বিসিএস পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি (পরামর্শ)> আপনি বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। ভাবতেছেন কিভাবে বিসিএস পরীক্ষা দিবেন। তাহলে আমাদের আজকের লেখাগুলো আপনার জন্যই। আজকে আমরা তুলে ধরবো বিসিএস পরীক্ষার হলে করণীয় বিষয়ক পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ বিসিএস ক্যাডারদের পরামর্শ।
বিসিএস পরীক্ষা হওয়ার জন্য কোন নির্ধারিত মাস বা সময় নির্ধারণ করা নাই। তবে বেশিরভাগ সময়ই সার্কুলারের উপর নির্ভর করে।
বিসিএস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪-এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে উপযুক্ত প্রার্থী মনোনয়নের উদ্দেশ্যে সরকারী কর্ম কমিশন নিম্নোক্ত ৩ স্তর বিশিষ্ট নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে
বিসিএস এর তিনস্তর বিশিষ্ট পরীক্ষা পদ্ধতি
- প্রথম স্তরঃ ২০০ নম্বরের MCQ Type Preliminary Test ।
- দ্বিতীয় স্তরঃ প্রিলিমিনারি টেস্টে কৃতকার্য প্রার্থীদের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা।
- তৃতীয় স্তরঃ লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীদের জন্য ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা।
- প্রথম স্তরঃ ২০০ নম্বরের MCQ Type Preliminary Test
শূন্য পদের তুলনায় প্রার্থী সংখ্যা বিপুল হওয়ায় লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই-এর জন্য বিসিএস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪-এর বিধি-৭ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন ২০০ নম্বরের MCQ Type প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণ করে থাকে। ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা পর্যন্ত ১০০ নম্বরে প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণ করা হতো।
বিসিএস পরীক্ষা বিধিমালা-২০১৪-এর বিধানমতে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষা হতে ২০০ নম্বরের ২ ঘণ্টা সময়ে ১০টি বিষয়ের উপর MCQ Type প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণের ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে।
পূর্বের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী দেখা যায় বেশিরভাগ সময়ই বিসিএস সার্কুলার বছরের মাঝামাঝির পরে গিয়ে হয় এবং সেই সার্কুলারে পরীক্ষাগুলো বছরের শেষের দিকে অথবা পরবর্তী বছরের প্রথমদিকে অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষার হলে করণীয়
পরীক্ষার হলে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি থেকে যেন ১৩০ ডিগ্রি না হয়ে যায়। ভয় না পেলে হলে মাথা ঠান্ডা থাকবে।
“প্রথম স্তরঃ ২০০ নম্বরের MCQ Type Preliminary Test । দ্বিতীয় স্তরঃ প্রিলিমিনারি টেস্টে কৃতকার্য প্রার্থীদের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। তৃতীয় স্তরঃ লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীদের জন্য ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা“
পিএসসি অনুমোদন করে না এমন জিনিসপত্র কোনো অবস্থাতেই হলে নেওয়া যাবে না। আর প্রবেশপত্রসহ আনুষঙ্গিক অনুমোদিত জিনিস সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
আন্দাজে কোনো উত্তর দেওয়া যাবে না। বৃত্ত ভরাটের সময় প্রশ্নের ক্রমিক নম্বর ভালো করে খেয়াল করবেন। ১৭ নম্বর যেন ২৭-এ গিয়ে না পড়ে। অপশনের ক, খ, গ, ঘ কোন ফরম্যাটে আছে, তা-ও খেয়াল রাখুন।
কতটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসবেন, তার কোনো টার্গেট থাকা যাবে না। এটি নির্ভর করবে আপনার জানার ওপর। মনোযোগ দিয়ে প্রশ্ন পড়বেন। ‘হয়’ চেয়েছে নাকি ‘নয়’ চেয়েছে। যেমন নিচের কোনটি আগ্নেয় শিলা নয়? অনেকে এটি পড়ে নিচের কোনটি আগ্নেয় শিলা হয়!
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার হলে করণীয়
আশপাশের কোনো পরীক্ষার্থীর ওপর কোনো অবস্থাতেই নির্ভর করবেন না। যদিও সে সুযোগ হল পরিদর্শক দেবেন না। মনে রাখবেন, এটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা।
প্রশ্নের সেট ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভালো করে খেয়াল করবেন এবং উত্তরপত্রে ভরাট করবেন মনে করে। হাজিরা খাতায় নিজের নাম ও ছবি দেখে স্বাক্ষর করবেন। প্রবেশপত্রে যে স্বাক্ষর দিয়েছেন, হুবহু সেই স্বাক্ষর করবেন।
প্রশ্ন দ্রুত পড়তে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই বৃত্তও ভরাট করে ফেলতে হবে। প্রশ্নের সিরিয়াল অনুসারে ভরাট করে যাবেন। তবে গণিত ও মানসিক দক্ষতা অংশ পরে ভরাট করা ভালো।
যে প্রশ্ন আপনার সম্পূর্ণ অজানা, তা পুরোটা পড়ারই দরকার নেই। সময় বেঁচে যাবে। সময়জ্ঞান খুবই জরুরি বিষয়।
✅ মেয়েদের কান অনাবৃত রাখবেন। এ বিষয় নিয়ে অযথা সময় যেন নষ্ট না হয়।
✅ কক্ষ পরিদর্শক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা পিএসসির কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে অযথা বিতর্কে যাবেন না। এতে আপনারই ক্ষতি হবে। সুশাসন ও নৈতিকতা এবং মানসিক দক্ষতার উত্তর করার সময় বেশি সতর্ক থাকবেন।
✅ একাধিক উত্তর সঠিক হলে অপশনের প্রথমে যেটা, সেটা দিয়ে আসবেন। কোনো সঠিক উত্তর না থাকলে ওই প্রশ্ন রেখেই আসবেন। ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। পুরাতন (ব্যবহৃত) মোটা কালো কালির বলপয়েন্ট কলম হলে তাড়াতাড়ি বৃত্ত ভরাট করা যায়।
✅ কোনো অবস্থায়ই দেরি করে পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হবেন না। হাতে সময় নিয়ে রাস্তা এবং ওই দিনের বাস্তবতা মাথায় রেখে রওনা দেবেন।
✅ এমসিকিউ দাগানোর সময় প্রসেস অব এলিমিনেশন পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন। অর্থাৎ, কোন অপশনটা বা অপশনগুলো উত্তর হবে না, সেভাবে এগোবেন চারটি অপশনের মধ্যে।এতে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
✅ নিজের নাম বড় হাতের অক্ষরে ইংরেজিতে লিখবেন। নিজ জেলার নামও ইংরেজিতে লিখবেন ওএমআর শিটে।
প্রতিটি বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রায় তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। আবেদন করেন আরও বেশি প্রার্থী। কিন্তু প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন মাত্র ২০ হাজার জন। শুধু তা-ই নয়, বর্তমানে ক্যাডার পদে কর্মরত থেকেও অনেকে কাঙ্ক্ষিত ক্যাডার পাওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়ে থাকেন।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় নির্দিষ্ট কোনো কাটমার্ক বা পাস নম্বর নেই। এটি ক্যাডার নিয়োগের সংখ্যা ও পিএসসির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। তাই আপনি কত পেলে টিকবেন, তা বলা মুশকিল।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।