ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০ | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব কমন উপযোগী সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ২য় | অধ্যায় ২ | সৃজনশীল প্রশ্ন ৬-১০ | PDF
প্রশ্ন ৬: ‘ঈ’ ব্যাংকের ধীনে তালিকাভুক্ত হয়ে এবং ঐ ব্যাংকের নুমতি গ্রহণ করে ‘উ’ ব্যাংক আমানত গ্রহণ এবং ঋণ প্রদান কার্যক্রম শুরু করে। সম্প্রতি গ্রাহকদের প্রয়োজনমত নগদ র্থ সরবরাহ করতে ‘উ’ ব্যাংক ব্যর্থ হচ্ছে। [য. বো. ১৭]
ক. নিকাশঘর কী? ১
খ. বাণিজ্যিক ব্যাংক কীভাবে ঋণের মাধ্যমে আমানত সৃষ্টি করে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে ‘ঈ’ ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের কোন ব্যাংকের কার্যক্রম সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘উ’ ব্যাংকের সমস্যা সমাধানে তোমার পরামর্শ কী? উদ্দীপকের আলোকে আলোচনা করো। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংকিং লেনদেন থেকে উদ্ভ‚ত আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনার নিষ্পত্তিস্থলই হলো নিকাশঘর।
খ উত্তর: যে পদ্ধতি বলম্বন করে বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণগ্রহীতাকে সরাসরি নগদে ঋণের র্থ প্রদান না করে তা ঋণগ্রহীতার আমানত হিসাবে স্থানান্তর করে এবং উক্ত আমানত থেকে নতুন ঋণের সৃষ্টি করে তাকে ঋণ আমানত সৃষ্টি বলে।
ব্যাংক যখন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান করে তখন সরাসরি নগদ র্থ ঋণ হিসেবে প্রদান না করে ঋণগ্রহীতাকে তার নামে একটি আমানত হিসাব খোলার জন্য বলে এবং তাতে ঋণের র্থ প্রদান করে। চেকের মাধ্যমে এই হিসাব থেকে ঋণগ্রহীতা র্থ উত্তোলন করে। এভাবে প্রদত্ত ঋণ থেকে আমানতের সৃষ্টি হয়।
উদাহরণ : মনে করি, ব্যাংকের তহবিল থেকে রহিমকে ১০,০০০ টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হলো। এ টাকা ব্যাংক নগদে প্রদান না করে রহিমের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে। এখন উক্ত আমানত থেকে বিধিবদ্ধ তারল্য র্থাৎ পর্যাপ্ত নগদ জমা রেখে, মনে করি উক্ত র্থের ২০% নগদ হিসেবে ব্যাংক তহবিলে জমা রেখে বাকি {১০,০০০ (১০,০০০ ২০%)} = ৮,০০০ টাকা ন্য কোনো গ্রাহককে ঋণ হিসাবে প্রদান করে। এভাবেই ব্যাংক মঞ্জুরকৃত ঋণ থেকে পুনরায় আমানত সৃষ্টি করে।
গ উত্তর: উদ্দীপকে ঈ ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রম সাদৃশ্যপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো একটি দেশের প্রধান ব্যাংক। মুদ্রাবাজারের নিয়ন্ত্রণ ও এর পরিচালনার দায়িত্ব মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপরই থাকে। দেশের সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভিভাবকের দায়িত্বও এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকই পালন করে থাকে।
উদ্দীপকে ঈ ব্যাংকের ধীনে তালিকাভুক্ত হয়ে এবং ঐ ব্যাংকের নুমতি নিয়ে উ ব্যাংক তার কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। র্থাৎ ঈ ব্যাংক এখানে ভিভাবকের ভ‚মিকা পালন করছে। ন্যদিকে উ ব্যাংক হলো একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। বাংলাদেশে এরূপ বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের ভিভাবকত্ব পালন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায়, ঈ ব্যাংকের কার্যক্রম এর সাথে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক র্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রমের মিল রয়েছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভিভাবক : বাণিজ্যিক ব্যাংকের আর্থিক সংকটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের ঋণ দিয়ে এ সংকট দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংককে ঋণ আদায়ে সাহায্য, ঋণ তদারকি ও উপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করায় একে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভিভাবক বলা হয়।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উ ব্যাংকের সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাংকটিকে বশ্যই কাম্য পরিমাণ তারল্য সংরক্ষণ করতে হবে।
তারল্য বলতে ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহকের র্থ চাহিবামাত্র ফেরত প্রদানের সামর্থ্য ধরে রাখাকে বোঝায়। পর্যাপ্ত তারল্যের ভাবে ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
উদ্দীপকে উ ব্যাংকটি ঈ ব্যাংকের একটি তালিকাভুক্ত ব্যাংক। উ ব্যাংকটি ঈ ব্যাংকের নুমতি নিয়েই আমানত গ্রহণ এবং ঋণ প্রদান কার্যক্রম শুরু করে। সম্প্রতি গ্রাহকদের প্রয়োজনমতো নগদ র্থ সরবরাহ করতে উ ব্যাংকটি ব্যর্থ হচ্ছে।
