ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৭ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৬-২০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের সত্তম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের সত্তম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ৭ | সৃজনশীল প্রশ্ন ১৬-২০ | PDF
প্রশ্ন ১৬: মি. রাহী একজন ব্যবসায়ী। ২ জানুয়ারি ২০১৭ তার ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় ঐ দিন তিনি ৬ লক্ষ টাকার চেক কেটে হিসাব থেকে উত্তোলন করেন। ব্যবসায়টি লাভজনক হওয়ায় তিনি এখন নতুন ইউনিট খোলার জন্য ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। [নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী]
ক. ব্যাংক তহবিল কী? ১
খ. ব্যাংকের নিজস্ব তহবিলের মূল্য উৎস কোনটি ধারণা দাও। ২
গ. মি. রাহী-এর গৃহীত ১ লক্ষ টাকা প্রকৃতি নুযায়ী কোন ধরণের ঋণ ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মেয়াদ নুযায়ী কোন ঋণ গ্রহণ ধিক যুক্তিযুক্ত বলে তুমি মনে করো। ব্যাখ্যা দাও। ৪
১৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংকের নিজস্ব উৎস ও বাইরের উৎস থেকে সংগৃহীত সম্পূর্ণ অর্থ মিলিয়ে যে তহবিলের সৃষ্টি হয় তাকে ব্যাংক তহবিল বলে।
খ উত্তর: ব্যাংকের নিজস্ব তহবিলের মূল উৎস হলো পরিশোধিত মূলধন।
সাধারণভাবে নিজস্ব উৎস বলতে ব্যাংকের শেয়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থকে বোঝায়। প্রাথমিকভাবে শেয়ার বিক্রি করে ব্যাংক তার তহবিল সংগ্রহ করে। কেননা, একটি ব্যবসায়ের শুরুতে শেয়ার বিক্রির অর্থ ছাড়া বড় ধরনের তহবিল গঠন করা সম্ভব নয়।
এজন্যই এই শেয়ার বিক্রির অর্থ বা পরিশোধিত মূলধনকে ব্যাংকের নিজস্ব তহবিলের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও বিধিবদ্ধ রিজার্ভ, সাধারণ সঞ্চিতি ইত্যাদিও ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল হিসেবে বিবেচিত।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. রাহী-এর গৃহীত ১ লক্ষ টাকা প্রকৃতি নুযায়ী জমাতিরিক্ত ঋণ।
ব্যাংক তার চলতি হিসাবের গ্রাহকদেরকে জমাকৃত অর্থের চেয়ে তিরিক্ত অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেয়। এ তিরিক্ত অর্থ উত্তোলনই জমাতিরিক্ত ঋণ হিসেবে বিবেচিত।
উদ্দীপকে মি. রাহী একজন ব্যবসায়ী। তার ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৫ লক্ষ টাকা।
কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে তিনি ঐ দিনই ৬ লক্ষ টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। অর্থাৎ তার হিসাবে জমাকৃত অর্থের চেয়ে ১ লক্ষ টাকা তিরিক্ত উত্তোলন করেন। এ তিরিক্ত অর্থ উত্তোলন ব্যাংক ঋণ হিসেবে বিবেচনা করে। এভাবে জমাতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন করায় বলা যায়, তিনি জমাতিরিক্ত ঋণ নিয়েছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণ ধিক যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনে করি।
দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বলতে ৫ বছর বা তার ধিক সময়ের জন্য মঞ্জুরকৃত ঋণকে বুঝায়। শিল্প-কারখানা নির্মাণ, গৃহ নির্মাণ, জমি ও যন্ত্রপাতি ক্রয় ইত্যাদি খাতে এ ঋণ মঞ্জুর করা হয়।
উদ্দীপকে মি. রাহী একজন ব্যবসায়ী। তিনি ব্যাংকের মাধ্যমেই ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পাদন করেন। তার ব্যবসায়টি লাভজনক হওয়ায় তিনি নতুন ইউনিট খুলতে চান। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য তিনি ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
এখানে মি. রাহী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণের জন্য ঋণ নিতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে তিনি বশ্যই দীর্ঘমেয়াদের জন্য ঋণ নিবেন। কেননা, নতুন স্থাপিত ইউনিট হতে প্রত্যাশিত মুনাফার মাধ্যমে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত আসতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন।
