ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৮ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৩৬-৪০ | PDF: ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের অষ্টম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্রের অষ্টম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্নঃ ৩৬ জনাব রাকিব তার জুতা তৈরির কারখানার সংখ্যা বাড়িয়েছেন। ঢাকায় বসেই তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় বস্থিত তার শো-রুগ উত্তরঃ ুলোর পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। হঠাৎ একদিন উৎপাদন সম্পর্কিত একটি সমস্যা নিয়ে তার সব বিভাগীয় প্রধানদের সাথে মিটিং করার প্রয়াজন পড়ে। তাও আবার তাৎক্ষণিকভাবে।
[সরকারি ইয়াসিন কলেজ, ফরিদপুর]
ক. ই-মেইল কী? ১
খ. তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি কীভাবে বিশ্বকে গ্রামে পরিণত করেছে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে উদ্ভ‚ত সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে কোন যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবহার করে সমাধানের জন্য মিটিং করা সম্ভব? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব রাকিবের ব্যবসায় সম্প্রসারণের পেছনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভ‚মিকা নিরূপণ করো। ৪
৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ এক কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ন্য কম্পিউটার বা মোবাইলে তথ্য আদান-প্রদানকে ই-ইমেল (ঊ-সধরষ) বলে।
সহায়ক তথ্য শব্দটি ইংরেজি ঊষবপঃৎড়হরপ সধরষ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ।
খ উত্তরঃ ইন্টারনেট নির্ভর যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান ও যোগাযোগের আধুনিক ব্যবস্থাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। গ্রামের মানুষ মানেই কাছের মানুষ। ওঈঞ -এর মাধ্যমে কাছের ও দূরের পার্থক্য মুছে গেছে। এর বিভিন্ন (টেলিভিশন, ফোন, ইন্টারনেট, ই-মেইল, টেলি কনফারেন্স) মাধ্যম তথ্য বিনিময়কে সহজ করেছে। এছাড়া এর মাধ্যমে দূরে থেকেও পরস্পরকে দেখা-শোনা ত্যন্ত সহজ হয়েছে। তাই বলা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্বকে গ্রামে পরিণত করেছে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে উদ্ভ‚ত সমস্যা সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগের টেলিকনফারেন্সিং মাধ্যম ব্যবহার করে মিটিং করা সম্ভব। এ পদ্ধতিতে টেলিফোন সংযোগের মাধ্যমে ভৌগোলিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে থাকা ব্যক্তিরা তথ্য বিনিময় বা আলাপ-আলোচনা করে থাকেন। এটি দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন: ডিও কনফারেন্স এবং ভিডিও কনফারেন্স।উদ্দীপকের জনাব রাকিব তার জুতা তৈরির কারখানার সংখ্যা বাড়িয়েছেন।
ঢাকায় বসেই তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় বস্থিত তার শো-রুগ উত্তরঃ ুলোর পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। হঠাৎ একদিন উৎপাদন সম্পর্কিত একটি সমস্যা নিয়ে তার সব বিভাগীয় প্রধানদের সাথে মিটিং করার প্রয়োজন পড়ে। তাও আবার তাৎক্ষণিকভাবে। এ বস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য তার টেলিকনফারেন্স মাধ্যম ব্যবহার করা উত্তম। এতে তিনি দ্রুত সব বিভাগীয় প্রধানদের সাথে মিটিং করতে পারবেন। ফলে ব্যয় ও সময় কম লাগবে।
এছাড়া তিনি চাইলে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে একে পরকে দেখে আলোচনা করতে পারবেন। ফলে উদ্ভ‚ত সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে উদ্ভ‚ত সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগের টেলিকনফারেন্সিং মাধ্যম ব্যবহার করাই উত্তম।
