নবম ও দশম শ্রেণীর বাংলা ১ম: বই পড়া গল্পের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (PDF) গুলো পেতে হলে চলে আসুন আমাদের ওয়েব সাইটে ।বই পড়া গল্পটির যেকোনো ধরনের বহু নির্বাচনী প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেন আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বই পড়া গল্পটি হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতে যাচ্ছি ।সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
বাংলা ১ম: বই পড়া গল্পের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
প্রশ্ন-১. শিক্ষিত সমাজের লোলুপ দৃষ্টি কীসের ওপর?
উত্তরঃ শিক্ষিত সমাজের লোলুপ দৃষ্টি অর্থের ওপর?
প্রশ্ন-২. কাব্যামৃতে আমাদের যে অরুচি ধরেছে সেটা কার দোষ?
উত্তরঃ কাব্যামৃতে আমাদের যে অরুচি ধরেছে সেটার আমাদের শিক্ষার দোষ।
প্রশ্ন-৩. প্রমথ চৌধুরীর মতে মুসলমান ধর্মে মানুষ কয় ভাগে বিভক্ত?
উত্তরঃ প্রমথ চৌধুরীর মতে মুসলামন ধর্মে মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত।
প্রশ্ন-৪. বই পড়া প্রবন্ধে লেখকের মতে কোথায় দর্শনের চর্চা সম্ভব?
উত্তরঃ বই পড়া প্রবন্ধে লেখকের মতে গুহায় দর্শনের চর্চা সম্ভব।
প্রশ্ন-৫. কারদানি কথাটির অর্থ কী?
উত্তরঃ কারদানি কথাটির অর্থ বাহাদুরি।
বই পড়া গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
প্রশ্ন-১. বই পড়া প্রবন্ধের লেখক শখ হিসেবে বই পড়ার পরামর্শ দিতে চান না কেন?
উত্তরঃ এদেশে জীবনধারণ করাই যেখানে প্রধান সমস্যা সেখানে বই পড়ার শৌখিনতা শোভা পায় না বলে লেখক বই পড়ার পরামর্শ দিতে চান না।
বাঙালি জাত হিসেবে শৌখিন নয়। কেননা রোগ শোক দুঃখ দারিদ্র্যের দেশে সুন্দর জীবন ধারণ প্রধান সমস্যা। এ রকম আর্থসামাজিক পরিবেশে শখ হিসেবে বই পড়ার পরামর্শ দেওয়াটাই বৃথা। তাই লেখক শখ হিসেবে বই পড়তে পরামর্শ দিতে চান না।
প্রশ্ন-২. আমাদের এখন ঠিক শখ করার সময় নয় উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ দুঃখ দারিদ্র্যের দেশে শখ করে কোনোকিছু করা মানে নিজের দুঃখকেই বাড়িয়ে তোলা।
বাঙালি জাতিকে সব সময় দুঃখ দারিদ্র্যে আর নানা বিপদের মোকাবিলা করে চলতে হয়। যেখানে মানুষের মানবিক চাহিদাগুলোই পুরণ করা সম্ভব হচ্ছে না সেখানে শখ করার কোনো প্রশ্নেই উঠে না। তাই বই পড়া সর্বশ্রেষ্ঠ শখ হলেও বাঙালি আর্থসামাজিক পারিস্থিতিতে শখ করে বই পড়ার কোনো উপায় নেই।
প্রশ্ন-৩. আমরা জাত হিসেবে শৌখিন নই বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ মৌলিক চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত বাঙালিরা জীবন ধারণ করতেই দুঃখ দারিদ্র্যের দেশে বাঙালিরা স্বাভাবিকভাবে জীবন ধারণ করতেই হিমশিম খায়। ফলে তারা হয়ে উঠেচে উদরসর্বস্ব ও নিরস প্রকৃতির। শক বা শৌখিনতা নিয়ে ভাবার সুযোগ বা ইচ্ছা আর হয়ে ওঠে না তাদের। তাই বই পড়ার মতো একটি সুন্দর শখও তাদের কাছে অপ্রয়োজনীয় কাজ বলে মনে হয়।
প্রশ্ন-৪. বই পড়ার প্রবন্ধে বর্ণিত গরুর দুধ গেলানোর সাথে বিদ্যা গেলানোর সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ জোর করে চাপানো কোনো কিছুই শেষ পর্যন্ত সুফল বয়ে আনে না। যে শিশু নিজ ইচ্ছায় দুধ খেতে চায় না তাকে পুষ্টিকর এই জিনিসটি জোর করে খাওয়ালেও তা মুলত ইতিবাচক ক্রিয়া করে না। কেননা শরীর সেই পুষ্টি গ্রহণে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে না শিক্ষার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপারে লক্ষণীয়। মুখস্ত করিয়ে শিশুকে যে বিদ্যা শেখানো হয় তার মর্ম সে বোঝে না। ফলে তার পক্ষে প্রকৃত জ্ঞানার্জন করা সম্ভব হয় না।
প্রশ্ন-৫. আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষার নেতিবাচক পরিণাম ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ আমাদের স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত করার চেয়ে নোট নির্ভর বা পরনির্ভর করে তোলে যা কখনেই জীবনের প্রয়োজনে কাজে লাগে না। বাংলাদেশের স্কুল কলেজের শিক্ষার যে রীতি তাতেছাত্ররা নোট মুখস্ত করে পরীক্ষায় পাস করে। ফলে শিক্ষার প্রায়োগিক দিকটিই তার অজানাই থাকে। এমনকি গঠিত বিষয়ের সমর্থিত দিকটিকেও সে অনুধাবন করতে পারে না। তাই স্কুল কলেজের শিক্ষা শুধু ব্যর্থই নয় তা অনেকাংশ স্বশিক্ষিত হবার শক্তি পর্যন্ত নষ্ট করে দেয়।
জ্ঞান (ক) ও অনুধাবনমূলক (খ) প্রশ্ন:
১. প্রথম চৌধুরী কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
২. কারা সাধ্য না হলে বই স্পর্শ করেনা।
৩. ‘ডেমোক্রেটিক’ শব্দের অর্থ কি?
৪. লেখক স্কুল-কলেজের উপরে কিসের স্থান দিয়েছেন।
৫. বিজ্ঞানের চর্চা কোথায় হয়?
৬. প্রথম চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস কোথায় ছিল?
৭. ‘চার-ইয়ারি কথা’ কার লেখা।
৮. কিসের নগদ বাজার নেই?
৯. শিক্ষিত সমাজের লোলুপ দৃষ্টি কিসের উপর?
১০. আমাদের শিক্ষিত স¤প্রদায় বাধ্য না হলে বই স্পর্শ করে না কেন?
১১. আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষার নেতিবাচক পরিণাম ব্যাখ্যা করো।
১২. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে বর্ণিত গরুও দুধ গেলানোর সাথে বিদ্যা গেলানোর সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।
১৩. ইংরেজি সভ্যতার সংস্পর্শে এসেও ডেমোক্রেসিকে আমরা কীভাবে আয়ত্ত করেছি?
১৪. ‘আমাদের এখন ঠিক শখ করবার সময় নয়’-উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
১৫. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক বই পড়তে পরামর্শ দিতে চান না কেন।
১৬. ‘ব্যাধিই সংক্রামক স্বাস্থ্য নয়’-উক্তিটি দ্বারা প্রমথ চৌধুরী কী বুঝিয়েছেন?
১৭. আইনজীবীরা কাব্যগ্রন্থ কিনতে আগ্রহী নন কেন?
১৮. ‘আজকের বাজারে বিদ্যাদাতার অভাব নেই’-প্রথম চৌধুরী এ উক্তি দ্বারা কী বুঝিয়েছেন?
