৮ম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা‘র হোম ডেলিভারি সহ প্রশ্নোত্তর | Class8 2024 | সমাধান : ৮ম শ্রেণির অষ্টম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা‘র এর অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সমাধানগুলো গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
হোম ডেলিভারি
বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। এখন অনেকে পণ্য কিনতে ঘরে বসেই অর্ডার দিচ্ছে অনলাইনে, ই-মেইলে কিংবা ফোনে, আর পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। একজন ক্রেতার কাছে ব্যাপারটা খুবই উপভোগ্য।
এতে তার কষ্ট কমছে, ঘরে বসেই বুঝে নিচ্ছে অর্ডার করা পণ্য। পণ্য হাতে পেলেই টাকা (পেমেন্ট) দিচ্ছেন। কেনা-বেচার আধুনিক সুবিধা এখন এমনই। এটাই ‘হোম ডেলিভারি’ নামে পরিচিত । এভাবে এখন সবই কেনা যায়। পোশাক, বই, কসমেটিক্স, তরিতরকারি, গৃহস্থালির পণ্য ইত্যাদি ।
প্রদর্শনী
প্রদর্শনী একটি জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রদর্শনী হলো এমন একটি অনুষ্ঠান যেখানে কোনো নির্দিষ্ট শিল্প, পণ্য বা বিষয়বস্তুকে জনসাধারণের সামনে উপস্থাপন করা। প্রদর্শনী সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট স্থানে, যেমন : জাদুঘর, গ্যালারি বা মেলায় অনুষ্ঠিত হয়।
প্রদর্শনীর মাধ্যমে দর্শকরা কোনো নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন। শিল্পকর্ম উপভোগ করতে পারেন। পণ্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন ।
প্রদর্শনীর ধরন : প্রদর্শনী বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন :
শিল্প প্রদর্শনী : এই প্রদর্শনীতে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, ফটোগ্রাফি বা অন্যান্য শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয় ।
পণ্য প্রদর্শনী : এই প্রদর্শনীতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য, যেমন : মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য প্রদর্শিত হয় ।
তথ্য প্রদর্শনী : এই প্রদর্শনীতে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে তথ্য প্রদর্শিত হয়, যেমন : ইতিহাস, বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি।
প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য : প্রদর্শনী বিভিন্ন উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে ।
- শিল্পকর্ম বা পণ্য প্রচার করার জন্য ।
- জনসাধারণকে কোনো বিষয় সম্পর্কে জানানোর জন্য।
- শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ।
- বিনোদনের জন্য ।
এটি দর্শকদের নতুন বিষয়ে জানতে, শিল্প উপভোগ করতে বা পণ্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করে ।
৮ম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা‘র হোম ডেলিভারি সহ প্রশ্নোত্তর | Class8 2024
আরো দেখুন
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য
বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য ।। বরিশাল বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। এর ইতিহাস ও সংস্কৃতি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। বরিশালকে বলা...
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়
ফ্রী শিক্ষামূলক ভিডিও মেকার,শিক্ষামূলক ভিডিও কিভাবে করা যায়।। শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। এখানে কিছু ধাপ...
দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে চাইলে যেসব কাজ গুলো করা জরুরী
প্রতিটি মানুষের সকল মন্ত্রের মূল চাবিকাঠী স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে, কাজের অগ্রগতিও ভাড়ে, স্বাস্থ্য ভালো আপনার সব...
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা
শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুল মাঠে কাবাডি খেলা।। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য...