ঘ উত্তরঃ জনাব রাকিবের ব্যবসায় সম্প্রসারণের পেছনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভ‚মিকা ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেট নির্ভর যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য বিনিময় ও যোগাযোগের আধুনিক ব্যবস্থাই হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। এটি ছাড়া আধুনিক প্রতিযোগিতাপূর্ণ ব্যবসায় কার্যক্রম কল্পনাই করা যায় না। উদ্দীপকের জনাব রাকিব তার জুতা তৈরির কারখানায় সংখ্যা বাড়িয়েছেন।
ঢাকায় বসেই তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় বস্থিত তার শো- পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। হঠাৎ একদিন উৎপাদন সম্পর্কিত একটি সমস্যা নিয়ে তার সব বিভাগীয় প্রধানদের সাথে মিটিং করার প্রয়োজন পড়ে। তাও আবার তাৎক্ষণিকভাবে। এতে তিনি তার ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারে, যা তার ব্যবসায় সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি এক স্থানে বস্থান করে তার সব শো-রুম সহজেই পরিচালনা করতে পারেন। ফলে তার সময় ও খরচ কম লাগে।
এমনকি এর মাধ্যমে তিনি সঠিকভাবে তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হন। এছাড়া একত্রে সবার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। ফলে সবার মতামত নেয়া সম্ভব। এতে সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়। সর্বোপরি এর মাধ্য তিনি ব্যবসায় সহজে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, যা তার ব্যবসায় সম্প্রসারণে সাহায্য করেছে। সুতরাং, জনাব রাকিবের ব্যবসায় সম্প্রসারণের পেছনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভ‚মিকা ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ ৩৭ ফয়সাল সাহেব একজন ব্যবসায়ী। তিনি বসর সময়ে ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। টিভিতে দুবাইয়ে নুষ্ঠিত বাংলাদেশের বাণিজ্য মেলার ওপর একটি প্রতিবেদন দেখাচ্ছিল। ফয়সাল সাহেব সেখানে ‘পারটেক্স কর্পোরেশন’ নামের একটি কোম্পানির পণ্য বিক্রয়ের পরিমাণ জানতে পেরে বেশ চমৎকৃত হলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ মনে মনে তার নিজ জেলায় ওই কোম্পানির পরিবেশক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
[কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ]
ক. ব্যবসায় যোগাযোগ কী? ১
খ. যোগাযোগ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের ঘটনা দ্বারা কোন ধরনের যোগাযোগ সংঘটিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. পারেটক্স কর্পোরেশনের সাথে ফয়সাল সাহেবের ব্যবসায় যোগাযোগ সম্পন্ন হওয়া নির্ভর করে ফলাবর্তনের ওপর-মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই করো। ৪
৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ ব্যবসায় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানকে ব্যবসায় যোগাযোগ বলা হয়।
খ উত্তরঃ দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে তথ্য বা সংবাদ আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াই হলো যোগাযোগ।মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য বা ভাবের আদান-প্রদানের প্রয়োজন হয়। টেলিফোন, ফ্যাক্স, ই-মেইল, চিঠি, ইশারা, আকার-ইঙ্গিত এই মাধ্যগ উত্তরঃ ুলো ব্যবহার করে আদান-প্রদান হয়ে থাকে। এভাবে ব্যক্তি নিজের মনের ভাব পরের কাছে জানিয়ে থাকে, একেই বলা হয় যোগাযোগ।
গ উত্তরঃ টিভির সাহায্যে তথ্য প্রেরণ করায় উদ্দীপকের ঘটনা দ্বারা গণযোগাযোগ সংঘটিত হয়েছে।বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা জনগণের কাছে দ্রুত তথ্য পাঠানোর ব্যবস্থা হলো গণযোগাযোগ। এতে সবার কাছে একই সংবাদ একই সময়ে পৌঁছানো যায়। রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র, ক্ষুদে বার্তা (ঝগঝ) এই মাধ্যগ উত্তরঃ ুলো গণযোগাযোগে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।উদ্দীপকে ব্যবসায়ী ফয়সাল সাহেব ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন।
>
