ব্যবসা সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম | অধ্যায় ৭ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৩১-৩৫: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্রের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রশ্নঃ ৩১ খুলনা শহরের সুপ্রতিষ্ঠিত কাগজ কলের কর্মীরা খুলনা এবং এর পাশ্ববর্তী এলাকায় বসবাস করেন। খুলনা শহরে বাড়িভাড়া খুবই চড়া। মাস শেষে এসব কর্মী যে বেতন পান তা দিয়ে সংসার চালানো খুবই সমস্যা হয়। প্রতিষ্ঠানের মালিক নাসির সাহেব বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং কর্মীদের প্রেষণাদানের লক্ষ্যে এক আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করেন। পরবর্তী সপ্তাহে নাসির সাহেব লক্ষ্য করেন এতে কর্মীদের মনোভাবের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। [জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক. শ্রম-ঘর্ণায়মানতা কী? ১
খ. প্রেষণাচক্রে উদ্দীপক শনাক্তকরণ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে গৃহীত প্রেষণা কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তুমি কোন ধরনের প্রেষণা দান পদ্ধতির সুপারিশ করবে? বিবরণ দাও। ৪
৩১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের চাকরির স্থায়িত্ব কম হওয়া বা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে কর্মীদের দ্র–ত চলে যাওয়াকে শ্রম-ঘর্ণায়মানতা বলে।
খ উত্তরঃ প্রেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো (অভাব, তাড়না, অভাব পরণ ও সন্তুষ্টি অর্জন) পর্যায়ক্রমে সম্পাদন ও চলমান থাকাকে প্রেষণা চক্র বলে। উদ্দীপক হলো কর্মীদের চাহিদা বা অভাব দর করার জন্য উদ্দীপনা বা প্রণোদনা সৃষ্টিকারী উপাদান। একেকজন মানুষের অভাব বা চাহিদা এক এক রকম।
তাই আগে একজন ব্যক্তির অভাব কী তা চিহ্নিত করতে হবে। পরে তা দর করার ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন : একজন ব্যক্তির ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য অর্থের প্রয়োজন তার জন্য অনার্থিক উপায় ভালো ফল দিতে পারে না। তাই কর্মীকে প্রেষিত করতে হলে আগে উদ্দীপক শনাক্তকরণ করতে হবে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে গৃহীত প্রেষণাটি হলো অনার্থিক প্রেষণা। কর্মীদের কাজে প্রণোদিত করার জন্য অর্থের বাইরে ব্যবহৃত উদ্দীপকগুলো হলো অনার্থিক প্রেষণা। সুষ্ঠু কার্য পরিবেশ, উত্তম ব্যবহার, ভালো কাজের প্রশংসা, প্রশিক্ষণ প্রভৃতি অনার্থিক প্রেষণার অন্তর্গত।
উদ্দীপকে খুলনা শহরে সুপ্রতিষ্ঠিত কাগজ কলের কর্মীরা খুলনা এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাস করেন। তারা যেখানে থাকেন সেখানে বাড়িভাড়া খুবই চড়া। কর্মীরা প্রতিষ্ঠান থেকে যে বেতন পান তা দিয়ে সংসার চালানোই কঠিন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক নাসির সাহেব তাদের সমস্যা বুঝতে পেরে তাদের প্রেষণাদানের লক্ষ্যে এক আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করেন। এতে তাদের কোনো বাড়তি অর্থ প্রাপ্তি ঘটবে না। কিন্তু তারা বিনোদনের মাধ্যমে প্রেষিত হবে। তাই বলা যায়। উদ্দীপকে গৃহীত প্রেষণাটি হলো অনার্থিক প্রেষণা।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমি আর্থিক প্রেষণাদান পদ্ধতির সুপারিশ করবো। অর্থ সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কর্মীকে কাজের প্রতি উৎসাহিত করাই হলো আর্থিক প্রেষণা। ন্যায্য বেতন, বোনাস, পদোন্নতি, যাতায়াত ভাতা ইত্যাদি প্রদান আর্থিক প্রেষণার অন্তর্গত।
