ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ১৩ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৩১-৩৩ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ত্রয়োদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের ত্রয়োদশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
প্রশ্ন ৩১: মি. মুনীর ও মি. কামরুল দুই বন্ধু প্রখ্যাত পাট ব্যবসায়ী। পাশাপাশি পাটের গুদাম। দু’জনের সম্পত্তির মালামাল নিজেরা নির্দিষ্ট করে বিমাপত্রে নিয়ে অগ্নিবিমা করেছেন। একদিন রাতে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে মি. মুনীরের গুদামের সব পাট পুড়ে যায়। মি. কামরুলের গুদামে আগুনে ছড়ালেও ফায়ার ব্রিগেডের লোকেরা আগুন নিভানোর কারণে তার ক্ষতির মাত্রা কম হয়। বিমা কোম্পানি সার্ভেয়ার নিয়োগ করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়পূর্বক মি. মুনীরকে পুরো ক্ষতিপূরণ করে পুড়ে যাওয়া সম্পত্তির বশিষ্টাংশ নিজ দায়িত্বে নিয়ে নেয়। কিন্তু মি. কামরুলকে ক্ষতিপূরণ করলেও তার বশিষ্ট সবই মি. কামরুলেরই থেকে যায়। [আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ]
ক.অগ্নিবিমা কী?১
খ.অগ্নিবিমায় আনুপাতিক সাহায্য বলতে কী বোঝায়?২
গ.উদ্দীপকে মি. কামরুল কোন ধরনের অগ্নিবিমাপত্র সংগ্রহ করেছিলেন? ব্যাখ্যা করো।৩
ঘ.উদ্দীপকের মি. মুনীরের সম্পত্তির বশিষ্টাংশ বিমা কোম্পানির নিজ দায়িত্বে নেয়ার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।৪
৩১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: অগ্নিজনত ক্ষতির বিপক্ষে আঅর্থিক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থাকেই অগ্নিবিমা বলে।
খ উত্তর: অগ্নিবিমায় আনুপাতিক সাহায্য বলতে আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করাকে বোঝায়।
এ বিমাপত্র দ্বারা নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয় না। বিষয়বস্তুর প্রকৃত ও বাজার মূল্যের আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে নিæলিখিত উপায়ে বিমা দাবি নির্ধারণ করা হয়
বিমা দাবি = বিমাপত্রে উলিখিত মল্যদুর্ঘটনাকালে প্রকৃত মল্য ক্ষতির পরিমাণ
গ উত্তর: উদ্দীপকের মি. কামরুলের সম্পত্তির ক্ষতির বিপক্ষে প্রদত্ত ক্ষতিপূরণ হলো আংশিক ক্ষতিপূরণ যা গড়পড়তা বিমাপত্রের আওতাভুক্ত।
বিমাকৃত সম্পত্তি যখন আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন তাকে আংশিক ক্ষতি বলে। আর এ আংশিক ক্ষতির বিপক্ষে বিমা কোম্পানি যতটুকু ক্ষতিপূরণ দেয় তাই আংশিক ক্ষতিপূরণ।
উদ্দীপকে মি. কামরুল একজন পাট ব্যবসায়ী। তার বন্ধু মি. মুনীরের গুদামে আগুন লাগার প্রেক্ষিতে তার নিজের গুদামের কিছু ংশে আগুন লেগে যায়। এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানি মি. কামরুলকে আংশিক ক্ষতিপূরণ করেছে।
এ ক্ষতির ফলে মি. কামরুলের গুদামের ক্ষতির আনুপাতিক হার নির্ধারণ করে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ করেছে। অর্থাৎ মি. কামরুলের বিমাপত্রের ভিত্তিতে ক্ষতির আনুপাতিক হার নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আংশিক ক্ষতিপূরণের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকের বিমা কোম্পানি দ্বারা মি. মুনীরের সম্পত্তির বশিষ্টাংশ নিজ দায়িত্বে নেয়া স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি নুযায়ী যথাঅর্থ হয়েছে।
স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি নুযায়ী বিমাকারী সম্পূর্ণ বিমা দাবি পরিশোধের পর উদ্ধারকৃত সম্পত্তির মালিকানা লাভ করে।
উদ্দীপকের মি. মুনীরের বিমাকৃত গুদাম আগুনে পুড়ে যাওয়ার ফলে বিমা কোম্পানি বিমাকৃত বিষয়বস্তুর সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ করে। পরবর্তীতে গুদামে পুড়ে যাওয়া সম্পত্তির যতটুকু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তার মালিকানা লাভ করে বিমা কোম্পানি।
জনাব মুনীর অগ্নিবিমাপত্র গ্রহণের মাধ্যমে অগ্নিবিমার পরিহার্য উপাদান গ্রহণ তার জন্য বাধ্যতামূলক। আর উদ্দীপকের স্থলাভিষিক্তকরণ নীতিটিও এ পরিহার্য উপাদানের আওতাভুক্ত।
এ নীতি নুযায়ী বিমাকারী সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণের পর সম্পত্তির বশিষ্টাংশের মালিকানা লাভ করেন। যা জনাব মুনীরের বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে লক্ষণীয়। সুতরাং বিমা কোম্পানি কর্তৃক জনাব মুনীরকে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণের পর সম্পত্তির মালিকানা গ্রহণ যৌক্তিক হয়েছে।
প্রশ্ন ৩২: মি. পাখি তার একটি কারখানা সোনালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নিকট ৩০,০০,০০০ টাকায় এবং রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নিকট ২০,০০,০০০ টাকায় বিমা করল। কিছুদিন পর অগ্নিকাণ্ডে উক্ত কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ক্ষতির পরিমাণ দাড়ায় ২৫,০০,০০০ টাকা। [রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ]
ক.অগ্নিবিমা কী?১
খ.নৌ বিমা ও অগ্নি বিমার ৪টি পাঅর্থক্য লিখ।২
গ.মি. পাখি রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নিকট থেকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে? ৩
ঘ.সোনালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নিকট থেকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে? মোট বিমা দাবির পরিমাণ নির্ণয় করো।৪
৩২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: অগ্নিজনিত ক্ষতির বিপক্ষে আঅর্থিক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থাকেই অগ্নিবিমা বলে।
খ উত্তর: নৌ বিমা ও অগ্নিবিমার ৪টি পাঅর্থক্য নিæে দেয়া হলো :
পাঅর্থক্যের বিষয় নৌ বিমা অগ্নিবিমা
১. সংজ্ঞা নৌপথে সংঘটিত ক্ষতির বিপক্ষে আঅর্থিক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থাকে নৌ বিমা বলে। অগ্নিজনিত ক্ষতির বিপক্ষে আঅর্থিক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থাকে অগ্নিবিমা বলে।
২. ঝুঁকির বিষয় বিমাকারী সমুদ্রপথে জাহাজ বা জাহাজের পণ্যের ঝুঁকি বহন করে। বিমাকারী সম্পদের অগ্নিজনিত ঝুঁকি বহন করে।
৩. লক্ষ্য নৌপথের ঝুঁকি হ্রাস করাই এ বিমার লক্ষ্য। অগ্নিজনিত ঝুঁকি হ্রাস করাই এ বিমার লক্ষ্য।
৪. উদ্দেশ্য আমদানি-রপ্তানি তথা বৈদেশিক বানিজ্যের ঝুঁকি কমানোই এর মূল উদ্দেশ্য। ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ের সম্পত্তি অগ্নিজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করা এর মূল উদ্দেশ্য।
গ উত্তর: রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রদেয় ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় :
আমরা জানি,
বিমা দাবি = প্টতির পরিমাণ
= ২০০০০০০৩০০০০০০ + ২০০০০০০ ২৫,০০,০০০
= ২০০০০০০৫০০০০০০ ২৫,০০,০০০
= ১০,০০,০০০ টাকা
অর্থাৎ মি. পাখিকে রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১০,০০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ করবে।
উত্তর : ১০,০০,০০০ টাকা।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: সোনালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রদেয় ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় :
বিমা দাবি = প্টতির পরিমাণ
= ৩০০০০০০(৩০০০০০০ + ২০০০০০০) ২৫,০০,০০০
= ৩০০০০০০৫০০০০০০ ২৫,০০,০০০
= ১৫,০০,০০০ টাকা
মোট বিমাদাবির পরিমাণ = সোনালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রদেয় ক্ষতিপূরণ + রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রদেয় ক্ষতিপূরণ
= ১৫,০০,০০০ + ১০,০০,০০০ টাকা
= ২৫,০০,০০০ টাকা
অর্থাৎ মি. পাখি দুটি বিমা কোম্পানির সাথে চুক্তি করলেও অগ্নিবিমার উপাদান, আনুপাতিক হার নুযায়ী তিনি মোট ২৫,০০,০০০ টাকাই পাবেন। যেহেতু কারখানাটির ক্ষতির পরিমাণ ২৫,০০,০০০ টাকা।
প্রশ্ন ৩৩: ঢাকার মিরপুর একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই এলাকাটি ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে নেক এগিয়ে। এখানে ছোট ছোট নেক গার্মেন্টস কারখানা গড়ে উঠেছে। কিন্তু ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বলে কেউই অগ্নিবিমা পলিসি গ্রহণ করেনি। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন ধরায় প্রায় সকল কারখানা কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারখানার সাথে সাথে এলাকার লোকজনও প্রায় সর্বশান্ত হয়ে পড়ে। অগ্নিবিমার মাধ্যমে তারা এ ধরনের বিপদ মোকাবিলা করতে পারে। [সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ, পাবনা]
ক.স্থলাভিষিক্তকরণ কী?১
খ.অগ্নিবিমা কোন ধরনের চুক্তি তা বুঝিয়ে লিখ?২
গ.অগ্নিজনিত ঝুঁকির বিপক্ষে কীভাবে অগ্নিবিমা কাজ করে? উদ্দীপকের আলোকে আলোচনা করো।৩
ঘ.‘অগ্নিবিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি’ উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো।৪
৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে নীতি নুযায়ী বিমাকৃত সম্পত্তির ক্ষতিতে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের পর বশিষ্ট সম্পত্তির মালিকানা বিমা কোম্পানির নিকট স্থানান্তরিত হয় তাকে স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি বলে।
উদাহরণ: জনাব আসগর তার ব্যক্তিগত গাড়িটি ৩০ লক্ষ টাকায় বিমা করেন। দুর্ঘটনায় গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা কোম্পানি জনাব আসগরের বিমাদাবি পরিশোধ করে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি বিমা কোম্পানি জনাব রহমানের নিকট ২০,০০০ টাকায় বিক্রি করে। স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি নুযায়ী এই ২০,০০০ টাকা জনাব আসগর দাবি করতে পারবেন না। এ অর্থের মালিক উক্ত বিমা কোম্পানি।
খ উত্তর: অগ্নি বিমা হলো ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
অগ্নি বিমা হলো অগ্নিজনিত ক্ষতির বিপক্ষে আঅর্থিক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা। অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিমাকৃত সম্পত্তি নষ্ট হলে চুক্তি নুযায়ী বিমাকারী আঅর্থিক ক্ষতিপূরণে বাধ্য থাকে। এক্ষেত্রে ক্ষতি আংশিক বা সম্পূর্ণ যাই হোক না কেন বিমা কোম্পানি আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ করে থাকে। তাই অগ্নি বিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
গ উত্তর: উদ্দীপকে অগ্নিজনিত ঝুঁকির বিপক্ষে অগ্নিবিমা আঅর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
অগ্নিবিমা হলো অগ্নিজনিত বিপদের ঝুঁকি মোকাবিলার একটি আঅর্থিক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা। এটি একটি ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
উদ্দীপকে ঢাকার মিরপুরে বস্থিত নেকগুলো ছোট গার্মেন্টস কারখানার কথা বলা হয়েছে। ছোট ব্যবসা বলে কোনো গার্মেন্টস মালিকই অগ্নিবিমা পলিসি গ্রহণ করেননি।
এর মধ্যেই হঠাৎ একদিন বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন ধরার প্রায় সকল কারখানাই কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে অগ্নিবিমা করা থাকলে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা এ ধরনের বিপদ মোকাবিলা করতে পারতো।
কেননা অগ্নিবিমা চুক্তি এ সকল অগ্নিজনিত বিপদে আঅর্থিক সহায়তা প্রদান করে। অগ্নিজনিত বিপদের কারণে বিমাগ্রহীতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা কোম্পানি আঅর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। এ বিমার মূল লক্ষ্য অগ্নিজনিত ঝুঁকির বিপক্ষে বিমাগ্রহীতাকে আঅর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করা।
ঘ উত্তর: অগ্নিবিমাকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয়।
অগ্নিবিমার ক্ষেত্রে দুটি পক্ষের (বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা) মধ্যে নির্দিষ্ট সম্পত্তির সম্ভাব্য ক্ষতির বিপরীতে আঅর্থিক সহায়তা প্রদানের চুক্তি সম্পাদিত হয়। অগ্নিজনিত ঝুঁকির হাত থেকে বিমাগ্রহীতাকে আঅর্থিকভাবে রক্ষা করাই এরূপ চুক্তির উদ্দেশ্য।
উদ্দীপকে ঢাকার একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা মিরপুরের কথা বলা হয়েছে। এখানে নেকগুলো ছোট ছোট গার্মেন্টস কারখানা গড়ে উঠেছে। ছোট ব্যবসা বলে কোনো গার্মেন্টস মালিকই অগ্নিবিমা পলিসি গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন ধরায় প্রায় সবাই আঅর্থিকভাবে কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গার্মেন্টসগুলো অগ্নিবিমার আওতাভুক্ত হলে তারা সহজেই আঅর্থিক ক্ষতি মোকাবিলা করতে পারতো। কেননা অগ্নিজনিত বিপদের কারণে বিমাগ্রহীতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে অগ্নিবিমার চুক্তি নুযায়ী তার আঅর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।
অগ্নিজনিত কারণে ক্ষতি হলে বিমাপত্রের ধরন নুযায়ী ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব। এই ক্ষতির সমপরিমাণ অর্থ বিমাকারী বিমাগ্রহীতাকে প্রদান করলে বিমাগ্রহীতা তার সম্পত্তির পুনর্গঠন করতে পারে। এ কারণেই অগ্নিবিমাকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয়।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।