টিভিতে দুবাইয়ে নুষ্ঠিত বাংলাদেশের বাণিজ্য মেলার ওপর একটি প্রতিবেদন দেখাচ্ছিল। সেখানে ‘পারটেক্স কর্পোরেশন’ কোম্পানির বিক্রয়ের পরিমাণ জানতে পেরে তিনি চমৎকৃত হলেন, টিভিতে এ খবরটি প্রচারিত হওয়ায় ফয়সাল সাহেব বাংলাদেশে বস্থান করে তথ্যটি জানতে পেরেছেন।এছাড়া ঐ সময়ে যারা প্রতিবেদনটি দেখছিলেন, সবাই একই সময়ে তথ্যটি পেয়েছেন। র্থাৎ ‘পাটেক্স কর্পোরেশন’ একই সংবাদ একই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছে। এ ধরনের বৈশিষ্ট্যের সাথে গণযোগাযোগের মিল রয়েছে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের ঘটনায় গণযোগাযোগ সংঘটিত হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ ‘পারটেক্স কর্পোরেশনের’ সাথে ফয়সাল সাহেবের ব্যবসায় যোগাযোগ সম্পন্ন হওয়া নির্ভর করে ফলাবর্তনের (ঋববফনধপশ) ওপর মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রেরকের সংবাদের বিপরীতে প্রাপকের সাড়া প্রদানই হলো ফলাবর্তন। এর মাধ্যমে প্রেরক প্রাপকের মনোভাব সম্পর্কে জানতে পারে। যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে গতিশীল রাখে এটি।
উদ্দীপকে ফয়সাল সাহেব টিভির মাধ্যমে ‘পারটেক্স কর্পোরেশন’ কোম্পানির বিক্রয়ের পরিমাণ জেনে চমৎকৃত হয়েছেন। তখনই সিদ্ধান্ত নিলেন নিজ জেলায় ওই কোম্পানির পরিবেশক হওয়ার। এক্ষেত্রে তার ‘পারেটক্স কর্পোরেশন’-এর কাছে তথ্য প্রেরণের প্রয়োজন হবে। এর বিপরীতে কোম্পানিটি তার তথ্যের উত্তর প্রদান করলে যোগাযোগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।
ফয়সাল সাহেবের প্রেরিত সংবাদে ‘পারটেক্স কর্পোরেশন’ সাড়া প্রদান করলে তা হবে ফলাবর্তন। তথ্যের উত্তর না পেলে তিনি বুঝতে পারবেন না তথ্যটি কোম্পানির কাছে পৌছেছে কি না। এছাড়া পরবর্তীতে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হবে না। কারণ যোগাযোগ প্রক্রিয়ার ফলাবর্তন না হলে তিনি নতুন তথ্য প্রেরণ করতে পারবেন না। তএব, প্রেরিত সংবাদের প্রত্যুত্তর পাওয়ার মাধ্যমে ‘পারটেক্স কমর্পারেশনের’ সাথে ফয়সাল সাহেবের ব্যবসায় যোগাযোগ সম্পন্ন হওয়া নির্ভর করে ফলাবর্তনের ওপর।
প্রশ্নঃ ৩৮ জনাব সজীব একটি সোয়েটার কারখানার সুপারভাইজার। তিনি সব কর্মীর কাজ পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং কোনো সুপারিশ থাকলে তা বহিত করেন। ব্যবস্থাপক জনাব সজীবের সুপারিশ বিবেচনা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং তা জনাব সজীবের মাধ্যমেই কর্মীদের জানিয়ে দেন।
[রংপুর সরকারি কলেজ]
ক. প্রত্যক্ষ যোগাযোগ কোনটি? ১
খ. লিখিত যোগাযোগকে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উলেখিত জনাব সজীবের যোগাযোগ প্রক্রিয়াটি কোন প্রকৃতির? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে জনাব সজীবের সুপারিশ ব্যবস্থাপকের জন্য কতটা সহায়ক তা বিশ্লেষণ করো। ৪
৩৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ প্রত্যক্ষ যোগাযোগ হলো মৌখিক যোগাযোগ।
খ উত্তরঃ প্রেরক কোনো সংবাদ বা তথ্য লিখিতভাবে প্রাপকের কাছে প্রেরণ করলে তাকে লিখিত যোগাযোগ বলে এ যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় ফিসিয়াল নিয়ম-কানুন নুসরণ করা হয়। এতে বার্তার প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা, প্রাসঙ্গিক বিষয়াবলি সংযুক্ত করা আবশ্যক। তাই লিখিত যোগাযোগকে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বলা হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে উলিখিত জনাব সজীবের যোগাযোগ প্রক্রিয়াটি ঊর্ধ্বগামী যোগাযোগ। এ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের ধীনস্থ কর্মীরা কোনো সংবাদ বা তথ্য নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে তথ্যপ্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী হয়। এতে ধীনস্থ কর্মীরা ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণের প্রেরিত সংবাদের প্রেক্ষিতে উত্তর প্রদান করে থাকেন। উদ্দীপকের জনাব সজীব একটি সোয়েটার কারখানার সুপারভাইজার।
