ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২১-২৫ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ২১-২৫ | PDF
প্রশ্ন ২১: জনাব আশিক তার নিজ জীবন, স্ত্রী ও বড় ভাইয়ের নামে পৃথক ভাবে বিমা করতে চাইলেন। কিন্তু বিমা কোম্পানি বড় ভাইকে বাদ দিয়ে জনাব আশিক ও তার স্ত্রীর জীবনের ওপর বিমা করল। জনাব আশিক তার বড় ভাইয়ের নামে কেন বিমা করতে পারবেন না জানতে চাইলে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপক বলেন, এটি তাদের নিয়মের মধ্যে পড়ে না। [আইডিয়াল কলেজ, ধানমন্ডি ঢাকা]
ক.স্বাস্থ্যবিমা কি?১
খ.মৃত্যুহার পঞ্জি বলতে কী বোঝায়? ২
গ.উদ্দীপকে জনাব আশিকের বিমাপত্রটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.বিমা কোম্পানি নিয়মের বাইরে কোনো চুক্তি করে না উদ্দীপকের আলোকে যথাঅর্থতা বিশ্লেষণ করো। ৪
২১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: সুস্থতাজনিত কারণে সংগঠিত চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহর জঅন্য যে বিমা চুক্তি করা হয় তাকে স্বাস্থ্য বিমা বলে।
খ উত্তর: তীত ভিজ্ঞতার আলোকে নির্দিষ্ট বয়সের ব্যক্তিবর্গের মৃত্যুহার যে তালিকায় প্রকাশ করা হয় তাকে মৃত্যুহার পঞ্জি বলে।
মৃত্যুহার কম-বেশি হলে বিমাকারীর ঝুঁকিও হ্রাস-বৃদ্ধি পায়। তাই বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্ভাব্য মৃত্যুহার নির্ণয় ও জানতে চেষ্টা করে। এজঅন্য তারা তীত তথ্য ও ভিজ্ঞতা দ্বারা প্রতি হাজারে মৃত্যুহারসহ একটি তালিকা প্রস্তুত করে। যা মৃত্যুহার পঞ্জি নামে পরিচিত।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব আশিকের বিমাপত্রটি জীবন বিমাপত্র যা ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
মানুষের জীবনের উপর জীবন বিমা চুক্তি সম্পাদন করা হয়। নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে বিমা গ্রহীতার মৃত্যুজনিত ঝুঁকির বিপক্ষে তার পোষ্যদের আঅর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে জীবন বিমা।
উদ্দীপকে জনাব আশিক তার নিজ জীবন, স্ত্রী ও বড় ভাইয়ের নামে পৃথকভাবে বিমা করতে চাইলেন। মানুষ মরণশীল। কিন্তু কবে, কখন, কোথায়, কিভাবে মৃত্যু হবে মানুষ তা জানে না। পরিণত বা ল্পবয়সে মৃত্যুবরণ করলে পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিগণ আঅর্থিক দুর্দশায় পতিত হয়। এ দুর্দশা লাঘবে জীবন বিমা কাজ করে।
এ বিমা পরিপক্ক বয়সে উপার্জনশীল বা অন্য যেকোনো ব্যক্তির মৃত্যুতে তার মনোনীত ব্যক্তিদের আঅর্থিক সহায়তা প্রদান করে। অর্থাৎ জীবন বিমার বিষয়বস্তু হলো মানুষের জীবন। শুধু মৃত্যু ঝুঁকিতে এখানে আঅর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
উদ্দীপকের জনাব আশিক তার নিজের জীবন, স্ত্রীর ও ভাইয়ের জীবন বিমা করতে চেয়েছেন। এখানে বিমার বিষয়বস্তু জীবন। তাই এটি জীবন বিমা চুক্তির আওতাধীন।
ঘ উত্তর: বিমা কোম্পানি নিয়মের বাইরে কোনো চুক্তি করে না উক্তিটি যথাঅর্থ।
বিমা হলো বিমা গ্রহীতা ও বিমা কোম্পানির মধ্যে লিখিত চুক্তি। মানুষের জীবন, সম্পদ ইত্যাদি বিমার বিষয়বস্তু। এসকল বিষয়বস্তুতে বিমাগ্রহীতার আঅর্থিক স্বাঅর্থ বিদ্যমান থাকলে বিমা করা যায়।
উদ্দীপকে জনাব আশিক তার নিজ জীবন, স্ত্রী ও বড় ভাইয়ের নামে পৃথকভাবে বিমা করতে চাইলেন। কিন্তু বিমা কোম্পানি বড় ভাইকে বাদ দিয়ে জনাব আশিক ও তার স্ত্রীর জীবনের উপর বিমা করল। জনাব আশিক তার বড় ভাইয়ের নামে কেন বিমা করতে পারবেন না তা জানতে চাইলে বিমা কোম্পানি বলে, এটি তাদের নিয়মে মধ্যে পড়ে না।
