আজকের এই আর্টিকেল একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার রুটিন কিভাবে বানাতে হয় তা বুঝতে সাহায্য করবে।
আপনি ঠিক ঠাক পড়াশোনা করেও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারছেন না। এর কারন হচ্ছে টাইম টেবিল।
সঠিক টাইম টেবিল আপনাকে জীবনে পড়াশোনার ক্ষেত্রেই নয় বরং সকল সেক্টরে সফল হতে সাহায্য করবে।
বিল-গেটস, মার্ক জাকারবার্গ থেকে শুরু করে আলিবাবা ইকমার্স বিজনেস এর ফাউন্ডার জ্যাক মা পর্যন্ত সকলেই কিন্তু টাইম-টেবিল ব্যবহার করে।
যদি আপনিও সঠিক টাইম-টেবিলের মাধ্যমে নিজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার রুটিন –
মনে করুন আপনি একটি বাড়ি তৈরি করবেন । এবার আপনি ইটগুলোকে পরপর গেথে যান কোন রকম প্ল্যান বা স্ট্রাকচার ছাড়াই তাহলে কী বাড়িটি তৈরি হবে ?
আমার তো মনে হয় না যে হবে, বা হলেও সেটা খুব বেশি ভালো হবে না।
পড়াশুনার ক্ষেত্রেও আমরা শুধু পড়েই যাই এবং কোন রকম টাইম টেবিল বা রুটিন ফলো না করি , তাহলে সেই পড়াটা খুব বেশ ভালো হয় না।
আর দিনের শেষে মনে হয় যেন কিছুই পড়া হয়নি।
- আরও পড়ুনঃ নাসায় চাকরীর যোগ্যতা , আবেদন , ইন্টারভিউ এবং বেতন
- আরও পড়ুনঃ গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় বা নিঞ্জা টেকনিক
তাই পড়াশুনা করার জন্য ও মনে সুন্দর একটা কনফিডেন্স আনার জন্য সুন্দর একটা টাইম টেবিল থাকা অন্তত্য জরুরি।
তাই আজকের এই লিখায় কিভবে পড়ার জন্য টাইম টেবিল বানাতে হয় সেসব নিয়েই আলোচনা করব।
টাইম টেবিল বা শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার রুটিনঃ
আমরা হয়তো এ পর্যন্ত অনেক টাইম টেবিল বানিয়েছি তাঁর কোনটাকে এক সপ্তাহ কোনটাকে দুই সপ্তাহ ফলো করেছি।
কিন্তু তারপরে আবার বেক টু নরমাল লাইফ।
টাইম টেবিল ফলো করতে না পারার কারন হল এর স্টাকচার।
ভেবে দেখুন আপনি কি রমম টাইম টেবিল বানিয়েছিলেন ঠিক এরকম ভোর ৫ টায় ঘুম থেকে উঠা, ৫টা থেকে ৬ টা ফ্রেস হওয়া, ৬টা থেকে ৯টা পড়াশুনা করা, ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা গোসল করা ঠিক এরকম ভাবে ডট ডট আরও।
এভাবে টাইম টেবিল বানালে তা কখনো ফলো করা যায় না।
তো কিভাবে টাইম টেবিল বানাবো এর জন্য আপনাকে শুধু কতগুলো ম্যাজিক্যাল আইডিয়া ফলো করতে হবে।
তৈরি করুন শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার রুটিন এর নিয়ম –
ধাপ – ১ঃ
Make a list of your all subject: সবার আগে আপনাকে কতগুলো সাবজেক্ট আছে বা কতগুলো বিষয় আছে তাঁর একটা লিষ্ট তৈরি করে ফেলুন।
এবার একটি পেজে সেগুলোকে পরপর লিখে ফেলুন।
মনে করুন আপনাকে ৫টি সাবজেক্ট পড়তে হবে।
- আরও পড়ুনঃ নাসায় চাকরীর যোগ্যতা , আবেদন , ইন্টারভিউ এবং বেতন
- আরও পড়ুনঃ গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় বা নিঞ্জা টেকনিক
তো চলুন সেগুলিকে এরকম ভাবে লিখে ফেলুন, যেভাবে আমি নিচে লিখে দিচ্ছিঃ
- Bangla
- English
- Physics
- Chemistry
- Mathematics
আমি এই ৫টি সাবজেক্ট নিয়েই আপনাদেরকে একটি সুন্দর টাইম টেবিল তৈরি করে দেখাবো।
তো এই রকম সাবজেক্ট যাদের যাদের আছে তারা অবশ্যই এই টাইম টেবিলটিকে খুব ভালোভবে ফলো করতে পারেন।
আর যাদের এই সাবজেক্ট গুলো নেই তারা এগুলোর মাঝে অন্য সাবজেক্ট বসিয়ে তৈরি করতে পারেন এই টাইম টেবিল টি।
ধাপ – ২ঃ
Set a goal: লিষ্ট তৈরি করার পর এবার আপনাকে একটি গোল তৈরি করতে হবে।
আপনি দিনে মোট কত ঘন্টা পড়বেন সেটা ঠিক করে ফেলুন।
এখানে আমি মনে করলাম যে আমাকে দিনে ৮ ঘন্টা পড়তে হবে।
তাহলে এটাই হল আমার একটা গোল। অর্থাৎ আমি আমার রুটিনটিকে এমনভাবে সেট করব যেটা ৮ ঘন্টার রুটিন হবে।
ধাপ – ৩ঃ
Give priority: আপনার তালিকার মাঝে যে সাবজেক্ট গুলো আছে আর সেগুলোর মাঝে আপনি কোনগুলো কম পারেন বা কোন বিষয় গুলোতে একটু সময় বেশি দেয়া উচিৎ সেটা প্রথমে যাচাই করে নিন.