১৯. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতে মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ কোনটি?
২০. কিসের জন্য আমরা সকলে উদ্বাহু?
২১. বই পড়াকে আমরা কী চোখে দেখি?
২২. বই পড়ার প্রধান দুটি দিক কী কী?
২৩. আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থার স্বরূপ কী?
২৪. শিক্ষকের সার্থকতা কোথায়?
২৫. ‘নজির’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
২৬. ধনের ভাঁড়ে ভবানী কারা?
২৭. শিক্ষা সম্পর্কে প্রাবন্ধিকের বিশ্বাস কী?
২৮. স্বশিক্ষা বলতে কী বোঝ?
২৯. প্রাবন্ধিক অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে কী বুঝিয়েছেন? – ব্যাখ্যা কর।
৩০. লেখক কাউকে শখ হিসেবে বই পড়তে পরামর্শ দিতে না চাওয়ারকারণ ব্যাখ্যা কর।
৩১. ‘সকলের সমবায়ে সাহিত্যের জš§’-ব্যাখ্যা কর।
৩২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
৩৩. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের প্রধান দিকগুলো ব্যাখ্যা কর।
৩৪. প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
৩৫.“মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আতœা বাঁচে না।”- কথাটির তাৎপর্য কী?
৩৬. স্কুল-কলেজের শিক্ষাকে লেখক ত্রæটিপূর্ণ বলেছেন কেন?
৩৭. ডেমোক্রেসির সাহিত্যের সার্থকতা না বোঝার কারণ ব্যাখ্যা কর।
৩৮. পুঁজিবাদী সমাজে সাহিত্য পাঠের যে নাজুক পরিস্থিতি তার স্বরূপ আলোচনা কর।
৩৯. লখকের মতে বিভিন্ন বিষয়ের চর্চার স্থানগুলো নির্দেশ কর।
৪০. শিক্ষা সম্পর্কে আমাদের কোন বিশ্বাসকে প্রাবন্ধিক অমূলক বলে অভিহিত করেছেন?
৪১. “পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া যে এক বস্তু নয়, এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই”- কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
৪২. আমাদের স্কুল-কলেজ স্বশিক্ষিত হওয়ার পথ নষ্ট করে দেয় কীভাবে?
১.নং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর:
আমাদের পাঠচর্চার অনভ্যাস যে শিক্ষা ত্রæটির জন্য ঘটেছে তা সহজেই লক্ষণীয়। আর্থিক অনটনের কারণে অর্থকরী নয় এমন সবকিছুই এদেশে অনর্থক বলে বিবেচনা করা হয়। সেজন্য বই পড়ার প্রতি লোকের অনীহা বিদ্যমান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লদ্ধ শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে ব্যাপকভাবে বই পড়া দরকার। আর ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’।
(ক) ‘গলাধঃকরণ’ শব্দের অর্থ কী?
(খ) বই পড়া এবং লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা কী?
(গ) ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’ Ñ এ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
(ঘ) উদ্বৃতাংশের আলোকে সাহিত্যচর্চার গুরুত্ব আলোচনা কর।
উত্তরঃ (ক)
‘গলাধঃকরণ’ শব্দের অর্থ – গিলে ফেলা।
উত্তরঃ (খ)
বই মানুষের পরম বন্ধু। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায়। বই পড়ার জন্য লাইব্রেরির দরর্কা লাব্রেরিতে অসংখ্য বই জমা থাকে। পাঠক ইচ্ছামত জ্ঞান আহরণ করতে পারে। তাই বই পড়া এবং লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার প্রযোজনীয়তা অপরিহার্য।
উত্তরঃ (গ)
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত। লেখক মনে করেন শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না। শিক্ষার মুল উত্থিত হয় নিজের ভেতর থেকে। স্বশিক্ষিত মানুষ নিজের চেষ্টার মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষাকে নির্দেশ করে থাকে। শিক্ষা মানুষের মনকে মুক্তবুদ্ধির আলোকে উদ্ভাসিত করে তুলবে।
সত্যবোধে দীক্ষিত করবে, বৈজ্ঞানিক যুক্তিবোধ মননশীলতায় সুতী² করে তুলবে। প্রসন্ন উদারতায় তার রুচিবোধ পরিশীলিত করবে, তবেই মানুষ হবে সুশিক্ষিত।
উত্তরঃ (ঘ)
নিজের কথা, পরের কথা, বাহ্য জগতের কথা যখন লেখকের মনোবিনায় সুরের ঝঙ্কার তোলে তখন তা হয় সাহিত্য। সাহিত্যে রয়েছে জগৎ ও জীবনের বিচিত্র তত্ত¡, সৌন্দর্য ও তাৎপর্যের কথা। সাহিত্য আমাদের মনকে প্রসারিত করে।
সাহিত্যে জীবনের সামগ্রিকতা থাকে বলে তা গঙ্গার মতই বিশাল এবং প্রবাহমান। সাহিত্যচর্চা তাই আমাদের মনকে যাবতীয় সংকীর্ণতা ও কলুষ থেকে মুক্ত করে সুন্দর পবিত্র ও প্রসন্ন করে তোলে। সাহিত্যের ব্যাপক প্রসার ও চর্চার মধ্য দিয়ে জাতি প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ হতে পারে।
সাহিত্য মানুষের মনের দাবি রক্ষা করে। দেহের দাবি খাদ্য। এ খাদ্য ছাড়া যেমন স্বাস্থ্য রক্ষা হয় না, তেমনি মনের দাবি শিক্ষা ও আনন্দ।
সাহিত্য-আনন্দ ও সৌন্দর্যের আকর, একমাত্র সুন্দর ও আনন্দের স্পর্শেই জাতির প্রাণ সজীব হয়। সুন্দর মহৎ জীবন সাধন এবং প্রগতিশীল জগতের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সাহিত্য চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম।
২.নং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর:
পাস করা বিদ্যা আমাদের ভাল চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু ভাল মানুষ হওয়ার চন্য চাই বইপড়া তথা সাহিত্য পাঠ । সাহিত্য পাঠ মানুষের মূল্যবোধ জাগ্রত করে, মানুষকে করে তোলে পরিশীলিত। যে জাতি জ্ঞনে বড় নয়, সে জাতি মানেও বড় নয়। মানুষ বিদ্যা পাঠ করে অনাগ্রহে কিন্তু এর কদর আমাদের সমাজে সর্বত্র । সাহিত্য পাঠ নগদ মূল্য না পাওয়া গেলেও এর প্রভাব সুদূর ভবিষৎতে ।
ক. বিদ্যার সাধনা কাকে অর্জন করতে হয়।
খ. ‘সুশিক্ষিত লোকমাত্রই স্বশিক্ষিত’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর সাথে ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর সাদৃশ্য নিরুপণ কর।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের আলোকে সাহিত্যচর্চার গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ (ক)
বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজেকে অর্জন করে নিতে হয়।
উত্তরঃ (খ)
‘সুশিক্ষিত লোকমাত্রই স্বশিক্ষিত’ বলতে লেখক বুঝিয়েছেন স্বচেষ্টায় শিক্ষা অর্জন করে নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসার দরকার । তার জন্য বই পড়ার বিকল্প ন্ইে। আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদানের পদ্ধতি বিপরীত। যেখানে ছাত্ররা নিজের ইচ্ছায় নয় বরং বাধ্য হয়েই বই পড়ে ।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে তাদের জ্ঞান বিন্দুমাত্র থাকে না। তাই লেখক বুঝিয়েছেন নিজের ইচ্ছায় জ্ঞান অর্জন করতে পারলেই সুশিক্ষিত হওয়া সম্ভব।
উত্তরঃ (গ)
উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর সাথে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে সাহিত্যচর্চার বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ।
বই পড়া প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী সাহিত্য চর্চার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে প্রতিটি লোক তার স্বীয় শক্তি ও রুচি অনুসারে নিজের মনকে আপন জ্ঞানের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। যার করুন স্বেচ্ছায় স্বশিক্ষিত হবার সুযোগ পায়। আনন্দের স্পর্শেই মানুষের মনপ্রান সজীব, সতজ,সজাগ থাকে। এ আনন্দের জন্যই সাহিত্য পাঠ করার গুরুত্ব সম্পর্কে লেখক বোঝাতে চেয়েছেন।