একইভাবে নতুন ব্যবসায় ইউনিট খোলার জন্য মোটা ঙ্কের তহবিল প্রয়োজন। এ অর্থ স্বল্প মধ্যমেয়াদি উৎস হতে সংগ্রহ করা যায় না। তাই নতুন ব্যবসায় ইউনিটের উদ্দেশ্য, মেয়াদি, বিনিয়োগের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, মি. রাহীর জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণগ্রহণ যুক্তিযুক্ত।
প্রশ্ন ১৭: রাজ একজন পোশাক রপ্তানিকারক। তিনি আমেরিকা থেকে একটি বড় আকারের র্ডার পান। তাই তিনি ব্যাংকে ৫,০০,০০,০০০ টাকা থাকলেও ৭,০০,০০,০০০ টাকা উত্তোলন করেন।
[নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. বাণিজ্যিক ঋণ কি? ১
খ. ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের ৪টি পাঅর্থক্য লিখ? ২
গ. মি. রাজ ব্যাংক থেকে কোন ধরনের ঋণ সংগ্রহ করেছেন? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. ঋণ গ্রহণে মি. রাজের কোন ধরনের জামানত বিবেচিত হয়েছে? এটি কী ব্যাংকের জন্য নিরাপদ? বিশ্লেষণ করো। ৪
১৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অর্থাৎ দেশের শিল্প-কারখানা পরিচালনা এবং ভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যবহারের জন্য ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত ঋণই হলো বাণিজ্যিক ঋণ।
খ উত্তর: ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের ৪টি পাঅর্থক্য নিæরূপ :
কত্থমিক নং ডেবিট কার্ড ক্রেডিট কার্ড
১. ডেবিট কার্ড গ্রহণে ব্যাংক হিসাব থাকা আবশ্যক। ক্রেডিট কার্ড গ্রহণে ব্যাংক হিসাব থাকা আবশ্যক নয়।
২. ডেবিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকে না। ক্রেডিট কার্ডে নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকে।
৩. ব্যাংক হিসাবে টাকা থাকা সাপেক্ষে উত্তোলন করা যায়। ক্রেডিট কার্ডে অর্থ জমা না থাকলেও উত্তোলন করা যায়।
৪. ডেবিট কার্ডের সার্ভিস চার্জ বা বাৎসরিক ব্যয় তুলনামূলক কম। ক্রেডিট কার্ডের সার্ভিস চার্জ বা বাৎসরিক ব্যয় তুলনামূলক বেশি।
গ উত্তর: উদ্দীপকে মি. রাজ ব্যাংক থেকে জমাতিরিক্ত ঋণ সংগ্রহ করেছেন।
ব্যাংক সাধারণত চলতি হিসাবের গ্রাহকদেরকে জমাতিরিক্ত ঋণ প্রদান করে থাকে। এ হিসাবের গ্রাহকগণ তাদের হিসাবে জমাকৃত অর্থের ধিক অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পান। এ ধিক পরিমাণ উত্তোলনই জমাতিরিক্ত ঋণ হিসেবে বিবেচিত।
উদ্দীপকে রাজ একজন পোশাক রপ্তানিকারক। তিনি আমেরিকা থেকে একটি বড় আকারের র্ডার পান। ব্যবসায়ের প্রয়োজনেই তিনি ব্যাংক হতে তার হিসাবের মাধ্যমে ৭,০০,০০,০০০ টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু তার ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৫,০০,০০,০০০ টাকা। অর্থাৎ তিনি তার হিসাবে জমাকৃত অর্থের তিরিক্ত উত্তোলনের সুযোগ পেয়েছেন। এ বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় বলা যায়, তিনি জমাতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে ঋণ গ্রহণে মি. রাজের ব্যক্তিক জামানত বিবেচিত হয়েছে, যা ব্যাংকের জন্য নিরাপদ নয়।
ব্যক্তিক জামানত বলতে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত নিশ্চয়তাকে বোঝায়। এক্ষেত্রে স্থায়ী সম্পত্তির পরিবর্তে ঐ ব্যক্তির ব্যক্তিগত সুনাম, আঅর্থিক সচ্ছলতা ইত্যাদি জামানত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
উদ্দীপকে জনাব রাজ পোশাক রপ্তানি করেন। সম্প্রতি তিনি বড় আকারের একটি রপ্তানি র্ডার পান। তাই তিনি তার ব্যাংক হিসাব হতে ৭ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। তবে এ ৭ কোটির মধ্যে ৫ কোটি টাকা তার ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল। অর্থাৎ তিনি ২ কোটি টাকা জমাতিরিক্ত ঋণ নিয়েছেন।