প্রতিবেদন
প্রতিবেদন শব্দের অর্থ সমাচার, বিবৃতি বা বিবরণী। কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা বিশেষ ঘটনা সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধানের পর সে বিষয় বা ঘটনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা বিষয় বা বিবরণীকে প্রতিবেদন বলে । যিনি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন তাকে বলা হয় প্রতিবেদক । প্রতিবেদন প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে একজন প্রতিবেদকের ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি, নিজস্ব মতামত, মন্তব্য বা সুপারিশ উপস্থাপনের সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে মূলকাজ হলো নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুকে চিত্র বা লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা । তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবেদক সুপারিশ বা মন্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন, যা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে বিবেচনায় আনতে পারেন ।
প্রতিবেদন লেখার কাঠামো
- শিরোনাম : প্রতিবেদনের সবার উপরে প্রতিবেদনের শিরোনাম থাকবে । শিরোনাম ছোট বাক্যে দেওয়া ভালো ।
- প্রতিবেদনের সারাংশ : প্রতিবেদনের শিরোনামের পর একটি ছোট প্যারায় শিরোনামের সারাংশ লিখতে হবে। যাতে এ অংশ পড়েই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় ।
- ভূমিকা : মূল প্রতিবেদনের শুরুতে প্রতিবেদনের ভূমিকা থাকবে। ভূমিকায় প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুর সাথে পাঠকের পরিচয় করে
- দেওয়া হবে ।
- বিষয়বস্তু : এটি প্রতিবেদনের প্রধান ও সবচেয়ে বড় অংশ। এখানে প্রতিবেদনের সকল বিষয়বস্তু থাকবে ।
- প্রতিবেদকের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য বিষয় : এখানে প্রতিবেদকের সকল তথ্য, প্রতিবেদন তৈরির সময়, ছবি প্রভৃতি যুক্ত থাকবে ।
শিখন অভিজ্ঞতা ০১
আনন্দময় কাজের সন্ধানে
আলোচ্য বিষয়→ পারিবারিক আর্থিক সহযোগিতামূলক কাজ। পারিবারিক বাজেট প্রণয়নের সুবিধা। পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনা। পারিবারিক মজুদের খতিয়ান/স্টক লেজার। বিদ্যালয়ভিত্তিক অনুষ্ঠান পরিচালনা/ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। অগ্নি মহড়া/ফায়ার ড্রিল ।
শিখন অভিজ্ঞতার মূলকথা
মানুষ পৃথিবীতে চিরস্থায়ী নয়; কিন্তু তার কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে বেঁচে থাকে আজীবন । কাজ ছোট হোক কিংবা বড়, কোনোটিই প্রকৃতপক্ষে ছোট নয়। সকল কাজেই পরিশ্রম করতে হয়। মেহনত করতে হয়।
অনেক কষ্টের পর দিনরাত এক করে যখন আমরা সফলতা অর্জন করি, তখন সারাদিনের এত কষ্ট এত পরিশ্রম আর আমাদের মনে থাকে না। সাফল্য অর্জনের খুশি আমাদেরকে সকল কষ্ট ভুলতে সহায়তা করে।
কিন্তু কাজ ধরার পূর্বের চিত্রটা অনেক তিক্ত। এজন্য কোনো কাজ ধরার আগেই হতাশ হতে নেই। ছোট ছোট কাজগুলো মনোযোগ দিয়ে করলে আমরা কাজের মাঝে আনন্দ খুঁজে পাব। এ অধ্যায়ে এসব বিষয়ে বলা হয়েছে ।
শ্রেণিভিত্তিক অর্জনোপযোগী যোগ্যতা
এ শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমি যে যোগ্যতা অর্জন করব-
পারিবারিক আর্থিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং অর্থসংশ্লিষ্ট কাজে (বাজেট প্রণয়ন, বাজার করা, সারা মাসের প্রয়োজনীয় জিনিসের যথাযথ তালিকা প্রণয়ন, বিল প্রদান, ব্যাংকিং ইত্যাদি) দায়িত্ব পরিকল্পনা মাফিক সম্পাদন করতে পারব এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক ইভেন্ট/কার্যক্রম/অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারব ।
