ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুধাবনমূলক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান এর ষষ্ঠ শ্রেণি ●বাংলা● অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান এর অধ্যায় ৫ : বুঝে পড়ি লেখতে শিখি, পরিচ্ছেদ ১ : প্রায়োগিক লেখা ।।
অনুধাবনমূলক
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ বেরিবেরির আসামি বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বেরিবেরির আসামি বলতে শোথ জাতীয় রোগাক্রান্তদের বোঝানো হয়েছে।
বেরিবেরি একটি কঠিন রোগ। এ রোগ হলে হাত-পা ফুলে যায়। ফলে স্বাভাবিক কর্মকা-ে বিঘœ ঘটে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ অসহায় বোধ করে। মানুষের বাঁকা চোখের চাহনি থেকে রক্ষা পেতে তারা রোগাক্রান্ত স্থান ঢেকে রাখতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে। তাই শোথ জাতীয় রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের লেখক বেরিবেরির আসামি বলে আখ্যায়িত করেছেন।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বেনে-বৌ পাখির অনুপস্থিতিতে লেখকের ব্যস্ত হয়ে ওঠার কারণ কী?
উত্তর : বেনে-বৌ পাখির অনুপস্থিতিতে লেখক অজানা ভয়ের নীরব বেদনায় ব্যস্ত হয়ে উঠলেন।
দেওঘরের প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিল অপূর্ব।
- আরো পড়ুন: Class 6: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন:ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || অনুধাবনমূলক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বাংলা বই || সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক অনুশীলনমূলক কাজ ও সমাধান
প্রাচীরঘেরা বাগানের মধ্যে সকালবেলায় লেখক বিভিন্ন পাখির আনাগোনা লক্ষ করতেন। তিনি লক্ষ করতেন হলদে রঙের একজোড়া বেনে-বৌ পাখি প্রতিদিন একটু বিলম্বে আসত। এরা প্রাচীরের ধারের ইউক্যালিপটাস গাছের সবচেয়ে উঁচু ডালটায় বসে হাজিরা হেঁকে যেত। হঠাৎ একদিন তাদের অনুপস্থিতিতে লেখক অজানা ভয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। তিনি ভাবলেন হয়তো পাখি দুটি ব্যাধের হাতে ধরা পড়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ লেখক বাড়ি পৌঁছাতে কুকুরের সাহায্য কামনা করলেন কেন?
উত্তর : অন্ধকার রাতে নিঃসঙ্গ সময়ের নিকটতম বন্ধু মনে করে বাড়ি পৌঁছাতে লেখক কুকুরের সাহায্য কামনা করলেন।
দেওঘরে লেখক একদিন বাতব্যাধিগ্রস্ত কয়েকজন বৃদ্ধের হাঁটার গতিময়তা দেখে হাঁটতে অনুপ্রাণিত হন। সেদিনই তিনি হাঁটতে বের হন এবং বহুদূর চলে যান। অন্ধকার ঘনিয়ে এলে লেখক নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে করেন। আর তখনই পেছনে একটি কুকুরের উপস্থিতি লক্ষ করলেন। এই মানবেতর প্রাণীটিকে দেখে লেখকের মাঝে মানবতাবোধ জেগে উঠল। লেখক আপন সঙ্গী ভেবে অন্ধকার রাতে বাড়ি পৌঁছতে কুকুরটির সাহায্য কামনা করলেন।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ লেখকের অতিথি বারান্দার নিচে বসেছিল কেন?
উত্তর : লেখকের প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসা থাকায় তারই সান্নিধ্য কামনায় অতিথি কুকুরটি বাইরের বারান্দার নিচে বসেছিল।
একদিনের পরিচয়েই লেখকের সঙ্গে কুকুরটির বন্ধুত্ব হয়। কুকুরটির প্রতি যেমন লেখকের মমত্ববোধ সৃষ্টি হয় তেমনি লেখকের প্রতিও অতিথি কুকুরটির আনুগত্য ও ভালোবাসা প্রকাশ পায়। প্রথমে কুকুরটি লেখকের অপেক্ষায় গেটের বাইরে অবস্থান করে। পরবর্তীতে তারই সান্নিধ্য কামনায় বাইরের বারান্দার নিচে বসে থাকে।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ ‘ফোলা পায়ের লজ্জা ঢাকতে বেচারাদের কত না যতœ’Ñ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : ‘ফোলা পায়ের লজ্জা ঢাকতে বেচারাদের কত না যতœ।’ কথাটি বেরিবেরি রোগে ভোগা মেয়েদের সম্পর্কে বলা হয়েছে।
বিকেলবেলা লেখকের বাড়ির সামনে দিয়ে পা ফোলা মেয়েরা দলবেঁধে যেত। বেরিবেরি রোগের কারণে তাদের পা ফুলে গেছে, যা পায়ের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলেছে। পায়ের এ ফোলা অবস্থা ঢাকতেই তারা গরমের দিনেও মোজা পরত।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ ‘দেহ যেমন শীর্ণ মুখ তেমনি পা-ুর’ কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দেওঘরে দেখা দরিদ্র ঘরের মেয়েটির শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে লেখক এ কথাটি বলেছেন।
লেখক পথের ধারে বসে বৈকালিক ভ্রমণে বেরুনো রোগীদের লক্ষ করতেন। বেরিবেরি আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে একটি অল্পবয়সি মেয়ের শরীর ছিল রোগা, চেহারা বিবর্ণ। তার চলার শক্তি ছিল না, অথচ কোলে একটি শিশু। উদ্ধৃত উক্তিটি মেয়েটির করুণ অবস্থাকেই তুলে ধরেছে।
- আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি-JSC এর অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
- আরো পড়ুন: JSC : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর
- আরো পড়ুন: JSC : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়‘র জীবনী ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি-JSC এর অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ মালির বউ কুকুরটাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল কেন?
উত্তর : মালির বউয়ের খাবারে কুকুরটি ভাগ বসিয়েছিল বলে মালির বউ বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল।
অতিথিশালার অতিথিদের জন্য রাঁধা উদ্বৃত্ত খাবারগুলো নিয়মিত ভোগ করত মালির বউ। কুকুরটি সে খাদ্যের অংশীদার হিসেবে জুটলে তাতে মালির বউয়ের স্বার্থে বাধা পড়ে। তাই কুকুরটিকে সে মেরে বের করে দিয়েছিল।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের গল্পকারের সকাল কাটে কীভাবে?
উত্তর : ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে গল্পকারের পাখিদের ভাবনায় সকাল কাটে। রাত শেষ হতে না হতেই পাখিদের আনাগোনা শুরু হয়। সেই সাথে গল্পকারের ব্যস্ততাও বেড়ে যায়। একের পর এক পাখিরা আমগাছ, বকুলকুঞ্জ, অশ্বত্থ গাছের মাথা থেকে বের হয়ে আসে।
গল্পকার তা পরমানন্দে দেখতে থাকেন। পাখিরা যেমন প্রত্যহ হাজিরা হাঁকে, তেমনি গল্পকারও নিয়মিতভাবে সকালবেলা পাখিদের সময় দেন। কোনো পাখি এক, দুইদিন না আসলে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতেন। আবার পাখিদের ফিরে আসা দেখে ভাবনা ঘোচে তার। এমনিভাবে গল্পকারের প্রতিটি সকাল পাখিদের সাথেই কেটে যায়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।