উদ্দীপকটিতে বলা হয়েছে পাস করা বিদ্যা ভালো চাকরির লাভের ক্ষেত্রে গুরুত্ববহ। কিন্তু ভালো মানুষ হতে প্রয়োজন বইপড়া বা সাহিত্য পাঠের মাধ্যমে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। বই মানুষের মূল্যবোধকে জাগ্রত করে , মানুষকে করে তুলে পরিশীলিত।
মানুষ বিদ্যাপাঠ করে অনাগ্রহে কিন্তু এর কদর আমাদের সমাজে সর্বত্র । সাহিত্য পাঠের প্রতি লোকের আগ্রহ গড়ে তুলতে হবে। উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর সাথে সাথে ও বইপড়া প্রবন্ধের মধ্যে সাহিত্য পাঠের যে প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে তা উভয়ের মধ্যে সাদৃশ্যপূর্ন।
উত্তরঃ (ঘ)
বইপড়া প্রবন্ধে লেখক সাহিত্য চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। বই মানুষের মনকে আনন্দ দান করে। লেখক মনে করেন শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না, নিজের ইচ্ছায় শিক্ষা গ্রহন করতে হয়।শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যমানুষ্যত্বকে জাগ্রত করা।আর মানুষ্যত্বকে জাগ্রত করা ।
আর মানুষ্যত্বকে জাগ্রত করতে প্রয়োজন জ্ঞানের, যা বইয়ের মাধ্যমেই কেবল অর্জন করা সম্ভব। বইপড়া বা সাহিত্য চর্চার বিকল্প নেই। তই লেখক বইপড়া প্রবন্ধে সাহিত্য চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
উদ্দীপকে দেখা যায়, মানুষ বিদ্যাপাঠ করে অনাগ্রহে কিন্তু এর কদর আমাদের সমাজে সর্বত্র। সাহিত্য পাঠে নগদ মূল্য না পাওয়া গেলেও এর প্রভাব ভবিষ্যতে পাওঢা যায়। সাহিত্য পাঠ মানুষের মূল্যবোধ তথা মানুষ্যত্বকে জাগ্রত করে। যে জাতি জ্ঞানে বড় নয়, সে জাতি মনেও বড় হতে পারে না।
বইপড়া প্রবন্ধে সাহিত্য চর্চার সুফল সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। কেননা একমাত্র বই পড়ার মাধ্যমে আতœশক্তিকে উন্মোচিত করে নিজেকে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত করা যায়।
উদ্দীপকেও সাহিত্য পাঠের মাধ্যমে মূল্যবোধ ও মানুষের জ্ঞানশক্তিকে উন্মোচিত করার বিষয়টি উল্লেখ আছে। সুতরাং উদ্দীপক ও বইপড়া প্রবন্ধের আলোকে বলা যায় যে, সমগ্রজাতির মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে সাহিত্য চর্চার ভূমিকা অপরিসীম।
৩.নং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর:
মানুষ প্রচুর বই পড়া পছন্দ করে । সাহিত্য, সমালোচনা, জীবনী, বিজ্ঞান, দর্শন সবই তার জানা চাই । কিন্তু তার মায়ের কথা এসব বই পড়ে সময় নষ্ট করার মানেই হয় না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে ভালো ফলাফল করাটাই বড় কথা, তারপর চাকরি- এই তো জীবন।
ক. বইপড়া প্রবন্ধটির প্রমথ চেীধুরীর কোন গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে?
খ. যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়-কেন?
গ. বইপড়া প্রবন্ধে মামুনের মায়ের মতো অভিভাবকদের সম্পক্র্ েলেখক কী মনোভাব পোষণ করেছে-ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মামুন বই পড়ার আগ্রহের ব্যাপারটি লেখক কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন,বইপড়া প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ (ক)
বইপড়া প্রবন্ধটি প্রমথ চৌধূরীর প্রবন্ধ সংগ্রহ গ্রন্থ থেকে নেওয়া।
উত্তরঃ (খ)
মুক্ত চিন্তার মননশীল প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধূুরীর তার ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে জ্ঞানার্জনের ওপর জোর দিয়েছেন। জ্ঞানই ধন-সম্পদের সৃষ্টি ও রক্ষাকর্তা। সঠিক পথে ব্যবহার ও রক্ষা অর্জন করা যায় না, তেমনি লেখক বলেছেন, যে জাতির জ্ঞানের ভান্ডার শূন্য সে জাতির ধনের ভাড়েও ভবানী।
আবার যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়। কেননা ধনের সৃষ্টি যেমন জ্ঞানের দ্বারা, তেমনি জ্ঞানের সৃষ্টি মন থেকে , অর্থাৎ প্রকৃত জ্ঞানের জন্য মনের প্রসারতা দরকার।
উত্তরঃ (গ)
বইপড়া প্রবন্ধে লেখক আমাদের মামুনের মায়ের মতো অভিভাবকদের সম্পর্কে লেখক সচেতন হওয়ার মনোভাব পোষন করেছেন।
বই পড়া প্রবন্ধে লেখক আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষাপদ্ধতির ত্রæটি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এখানে মূলত শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক বিদ্যা গেলানো হয়। আর এতে হয়তো অনেক শিক্ষার্থী পাস করতে সক্ষম হয়, কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়।
কিন্তু শুধূমাত্র পাস করার অভিভাবকরা ভুল শিক্ষা গ্রহনে আরও বেশি উৎসাহিত হন। তারা বুঝতে চান না, পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বিষয় নয়।
উদ্দীপে মামুন সব ধরনের বই পড়তে আগ্রহী। বই পড়ে সে নিজেকে আলোকিত করতে চায়, কিন্তু তার বিষয়টি মোটেও পছন্দ করেন না। তিনি মনে করেন পাস করে চাকরি পাওয়াটাই আসল। এ ধরনের অভিভাবকের জন্য প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক সচেতনতা কামনা করেছেন।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকের অভিভাবকদের মতো যারা মানসিকতা ধারণ করেছেন, প্রবন্ধানুসারে তার পরিবর্তন অত্যান্ত জরুরি।
উত্তরঃ (ঘ)
মামুনের বই পড়ার অনাগ্রহের ব্যাপারটি লেখক স্বশিক্ষিত হওয়ার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন।
বই পড়া প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক স্বশিক্ষার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, সুশিক্ষিত লোকমাত্রই স্বশিক্ষিত। আর এই স্বশিক্ষা অর্জনের জন্য চাই নিজে বই পড়া। এক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট ধারা মেনে বই পড়া উচিত নয়।
বই মানুষকে আলোকিত করে; সুশিাক্ষত হওয়ার পথ প্রসারিত করে। তাই স্বেচ্ছায় যারা বই পড়ে প্রাবন্ধিক তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।
উদ্দীপকে মামুন স্বশিক্ষিত হতে উৎসাহী । তাই সে নিজে বই পড়ে। তার বই পড়ায় কোনো নির্দিষ্ট সীমানা নেই। সে সাহিত্য,ধর্ম,দর্শন,বিজ্ঞানসহ সব ধরনের বই পড়ে।কিন্তু বিষয়টি তার মা পছন্দ করেন না। যা মোটেও ঠিক নয়। বরং তার মায়ের উচিত ছেলেকে স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া ।
উদ্দীপকে মামুন স্বেচ্ছায় বই পড়ে স্বশিক্ষিত হতে চায়। আর প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক মামুনের মতো যারা প্রকৃত শিক্ষা অর্জনে সচেষ্ট,তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।
৪.নং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর:
রিয়াজ ও সাব্বির সদ্য এম এ পাস করে চাকরির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। রিয়াজ বিগত দিনের পাঠ্য বইগুলো চর্চা করে শানিয়ে রাখছে, আর সাব্বির পাঠ্য বই অধ্যয়নের পাশাপাশি নিয়মিত জেলা পাঠাগারে গিয়ে হরেক রকম বই পড়ে নিজেকে শানিয়ে নিচ্ছে। রিয়াজ সাব্বিরের লাইব্রেরিতে সময় দেওয়াটাকে মোটেও সমর্থন করে নি। কিন্তু সাব্বির তার জ্ঞানের পরিধি বিকাশ করার জন্য লাইব্রেরিতে গিয়ে বিচিত্রধর্মী বই পড়তে দারুণভাবে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। স্থানীয় একটি কলেজের প্রভাষক পদে রিয়াজ ও সাব্বির লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিলে দেখা যায় সাব্বির সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে, অথচ রিয়াজ অকৃতকার্য হয়েছে।
(ক) বই পড়া প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে কীসের ওপরে স্থান দিয়েছেন?