অর্থাৎ তারল্যের নীতি সঠিকভাবে নুসরণ না করায় উ ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়েছে। সাময়িকভাবে ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক র্থাৎ ঈ ব্যাংক হতে ঋণ নিয়ে তারল্য সমস্যার সমাধান করতে পারে। তবে ব্যাংকটিকে ভবিষ্যতে তার কার্যক্রম চালু রাখতে হলে বশ্যই বাণিজ্যিক ব্যাংকের ন্যতম মূলনীতি ‘তারল্য নীতি’ মেনে চলতে হবে। র্থাৎ ব্যাংকটিকে সবসময় কাম্য পরিমাণ নগদ র্থ সংরক্ষণ করতে হবে।
তারল্য নীতি : জনগণের কাছ থেকে সংগৃহীত আমানতের একটি নির্দিষ্ট ংশ ব্যাংক নিজের কাছে জমা রাখে। যাতে আমানতকারী চাহিবামাত্র তার র্থ পরিশোধ করা যায়, যা তারল্য নীতি নামে পরিচিত।
প্রশ্ন ৭: তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সীমাহীন ঋণ দেয়ার কারণে দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোকে এখন ১% বেশি আমানতি টাকা জমা দিতে হচ্ছে। আর্থিক সচ্ছল বড় ব্যাংকগুলোর নেকেই ইহা মানতে নারাজ। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকাশঘর সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার ভয়ে সকল তালিকাভুক্ত ব্যাংকই ইহা মানতে বাধ্য হচ্ছে। [ব. বো. ১৭]
ক. ব্যাংক হার নীতি কী? ১
খ. ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে ঋণ নিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিকাশঘর সুবিধা না পাওয়ার এত ভয় কেন? উদ্দীপকের আলোকে তা ব্যাখ্যা করো। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংক হারের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশলকে ব্যাংক হার নীতি বলে।
খ উত্তর: ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।
তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ যেকোনো কারণেই তারল্য সংকটে বা আর্থিক সংকটে পড়তে পারে। এ সময় ব্যাংকগুলো যখন ন্য কোনো উৎস থেকে র্থ সংগ্রহে ব্যর্থ হয় তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ সরবরাহে এগিয়ে আসে। এ কারণেই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে ঋণ নিয়ন্ত্রণের সাধারণ পদ্ধতির ন্তর্ভুক্ত জমার হার পরিবর্তন নীতিটির কথা বলা হয়েছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের আমানতের একটি ংশ বশ্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক এ জমার হার পরিবর্তন করে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশলই হলো জমার হার পরিবর্তন নীতি।
উদ্দীপকে তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সীমাহীন ঋণ দেয়ার কারণে দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। তাই ঋণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগের চেয়ে ১% বেশি আমানত জমা রাখছে।
অর্থাৎ আগের তুলনায় ১% বেশি আমানতের র্থ বাণিজ্যিক ব্যাংককে তারল্য হিসেবে সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণদান ক্ষমতা কমবে। ফলে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এভাবে জমার হার পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ঋণ নিয়ন্ত্রণের এ পদ্ধতিকে জমার হার পরিবর্তন নীতি বলা হয়।
তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকায় ন্তর্ভুক্ত ব্যাংককে তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে নিকাশঘর সুবিধা ব্যতীত গ্রাহক ধরে রাখা সম্ভব নয়। তাই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ বিষয়ে ভয়ে রয়েছে।
নিকাশঘর হলো আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির স্থল। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত¡াবধানে এ পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পারস্পরিক দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করে থাকে।
উদ্দীপকে ঋণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর জমার হার ১% বাড়ায়। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকাশঘর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারে এই ভয়ে সকল তালিকাভুক্ত ব্যাংকই এ সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য হচ্ছে।
নিকাশঘর সুবিধা বঞ্চিত হলে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো গ্রাহকের চেক, বিনিময় বিল ইত্যাদির মূল্য পরিশোধ করতে পারবে না। এতে ব্যাংকের ওপর গ্রাহক সন্তুষ্টি কমবে। ফলে ব্যাংকগুলোর গ্রাহকের সংখ্যাও কমতে পারে।
আর এভাবে গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং গ্রাহকের সংখ্যা কমলে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহের পরিমাণও কমতে থাকবে। যার ফলে ব্যাংকের মুনাফা কমবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এজন্যই নিকাশঘর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে চায় না।
