পঞ্চম শ্রেণি | ইসলাম শিক্ষা | অধ্যায় ৩ | বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর | PDF: পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়টির ৩য় অধ্যায়টি হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
তৃতীয় অধ্যায় – আখলাক
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন- ১ \ আমরা কোন কোন মন্দ আচরণ থেকে দূরে থাকব?
উত্তর : আমরা যেসব মন্দ আচরণগুলো থেকে দূরে থাকব তা হলো :
১. আমরা কখনো মিথ্যা কথা বলবনা। ২. ঝগড়া-বিবাদ করব না। ৩. হিংসা করবনা। ৪. চুরি-ডাকাতি করবনা। ৫. ধূমপান করবনা। ৬. কটু কথা বলবনা। ৭. দেশের ও জনগণের ক্ষতি করবনা। ৮. আল্লাহর ইবাদত করতে ভুলবনা।
প্রশ্ন- ২ \ আমরা কীভাবে মানুষের সেবা করব?
উত্তর : আল্লাহর ইবাদতের পর আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের সেবা করা। আমরা বিভিন্ন উপায়ে মানুষের সেবা করব। যেমন : ক্ষুধার্তকে খাদ্য দিয়ে, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দিয়ে, রোগীদের সেবা করে, আশ্রয়হীনদের আশ্রয় দিয়ে, পাড়া-প্রতিবেশীদের কারো সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধানের চেষ্টা করে, অভাবী ও দুঃখীজনদের সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা মানুষের সেবা করব।
মহানবি (স) বলেছেন, তোমরা ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, অসুস্থ ব্যক্তির সেবা কর এবং বন্দীকে মুক্তি দাও। তাছাড়াও বেকার লোকদের কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী বিপদে পড়লে সাহায্য-সহযোগিতা করা একান্ত কর্তব্য।
প্রশ্ন- ৩ \ কী কী উপায়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়?
উত্তর : নিম্নোক্ত উপায়ে আমরা দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারি:
১. দেশের সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করব, কেউ বিপদে পড়লে সাহায্য করব।
২. গৃহপালিত পশুপাখির যতœ নেব, তাদের কোনো কষ্ট দেবনা।
৩. বৃক্ষরোপণ করব, ফলমূলের গাছ লাগাব, গাছ নষ্ট করবনা, পাতা ছিঁড়বনা, ডাল ভাঙবনা।
৫. পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস অপচয় করবনা, জাতীয় সম্পদ রক্ষা করব।
৬. দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষকে ভালোবাসব, সুন্দর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
প্রশ্ন- ৪ \ মহানবি (স)-এর জীবনের ক্ষমার একটি আদর্শ কাহিনী উল্লেখ কর।
উত্তর : মহানবি (স) ছিলেন ক্ষমার মূর্ত প্রতীক। তাঁর সারা জীবনই আমাদের জন্য ক্ষমার উজ্জ্বল আদর্শ। মহানবি (স)-এর ওপর কাফিররা নির্মম অত্যাচার করত। তাঁকে মক্কা ছাড়তে বাধ্য করল। তিনি আল্লাহর নির্দেশে জীবন রক্ষার্থে এবং ইসলাম প্রচারের জন্য তায়েফ গমন করলেন। তাঁর সাথে ছিলেন পালিত পুত্র যায়িদ (রা)।
তায়েফবাসী তাঁর ইসলাম প্রচার শুনল না। তারা তাঁকে লাঞ্ছিত করল, পাথরের আঘাতে তাঁকে এবং যায়িদ (রা) কে রক্তাক্ত করল। আল্লাহর রহমতে তাঁরা দুজনে রক্তাক্ত অবস্থায় তায়েফ থেকে ফিরে আসলেন। কিন্তু তবুও দয়ার নবি (স) তায়েফবাসীদের জন্য বদদোয়া করলেন না।
তিনি আল্লাহর কাছে এই দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! তারা অবুঝ, তারা কিছুই বোঝে না। তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর।’ তাছাড়া মক্কা বিজয়ের পর শত্রæদের হাতের মুঠোয় পেয়েও ক্ষমা করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
প্রশ্ন- ৫ \ আমরা ভালো কাজে কীভাবে সাহায্য করব?