বিমা চুক্তির একটি অন্যতম আইনগত উপাদান হলো বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ। বিমাকৃত বিষয়বস্তুর ক্ষতিতে যে পক্ষ আঅর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উক্ত বিষয়বস্তুতে তার বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ বিদ্যমান। বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ না থাকলে বিমা করা যায় না।
যা বিমাযোগ্য স্বাঅর্থের নীতি নামে পরিচিত। স্ত্রীর জীবনের উপর স্বামীর আর স্বামীর জীবনের উপর স্ত্রীর বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ রয়েছে। কারণ একের মৃত্যুতে অন্যপক্ষ আঅর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কিন্তু ভাইয়ের মৃত্যুতে জনাব আশিক আঅর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তাই ভাইয়ের জীবনের উপর জনাব আশিকের বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ নেই। এ বিমাতে স্বাঅর্থ না থাকায় বিমা কোম্পানি নিয়মের বাইরে কোন চুক্তি করেনি।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্ন ২২: জক সড়ঃড়ৎং এর মালিক জনাব ছাত্তার সাহেব তার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের জঅন্য একটি বিমা পলিসি গ্রহণ করেছেন। ফলে ভবিষ্যতে কোন দুর্ঘটনায় শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া সহজ হয়। পরদিকে তিনি তার কোম্পানিতে ব্যবহৃত বয়লার এবং জেনারেটর এর জঅন্য বিমা করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন।
[সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ, গাজীপুর]
ক.গণদায় বিমা কী?১
খ. জেটিসন কী বর্ণনা করো। ২
গ.ছাত্তার সাহেব শ্রমিকের জঅন্য কোন ধরনের বিমা পলিসি খুলেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.বয়লার এবং জেনারেটর এর জঅন্য ছাত্তার সাহেবের কোন ধরনের বিমাপত্র গ্রহণ সঠিক হবে বলে তুমি মনে কর? মতামত দাও। ৪
২২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: মোটর যান, রেলগাড়ি বা বিমানে চলাচলের সময় যাত্রীদের বা অন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের জঅন্য পরিবহন প্রতিষ্ঠান যে বিমা করে তাই গণদায় বিমা।
খ উত্তর: জাহাজ থেকে সমুদ্রে পণ্য নিক্ষেপ করাই হল জেটিসন।
যাত্রাকালে পণ্য বহনকারী জাহাজ ও জাহাজে রক্ষিত পণ্য ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জঅন্য এটা করা হয়। এরূপ করার পিছনে মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে জাহাজকে কিছুটা হালকা করে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা।
গ উত্তর: উদ্দীপকের ছাত্তার সাহেব শ্রমিকদের জঅন্য তৃতীয় পক্ষ বিমা পলিসি খুলেছেন।
সাধারণত কোন প্রতিষ্ঠানের মালিক তার নিয়োজিত কর্মচারীদের নামে এরূপ বিমাপত্র ক্রয় করে। এ প্রক্রিয়ায় বিমাগ্রহীতা তৃতীয় পক্ষকে সুবিধা প্রদানের জঅন্য বিমা করে।
উদ্দীপকের জক সড়ঃড়ৎং এর মালিক জনাব ছাত্তার সাহেব তার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের জঅন্য একটি বিমা পলিসি গ্রহণ করেছেন। ফলে ভবিষ্যতে কোন দুর্ঘটনায় শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া সহজ হয়।
তৃতীয় পক্ষ বিমার ক্ষেত্রেও দেখা যায় প্রতিষ্ঠানের মালিক শ্রমিকদের জঅন্য বিমা খুলেন। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ সহজ হয়। জনাব ছাত্তার সাহেবের বিমা পলিসিতেও সেই বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান রয়েছে। সুতাং আমরা বলতে পারি, জনাব সাত্তার সাহেব তৃতীয় পক্ষ বিমা পলিসি খুলেছিলেন।
ঘ উত্তর: বয়লার এবং জেনারেটর এর জঅন্য ছাত্তার সাহেব গ্নিবিমাপত্র গ্রহণ সঠিক হবে বলে আমি মনে করি।
সম্পত্তির গ্নিকাণ্ডের ক্ষতিজনিত ঝুঁকি হ্রাসের জঅন্য এ ধরনের বিমা খোলা হয়। গ্নি বিমাকে ক্ষতি পূরণের চুক্তি বলা হয়। এ বিমাপত্র নির্দিষ্ট সময়ের জঅন্য হয়ে থাকে।
