অনার্সঃ দেশ ও জনগোষ্ঠীর পরিচয় (অতিসংক্ষিপ্ত সাজেশন)

দেশ ও জনগোষ্ঠীর পরিচয় (অতিসংক্ষিপ্ত সাজেশন) সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে পারবেন। সুতরাং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনার্স ১ম বর্ষের যেকোন বিভাগের সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।

অনার্স প্রথম পর্ব
বিষয়: স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস
অধ্যায় ১: দেশ ও জনগোষ্ঠীর পরিচয়
বিষয় কোড: ২১১৫০১

ক-বিভাগঃ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

১. ভূপ্রকৃতি কী?
উত্তর : কোনো অ লের অবস্থান, আকার, আয়তন, আবহাওয়া, জলবায়ু ইত্যাদির সমষ্টি হলো ভূপ্রকৃতি।

২. প্রাচীন বাংলার ভূপ্রকৃতিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : প্রাচীন বাংলার ভূপ্রকৃতিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।

৩. বদ্বীপ কী?
উত্তর : প্রবহমান নদনদীর মধ্যবর্তী অ লে গড়ে ওঠা গ্রিক শব্দ ডেল্টা বা বাংলা ‘ব’ আকৃতিক ভূমিকে বদ্বীপ বলা হয়।

৪. ‘আইন ই আকবরি’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ঐতিহাসিক আবুল ফজল।

৫. প্রচীন বাংলার প্রধান নদনদীর নাম উল্লেখ কর।
উত্তর : প্রাচীন বাংলার প্রধান নদনদী হলো গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও করতোয়া।

৬. জনপদ কী?
উত্তর : বাংলার মানুষ প্রাচীনকালে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভৌগোলিক এলাকায় বসবাস করতো তার সমষ্টিকে জনপদ বলে।

৭. প্রাচীন বাংলার ৫টি জনপদের নাম উল্লেখ কর।
উত্তর : প্রাচীন বাংলার ৫টি জনপদের নাম- ১. বঙ্গ, ২. গৌড়, ৩. পুন্ড্র, ৪. বরেন্দ্র ও ৫. রাঢ়।

৮. কোন গ্রন্থে সর্বপ্রথম ‘বঙ্গ’ নামের উল্লেখ পাওয়া যায়?
উত্তর : ‘ঐতরেয় আরণ্যক’ গ্রন্থে সর্বপ্রথম ‘বঙ্গ’ নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।

৯. বাংলা নামের উৎপত্তি কোন নাম থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হয়?
উত্তর : বাংলা নামের উৎপত্তি ‘বঙ্গ’ নাম থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হয়।

১০. ‘বঙ্গ’ জনপদের ৫টি অ লের নাম লিখ।
উত্তর : ‘বঙ্গ’ জনপদের ৫টি অ লের নাম – ১. বিক্রমপুর, ২. ঢাকা, ৩. ফরিদপুর, ৪. কুমিল্লা ও ৫. ময়মনসিংহ।

১১. গৌড় জনপদ প্রাচীন কোন কোন অ ল নিয়ে গড়ে উঠেছিল?
উত্তর : গৌড় জনপদ প্রচীন কোন কোন অ ল নিয়ে গড়ে উঠেছিল?
উত্তর : গৌড় জনপদ প্রচীন বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ অ ল নিয়ে গড়ে উঠেছিল।

১২. প্রাচীন বাংলার কোন জনপদ থেকে বাংলাদেশ নাম হয়েছে?
উত্তর : প্রাচীন বাংলার বঙ্গ জনপদ থেকে বাংলাদেশ নাম হয়েছে।

১৩. রাজা শশাঙ্কের উপাধি কী ছিল?
উত্তর : রাজা শশাঙ্কের উপাধি ছিল গৌড়েশ্র ।

১৪. প্রাচীন বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা কে ছিলেন?
উত্তর : প্রাচীন বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা ছিলেন- শশাঙ্ক।

১৫. গৌড়ের রাজধানীর নাম কি?
উত্তর : শশাঙ্কের শাসনামলে গৌড়ের রাজধানীর নাম ছিল কর্ণসুবর্ণ।

অনার্সঃ দেশ ও জনগোষ্ঠীর পরিচয় (অতিসংক্ষিপ্ত সাজেশন)

১৬. প্রাচীন বাংলার সমতট অ লের অবস্থান কোথায় ছিল?
উত্তর : প্রাচীন বাংলার সমতট অ লের অবস্থান ছিল কুমিল্লা ও নোয়াখালী এলাকায়।

১৭. প্রাচীন হরিকেল জনপদের বিবরণ কোন গ্রন্থ পাওয়া যায়?
উত্তর : প্রাচীন হরিকেল জনপদের বিবরণ ‘আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প’ গ্রন্থে পাওয়া যায়।

১৮. হরিকেল জনপদের অবস্থান কোথায় ছিল?
উত্তর : হরিকেল জনপদের অবস্থান ছিল বর্তমান সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে।

১৯. প্রাচীন রাঢ় জনপদ কোথায় ছিল?
উত্তর : প্রাচীন রাঢ় জনপদ ছিল- ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরে।

২০. প্রাচীন রাঢ় জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায় কোন গ্রন্থে?
উত্তর : প্রাচীন রাঢ় জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায় ‘আচারাঙ্গসূত্র’ নামক জৈন গ্রন্থে।