উত্তর : আমরা নানাভাবে ভালো কাজে সাহায্য করতে পারি। যথা :
১. গরিব ও দুস্থদের স্বাবলম্বনের জন্য তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বড়দের সাহায্য করব।
২. এলাকার জনগণের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাস্তাঘাট, পুল ও সাঁকো নির্মাণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেব এবং এসব নির্মাণে বড়দের সাথে কাজ করব।
৩. ময়লা আবর্জনা ডাস্টবিন বা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলব এবং সকলকে ফেলতে বলব।
৪. সকলে মিলে গ্রামে বা মহল্লায় ছোটখাটো গ্রন্থাগার তৈরি করে নিজেরা বই পড়ব এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করব।
৫. রাস্তার পাশে বা ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগাতে বড়দের সাহায্য করব।
প্রশ্ন- ৬ \ মন্দ কাজ সম্পর্কে মহানবি (স) কী বলেছেন?
উত্তর : মন্দ কাজ সম্পর্কে মহানবি (স) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যদি কেউ কারো মন্দকাজ করতে দেখে তাহলে সে যেন নিজের শক্তি দিয়ে তাকে বাধা দেয়। আর যদি সে শক্তি দিয়ে বাধা দিতে অপারগ হয়, তাহলে সে উপদেশের মাধ্যমে তাকে সংশোধন করে। আর সে যদি তাও না পারে তাহলে সে যেন তার প্রতি ঘৃণা করে। আর এটিই দুর্বল ইমানের পরিচয়।”
প্রশ্ন- ৭ \ হযরত ওমর (রা)-এর সততার পরিচয় দাও।
উত্তর : ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা) এর চরিত্রে সততার গুণটি পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান ছিল। তিনি রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ন্যায়বিচার করতেন এবং কোনো প্রকার অন্যায় কাজ হলে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নিতেন। ছোট-বড়, আপন-পর, ধনী-দরিদ্র সকলের জন্য তিনি সমান বিচার করতেন এবং তাঁর বিচারে কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব হতো না।
তিনি রাতের অন্ধকারে ছদ্মবেশে মদিনার অলিতেগলিতে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নিতেন এবং তাদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতেন। মদিনার এক দরিদ্র মহিলার সৎ কন্যার সততায় মুগ্ধ হয়ে হযরত ওমর (রা) তার যোগ্য ও স্নেহের পুত্রকে তার সাথে বিয়ে দেন।
প্রশ্ন- ৮ \ আমরা পিতামাতার খিদমত করব কেন?