(খ) ‘মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষ বাঁচে না’ Ñকথাটির তাৎপর্য কী?
(গ) ওপরের অনুচ্ছেদের রিয়াজ ও সাব্বিরের দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য বই পড়া প্রবন্ধের আলোকে বিচার কর।
(ঘ) ‘লাইব্রেরির বিচিত্রধর্মী গ্রন্থচর্চা সাব্বিরের জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে’ Ñউদ্দীপকের আলোকে কথাটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
(ক) জ্ঞান :
বই পড়া প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে স্কুল কলেজের ওপরে স্থান দিয়েছেন।
(খ) অনুধাবন :
সাহিত্যচর্চা ব্যতীত মানুষের মনের দাবি রক্ষা হয় না এবং আত্মাও বাঁচে না। এছাড়া জাতির জীবনীশক্তিও হ্রাস পায়।
ক্ষুধা নিবারণের জন্য আমরা খাই এবং উদরপূর্তির পর আমাদের দেহ সজীব এবং সবল থাকে অর্থাৎ পেটের দাবি না মেটালে আমাদের দেহ বাঁচে না। ঠিক তেমনি মনকে সজাগ ও সবল রাখতে না পারলে জাতির প্রাণ যথার্থ স্ফীতি লাভ করে না।
যে জাতি নিরানন্দ সে জাতি ক্রনান্বয়ে নির্জীব হয়ে পড়ে। সাহিত্য হৃদয়ের সংকীর্ণতা দূর করে, মনকে করে উদার, সত্যানুসন্ধানের প্রেরণা ও সূ² পর্যবেক্ষণের অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে থাকে।
(গ) প্রয়োগ :
ওপরের অনুচ্ছেদের রিয়াজ ও সাব্বিরের দৃষ্টিভঙ্গিকে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। জ্ঞানচর্চার মাধ্যম হিসেবে রিয়াজের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই সংকীর্ণ, পক্ষান্তরে সাব্বিরের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই উদার।
বইপড়া প্রবন্ধে আমরা প্রমথ চৌধুরীকেও জ্ঞানার্জনের মাধ্যম হিসেবে লাইব্রেরিকে স্কুলÑকলেজের উপরে স্থান দিতে দেখি। কারণ স্কুলÑকলেজের সিলেবাসযুক্ত বিষয়গুলো খুবই সীমিত, আর শিক্ষাকরা ছাত্রÑছাত্রীদেরকে তা গলাধকরণের কাজেই ব্যস্ত।
আসলে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও পদ্ধতি ত্র“টিপূর্ণ। শিক্ষা সম্পর্কে আমাদের ধারণও সঠিক নয়। এখানে শিক্ষার সাথে সাহিত্য ও জ্ঞানের কোনো সংযোগ নেই। সাহিত্যরস না থাকায় শিক্ষা হয়ে পড়েছে প্রাণহীন ও নিরানন্দ।
পুঁথিগত বিদ্যা লাভের মাধ্যমে পরীক্ষার বৈতরণী পার এবং তারপর একটি চাকরি জুটিয়ে নেয়াই এ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। সে জন্যে আমাদের দেশে পাস করা শিক্ষিতের সংখ্যা বাড়লেও জাতি হিসেবে মনের দিক থেকে আমরা বড় হতে পারি নি। অথচ শিক্ষার উদ্দেশ্যই হলো মনের দীনতা দূর করা এবং জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করা।
কেবল পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নে সীমাবদ্ধ থাকলে জ্ঞানের ভান্ডার কিছুতেই সমৃদ্ধ হবে না উপরের অনুচ্ছেদের রিয়াজ ও সাব্বিরের পরিণতিই এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ।
সাব্বির পাঠ্য পুস্তকেই সীমাবদ্ধ না থেকে জ্ঞানের পরিধি বিকাশের জন্য লাইব্রেরির বইসমূহ নিয়মিত অধ্যয়ন করেছে। আর রিয়াজ সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে পাঠ্যপুস্তকেই সীমাবদ্ধ থেকে জ্ঞানের রাজ্য থেকে যেমন নিজেকে বঞ্চিত করেছে।
তেমনি প্রতিযোগিতামূলক কর্মসংস্থানে লাভের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে। বইপড়া প্রবন্ধে লাইব্রেরির যে গুরুত্বের কথা প্রমথ চৌধুরী ব্যক্ত করেছেন রিয়াজ ও সাব্বিরের জীবনে তার সুস্পষ্ট প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে ।
(ঘ) উচ্চতর দক্ষতা :
উদ্দীপকে আমরা দেখি সাব্বির পাঠ্য বই অধ্যয়নের পাশাপাশি লাইব্রেরিতে বিচিত্রধর্মী বই পড়ে জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। ফলশ্র“তিতে কর্মসংস্থান বাছাইয়ের প্রথম ধাপেই সে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। আর তারই বন্ধু রিয়াজ লাইব্রেরির গুুরুত্ব অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছে বলেই জীবনের প্রথম ধাপেই অকৃতকার্য হয়েছে।
আসলে আমাদের স্কুলেÑকলেজের শিক্ষা পদ্ধতি সেকেলে এবং ত্র“টিপূর্ণ। আমাদের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকগণ ছাত্রÑছাত্রীদের যে নোট প্রদান করেন তা ছাত্র-ছাত্রীরা মুখস্থ করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু এই নোট মুখস্থ করা ও পরীক্ষার খাতায় তা উপরে দিয়ে একটি সার্টিফিকেট অর্জন করার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই। কারণ সে এখানে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারছে না। বরং সে নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে। আমাদের শিক্ষা নামক যন্ত্রের রোষানলে নিষ্পেষিত হয়ে যে তরুণটি বেরিয়ে আসে, তার আপনার বলতে বিশেষ কিছু থাকে না। তাই এক্ষেত্রে লাইব্রেরি শিক্ষার বিকল্প নেই।
প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে স্কুলÑকলেজের উপর স্থান দিয়েছেন। এর কারণ স্কুলÑকলেজে স্বাধীন জ্ঞানচর্চার সুযোগ নেই। পাঠ্যপুস্তক বা সিলেবাস রপ্ত করাই এখানকার মূল উদ্দেশ্য। পক্ষান্তরে লাইব্রেরির জ্ঞানরাজ্যে মানুষ স্বাধীন।
লাইব্রেরিতে বসে শিক্ষার্থীরা নিজের রুচি ও পছন্দমতো বই বেছে নিয়ে আনন্দের সাথে মুক্ত জ্ঞান আহরণ করতে পারে। লাইব্রেরির মাধ্যমেই স্বশিক্ষিত হতে পারে। উদ্দীপকের সাব্বিরও লাইব্রেরির গুরুত্ব উপলদ্ধি করতে পেরেই নিজের জ্ঞান সমৃদ্ধ করে সাফল্য লাভ করেছে।
৫.নং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর:
নূরউদ্দিন সাহেব লন্ডন প্রবাসী এক উচ্চশিক্ষিত বাঙালি। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যাদান পদ্ধতির ত্র“টি সম্পর্কে পত্রÑপত্রিকায় সমালোচনামূলক প্রবন্ধ লিখেন। তিনি মানুষকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় বই পড়তে উৎসাহিত করেন। গ্রামের বাজার সংলগ্ন এক বিস্তৃত জমি ক্রয় করে তিনি একটি এতিমখানা, বিদ্যালয় ও লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন। তার লাইব্রেরি এতই সমৃদ্ধ যে, দূরÑদুরান্ত থেকে জ্ঞানপিপাসুরা এসে তথায় বিচিত্রধর্মী গ্রন্থ চর্চায় মগ্ন হন। নূরউদ্দীন সাহেব প্রায়ই বলেন, আমার দৃষ্টিতে স্কুলÑকলেজের চেয়ে লাইব্রেরির গুরুত্ব অনেক বেশি।
(ক) ওপরের অনুচ্ছেদটি তোমার পঠিত কোন প্রবন্ধের কথা স্মরণ করিযে দেয়?
