সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ তাওহিদের তাৎপর্য
জুমুআর খুতবায় ইমাম সাহেব বললেন, এ পৃথিবীর গাছপালা, তরুলতা, ফুল-ফল সবকিছু একজনই সৃষ্টি করেছেন। বিশ্বজগতের সবকিছুই তিনি মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং মানুষের উচিত তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
ক. আকাইদ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. তাওহিদ বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকের ইমাম সাহেবের খুতবায় আকাইদের কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘মানুষের উচিত তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা’ এ বক্তব্যের আলোকে তাওহিদের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তর:
ক আকাইদ শব্দের অর্থ বিশ্বাসমালা।
খ তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ব্যবহারিক অর্থে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর একত্ব স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলে। শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তা‘য়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করাকে তাওহিদ বা একত্ববাদ বলা হয়। আল্লাহ তা‘য়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিযিকদাতা ও ইবাদতের যোগ্য, এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাসের নামই তাওহিদ।
গ উদ্দীপকের ইমাম সাহেবের খুতবায় আকাইদের অন্যতম বিষয় তাওহিদের বর্ণনা ফুটে উঠেছে। ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহের প্রতি বিশ্বাসকেই আকাইদ বলা হয়। আর আকাইদের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় হলো তাওহিদ। এজন্য মুমিন বা মুসলিম হতে হলে একজন মানুষকে সর্বপ্রথম তাওহিদ তথা আল্লাহ তা‘য়ালার একত্ববাদে বিশ্বাস করতে হবে। তাওহিদে বিশ্বাস ব্যতীত কোনো ব্যক্তিই ইমান বা ইসলামে প্রবেশ করতে পারে না। তাওহিদের মূলকথা হলো, আল্লাহ তা‘য়ালা এক ও অদ্বিতীয়। তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্বিতীয়।
তিনিই প্রশংসা ও ইবাদতের একমাত্র মালিক। তাঁর তুলনীয় কেউ নেই। কেননা তিনিই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা। উদ্দীপকে ইমাম সাহেব বলেছেন, এ পৃথিবীর গাছপালা, তরুলতা, ফুল-ফলসহ সবকিছুই একজন সৃষ্টি করেছেন। ইমাম সাহেবের এ কথায় আল্লাহর একত্ববাদের বিষয়টিই ফুটে ওঠে। অর্থাৎ, উদ্দীপকের ইমাম সাহেবের খুতবায় আকাইদের অন্যতম তাওহিদের বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে।
ঘ ‘মানুষের উচিত মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা’ উদ্দীপকে উল্লিখিত ইমাম সাহেবের এ বক্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু বিদ্যমান, সবকিছুই একটিমাত্র সত্তার ইচ্ছাশক্তির বহিঃপ্রকাশ মাত্র। সবকিছুই সর্বশক্তিমান লা-শারিক আল্লাহর সৃষ্টি।
অনন্ত আকাশ, বিস্তীর্ণ জমিন, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত, জীবজন্তু, বৃক্ষ-লতা ইত্যাদি দৃশ্য ও অদৃশ্য যাবতীয় বস্তু একমাত্র আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই এসব কিছুর নিরঙ্কুশ মালিক, পালনকর্তা ও নিয়ন্তা।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনের সুরা আলে ইমরানের ৮৩নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর তাঁরই অনুগত আকাশ ও পৃথিবীর সবকিছু।’ উদ্দীপকেও প্রমাণিত হয় মহান আল্লাহ মানুষকে ভালোবেসে তাদের কল্যাণে অসংখ্য নিয়ামতে এ বিশ্বভূমণ্ডল পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। তাই মানুষের উচিত আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (class 6)