উত্তর : যে কারণে আমরা পিতামাতার খেদমত করব তা নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. পৃথিবীতে পিতামাতার চেয়ে আপনজন আমাদের আর কেউ নেই।
২. পিতামাতার ওসিলাতেই আমরা দুনিয়াতে এসেছি।
৩. তাঁদের স্নেহ ও আদরে আমরা লালিতপালিত এবং বড় হয়েছি।
৪. পিতামাতার খেদমত করলে তাঁরা আমাদের ওপর খুশি হবেন।
৫. পিতামাতার খেদমত করলে আমরা দুনিয়ায় ও আখিরাতে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারব।
প্রশ্ন- ৯ \ মহানবি (স) চাকরদের সম্পর্কে কী বলেছেন? [২০১৫]
উত্তর : আমাদের সমাজে যারা অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে তারাই হলো চাকর। মহানবি (স) চাকরদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘যারা কাজ করে তারা তোমাদের ভাই। নিজে যা খাবে তাদের তা খাওয়াবে, নিজে যা পরিধান করবে তাদেরও তা পরতে দেবে। কাজকর্মে তাদের সাহায্য করবে, বেশি কষ্ট দেবেনা। তাদের শ্রমের মর্যাদা দেবে’।
প্রশ্ন- ১০ \ প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমরা কী কী কৌশল অবলম্বন করব।
উত্তর : আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিম্নোক্ত কৌশলগুলো অবলম্বন করব তা হলো :
১. যথাসম্ভব উঁচু জায়গায় বসতভিটা, গোয়ালঘর ও হাঁস-মুরগির ঘর তৈরি করব।
২. ঘরের ভেতরে উঁচু মাচা তৈরি করে তার উপর খাদ্যশস্য ও বীজ ইত্যাদি সংরক্ষণ করব।
৩. পুকুরের পাড় উঁচু করব। টিউবওয়েল ও ল্যাট্রিন যথাসম্ভব উঁচু স্থানে বসাব।
৪. শুকনো খাবার যেমন : চিড়া, মুড়ি, গুড় এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ঘরে মজুত রাখব এবং পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সাঁতার শেখাব।
৫. বন্যার সময়ে যাতায়াতের জন্য নৌকা না থাকলে কলাগাছের ভেলা তৈরি করে নেব।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন- ১ \ আমরা অন্যের প্রতি দয়া দেখাব কেন? অন্যকে সাহায্য করার চারটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য আমরা অন্যের প্রতি দয়া দেখাব। অন্যকে সাহায্য করার চারটি উদাহরণ হলো- ১. অসুস্থ ব্যক্তির সেবাযতœ করা ২. ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করা ৩. বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দান করা ৪. নিরাশ্রয়কে আশ্রয়, দরিদ্র ও ভিক্ষককে সাহায্য করা।
প্রশ্ন- ২ \ তুমি কীভাবে পিতামাতার খেদমত কর পাঁচটি বাক্যে লিখ।
আমি আমার পিতামাতার সেবাযতœ করি। তারা যাতে সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখি। তাদের আদেশ-নিষেধ শুনি এবং মেনে চলি। তাদের সম্মান করি। আমি তাদের মনে সামান্যতম কষ্টও দিই না।
প্রশ্ন- ৩ \ তোমরা ওয়াদা ভঙ্গ করবে না কেন? কীভাবে ওয়াদা ভঙ্গ হয় তার চারটি উপায় লিখ।
উত্তর : ওয়াদা পালন না করলে ধর্ম থাকে না বিধায় আমরা ওয়াদা ভঙ্গ করব না। কীভাবে ওয়াদা ভঙ্গ হয় তার চারটি উপায় হলো :
১. কারও সাথে কথা দিয়ে কথা না রাখা।
২. চুক্তি করলে ভঙ্গ করা।
৩. প্রতিশ্রতি দিলে তা রক্ষা না করা।
৪. আমানতের খিয়ানত করা
প্রশ্ন- ৪ \ তুমি কীভাবে দেশের সেবা করবে তা পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : আমরা দেশকে সেবা করব। এজন্য আমরা-
১. দেশের সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করব, কেউ বিপদে পড়লে সাহায্য করব।
২. গৃহপালিত পশুপাখির যতœ নেব, তাদের কোনো কষ্ট দেবনা।
৩. বৃক্ষরোপণ করব, ফলমূলের গাছ লাগাব, গাছ নষ্ট করবনা, পাতা ছিঁড়বনা, ডাল ভাঙবনা।