জমার হার : বাণিজ্যিক ব্যাংককে বশ্যই একটি নির্দিষ্ট হারে সম্পূর্ণ আমানতের একটি ংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। এটিকেই জমার হার বলে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্ন ৮: দেশে হঠাৎ করে র্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক খুবই উদ্বিগ্ন। ব্যাংকটি পরিপত্র জারি করেছে এখন থেকে তাদের থেকে ঋণ নিতে ব্যাংকগুলোকে ১% ধিক হারে র্থাৎ ৬% হারে সুদ দিতে হবে। কিছু ব্যাংক এটা না মানায় দ্বিতীয় পরিপত্রে জমা সঞ্চিতি ১% বাড়িয়েছে। এতেও দু-একটা ব্যাংক কার্যকর সাড়া না দেয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের ঋণ সুবিধা স্থগিত করেছে। [দি. বো. ১৬]
ক. নিকাশঘর কী? ১
খ. খোলাবাজার নীতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের ১ম জারিকৃত পরিপত্র ঋণ নিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতির মধ্যে পড়ে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ঋণ সুবিধা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়ার যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংকিং লেনদেন থেকে উদ্ভ‚ত আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনার নিষ্পত্তিস্থলই হলো নিকাশঘর।
পরিপত্র হলো সরকারি ঘোষণা বা বিজ্ঞপ্তি বা ইশতিহার।
খ উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে খোলাবাজারে যে বন্ড, সিকিউরিটিজ, বিল, শেয়ার, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করে তাকে খোলাবাজার নীতি বলে।
বাজারে র্থের সরবরাহ বেশি হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খোলাবাজারে জনগণকে শেয়ার, বন্ড, সিকিউরিটিজ ইত্যাদি ক্রয়ের আহŸান জানায়। আবার র্থ সরবরাহ কম হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে শেয়ার, বন্ড, সিকিউরিটিজ ইত্যাদি ক্রয় করে। এতে ঋণের প্রবাহ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত ১ম জারিকৃত পরিপত্র ঋণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাংক হার পদ্ধতির মধ্যে পড়ে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত বিদ্যমান ব্যাংক হারের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটিয়ে ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের কৌশলকে ব্যাংক হার নীতি বলে। বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাংক হার ৫%।
দেশে হঠাৎ করে র্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। এ বস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিপত্রে জারি করে যে, এখন থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে ১% বর্ধিত হারে সুদ প্রদান করতে হবে।
অর্থাৎ পূর্বে ব্যাংক হার ৫% থাকলেও এখন তা ৬% হারে কার্যকর হবে। এখানে ব্যাংক হার পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণ করছে। সুতরাং, ১ম জারিকৃত পরিপত্রটি ঋণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাংক হার নীতি পদ্ধতির ন্তর্ভুক্ত।
মুদ্রা সংকোচন : মুদ্রাবাজারে র্থের ভাব দেখা দিলে মুদ্রা সংকোচনের সৃষ্টি হয়।
মুদ্রাস্ফীতি : মুদ্রাবাজারে র্থের পরিমাণ বেশি হলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের প্রত্যক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ নীতির আলোকে ঋণ সুবিধা স্থগিত করেছে, যা যথার্থ হয়েছে।
কোনো তালিকাভুক্ত ব্যাংক প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করে ঋণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে প্রত্যক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ বলে। এক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ সুবিধা স্থগিত করে থাকে।
উদ্দীপকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ প্রদানে ব্যাংক হার ১% বাড়িয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ প্রদান করে। তবে কিছু ব্যাংক এ নির্দেশনা মান্য করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বিতীয় দফায় জমার হার ১% বাড়ায়। এতেও দু-একটা ব্যাংক সাড়া না দেয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের ঋণ সুবিধা স্থগিত করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য হিসেবে প্রত্যক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। দেশের র্থনৈতিক পরিস্থিতি কাম্যস্তরে বা স্বাভাবিক রাখতে মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক এ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এর ফলে আদেশ মান্যকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারবে না, যা ঋণের কাম্যস্তর রক্ষা করবে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ সুবিধা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক হয়েছে।
