পঞ্চম শ্রেণি | প্রাথমিক বিজ্ঞান | অধ্যায় ১৪ | বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়টির ১৪ তম অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
৩. বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ১ \ আমরা কেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিখছি?
উত্তর : আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শেখা অত্যন্ত জরুরি। বিজ্ঞান শিক্ষা আমাদের আচরণ পরিবর্তনে এবং বিজ্ঞানের জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধিজনিত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। তাছাড়া, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসব কারণেই আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিখছি।
প্রশ্ন \ ২ \ মানুষ কেন কৃষিকাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করছে?
উত্তর : জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে খাদ্যের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। এই অতিরিক্ত খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য অধিক ফসল উৎপাদন করতে হয়। উদ্ভিদের ভালো বৃদ্ধি এবং অধিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য মানুষ কৃষিকাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করছে। পরিমিত রাসায়নিক সার উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে এবং কীটনাশক কীটপতঙ্গ দমনে সাহায্য করে।
আরো দেখুন
প্রশ্ন \ ৩ \ বনভূমি ধ্বংসের ফলে পরিবেশের উপর কী প্রভাব পড়ছে?
উত্তর : বনভূমি ধ্বংসের ফলে পরিবেশের উপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়ে থাকে। যেমন-
১. গাছপালা কমে যাওয়ায় পরিবেশে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেড়ে যায়। ফলে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
২. বনভূমি ধ্বংসের কারণে জীবের আবাসস্থল বিনষ্ট হয়। ফলে ধীরে ধীরে জীবের বিলুপ্তি ঘটে।
৩. বনভূমি ধ্বংসের কারণে বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন ঘটে।
৪. বনভূমি ধ্বংসের ফলে প্রকৃতিতে ভূমিক্ষয় ও ভূমিধ্বস দেখা দেয়।
৫. বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়, যা জীবজগতের জন্য হুমকিস্বরূপ।
৬. গ্রিণ হাউজ প্রভাবের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠে উচ্চতা বৃদ্ধি পায়, যা পৃথিবীর নিচু এলাকাগুলোর ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রশ্ন \ ৪ \ জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মানুষ কেন সহজেই রোগাক্রান্ত হয়?
উত্তর : জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মানুষ খুব সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে। কারণ :
১. জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হলে জীবাণু দ্রত ছড়ায়।
২. চিকিৎসা এবং শিক্ষার সুযোগ কমে যেতে পারে।
৩. ঘন জনবসতিতে পয়ঃনিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সম্ভব হয় না বলে বায়ু, পানি, মাটি দূষিত হয়ে পড়ে। এই দূষণের কারণে মানুষ সহজেই বায়ুবাহিত, পানিবাহিত ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ১ \ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কীভাবে কমানো যেতে পারে বলে তুমি মনে কর? উপযুক্ত ব্যাখ্যা উপস্থাপন কর।
উত্তর : নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো যেতে পারে বলে আমি মনে করি।
কলকারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ব্যাপকহারে যে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হচ্ছে তা থেকে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিবেশের দূষণ ঘটাচ্ছে।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে উৎসাহিত করে।
বর্তমানে সৌর প্যানেলের মতো প্রযুক্তির মাধ্যমে নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যাতায়াতের জন্য নতুন প্রযুক্তি হাইব্রিড গাড়ি উদ্ভাবন করেছে।
এই গাড়ি বিদ্যুৎ ও তেল উভয় জ্বালানি ব্যবহার করে চলতে পারে, যা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে ভূমিকা রাখছে। অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন বায়ু শক্তি, পানি শক্তি ইত্যাদির যথাযথ ব্যবহারে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর চাপ কমানো যাবে।
প্রশ্ন \ ২ \ জনসংখ্যার ঘনত্ব কী? জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হলে আমরা কী কী সমস্যায় পড়ব?