উদ্দীপকে খুলনা শহরের সুপ্রতিষ্ঠিত কাগজ কলের কর্মীরা যেখানে বসবাস করেন সেখানে বাড়ি ভাড়া অনেক বেশি। তারা প্রতিষ্ঠান থেকে যে বেতন পান তা দিয়ে তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। তাদের এ সমস্যা বুঝতে পেরে প্রতিষ্ঠানের মালিক তাদের জন্য এক আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করেন। এতে কর্মীদের মনোভাবের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি বরং আরো সমস্যা বাড়ে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের মালিকের উচিত কর্মীদের আর্থিক প্রেষণা (বেতন, বোনাস) প্রদান করা। এর মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য বাড়বে। কর্মীরা মনোযোগ সহকারে কাজ করবে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়বে এবং কর্মীদের বিদ্যমান সমস্যা দর হবে। তাই আমি মনে করি, উদ্দীপকে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য আর্থিক প্রেষণাই উত্তম।
প্রশ্নঃ ৩২ ‘আবাহন লি. কোম্পানি একটি আন্তর্জাতিক মানের ঔষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান নানাবিধ সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু কর্মীরা সবসময় চাকরির নিরাপত্তাজনিত অনিশ্চয়তায় ভোগে। যার কারণে ভালো সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও কর্মীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বিষয়টি নিয়ে আবাহন লি. কোম্পানি তার কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। [যশোর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. প্রেষণার ভিত্তি কী? ১
খ. হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান তত্তের রক্ষণাবেক্ষণ উপাদান বলতে কী বোঝায়? ২
গ. আবাহন লি. কর্মীদের কী ধরনের প্রেষণা প্রদান করে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. কী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আবাহন লি. এ প্রতি কর্মীদের আকর্ষিত করা যাবে বলে তুমি মনে করো? যুক্তি দাও। ৪
৩২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রেষণার ভিত্তি হলো অভাব।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের যেসব উপাদানের অনুপস্থিতিতে কর্মীদের মধ্যে অসন্তুষ্টি হয় কিন্তু উপস্থিতিতে অনুপ্রাণিত হন না তাকে ফ্রেডারিক আরভিং হার্জবার্গের(ঋৎবফবৎরপশ ওৎারহম ঐবৎুনবৎম) দ্বি-উপাদান তত্তের রক্ষণাবেক্ষণমলক উপাদান বলে।
রক্ষণাবেক্ষণকারী উপাদান কর্মীর কাজের সাথে সম্পৃক্ত। কর্ক উত্তরঃ ্ষেত্রে এ উপাদানাগুলোর (প্রতিষ্ঠানের নীতি ও প্রশাসন, বেতন, কার্য পরিবেশ, পদমর্যাদা, নিরাপত্তা প্রভৃতি) উপস্থিতিতে কর্মীরা নিরপেক্ষ অবস্থায় থাকেন। কিন্তু অনুপ্রাণিত বোধ করেন না। কারণ তারা এগুলোকে তাদের প্রাপ্ত মনে করেন। তবে উক্ত উপাদানগুলোর অনুপস্থিতিতে কর্মীর মাঝে অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়।
গ উত্তরঃ আবাহন লি. কর্মীদের আর্থিক প্রেষণা প্রদান করে। অর্থ বা অর্থসংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কর্মীকে কাজের প্রতি উৎসাহিত করাই হলো আর্থিক প্রেষণা। ন্যায্য বেতন, বোনাস ও যাতায়াত ভাতা প্রদান প্রভৃতি আর্থিক প্রেষণার উদাহরণ। এই ধরনের প্রেষণা প্রদানের মাধ্যমে কর্মীকে কাজের আগ্রহী ও মনোযোগী করে তোলা যায়। উদ্দীপকে আবাহন লি. কোম্পানি একটি আন্তর্জাতিক মানের ঔষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের ব্যাপারে খুবই যতœশীল। প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের কাজের প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্য তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান নানাবিধ সুবিধা দিয়ে থাকে। এই সুযোগ-সুবিধাগুলো অর্থের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই বলা যায়, আবাহন লি. কর্মীদের আর্থিক প্রেষণা প্রদান করে।
ঘ উত্তরঃ আমি মনে করি অনার্থির প্রেষণার মাধ্যমে আবাহন লি. এর প্রতি কর্মীদের আকর্ষিত করা যাবে। কর্মীকে প্রণোদিত করার জন্য অর্থের বাইরে ব্যবহৃত উদ্দীপকগুলো হলো অনার্থিক প্রেষণা। সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা, উত্তম ব্যবহার প্রভৃতি অনার্থিক প্রেষণার উপাদান। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজের প্রতি আগ্রহী করার জন্য আর্থিক প্রেষণার পাশাপাশি অনার্থিক প্রেষণাও প্রদান করতে হবে।