শিখনফল
- পরিবারের আর্থিক সহযোগিতামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারব
- পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনামূলক কাজ অনুশীলন করতে পারব
- বিদ্যালয়ভিত্তিক ইভেন্ট পরিচালনা করতে পারব
- ফায়ার ড্রিল কার্যক্রমের আয়োজন করতে পারব
শিখন অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ
শিখন অভিজ্ঞতা চক্র অনুসরণে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি
আমাদের জীবনে কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। অভিজ্ঞতামূলক শিখনটির মাধ্যমে আমি বিভিন্ন ধরনের কাজ স্বরূপ অনুধাবন করতে পারব। চারটি পর্যায়ক্রমিক ধাপ (চক্র)-এর মাধ্যমে অভিজ্ঞতামূলক শিখনটি সম্পন্ন করি ।
ধাপ-১। প্রেক্ষাপটনির্ভর অভিজ্ঞতা : এ পর্যায়ে আমি-
- পারিবারিক মজদু ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জেনেছি
- কীভাবে মিতব্যয়ী হব সে বিষয়ে ধারণা নিয়েছি
- পারিবারিক মজুদ খতিয়ান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি
- অনুষ্ঠান পরিচালনা সম্পর্কে জেনেছি ।
- ফায়ার ড্রিল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি
ধাপ-২ প্রতিফলনমূলক পর্যবেক্ষণ : এ পর্যায়ে আমি-
- পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনার তালিকা করতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। এই সমস্যাগুলো পরিবারের বড়দের সাহায্যে সমাধান করেছি I
ধাপ-৩। বিমূর্ত ধারণায়ন : এ পর্যায়ে আমি-
- অগ্নিকাণ্ড বা যেকোনো জরুরি অবস্থায় নিরাপদে কীভাবে বের হয়ে আসা যায় সে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করব।
- ইউটিউব দেখে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ সম্পর্কে জানব । (যেমন কোথাও আগুন লাগলে কী কী করতে হবে)
ধাপ-৪ সক্রিয় পরীক্ষণ : এ পর্যায়ে আমি-
- সাপ্তাহিক পারিবারিক মজুদ পরিকল্পনা তৈরি করব ।
- পারিবারিক মজুদ খতিয়ান তৈরি করব ।
- অগ্নিমহড়া প্রশিক্ষণ নিব ।
- আগুন লাগলে কী কী করণীয় সে সম্পর্কে পরিবারের সকলকে জানাব ।
পাঠ পর্যালোচনা
পাঠ্যবইয়ের তত্ত্বীয় বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিই
প্রিয় শিক্ষার্থী, পরিবর্তিত যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমের আলোকে রচিত পাঠ্যবইয়ের এ শিখন অভিজ্ঞতাটি ভালোভাবে বুঝে পড়। এরপর নিম্নোক্ত মূল্যায়ন প্রস্তুতিও শাণিত হবে । পাঠ পর্যালোচনার ওপর প্র্যাকটিস চালিয়ে যাও। এতে পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবে, পাশাপাশি শিখনকালীন এবং সামষ্টিক মূল্যয়ন প্রস্তুতি শানিত হবে।
আনন্দময় কাজ
আজকে আমরা যা করছি, তার ওপর নির্ভর করছে আমাদের আগামীকাল । মানুষ পৃথিবীতে চিরস্থায়ী নয়; কিন্তু কাজের মাধ্যমে সে মানুষের মনে বেঁচে থাকে আজীবন। সকল কাজে পরিশ্রম আছে, মেহনত আছে।
যখন আমরা শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বার বার হোঁচট খেয়ে আবার দাঁড়িয়ে সফলতাকে ধরে ফেল আ আনন্দের মাধ্যমে সকল কষ্ট ভুলে যাই। আমরা যদি কাজের মাঝে আনন্দ খুঁজে নাই, তাহলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে । তাই আমাদের প্রতিটি কাজ মনোযোগের সাথে আনন্দ নিয়ে করা উচিত ।
আনন্দদায়ক কাজ
- বেড়াতে যাওয়া
- টিভি দেখা
- বাগান করা
- গল্পের বই পড়া
পারিবারিক কাজ
নিজের কাজ ছাড়াও পরিবারের অনেক কাজ রয়েছে যেই কাজগুলো নিয়মিত করা অথবা করার ক্ষেত্রে সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করা উচিত । তাহলেই পরিবারে বয়ে আসবে অনেক সুখ ও শান্তি ।
সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য সবসময় পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে পরিবারের অনেক কাজ নিজেদের শিখে রাখতে হয়। যার ফলে পরিবারের কেউ ‘অসুস্থ হলে বা বাইরে গেলে পরিবারের বাকি সদস্যদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না ।
“পরিবারের কাজে হাত যদি লাগাই
বাজবে ঘরে সুখের সানাই”
পারিবারিক কাজ
- রান্নায় সহায়তা করা
- থালা বাসন ধোয়া
- ছোটদের যত্ন, স্নেহ করা
- বাগানে পানি দেওয়া
- ঘর ঝাড়ু, বিছানা গোছানো
আর্থিক কাজ
যে কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায় তাই আর্থিক কাজ। যেমন-চাকরি, কৃষিকাজ, হাঁস-মুরগি পালন প্রভৃতি। কিছু আর্থিক কাজে নিয়মিত অর্থ উপার্জন করা যায়। যেমন- সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি ।
এক্ষেত্রে মাসিক বেতনের পরিমাণ নির্দিষ্ট থাকে । আবার, কিছু আর্থিক কাজে উপার্জিত অর্থের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। যেমন- কৃষিকাজের মাধ্যমে বা ব্যবসায়ের মাধ্যমে উপার্জন ।
ক্ষুদে উদ্যোক্তা
যিনি ব্যবসায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনিই উদ্যোক্তা। আর এই উদ্যোগ যদি কোনো শিক্ষার্থী গ্রহণ করে তখন তাকে ক্ষুদে উদ্যোক্তা বলে। ক্ষুদে উদ্যোক্তা সাধারণত পড়ালেখার পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পরিবারের আর্থিক কাজে অবদান রাখে।
বর্তমান যুগ অনলাইনের যুগ। একজন ক্ষুদে উদ্যোক্তা চাইলেই তার দক্ষতা সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে সারা বিশ্বকে জানাতে পারবে।
পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনা
পারিবারিক মজুদ বলতে একটি পরিবার যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবহার করে তার পরিমাণ মজুদ থাকা। আর ব্যবস্থাপনা বলতে ব্যবহার্য পণ্যের যথাযথ তালিকা তৈরী, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার। ব্যবস্থাপনায় যথাযথ করতে হলে লক্ষ্য রাখতে হবে, পরিবারে ব্যবহার্য কোন পণ্য যেন একেবারে শেষ হয়ে না যায়, আবার অত্যীধক মজুদের কারণে যেন নষ্ট হয়ে না যায় ।
পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনায় সকল ক্ষেত্রে পারিবারিক প্রয়োজন ও পণ্যের দায়িত্ব, পচনশীলতা এবং আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় রাখতে হবে।
পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনার বিবেচ্য দিক
পারিবারিক মজুদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে খুব সহজেই পরিবারের দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যের ঘাটতি বা অত্যধিক মজুদায়নের সমস্যা সমাধান করা যায় । যথা-
- আগে ক্রয়কৃত মজুদ আগে ব্যবহার (দ্রুত পচনশীল পণ্যের ক্ষেত্রে) ।
- কী পরিমাণ মজুদ হাতে রেখে পুনরায় ক্রয়ের উদ্যোগ নিতে হবে তা নির্ধারণ ।
- বেশি পরিমাণ পাইকারি ক্রয়ের ব্যবস্থা করা।
- কী পরিমাণ পণ্য নতুন করে কিনতে হবে তা নির্ধারণ ।
পারিবারিক মজুদ খতিয়ান
মজুদ খতিয়ান বা স্টক লেজার এমন একটি তালিকা, যাতে প্রতিটি পণ্য কী পরিমাণ মজুদ আছে, কী পরিমাণ নতুন পণ্য কিনতে হবে এবং পচনশীলতার বিষয়টি বিবেচনা করে আগে ক্রয়কৃত পণ্য আগে ব্যবহার করতে হয় ইত্যাদিসহ সার্বিক বিষয় উল্লেখ থাকে।
একটি পরিবার যদি নিয়মিত মজুদ খতিয়ান অনুসরণণ করে, তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শূন্যতা বা আধিক্যের কারণে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। পণ্যের পচনশীলতার বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা দ্রুত পচনশীল পণ্যের জন্য একটি খতিয়ান ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের জন্য আলাদা একটি (দ্রুত পচনশীল নয়, এমন) মজুদ খতিয়ান ব্যবহার করতে পারি ।