উত্তর : জনসংখ্যার ঘনত্ব হলো প্রতি একক জায়গায় বসবাসরত মোট জনসংখ্যা।
জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হলে আমরা যেসব সমস্যায় পড়ব তা হলোÑ
১. খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদির ঘাটতি দেখা দিবে।
২. ফসলি জমির ঘাটতি দেখা দিবে।
৩. চিকিৎসা ও শিক্ষার সুযোগ হ্রাস পাবে।
৪. বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও পরিবেশ দূষণ ঘটবে।
প্রশ্ন \ ৩ \ পৃথিবীর জনসংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। এই সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন :
১. বাড়তি মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ।
২. উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অল্প সময়ে অধিক খাদ্য উৎপাদন সম্ভব।
৩. জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিক পুষ্টিসম্পন্ন, রোগ প্রতিরোধী ও অধিক উৎপাদনশীল ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে।
৪. সৌর প্যানেলের মতো প্রযুক্তির উদ্ভাবনে নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় যা জীবাশ্ম জ্বালানি বা অনবায়নযোগ্য জ্বালানির অপচয় রোধ করে, পরিবেশ দূষণ কমায়।
৫. বাড়তি জনগণের যাতায়াতের সমস্যা দূর করতে হাইব্রিড গাড়ি উদ্ভাবিত হয়েছে যা বিদ্যুৎ ও তেল উভয় জ্বালানি ব্যবহার করেই চলতে পারে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন \ ৪ \ পরিবেশকে বাসযোগ্য রাখার দায়িত্ব কার? পরিবেশের উপর বাড়তি জনসংখ্যার চারটি বিরূপ প্রভাব বর্ণনা কর।
উত্তর : পরিবেশকে বাসযোগ্য রাখার দায়িত্ব মানুষেরই।
পরিবেশের উপর বাড়তি জনসংখ্যার চারটি বিরূপ প্রভাব নিম্নরূপ :
১. অধিকমাত্রায় খাদ্য শস্য ও ফসল ফলানোর জন্য একই জমি বছরে একাধিকবার চাষ করা হয় বলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়।
২. জমিতে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ও আগাছানাশক ব্যবহার করতে হয় যা বৃষ্টিপাত ও পানির সঙ্গে পুকুর, খাল ও নদীতে বাহিত হয়।
৩. জলযান থেকে নির্গত বর্জ্য এবং মানুষের মলমূত্র নদীর পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে।
৪. শিল্পকারখানা ও যানবাহনে পেট্রোলিয়াম ব্যবহারে কার্বন ডাইঅক্সাইডসহ নানারকম ক্ষতিকর গ্যাস বায়ুতে মিশে বায়ুমণ্ডল দূষিত করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কী কী সম্পদের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে? এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পথ কী? এ থেকে উত্তরণের তিনটি উপায় লিখ।
উত্তর : জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা, শিক্ষা, যোগাযোগ, বস্ত্র সবক্ষেত্রে সম্পদের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পথ হলো আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার।
এ থেকে উত্তরণের তিনটি উপায় হলো :
১. আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থাগুলো উন্নততর ও দক্ষতর করে গড়ে তোলা।
২. উন্নততর শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দেওয়া। এতে একদিকে যেমন উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে তেমনি শক্তির খরচও কমবে।
৩. তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানো। এতে অনেকাংশে সম্পদের অপচয় এড়ানো যাবে।
সাধারণ প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ৬ \ প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর অধিক জনসংখ্যার ৫টি প্রভাব লেখ।
উত্তর : প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর অধিক জনসংখ্যার ৫টি প্রভাব হলো :
১. বাড়তি শস্য উৎপাদন এবং পশুপালনের জন্য মানুষ বন উজাড় করছে।
২. বাড়িঘর, রাস্তাঘাট এবং কলকারখানা তৈরিতেও অধিক জমি ব্যবহার করছে।
৩. বনভূমি ধ্বংসের ফলে বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন হয়।
৪. জীবের আবাসস্থল ধ্বংস হয় এবং জীব ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়।
৫. বনভূমি ধ্বংসের ফলে ভূমিক্ষয় ও ভূমিধ্বস হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে তা পাঁচটি বাক্যে উল্লেখ করা হলো :
১. বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান ও কলাকৌশলগত শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
২. বিজ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমে আচরণ পরিবর্তন এবং জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন।
৩. প্রযুক্তি শিক্ষার বিকাশ।
৪. পেশাগত প্রশিক্ষণ দান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা প্রদান।
৫. সৃজনশীল চিন্তার মাধ্যমে উদ্ভাবনী ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করা।
প্রশ্ন \ ৮ \ বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় ভূমির পরিমাণ কম বলে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি।
মোট জনসংখ্যাকে ক্ষেত্রফল দ্বারা ভাগ করলে সহজেই জনসংখ্যার ঘনত্ব পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রফল ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের তথ্যানুসারে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৭ লক্ষ। অর্থাৎ ক্ষেত্রফলের তুলনায় মোট জনসংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি।
প্রশ্ন \ ৯ \ কোনো দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে মানুষের জীবন ধারণে কী কী সমস্যার সৃষ্টি হয়?