তিনি ব্যবস্থাপনার নি স্তরে কর্মরত। তিনি সব কর্মীর কাজ পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়া তিনি তাদের নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির মধ্য স্তরের ব্যবস্থাপকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করেন। তাছাড়া কোনো সুপারিশ থাকলে তা তাকে জানান। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি ব্যবস্থাপকের সাথে বিনিময় করেন। এমনকি প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীদের মতামতও সরবরাহ করে থাকেন। এতে তথ্য উপরের দিকে প্রবাহিত হয়। তাই বলা যায়, জনাব সজীবের যোগাযোগটি ঊর্ধ্বগামী।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে জনাব সজীবের সুপারিশ ব্যবস্থাপকের জন্য ত্যন্ত সহায়ক। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় তথ্য (কাজের বস্থা, পণ্য বাজর, প্রতিযোগীদের বস্থা) সম্পর্কে নি পর্যায়ের কর্মীরাই বেশি ধারণা রাখেন। এসব তথ্য ধস্তন কর্মী তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেন। এতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়।
উদ্দীপকে জনাব সজীব একটি সোয়েটার কারখানার সুপারভাইজার। তিনি সব কর্মীর কাজের তদারকি করেন।
কর্মীদের নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকের সাথে প্রতিনিয়ত তথ্য বিনিময় করেন। এছাড়া কোনো সুপারিশ থাকলে তা জানান। ব্যবস্থাপক জনাব সজীবের সুপারিশ বিবেচনা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন। জনাব সজীব প্রতিষ্ঠানের ধস্তন কর্মীদের তদারকি করায় তিনি প্রতিষ্ঠানের কাজ সম্পর্কে ভালো জানেন। এমনকি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় তথ্য (যেমন পণ্য বাজার, প্রতিযোগীদের বস্থা, শ্রমিকদের চাহিদা, কাজ ইত্যাদি।) তিনিই বেশি জানেন।
এসব তথ্য তিনি ব্যবস্থাপকের সাথে আদান-প্রদান করেন। ফলে ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানের সার্বিক বস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন। এতে প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে পরিচালনা করা সহজ হয়। প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন মান বৃদ্ধি পায়। সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সাধিত হয়। তাই বলা যায়, সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনাব সজীবের সুপারিশ ব্যবস্থাপকের জন্য ত্যন্ত সহায়ক।
প্রশ্নঃ ৩৯ জনাব নিশাত একটি বড় ডিজাইন হাউজের মুখ্য নির্বাহী কর্ক উত্তরঃ র্তা। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের শো-রুম আছে। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে সদ্য আনা নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে ঢাকার ফিসে বসেই বিভিন্ন স্থানের শো-রুম কর্ক উত্তরঃ র্তাদের সাথে সভা নুষ্ঠান করেন। কিন্তু চট্টগ্রামের আঞ্চলিকতা পরিহার করতে না পারায় জটিল শব্দগুলোর র্থ নেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। ফলে তারা নির্বাহীর কথা শোনার প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। [স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক. ক্ষুদে বার্তা সেবা কী? ১
খ. নিগামী যোগাযোগ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. জনাব নিশাত কোন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন? ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ. কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য জনাব নিশাতকে যে বাধা দূর করতে হবে তা ব্যাখ্যা করো। ৪
৩৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ মুঠোফোন (ঈবষষঁষধৎ চযড়হব) ব্যবহার করে সংক্ষেপে বার্তা লিখে বিশ্বের যেকোনো স্থানে সংবাদ বিনিময়ের সহজ ব্যবস্থাকে ক্ষুদে বার্তা সেবা বলে।