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর (class 6)
- আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (class 6)
- আরো পড়ুন: (class 6) ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ২ কালিমা তায়্যিবার তাৎপর্য
ধর্মীয় শিক্ষক মাজিদ হোসেন তার ছাত্রছাত্রীদের একটি বিষয় সম্পর্কে পড়াচ্ছিলেন। তিনি বলেন, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর রাসুল। এ সময় ছাত্র মতিউর এ বাক্য সম্পর্কে জানতে চাইলে স্যার বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়ে বললেন, এ বাক্য স্বীকার না করলে কেউ ইসলামে প্রবেশ করতে পারবে না। [করাতিটোলা সি এম এস মেমোরিয়াল হাইস্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. কালিমা তায়্যিবা অর্থ কী? ১
খ. ‘লা ইলাহা-ইল্লালাহ’ এর দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বাক্যটি কীব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের উক্ত বাক্য স্বীকার না করলে কেউ ইসলামে প্রবেশ করতে পারবে না।”Ñ পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তর:
ক কালিমা তায়্যিবা অর্থ হলো পবিত্র বাক্য।
খ লা ইলাহা-ইল্লাল্লাহ অর্থ হলো আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কেউ উপাস্য হতে পারে না। চন্দ্র, সূর্য, তারকারাজি, পাহাড়-পর্বত, বাঘ, সিংহ, রাজা-বাদশাহ কেউ ইবাদতের যোগ্য নয় বরং এসবের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা‘য়ালাই হলেন একমাত্র মাবুদ। তাঁকে ছাড়া আর কারো ইবাদত করা যাবে না। এমনকি তাঁর ইবাদতে অন্য কাউকে শরিক করাও যাবে না।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত বাক্যটি হলো কালিমা তায়্যিবা। উদ্দীপকে ধর্মীয় শিক্ষক মাজিদ হোসেন তার ছাত্রছাত্রীদের বলেন, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর রাসুল। এ কালিমা তায়্যিবা একটি পবিত্র বাক্য, যা তাওহিদ, ইমান ও ইসলামের মূলভিত্তি। এ কালিমার দুটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশ- ‘লা ইলাহা-ইল্লাল্লাহ’ অর্থ- আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই। আমরা কোনো পাত্রে ভালো কিছু নেওয়ার আগে প্রথমে ঐ পাত্রটি খালি করে ফেলি।
যেন ঐ জিনিসটি অন্য কিছুর সাথে মিশ্রিত না হয়। তদ্রƒপ তাওহিদে বিশ্বাসের জন্য প্রয়োজন পবিত্র অন্তর, অর্থাৎ প্রথমে অন্তর থেকে সব রকমের ভুল ও ভ্রান্ত বিশ্বাস দূর করতে হবে। দ্বিতীয় অংশ- ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ অর্থ- মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর রাসুল। অর্থাৎ মুহাম্মদ (স.) আল্লাহ তা‘য়ালার প্রেরিত নবি ও রাসুল। এ কথার ওপর বিশ্বাস স্থাপন ইমানের অংশ। বস্তুত কালিমা তায়্যিবা ইমানের মূলভিত্তি।
ঘ উদ্দীপকের উক্ত বাক্য তথা কালিমা তায়্যিবা স্বীকার না করলে কেউ ইসলামে প্রবেশ করতে পারবে না। কালিমা তায়্যিবা মহান একটি পবিত্র বাক্য, যা তাওহিদ, ইমান ও ইসলামের মূলভিত্তি। কালিমা স্বীকার না করলে কেউ ইসলামে প্রবেশ করতে পারে না। ‘লা ইলাহা-ইল্লাল্লাহ’ অর্থ- আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। অর্থাৎ পৃথিবীতে ইলাহা বা ইবাদতের যোগ্য একমাত্র আল্লাহ তা‘য়ালা।