উত্তর : জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো নিম্নরূপ :
১. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মাথাপিছু জমির পরিমাণ কমে যায়।
২. সীমিত সম্পদ এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে জনগণের মাথাপিছু আয় কমে যায়।
৩. খাদ্যাভাবে জনসাধারণ পুষ্টিহীনতায় ভোগে এবং দিন দিন কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
৪. জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মাথা গোঁজার মতো বাসস্থান তৈরিও কঠিন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
৫. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শিক্ষা ব্যাহত হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ জনসংখ্যা বৃদ্ধিজনিত সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা, শিক্ষা, যোগাযোগ, বস্ত্র সব ক্ষেত্রে সম্পদের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার এবং প্রযুক্তির অভিনব উদ্ভাবন কাজে লাগিয়ে আমরা নতুন সম্পদের উৎস পেতে পারি। যেমন : কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।
খাদ্যের এই উৎপাদন বৃদ্ধি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকেও অতিক্রম করেছে। প্রয়োজন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা ও চর্চা। শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে পারে। আবার কর্মদক্ষতারও উন্নতি ঘটাতে পারে। উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে পারবে এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সহজতর করবে। তাই সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও স্থানের অপ্রতুলতা কাটিয়ে ওঠার একমাত্র পথ হলোÑ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অধিকতর চর্চা।
প্রশ্ন \ ১১ \ জনসংখ্যা বাড়ার ফলে খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসার ওপর কী প্রভাব পড়ছে? বর্ণনা কর।
উত্তর : জনসংখ্যা বাড়ার ফলে খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। যেমন :
১. খাদ্যের ওপর প্রভাব : বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা পূরণে অধিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষিকাজে একই জমি বারবার ব্যবহার হচ্ছে। ফলে জমির উর্বরা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে।
২. আশ্রয়ের ওপর প্রভাব : জনসংখ্যা বাড়ার ফলে জনবসতির ঘনত্ব বাড়ছে, মানুষের আশ্রয়স্থলের সংকট দেখা দিচ্ছে।
৩. চিকিৎসার ওপর প্রভাব : বাড়তি জনসংখ্যার কারণে পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত নানা রোগ বাড়ছে। মানুষ কলেরা, ডায়রিয়া, জন্ডিস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আরো পড়তে পারেনঃ
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ১ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ২ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৩ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৫ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন \ ১২ \ জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব বর্ণনা কর।
উত্তর : জনসংখ্যার বৃদ্ধি সামগ্রিক জনজীবনের ওপর প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপরও প্রভাব ফেলে। যেমন : খাদ্য, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ইত্যাদি।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির নানারকম ক্ষতিকর দিক রয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বাসস্থানের জন্য বন কেটে উজাড় করা হয় এবং আবাদি জমি নষ্ট করা হয়। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হয় যা মাটি ও পানি দূষণ করে।
বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজন হয় যানবাহনের যা পরিবেশকে দূষিত করে। বনজঙ্গল কেটে ফেলার ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হয়। বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে চিকিৎসা ব্যবস্থাও প্রতিক‚ল অবস্থায় পড়ে। এছাড়া কর্মসংস্থানের অভাব দেখা দেয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ জীবাশ্ম জ্বালানি কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শক্তির অতি পরিচিত উৎস হলো কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস। এদের জীবাশ্ম জ্বালানি বলা হয়। কোটি কোটি বছর আগে এ পৃথিবীতে বিশাল বিশাল বনভূমি ছিল। সে সময় বনভূমিতে যেসব গাছপালা, জীবজন্তু ছিল প্রচণ্ড ভূমিকম্প বা কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বা অন্য যেকোনো কারণে মাটির নিচে চাপা পড়ে।
এদেরই দেহাবশেষ জীবাশ্ম। প্রচণ্ড চাপে এবং তাপে এগুলো কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসে পরিণত হয়। এসব জীবাশ্ম কঠিন, তরল বা বায়বীয় আকারে খনি থেকে তুলে জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা হয়।
কৃষি, শিল্প এবং প্রতিটি উৎপাদনের ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বর্তমানে অপরিহার্য হয়ে পড়ছে। একবার ব্যবহারের পর এসব জ্বালানি আর নতুন করে উৎপাদন করা সম্ভব নয়। তাই এর চাহিদা দিন দিন যত বাড়ছে ততই এর সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।