খ উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ যখন ধস্তনদের সাথে যোগাযোগ করেন তখন তাকে নিগামী যোগাযোগ বলে। এ কারণে যোগাযোগ সংবাদপ্রবাহ নিগামী হয়। র্থাৎ ওপর থেকে নিচের দিকে সংবাদ প্রবাহিত হয়। এরূপ যোগাযোগের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ ধস্তনদের আদেশ, নির্দেশ, উপদেশ ও পরমার্শ দেন। তাছাড়াও নিগামী যোগাযোগের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ ধস্তনদেরকে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, নিয়ম নীতি ইত্যাদি বহিত করেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের জনাব নিশাত টেলিকনফারেন্সিং যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ইংরেজিতে ঞবষব শব্দের র্থ দূর এবং ঈড়হভবৎবহপরহম শব্দের র্থ আলোচনা বা মতের আদান প্রদান। টেলিকনফারেন্সিং বলতে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ভৌগোলিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বস্থান করা কয়েকজন ব্যক্তির সমন্বয়ে নুষ্ঠিত আলোচনা করাকে বোঝায়।
এর মাধ্যমে দ্র–ততার সাথে স্বল্প ব্যয়ে কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা করা যায়। জনাব নিশাত একটি বড় ডিজাইন হাউজের মুখ্য নির্বাহী কর্ক উত্তরঃ র্তা। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠানটির শো-রুম আছে। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে সদ্য আনা ডিজাইন ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানের কর্ক উত্তরঃ র্তাদের সাথে সভা নুষ্ঠান করেন। এ ধরনের সভা নুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি সহজেই ভৌগোলিকভাবে দূরে বস্থিত কর্ক উত্তরঃ র্তাদের সাথে যোগাযোগের বাধা দূর করেন।
টেলিকনফারেন্সিং এর মাধ্যমে নুষ্ঠিত যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে নিশাতের যোগাযোগ ব্যবস্থার মিল পাওয়া যায়। তাই বলা যায়, জনাব নিশাত টেলিকনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করেন।
ঘ উত্তরঃ কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য জনাব নিশাতকে ভাষাগত বাধা দূর করতে হবে। ভাষার ভিন্নতার কারণে যোগাযোগে যে বাধার সৃষ্টি হয় তাকে যোগাযোগের ভাষাগত বাধা বলে। এক জায়গার ভাষা ন্য জায়গায় বোধগম্য নাও হতে পারে। সাধারণত যোগাযোগের সময় জটিল শব্দ, আঞ্চলিক শব্দ, কারিগরি শব্দ ইত্যাদি ব্যবহার করলে ভাষাগত বাধার সৃষ্টি হয়। যার ফলে কার্যকর যোগাযোগ ব্যাহত হয়।
জনাব নিশাত একটি বড় ডিজাইন হাউজের নির্বাহী কর্মকর্তাদের। তিনি টেলিকনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখার কর্ক উত্তরঃ র্তার সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু জনাব নিশাতের ভাষায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিকতা থাকায় সব কর্ক উত্তরঃ র্তা তার ভাষা বুঝতে পারেন না। যার ফলে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরও যোগাযোগে বাধার সৃষ্টি হয়। কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা করার জন্য জনাব নিশাতকে ভাষাগত বাধা দূর করতে হবে।
ভাষাগত বাধার কারণে কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। যোগাযোগের সময় আঞ্চলিকতা, স্থানীয় পরিভাষা ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে ভাষাগত বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে যোগাযোগকারীগণ একে ন্যের কথা শোনার প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন। প্রতিষ্ঠানিক লক্ষ্য র্জনে ভাষাগত বাধা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা করার জন্য উদ্দীপকের নিশাতকে ভাষাগত বাধা দূর করতে হবে।
প্রশ্নঃ ৪০ হাবিব সিরামিক, খাদিম শাখার ব্যবস্থাপক মারূফ সাহেব প্রধান ফিসের প্রেরিত সব তথ্য বিজ্ঞপ্তি ও চিঠির মাধ্যমে কর্ক উত্তরঃ র্তা ও কর্মচারীদের জানিয়েছেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গান ও শাখা ব্যবস্থাপকদের কপি প্রদান করেন। কিন্তু তবুও প্রধান ফিসের র্ডার মোতাবেক পণ্য প্রেরণ করা যাচ্ছে না। এই বিষয়টির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মারূফ সাহেব তার সকল পরিকল্পনা ও নির্দেশনা সভা ডেকে আলাপ-আলোচনা করে ব্যাখ্যা দিতে শুরু করলেন। [সিলেট কমার্স কলেজ]