(খ) ‘পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়’ Ñব্যাখ্যা কর।
(গ) ওপরের অনুচ্ছেদের নূর উদ্দীন সাহেবের কর্মকান্ডে বইপড়া প্রবন্ধের কোন কোন বিষয় ফুটে উঠেছে? বুঝিয়ে লেখ।
(ঘ) স্কুল কলেজের চেয়ে লাইব্রেরির গুরুত্ব বেশি Ñনূরউদ্দিন সাহেবের মন্তব্যের যথার্থতা বইপড়া প্রবন্ধের আলোকে বিচার কর।
(ক) জ্ঞান :
ওপরের উদ্দীপকটি আমার পঠিত প্রমথ চৌধুরীর “বই পড়া” প্রবন্ধকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(খ) অনুধাবন :
মানুষ শিক্ষিত না হলে জীবনের অর্থ অনুধাবন করতে পারে না। প্রকৃত ও উপযুক্ত শিক্ষা মানুষকে মনুষ্যত্ব অর্জনে সহায়তা করে। কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানচর্চা না করে সীমিত পাঠ আয়ত্ত করার মাধ্যমে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার সীমাবদ্ধতার জন্যে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতিতে সার্টিফিকেট অর্জন করা যায় কিন্তু প্রকৃত শিক্ষিত বা জ্ঞানী হওয়া সম্ভব নয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ওপর নির্ভর না করে একমাত্র স্বীয় সাধনা বলেই একজন শিক্ষার্থী প্রকৃত শিক্ষা বা জ্ঞানের অধিকারী হতে পারে।
যে সাধনার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা যায় এবং শিক্ষার্থী আত্মবিশ্বাসী ও স্বনির্ভর হতে পারে তাকেই যথার্থ শিক্ষিত বলা যায় যদিও আমরা পরীক্ষা পাসকে সর্বস্ব বলে মনে করি এবং শিক্ষার ব্যর্থতা মেনে নিতে কুণ্ঠিত হই।
(গ) প্রয়োগ :
আলোচ্য অনুচ্ছেদে নূরউদ্দীন সাহেবের কর্মকান্ডে বইপড়া প্রবন্ধের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফুটে উঠেছে। প্রথমটি হচ্ছে আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির ত্র“টি, আর দ্বিতীয়ত লাইব্রেরির উপযোগিতা।
বইপড়া প্রবন্ধেও বিদগ্ধ প্রাবন্ধিক এ দুটি বিষয়কে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আসলে আমাদের স্কুলেÑকলেজের শিক্ষা পদ্ধতি সেকেলে এবং ত্রুটিপূর্ণ। আমাদের বিদ্যালগুলোতে শিক্ষকগণ ছাত্রÑছাত্রীদের যে নোট প্রদান করেন তা ছাত্রÑছাত্রীরা মুখস্থ করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
কিন্তু এই নোট মুখস্থ করা ও পরীক্ষার খাতায় তা উগরে দিয়ে একটি সার্টিফিকেট অর্জন করার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই। কারণ সে এখানে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারছে না। বরং সে নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলছে।
আমাদের শিক্ষা নামক যন্ত্রের রোষানলে নিষ্পেষিত হয়ে যে তরুণটি বেরিয়ে আসে, তার আপনার বলতে বিশেষ কিছু থাকে না। তাই এক্ষেত্রে লাইব্রেরি শিক্ষার বিকল্প নেই।
প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে স্কুলÑকলেজের ওপরে স্থান দিয়েছেন। এর কারণ স্কুলÑকলেজে স্বাধীন জ্ঞান চর্চার সুযোগ নেই। পাঠ্যপুস্তক বা সিলেবাস রপ্ত করাই এখানকার মূল উদ্দেশ্য। পক্ষান্তরে লাইব্রেরির জ্ঞান রাজ্যে মানুষ স্বাধীন।
লাইব্রেরিতে বসে শিক্ষার্থীরা নিজের রুচি ও পছন্দমতো বই বেছে নিয়ে আনন্দের সাথে মুক্ত জ্ঞান আহরণ করতে পারে। লাইব্রেরির মাধ্যমেই মানুষ স্বশিক্ষিত হতে পারে। তাই উদ্দীপকে নূরউদ্দীন সাহেব লাইব্রেরির গুরুত্বকে কলেজের ওপরে স্থান দিয়েছেন।
(ঘ) উচ্চতর দক্ষতা :
আমাদের বর্তমান স্কুলÑকলেজের ত্র“টিপূর্ণ শিক্ষাপদ্ধতির দিকটি চিন্তা করলে প্রশ্নোক্ত উক্তিকে নি:সন্দেহে মেনে নিতে হয়। মূলত বইপড়া প্রবন্ধে বিদগ্ধ প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরীর ব্যক্তব্যের প্রতিধ্বনিই নূরউদ্দিন সাহেবের আলোচ্য উক্তিটি।
একমাত্র শিক্ষা মানুষকে দিতে পারে সকল অজ্ঞতা থেকে মুক্তি, দিতে পারে একটি আনন্দÑঝামেলা গৌরবোজ্জ্বল জীবনের সন্ধান। কিন্তু আমাদের স্কুলÑকলেজের ব্যবস্থা পদ্ধতি ত্র“টিপূর্ণ। স্কুল কলেজের ছাত্রÑছাত্রীদের গন্ডিবন্ধ সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান করান হয়।
এতে করে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ চাহিদামতো জ্ঞানার্জন করতে পারে না। ফলে তাদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। সৃষ্ট মানবিক ও মানসিক বিকাশের জন্য লাইব্রেরির গুরুত্ব অপরিসীম।
আমাদের স্কুলেÑকলেজের শিক্ষা পদ্ধতি মুখস্থ করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু এই নোট মুখস্থ করা ও পরীক্ষার খাথায় তা উগরে দিয়ে একটি সার্টিফিকেট অর্জন করার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই।
কারণ সে এখানে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারছে না। বরং নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলছে। আমাদের শিক্ষা নামক যন্ত্রের রোষানলে নিষ্পেষিত হয়ে যে তরুণটি বেরিয়ে আসে, তার আপনার বলতে বিশেষ কিছু থাকে না। তাই এক্ষেত্রে লাইব্রেরি শিক্ষার বিকল্প নেই।
প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে স্কুলÑকলেজের ওপরে স্থান দিয়েছেন। এর কারণ স্কুলÑকলেজে স্বাধীন জ্ঞানচর্চার সুযোগ নেই। পাঠ্যপুস্তক বা সিলেবাস রপ্ত করাই এখানকার মূল উদ্দেশ্য।
পক্ষান্তরে লাইব্রেরির জ্ঞান রাজ্যে মানুষ স্বাধীন। লাইব্রেরিতে বসে শিক্ষার্থীরা নিজের রুচি ও পছন্দমতো বই বেছে নিয়ে আনন্দের সাথে মুক্ত জ্ঞান আহরণ করতে পারে। লাইব্রেরির মাধ্যমেই মানুষ স্বশিক্ষিত হতে পারে। তাই এর দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে স্কুল কলেজের চেয়ে লাইব্রেরির গুরুত্বকেই প্রাধান্য দিতে হয়।
