৮ম শ্রেণি‘র বিজ্ঞান ২০২৪ || পঞ্চম সেশন || আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলতে কী বুঝ || Class 8-2024. প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি ২০২৪ সালের নতুন কারিকুলাম এর অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন বই ২০২৪ কিভাবে পড়তে হবে এবং সঠিক সমাধান সহ সকল প্রশ্নে উত্তর নিয়ে।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা যারা এখানো আমাদের ফ্রি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানে না তাদের কাছে পৌছানোর জন্য তোমরা তোমাদের বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে জানিয়ে দেও। যাতে তারাও তোমাদের মতো উপকৃত হতে পারে।
প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলতে কী বুঝ?
উত্তর : প্রতিটি দ্রাঘিমা রেখা এক একটি অর্ধবৃত্ত। সেক্ষেত্রে মূলমধ্যরেখার একেবারে বিপরীত দিকের যে দ্রাঘিমা রেখা আছে তার মান হবে ১৮০°। এই দ্রাঘিমাংশের কোন পূর্ব-পশ্চিম থাকে না। এই দ্রাঘিমা রেখার নাম আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা। পৃথিবীতে দিন তারিখ গণনার জন্য এ রেখাটির উদ্ভব। এই রেখার দুই পাশে দুটি ভিন্ন তারিখ ধরে নেওয়া হয়।
প্রশ্ন: সময় ও তারিখ নির্ণয় করার উপায় কী?
উত্তর : মূল মধ্যরেখা যেহেতু গ্রিনিচের উপর দিয়ে গেছে তাই পৃথিবীর যেকোনো স্থানের সময় গ্রিনিচের সময়ের সাথে তুলনা করে নির্ণয় করা যায় । মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্বদিকে গেলে ঘড়ির সময় বাড়তে তাকে এবং পশ্চিমে গেলে ঘড়ির সময় কমতে থাকে।
মূল মধ্যরেখার পূর্বপাশের এলাকার সময়কে তাই ধনাত্মক (+) চিহ্ন দিয়ে এবং পশ্চিমে ঋণাত্মক (-) দিয়ে দেখানো হয়েছে। গ্রিনিচের মূল মধ্যরেখা ও আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার মধ্যে পার্থক্য ১৮০°। তাই এই দুই স্থানের সময়ের পার্থক্য হবে ১২ ঘণ্টা।
এখন যদি মূল মধ্যরেখা থেকে একই দিনের একই সময় দুজন মানুষের একজন পূর্বদিকে এবং পশ্চিমদিকে যাত্রা করে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অতিক্রম করে তাহলে পূর্বদিকে যাত্রাকারীর ঘড়ির সময় ১২ ঘণ্টা বেশি হবে আর পশ্চিম দিকে যাত্রাকারীর ক্ষেত্রে সময় ১২ ঘণ্টা কম হবে।
দু’জনের সময়ের পার্থক্য ২৪ ঘণ্টা হয়ে যাওয়ার কারণে তারিখের হিসাব পার্থক্য হয়ে যাবে। এ সমস্যা এড়ানোর জন্য কেউ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অতিক্রম করে পূর্বদিকে গেলে তাকে ঘড়িতে ১ দিন পিছিয়ে দিতে হবে, পশ্চিমে গেলে ১ দিন এগিয়ে দিতে হবে।
পঞ্চম সেশন
পরের পৃষ্ঠায় দেখানো পৃথিবীর মানচিত্রে পরিযায়ী পাখিদের প্রধান যাত্রাপথগুলো দেখানো হয়েছে লক্ষ করো। এই মানচিত্রে বাংলাদেশের উপর দিয়ে, বা কাছ দিয়ে কোন পথগুলো গেছে খেয়াল করেছ? নামগুলো নিচে লিখে রাখো-
প্রয়োজনীয় উপকরণ : অনুসন্ধানী পাঠ, অনুশীলন বই, গ্লোব, শিক্ষার্থীদের বানানো মডেল, পোস্টার পেপার, মার্কার ইত্যাদি । কাজের উদ্দেশ্য : বাংলাদেশের কাছ দিয়ে পরিযায়ী পাখির যাত্রাপথ চিহ্নিতকরণ।
কাজের ধরন : দলগত কাজ ।
কাজের ধারা
- অনুশীলন বইয়ের পৃষ্ঠা ৯-এ দেখানো পরিযায়ী পাখিদের প্রধান যাত্রাপথগুলো দেখি ।
- মানচিত্রে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বা কাছ দিয়ে যাওয়া পথগুলো খেয়াল করি।
- নামগুলো নিচে লিখে রাখি
নমুনা উত্তর : বাংলাদেশের উপর দিয়ে বা কাছ দিয়ে গেছে এমন কয়েকটি ভ্রমণপথ বা ফ্লাইওয়ে হলো :
১. Central Asian Flyway, 2. East Asian – Australasian Flyway
বাংলাদেশ থেকে দূরে ভারতের পশ্চিমদিকে আরও একটি ফ্লাইওয়ে বা ভ্রমণপথ আছে যার নাম West-Asian – East African Flyway |
৮ম শ্রেণি‘র বিজ্ঞান ২০২৪ || পঞ্চম সেশন || আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলতে কী বুঝ || Class 8-2024
আরো দেখুন
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য ।। বরিশাল বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। এর ইতিহাস ও সংস্কৃতি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। বরিশালকে বলা...
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়।। শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। এখানে কিছু ধাপ...
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
প্রশ্ন এই ফ্লাইওয়ে বাংলাদেশসহ আর কোন কোন দেশের উপর দিয়ে গেছে নিচে লিখে রাখো-
উত্তর : ভ্রমণপথ বা ফ্লাইওয়ে হলো পাখিদের স্থানান্তরিত হওয়ার একটি মাধ্যম বা পথ যা তারা বিরূপ আবহাওয়ায় বা খাদ্যাভাবের সময় মাইগ্রেশনে ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশের কাছ দিয়ে গিয়েছে এমন একটি ফ্লাইওয়ে হলো East Asian – Australian Flayway. এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে এই পথ দিয়েই ২৫০ প্রজাতির প্রায় ৫ কোটি পাখি চলাচল করে থাকে।
Australasian Flyway বাংলাদেশসহ আরও অনেকগুলো দেশের উপর দিয়ে গিয়েছে। যেমন- অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, কোরিয়া, রাশিয়া, আলাস্কা এবং ভারত ।.
প্রশ্ন: পাখিদের পরিযায়নের কারণ কী? ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর : পাখিদের পরিযায়ন বলতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বড় পরিসরে এক পরিবেশ থেকে অন্য পরিবেশের গমন প্রক্রিয়াকে বুঝায়। পাখিদের পরিযায়নের আসল কারণ এখনো অজানা থাকলেও ধারণা করা হয় খাদ্যের প্রাচুর্যের খোঁজে কিংবা তীব্র শীত থেকে বাঁচতে পাখিরা এই পরিযায়ন করে।
এছাড়াও বংশবৃদ্ধি এবং খাদ্যের সহজলভ্যতা এই পরিযায়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখে বলে ধারণা করা হয়। শীতকালে উত্তর গোলার্ধ বা অনেক শীতপ্রধান অঞ্চলে খাবারের উৎসগুলো বরফে ঢাকা পড়তে থাকলে পাখিরা পরিযায়ন শুরু করে। এসব পরিযায়ী পাখিরা খাবারের প্রাপ্যতা আছে এমন স্থানে গমন করে। মূলত এসব কারণেই পরিযায়ন করে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।