এরূপ ঋণের ক্ষেত্রে, মি. রাজ কোনো ধরনের স্থাবর বা স্থাবর সম্পত্তি জমা রাখেননি। অর্থাৎ তার ব্যক্তিগত সুনামই ব্যাংকের নিকট জামানত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কোনো ধরনের সম্পত্তি জামানত না থাকায় ব্যাংক ঋণ আদায়ে ব্যঅর্থ হলে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না। তাই বলা যায়, এরূপ ঋণ ব্যাংকের জন্য ধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রশ্ন ১৮: জনাব হানিফ একজন নবীন শিল্পোদ্যোক্তা। তিনি তার সদ্য প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির অর্থায়নের উদ্দেশ্যে ১০০ কোটি টাকার শেয়ার বাজারে ছাড়েন। ব্যবসায় শুরুর এক বছর পর কারখানার জন্য নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করতে তিনি স্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন।
[চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ]
ক. ভোক্তা ঋণ কী? ১
খ. ‘সব ঋণে জামানত বাধ্যতামূলক নয়’ কেন? ২
গ. জনাব হানিফ শেয়ার ছেড়ে কোন ধরনের তহবিলের সংস্থান করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব হানিফ যে ধরনের ঋণ নিয়েছেন তুমি কি তা সমঅর্থন করো? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ভোগ্যপণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক গ্রাহককে যে ঋণ মঞ্জুর করে তাকে ভোক্তা ঋণ বলে।
ফ্রিজ, গৃহস্থালী জিনিসপত্র ক্রয়ে প্রদত্ত ঋণ হলো ভোক্তা ঋণ।
খ উত্তর: সুনামধারী ব্যক্তিদেরকে ব্যাংক জামানতবিহীন ঋণ প্রদান করে থাকে।
জামানত হলো ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা। ব্যাংক সাধারণত জামানত ছাড়া কোনো ঋণ মঞ্জুর করে না। তবে ঋণের পরিমাণ ও গ্রাহকের ভিন্নতার বিচারে জামানতেরও তারতম্য ঘটে। কখনো কখনো জামানত ছাড়া শুধু সুনামের ওপর ভিত্তি করেও ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করে থাকে। এছাড়া চলতি হিসাবের গ্রাহকদেরকেও ব্যাংক জামানত ছাড়াই জমাতিরিক্ত ঋণ দেয়। তাই বলা যায়, সব ঋণে জামানত বাধ্যতামূলক নয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব হানিফ শেয়ার ছেড়ে দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের সংস্থান করেছেন।
দীর্ঘমেয়াদি তহবিলে সাধারণত ৫ বছর বা তার ধিক সময়ের জন্য অর্থ সংস্থান করা হয়। মূলত দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ বা স্থায়ী সম্পত্তি ক্রয়ের ক্ষেত্রে এ তহবিল ব্যবহৃত হয়।
উদ্দীপকে জনাব হানিফ একজন নবীন শিল্পোদ্যোক্তা। তিনি তার সদ্য প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির অর্থায়নের উদ্দেশ্যে ১০০ কোটি টাকার শেয়ার বাজারে ছাড়েন। অর্থাৎ তিনি শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসায়ের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেন।
সাধারণ শেয়ারের অর্থ কোম্পানির বিলোপসাধনের পূর্বে ফেরত দেয়া হয় না। অর্থাৎ এখানে শেয়ারের মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই বলা যায়, জনাব হানিফ শেয়ারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের সংস্থান করেছেন।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব হানিফ স্বল্পমেয়াদি ঋণ বা নগদ ঋণ নিয়েছেন, যা সমঅর্থনযোগ্য নয়।
ব্যাংক গ্রাহকের স্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে যে ঋণ প্রদান করে তা নগদ ঋণ হিসেবে বিবেচিত। এ ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১ বছর হয় বিধায় একে স্বল্পমেয়াদি ঋণও বলা হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে জনাব হানিফ একজন নবীন শিল্পোদ্যোক্তা। তিনি কারখানার জন্য নতুন বিল্ডিং করতে চান। তাই তিনি স্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেন।
স্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে ঋণ নেয়ায় নিশ্চিতভাবে বলা যায় তিনি নগদ ঋণ বা স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়েছেন। এ ঋণের মেয়াদ ল্প হওয়ায় তিনি এ ঋণের অর্থ দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করে সুবিধা পাবেন না। কেননা, স্বল্প সময়ে এ ঋণের অর্থ ফেরত দিতে হবে। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে বলা যায়, জনাব হানিফের গৃহীত ঋণটি সমঅর্থনযোগ্য নয়।