প্র্যাকটিস অংশঃ- সৃজনশীল প্রশ্নঃ
১. হাসান সাহেব একজন শিক্ষিত লোক। তিনি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি ছেলেমেয়েকে পাঠ্যবই পড়তে নিয়মিত উৎসাহ দেন। তারা যদি কোন সাহিত্য বই পড়ে তাহলে তিনি খুব বিরক্ত হন। তিনি মনে করেন, পাঠ্যবই ভালো করে পড়লেই কেবল পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা যাবে এবং খুব সহজেই চাকরির মাধ্যমে সুন্দরভাবে জীবনধারণ করা সম্ভব হবে।
(ক) স্কুল কলেজের তুলনায় লাইব্রেরির স্থান কোথায়?
(খ) পাশ করা ও শিক্ষিত হওয়া এক নয় কেন?
(গ) উদ্দীপকের হাসান সাহেবের সঙ্গে প্রমথ চৌধুরীর মতের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) হাসান সাহেবের মতো লোকদের দৃঙ্গিভঙ্গি জাতিকে নিশ্চিত অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে-‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষন কর।
২. অলকা পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি কবিতা, উপন্যাস এবং গল্পের বই পড়তেও ভালোবাসে। নতুন কিছু জানা এবং শেখার মধ্যে সে আনন্দ খুঁজে পায়। কোনো কারণে তার যখন মন খুব বেশি খারাপ হয় তখন সে গল্পের বই পড়ে। এতে তার মন দ্রæত ভাল হয়ে যায়। বই পড়ে সে যে নির্মল আনন্দ লাভ করে তা তার মনকে প্রফুল্ল করে তোলে।
(ক) ডেমোক্রেসির গুরুরা কিসের সার্থকতা বুঝে না?
(খ) প্রমথ চৌধুরীর মতে আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষাপদ্ধতি ক্রুটিপূর্ণ কেন?
(গ) সাহিত্যচর্চার যে উপকারী দিকটি অলকার জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) ‘জাতির জীবনীশক্তি বৃদ্ধিতে অলকার মতো প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা আবশ্যক’-‘বই পড়া’ প্রবন্ধে আলোকে বিশ্লেষণ কর।
৩. পলান সরকার রাজশাহী বিভাগের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করেন। তাঁর বাড়িতে তিনি নিজ উদ্যোগে একটি ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার গড়ে তোলেন। সে গ্রন্থাগার রয়েছে প্রচুর বইয়ের সমাহার। প্রতিদিন সাইকেলে চেপে গ্রামের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে তিনি বই বিতরণ করেন। পড়া শেষে সেই বইগুলো তিনি আবার সংগ্রহও করে রাখেন। তার এমহান উদ্যোগের ফলে এলাকার জনগণ বই পড়ায় আগ্রহী হয়।
(ক) সাহিত্যচর্চার জন্য আমাদের কী প্রয়োজন?
(খ) আমরা লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করে কীভাবে দেশের উপকার করতে পারি?
(গ) উদ্দীপকের পলান সরকারের এ উদ্যোগের গুরুত্ব ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক কী পরামর্শ দিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) জসীমের বাবা-মা’র ধারণার সাথে আমাদের সকলের দ্বিমত পোষণ করা উচিত-‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বক্তব্যের যথার্থতা যুক্তিসহ উপস্থাপন কর।
৪. শফিক সাহেব একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। তিনি চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ ছাড়া কখনই সাহিত্যের বই কেনেন না। কারণ তিনি মনে করেন সাহিত্যের বই পড়ে তার পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন সম্ভব নয়।
(ক) মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ কোনটি?
(খ) ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্র স্বশিক্ষিত’-কেন?
(গ) ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে পেশাদার মহাভ্রান্তি বলতে লেখক যা বুঝিয়েছেন তা শামীম সাহেবের ক্ষেত্রে কীভাবে প্রযোজ্য? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) শামীম সাহেবের দৃষ্টিভঙ্গির যে যথার্থ নয় তা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
৫. ‘পড়িলে বই আলোকিত হই
না পড়িলে বই অন্ধকারে রই
গণগ্রন্থাগার প্রেরিত ঈদ কার্ডের লেখাটি পড়ে মিথিলার ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কথা মনে পড়ে। সেখানে শিক্ষা ও সাহিত্যের পার্থক্যের কথা বলা হয়েছে। আরও আছে জাতির জীবনীশক্তির যথার্থ স্ফুরণ তথা আলোকিত হওয়ার জন্য অসংখ্য সহায়ক বই পড়বার তাগিদ। কেননা সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) ‘নিষ্কর্মা’ শব্দটির অর্থ কী?
(খ) ‘পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়’ -কথাটা বুঝিয়ে দাও।
(গ) উদ্দীপকের সাথে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের সম্পর্ক আলোচনা কর।
(ঘ) ‘আলোকিত হওয়ার জন্য অসংখ্য সহায়ক বই পড়া দরকার’- ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ অনুসরণে কথাটার যথার্থতা প্রমাণ কর।
প্রমথ চৌধুরী-বই পড়া বহুনির্বাচনী (MCQ) প্রশ্ন উত্তর- SSC বাংলা ১ম
৬. বিজয় বার্ষিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে দশম শ্রেণিতে উঠেছে। বিজ্ঞানের প্রত্যেকটা বিষয়ে সে ভালো নম্বর পেয়েছে। কারণ পাঠ্য বইগুলো সে যেমন ভালোভাবে পড়েছে, তেমনি বিজ্ঞান ও সাহিত্য বিষয়ক বাইরের অনেক বইও পড়েছে। আর এগুলো সে নিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে। আনুষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বাইরের বই পড়ে তার মনমানসিকতার যেমন উন্নতি হয়েছে, তেমনি তার মনোজগতেরও পরিবর্তন এসেছে। তার ধারণা জ্ঞানের জগতের সকল ঠিকানা এখানে দেয়া আছে।
(ক) ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের উৎস কী?
(খ) ‘স্বশিক্ষিত’ বলতে কী বুঝ?