৪. বেঞ্চে, দেয়ালে বা অন্য কোথাও আজেবাজে কিছু লিখবনা, সবকিছু পরিচ্ছন্ন রাখব, সংরক্ষণ করব।
৫. পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস অপচয় করবনা, জাতীয় সম্পদ রক্ষা করব।
প্রশ্ন- ৫ \ আমরা ভালো কাজে কীভাবে সাহায্য করব পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : ছোট-বড় যত সদাচার এবং সৎকাজএ সবই ভালো কাজের অন্তর্ভুক্ত। যেমন: গরিব ও দুস্থদের জন্য সেবা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, তাদের স্বাবলম্বনের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, রাস্তাঘাট মেরামত ও তৈরি করা। এসব ভালো কাজে একে অপরের সহযোগিতা করতে হয়। যদি এলাকায় রাস্তাঘাট না থাকে তাহলে যাতায়াত ও চলাফেরার খুব অসুবিধা হয়। তাই সকলে মিলে রাস্তাঘাট, পুল বা সাঁকো তৈরি করব।
প্রশ্ন- ৬ \ আমরা কেন আমাদের দেশকে ভালোবাসব? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : যে কারণে আমরা দেশকে ভালোবাসব তা পাঁচটি বাক্যে উল্লেখ করা হলো :
১. আমরা এদেশের আলো, বাতাস পেয়ে বেঁচে আছি।
২. ‘আমাদের নবি করীম (স) দেশকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন।
৩. দেশ প্রত্যেকের কাছেই পবিত্র।
৪. দেশপ্রেম তথা দেশকে ভালোবাসা প্রত্যেক নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব।
৫. দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ।
প্রশ্ন- ৭ \ কীভাবে আমরা মানবজাতির সেবা ও সাহায্য করতে পারি? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : আমরা যেভাবে মানবজাতির সেবা ও সাহায্য করতে পারি তা নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. অসুস্থ ব্যক্তির সেবাযতœ করে।
২. ক্ষুধার্তকে খাদ্য দিয়ে।
৩. বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দান করে।
৪. নিরাশ্রয়কে আশ্রয় দিয়ে।
৫. বেকার লোকদের কাজের ব্যবস্থা করে।
প্রশ্ন- ৮ \ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার জন্য তুমি কী করবে? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিম্নোক্ত কৌশলগুলো অবলম্বন করব :
১. যথাসম্ভব উঁচু জায়গায় বসতভিটা, গোয়ালঘর ও হাসমুরগির ঘর তৈরি করব।
২. ঘরের ভেতরে উঁচু মাচা তৈরি করে তার ওপর খাদ্যশস্য ও বীজ ইত্যাদি সংরক্ষণ করব।
৩. পুকুরের পাড় উঁচু করব। টিউবওয়েল ও ল্যাট্রিন যথাসম্ভব উঁচু স্থানে বসাব।
৪. শুকনো খাবার যেমন চিড়া, মুড়ি, গুড় এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ঘরে মজুদ রাখব।
৫. পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সাতারকাটা শেখাব।
প্রশ্ন- ৯ \ আমরা পিতামাতার খেদমত করব কেন? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : আমরা পিতামাতার খেদমত করব কেন তা পাঁচটি বাক্যে নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. এই পৃথিবীতে পিতামাতার চেয়ে আপনজন আমাদের আর কেউ নেই।
২. পিতামাতার ওসিলাতেই আমরা দুনিয়াতে এসেছি।
৩. তাঁদের স্নেহ ও আদরে আমরা লালিতপালিত এবং বড় হয়েছি।
৪. তাঁরা ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে আমাদের বড় করে তোলেন।
৫. পিতামাতার খেদমত করলে আল্লাহ খুশি হয়।
প্রশ্ন- ১০ \ মনে কর, তোমার এলাকায় বন্যা হয়েছে বন্যার কবল থেকে গবাদি পশুকে নিরাপদে রাখার জন্য তোমার করণীয় কাজ কী? ৪টি বাক্যে লিখ।
উত্তর : বন্যার কবল থেকে গবাদিপশুকে নিরাপদ রাখার ৪টি করণীয় নিচে দেওয়া হলো :