৮ম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা‘র হোম ডেলিভারি সহ প্রশ্নোত্তর | Class8 2024
অনুষ্ঠান পরিচালনা
আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বাড়িতে, আশেপাশে অনেক অনুষ্ঠান দেখি। যেমন- সেমিনার, দোয়া অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী ইত্যাদি এসব অনুষ্ঠানকে সফল করতে বা পরিচালনা করতে এর স্বকীয়তা, অংশগ্রহণকারীদের চাহিদা, আয়োজকদের উদ্দেশ্য ইত্যাদি দিক বিবেচনায় নিয়ে সাজাতে হয়। একটি সুন্দর পরিকল্পনা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমেই একটি সফল ও চমৎকার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করার বিস্তারিত পরিকল্পনা বা প্রক্রিয়া হলো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। নিজের দক্ষতাকে সৃজনশীলভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব এ ধরনের কার্যক্রমে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের লক্ষণীয় দিকগুলো হলো-
- দলগত যোগাযোগের মাধ্যমে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ।
- আয়োজনে অভিনবত্ব আনয়ন ।
- চাহিদা/উদ্দেশ্য অনুযায়ী অনুষ্ঠান সাজানো ।
- নিষ্ঠার সঙ্গে মিতব্যয়ী বাজেট প্রণয়ন ও পরিচালনা ।
- আয়োজনে শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং সকলের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা ।
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আয়োজন সম্পন্ন করা ।
অগ্নিমহড়া বা ফায়ার ড্রিল
অগ্নিকাণ্ড বা যেকোন জরুরি অবস্থায় ভবন হতে কীভাবে নিরাপদে বের হয়ে আসা যায় এ সম্পর্কে যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাই অগ্নি মহড়া বা ফায়ার ড্রিল।
ফায়ার ড্রিল বা অগ্নিমহড়ার উদ্দেশ্য
অগ্নিকাণ্ড বা যেকোনো জরুরি অবস্থায় নিরাপদে কীভাবে বের হয়ে আসা যায় এবং এ সম্পর্কে যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তা অগ্নিমহড়া বা ফায়ার ড্রিল নামে পরিচিত।
অগ্নি ও অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে বাসা, বাড়ি, প্রতিষ্ঠান এবং নিজেদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধান করা এবং সর্বত্র একটি নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার জন্যই এ ধরনের আয়োজন করা হয়।
অগ্নি দুর্ঘটনা কিংবা যেকোনো জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় প্রস্তুতি রাখা এবং দুর্ঘটনাসহ সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিকারের পূর্ববর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করাই ফায়ার ড্রিল আয়োজনের উদ্দেশ্য।
এছাড়া নিরাপত্তার সঙ্গে অগ্নি দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সেফটি সরঞ্জামাদির ব্যবহার জানা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যা আমরা ফায়ার ড্রিলের মাধ্যমে জানতে পারি ।
ফায়ার ড্রিল আয়োজনে অগ্নিনির্বাপক বাহিনী
অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার কাজ পরিচালনা ও আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য অগ্নিনির্বাপক দলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে ।
অগ্নি-নির্বাপক দল : হলুদ রঙের অ্যাপ্রোন পরে থাকেন, অ্যাপ্রোনের পেছনে লাল রঙে (fire) ‘আগুন’ লেখা থাকে । প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ করে থাকে এই দলটি।