উদ্দীপকের ছাত্তার সাহেব তার কোম্পানিতে বয়লার এবং জেনারেটর ব্যবহার করেন। বয়লার এবং জেনারেটর এর দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকি হ্রাসের জঅন্য তিনি বিমা করতে চান। বয়লার এবং জেনারেটর উভয়েরই গ্নিঝুঁকি বেশি রয়েছে।
যেকোনো সময় গ্নিকাণ্ডের মাধ্যমে তার সম্পদ দুটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর গ্নি দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকি হ্রাসের জঅন্য গ্নি বিমা রয়েছে, তাই তিনি গ্নিবিমা করবেন। বয়লার এবং জেনারেটর দুটি সম্পদই বিদ্যুৎ সম্পর্কিত।
বিদ্যুৎ দুর্ঘটনার জঅন্যই সবচেয়ে বেশি গ্নিকাণ্ড ঘটে। বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বয়লার দ্বারা সিদ্ধ করার কাজ করা হয়। অন্যদিকে জেনারেটর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। তাই গ্নিকাণ্ড ঘটাই দুটো সম্পদের জঅন্য সবচেয়ে প্রত্যক্ষ কারণ। সুতরাং আলোচনা থেকে বলা যায়, গ্নিবিমা খোলাটায় ছাত্তার সাহেবের জঅন্য সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।
প্রশ্ন ২৩: মি. আকাশ একটি কারখানার জঅন্য পদ্মা এবং যমুনা নাক উত্তর: দুটি বিমা কোম্পানির সাথে বিমা চুক্তি করেন। একটি দুর্ঘটনায় আকাশের কারখানায় ২ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুক্তিমতে উভয় কোম্পানি যৌথভবে জনাব আকাশকে সমান হারে মোট ২ লক্ষ টাকাই ক্ষতিপূরণ দেয়। পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তি জনাব আকাশ ৩০,০০০ টাকা বিক্রি করে দেন। সংবাদ পেয়ে উভয় কোম্পানি এ বিক্রয়মূল্যের ওপর দাবি উপস্থাপন করেন।
[ঘাটাইল ক্যান্টনমন্টে পাবলিক স্কুল ও কলেজ কলেজ, টাঙ্গাইল]
ক.প্রিমিয়াম বলতে কী বোঝ?১
খ.বিমা চুক্তিকে পরম বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ.বিমা চুক্তির কোন নীতির আলোকে উভয় বিমা কোম্পানি আকাশকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির বিক্রয়মূল্যের ওপর উভয় কোম্পানির দাবির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪
২৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিমাচুক্তিতে বিমাকারীর ঝুঁকি বহনের নিশ্চয়তার বিপক্ষে বিমাগ্রহীতা যে অর্থ বিক উত্তর:ারীকে প্রদান করে তাকে প্রিমিয়াম বলে।
খ উত্তর: বিমাকারী এবং বিমাগ্রহীতার পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই বিমার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয় বলে একে পরম বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়।
চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাস বিমাচুক্তির একটি অন্যতম উপাদান ও নীতি। পরম বিশ্বাসের উপর ভিত্তি কইে বিমাচুক্তি গঠিত হয়। বিমাচুক্তির সর্বস্তরে সর্বোচ্চ বিশ্বস্ততার সাথে প্রতিটি কর্তব্য পালন করতে হয়।
পণ্যের মত বিমাচুক্তিতে দেখে বা পরীক্ষা করে নেওয়ার কিছু নেই। বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে বিমাচুক্তি হয়। এ জঅন্যই বিমাচুক্তিকে পরম বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়।
গ উত্তর: বিমাচুক্তির আনুপাতিক ংশগ্রহণের নীতির আলোকে উভয় বিমা কোম্পানি আকাশকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।
এ নীতি নুযায়ী একই সম্পত্তি একাধিক বিমাকারীর কাছে বিমা করা হয়।
সহ বিমাকারীগণ বিমা দাবি পরিশোধের ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে ংশগ্রহণ করে। এরূপ ক্ষেত্রে যে বিমাকারীর কাছে সম্পত্তির যত ংশ বা যত টাকার বিমা করা হয়েছে তার কাছ থেকে বিমাগ্রহীতা সে নুপাতে ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকে।
উদ্দীপকের মি. আকাশ একটি কারখানার জঅন্য পদ্মা এবং যমুনা নাক উত্তর: দুটি কোম্পানির সাথে বিমা চুক্তি করেন। একটি দুর্ঘটনায় আকাশের কারখানায় ২ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চুক্তিমত উভয় কোম্পানি যৌথভাবে জনাব আকাশকে সমান হারে মোট ২ লক্ষ টাকাই ক্ষতিপূরণ দেয়। আনুপাতিক হারের নীতিতে একাধিক বিমা কোম্পানি থাকে যা মি. আকাশ এর বিমায় দেখা যায়।
দুটি কোম্পানি আনুপাতিক হারে তাকে ক্ষতি প্রদান করছে যা আনুপাতিক হারের নীতির আওতায় পড়ে। সুতরাং উপরোক্ত বিষয় থেকে বোঝ যায়, বিমাচুক্তির আনুপাতিক হারের নীতির আলোকে উভয় কোম্পানি আকাশকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে।
ঘ উত্তর: স্থলাভিষিক্ততার নীতি নুসারে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির বিক্রয়মূল্যের উপর দাবি করাটা কোম্পানিসমূহের জঅন্য যৌক্তিক।
এই নীতিতে বিমাকৃত সম্পত্তির ক্ষতি হলে বিমাকারী সম্পূর্ণ দাবি পরিশোধ করে দেয়। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তি থেকে যে পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার করা যায় তার মালিকানা বিমাকারী কোম্পানির কাছে চলে যায়। ভগ্নাবশেষের উপর বিমাগ্রহীতার কোন দাবি থাকে না।
উদ্দীপকের মি. আকাশ এর সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি যেহেতু দুইটি কোম্পানির কাছে বিমা করেছিলেন। তাই দুইটি কোম্পানি আনুপাতিক হারে তাকে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেয়। পরবর্তী সময়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তি ৩০,০০০ টাকায় বিক্রি করে দেন। সংবাদ পেয়ে উভয় কোম্পানি এ বিক্রয়মূল্যের উপর দাবি উপস্থাপন করে।
আনুপাতিক হারের নীতি নুসারে যতগুলো কোম্পানির কাছে বিমা করা হবে সবাই তাদের বিমার ংশ নুসারে দায়বদ্ধ থাকবে। এখানো দুইটি কোম্পানির কাছে বিমা করা হয়েছে।
তাদের বিমার আনুপাতিক হার নুযায়ী তারা পরবর্তী ৩০,০০০ টাকার উপর দাবি পাবে। এখানে মি. আকাশ বেআইনিভাবে সম্পদ বিক্রয় করেছেন যদিও তার কোন দাবিই নেই ভগ্নাবশেষের উপর।
কারণ তিনি সম্পূর্ণ বিমাদাবি গ্রহণ করেছেন। সুতরাং ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির বিক্রয়মূল্যের ওপর উভয় কোম্পানির দাবিটি যৌক্তিক।
প্রশ্ন ২৪: শারমীন হোসেন উচ্চ মাধ্যমিক এর একজন ছাত্রী। কলেজ থেকে তাকে বাংলাদেশের বিমা ব্যবসায় সংক্রান্ত একটি প্রতিবদেন জমা দিতে বলা হয়েছে। এজঅন্য সে বিভিন্ন বিমা কোম্পানি পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের বিমা ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সম্পর্কিত তথ্য ও প্রতিবেদন উলেখ করেন। [ শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ]
ক.বিমাকারী কী?১
খ.বিমাকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয় কেন? ২
গ.উদ্দীপকের শারমিন হোসেনের প্রতিবেদেনে বাংলাদেশের বিমা ব্যবসায়ের যে পটভ‚মি ওঠে আসবে তা বর্ণনা করো। ৩
ঘ.বিমা ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাসমূহ বাংলাদেশের বিমা ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।৪
২৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: প্রিমিয়াম নেওয়ার বিনিময়ে যে পক্ষ বিমাচুক্তিতে ঝুঁকির দায় বহন করে তাকে বিমাকারী বলে।
খ উত্তর: বিমাপত্রে উলিখিত কারণে ক্ষতি হলে বিমাকারী বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ করে বলে বিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
বিমা হলো সম্ভাব্য আঅর্থিক ঝুঁকির বিপরীতে ক্ষতিপূরণের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা। বিমা চুক্তিতে উলিখিত কারণে বিমাকৃত বিষয়বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণে বাধ্য থাকে।
গ উত্তর: বিমা হলো বিমাগ্রহীতা ও বিমাকারীর মধ্যে একটি চুক্তি। এ চুক্তির আওতায় বিমাকারী প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বিমা গ্রহীতার বিমাকৃত বিষয়বস্তুর ঝুঁকি বহন করে।
বিমাপত্রে উলিখিত কারণে বিষয়বস্তুর ক্ষতি হলে বিমাকারী উক্ত ক্ষতি পূরণ করে। যাতে বিমাগ্রহীতা আঅর্থিক ঝুঁকির বিপরীতে নিশ্চয়তা বোধ করে।
উদ্দীপকে শারমীন হোসেন উচ্চ মাধ্যমিক এর একজন ছাত্রী। কলেজ থেকে তাকে বাংলাদেশের বিমা ব্যবসায় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ জঅন্য সে ভিন্ন ভিন্ন বিমা কোম্পানি পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ করে। বাংলাদেশে সকল বিমা কোম্পানি দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত।
জীবন বিমা কোম্পানি ও সাধারণ বিমা কোম্পানি। উদ্দীপকের শারমীন হোসেন এ দু’ধরনের কোম্পানিতে পরিদর্শন করেছেন। দু’ধরনের বিমা কোম্পানিগুলো দুটি ভিন্ন সংস্থা (জীবন বিমা কর্পোরেশন ও সাধারণ বিমা কর্পোরেশন) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
আর সাগ উত্তর:্রিক বিমা খাতের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। মূলত এসব তথ্যই শারমীন হোসেনের প্রতিবেদনে ওঠে আসবে।
ঘ উত্তর: বিমা ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাসমূহ বাংলাদেশের বিমা ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে-বক্তব্যটি যথাঅর্থ।
বাংলাদেশের বিমা ব্যবসায়ের উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক তত্ত¡াবধানে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান হলো-বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। এটি ২০১০ সালে কার্যক্রম শুরু করে।
উদ্দীপকে শারমীন হোসেন উচ্চ মাধ্যমিক এর ছাত্রী। কলেজের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জঅন্য তিনি বাংলাদেশের বিমা ব্যবস্থার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। ভিন্ন ভিন্ন বিমা কোম্পানিতে পরিদর্শনও করেছেন। এ প্রতিবেদনে বিমা ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সম্পর্কিত তথ্যও উলেখ করা।
শারমীন হোসেনের উলিখিত প্রতিষ্ঠানটি হলো বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। এ প্রতিষ্ঠান বিমার মাধ্যমে আঅর্থিক প্রতিরক্ষার বিষয়টি তত্ত¡াবধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
গ্রাহকের স্বাঅর্থ রক্ষায় নিয়মবহিভর্‚ত কার্যক্রম তদারকি, শনাক্তকরণ ও দোষীদের শাস্তি দিয়ে থাকে এ সংস্থা। এ সংস্থা ছাড়াও বাংলাদেশে বিমা একাডেমি, জীবন বিমা ও সাধারণ বিমা কর্পোরেশন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিমা ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রণে জড়িত।
প্রশ্ন ২৫: বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে বিমার সফলতার জঅন্য নুসরণযোগ্য দিননির্দেশনা জেনে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিমা করতে পারে। এক্ষেত্রে বিমার বিষয়বস্তুতে বিমাগ্রীতার আঅর্থিক স্বাঅর্থ থাকা আবশ্যক। বিমাগ্রহিতা নির্দিষ্ট হারে অর্থ পরিশোধ করলে বিমাপত্র উলিখিত ক্ষতিতে ক্ষতিপূরণ আশা করতে পারে। [চাঁদপুর সরকারি কলেজ]
ক.প্রিমিয়াম কী?১
খ.স্থলাভিষিক্তকরণের নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ.বিমা ব্যবসায়ে সফলতা র্জনে কোন নীতিগুলো বিমা ব্যবসায়ীর জানা প্রয়োজন? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.‘বিমা, ঝুঁকি ও নিশ্চয়তার বিপক্ষে আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের চুক্তি’ বিশ্লেষণ করো। ৪
২৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিমাচুক্তিতে ঝুঁকি বহনের নিশ্চয়তার বিপক্ষে বিমাগ্রহীতা বিমাকারীকে যে অর্থ প্রদান করে তাকে প্রিমিয়াম বলে।
খ উত্তর: ক্ষতিপূরণ প্রদান করার পর বিমাকৃত বিষয়বস্তুর ভগ্নাবশেষের মালিকানা পরিবর্তন হওয়ার নীতিকে স্থলাভিষিক্তকরণের নীতি বলে।
সাধারণ বিমার বেলায় বিমাকৃত সম্পদের সম্পূর্ণ ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।
কিন্তু ঐ সম্পদের যা বশিষ্ট থাকে তার ধিকারী হন বিমা কোম্পানি। অর্থাৎ ভগ্নাবশেষ সম্পত্তিটির মালিকানা বিমা কোম্পানির কাছে হস্তান্তর হয়ে যায়। এই নীতিটিই স্থলাভিষিক্তকরণের নীতি।
গ উত্তর: বিমা ব্যবসায়ের সফলতা র্জনের জঅন্য বিমার নীতিগুলো জানা প্রয়োজন।
বিমা ব্যবসায় তার কাজ সম্পাদনের জঅন্য যেসব মৌলিক নির্দেশিকা নুসরণ করে তাকে বিমা ব্যবসায়ের মূলনীতি বলে। বিমা ব্যবসায়কে সফল ও ধিকতর কল্যাণমুখী করে তোলার জঅন্য মূলনীতি মেনে চলতে হবে।
উদ্দীপকে বিমা ব্যবসায়ের নীতিমালা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে বিমার সফলতার জঅন্য নুসরণযোগ্য দিক নির্দেশনা জেনে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিমা করতে পারে।
এক্ষেত্রে বিমার বিষয়বস্তুতে বিমাগ্রহীতার আঅর্থিক স্বাঅর্থ থাকা আবশ্যক। বিমার এই নীতিকে বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ নীতি বলা হয়। এ নীতি না মেনে চললে বিমা কোম্পানি নেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
বিমা গ্রহীতা নির্দিষ্ট হারে অর্থ পরিশোধ করলে বিমাপত্রে উলিখিত ক্ষতিতে ক্ষতিপূরণ আশা করতে পারে। একে ক্ষতিপূরণের নীতি বলে। কেবলমাত্র বিমা পলিসিতে উলিখিত প্রত্যক্ষ কারণে ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ দিবে।
সঠিকভাবে ক্ষতিপূরণের নীতি মেনে না চললে বিমা কোম্পানি ব্যবসায়ে টিকে থাকতে পারবে না। পরিশেষে আমরা বলতে পারি, বিমা ব্যবসায়ে সফলতা র্জনে উপরোক্ত নীতিগুলো বিমা ব্যবসায়ীর জানা প্রয়োজন।
ঘ উত্তর: ‘বিমা, ঝুঁকি ও নিশ্চয়তার বিপক্ষে আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের চুক্তি’ উক্তিটি যথাঅর্থ।
আঅর্থিক ক্ষতি সম্ভাবনাকেই ঝুঁকি বলে। মানুষের জীবনের ও সম্পত্তির এই আঅর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার প্রক্রিয়াই হল বিমা ব্যবস্থা।
উদ্দীপকে বিমার নীতিমালা সম্পর্কে আলোচনা বিমাকৃত বিষয়বস্তুর বিশেষত সম্পদের ক্ষতি হলে বিমাকারী বিমাগ্রীতাকে প্রকৃত ক্ষতিপূরণ করবে। বিমাগ্রহীতাকে সৃষ্ট ক্ষতিপূরণ করাই বিমার মূল উদ্দেশ্য।
তবে বিষয়বস্তু ক্ষতিগ্রস্থ না হলে ক্ষতিপূরণের দায় সৃষ্টি হয় না। তা পরিমাপ করে ততটুকু ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতি সংঘটিত হওয়ার পূর্বের বস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। প্রত্যেকটা ব্যবসায়ে ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা রয়েছে।
এই নিশ্চয়তা ঐ ব্যবসায়ের জঅন্য ঝুঁকি। ব্যবসায়ীরা তখনই বিমা করে যখন এ ঝুঁকির সম্মুখিন হয় তারা। তাদের মুখ্য উদ্দেশ্যই থাকে আঅর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়া।
মানুষ ঝুঁকির সম্মুখীন হলে একমাত্র তখনই বিমা কোম্পানির কাছে যায় উক্ত বিষয়বস্তুর উপর বিমা করতে। বিমা কোম্পানি নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিপরীতে ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্র“তি দেয়। সুতরাং বিমা, ঝুঁকি ও নিশ্চয়তার বিপক্ষে আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।