প্রশ্ন ৯: ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য দরকার কৃষি, শিল্পসহ র্থনীতির ন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতকে শক্তিশালীকরণ। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকি ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী এবং ব্যাংকসমূহ গার্মেন্টসসহ ন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সহজশর্তে ঋণ দিচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের কৃষিখাত সবসময় বহেলিত। প্রয়োজনীয় কৃষিঋণ ও ন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ভাবে দিন দিন কৃষিকাজ পেশা হিসেবে আকর্ষণ হারাচ্ছে, যা কাম্য কৃষি উৎপাদনকে ব্যাহত করছে। এ বাস্তব সমস্যা সম্পর্কে বগত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি তার তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহকে তাদের মোট প্রদত্ত ঋণের একটি নির্দিষ্ট ংশ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কৃষকদের প্রদান করা বাধ্যতামূলক করে আদেশ জারি করেছে। [কু. বো. ১৬]
ক. নিকাশঘর কী? ১
খ. কোন ব্যাংককে মুদ্রাবাজারের ভিভাবক বলা হয় এবং কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ঋণ নিয়ন্ত্রণের কোন ধরনের গুণগত পদ্ধতির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে কৃষকদের জন্য ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশ জারির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংকিং লেনদেন থেকে উদ্ভ‚ত আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনার নিষ্পত্তি স্থলই হলো নিকাশঘর।
খ উত্তর: দেশের মুদ্রাবাজারকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মুদ্রামান সংরক্ষণ করে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রাবাজারের ভিভাবক বলা হয়।
সরকারের নিয়ন্ত্রণে ও মালিকানায় যে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয় তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ব্যাংক দেশের স্বার্থে মুদ্রাবাজারের প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মুদ্রাবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রামান সংরক্ষণ করে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রাবাজারের ভিভাবক বলা হয়।
গ উত্তর: উদ্দীপকে ঋণ নিয়ন্ত্রণের গুণগত পদ্ধতি বলতে ঋণ বরাদ্দকরণ নীতির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
বিশেষ খাত চিহ্নিত করে ঋণের পরিমাণ কম-বেশি করার নীতিকে ঋণের বরাদ্দকরণ নীতি বলে। এ নীতির ক্ষেত্রে যে সকল খাতে ঋণ দেয়া প্রয়োজন সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষ বরাদ্দের নির্দেশ দেয়। আর যে সকল খাতে ঋণ কমানো উচিত সেক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে।
উদ্দীপকে উলেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা শক্তিশালী। ব্যাংকগুলো গার্মেন্টসসহ ন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সহজ শর্তে ঋণ দিলেও কৃষি খাত সবসময় বহেলিত থেকে যাচ্ছে।
এ বস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক তার তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহকে তাদের প্রদত্ত ঋণের একটি নির্দিষ্ট ংশ কৃষকদের প্রদান করা বাধ্যতামূলক করে দেয়। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট খাতে ঋণ বরাদ্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। তাই এখানে ঋণ বরাদ্দকরণ নীতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে কৃষকদের জন্য ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশ জারির যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যে ন্যতম হলো ঋণের বরাদ্দকরণ নীতি। এর মাধ্যমে জরুরি বস্থা মোকাবিলা করা হয়। ঋণের বরাদ্দকরণ নীতি নুযায়ী বিশেষ বিশেষ খাত চিহ্নিত করে ঋণের পরিমাণ কম-বেশি করা হয়।
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো গার্মেন্টস ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু কৃষি খাতে ঋণ সুবিধার ভাবে পেশা হিসেবে এটি আকর্ষণ হারাচ্ছে। এ বস্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর ওপর একটি আদেশ জারি করেছে। এ আদেশে ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট প্রদত্ত ঋণের একটি নির্দিষ্ট ংশ কৃষকদের প্রদান করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ঋণ নিয়ন্ত্রণে ঋণের বরাদ্দকরণ নীতি প্রয়োগের ফলে কোন কোন খাতে ঋণ প্রদান করতে হবে, সে সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সুস্পষ্ট নির্দেশ দেয়। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো স্বাধীনভাবে ঋণদান করতে পারে না।
শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশিত খাতে ঋণদান করতে হয়। এতে ঋণের প্রবাহ নিয়ন্ত্রিত হয়। উদ্দীপকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিশেষ আদেশের ফলে এখন থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে তাদের মোট বরাদ্দকৃত ঋণের একটি ংশ কৃষকদের প্রদান করতে হবে। ফলে কৃষকরা ঋণ পেয়ে উপকৃত হবেন। এতে কৃষি খাত শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ সরকারের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে।