তিনি ব্যতীত আর কেউ উপাস্য হতে পারে না। ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ অর্থ মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর রাসুল। অর্থাৎ আল্লাহর ওপর বিশ্বাসের পাশাপাশি মহানবি (স.)-এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। কালিমা তায়্যিবা ইমানের মূলভিত্তি। এতে কেউ অবিশ্বাস করলে তার ইমান থাকে না।
এজন্য সবার কালিমার অর্থ বুঝে আন্তরিকভাবে বিশ^াস করতে হবে। উদ্দীপকে আমরা এ বিষয়টি পাই যে, কালিমা তায়্যিবা ইসলামের মূলভিত্তি হওয়ার কারণে তা ব্যতীত কেউ ইমানদার হতে পারে না। আর ইমানদার না হওয়ার কারণে কেউ ইসলামে প্রবেশ করতে পারবে না। অতএব উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৩ কালিমা শাহাদাতের তাৎপর্য
মুহিত ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। সে তার দাদুর কাছে একটি পবিত্র বাক্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তার দাদু বলে এটি ইসলামে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। কালিমা তায়্যিবার মতো এটিও বিশ্বাস না করলে কেউ মুমিন হতে পারবে না। এটি তোমার জীবনের জন্য অপরিসীম শিক্ষা। [এ. কে স্কুল এন্ড কলেজ, দনিয়া, ঢাকা]
ক. কোন বাক্য দ্বারা ইমানের সাক্ষ্য দেওয়া হয়? ১
খ. কালিমা শাহাদাতে আল্লাহ সম্পর্কে কী বলা হয়েছে? ২
গ. মুহিত তার দাদুর কাছে কোন বিষয়টি জানতে চেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “এটি তোমার জীবনের জন্য অপরিসীম শিক্ষা” উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তর:
ক কালিমা শাহাদাত দ্বারা ইমানের সাক্ষ্য দেওয়া হয়।
খ কালিমা শাহাদাতে বলা হয়েছে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে একক। তিনি আমাদের রিযিক দেন। প্রতিপালন করেন। আলো, বাতাস, পানি, খাদ্য, সবকিছুই তাঁর দান।
গ মুহিত তার দাদুর কাছে কালিমা শাহাদাত সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। কালিমা শাহাদাত হলো- আশহাদু আল্ লা ইলাহা-ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু, লা শারিকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
উদ্দীপকে মুহিত তার দাদুর নিকট একটি পবিত্র বাক্য তথা কালিমা শাহাদাত সম্পর্কে জানতে চাইলে দাদু বলেন, এটি ইসলামের অন্যতম বাক্য। কালিমা তায়্যিবার মতো কালিমা শাহাদাত বিশ্বাস না করলে কেউ মুমিন হতে পারবে না। সুতরাং মুহিত তার দাদুর কাছে কালিমা শাহাদাত সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।
ঘ ‘এটি তোমার জীবনের জন্য অপরিসীম শিক্ষা।’ উদ্দীপকে দাদুর মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কালিমা শাহাদাত হলো সাক্ষ্য দানের বাক্য। অর্থাৎ এ কালিমা দ্বারা ইমানের সাক্ষ্য দেওয়া হয়। আমরা এ কালিমা উচ্চারণের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘য়ালার একত্ববাদ ও মুহাম্মদ (স.)-এর রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান করি।আল্লাহ তা‘য়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
তিনি আমাদের রব। তিনি আমাদের রিযিক দেন, প্রতিপালন করেন, সুস্থতা দান করেন। অপরদিকে হযরত মুহাম্মদ (স.) আল্লাহ তা‘য়ালার প্রেরিত নবি ও রাসুল। তিনি আমাদের সত্য-মিথ্যার পার্থক্য শিখিয়েছেন।
জান্নাতে যাওয়ার দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই যে, মুহিত তার দাদুর কাছে এ কালিমা শাহাদাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে দাদু এ সম্পর্কে বলেন যে, কালিমা তায়্যিবার মতো কালিমা শাহাদাত বিশ্বাস না করলে কেউ মুমিন হতে পারবে না এবং এটিও বলেন যে, এটি তোমার জীবনের জন্য অপরিসীম শিক্ষা। সুতরাং মুহিতের দাদুর এ উক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রশ্ন- ৪ ইমান মুজমাল