আর কোন সাবজেক্ট গুলো একটু কম পড়লেও বেশি ক্ষতি হবে না সেটাও বের করুন.
তো উপরের সাবজেক্টগুলোর মধ্যে বাংলা ও ইংলিশ একটু কম পড়লেও আমার বেশি ক্ষতি হবে না.
তাই এগুলোকে আমি একটু কম টাইম দিব।
- Bangla–(C ) যেহেতু বাংলা কম পড়লে সমস্যা হবে না তাই এর পাশে লিখে দিলাম সি।
- English–(C) যেহেতু ইংরেজি কম পড়লে সমস্যা হবে না তাই এর পাশে লিখে দিলাম সি।
- Physics –(B) যেহেতু ফিজিক্স একটু কম পারি তাই এর পাশে লিখে দিলাম বি।
- Chemistry –(B) যেহেতু কেমেষ্ট্রি একটু কম পারি তাই এর পাশে লিখে দিলাম বি।
- Mathematics –(A) যেহেতু অংক একেবারেই কম পাড়ি তাই এর পাশে লিখে দিলাম অ্যা।
ব্যস হয়ে গেলো আমার প্রায়োরিটি শেষ। এবার চলুন পরবর্তি ধাপ দেখা যাক।
পরের ধাপঃ শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার রুটিন –
ধাপ – ৪ঃ
Divide Time: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ধাপটি।
আপনাকে প্রতিটা বিষয় টাইমের সাথে মিল করে সাজাতে হবে।
- Bangla–(C ) যেহেতু বাংলা কম পড়লে সমস্যা হবে না তাই এর জন্য রাখলাম ১ ঘন্টা।
- English –(C) যেহেতু ইংরেজি কম পড়লে সমস্যা হবে না তাই এর জন্য রাখলাম ১ ঘন্টা।
- Physics — (B) যেহেতু ফিজিক্স একটু কম পারি তাই এর জন্য রাখলাম দেড় ঘন্টা।
- Chemistry –(B) যেহেতু কেমেষ্ট্রি একটু কম পারি তাই এর এর জন্য রাখলাম দেড় ঘুন্টা।
- ব্যাস কমপ্লিট হয়ে গেল আমার ৫ ঘন্টা বাকি যে তিন ঘন্টা থাকলো সেটা আমি দিলাম অংকে অর্থাৎ দিনে আমি ৩ ঘন্টা করে অংক করব।
- Mathematics –(A) যেহেতু অংকে একেবারেই কম পারি তাই এর জন্য রাখলাম ৩ ঘন্টা।
- আরও পড়ুনঃ নাসায় চাকরীর যোগ্যতা , আবেদন , ইন্টারভিউ এবং বেতন
- আরও পড়ুনঃ গুগলে চাকরী পাওয়ার সহজ উপায় বা নিঞ্জা টেকনিক
যেহেতু অংকে আমি প্রায়োরিটিটা একটু বেশি দিয়েছিলাম তাঁর টাইমটাও একটু বেশি দিলাম।
আপনিও যেটা একটু কম পারেন সেটাতে একটু বেশি টাইম দিয়ে দিন। এভাবেই নিজের টাইমটা সেট করে নিন।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আপনার পড়ার জন্য সুন্দর একটা টাইম টেবিল । প্রত্যেকদিন আপনি যখনি পড়তে বসবেন তখনি এই টাইম টেবিলটাকে ফলো করুন।
শেষ কথাঃ
এখন একটা কথা,
এখানে আপনি আপনার মন মত আপনার বিষয় সেট করে নিন অর্থাৎ আপনার যখন যে বিষয়টি পড়তে ভাল লাগে। সেটি আপনি নিদিষ্ঠ করে নিন। আমি এখানে এ বিষয়ে লিখলাম না কারন সবার মান মাইন্ড এক হয় না।
কারো সকালে অংক করতে ভালো লাগে তো কার রাতে তাই আপনার সুবিধা মত এই সময় গুলো কে আপনি সেট করে নিন যে, কখন আপনি কোন সবাজেক্ট পড়বেন। ধব্যবাদ।
উক্ত বিষয় সর্ম্পকে যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।