প্রশ্ন ১৯: জনাব সুমন একজন গাড়ি ব্যবসায়ী। তিনি বিদেশ থেকে ১০টি গাড়ি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এজন্য তিনি তাঁর বর্তমান এবিসি ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে ২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এছাড়া স্বনামধন্য ব্যবসায়ী আজিমও ব্যাংককে জনাব সুমনের পরিশোদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
[জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক. নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র কী? ১
খ. ব্যাংক কখন তিরিক্ত জামানত গ্রহণ করে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. জনাব সুমন গাড়ি বন্ধক রেখে কোন ধরনের ব্যাংক ঋণ নিয়েছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে জনাব আজিম কর্তৃক প্রদত্ত নিশ্চয়তা ঋণ প্রদানে ব্যাংককে কতটুকু প্রভাবিত করবে বলে তুমি মনে করো? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: যে প্রত্যয়পত্রের গ্রহীতা ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা বা প্রতিনিধির নিকট হতে একবারেই প্রত্যয়পত্রের সম্পূর্ণ অর্থ উঠিয়ে নেয় তাকে নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র বলে।
খ উত্তর: বড় ধরনের ঋণ বা ধিক ঝুঁকিপূর্ণ খাতে প্রদত্ত ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংক তিরিক্ত জামানত গ্রহণ করে।
মূলত ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার ধিকতর নিশ্চয়তা লাভের জন্যই ব্যাংক তিরিক্ত জামানত গ্রহণ করে। তিরিক্ত জামানত বলতে স্বাভাবিক জামানতের বাইরে তিরিক্ত জামানত রাখাকে বোঝায়।
সাধারণত শেয়ার, সিকিউরিটিজ, সেভিংস সার্টিফিকেট ইত্যাদি তিরিক্ত জামানত হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বড় কোনো ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ঋণ আদায়ে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। তাই ব্যাংক এরূপ ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক জামানতের বাইরে তিরিক্ত জামানত গ্রহণ করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব সুমন গাড়ি বন্ধক রেখে নগদ ঋণ নিয়েছেন।
নগদ ঋণ মূলত ব্যবসায়ের পণ্য বা স্থাবর সম্পত্তি জামানতের বিপক্ষে দেয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রাহককে উত্তোলিত টাকার ওপরেই সুদ প্রদান করতে হয়।
উদ্দীপকে জনাব সুমন একজন গাড়ি ব্যবসায়ী। তিনি বিদেশ থেকে ১০টি গাড়ি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এজন্য তিনি গাড়িগুলো এবিসি ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে ২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এখানে, জনাব সুমন গাড়ি ব্যবসায়ী বিধায় আমদানিকৃত গাড়িগুলো হলো তার ব্যবসায়ের পণ্য।
অর্থাৎ তিনি তার ব্যবসায়ের পণ্য বা স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছেন, যা নগদ ঋণ হিসেবে বিবেচিত। কেননা, নগদ ঋণের ক্ষেত্রেই এরূপ স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখা হয়।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব আজিম কর্তৃক প্রদত্ত ব্যক্তিক নিশ্চয়তা ঋণ প্রদানে ব্যাংককে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।
ব্যক্তিক নিশ্চয়তা হলো কোনো ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত নিশ্চয়তা। এক্ষেত্রে সম্পত্তির পরিবর্তে ঐ ব্যক্তির সুনাম, সামাজিক মর্যাদা ও তার আঅর্থিক সচ্ছলতাকে জামানত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
উদ্দীপকে গাড়ি ব্যবসায়ী সুমন এবিসি ব্যাংকের নিকট ঋণের আবেদন করেন। তিনি আমদানিকৃত গাড়ি ব্যাংকের নিকট জামানত রাখেন। এছাড়া স্বনামধন্য ব্যবসায়ী আজিমও ব্যাংককে জনাব সুমনের ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়েছে।
এখানে, জনাব আজিম ব্যাংককে ব্যক্তিক জামানত প্রদান করেছে। তিনি স্বনামধন্য ব্যবসায়ী হওয়ায় ব্যাংক জনাব আজিমের সুনাম ও আঅর্থিক সচ্ছলতাকে জামানত হিসেবে বিবেচনা করেছে।
এখানে স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে গাড়ি জামানতের পাশাপাশি ব্যাংক ব্যক্তিক জামানতও পেয়েছে। এক্ষেত্রে ঋণের অর্থ আদায়ে ব্যাংকের ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে। তাই এরূপ জামানত ঋণ প্রদানে এবিসি ব্যাংককে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।