১. গবাদি পশুর জন্য উঁচু করে তাদের আবাসস্থল নির্মাণ করা।
২. গবাদি পশুর রোগব্যাধি থেকে রক্ষার জন্য তাদের আবাসস্থল পরিষ্কার রাখা।
৩. বিভিন্ন রোগের টিকা ও ওষুধ সেবন করানো।
৪. পূর্ব থেকেই গবাদি পশুর খাদ্য মজুত রাখা।
প্রশ্ন- ১১ \ ‘মানুষ যা চেষ্টা করে তাই পায়’ উক্তিটির আলোকে ইসলামে শ্রমের মর্যাদা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘মানুষ যা চেষ্টা করে তাই পায়’ এটি মহান আল্লাহর বাণী। নিচে উক্তিটির আলোকে ইসলামে শ্রমের মর্যাদা ব্যাখ্যা করা হলো :
আমরা প্রতিদিন বিভিন্নভাবে শ্রম দিয়ে থাকি। পরিশ্রম ছাড়া কোনো কাজ সম্পাদন সম্ভব নয়। পরিশ্রম দ্বারাই মানুষ সাফল্যের দ্বারাপ্রান্তে পৌঁছে যায়। চেষ্টা ও শ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ শ্রমিকরা শ্রমের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করে। শ্রমিকের কাজ শেষ হলে তার পারিশ্রমিক সাথে সাথে দিয়ে দিলে শ্রমের মর্যাদা দেওয়া হবে। এটাই ইসলামের শিক্ষা। আমাদের প্রিয় নবি (স) বলেছেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর পূর্বেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।”
প্রশ্ন- ১২ \ সন্তানের বেহেশত কোথায়? আমরা মাতাপিতার খেদমত করব কেন? ৪টি বাক্যে লিখ।
উত্তর : মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত। এ পৃথিবীতে পিতামাতা ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে আমাদের বড় করেন। আমাদের অসুখ-বিসুখে সেবাযতœ করেন। আমাদের মঙ্গলের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। তাই আমরা সবসময় পিতামাতার খেদমত করব।
প্রশ্ন- ১৩ \ মুক্তাদের বাড়িতে রহিমা নামের একটি মেয়ে কাজ করে। তার প্রতি মুক্তার ৫টি সুন্দর ব্যবহার লিখ।
উত্তর : মুক্তাদের বাড়িতে রহিমা নামের একটি মেয়ে কাজ করে। তার প্রতি মুক্তার ৫টি সুন্দর ব্যবহার হলো :
১. মুক্তার কাজকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতে হবে।
২. তাকে স্নেহ ও আদর করতে হবে।
৩. নিজে যা খাবে, তাকে তা খাওয়াবে।
৪. একই ধরনের ও মানের পোশাক তাকে পরতে দিবে।
৫. তার কাজকর্মে সম্ভব হলে সাহায্য করবে।
প্রশ্ন- ১৪ \ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতিজনিত পাঁচটি বিষয় উল্লেখ কর।
উত্তর : প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত পাঁচটি বাক্য উল্লেখ করা হলো :
র. গাছপালা, মৎস্যখামার ও শস্যক্ষেতের ক্ষতি হয়।
রর. জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়।
ররর. কৃষিজমির ক্ষতি হয়, জমির উর্বরা শক্তি ও কৃষি উৎপাদন কমে যায়।
রা. অনেক প্রাণহানি ঘটে এবং অনেক সম্পদের ক্ষতি হয়।
া. বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়।
আরো পড়তে পারেনঃ
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ১ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ২ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৩ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৫ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
সাধারণ
প্রশ্ন- ১৫ \ আমাদের চরিত্র সুন্দর ও আচরণ ভালো করতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর : আমাদের চরিত্র সুন্দর ও আচরণ ভালো করতে হলে আল্লাহর ইবাদত করব, পিতামাতার কথা শুনব। শিক্ষককে সম্মান করব, সত্য কথা বলব, সৃষ্টির সেবা করব, জাতীয় সম্পদ রক্ষা করব। মানবাধিকার ও বিশ্বভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলব, মন্দ আচরণ থেকে দূরে থাকব, মিথ্যা কথা বলবনা, ঝগড়া-বিবাদ করবনা। কারো সাথে হিংসা করব না, চুরি-ডাকাতি করবনা। ধূমপান করবনা, দেশের ও জনগণের ক্ষতি করবনা। আল্লাহর ইবাদত ভুলবনা, কটু কথা বলব না।