উদ্ধারকারী দল : হলুদ রঙের অ্যাপ্রোন পরে থাকেন, অ্যাপ্রোনের পেছনে লাল রঙে (rescue) ‘উদ্ধার’ লেখা থাকে। এই দলটি আহত লোকদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করে থাকে ।
প্রাথমিক চিকিৎসা : দল সাদা রঙের অ্যাপ্রোন পরে থাকেন, অ্যাপ্রোনের পেছনে লাল রঙে (first aid) ‘প্রাথমিক চিকিৎসা’ লেখা থাকে । এই দলটি ঘটনাস্থলে আহত মানুষদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকে ।
অভিভাবক সমাবেশ
অভিভাবক সমাবেশ মূলত অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা এবং নৈতিক আচার-আচরণ যেন আরও ভালো হয় সেই বিষয়কে লক্ষ রেখে।
অভিভাবক সমাবেশে শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক পড়া, বাড়ির কাজ এসব নিয়ে শিক্ষকরা অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করেন। শিক্ষার্থীদের উন্নতি বা অবনতি সম্পর্কে অভিভাবকদের অবহিত করা হয়।
এই সমাবেশে স্কুলের প্রধান শিক্ষকও উপস্থিত থাকেন। এরপর শিক্ষকরা অভিভাবকদেরও মতামত গ্রহণ করেন এবং তাদের কোনো অভিযোগ থাকলে তা-ও বিবেচনায় নেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এই সভার কার্যক্রম শেষ করা হয়ে থাকে ।
শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন প্রস্তুতি : শিখে নিই
(মূল্যায়ন নির্দেশনার আলোকে পাঠ্যবই, শিক্ষক সহায়িকা, শিখনযোগ্যতা ও PI এর সূত্র সংবলিত)
প্রিয় শিক্ষার্থী, যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমে এ শিখন অভিজ্ঞতাটির বিষয়বস্তু ভালোভাবে অনুশীলন কর। এরই আলোকে শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন উপযোগী কাজ, মাইন্ড ম্যাপ, অ্যাসাইনমেন্ট, পোস্টার ও মডেল নিম্নে উপস্থাপন করা হলো, যা তোমাকে শিখনযোগ্যতা অর্জনে সক্ষম করে গড়ে তুলবে ।
অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনযোগ্যতা ও পারদর্শিতা সূচক (PI)
অভিজ্ঞতার শিরোনাম : আনন্দময় কাজের সন্ধানে
শিখন অভিজ্ঞতা শেষে শিক্ষক সংশ্লিষ্ট শিখনযোগ্যতা মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পারদর্শিতা সূচক বা (PI) ব্যবহার করে শিখনকালীন মূল্যায়নের রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন।
সামষ্টিক মূল্যায়নও সংশ্লিষ্ট PI এর ভিত্তিতে করা হয়ে থাকে। শিক্ষক প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পারদর্শিতার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট PI এর জন্য প্রদত্ত তিনটি মাত্রা থেকে প্রযোজ্য মাত্রাটি নির্ধারণ করবেন এবং সে অনুযায়ী চতুর্ভুজ, বৃত্ত বা ত্রিভুজ (DOA) ভরাট করবেন।
শিখনযোগ্যতা | পারদর্শিতা সূচক | পারদর্শিতার মাত্রা | ||
D | O | Δ | ||
৭.৮.৪ পারিবারিক
আর্থিক পরিকল্পনা পারিবারিক আর্থিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং অর্থসংশ্লিষ্ট কাজে (বাজেট প্রণয়ন, বাজার করা, সারা মাসের প্রয়োজনীয় জিনিসের যথাযথ তালিকা প্রণয়ন, বিল প্রদান, ব্যাংকিং ইত্যাদি) দায়িত্ব পরিকল্পনা মাফিক সম্পাদন করতে পারা এবং বিদ্যালয়কেন্দ্রিক েএকটি ইভেন্ট বা অনুষ্টান সুষ্টুভাবে পরিচালনা করতে পারা। |
৭.৮.৪.১ পারিবারিক আর্থিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারছে। | আর্থিক সহযোগিতার উৎস হতে পারে, এমন একটি আইডিয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। | পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত আয় যুক্ত হতে পারে এমন একটি আর্থিক সহযোগিতামূলক
আইডিয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে । |
নিজের সময়, সুযোগ, খরচ ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে পরিবারে নিয়মিতভাবে আয় যুক্ত হতে পারে, এমন আর্থিক সহযোগিতামূলক একটি আইডিয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে । |
৭.৮.৪.২ অর্থসংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পাদন করতে পারছে। | বিভিন্ন আর্থিক কাজের তালিকা তৈরি করে তা সম্পাদন করার জন্য প্রাথমিক উদ্যোগ গ্ৰহণ করেছে। | বিভিন্ন আর্থিক কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে কয়েকটি (দুই- তৃতীয়াংশ) কাজসময়মতো সম্পাদন করছে। | বিভিন্ন আর্থিক কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে তালিকার সবগুলো কাজ নিয়মিতভাবে সম্পাদন করছে। | |
৭.৮.৪.৩ বিদ্যালয়ের একটি ইভেন্ট/কার্যক্রম/অনুষ্ঠান সুষ্টুভাবে পরিচালনা করতে পারছে। | একটি ইভেন্টের লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা করে তা সময়মতো এবং সুচারুভাবে পরিচালনা সম্পন্ন করছে। | একটি ইভেন্টের লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা করে তা সময়মত, এবং সুচারুভাবে পরিচালনা সম্পন্ন করছে। | একটি ইভেন্টের লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা করে তা সৃজনশীল, উদ্ভাবনীমূলক এবং নিখুঁতভাবে পরিচালনা সম্পন্ন করছে। |
পাঠ্যবইয়ের একক ও দলীয় কাজ/অ্যাক্টিভিটি
শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা
- পাঠ্যবইয়ের সেশন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে অনুশীলন করতে হবে।
- আশপাশের পরিবেশ লক্ষ করে বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতে প্রশ্নোত্তর ও ছক সমাধান করতে হবে।
- প্রয়োজনে ইন্টারনেটের সহায়তা নিতে হবে ।
- একক কাজের ক্ষেত্রে শিক্ষক, অভিভাবকের সহায়তা নিতে হবে।
- জোড়ায়, দলগত কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব প্রদর্শন করতে হবে।
প্রথম ক্লাস নিজ ও পারিবারিক কাজ অনুশীলনের অভিজ্ঞতা এবং পারিবারিক আর্থিক সহযোগিতামূলক কাজের তালিকা প্রণয়ন ।
কাজ ১: নিজ ও পারিবারিক কাজ অনুশীলনের অভিজ্ঞতা (ফিরে দেখা)।
কাজের ধরন : একক কাজ ।
উপকরণ : পাঠ্যবই, চক/মার্কার, ডাস্টার ইত্যাদি ।
কাজের নির্দেশনা :
- তোমার বিগত কয়েকদিনের কাজগুলো ফিরে দেখ ।
- এবার ভেবে দেখ তুমি তোমার জন্য, তোমার পরিবারের জন্য, বিদ্যালয়ের জন্য এবং সমাজের জন্য নিয়মিত কী কী কাজ কর ।
- ছকটি পূরণ কর এবং নিচের নমুনা ছকের সাথে মিলিয়ে দেখ।
৮ম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা‘র হোম ডেলিভারি সহ প্রশ্নোত্তর | Class8 2024
নমুনা উত্তর
১. যেসব ‘নিজ কাজ’ আমি নিয়মিত করি। | ১. নিজের বিছানা গোছানো
২. সময়মতো পড়াশুনা করা ৩. পড়ার টেবিল গুছিয়ে রাখা ৪. নিজের খাবারের প্লেট, মগ, চামচ ইত্যাদি ধোয়া এবং নির্দিষ্ট স্থানে গুছিয়ে রাখা । |
২. যেসব ‘পারিবারিক কাজ’ আমি নিয়মিত করি। | ১. রান্নার কাজে সাহায্য করা
২. ঘর পরিষ্কার করা ও গুছিয়ে রাখা ৩. ছোট ভাই-বোনদের যত্ন নেওয়া ৪. বয়স্কদের সেবা করা |
৩. বিদ্যালয়ের যেসব কাজ আমি নিয়মিত করি | ১. শ্রেণিকক্ষ পরিচ্ছন্ন রাখা
২. বিদ্যালয়ে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করা ৩. কাউকে বুলিইং না করা ৷ |
৪. সমাজের যেসব কাজ আমি নিয়মিত করি | ১. স্বাস্থ্য সচেতনতায় সহায়তা করা
২. রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখা ৩. রাস্তার পাশের গাছের পরিচর্যা করা |
৫. অভিভাবকের মতামত ও স্বাক্ষর | ১. নিয়মিত কাজগুলো করতে গিয়ে আমি যা অনুভব করছি : নিয়মিত কাজগুলো করতে গিয়ে প্রথম দিকে খুব কষ্টদায়ক মনে হলেও কাজের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ও অভ্যস্থতার কারণে তা আনন্দদায়ক অনুভূতির জন্ম দিয়েছে । |
কাজ ২] পারিবারিক আর্থিক সহযোগিতামূলক কাজের তালিকা প্রণয়ন ।