সাইফুল ও আলামিন দুই বন্ধু। তারা ইমান সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। সাইফুল বলে, দুই প্রকার বিশ্বাসের মধ্যে একটি হলো সংক্ষিপ্ত বিশ্বাস। সংক্ষেপে আল্লাহ তা‘য়ালার প্রতি বিশ্বাস করা ও আনুগত্য স্বীকার করা। আলামিন বলে, কোনো মানুষ তাঁর আকার-আকৃতির কল্পনা করতে পারে না। তিনি যেমন আছেন সেইরূপ তাঁকে বিশ্বাস করতে হবে।
ক. ইমান মুজমাল অর্থ কী? ১
খ. ইমান মুজমাল-এর বাংলা অর্থ লেখ। ২
গ. উদ্দীপকের সাইফুল ও আলামিনের আলোচিত বিষয়টি কী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পাঠ্যপুস্তকের আলোকে উক্ত বিষয়ের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তর:
ক ইমান মুজমাল অর্থ সংক্ষিপ্ত বিশ্বাস।
খ ইমান মুজমাল-এর বাংলা অর্থ : আমি ইমান আনলাম আল্লাহর উপর, ঠিক তেমনি যেমন আছেন তিনি, তাঁর সকল নাম ও গুণসহ। আর আমি তাঁর সকল হুকুম-আহকাম ও বিধি-বিধান গ্রহণ করে নিলাম।
গ উদ্দীপকের সাইফুল ও আলামিন যে বিষয়টি আলোচনা করছিল তা হলো ইমান মুজমাল। ইমান মুজমাল হলো- আমানতু বিল্লাহি কামা হুয়া বি আসমাইহি ওয়া সিফাতিহি ওয়া কাবিলতু জামি’আ আহকামিহি ওয়া আরকানিহি। উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই যে, সাইফুল ও আলামিন ইমান সম্পর্কিত বিষয় ইমান মুজমাল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সাইফুল বলে দুই প্রকার বিশ্বাসের মধ্যে একটি হলো ইমান মুজমাল তথা সংক্ষিপ্ত বিশ্বাস। সংক্ষেপে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ও তাঁর আনুগত্য স্বীকার করা। আর আলামিন বলে তার আকৃতি কেউ ধরতে পারে না। উপরিউক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, উদ্দীপকের সাইফুল ও আলামিনের আলোচিত বিষয়টি হলো ইমান মুজমাল।
ঘ উদ্দীপকের আলোচ্য বিষয়টি তথা ইমান মুজমাল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ তা‘য়ালার প্রতি বিশ্বাস করা ও আনুগত্য স্বীকার করাকে ইমান মুজমাল বলা হয়। এ বাক্য দ্বারা আমরা পুরোপুরিভাবে আল্লাহ তা‘য়ালার কর্তৃত্ব ও বিধান স্বীকার করে থাকি। আল্লাহ তা‘য়ালা এক ও অদ্বিতীয়। তিনি অতুলনীয়। কোনো কিছুই তার তুল্য নয়। তাঁর সত্তা ঠিক তাঁরই মতো। তিনি যেমন আছেন, সেরূপই তাঁকে বিশ্বাস করতে হবে। তিনি সকল গুণের অধিকারী। এসব নাম ও গুণের প্রতিও আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনায় এটাই প্রমাণিত হয় যে, উক্ত বিষয় তথা ইমান মুজমাল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রশ্ন- ৫ আসমাউল হুসনা
শফিক ও মিলন দুই বন্ধু ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তারা আলোচনা করছিল যে, মহান আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তাঁর দয়ায় আমরা বেঁচে আছি। তিনি হাকিম। মানুষের মধ্যে যে গুণ রয়েছে তা যৎসামান্য। কিন্তু আল্লাহপাক অতুলনীয় গুণের অধিকারী। আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে হাকিম নামের তাৎপর্য মানুষের জীবনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
ক. আসমাউল হুসনা অর্থ কী? ১
খ. ‘আল্লাহ মালিক’ নামের অর্থ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. শফিক ও মিলনের আলোচিত বিষয়টি কী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকে উল্লিখিত মহান আল্লাহ পাকের নামের তাৎপর্য মানুষের জীবনের জন্য অত্যন্ত জরুরি” বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তর:
ক আসমাউল হুসনা অর্থ সুন্দর নামসমূহ।
খ আল্লাহ তা‘য়ালা সকল কিছুর মালিক। মালিক অর্থ অধিকারী। তিনি আসমান-জমিন, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা, নদী, সাগর সবকিছুর অধিপতি। সকল কিছুই তাঁর নির্দেশে পরিচালিত হয়। কোনো কিছুই তাঁর আদেশ লঙ্ঘন করে না। পশু-পাখি, কীটপতঙ্গের মালিকও তিনিই। পৃথিবীতে বড়-ছোট সকল বস্তুই তাঁর মালিকানার অন্তর্ভুক্ত।
গ শফিক ও মিলনের আলোচিত বিষয়টি হলো আসমাউল হুসনা। আল্লাহ তা‘য়ালা দয়াময়, মহানুভব ও উদার। মহান আল্লাহ যে কত বড় দয়াময়, উদার, ক্ষমাশীল তা অনুমান করতেও পারা যায় না। কেননা তিনি তো অসীম সত্তার অধিকারী। তিনি সকল সৃষ্টির প্রতিই উদার ও মহানুভব। বায়ু, পানি, আলো, চন্দ্র, সূর্য, জীবজন্তু, পাহাড়, নদী, জমিন, আসমান সবই আল্লাহর নিয়ামত।
বিনিময় প্রত্যাশা ছাড়া উদারভাবে অকাতরে তিনি সবার প্রতি নিয়ামত বিতরণ করেন। তাঁর মহানুভবতার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। উদ্দীপকের শফিক ও মিলন দুই বন্ধু ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তারা আলোচনা করছিল যে, মহান আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তাঁর দয়ায় আমরা বেঁচে আছি। তিনি হাকিম। মানুষের মধ্যে যে গুণ রয়েছে তা যৎসামান্য। কিন্তু আল্লাহপাক অতুলনীয় গুণের অধিকারী। উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উদ্দীপকের শফিক ও মিলনের আলোচিত বিষয়টি হলো আসমাউল হুসনা।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত আল্লাহর গুণবাচক হাকিম নামের তাৎপর্য মানুষের জীবনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। মহান আল্লাহর অন্যতম গুণবাচক নাম ‘হাকিম’ যার অর্থ প্রজ্ঞাময়। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘য়ালা অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়, সুদক্ষ, সুনিপুণ ও হিকমতের মালিক।
এই মহাবিশ্ব তিনি যেমন সর্বোত্তম দক্ষতার সাথে সৃজন করেছেন, তেমন মহাপ্রজ্ঞা, সুনিপুণ ও সুদক্ষ কৌশলের মধ্যে আবহমানকাল থেকে পরিচালনা করছেন। আকাশের তারকারাজি, চন্দ্র, সূর্য, মেঘমালা, নদনদী, বায়ু, আগুন, পানি, ফুল-ফল, বৃক্ষলতা, জমিন, আসমান, জীবন-মরণ, স্বাদগন্ধ ও রূপরস যেদিকেই আমরা তাকাই সর্বত্রই এক সুন্দর সুনিপুণ কৌশল দেখতে পাই। উদ্দীপকের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে হাকিম নামের তাৎপর্য মানুষের জীবনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
প্রশ্ন- ৬ রিসালাত
শহিদ তার নানার সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে কথা বলছিল। শহিদ তার নানার কাছে ঐ বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জানতে চাইল। শহিদের নানা বিষয়টি কুরআন ও হাদিসের মাধ্যমে তাকে বিশদভাবে বুঝিয়ে দিলেন যে, নবি-রাসুল প্রেরণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
ক. রিসালাত অর্থ কী? ১
খ. নবি-রাসুল বলতে কাদের বোঝায়? ২
গ. শহিদ তার নানার কাছে কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. শহিদের নানার বুঝিয়ে দেওয়া বিষয়টি কুরআন হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তর:
ক রিসালাত শব্দের অর্থ ‘বার্তা’ বা চিঠি পৌঁছানো।
খ যাঁদের কাছে আসমানি কিতাব আসত তাঁরা হলেন রাসুল এবং যাঁদের কাছে আসমানি কিতাব আসত না তাঁরা নবি। সকল রাসুলই নবি কিন্তু সকল নবিই রাসুল নন।