প্রশ্ন ১০: বাংলাদেশ সরকার পাতাল রেল প্রকল্পের প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহের লক্ষ্যে তার প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংককে দায়িত্ব দেয়। ব্যাংকটি বাজারে ১২% হারে বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে [চ. বো. ১৬]
ক. নিকাশঘর কী? ১
খ. ঋণ নিয়ন্ত্রণ কেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যতম কাজ? ২
গ. উদ্দীপকে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকটির নাম কী? এ ব্যাংকের ন্য কার্যাবলি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বন্ড ইস্যু করে মূলধন সংগ্রহ যুক্তিযুক্ত কি? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তর: ব্যাংকিং লেনদেন থেকে উদ্ভ‚ত আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনার নিষ্পত্তিস্থলই হলো নিকাশঘর।
খ উত্তর: দেশের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ কাম্যমাত্রায় রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ঋণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।
ঋণের র্থ জোগানের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো ব্যাংক। এটির জোগান কম হলে উৎপাদন ব্যাহত হয়। আবার বেশি হলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। এই উভয় বস্থা এড়িয়ে বাজারে ঋণের পরিমাণ কাম্যস্তরে রাখাই ঋণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য। র্থাৎ মুদ্রাবাজারের ভিভাবক হিসেবে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যতম কাজ।
গ উত্তর: উদ্দীপকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকটির নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীনে পরিচালিত দেশের এক ও নন্য ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানই হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বত্রই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ব্যাংক, প্রতিনিধি ও উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে থাকে।
উদ্দীপকে বাংলাদেশ সরকার পাতাল রেল প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহের লক্ষ্যে সরকার তার প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংককে মূলধন সংগ্রহের দায়িত্ব প্রদান করেছে। প্রতিটি দেশেই সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংক হিসেবে ঐ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্য পরিচালনা করে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ঋণের উৎস হিসেবে কাজ করে। সরকারের আর্থিক সংকটের সময় এ ব্যাংক সরকারকে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুধু সরকারের ব্যাংক হিসেবে কার্যাবলি সম্পাদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, ন্যান্য কার্যসম্পাদনের মাধ্যমে ব্যাংক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও মুদ্রাবাজার কার্যকরভাবে পরিচালনার দায়িত্বও পালন করে।
এ ব্যাংকটি র্থনৈতিক গবেষণার স্বার্থে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করে। বিশ্লেষণকৃত তথ্যকে রিপোর্ট আকারে তৈরি ও প্রকাশনার ব্যবস্থাও কেন্দ্রীয় ব্যাংক করে থাকে।
ঘ উত্তর: উদ্দীপকে উলিখিত ব্যাংকটি মূলধন সংগ্রহের লক্ষ্যে বাজারে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয়, যা যৌক্তিক হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ঋণের উৎস হিসেবে কাজ করে। র্থাৎ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে র্থ স্থানান্তর এবং বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত তহবিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংগ্রহ ও জমা করে।
উদ্দীপকে বাংলাদেশ সরকার পাতাল রেল প্রকল্পের প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহের লক্ষ্যে তার প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দায়িত্ব প্রদান করে। ব্যাংকটি বাজারে ১২% হারে বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।
সরকারের আর্থিক সংকটের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন খাত থেকে ঋণ সংগ্রহেও এ ব্যাংক সরকারকে সহযোগিতা করে। প্রয়োজনে বন্ড, সিকিউরিটিজ ইত্যাদি বিক্রির ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলধনের জোগান দেয়।
উদ্দীপকেও সরকারের বিশেষ প্রকল্পের প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১২% হারে বন্ড ইস্যুর ব্যবস্থা করে মূলধন গঠনের চেষ্টা করেছে। তাই সরকারের ব্যাংক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার কর্তব্য পালন করেছে। সুতরাং, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য বন্ড ইস্যু করে মূলধন সংগ্রহ করার সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক হয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।