ক. ঝগঝ-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. ফলাবর্তন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. প্রথম বস্থায় মারূফ কোন পদ্ধতিতে যোগাযোগ সম্পাদন করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “কার্যকর যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পদ্ধতিই উত্তম” মূল্যায়ন করো। ৪
৪০ নং প্রশ্নের উত্তর
খ উত্তরঃ প্রেরকের সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপকের উত্তর প্রদান বা সাড়া দেওয়াকে ফলাবর্তন বলে।এর মাধ্যমে প্রেরকের কাছে প্রেরিত সংবাদের বিষয়বস্তু স্পষ্ট হয়। প্রেরক প্রাপকের মনোভাব বুঝতে পারে। তার পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় উত্তর দেয়া হয়। এভাবে যোগাযোগ প্রক্রিয়া গতিশীল থাকে। ফলে যোগাযোগের উদ্দেশ্য র্জিত হয়।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকে প্রথম বস্থায় মারুফ আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে যোগাযোগ সম্পাদন করেছেন। এ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন, পদ্ধতি নুসরণ করে তথ্য বিনিময় করা হয়। এ যোগাযোগ বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। যেমন : সাক্ষাৎকার, আবেদনপত্র, নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তি প্রদান ইত্যাদি। উদ্দীপকের মারুফ সাহেব প্রধান ফিসের প্রেরিত তথ্যসমূহ বিজ্ঞপ্তি ও চিঠির মাধ্যমে কর্ক উত্তরঃ র্তা-কর্মচারীদের জানিয়ে দেন।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গান ও শাখা ব্যবস্থাপকদের কপি প্রদান করেন। এ থেকে দেখা যায়, তিনি কর্মীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেন না। প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় নিয়ম-কানুন নুযায়ী পরোক্ষভাবে কর্মীদের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করেন। এ তথ্য নুযায়ী নিস্তরের কর্মীরা মারুফ সাহেবের নির্দেশনা পালন করে। এসব বৈশিষ্ট্য দেখে বোঝা যায়, প্রথম বস্থায় মারুফ সাহেব যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তরঃ কার্যকর যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা নানুষ্ঠানিক পদ্ধতিই উত্তম উক্তিটি যৌক্তিক। এ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকার নির্ধারিত নিয়ম-কানুন বা আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই তথ্য বিনিময় করা হয়। এ যোগাযোগেরে মাধ্যমে কর্মীদের সাথে সরাসরি তথ্য আদান প্রদান করা হয়। এতে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।
উদ্দীপকে মারুফ সাহেব হাবিব সিরামিক, খাদিম শাখার একজন ব্যবস্থাপক। তিনি প্রথমে কর্মীদের সাথে আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে যোগাযোগ করেন। প্রধান ফিসের র্ডার নুযায়ী পণ্য সময়মতো প্রেরণ করা যাচ্ছে না। কারণ কর্মীরা সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য পাচ্ছে না। এমনকি তথ্য পাওয়ার পর তা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারছেন না। সরাসরি যোগাযোগ না হওয়ায় তারা তাদের সমস্যাগুলোও সমাধান করতে পারছেন না।
এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মারুফ সাহেব তার সব পরিকল্পনা ও নির্দেশনা সভা ডেকে আলোচনা করে ব্যাখ্যা দিতে শুরু করলেন, যা কার্যকর যোগাযোগের ক্ষেত্রে ধিক উত্তম। সরাসরি আলোচনার ফলে কর্মীরা সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য পাবেন। এছাড়া প্রাপ্ত তথ্যের যথার্থতা বুঝতে সহজ হবে।
ফলে কাজ সম্পাদনও সহজ হবে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সবার সাথে একই সময়ে যোগাযোগ হবে। এতে সময় কম লাগবে। এছাড়া একসাথে সবার উপস্থিতির কারণে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজতর হবে। তাই কার্যকর যোগাযোগের ক্ষেত্রে মারুফ সাহেবের নানুষ্ঠানিক পদ্ধতি নুসরণ করাই উত্তম।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।