গ উদ্দীপকের শহিদ তার নানার নিকট রিসালাত সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। রিসালাত অর্থ বার্তা বা চিঠি পৌঁছানো। নবি-রাসুলগণ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত হয়েছেন। তাঁরা শরিয়তের বিধানাবলি আল্লাহর পক্ষ থেকে জেনে মানুষকে তা যথাযথভাবে শিখিয়েছেন। যেমন : সত্য ও ন্যায়ের পথে চলা, সত্য কথা বলা, হালাল-হারাম বিবেচনা করে চলা।
জীবনের সর্বক্ষেত্রে আখলাকে হাসানার অনুশীলন করে নবি-রাসুলগণের পদাঙ্ক অনুসারী হওয়া ইত্যাদি। উদ্দীপকেও দেখা যায় যে, শহিদ তার নানার নিকট গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় জানতে চেয়েছে। তার নানা বিষয়টি কুরআন ও হাদিসের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন যে, নবি-রাসুল প্রেরণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সুতরাং, উপরিউক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, শহিদ তার নানার কাছে রিসালাত সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।
ঘ উদ্দীপকে শহিদের নানা বুঝিয়ে দেন-নবি-রাসুল প্রেরণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মহান আল্লাহ নানা কারণে পৃথিবীতে নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। নবি-রাসুলগণ মানুষকে আল্লাহ পাকের পরিচয় জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের আল্লাহ তা‘য়ালা ও সত্য দীনের প্রতি আহ্বান করতেন। ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদির পার্থক্য নবি-রাসুলগণই শিক্ষা দিতেন।
তাঁরা মানুষকে উন্নত ও উত্তম চরিত্রের শিক্ষা দিতেন। তাঁরা জান্নাতে যাওয়ার পথ নির্দেশ করতেন। কীভাবে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বেঁচে থাকা যায় সে শিক্ষা দিতেন। তাঁরা মানুষের নিকট আসমানি কিতাবসমূহ পৌঁছে দিতেন। হাতে-কলমে মানুষকে আল্লাহ তা‘য়ালার বিধান শিক্ষা দিতেন। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, শহিদের নানার উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৭ আকাইদ ও নৈতিকতা
আব্বাস ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। সে খুবই বিনয়ী। কখনো কারো সাথে ঝগড়া করে না। সে উত্তম চরিত্রবান। অন্যায়, অশ্লীল বিষয়সমূহ পরিত্যাগ করে। কাউকে ধোঁকা দেয় না, মিথ্যা কথা বলে না।
ক. আকাইদ কী? ১
খ. নৈতিকতা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. আব্বাসের চরিত্রে কোন বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর, উক্ত বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ? মতামত দাও। ৪
উত্তর:
ক ইসলামের মূল বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার নামই আকাইদ।
খ নৈতিকতা হলো নীতির অনুশীলন। অর্থাৎ কথা ও কাজে উত্তম রীতিনীতির অনুশীলন করা, মার্জিত ও বিনয়ী হওয়া, উত্তম চরিত্রবান হওয়া ইত্যাদি। অন্যায়, অশ্লীল ও অশালীন বিষয়সমূহ পরিত্যাগ করাও নৈতিকতার অন্তর্ভুক্ত।
গ উদ্দীপকে আব্বাসের চরিত্রে আকাইদ ও নৈতিকতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। আকাইদ ও নৈতিকতার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আকাইদ বা ইসলামি বিশ্বাসগুলো মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়। যে ব্যক্তি আকাইদের বিষয়গুলো ভালোভাবে বিশ্বাস করে তার চরিত্র সুন্দর হয়। সে সবসময় নীতি ও উত্তম আদর্শের অনুসরণ করে। অন্যায়-অত্যাচার, অশ্লীলতা থেকে সে সর্বদা দূরে থাকে।