কাজের ধরন : একক কাজ ।
উপকরণ : পাঠ্যবই, চক/মার্কার, ডাস্টার ইত্যাদি ।
কাজের নির্দেশনা :
- তুমি তোমার পরিবারের যেসব আর্থিক কাজে সহায়তা কর তা শনাক্ত কর ।
- শনাক্তকৃত আর্থিক কাজের আনুমানিক সম্ভাব্য আয় (সাপ্তাহিক/মাসিক) হিসেবে মূল্য নিরূপণ করে নিচের ছকটি পূরণ কর ।
নমুনা উত্তর
১. নিজের পোশাক নিজেই ইস্ত্রি করা | ৭৪০ টাকা |
২. গৃহকর্মী বাবদ খরচ কমিয়ে পরিবারের বিভিন্ন কাজ নিজে করা | ১,০০০ টাকা |
৩. স্কুলে হেটে যাওয়া | ৭৬০ টাকা |
৪. স্কুল ক্যান্টিনে টিফিন না করে বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যাওয়া | ৮০০ টাকা |
৫. গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া | ৫৭০ টাকা |
৬. নিজের কাপড় নিজেই সেলাই করা | ৪২০ টাকা |
৭. গৃহস্থালি বর্জ্য থেকে সার তৈরি ও বিক্রয় | ৩৮০ টাকা |
৮. অনলাইন প্লাটফর্মে কন্টেন্ট তৈরি | ১,৫০০ টাকা |
মোট সম্ভাব্য আয় | ৬,১৭০ টাকা |
কাজ-২ এর পারদর্শিতার মাত্রা নির্ণয়
পারদর্শিতা সূচক | পারদর্শিতার মাত্রা | ||
D | O | Δ | |
৭.৮.৪.১ পারিবারিক আর্থিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারছে। | আর্থিক সহযোগিতার উৎস হতে পারে, এমন একটি আইডিয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। | পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত আয় যুক্ত হতে পারে এমন একটি আর্থিক সহযোগিতামূলক
আইডিয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে । |
নিজের সময়, সুযোগ, খরচ ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে পরিবারে নিয়মিতভাবে আয় যুক্ত হতে পারে, এমন আর্থিক সহযোগিতামূলক একটি আইডিয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে । |
দ্বিতীয় ক্লাস আর্থিক কাজে সহায়তার পরিকল্পনা এবং পারিবারিক বাজেট প্রণয়নের সুবিধা।
কাজ ৩ আর্থিক কাজে সহায়তার পরিকল্পনা।
কাজের ধরন : দলগত কাজ ।
উপকরণ : পাঠ্যবই, চক/মার্কার, ডাস্টার ইত্যাদি ।
কাজের নির্দেশনা :
- তোমরা এলাকাভিত্তিক কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে যাও ।
- দলগত আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের এলাকায় প্রসার ও প্রচলন রয়েছে এমন কয়েকটি পণ্য, কৃষ্টি বা ঐতিহ্য খুঁজে বের কর ।
- এবার দলগতভাবে আলোচনার মাধ্যমে এমন একটি আইডিয়া তৈরি কর যা থেকে পরিবারের আর্থিক কাজে সহায়তা হয় ।
- দলগতভাবে আলোচনা করে তালিকাটি লিখ ।
নমুনা উত্তর : আমার নিজের এলাকায় প্রসার ও প্রচলন রয়েছে এমন কয়েকটি পণ্য, কৃষ্টি বা ঐতিহ্যের নাম :
১. তাঁত শিল্প
২. বেত শিল্প
৩. মৃৎ শিল্প
৪. রকমারি পিঠা-পুলি
৫.হাতে তৈরির বিভিন্ন পণ্য
৬. মসলিন কাপড়ের শাড়ি
৭. জামদানি শাড়ি
রকমারি পিঠা-পুলি
এসব পণ্যের মধ্যে যেগুলো নিয়ে আমাদের বয়েসিরা ব্যবসায়ের আইডিয়া তৈরি করতে পারি,
বেত শিল্প | মৃৎ শিল্প | রকমারি পিঠাপুলি |
বেত শিল্প আমাদের বয়েসি ছেলেমেয়েরা বেত দিয়ে মাটি দিয়ে কারুকার্যময় বিভিন্ন জিনিস আমরা অনেকেই ভালো পিঠা বানাতে পারি। এসব পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে জিনিপত্রের যথেষ্ট চাহিদা আছে । পরিবারে আর্থিক সহায়তা করা সম্ভব। | মাটি দিয়ে কারুকার্যময় বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে ব্রিক্রি করা হয়। মাটির জিনিপত্রের অনেক চাহিদা রয়েছে। | আমরা অনেকেই ভালো পিঠা বানাতে পারি। এক্ষেত্রে নিজেরা বা পরিবারের সহায়তায় পিঠা-পুলি বানিয়ে বিক্রি করতে পারি। এতেও পরিবারে আর্থিক সহায়তায় পিঠাপুলি বানিয়ে বিক্রি করতে পারি। এতেও পরিবারের আর্থিক সহয়তা হবে । |
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।