ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৬-২০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দশম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১০ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৬-২০ | PDF
প্রশ্ন ১৬: মি. তিহান তার মায়ের সাথে একই বাড়িতে থাকেন। বাড়িটি তিহানের মায়ের নামে। ভ‚মিকম্প হলে বাড়িটি ভেঙ্গে পড়তে পারে এই কথা চিন্তা করে মি. তিহান বাড়িটি বিমা করতে গেলে বিমা কোম্পানি বাড়িটি বিমা করতে স্বীকৃতি জানায়। তখন মি. তিহানের মা নিজেই বাড়িটি বিমা করেন। তারপর মি. তিহান বিমা কোম্পানিকে না জানিয়ে পরবর্তী তলার কাজ শুরু করেন। ২য় তলার কাজ শেষ হওয়ার পরপরই বাড়িটি একপাশে হেলে যায়। মি. তিহানের মা বিমা দাবি পেশ করলে বিমা কোম্পানি বিমা দাবি পূরণে স্বীকৃতি জানায়। [ভোলা সরকারি কলেজ]
ক.বিমা কী?১
খ.বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ বলতে কি বোঝায়? ২
গ.কোন নীতির জঅন্য উদ্দীপকের মি. তিহানের প্রস্তাবে বিমা কোম্পানি বাড়িটি বিমা করতে সম্মত হয়নি? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে তিহানের মা কি বিমা দাবি পাওয়ার যোগ্য? বিশ্লেষণ করো। ৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: মানুষের জীবন বা সম্পত্তির ঝুঁকি আঅর্থিকভাবে মোকাবিলার কৌশলই হলো বিমা।
খ উত্তর: বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ বলতে সাধারণত মালিকানা স্বত্ব বা আঅর্থিক স্বাঅর্থকে বোঝায়।
বিমাকৃত সম্পদ বা জীবনের ঝুঁকির সাথে বিমাগ্রহীতার আঅর্থিক স্বাঅর্থ থাকলে এবং বিমার বিষয়বস্তুর উপস্থিতি বিমাগ্রহীতাকে আঅর্থিকভাবে লাভবান করবে।
এরূপ স্বাঅর্থ থাকলেই তাকে বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ বলে, যার বিপরীতে বিমাচুক্তি সম্পদিত হতে পারে।
গ উত্তর: বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ নীতির জঅন্য উদ্দীপকের মি. তিহানের প্রস্তাবে বিমা কোম্পানি বাড়িটি বিমা করতে সম্মত হয়নি।
বিমাকৃত সম্পদের উপর বিাগ উত্তর:্রহীতার সরাসরি স্বাঅর্থ থাকতে হবে। বিমা যোগ্য স্বাঅর্থ ছাড়া কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন সম্পদ বা জীবনের বিমা করতে পারে না।
উদ্দীপকের মি. তিহান তার মায়ের সাথে একই বাড়িতে থাকে। কিন্তু বাড়িটি তার মায়ের নামে। ভ‚মিকম্প হলে ক্ষতি হতে পারে একথা চিন্তা করে সে বিমা করতে যায়। কিন্তু বিমা কোম্পানি তার বাড়িটি বিমা করতে সম্মতি জানায়।
বাড়িটি যেহেতু মি. তিহানের মায়ের নামে তাই তার মায়েরই এখানে বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ আছে। মি. তিহানের বাড়িটির উপর বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ নেই। বিমাযোগ্য সাঅর্থ হলো বিমা চুক্তির অন্যতম মৌলিক নীতি। এই নীতির নুপস্থিতির জঅন্যই বিমা কোম্পানি মি. তিহানের প্রস্তাবটিতে সম্মত জানিয়েছে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের আলোকে মি. তিহানের মা বিমা দাবি পাওয়ার যোগ্য নন।
প্রত্যক্ষ কারণ নীতি নুসারে, বিাম চুক্তিতে উলিখিত প্রত্যক্ষ কারণ ব্যতিত অন্য কোন কারণে বিমাকৃত সম্পদের ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতি দিবে না। বিমা করার সময় যাবতীয় বিষয়বস্তু প্রকাশ করতে হবে। বিমা চুক্তিতে সম্ভাব্য কারণগুলোও উলেখ থাকে।
উদ্দীপকের মি. তিহানের মা নিজের বাড়িটি বিমা করেন। তারপর মি. তিহান বিমা কোম্পানিকে না জানিয়ে পরবর্তী তলার কাজ শুরু করেন। ২য় তলার কাজ শেষ হওয়ার পরপরই বাড়টি হেলে যায়।
মি. তিহানের মা বিমা দাবি পেশা করলে বিমা কোম্পানি বিমা দাবি পূরণে স্বীকৃতি জানায়। বিমাচুক্তি করার সময় তিনি এই বিষয় উলেখ করেননি। এমনকি ২য় তলার কাজ শুরু করার আগেও বিমা কোম্পানিকে বিষয়টি জাানয়নি।
মি. তিহান সাহেবের বহেলার জঅন্য তার বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। প্রত্যক্ষ কারণ নীতি নুসরণ না করায় মি. তিহানের মা বিমা দাবি পাবে না।
বিমাচুক্তি করার সময় বিমাকৃত সম্পত্তির সমস্থ বিষয়বস্তু ইচ্ছাকৃতভাবে উপস্থাপন করতে হয়। এ সময় বিমা কোম্পানি কিছু শর্ত জুড়ে দেয়। বিমা গ্রহীতাকে ঐ শর্তগুলো মেনে চলতে হয়। শর্তগুলো বিমা চক্তিতে লিপিবদ্ধ থাকে।
উদ্দীপকের মি. তিহানের মা শর্তগুলো মেনে চলেনি। তিনি দ্বিতীয় তলা করার সময় বিমা কোম্পানিকে জানায়নি। এমনও হতে পারত বিষয়টা জানার পর বিমা কোম্পানি প্রিমিয়াম বেশি দাবি করত থবা বিমাটি বাদ দিত। সুতরাং মি. তিহানের মাকে বিমাদাবি না দেওয়াটা বিমা কোম্পানির পক্ষে যুক্তিসঙ্গত।
প্রশ্ন ১৭: বাংলাদেশের বিমা ব্যবসায়ে নেকটা পিছিয়ে রয়েছে। বর্তমানে জীবন বিমা খাতে ৩১টি ও সাধারণ খাতে ৪৬টি কোম্পানি কাজ করছে। বিমা কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও তাদের কার্যপরিধি এখনও সীমাবদ্ধ। জীবন বিমা খাতে সাফল্য বহুলাংশে নির্ভর করে ঝুঁকি নিরূপন, কিস্তির সংখ্যা ও হার সঠিকভাবে নির্ণয় করার উপায়। অন্যদিকে শিল্পে নগ্রসরতা, অর্থনৈতিক দুর্বলতা সাধারণ বিমা খাতের উন্নয়নের পথে নেক বড় বাধা হয়ে আছে। [হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা]
ক.উদ্ধারযোগ্য সাগ উত্তর:্রিক ক্ষতি কী?১
খ.‘জাহাজের চলাচল যোগ্যতা’ নৌবিমা চুক্তির কোন ধরনের শর্ত? ২
গ.বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে বিমার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.জীবন বিমার ক্ষেত্রে প্রিমিয়ামের হার নিয়ন্ত্রণকারী উপাদানগুলো আলোচনা করো। ৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিমাকৃত সম্পদের ক্ষতি হওয়ার পর যদি তা উদ্ধারযোগ্য হয় কিন্তু উদ্ধার খরচ উদ্ধারকৃত সম্পদের চেয়ে বেশি হয় তাকে উদ্ধারযোগ্য সাগ উত্তর:্রিক ক্ষতি বলে।
খ উত্তর: “জাহাজের চলাচল যোগ্যতা” নৌবিমার ব্যক্ত শর্ত।
জাহাজ চলাচল যোগ্যতা বলতে বস্থানগত যোগ্যতার সাথে ভিজ্ঞ কাপ্তান, নাবিক নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য বোঝায় কে বোঝায়। চুক্তি করার সময় উলেখ না করলেও উভয়পক্ষই ধরে নেয় যে জাহাজটি চলাচল যোগ্য।
গ উত্তর: বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে বিমার গুরুত্ব পরিসীম।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ও ব্যক্তি জীবনের আঅর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশলটি হলো বিমা। বিমাকারী ঝুঁকি বণ্টনকরী হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশে বিমা ব্যবসায়ে নেকটা পিছিয়ে।
বর্তমানে বিমা খাতে ৩১টি জীবন বিমা ও ৪৬টি সাধারণ বিমা কোম্পানি কাজ করছে। একটা ব্যবসায় সম্প্রসারণের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ঝুঁকি। যে ব্যবসায়ে যত ঝুঁকি কম তারা তত দ্রুত গ্রসর হতে পারে। বিমা ব্যবসায়গুলো এসব বণ্টন করার দায়িত্ব পালন করে। তখন প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
নৌপথে নেক ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। নৌ বিমাপত্র নৌপথে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। গ্নিবিমাপত্রের ক্ষেত্রে দেখা যায়, গ্নিকাণ্ডজনিত যাবতীয় ক্ষতির দায়িত্ব নেয় গ্নিবিমা। ফলে ব্যবসায় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। সুতরাং আমরা দেখতে পারি বাংলাদেশে বিমা ব্যবসায় পিছিয়ে থাকলেও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিমার গুরুত্ব পরিসীম।
ঘ উত্তর: জীবন বিমার ক্ষেত্রে প্রিমিয়ামের হার নিয়ন্ত্রণকারী উপাদানগুলোর মধ্যে প্রধান হলো বিমাপত্রের মেয়াদ, ঝুঁকির পরিমাণ।
বিমাচুক্তিতে বিমাকারীর ঝুঁকি বহনের নিশ্চয়তার বিপক্ষে বিমাগ্রহীতা যে অর্থ বিমাকারীকে প্রদান করাই হল প্রিমিয়াম।
প্রিমিয়াম মূলত বিমাকারী কর্তৃক বিমাগ্রহীতার বিমা দাবি পরিশোধের প্রতিশ্র“তির প্রতিদান। ঝুঁকির প্রকৃতি ও পরিমাণ নুযায়ী বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়।
উদ্দীপকে বিমা ও ঝুঁকি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। বিমাপত্রের মেয়াদ ও ধরনের উপরও বিমা প্রিমিয়ামের হার নির্ভরশীল। সবকিছু ঠিক রেখে যদি মেয়াদ বেশি হয় তাহলে প্রিমিয়াম কম হবে। আবার মেয়াদি বিমা পত্রের থেকে আজীবন বিমাপত্রের প্রিমিয়ামের পরিমাণ কম হয়।
ঝুঁকির ধরন প্রিমিয়ামের পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরিহার্য উপাদান।
যে বিমার বিষয়বস্তুর ঝুঁকি যত বেশি প্রিমিয়ামের পরিমাণও বেশি হবে। ব্যবস্থাপনা খরচও বিবেচ্য বিষয়। ব্যবস্থাপনা খরচ বেশি হলে প্রিমিয়ামও নেক বেশি হয়। বিনিয়োগের সুবিধাও প্রিমিয়াম নির্ধারণে সহায়তা করে। দেশে যদি বিনিয়োগের সুবিধা ভালো থাকে তাহলে বিমা কোম্পানি বেশি আয় করতে পারবে। ফলে প্রিমিয়াম কর ধরবে।
প্রশ্ন ১৮: জনাব সালমান দীর্ঘদিন সুনামের সহিত ব্যবসায় করছেন। তিনি তার গাড়িটি ৫ লক্ষ টাকায় বিমা করেন। দুর্ঘটনায় গাড়িটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি বিমাদাবি পেশ করলে বিমা কোম্পানি সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। অন্যীদকে তিনি ব্যবসায়ের প্রয়োজনে রূপালি ব্যাংক লি. থেকে ১০% সুদে ৫০ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়েছেন। দুবছর ঠিকমতো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারলেও বর্তমানে সময়মতো পরিশোধ করতে পারছেন না। [ঢাকা কমার্স কলেজ]
ক.ওউজ কী?১
খ.বিমাকে ঝুঁকি বণ্টনের যৌথ ব্যবস্থা বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।২
গ.জনাব সালমানের রূপালি ব্যাংকের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারা কোন ধরনের ঝুঁকির ন্তর্ভুক্ত। ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উলিখিত জনাব সালমানের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাওয়া কি যৌক্তিক? বিমা ব্যবসায়ের নীতির আলোকে মতামত দাও। ৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ওউজ (ওহংঁৎধহপব উবাবষড়ঢ়সবহঃ ্ জবমঁষধঃড়ৎু ঁঃযড়ৎরঃু) হলো বাংলাদেশে বিমা ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
খ উত্তর: বিমার মাধ্যমে বিমাগ্রহীতা তার সম্ভাব্য ঝুঁকিকে কয়েকটি পক্ষের মধ্যে বণ্টন করে, তাই বিমাকে ঝুঁকি বণ্টনের যৌথ ব্যবস্থা বলা হয়।
বিমা এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিমাগ্রহীতার ক্ষতিকে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থা করা যায়। এ ব্যবস্থায় বিমিকারী বিভিন্ন বিমাগ্রহীতার কাছ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ক্ষতিগ্রস্ত বিমাগ্রহীতার ক্ষতিপূরণ করে।
গ উত্তর: জনাব সালমানের রূপালি ব্যাংকের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারা হল আঅর্থিক ঝুঁকি।
এ ধরনের ঝুঁকি আঅর্থিক সংকটের কারণে পাওনাদারের পাওনা পরিশোধ করতে না পারলে সৃষ্টি হয়। সাধারণত প্রতিষ্ঠানের দেউলিয়াত্তে¡র সময়, মূলদনের সংকটের কারণে আঅর্থিক ঝুঁকির উদ্ভব হতে পারে।
উদ্দীপকের জনাব সালমান সাহেব ব্যবসায়ের প্রয়োজনে রূপালি ব্যাংক লি. থেকে ঋণ নিয়েছেন। ঋণের পরিমাণ ছিল ৫০ লক্ষ টাকা ১০% সুদে। দু বছর ঠিকমতো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেছেন।
কিন্তু এখন আর সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। জনাব সালমান সাহেবের ব্যবসায় আঅর্থিক সংকটের কারণে এরূপ হচ্ছে। বিষয়টা তাকে দেউলিয়াত্বের দিকে ধাবিত করছে।
আঅর্থিক ঝুঁকির ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তির দেউলিয়াত্বের সময় এমন ঝুঁকি সৃষ্ট হয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, জনাব সালমান সাহেবের ঋণ পরিশোধ করতে না পারা আঅর্থিক ঝুঁকির ন্তর্ভুক্ত।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের নীতি নুযায়ী মোটর বিমার সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাওয়াটা যৌক্তিক।
আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের নীতি নুযায়ী বিমাকৃত বিষয়বস্তুর সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতি হলে বিমাকারী ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।
সাধারণত মোটরযানের নিরাপত্তার জঅন্য মোটর বিমা করা হয়। নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জঅন্য বিমা করা হয়। কোন ক্ষতি হলে বিমাকারী তা পূরণ করে।
জনাব সালমান দীর্ঘদিন সুনামের সহিত ব্যবসায় করছেন। তিনি তার গাড়িটি ৫ লক্ষ টাকায় বিমা করেন। দুর্ঘটনায় গাড়িটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি বিমা দাবি পেশ করেন। বিমা কোম্পানি সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।
বিমাকারী প্রতিষ্ঠান এখানে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদানে দায়বদ্ধ ছিল। আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের নীতি নুসারে বিমা গ্রহীতার সৃষ্ট ক্ষতিপূরণ করাই বিমা কোম্পানির মূল উদ্দেশ্য।
মোটর বিমায় বিমাকৃত সম্পদের সম্পূর্ণ ক্ষতি হলে যে পরিমাণ পর্যন্ত বিমা করা থাকে তা বিমাকারী পূরণ করবে। উদ্দীপকে গাড়িটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জঅন্য বিমা কোম্পানি সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ করেছে। আঅর্থিক ক্ষতিপূরণের নীতি নুযায়ী সালমানের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাওয়াটা যৌক্তিক।
প্রশ্ন ১৯: ফাহিমের মাথায় যত উদ্ভট চিন্তা। সে ভাবে যে মানুষটা কদিন পরেই মারা যাওয়ার সম্ভাবনা তার জীবন বিমা করলে ঠকার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া ভাঙ্গা গাড়ি বিমা করলে গাড়িতে নানা সমস্যা হবেই, তাই বিমা করে টাকা পাওয়া যাবে। তবে বন্ধু আকন্দ বললো, নিজের লাভালাভের বিষয় না থাকলে যার তার ওপর বিমা করা যায় না। ভাঙ্গা গাড়ি বিমা করে ক্ষতিপূরণ আদায় করবে বিমা কোম্পানিকে এতো পাগল ভেবো না। বিমা জুয়া নয়। নেক নিয়ম নীতি ও হিসাব-নিকাশের মধ্য দিয়ে এই ব্যবসায় চলে। [গুলশান কমার্স কলেজ, ঢাকা]
ক.বিশুদ্ধ ঝুঁকি কাকে বলে?১
খ.বিমা প্রিমিয়াম কিভাবে নির্ধারণ করতে হয়? ২
গ.‘যার তার ওপর বিমা করা যায় না’ বলতে উদ্দীপকে কোন নীতির ইঙ্গিত মিলেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.উদ্দীপকের আকন্দের কথার মধ্য দিয়ে বিমা একটা বৈধ ও কল্যাণকর ব্যবস্থা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেÑ এ বক্তব্যের যথাঅর্থতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে সকল সম্ভাব্য বিপদজনক বা ঝুঁকিগত বস্থায় থবা কোনো দুর্ঘটনায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিতভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হলে তাকে বিশুদ্ধ ঝুঁকি বলে।
খ উত্তর: বিমাকারী ঝুঁকি বহনের নিশ্চয়তার বিপক্ষে বিমা গ্রহীতার কাছ থেকে যে অর্থ নেয় তাই প্রিমিয়াম। বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণের সময় বিমার ধরন, মেয়াদ, ঝুঁকি বিবেচনা করতে হয়। উপরোক্ত বিষয়গুলোর সাথে আনুষঙ্গিক খরচাবলি সমন্বয় করে প্রিমিয়াম নির্ধারণ করতে হয়।
গ উত্তর: ‘যার তার উপর বিমা করে যায় না’ বলতে বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ নীতির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ বলতে বিমাকৃত সম্পদ ও জীবনের উপর বিমাগ্রহীতার স্বাঅর্থকে বোঝায়। তবে স্বাঅর্থটা বশ্যই আঅর্থিক হতে হবে। অর্থাৎ বিমার বিষয়বস্তুর উপস্থিতি বিমাগ্রহীতাকে আঅর্থিকভাবে লাভবান করবে।
উদ্দীপকের ফাহিমের মাথায় উদ্ভট চিন্তা। সেভাবে যে মানুষটা কদিন পরেই মারা যাওয়ায় সম্ভাবনা তার জীবন বিমা করতে। ফলে তার ঠকার সম্ভাবনা সে দেখছে না। আবার সে ভাঙ্গা গাড়ি বিমা করে অর্থলাভ করার চিন্তা করে।
আকন্দ সাহেব বলেছেন যে যার তার উপর বিমা করা যায় না। বিমা করতে হলে ঐ জীবন বা সম্পদের উপর ফাহিমের বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ থাকতে হবে।
ফাহিম ইচ্ছা করলেও বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ ছাড়া কারও উপর বিমা করতে পারবে না। উদ্দীপকের আকন্দ সাহেবের উক্তি থেকে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, তিনি বিমাযোগ্য স্বাঅর্থ নীতির কথা উলেখ করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের আকন্দের কথামত বিমা একটি বৈধ ও কল্যাণকর ব্যবস্থা উক্তিটি যথাঅর্থ।
বৈধ বলতে আইন দ্বারা স্বীকৃত ব্যবস্থাকে বোঝায়। কল্যাণকর বলতে উন্নয়নে সহায়ক কোনো কিছুকে বোঝায়। যা সমাজ ও ব্যবসায়ে উন্নয়নে সহায়তা করবে।
উদ্দীপকের আকন্দ সাহেব বলেন বিমা জুয়া খেলা নয়। নেক নিয়ম-নীতি ও হিসাব নিকাশ এর মধ্য দিয়ে এই ব্যবসায় চলে। নেক নিয়ম-নীতি বিমা ব্যবসায়কে বৈধতা দেয়। অর্থাৎ শুধু বৈধ বিষয়গুলোর বিমা করা যায়। অন্যদিকে বৈধ বিষয়বস্তুর উপর বিমা করায় সমাজের কল্যাণ হয়। ব্যবসায়ীরা সহজে উৎসাহিত হয়।
নিময়-নীতি মেনে চলার কারণে সাধু ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়কে বিমার আওতায় আনতে পারে না। ফলে সাধু ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হয়। ঝুঁকি একটা ব্যবসায় সম্প্রসারে ণর অন্যতম প্রতিবন্ধক।
বিমার মাধ্যমে ঝুঁকিগত প্রতিবন্ধকতা দূর হয়। ফলে ব্যবসায় আরো সম্প্রসারিত হয়। বিষয়গুলো দেশ ও দশের জঅন্য কল্যাণকর। নিখুঁতভাবে নিয়ম-নীতি মেনে চলার কারণে শুধু বৈধ ব্যবসায়ীরা বিমা করতে পারে।
সুতরাং বলা যায় উদ্দীপকের আকন্দ সাহেবের কথার মধ্য দিয়ে বিমা একটা বৈধ ও কল্যাণকর ব্যবস্থা চিহ্নিত হয়েছে যা পুরোপুরি যৌক্তিক।
প্রশ্ন ২০: রুবিনা ইসলাম ২০১১ সালে মর্ডাণ লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর সাথে মাসিক প্রিমিয়াম প্রদানের বিনিময় ১০ বছরের জঅন্য একটি বিমা চুক্তি সম্পাপদন করেন। ১০ বছরের মধ্যে তিনি মারা গেলে তার মনোনীত সন্তানেরা বিমার অর্থ পাবেন আর বেঁচে থাকলে তিনি অর্থ পাবেন। পাঁচ বছর পর আঅর্থিক সঙ্গতির কারণে তিনি বিমাটি বন্ধ করে দেয়ার জঅন্য আবেদন করেন এবং প্রদত্ত প্রিমিয়ামের ২৫ শতাংশ ফেরত প্রদানের দাবি করেন। [শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ, ঢাকা]
ক.প্রিমিয়াম কী?১
খ.জীবন বিমায় মৃত্যুহার পঞ্জি ব্যবহার করা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ.উদ্দীপকে রুবিনা ইসলাম মেয়াদভিত্তিক কোন ধরনের জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছিলেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর, মর্ডাণ লাইফ ইন্স্যুরেন্স রুবিনা ইসলাক উত্তর:ে তার দাাবিকৃত অর্থ প্রদান করবে? উদ্দীপকের আলোকে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো। ৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বিমাকারী এবং বিমাগ্রহীতার পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই বিমার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয় বলে একে পরম বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়।
খ উত্তর: জীবন বিমার ক্ষেত্রে মৃত্যুহার পঞ্জির মাধ্যমে মানুষের মৃত্যুহার সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।
মৃত্যুহার পঞ্জিতে নির্দিষ্ট বয়স সীমায় বিমাকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে বছরে কতজন মারা যেতে পারে তার একটি সম্ভাব্য পরিসংখ্যান থাকে। মৃত্যুহার পঞ্জি দেখে বিমাকারি ক্ষতিপূরণের একটা সম্ভাব্য প্রস্তুতি নেয়। যাতে হঠাৎ কোনো নাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে। উপরোক্ত কারণে জীবন বিমায় মৃত্যুহার পঞ্জি ব্যবহার করা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকের রুবিনা ইসলাম সাধারণ মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছিলেন।
এ ধরনের বিমাপত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ের জঅন্য খোলা হয়। পেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময়ের জঅন্য এ বিমা করা হয়। মেয়াদ শেষে বিমাকৃত ব্যক্তি বেঁচে থাকলে নিজেই বিমা দাবির টাকা পাবেন। মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি বিমাদাবি পাবেন।
উদ্দীপকে রুবিনা ইসলাম ২০১১ সালে মর্ডাণ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে একটি বিমা করেন। মাসকি প্রিমিয়ামের বিনিময়ে ১০ বছরের জঅন্য বিমাচুক্তি সম্পাদন করেন। ১০ বছরের মধ্যে তিনি মারা গেলে তার মনোনীত সন্তানেরা অর্থ পাবেন।
বেঁচে থাকলে তিনি নিজেই অর্থ পাবেন। সাধারণ মেয়াদি বিমাপত্রের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিমা গ্রহীতা মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি বিমা দাবি পায়। এখানে রুবিনা ইসলামের মনোনীত ব্যক্তি তার সন্তানেরা এবং চুক্তি নুসারে তারা বিমা দাবি পাবে।
রুবিনা ইসলাম দীর্ঘ সময়ের জঅন্য বিমা করেছেন যা সাধারণ মেয়াদি বিমার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সুতরাং রুবিনা ইসলামের বিমার সমস্ত বৈশিষ্ট্য থেকে বুঝা যায়, তিনি সাধারণ মেয়াদি বিমাপত্র খুলেছিলেন।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: মর্ডাণ লাইফ ইন্স্যুরেন্স সমর্পণ মূল্য হিসেবে তার দাবিকৃত অর্থ প্রদান করবে বলে আমি মনে করি।
মেয়াদি বিমার ক্ষেত্রে, কোন কারণে বিমাগ্রহীতা প্রিমিয়াম প্রদানে সমঅর্থ হলে ঐ পলিসি সমর্পণ করতে পারে। প্রতিষ্ঠান তার বিনিময়ে সমর্পণ মূল্য প্রদান করে। শর্ত থাকে যে, কমপক্ষে ২ বছর প্রিমিয়াম প্রদান করতে হয়।
উদ্দীপকের রুবিনা ইসলাম ১০ বছরের জঅন্য বিমা চুক্তি করেন। তিনি ৫ বছর নিয়মিত প্রিমিয়াম প্রদান করেন। তারপর আঅর্থিক সঙ্গতির কারণে বিমাটি বন্ধ করে দেওয়ার জঅন্য আবেদন করেন। তিনি ২৫ শতাংশ প্রিমিয়াম ফেরত প্রদানের দাবি করেন।
তার পলিসির ক্ষেত্রে দেখা যায়, সমর্পন মূল্যের শর্ত পূরণ হয়েছে। তিনি দু বছরের বেশি সময় প্রিমিয়াম প্রদান করেছেন। মেয়াদি বিমার ক্ষেত্রে সমর্পণ মূল্য পাওয়ার ধিকার আছে।
সকল বিমাগ্রহীতার শর্ত নুসারে কমপক্ষে ২ বছর প্রিমিয়াম প্রদান করলে সেই বিমা গ্রহীতা ২৫% সমর্পণ মূল্য পাওয়ার ধিকারী হবেন। উদ্দীপকের রুবিনা ইসলাম এর ক্ষেত্রে দেখা যায়, তার শর্ত পূরণ হয়েছে।
তিনি ২৫ শতাংশ অর্থ ফেরতের দাবি করেছেন যা নীতি নুযায়ী যৌক্তিক। আইন নুসারে মর্ডাণ লাইফ ইন্স্যুরেন্স তার দাবি পূরণে বাধ্য।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।