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই যে, আব্বাস ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। সে খুবই বিনয়ী। কখনো কারো সাথে ঝগড়া করে না। সে উত্তম চরিত্রের অধিকারী। অন্যায়, অশ্লীল কাজ পরিত্যাগ করে। কাউকে ধোঁকা দেয় না, মিথ্যা কথা বলে না। সুতরাং, উদ্দীপকে আব্বাসের চরিত্রে আকাইদ ও নেতিকতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ আমি মনে করি, উক্ত বিষয়টি তথা আকাইদ ও নৈতিকতা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আকাইদ হলো ইসলামের মূল বিষয়সমূহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। আকাইদ বা ইসলামি বিশ্বাসসমূহ মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়। আকাইদের প্রথম বিষয় হলো তাওহিদে বিশ্বাস। তাওহিদ হলো একত্ববাদ।
আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় বলে বিশ্বাস করা। তাওহিদের পরই রিসালাতের স্থান। রিসালাত হলো নবি-রাসুলগণের ওপর বিশ্বাস। নৈতিকতা ও নীতির অনুসরণ মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। নীতিহীন মানুষ পশুর সমান। সে শুধু নিজের লাভ ও কল্যাণই বোঝে। নীতিহীন মানুষও ঠিক তেমনি।
বরং নিজের লাভের জন্য সে অপরের ক্ষতিসাধন করে থাকে। মিথ্যা, প্রতারণা, ধোঁকা দেওয়া, পরচর্চা ইত্যাদি তার চরিত্রে ফুটে ওঠে। ফলে কোনো মানুষই তাকে ভালোবাসে না। অন্যদিকে নৈতিকতা মানুষকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করে। নীতিবোধসম্পন্ন মানুষ সমাজে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা লাভ করে। তাই বলা যায়, নৈতিকতা অর্জনে আকাইদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৮ আকাইদ
আসলাম ষষ্ঠ শ্রেণির একজন ছাত্র। সে একটি বিশেষ ধর্মে বিশ্বাসী। সে এই ধর্মের সকল মৌলিক বিষয়সমূহ বিশ্বাস করে। সে এ সকল বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে নিজের ইমানকে আরও সুদৃঢ় করে। এছাড়াও তার ধারণা হলো এই মূলনীতিগুলো বিশ্বাসের মাধ্যমে পরকালে সুখলাভ করা যাবে।
ক. ইমান শব্দের অর্থ কী? ১
খ. আল্লাহ তা’য়ালার পরিচয় দাও। ২
গ. আসলামের ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে তোমার পঠিত ইসলামের কোন বিষয়টির মিল বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আসলামের এরূপ বিশ্বাসের গুরুত্ব কতটুকু বলে তুমি মনে কর। তোমার পাঠ্য পুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,কবিতা
- আরো পড়ুন:৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,গান
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,গল্প
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,প্রবন্ধ
- আরো পড়ুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণি-বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় : সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি,নাটক
উত্তর:
ক ইমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস।
খ মহান আল্লাহ একক সত্তা। তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। তিনি কারো সন্তান নন। আবার কেউ তাঁর সন্তানও নয়। গুণাবলির দিক থেকেও মহান আল্লাহ অদ্বিতীয়। তিনি সকল গুণের আধার। তাঁর গুণাবলির সাথে কোনো কিছুই তুলনা করা যায় না। তাঁর তুলনা একমাত্র তিনি নিজেই।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ আকাইদের বর্ণনা দাও।
ঘ আকাইদের গুরুত্ব পাঠ্যপুস্তকের আলোকে আলোচনা কর।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।