প্রশ্ন ২০: জনাব আরিফ একজন চাল ব্যবসায়ী। ধানের মৌসুমে ধিক পরিমাণ ধান সংগ্রহের জন্য তার ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন ছিল। তিনি ভোলা সদর শাখার সোনালী ব্যাংক থেকে ২ মাসের জন্য ৫ লক্ষ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। ধান থেকে চাল তৈরি এবং সেই চাল দেশের বড় বড় শহরে সরবরাহ করে তিনি ঋণটি পরিশোধ করতে সমঅর্থ হন।
[ভোলা সরকারি কলেজ]
ক. নগদ ঋণ কী? ১
খ. ‘আমানতই ব্যাংকের জীবনীশক্তি’ ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের আরিফ মেয়াদের ভিত্তিতে কোন মেয়াদি ঋণ গ্রহণ করেছেন ঋণের বৈশিষ্ট্য নুসারে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত সোনালী ব্যাংকের ঋণ জনাব আরিফের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বিশ্লেষণ করো। ৪
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: স্থাবর সম্পত্তি বিশেষত পণ্য বন্ধকের বিনিময়ে ব্যাংক তার গ্রাহকদের যে ঋণ মঞ্জুর করে তাকে নগদ ঋণ বলে।
খ উত্তর: ব্যাংক জনগণের আমানতকৃত অর্থ ঋণ থবা বিনিয়োগ হিসেবে ব্যবসায়ে খাটিয়ে মুনাফা র্জন করে বিধায় একে ব্যাংকের জীবনীশক্তি বলা হয়।
ব্যাংক ন্যের অর্থ নিয়ে ব্যবসায় করে। চলতি, স্থায়ী ও সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংক জনগণের অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে। এ আমানতকৃত অর্থ দ্বারা ব্যাংক তহবিল গঠন করে।
উক্ত তহবিল থেকেই ব্যাংক বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে ঋণ প্রদান করে। এছাড়া বিভিন্ন লাভজনক খাতে বিনিয়োগও করে। এভাবে ব্যাংক মুনাফা র্জন করে। আমানত সংগ্রহের পরিমাণ কম হলে ব্যাংকের মুনাফা র্জন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই একে ব্যাংকের জীবনীশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে জনাব আরিফ মেয়াদের ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ গ্রহণ করেছেন।
স্বল্পমেয়াদি ঋণ বলতে ত্যন্ত কম সময়ের জন্য ব্যাংক গ্রাহকদেরকে যে ঋণ দেয় তাকে বোঝায়। এ ঋণ সর্বোচ্চ ১ বছর মেয়াদের জন্য হতে পারে।
উদ্দীপকে জনাব আরিফ একজন চাল ব্যবসায়ী। তিনি ভোলা সদর শাখার সোনালী ব্যাংক থেকে দুই মাসের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন।
সাধারণত, স্বল্পমেয়াদি ঋণের মেয়াদ ১ বছরের কম হয়ে থাকে। এখানে আরিফ ২ মাসের জন্য ঋণ গ্রহণ করেছেন, যা ১ বছরের চেয়ে কম। তাই বলা যায়, এটি স্বল্পমেয়াদি ঋণের ন্তর্ভুক্ত।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত সোনালী ব্যাংকের ঋণ আরিফের জন্য চলতি মূলধনের সংস্থান ও ব্যবসায়ের প্রসারে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করেছে।
ব্যাংক ঋণ বলতে নির্ধারিত সুদের বিনিময়ে ব্যাংক তার গ্রাহকদেরকে যে আঅর্থিক সুবিধা প্রদান করে তাকে বোঝায়। এটি যেকোনো ব্যবসায়েই চলতি মূলধনের বা স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের উৎস হিসেবে বিবেচিত।
উদ্দীপকে জনাব আরিফ একজন চাল ব্যবসায়ী। ধানের মৌসুমে ধিক পরিমাণ ধান সংগ্রহের জন্য তার ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন ছিল। তিনি সোনালী ব্যাংক থেকে ২ মাসের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ধান থেকে তৈরিকৃত চাল বিক্রির অর্থ দিয়ে তিনি এ ঋণ পরিশোধ করেন।
এখানে, চাল ব্যবসায়ী জনাব আরিফের স্বল্পমেয়াদের জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল। মূলত তার ব্যবসায়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি মূলধনের প্রয়োজন ছিল। এ ঋণের মাধ্যমে তিনি তার ব্যবসায়ে চলতি মূলধন সংস্থান করতে পেরেছেন।
এ ঋণ না পেলে তার ব্যবসায়ের কার্যক্রম ব্যহত হতো। এ ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে জনাব আরিফ মুনাফা র্জনের সক্ষম হয়েছেন। এভাবে র্জিত মুনাফা দ্বারাই পরবর্তীতে তিনি ঋণের অর্থ পরিশোধ করেন।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।