উদ্দীপকে আবাহন লি. কোম্পানি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের সব ধরনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তাজনিত অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়। যার কারণে ভালো সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও কর্মীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বিষয়টি নিয়ে আবাহন লি. কোম্পানি তার কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের প্রতিষ্ঠানে ধরে রাখার জন্য আর্থিক প্রেষণার পাশাপাশি অনার্থিক প্রেষণাও দিতে হবে। এক্ষেত্রে কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের (কর্ম পরিবেশ, কাজের প্রশংসা, বিনোদন ইত্যাদি) সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
এছাড়াও তাদের মতামত গ্রহণ করা হলে তারা প্রতিষ্ঠানে নিজেদের গুরুত্বপর্ণ মনে করবে। ফলে কর্মীরা নির্বিঘেœ ও স্বাচ্ছন্দে কাজ করবে এবং কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে। তাই আমি মনে করি অনার্থিক প্রেষণার মাধ্যমে আবাহন লি. এর প্রতি কর্মীদের আকৃষ্ট করা যাবে।
প্রশ্নঃ ৩৩ প্রযুক্তি দুনিয়ার অধিকাংশ মেধাবীর প্রথম পছন্দ গুগল কর্পোরেশন। গুগলের বিশাল হেড কোয়ার্টার আর তার কার্য পরিবেশ এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ। অধস্তনের সাথে নির্বাহীর সম্পর্ক ও সহকর্মীদের সাথে সুঃসম্পর্ক সবাইকে একসত্রে গ্রথিত করে। তাছাড়া সেখানে কর্মীরা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যথেষ্ট সময় পেয়ে থাকেন। তাই তারা সন্তুষ্ট থাকেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের গাজীপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় দুই মাস বেতন বকেয়া থাকায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে আন্দোলন করছেন। [বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. অগ্রিম কী? ১
খ. প্রেষণা কীভাবে শ্রম-ঘর্ণায়মানতা হ্রাস করে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকটি দ্বি-উপাদান তত্তের কোন উপাদানের সাথে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘প্রেষণার ফল আচরণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়’ উদ্দীপকের আলোকে যৌক্তিক বিশ্লেষণ করো। ৪
৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ ভবিষ্যৎ পাওনা অর্থ কর্মীকে আগেই প্রদান করাকে অগ্রিম বলে।
খ উত্তরঃ কাজের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রেষণা শ্রম-ঘর্ণায়মানতা কমায়। সকল শ্রমিকই শ্রমের বিনিময়ে উপযুক্ত ও ন্যায্য মজুরি প্রত্যাশা করে। এরপ ন্যায্য মজুরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রেষণা ভ‚মিকা রাখে।
কেননা প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীদের আর্থিক ও অনার্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়। এতে কর্মীরা কাজের প্রতি অধিক আগ্রহী হয়ে ওঠে। এর ফলে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের প্রতি ঝোঁক কমে যায়। এতে শ্রম ঘর্ণায়মাতনা হ্রাস পায়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি দ্বি-উপাদান তত্তের রক্ষণাবেক্ষণমলক উপাদানের সাথে সম্পর্কিত।এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলোর অনুপস্থিতিতে কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি করে যেগুলোই হলো রক্ষণাবেক্ষণমলক উপাদান। কোম্পানির প্রতিটি সহকর্মীদের সাথে সম্পর্ক, অধস্তনদের সাথে নির্বাহীর সম্পর্ক, বেতন, চাকরির নিরাপত্তা, পদমর্যাদা প্রভৃতি রক্ষণা-বেক্ষণমলক উপাদানের অন্তর্গত।