২১. পুন্ড্র শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : পুন্ড্র শব্দের অর্থ কৃষিজীবী।

২২. মহাস্থানগড়ের পূর্বনাম কী?
উত্তর : মহাস্থানগড়ের পূর্বনাম পুন্ড্রনগর বা পুন্ড্রবর্ধন।

২৩. পুন্ড্র জাতিকে দস্যু বলা হয়েছে কোন গ্রন্থে?
উত্তর : পুন্ড্র জাতিকে দস্যু বলা হয়েছে ‘ঐতরেয় ব্রাহ্মণ’ গ্রন্থে।

২৪. প্রাচীন পুন্ড্র জনপদের রাজধানী ছিল কোনটি?
উত্তর : প্রাচীন পুন্ড্র জনপদের রাজধানী ছিল বগুড়ার মহাস্থানগড়।

২৫. মৌর্য যুগে কোথায় বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী ছিল?
উত্তর : মৌর্য যুগে বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী ছিল পুন্ড্রনগর।



২৬. ইবনে বতুতা কে ছিলেন?
উত্তর : ইবনে বতুতা- আফ্রিকার মরক্কোর একজন পর্যটক বা পরিব্রাজক ছিলেন।

২৭. ইবনে বতুতার ভ্রমণকালে বাংলার সুলতান কে ছিলেন?
উত্তর : ইবনে বতুতার ভ্রমণকালে বাংলার সুলতাল ছিলেন ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ।

২৮. কে ‘তারিখ ই ফিরিশতা’ গ্রন্থটির রচয়িতা?
উত্তর : আবুল কাসেম ফিরিশতা ‘তারিখ ই ফিরিশতা’ গ্রন্থটির রচয়িতা।

২৯. “বঙ্গ থেকে বাঙালা এবং বাঙালাহ’র উৎপত্তি।” উক্তিটি কে করেছেন?
উত্তর : “বঙ্গ থেকে বাঙালা এবং বাঙালাহ’র উৎপত্তি।” উক্তিটি করেছেন ড. সুকুমার সেন।

৩০. বাংলাদেশের আয়তন উল্লেখ কর।
উত্তর : বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।

অনার্সঃ দেশ ও জনগোষ্ঠীর পরিচয় (অতিসংক্ষিপ্ত সাজেশন)

৩১. বাংলাদেশের ওপর দিয়ে কোন ভৌগোলিক রেখা অতিক্রম করেছে?
উত্তর : বাংলাদেশের ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে।

৩২. ভূপ্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাংলাদেশকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : ভূপ্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাংলাদেশকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ ১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ, ২. প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ ও ৩. সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।

৩৩. বাংলাদেশের টারশিয়ারি যুগের নিদর্শন কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের টারশিয়ারি যুগের নিদর্শন পাহাড়সমূহ।

৩৪. বাংলাদেশের দক্ষিণে সীমানা কী?
উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণে সীমানা- বঙ্গোপসাগর।

৩৫. বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় গারো পাহাড়।

৩৬. বাংলাদেশের কোন জেলায় গারো পাহাড় অবস্থিত?
উত্তর : বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় গারো পাহাড় অবস্থিত।

৩৭. বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গের নাম কি?
উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গের নাম তাজিংডং(বিজয়)।

৩৮. সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণী তাজিংডং কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর : সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণী তাজিংডং বান্দরবান জেলায় অবস্থিত।

৩৯. বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং।

৪০. কোনটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি?
উত্তর : বাংলাদেশের সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি।

৪১. ভারতে বাংলাদেশের কয়টি নদীর উৎস রয়েছে?
উত্তর : ভারতে বাংলাদেশের ৫৪টি নদীর উৎস রয়েছে।

৪২. বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদীর নাম কি?
উত্তর : বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদীর নাম- মেঘনা।

৪৩. কোথা থেকে পদ্মানদীর উৎপত্তি হয়েছে?
উত্তর : হিমালয় পর্বতের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে পদ্মা নদীর উৎপত্তি হয়েছে।

৪৪. পদ্মানদী কোথায় মেঘনার সাথে মিশেছে?
উত্তর : পদ্মানদী চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিশেছে।

৪৫. ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তিস্থল কোথায়?
উত্তর : ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তিস্থ হিমালয় পর্বতের কৈলাশ শৃঙ্গের মানসসরোবর হ্রদে।

অনার্সঃ দেশ ও জনগোষ্ঠীর পরিচয় (অতিসংক্ষিপ্ত সাজেশন)

৪৬. পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ কী?
উত্তর : পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ বাংলাদেশ।

৪৭. বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা কত বর্গকিলোমিটার?
উত্তর : বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটার।

৪৮. বাংলাদেশের মোট স্থলসীমা কত কিলোমিটার?
উত্তর : বাংলাদেশের মোট স্থলসীমা ৪,৪২৭ কিলোমিটার।

৪৯. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা কত?
উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল।

৫০. বাংলদেশের আ লিক সমুদ্রসীমা কত নটিক্যাল মাইল?
উত্তর : বাংলদেশের আ লিক সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল।

 

উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

Check Also

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (১০ম-সংক্ষিপ্ত)

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (১০ম-সংক্ষিপ্ত)

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস (১০ম-সংক্ষিপ্ত) প্রশ্নোত্তর ও সাজেশন সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে পারবেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *