পানি: জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর : সাধারণ বিজ্ঞান – PDF – সাধারণ বিজ্ঞান হতে যেকোনো ধরনের জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন-উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেন আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য সাধারণ বিজ্ঞান হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর সমুহ আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
পানি: জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর : সাধারণ বিজ্ঞান – PDF:
⬤◼ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ◼⬤
প্রশ্ন \ ১ \ পৃথিবীর সবচেয়ে সহজলভ্য তরল পদার্থ কোনটি?
উত্তর : পৃথিবীর সবচেয়ে সহজলভ্য তরল পদার্থ হলো পানি।
প্রশ্ন \ ২ \ বিশুদ্ধ পানির ধর্ম কী?
উত্তর : বিশুদ্ধ পানি স্বাদহীন, গন্ধহীন ও বর্ণহীন হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ বিশুদ্ধ পানি তড়িৎ পরিবহন করে কি?
উত্তর : বিশুদ্ধ পানি তড়িৎ পরিবহন করে না।
প্রশ্ন \ ৪ \ পানি কী দিয়ে গঠিত?
উত্তর : পানি দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন \ ৫ \ ব্যবহার উপযোগী পানির উৎসসমূহ কী কী?
উত্তর : ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস হলো নদনদী, খালবিল, হ্রদ, পুকুর, ঝর্না ও ভ‚গর্ভস্থ পানি।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলাদেশে মিঠা পানির উৎস কী কী?
উত্তর : বাংলাদেশের মিঠা পানির উৎস হলো নদনদী, খালবিল, পুকুর, হ্রদ ও ভ‚গর্ভ।
প্রশ্ন \ ৭ \ জলজ উদ্ভিদ কীভাবে বংশবিস্তার করে থাকে?
উত্তর : জলজ উদ্ভিদ সাধারণত অঙ্গজ উপায়ে বংশবিস্তার করে থাকে।
প্রশ্ন \ ৮ \ আমাদের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের শতকরা কত ভাগ মাছ থেকে আসে?
উত্তর : আমাদের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগই আসে মাছ থেকে।
প্রশ্ন \ ৯ \ পানি ঘোলা হওয়ার মূল কারণ কী?
উত্তর : পানি ঘোলা হওয়ার মূল কারণ হলো পানিতে অদ্রবণীয় পদার্থ যেমন : মাটি, বালি, তেল, গ্রিজ ইত্যাদির উপস্থিতি।
প্রশ্ন \ ১০ \ পানিতে থাকা প্রাণীরা অক্সিজেন কোথা থেকে পায়?
উত্তর : পানিতে থাকা প্রাণীরা অক্সিজেন পায় পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন থেকে।
প্রশ্ন \ ১১ \ পানি বিশুদ্ধকরণের পদ্ধতিগুলো কী কী?
উত্তর : পানি বিশুদ্ধকরণের পদ্ধতিগুলো হলো: পরিস্রাবণ, ক্লোরিনেশন, স্ফুটন ও পাতন পদ্ধতি।
প্রশ্ন \ ১২ \ শিল্প কারখানা ও গার্হস্থ্য কাজে বর্জ্যপানি কোথায় যায়?
উত্তর : শিল্প কারখানা ও গার্হস্থ্য কাজের বর্জ্যপানির বড় একটি অংশ নর্দমার মাধ্যমে নদনদীতে নিয়ে ফেলা হয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ কোন কোন রাসায়নিক পদার্থ পানির দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে?
উত্তর : গোবর, গাছপালার ধ্বংসাবশেষ, খাদ্যের বর্জ্য ইত্যাদি পচনের সময় পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে।
প্রশ্ন \ ১২ \ রামসার কনভেনশন কী?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রæয়ারিতে ইরানের রামসারে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নেওয়া জলাভ‚মি-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহ হলো রামসার কনভেনশন।
প্রশ্ন \ ১৩ \ আর্সেনিকোসিস কী?
উত্তর : আর্সেনিক দ্বারা দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে মানবদেহে যে রোগসৃষ্টি হয় তাকে আর্সেনিকোসিস বলে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ব্লিচিং পাউডার দ্বারা পানি বিশুদ্ধ করা হয় কোন প্রক্রিয়ায়?
উত্তর : ব্লিচিং পাউডার দ্বারা পানি বিশুদ্ধ করা হয় ক্লোরিনেশন প্রক্রিয়ায়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ পানি বিশুদ্ধকরণের কোন প্রক্রিয়ায় পানিকে ফুটানো হয়?
উত্তর : পানি বিশুদ্ধকরণের স্ফুটন প্রক্রিয়ায় পানিকে ফুটানো হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ পানি তড়িৎ পরিবহন করে কখন?
উত্তর : পানিতে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ যেমন লবণ অথবা এসিড দ্রবীভূত থাকলে পানি তড়িৎ পরিবহন করে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ আমরা প্রয়োজনীয় প্রোটিনের কত ভাগ মাছ থেকে পাই?
উত্তর : ৮০ ভাগ।
প্রশ্ন \ ১৮ \ ঘধঙঈষ কোন যৌগের সংকেত?
উত্তর : ঘধঙঈষ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইডের সংকেত।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ক্লোরিন গ্যাস ছাড়া আর কী দিয়ে পানিকে জীবাণুমুক্ত করা যায়?
উত্তর : ওজোন গ্যাস অথবা অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে।
প্রশ্ন \ ২০ \ এরি হ্রদ কোথায়?
উত্তর : আমেরিকার উত্তর ওহাইও অঙ্গরাজ্যে।
প্রশ্ন \ ২১ \ আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহার চুক্তিটি কোন সংস্থা করে?
উত্তর : জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আইন কমিশন এই চুক্তিটি তৈরি করে।
⬤◼ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ◼⬤
প্রশ্ন \ ১ \ ৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সর্বোচ্চ আর তা হলো ১ গ্রাম/সিসি বা ১০০০ কেজি/মিটার৩ অর্থাৎ ১ সিসি পানির ভর হলো ১ গ্রাম বা ১ কিউবিক মিটার পানির ভর হলো ১০০০ কেজি।
প্রশ্ন \ ২ \ বুড়িগঙ্গা নদীতে মাছ না পাওয়ার কারণ লেখ।
উত্তর : শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্যপানির কারণে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। যার কারণে এটি জলজ প্রাণী শূন্য প্রায় মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। এজন্য মাছ পাওয়া যায় না।
প্রশ্ন \ ৩ \ পানি একটি উভধর্মী পদার্থ- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পানি একটি উভধর্মী পদার্থ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ কখনো এসিড, কখনো ক্ষার হিসেবে কাজ করে। সাধারণত এসিডের উপস্থিতিতে পানি ক্ষার হিসেবে অপরদিকে ক্ষারের উপস্থিতিতে এসিড হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন \ ৪ \ পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয় কেন?
উত্তর : পানির বিশেষ ধর্ম হলো এটি অজৈব যৌগ ও জৈব যৌগকে দ্রবীভ‚ত করতে পারে। এজন্য একে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ পানিতে জলজ উদ্ভিদ না জন্মালে কী ঘটত?
উত্তর : জলজ উদ্ভিদগুলো একদিকে যেমন সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে অক্সিজেন তৈরি করে পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখে, অন্যদিকে শ্যাওলা জাতীয় জলজ উদ্ভিদগুলো জলজ প্রাণীদের খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে। পানিতে জলজ উদ্ভিদ না থাকলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী বাঁচতে পারত না।
প্রশ্ন \ ৬ \ পানির মানদণ্ড কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর : পানির মানদণ্ড নির্ভর করে কোন কাজে ব্যবহার করা হবে তার ওপর। বিশুদ্ধ পানি বর্ণহীন ও স্বাদহীন হয়। পানি পরিষ্কার, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও তেজস্ক্রিয়তামুক্ত হতে হবে। পানির ঢ়ঐ মান ৬-৮ এর মধ্যে থাকতে হবে।
প্রশ্ন \ ৭ \ পানি ঘোলা হলে কী অসুবিধা হয়?
উত্তর : পানি ঘোলা হলে সূর্যের আলো পানির নিচে থাকা উদ্ভিদ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না, ফলে সালোকসংশ্লেষণ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে পানিতে থাকা উদ্ভিদের খাবার তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটে, যা তাদের বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়। আবার সালোকসংশ্লেষণের ফলে যে অক্সিজেন তৈরি হতো তা বন্ধ হয়ে যায়। পানি ঘোলা হলে মাছ বা অন্য প্রাণী ঠিকমতো খাবার সংগ্রহ করতে পারে না।
প্রশ্ন \ ৮ \ নদনদীর পানি কেন তেজস্ক্রিয়তামুক্ত হতে হবে?
উত্তর : নদনদীর পানিতে কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকলে তা জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহে ক্যান্সারের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া এই তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলো খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এলে নানা ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধি সৃষ্টি করে। তাই নদনদীর পানি তেজস্ক্রিয়তামুক্ত হতে হবে।
প্রশ্ন \ ৯ \ পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে কী হয়?
উত্তর : পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে, একদিকে যেমন দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন কমে যায়, অন্যদিকে জলজ প্রাণীর প্রজনন থেকে শুরু করে নানা শারীরবৃত্তীয় কাজেও সমস্যা সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে আসে কেন?
উত্তর : ইলিশ সামুদ্রিক মাছ হলেও ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে আসে। কারণ, সমুদ্রের লবণাক্ত পানি ডিম নষ্ট করে ফেলে। ফলে ওই ডিম থেকে আর পোনা মাছ তৈরি হতে পারে না। তাই প্রকৃতির নিয়মেই ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে আসে।
প্রশ্ন \ ১১ \ প্রকৃতিতে পানির পুনঃআবর্তন না হলে কী ধরনের সমস্যা হতো?
উত্তর : প্রকৃতিতে পানির পুনঃআবর্তন না হলে বৃষ্টি হতো না, ফলে মরুভ‚মিতে পরিণত হতো পৃথিবী। প্রচণ্ড খরা হতো, ফসল উৎপাদন কমে যেত। বৃষ্টি হলো প্রাকৃতিকভাবে পানির পুনঃআবর্তন।
প্রশ্ন \ ১২ \ পানিবাহিত রোগ কীভাবে ছড়ায়?
উত্তর : মলমূত্র, আবর্জনা ইত্যাদি বর্জ্যরে মাধ্যমে পানিবাহিত রোগের জীবাণু ছড়ায়। সেই পানিতে গোসল করলে, পান করলে, খাবার রান্না করলে বা ধুলে অথবা যেকোনোভাবে দূষিত পানির সংস্পর্শে এলে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর দেহে জীবাণু সংক্রমিত হয়ে রোগ সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ তেজস্ক্রিয় পদার্থ দ্বারা পানি দূষিত হলে মানবদেহে কী প্রভাব পড়ে?
উত্তর : তেজস্ক্রিয় পদার্থ যেমন : ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, সিজিয়াম, রেডন প্রভৃতি দ্বারা পানি দূষিত হলে তা জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর দ্বারা খাদ্য শৃঙ্খল মাধ্যমে চলে আসবে। পরবর্তীতে মানুষ যখন এই উদ্ভিদ ও মাছ ভক্ষণ করবে তখন মানবদেহে পদার্থগুলো চলে আসবে। এই পদার্থগুলো মানব দেহে ক্যান্সার ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ পানির সকল উৎস লবণাক্ত হলে কী কী অসুবিধা হবে?
উত্তর : পানির সকল উৎস লবণাক্ত হলে মিঠা পানিতে বসবাসকারী জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীসমূহ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে এবং এক পর্যায়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কারণ, লবণাক্ততার প্রভাবে মিঠা পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন অনেক কমে যাবে, যার ফলে জলজ প্রাণীসমূহ বাঁচতে পারবে না। জলজ উদ্ভিদের বড় একটি অংশ লবণাক্ত পানিতে জন্মাতে পারে না, বেড়ে উঠতেও পারে না, যে কারণে পানির জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়লে নাতিশীতোষ্ণ এলাকায় কী প্রভাব পড়বে?
উত্তর : বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়লে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও ধরনের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে পারে। নাতিশীতোষ্ণ এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে, যা খরা সৃষ্টি করবে, এমনকি মরুভ‚মিতেও পরিণত করতে পারে।
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও ধরন পরিবর্তন হলে নদনদী, খালবিলে পানির পরিমাণ ও প্রবাহ পরিবর্তিত হবে যা অনেক ক্ষেত্রে বিপর্যয় ডেকে আনবে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ জলাভ‚মি ও বনভ‚মি পরিবেশ রক্ষায় কী ভ‚মিকা পালন করে?
উত্তর : জলাভ‚মি একদিকে পানি ধারণ করে যেমন বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে, অন্যদিকে তেমনি ক্ষতিকর পদার্থ শোষণ করে, ভ‚গর্ভে ও নদীতে বিশুদ্ধ পানি স ালন করে ও বন্যপ্রাণীদের সহায়তা করে। বনভ‚মিও কিন্তু ভ‚গর্ভে পানি স ালনে সাহায্য করে এবং বন্যপ্রাণীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। এগুলো ধ্বংস হলে নদীর দূষণ বেড়ে যায়।
প্রশ্ন \ ১৭ \ পানির উৎস সংরক্ষণ করা জরুরি কেন?
উত্তর : যেকোনো ধরনের উন্নয়নকাজ তা শিল্প-কারখানা, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, নগরায়ন যাই হোক না কেন পানির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আবার এসব উন্নয়নের ফলে পানির উৎসসমূহ যদি হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে প্রকৃতপক্ষে সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডই থমকে যাবে।
আমাদের ব্যবহারযোগ্য পানিসম্পদের পরিমাণ সীমিত। এমতাবস্থায় আমরা যদি পানির উৎস সংরক্ষণে সজাগ না হই, তাহলে ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হতে পারে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশনে কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়?
উত্তর : সিদ্ধান্তসমূহ হলো : আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশন অনুযায়ী, একের অধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানি কোনো দেশই অন্য দেশের অনুমতি ছাড়া একতরফাভাবে ব্যবহার করতে পারবে না।
তবে এই রীতি অনুযায়ী দেশসমূহ ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গতভাবে নিজ নিজ দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অংশের পানি ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে অন্য দেশের অংশে পানি প্রবাহে যাতে কোনো বিঘœ না ঘটে তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ডিটারজেন্ট তৈরির কারখানার বর্জ্য পকুরে গেলে কী অবস্থা হবে?
উত্তর : ডিটারজেন্ট তৈরির কারখানা থেকে সৃষ্ট বর্জ্য পুকুরে ফেলার ফলে পুকুরের পানিতে ফসফেটের মাত্রা বেড়ে যাবে। পানিতে ফসফেট খুব বেড়ে গেলে সেখানে প্রচুর শ্যাওলা জন্মাবে।
এই শ্যাওলাগুলো যখন মরে যাবে তখন পানির অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের অভাব সৃষ্টি করবে। এর ফলে পুকুরটির জলজ প্রাণীগুলো মরে যাবে এবং আস্তে আস্তে পুকুরটি মরা পুকরে পরিণত হবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।