যাঁ পারবেন, আর এ সম্পর্কেই এখন বিস্তারিত জানব।
আরও পড়ুনঃ অনার্স সকল সাবজেক্ট এর ফ্রি পিডিএফ বই ও সাজেশন
আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স সকল সাবজেক্ট এর ফ্রি পিডিএফ বই ও সাজেশন
গুগলে চাকরীর আবেদন করার প্রক্রিয়াঃ
গুগলে চাকরীর জন্য আবেদন করার আগে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখবেন। আর কি কি বিষয়ের উপর জোর দিবেন তা আমি কিছু পয়েন্ট আউট করে নিচে দেখাচ্ছি।
আবেদনের পূর্বে যা যা করা উচিৎ তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ
নিজের সম্পর্কে লেখাঃ
গুগলে চাকরির জন্য আবেদন করার পূর্বে আপনার অবশ্যই সুন্দর একটা জীবনবৃত্তান্ত প্রস্তুত করে রাখবেন। কেননা, আপনার জীবনবৃত্তান্তই তখন আপনার মূল পরিচয় বহন করবে।
চেষ্টা করবেন যত সাজিয়ে গুছিয়ে জীবনবৃত্তান্ত দেখা যায় ঠিক ততটুকুই সাজিয়ে গুছিয়ে জীবনবৃত্তান্ত লিখবেন। মনে রাখবেন আপনার জীবনবৃত্তান্ত ঠিক যতটা সুন্দর হবে আপনার চাকরি পাওয়ার সুযোগ ততই বৃদ্ধি পাবে।
গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় বা নিঞ্জা টেকনিক –
অবশ্যই আপনার রেসিমিউ তে আপনার যোগ্যতা হাইলাইট করতে হবে।
আর এখন আমরা জানব গুগলে চাকরী করার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন?
১) প্রোগ্রামিং জানতে হবেঃ
গুগলে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি চাকরি হলো কারিগরির উপর। তাই আপনি যদি প্রোগ্রামিং নিয়ে না জানেন তাহলে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন গুগল চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে, অবশ্য চাকরী পাবেননা বললেই চলে।
প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বলতে বিশেষ করে জাবা, পাইথন, সি++ ইত্যাদি জানতেই হবে।
আরও পড়ুনঃ অনার্স সকল সাবজেক্ট এর ফ্রি পিডিএফ বই ও সাজেশন
আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স সকল সাবজেক্ট এর ফ্রি পিডিএফ বই ও সাজেশন
২) টিমওয়ার্কে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবেঃ
আপনি যদি গুগলে চাকরি পেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই টিম ওয়ার্কের মন মানসিকতা থাকতে হবে। আপনি যদি চিন্তা করেন যে, আমি কোনো টিপওয়ার্ক করবো না, তাহলে আপনি গুগলে চাকরি করার আশা ছেড়ে দিতে পারেন।
গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় বা নিঞ্জা টেকনিক –
৩) নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা থাকতে হবেঃ
গুগলে বেশিরভাগ কাজই সম্পাদিত হয় ছোট ছোট টিমের মাধ্যমে, তাই তোমার কাঁধেও যেকোনো সময় দায়িত্ব আসতে পারে একটি টিমকে নেতৃত্ব দেওয়ার।
প্রচলিত নেতৃত্বের পরিবর্তে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সমস্যা সমাধান করার নেতৃত্ব গুণকে গুরুত্ব দেয় গুগল। তাই ছাত্রজীবনে বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন, খেলাধুলার টিম, সৃজনশীল কাজ ইত্যাদি যেকোন কিছুতে নেতৃত্ব দিয়ে থাকলে, পরিচালনা করলে সেটি গুগলে দারুণ গুরুত্ব পায়।
৪) ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবেঃ
পড়ালেখা, দক্ষতা, কাজ, সিজিপিএ ছাড়াও গুগল একটা জায়গায় ভীষণ ইমপ্রেস হতে পারে আর তা হচ্ছে আপনার ক্রিয়েটিভিটি।
গুগল সবসময় ক্রিয়েটিভিটি ভালো এমন মানুষদেরকেই বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে থাকে।
আপনার কি ক্রিয়েটিভিটি আছে? আপনি পড়ালেখা ইত্যাদি ছাড়াও আরও কোন বিষয়ে ভালো তা দেখাতে হবে।
তাহলে আপনার চাকরী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি বেড়ে যায়।
৫) অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনঃ
একটি টিমে কাজ করতে গেলে অনেক সময় দেখবে, একজন হয়তো একটি আইডিয়া দিলো সবাই সেটিকে হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে।
বন্ধুটি সবার থেকে এমন উপহাস পেয়ে একদম চুপ হয়ে গেল, তার পেটে বোমা মেরেও আর নতুন আইডিয়া বের করা যাবে না!
এরকম অভিজ্ঞতা কমবেশি আমাদের সবার জীবনেই আছে। এভাবে সৃজনশীলতার চর্চা, “Out of the box” চিন্তা করা কখনোই সম্ভব না।
তাই অন্যের আইডিয়া, মতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে গুগলের অবস্থান কঠোর।
গুগলে কিভাবে আবেদন করব?
গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় বা নিঞ্জা টেকনিক –
এবার জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আবেদন করবে গুগলে।
গুগল নিয়মিতই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিয়োগ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অনলাইনে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা বিভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতার প্রাথমিক ধাপে উত্তীর্ণ হলে সামনাসামনি ইন্টারভিউর মাধ্যমে কর্মী হিসেবে যোগদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুনঃ অনার্স সকল সাবজেক্ট এর ফ্রি পিডিএফ বই ও সাজেশন
আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স সকল সাবজেক্ট এর ফ্রি পিডিএফ বই ও সাজেশন
বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালে ৫-৭ জন শিক্ষার্থী এভাবেই গুগলে যোগদান করেছেন। এছাড়া ইন্টার্নশিপ অথবা সরাসরি চাকরির আবেদনও করা যেতে পারে।
উক্ত বিষয় সর্ম্পকে যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
Comments ১