উদ্দীপকে গুগলকে বিশাল হেড কোয়ার্টার হিসেবে অখ্যায়িত করা হয়েছে। এটির কাজের পরিবেশও অসাধারণ। এখানে অধস্তনদের সাথে নির্বাহীর সম্পর্ক ও সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে; যা সবাইকে একসত্রে গ্রথিত করে। এ ধরনের পরিবেশই কর্মীরা প্রত্যাশা করে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের গাজীপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় দুই মাস বেতন বকেয়া থাকায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে আন্দোলন করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি কর্মীরা আশা করে না। এতে তারা অসন্তুষ্ট হয়। এসব বৈশিষ্ট্য হার্জবার্গের রক্ষণাবেক্ষণমলক উপাদানের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি দ্বি-উপাদান তত্তের রক্ষণাবেক্ষণমলক উপাদানের সাথে সম্পর্কিত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মতোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ফ্রেডারিক আরভিং হার্জবার্গ (ঋৎবফবৎরপশ ওৎারহম ঐবৎুনবৎম) দ্বি-উপাদান তত্তের (ঞড়ি ঋধপঃড়ৎং ঞযবড়ৎু) প্রবক্তা। তিনি মানুষের চাহিদাকে দুই ধরনের উপাদানে বিভক্ত করেছেন। যা নিæে দেওয়া হলো :
১. প্রেষণা দানকারী উপাদান (গড়ঃরাধঃরড়হধষ ভধপঃড়ৎং) : সাফল্য অর্জন, স্বীকৃতি, দায়িত্ব।
২. রক্ষণাবেক্ষণকারী উপাদান (ঐুমরবহব ভধপঃড়ৎং) : বেতন, পদমর্যাদা কার্য পরিবেশ।
ঘ উত্তরঃ “প্রষণার ফল আচরণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়” উক্তিটি যথার্থ। প্রেষণা কর্মীদের মানে কাজের প্রতি উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমের কর্মীরা কাজের প্রতি আগ্রহ ও মনোবল বাড়ে। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব।
উদ্দীপকে গুগলকে বিশাল এক হেড কোয়ার্টারের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্বাহীর সাথে অধস্তনদের সম্পর্ক স্থাপন করা যায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের গাজীপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় দুই মাসের বেতন বকেয়া থাকায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে আন্দোলন করছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রেষিত করতে হবে। কারণ প্রেষণার ফলে আচরণের দ্বারা প্রকাশিত হয়। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায় কর্মীদের প্রেষণা (বেতন) না দেওয়ায় কর্মীদের আচরণে বিরপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
তাই এই বিরপ প্রতিক্রিয়া রোধে কর্মীদের বেতন পরিশোধ করতে হবে, যা প্রেষণার অন্তর্ভুক্ত। তাই উদ্দীপকের আলোকে বলা যায়, প্রেষণার ফল মানুষের আচরণের দ্বারা প্রকাশিত হয় উক্তিটি যথার্থ।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্নঃ ৩৪ শান্তিপর্ণ গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভাব বোধ করেছেন। গ্রামের সকল শ্রেণির মানুষ বিষয়টি নিয়ে এতদিন কথা বললেও নিজেরা সংগঠিত হতে পারেনি। গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি মি. ‘ক’ বিষয়টি উপলব্ধি করে এগিয়ে আসেন। তিনি তার প্রজ্ঞা দিয়ে সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হন এবং সংগঠিত হওয়ার জন্য আহŸান জানান। তার মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সবাই তার নির্দেশনা মেনে চলেন। অন্যদিকে ঢাকার ইউনিভার্সাল পাবলিকেশন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক যে কোনো সিদ্ধান্ত কর্মীদের সাথে আলোচনা করে গ্রহণ করেন। সম্প্রতি কর্মীদের দুপুরের খাবারের সমস্যা সমাধানের জন্য কর্মীদের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে একটি ক্যান্টিন স্থাপন করেন যেখান থেকে কর্মীরা বিনামল্যে খাবার গ্রহণ করতে পারবেন। [বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. কর্মীকেন্দ্রিক নেতৃত্ব কী? ১
খ. আপর্ণতার চাহিদা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মি. ‘ক’ কোন ধরনের নেতৃত্বের উদাহরণ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. তুমি কি মনে করো ইউনির্ভার্সাল পাবলিকেশন-এর ক্যান্টিন স্থাপন শ্রমিকদের ইতিবাচকভাবে প্রেষিত করবে? উদ্দীপকের আলোকে যৌক্তিক মতামত দাও। ৪
৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ যে নেতৃত্বে নেতা কাজের পাশাপাশি কর্মীদের মানসিক দিকটি আগে বিবেচনা করেন এবং সহানুভ‚তির মাধ্যমে কর্মীদের কাছ থেকে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন তাকে কর্মীকেন্দ্রিক নেতৃত্ব বলে।
খ উত্তরঃ কৃতিত্ব অর্জনের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছানোর আকাক্সক্ষাকেই আপর্ণতার চাহিদা বলে। চাহিদা সোপান তত্তের শীর্ষ স্তর হলো আপর্ণতার চাহিদা। এটি ব্যক্তির সর্বোচ্চ স্তরের চাহিদা। এ পর্যায়ে উন্নীত ব্যক্তি নিজের সৃজনশীলতা ও বিশেষ গুণের বিকাশ ঘটিয়ে খ্যাতি অর্জনে সচেষ্ট হন। যা তাকে দেশ ও সমাজে পরিচিত করে তোলে। বাস্তবে এ স্তরের চাহিদার কোনো শেষ নেই।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের মি. ‘ক’ অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব প্রদান করেন। নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন অনুসরণ না করে শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব গড়ে ওঠে। একসাথে চলতে গিয়ে কেউ কেউ অন্যদের কাছে শ্রদ্ধাভাজন হতে পারেন।
এ ধরনের ব্যক্তি অন্যদের যে কোনো কাজে পরিচালিত করতে পারেন। উদ্দীপকের শান্তিপুর গ্রামের মানুষ একটি বিদ্যালয়ের অভাববোধ করছেন। কিন্তু তারা কখনও সংগঠিত হয়ে পারেননি। এমতাবস্থায় গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি মি. ‘ক’ এগিয়ে এলেন। তিনি সবাইকে সংগঠিত করলেন।
সবাই তাকে শ্রদ্ধা করেন। এজন্য তার নির্দেশ তারা মান্য করলেন। এখানে মি. ‘ক’-এর সাংগঠনিক কোনো ক্ষমতা নেই। তারপরও তিনি অন্যদের পরিচালিত করতে পারছেন। তাই বলা যায়, মি. ‘ক’ -এর নেতৃত্ব অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্বের উদাহরণ।
ঘ উত্তরঃ আমি মনে করি ইউনিভার্সাল পাবলিকেশন-এর ক্যান্টিন স্থাপন শ্রমিকদের ইতিবাচকভাবে প্রেষিত করবে উক্তিটি যৌক্তিক।অর্থ সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কর্মীকে কাজের প্রতি উৎসাহিত করাই হলো আর্থিক প্রেষণা। এ ধরনের প্রেষণার মাধ্যমে কর্মীদের ইতিবাচকভাবে প্রেষিত করা যায়। ন্যায্য বেতন, বোনাস, পদোন্নতি, যাতায়াত ভাতা, ক্যান্টিন সুবিধা ইত্যাদি প্রদান আর্থিক প্রেষণার অন্তর্গত।
উদ্দীপকে ঢাকার ইউনিভার্সাল পাবলিকেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। সম্প্রতি আলোচনার মধ্যে কর্মীদের দুপুরের খাবারের সমস্যা সমাধানের জন্য কর্মীদের কাছ থেকে প্রস্তাব আসে।
উক্ত প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি ক্যান্টিন স্থাপন করা হয়, যেখানে কর্মীরা বিনামল্যে খাবার গ্রহণ করতে পারবেন। কর্মীরা ক্যান্টিন সুবিধা পেয়ে আর্থিকভাবে উপকৃত হবে। তাদের দৈনন্দিন খরচ কমে আসবে। এতে মানসিকভাবে প্রতিষ্ঠানের প্রতি ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হবে।
কর্মীরা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠানের অংশ মনে করবে। ফলে তাদের কাজের গতি বাড়বে। এতে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতাও বেড়ে যাবে। তাই আমি মনে করি, উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে ক্যান্টিন স্থাপনের মাধ্যমে শ্রমিকদের ইতিবাচকভাবে প্রেষিত করা যাবে।
প্রশ্নঃ ৩৫ লিটন সাহেব একজন ব্যবস্থাপক। তিনি বিশ্বাস করেন কর্মীরা নিজেদের প্রয়োজনে কাজ করে। কারণ তারা কাজ করতে ভালবাসে। অন্য দিকে রাজন নামে একজন ব্যবস্থাপক বিশ্বাস করেন যে, কর্মীদের যতই সুযোগ সুযোগ সুবিধা দেয়া হোক তারা কাজ করতে চায় না। তাদের ওপর কোন না কোন শাস্তি প্রয়োগ বাধ্যতামলক। তবে তুলনামলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, লিটন সাহেব তার কর্মীদের থেকে রাজন অপেক্ষা অধিক কাজ আদায় করেন। [বিসিআইসি কলেজ, ঢাকা]
ক. ব্যতিক্রম নীতি কি? ১
খ. ভারসাম্যের নীতি বলতে কী বুঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে লিটন সাহেবের বিশ্বাসী তত্ত কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে লিটন সাহেব ও রাজন সাহেবের প্রেষণার তত্তের তুলনামলক বিশ্লেষণ করো। ৪
৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ ব্যবস্থাপনার অধিক গুরুত্বপর্ণ কাজে কোনো বিচ্যুতির সম্ভাবনা দেখা দিলে অধস্তনের স্থলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরাসরি হস্তক্ষেপ করলে তাকে ব্যতিক্রমের নীতি বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিটি ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগীয় কাজের মধ্যে সমতা বিধান এবং সমতালে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য সৃষ্টিকে ভারসাম্যের নীতি বলে।এক্ষেত্রে কর্মীর কর্মদক্ষতা, অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ দেয়া হয়। বিভিন্ন বিভাগ ও উপবিভাগের কাজের ধরন ও আকৃতি অনুসারে কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়।
যাতে সব বিভাগে কাজের সমতা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে কোনো বিভাগের কাজের চাপ কম হলে সেখানে কাজের চাপ অনুযায়ী শ্রমশক্তি রেখে ভারসাম্য আনতে হবে।
গ উত্তরঃ লিটন সাহেবের বিশ্বাসী তত্তটি ডগলাস মারে ম্যাকগ্রেগর এর তত্ত। এ তত্তে কর্মীদের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা লক্ষণীয়। এক্ষেত্রে মনে করা হয় কর্মীরা কাজ পছন্দ করে। তাঁরা অন্য পাঁচটি কাজের মতো প্রতিষ্ঠানের কাজকেও সাধারণভাবে গ্রহণ করে। তারা স্ব-উদ্যোগেই কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠান শুধু কর্মীদের কাজের পরিবেশ তৈরি করে দেয়।
উদ্দীপকের লিটন সাহেব একজন ব্যবস্থাপক। তিনি বিশ্বাস করেন কর্মীরা নিজেদের প্রয়োজনে কাজ করে। তারা কাজ করতে ভালবাসে। তাই তিনি কর্মীর কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানে কাজের পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন। এত কর্মীরা নিজ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে। লিটন সাহেবের কার্যক্রম ডগলাস ম্যাকগ্রেগরের ু তত্তের সাথে মিলে যায়। তাই বলা যায় লিটন সাহেবে বিশ্বাসী তত্তটি তত্ত।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে লিটন সাহেব ু তত্ত এবং রাজন সাহেব তত্ত অনুসরণ করেন। ডগলাস ম্যাকগ্রেগর এরপ তত্তের উদ্ভাবক। এ ধরনের তত্তে মানব প্রকৃতি বিষয়ে দুটি ভিন্নধর্মী ধারণা তুলে ধরা হয়েছে। তত্তে কর্মীদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা লক্ষণীয়। যেখানে কর্মীরা সাধারণত কাজ অপছন্দ করে।
অন্য দিকে তত্তে ইতিবাচক ধারণা লক্ষণীয়। এখানে কর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবেই কাজ করে থাকে। উদ্দীপকে লিটন সাহেব একজন ব্যবস্থাপক। তিনি বিশ্বাস করেন কর্মীরা নিজেদের প্রয়োজনে কাজ করে। কারণ তারা কাজ করতে ভালবাসে।
অন্য দিকে রাজন নামে একজন ব্যবস্থাপক বিশ্বাস করেন যে, কর্মীরা যতই সুবিধা পাক না কেন, তারা কাজ করতে চায় না। তাদের ওপর চাপ বা শাস্তি প্রয়োগ করতে হয়।লিটন সাহেব ু তত্ত বিশ্বাস করেন। যেখানে কর্মীরা কাজ করতে পছন্দ করে। অন্যান্য কাজের মতো প্রতিষ্ঠানের কাজকে সহজ মনে করে।
প্রতিষ্ঠান শুধু তাদের কাজের পরিবেশ তৈরি করে দিলেই হয়। কর্মী নিজের দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করে থাকে। অন্যদিকে রাজন সাহেব বিশ্বাস করেন কর্মীরা স্বভাবতই কাজ অপছন্দ করে। যা ী তত্তের বহিঃপ্রকাশ। এখানে তিনি কর্মীকে কাজ আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
এতে কর্মীরা কাজের প্রতি অনাগ্রহী হয়ে পড়ে। ফলে প্রতিষ্ঠান তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না। আর ী তত্তে কর্মীর সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা করে তাদের সহানুভ‚তি দেয়া হয়। এতে তারা প্রতিষ্ঠানের কাজ সঠিকভাবে করে। ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য সহজে অর্জন সম্ভব হয়। তাই লিটন সাহেব রাজন সাহেবের থেকে বেশি কাজ আদায় করতে পারেন।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।