(গ) উদ্দীপকের সাথে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন অংশটুকুর মিল আছে বলে তোমার মনে হয়? তুলনামূলকভাবে লেখ।
(ঘ) ‘বই পড়ে তার মন-মানসিকতার উন্নতি হয়েছে, তার মনোজগতেরও পরিবর্তন এসেছে।’- প্রবন্ধ অনুসরণে এ উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
৭. সম্প্রতি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রতিটিতে প্রথম হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জনকারী আদিত্য আরিফের সংবর্ধনার জবাবে তার সাফল্যের ইতিবৃত্তি বর্ণনা করতে গিয়ে আদিত্য অকপটে জানাল ছেলেবেলা থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে জানার আগ্রহ ছিল তার প্রবল। স্কুলের নির্ধারিত পাঠ্যবই পড়ে তা নিবৃত্ত হতো না। এক সময় তার বাবা মায়ের উৎসাহ ও সহযোগিতার জ্ঞানপিপাসা পূরণের জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন লাইব্রেরির সাথে সংযোগ গড়ে তোলে এবং তার জ্ঞানপিপাসা মিটাতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। তার কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যের ব্যাপারে লাইব্রেরির ভ‚মিকাকেই সে মুখ্য বলে উল্লেখ করে। তার মতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পাঠ্যবই পরীক্ষা পাসের মাধ্যম হলেও জীবন-জিজ্ঞাসার পরিতৃপ্তি ও বহুমুখী জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত প্রকৃত শিক্ষিত হওয়ার জন্য লাইব্রেরির বিকল্প নেই।
(ক) এদেশে লাইব্রেরির সার্থকতা কী?
(খ) কেউ স্বেচ্ছায় বই পড়লে তাকে আমরা নিষ্কর্মার দলে ফেলে
দেই কেন?
(গ) উদ্দীপকটিতে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকটির প্রতি
গুরুত্বারোপ করা হয়েছে? আলোচনা কর।
(ঘ) “জীবন-জিজ্ঞাসার পরিতৃপ্তি ও বহুমুখী জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত প্রকৃত শিক্ষিত হওয়ার জন্য লাইব্রেরির বিকল্প নেই।” ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ অবলম্বনে উদ্দীপকের উক্তিটির মূল্যায়ন কর।
৮. সাহিত্যের প্রয়োজনীয়তা বলতে গিয়ে আমির স্যার বলেন, উদরপূর্তিতে মানুষের আতœা ও মনের পরিতৃপ্তি ঘটে না। উদরের দাবি রক্ষা না করলে যেমন মানুষ বাঁচে না, তেমনি মনের দাবি রক্ষা না করলেও মানুষের আতœা বাঁচে না। কেননা, উদরের সঙ্গে যেমন দেহের সম্পর্ক, তেমনি মনের সঙ্গে আতœার সম্পর্ক। সে আতœার খোরাক হচ্ছে সাহিত্য। আতœার আতিœক উন্নতি ছাড়া জাতির জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করাসম্ভব নয়। এছাড়া যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব। একমাত্র আনন্দের স্পর্শেই মনপ্রাণ সজীব, সতেজ ও সজাগ হয়ে ওঠে। সুতরাং সাহিত্য চর্চার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অর্থ হচ্ছে জাতির জীবনীশক্তি হ্রাস করা।
(ক) সুশিক্ষিত লোকমাত্রই – কী?
(খ) ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন কেন?
(গ) উদ্দীপকের আমির স্যারের সঙ্গে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের কোন দৃষ্টিভঙ্গির মিল রয়েছে – ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) “সাহিত্যচর্চার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অর্থ হচ্ছে জাতির জীবনীশক্তি হ্রাস করা।” ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
৯. শিপন ও মতিন দুই বন্ধু। শিপনের প্রিয় সখ বই পড়া। সে বিশ্বাস করে জীবন সুন্দর এবং মহৎ করার জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। মতিনের এ বিষয়ে একেবারেই ভিন্নমত। শিপনের বই পড়া শখটিকে সে কখনও সমর্থন করতে পারে না। তার মতে আমাদের এ দুঃখ- দারিদ্র্যের দেশে যেখানে জীবনধারণই বড় সমস্যা সেখানে জীবনকে সুন্দর ও মহৎ করার চেষ্টা নিরর্থক।
(ক) সুশিক্ষিত লোক মাত্রই কী?
(খ) শখ করে কেউ বই পড়লে তাকে আমরা নিষ্কর্মার দলে ফেলে দিই কেন?
(গ) মতিনের মতো শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে প্রমথ চৌধুরীর অভিমত কী ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) ‘মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আতœা বাঁচে না’-ব্যাখ্যা কর।
১০. বিশ্বমানবের মনের সঙ্গে নিত্যনতুন সম্বন্ধ পাতানোই হচ্ছে কবি মনের নিত্যনৈমিত্তিক কর্ম। সাহিত্য জগতে যাদের খেলা করবার প্রবৃত্তি আছে, সাহস আছে, ক্ষমতা আছে, মানুষের নয়ন ও মন আকষর্ণ করবার সুযোগ তাদের আছে। মানুষ যে খেলা দেখতে ভালোবাসে তার পরিচয় আমরা এই সমাজে নিত্য পাই। আর এই সুযোগের একমাত্র বাহন হচ্ছে বই। কারণ বই ছাড়া জ্ঞান চর্চার উপায় নেই। শিক্ষা কেড়ে বা ছিনিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। শিক্ষাকে অর্জন করতে হয়।
(ক) সাহিত্য চর্চার জন্য কিসের প্রয়োজন?
(খ) সাহিত্য কিভাবে মাুনষের মনকে সজাগ সচল রাখে?
(গ) উদ্দীপকে শিক্ষাকে অর্জন করতে হয় – উক্তিটি বই পড়া প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
(ঘ) জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে বই পড়ার গুরুত্ব¡ “বই পড়া” প্রবন্ধের আলোকে লেখ।
১১. রিয়া ও আনিকা শহরের একটা নামী স্কুলের ছাত্রী। নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েই আনিকা এসএসসি পরীক্ষার জন্যে উঠে পড়ে লগেছে। অথচ পাঠ্য বইয়ের সাথে তার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। নোট-গাইড, সাজেশন সংগ্রহের পেছনেই বেশিরভাগ সময় কাটে তার। অন্যদিকে রিয়া পরীক্ষা নিয়ে মোটেও ব্যস্ত নয়। তার নেশাই হচ্ছে বই পড়া। সাহিত্য, শিল্পকলা, ইতিহাস,বিজ্ঞান, খেলাধুলা, ভ্রমণকাহিনি সব রকম বই পড়তে ভালবাসে সে। আনিকা রিয়ার এ ব্যাপারটি সমর্থন করে না; রিয়াকে পরীক্ষার ব্যাপারে সিরিয়াস হতে পরামর্শ দেয় সে।
(ক) ‘বই পড়া’ প্রবন্ধটি প্রমথ চৌধুরীর কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
(খ) প্রাবন্ধিক ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে ‘অন্তর্নিহিত প্রচ্ছন্ন শক্তি’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
(গ) ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে আনিকার মতো শিক্ষার্থীর ব্যাপারে লেখক কী মনোভাব পোষণ করেন – ব্যাখ্যা করো।
(ঘ) রিয়ার স্বেচ্ছায় বই পড়ার আগ্রহের ব্যাপারটি লেখক কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন, ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
১২. পায়রাডাঙ্গা গ্রামে ডানপিটে ছেলেদের দুষ্টমিতে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ। গ্রামের বর্ষিয়ান পন্ডিত বীরকান্ত বর্মণ ছেলেদের ডেকে পাঠাগার গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। তারা বীরকান্ত পন্ডিতের পরামর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেরা চাঁদা তুলে একটি গণপাঠাগার গড়ে তোলে। এর ফলে তারা নিজেরা এবং পাড়ার অন্যান্য সকলে বই পড়ার তথা সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে উৎসাহী হয়ে ওঠে।
(ক) ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখকের মতে, মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ কোনটি?
