মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া ও মাসিকের আলামত সমূহ ।। পৃথিবীর বেশিরভাগ নারী প্রতিমাসে পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা অনুভব করেন। ব্যথাটি সাধারণত তলপেটে খিঁচ ধরে থাকা ব্যথার মতো অনুভূত হয়। তলপেটের সাথে সাথে এটি পিঠ, উরু, পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। পিরিয়ড চলাকালীন প্রায় পুরো সময়টা জুড়েই এ ব্যথা থাকে।
মাসিকের ব্যথা, যা ডিসমেনোরিয়া নামেও পরিচিত, একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেক মহিলা তাদের মাসিক চক্রের সময় অনুভব করেন। ব্যথা হালকা থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে এবং এটি বেশ কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে, যা মহিলাদের জন্য তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম করা কঠিন করে তোলে।
মাসিকের ব্যথায় অবদান রাখতে পারে এমন বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে। এ বিষয় বেশ কিছু আমল আছে যা পড়লে এবং পালন করলে দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠা সম্বাব।
- আরও পড়ুন:পড়া মনে রাখার দোয়া বাংলা
- আরও পড়ুন:রজব মাসের দোয়া
- আরও পড়ুন: শবে বরাতের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম
- আরও পড়ুন: বদনজর থেকে শিশুকে রক্ষার দোয়া
- আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির দোয়া আরবী
মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া ও মাসিকের আলামত সমূহ
দোয়া ১: আল আ’জীমু
আমল করার নিয়ম: প্রথমে ১ গ্লাস পানি নিবেন। তারপর ১ বার দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করবেন। তারপরে মহান আল্লাহর গুণবাচক সিফাতি নামটি ৭ বার পাঠ করবেন। তারপর পানিতে তিনবার ফু দিবেন।
তারপর আবার দরুদে ইব্রাহিম একবার পাঠ করবেন। এরপর বিসমিল্লাহ বলে সে পানি টা আপনি খেয়ে নেবেন। দেখবেন মুহূর্তের মধ্যে আল্লাহর রহমতে আপনার মাসিকের ব্যথা ভালো হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
দোয়া ২: ইয়া মুতাআল বা ইয়া মুতায়ালী
দোয়া ৩: লা’ ফীহা’ গওলুন ওয়া লা’হুম আনহা’ ইউনযাফূন।
আমল করার নিয়ম: আল্লাহ তাআ’লার উপর বিশ্বাস রেখে উক্ত আয়াতটি ৩/৭/১১ বার পাঠ করে ১ গ্লাস পানিতে ৩ বার ফু দিতে হবে। তারপর সেই পানি খেতে হবে। প্রতিদিন আমলটি করে পানি খাবেন যতদিন ব্যথা থাকবে।
মাসিকের ব্যাথা কমানোর দোয়া ও মাসিকের আলামত সমূহ
- প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস: এগুলো হল হরমোনের মতো পদার্থ যা মাসিকের সময় জরায়ুর আস্তরণে তৈরি হয়। প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনগুলো জরায়ুকে সংকুচিত করে, যা ক্র্যাম্পিং এবং ব্যথা হতে পারে।
- এন্ডোমেট্রিওসিস: এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে জরায়ুকে রেখাযুক্ত টিস্যু এর বাইরে বৃদ্ধি পায়। টিস্যু ডিম্বাশয়, ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং পেলভিক অঞ্চলের অন্যান্য অঙ্গগুলোতে বৃদ্ধি পেতে পারে, যা মাসিকের সময় ব্যথা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
- অ্যাডেনোমায়োসিস: এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে টিস্যু যা সাধারণত জরায়ুর অভ্যন্তরে রেখাযুক্ত থাকে তা জরায়ুর পেশীবহুল প্রাচীরে বৃদ্ধি পায়। এটি মাসিকের সময় ভারী রক্তপাত এবং গুরুতর ক্র্যাম্প হতে পারে।
- ফাইব্রয়েড: এগুলো অ-ক্যান্সার বৃদ্ধি যা জরায়ুতে বিকাশ লাভ করে। তারা মাসিকের সময় ভারী রক্তপাত এবং ক্র্যাম্পিং হতে পারে।
- পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ (PID): পিআইডি হল ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট প্রজনন অঙ্গের একটি সংক্রমণ। এটি মাসিকের সময় ব্যথা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে, সেইসাথে অন্যান্য উপসর্গ যেমন জ্বর, বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে।
- ডিম্বাশয়ের সিস্ট: এগুলো তরল-ভরা থলি যা ডিম্বাশয়ে বিকাশ লাভ করে। ঋতুস্রাবের সময় তারা ফেটে গেলে বা মোচড় দিলে ব্যথা এবং অস্বস্তি হতে পারে।
- থাইরয়েড ব্যাধি: থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে এবং মাসিকের সময় ব্যথা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
- স্ট্রেস: উচ্চ মাত্রার স্ট্রেস হরমোনের ভারসাম্যহীনতার দিকে পরিচালিত করতে পারে, যা মাসিকের ব্যথা শুরু করতে পারে।
- অন্তঃসত্ত্বা ডিভাইস (IUDs): এইগুলো গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ করার জন্য জরায়ুতে ঢোকানো ছোট ডিভাইস। তারা মাসিকের সময় ক্র্যাম্পিং এবং ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত সন্নিবেশের পর প্রথম কয়েক মাসে।
- সার্ভিকাল স্টেনোসিস: এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে সার্ভিকাল খোলার অংশ সরু হয়, যা জরায়ু থেকে মাসিকের রক্ত প্রবাহকে কঠিন করে তোলে। এটি মাসিকের সময় ব্যথা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।