প্রশ্ন- ১৬ \ কেন এবং কীভাবে সৃষ্টির সেবা করা যায়? বর্ণনা কর।
উত্তর : সৃষ্টির সেবা করার কারণ : আল্লাহ তায়ালা মানুষ, জীবজন্তু, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-তারা, নদীনালা, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন। এসব কিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। তাই আমাদের এসব সৃষ্টির প্রতি যতœ নিতে হবে, সহানুভূতি দেখাতে হবে।
আমরা নিরূপে সৃষ্টির সেবা করতে পারি :
১. স্রষ্টার সেরা সৃষ্টি মানুষ, তাদেরকে সম্মান করব।
২. অসুস্থ মানুষের সেবাযতœ করব, ৩. ক্ষুধার্থকে খাদ্য দান ও সাহায্য করব, ৪. আশ্রয়হীনকে আশ্রয় দান করব, ৫. বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দেব।
৬. বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশীর বিপদে সাহায্য করব, সর্বদা খোঁজখবর নেব।
৭. সকল প্রকার জীবজন্তু, কীটপতঙ্গের সেবাযতœ করব।
৮. গৃহপালিত পশু-পাখিকে নিয়মিত পরিচর্যা করব, গাছপালার যতœ নিব, গাছপালা ধ্বংস করবনা।
৯. নদীনালা, খালবিল, জলাশয় যাতে দূষিত না হয়, এজন্য ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করব।
প্রশ্ন- ১৭ \ মহানবি (স) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর : মহানবি (স) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে বলেছেন “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই লোক যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।”
প্রশ্ন- ১৮ \ হিজরতের সময় মহানবি (স) এর মনের আকুতি কী ছিল?
উত্তর : হিজরতের সময় মহানবি (স) তাঁর জন্মভূমি মক্কানগরী ছেড়ে যেতে অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছিলেন, খুব ব্যথিত হয়েছিলেন। তিনি মক্কা ছেড়ে যাওয়ার সময় অশ্রæভেজা চোখে বারবার মক্কার দিকে তাকাচ্ছিলেন। আর কাতরকণ্ঠে বলছিলেন :
“হে মক্কানগরী, তুমি কত সুন্দর!
তুমি আমার জন্মভূমি, আমি তোমাকে ভালোবাসি।
তুমি আমার কাছে কতই না প্রিয়!
হায়! আমার স্বজাতি যদি ষড়যন্ত্র না করত,
এদেশ থেকে আমাকে তাড়িয়ে না দিত
আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যেতাম না”।
প্রশ্ন- ১৯ \ মানব চরিত্রের ভালো গুণগুলো লেখ।
উত্তর : মানব চরিত্রের ভালো গুণগুলো হচ্ছে-
সত্যবাদিতা, সৃষ্টির সেবা, দেশপ্রেম, ক্ষমা, ভালো কাজে সহযোগিতা করা এবং মন্দ কাজে বাধা দেওয়া, সততা, পিতা-মাতার খেদমত, শ্রমের মর্যাদা প্রদান, মানবাধিকার রক্ষা, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।
প্রশ্ন- ২০ \ সৃষ্টির সেবা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : মহান আল্লাহ তায়ালা এ পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির সাথে সাথে আরো অনেক প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। তিনি এ পৃথিবীতে অনেক কিছু সৃষ্টি করেছেন। সকল সৃষ্টির প্রতি সেবাপ্রদান করাই হলো সৃষ্টির সেবা। আল্লাহর সকল সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি দেখানো, তাদের কল্যাণে এগিয়ে আসা এবং দয়া প্রদর্শন করাই হলো সৃষ্টির সেবা।
PDF Download
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।