(খ) ‘পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়’Ñ ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক কেন একথা বলেছেন?
(গ) উদ্দীপকের বীরকান্ত পন্ডিতের চেতনাবোধ ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন চেতনাকে সমর্থন করে? ব্যাখ্যা করো।
(ঘ) উদ্দীপকে বর্ণিত পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মানসিক পরিবর্তনের দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
বাংলা ১ম ‘পল্লিসাহিত্য’ গল্পের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর-এসএসসি (PDF)
১৩. দেশলাইয়ের একটি কাঠি যেমন লাখো কোটি মোম প্রজ¦লনে সক্ষম, ঠিক তেমনি একজন প্রকৃত মানুষ তাঁর রুচি-প্রজ্ঞা-মনন ও চেতনা দিয়ে তার নিকটজন, প্রতিবেশী, সমাজ এবং দেশকে নিয়ে যেতে পারে আলোকের পথে। আর প্রকৃত মানুষ সৃষ্টির কারখানাই হচ্ছে লাইব্রেরি। তাই তো বলা হয়ে থাকে, ‘ধনে-মানে জাতি গঠনে লাইব্রেরির তুলনা বিরল।’
(ক) আমরা কাকে নিষ্কর্মার দলে ফেলে দিই?
(খ) আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষা অনেকাংশে ব্যর্থ কেন?
(গ) ‘প্রকৃত মানুষ সৃষ্টির কারখানাই হচ্ছে লাইব্রেরি’Ñ উদ্দীপকের এই বক্তব্যের সঙ্গে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য নিরূপণ করো।
(ঘ) ‘ধনে মানে জাতি গঠনে লাইব্রেরির তুলনা বিরল’Ñ এ বক্তব্যই যেন প্রতিধ্বনিত হয়েছে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধেÑ বিশ্লেষণ করো।
১৪. আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর লাইব্রেরি। লাইব্রেরি স্কুল-কলেজের পাঠ্যবইয়ের গন্ডিকে পেরিয়ে শিক্ষার্থীর অন্তরলোকের বিকাশ সাধন করে। আরব্য উপন্যাসে আলাদীনের চেরাগ আছে। ওর মধ্যে বড় একটা শক্তিশালী দৈত্য আছে। কিন্তু দৈত্যটি এমনি এমনি বের হয় না। তাতে একটু ঘষা দিতে হয়, মানে একটু স্পর্শ লাগে। ছেলেমেয়েদের বড় করে গড়ে তুলতে চাইলে শৈশবে, কৈশোরে একটা বড় কিছুর স্পর্শ লাগে। এই স্পর্শ দিতে পারে একটা সমৃদ্ধ লাইব্রেরি।
(ক) ‘সুসার’ শব্দের অর্থ কী?
(খ) ‘পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক কথা নয়’ – কথাটি ব্যাখ্যা করো।
(গ) উদ্দীপকটিতে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকটির প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে তা আলোচনা করো।
(ঘ) ‘আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর লাইব্রেরি’ – ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
১৫. শরীফ শিক্ষিত যুবক। সে বিএ প্রথম বিভাগ পেয়ে পাস করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ করতে এসে তার বন্ধুর সাথে পাবলিক লাইব্রেরিতে যায়। লাইব্রেরিতে গিয়ে নিয়মিত বই পড়তে পড়তে সে বুঝতে পারে, এতদিন সে শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়ে ভালো ফলাফল করলেও সুশিক্ষিত হতে পারে নি। জগৎ ও জীবনের অনেক কিছুই তার অজানা। লাইব্রেরি তার মনের জানালা খুলে দিয়েছে।
(ক) সাহিত্যচর্চার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অর্থ কী?
(খ) শিক্ষক ছাত্রের জন্য কী করতে পারেন?
(গ) শরীফের মনোভাবের সাথে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
(ঘ) শরীফের সুশিক্ষিত না হওয়ার কারণ ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ অনুসারে ব্যাখ্যা করো।
১৬। ২০১২ সালের একুশে বইমেলা কিছুদিন আগে শেষ হলো। প্রগতি ও প্রথা দুই বান্ধবীই মেলায় এসেছিল। প্রগতি সারা বছরই বই পড়ে বিধায় তার আশাÑবছরের এক মাস নয়, বারো মাসই বইমেলা হওয়া প্রয়োজন। কারণ বই পড়েই সে নিজের থেকে অনেক কিছু শিখেছে। অন্যদিকে প্রথার ধারণা, বইমেলার দরকার কী, বিদ্যালয়ের বই পড়ার মাধ্যমেই তো শিক্ষা অর্জন ও সার্টিফিকেট লাভ করা সম্ভব।
(ক) ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে কাদেরকে অলস বলা হয়েছে?
(খ) সাহিত্যচর্চাকে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ বলা হয়েছে কেন?
(গ) ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে প্রগতি ও প্রথার ধ্যানধারণার পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) প্রথার মতো শিক্ষার্থীদের প্রতি লেখক প্রমথ চৌধুরী কী ধরনের মনোভাব পোষণ করেন? ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
১৭। হেনা ও মাধবী পরস্পর বান্ধবী। হেনার পরিবার সচ্ছল কিন্তু মাধবীর পরিবার অসচ্ছল। তাই হেনা বর্তমানে কলেজে পড়লেও অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর মাধবী আর একাডেমিক পড়াশোনায় এগোতে পারে নি। কিন্তু মাধবীর গ্রামে একটি লাইব্রেরি আছে বিধায় প্রতিদিন রাতে সে লাইব্রেরিতে গিয়ে রকমারি বই পড়ে।
(ক) কে শিষ্যের আত্মাকে উদ্বোধি করেন?
(খ) সাহিত্যচর্চার জন্যে লাইব্রেরি প্রয়োজন কেন?
(গ) ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে উদ্দীপকে উলিখিত হেনা ও মাধবীর বৈসাদৃশ্য চিহ্নিত কর।
(ঘ) ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে উদ্দীপকের মাধবী চরিত্রটির মানসিকতা আলোচনা কর।
১৮। পায়রাডাঙ্গা গ্রামে বেশি কিছু ডানপিটে ছেলে ছিল। তাদের দুষ্টুমির জ্বালায় গ্রামের সকলে অতিষ্ঠ। এ দেখে গ্রামের বর্ষীয়ান পণ্ডিত বীরকান্ত বর্মণ ছেলেদের ডেকে পাঠাগার গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। তারা বীরকান্ত পন্ডিতের পরামর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠায় উঠেÑপড়ে লাগে। একসময় তারা নিজেরা চাঁদা দিয়ে বই কিনে একটি গণপাঠাগার গড়ে তোলে। এর ফলে তারা নিজেরা এবং পাড়ার অন্যান্য সকল বই পড়ার তথা সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে উৎসাহী হয়ে ওঠে।
(ক) মনের আক্ষেপ প্রকাশ করতে মাঝে মাঝে কী লাগাতে হয়?
(খ) ‘পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়’ Ñলেখক কেন এ কথা বলেছেন?
(গ) উদ্দীপকের বীরকান্ত পন্ডিতের চেতনাবোধ ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন চেতনাকে সমর্থন করে ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকে বর্ণিত পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ছেলেদের মানসিক পরিবর্তনের দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।