আজ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষা সিলেবাস ও যোগ্যতা সম্পর্কিত সকল তথ্য জানবো।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি না পড়লে সিলেভাস সম্পর্কে জানতে পারবেন না।
তাই অনুগ্রহ করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
DUET – Dhaka University of Engineering & Technology
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হতে প্রায় ৪০ কি.মি. উত্তরে গাজীপুর জেলার ভাওয়ালের গড় এলাকায় অবস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টি সংক্ষপে ডুয়েট নামেও পরিচিত। ডুয়েট বাংলাদেশের অন্যতম সেরা একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন বিভাগে বি.এসসি. ইঞ্জিনিয়ারিং ও ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার (বিআর্ক) প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় – ডুয়েট ভর্তি হওয়ার জন্য হাজারও চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
এই পোস্টের মাধ্যমে উক্ত ভর্তি বিষয়ের আলোকে ডুয়েটে ভর্তির সকল তথ্যসমূহ জানবো।
ডুয়েট – ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষা সিলেবাস ও যোগ্যতাঃ
ডুয়েটে ভর্তি হওয়া মানে স্বপ্ন পূরণে একধাপ এগিয়ে যাওয়া বলে মনে করে শিক্ষার্থীরা। তাই ডুয়েটে ভর্তি হতে হলে অবশ্যই প্রস্তুতিটা থাকতে হবে অনেক বেশি। ভালো প্রস্তুতি ছাড়া এ যুদ্ধ জয় করা মোটেও সম্ভব নয়।
অনেকেই মনে করেন, ডুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা মানেই কঠিন সব প্রশ্ন। ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও সে রকম নয়!
ভর্তি পরীক্ষায় বেশিরভাগ প্রশ্নই আসে মূল বই থেকে। হয়তো একটু এদিক- ওদিক করে।
যারা ভালো করে মূল বই পড়ে, তাদের সুযোগ বেড়ে যায়।
- আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স শেষ সাজেশন সমূহ।
- আরও পড়ুনঃ স্কলারশিপ নিয়ে কিভাবে বিদেশে ফ্রিতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারি।
কিন্তু যারা মূল বইয়ের খুঁটিনাটি না জেনে বাঁধাধরা মুখস্থবিদ্যার ওপর ভরসা রাখে, তাদের জন্য ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষা অনেকটা এভারেস্ট টপকানোর মতোই কঠিন!
কারণ এখানে একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক জ্ঞান যাচাই করা হয়। যাচাই করা হয় কারিগরি সম্পর্কে সঠিক ধারণা আছে কিনা।
ডুয়েট ভর্তি যোগ্যতাঃ ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষা সিলেবাস ও যোগ্যতা
ডুয়েটে ভর্তির জন্য আবেদন যোগ্যতা যে কথা, ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ও একি কথা। অনেকেই আবেদন যোগ্যতা ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা হিসেবে সম্বোধন করে থাকেন।
তবে চলুন, ডুয়েটে ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আবেদন যোগ্যতা কি থাকতে হবে জেনে নেই।
১) ডুয়েটে আবেদনের প্রথম শর্ত হচ্ছে, যে শিক্ষার্থী আবেদন করবেন তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২) শিক্ষার্থীকে যে কোন শিক্ষা বোর্ড হতে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০০ (ঐচ্ছিক বিষয়সহ) পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩) ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং/এগ্রিকালচার/আর্কিটেকচার পরীক্ষায় ২০১৯ এবং পরবর্তী কোন বছরে উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
তবে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, সেক্টর কর্পোরেশন-এ শিক্ষাকতাসহ অন্যান্য পদধারী কোন প্রার্থীর ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
৪) যেসব প্রার্থী চাকুরীরত অবস্থায় আছেন তাদেরকে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
এগুলো ছাড়াও কিছু মেজর যোগ্যতা থাকতে হবে আর তা নিচে দেওয়া হলোঃ
ডুয়েট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করতে শিক্ষার্থীকে নূন্যতম যোগ্যতা থাকতে হবে।
ডুয়েট নির্দিষ্ট শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন করতে শিক্ষার্থীকে যেসকল নূন্যতম যোগ্যতা থাকতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
- প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর অথবা ঐচ্ছিক বিষয় সহ ন্যূনতম ৩.০০ জিপিএ প্রাপ্ত হতে হবে।
- প্রার্থীকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং/আর্কিটেকচার/এগ্রিকালচার গড়ে ৬০ শতাংশ নম্বর অথবা ৪ এর স্কেলে সিজিপিএ ৩.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
- ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং/আর্কিটেকচার/এগ্রিকালচার পরীক্ষায় ২০২০ বা তার পরবর্তী সনে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারবে।
- আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স শেষ সাজেশন সমূহ।
- আরও পড়ুনঃ স্কলারশিপ নিয়ে কিভাবে বিদেশে ফ্রিতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারি।
তবে সরকারি আধাসরকারি স্বায়ত্তশাসিত সেক্টর কর্পোরেশনের শিক্ষকসহ অন্যান্য পদে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
নির্দিষ্ট শিক্ষাবর্ষে নির্ধারিত সিলেবাস এর উপর ভিত্তি করে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় সর্বমোট ৩০০ নম্বরের প্রশ্ন করা হবে। সকল বিষয় ২০% থেকে ২৫% প্রশ্ন বহুনির্বাচনি থাকবে। রসায়ন পদার্থ বিজ্ঞান গণিত বিষয়ের ওপর ৪০ টি করে এবং ইংরেজি বিষয়ে ৩০ টি প্রশ্ন করা হবে।
ডিপার্টমেন্টাল সাবজেক্টের উপর ১৫০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নিচে বর্ণিত টেবিলটি মনোযোগ সহকারে দেখুন।
নিম্নলিখিত মানবন্টন অনুযায়ী ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর সর্বনিম্ন ৪০%। তবে প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্রে আলাদাভাবে ৩৫% এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে গণ্য করা হবে। মেধা তালিকায় শুধু মাত্র কৃতকার্য শিক্ষার্থীরাই থাকবেন।
ডুয়েটে ভর্তির নিয়মঃ ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষা সিলেবাস ও যোগ্যতা
১) ভর্তি জন্য বাছাই কৃত শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের মূল মার্কশীট ও অন্যায় মূল সার্টিফিকেট বা সনদপত্রের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য নির্ধারিত তারিখে সংশ্লিষ্ট কমিটির নিকট উক্ত কাজগপত্রাদি দাখিল করতে হবে।
২) কাগজ পত্রের সত্যতা যাচাইয়ের পর প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
৩) স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উপযুক্ত প্রামণ হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ফি জমা দিয়ে ভর্তি কমিটির অনুমোদন নিয়ে ভর্তি হতে হবে।
৪) চাকুরীরত প্রার্থীদেরকে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির পূর্বেই তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট হতে ছুটির আদেশ অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
ভর্তির জন্য নিচে উল্লেখিত কাগজপত্রের মূলকপি এবং ফটোকপি সত্যায়িত এক কপি সঙ্গে আনতে হবে।
১) আবেদনের সময় আপলোডকৃত ছবির পাসপোর্ট সাইজের ০২ কপি সত্যায়িত ছবি
২) মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট
- আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স শেষ সাজেশন সমূহ।
- আরও পড়ুনঃ স্কলারশিপ নিয়ে কিভাবে বিদেশে ফ্রিতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারি।
৩) মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বরপত্র বা গ্রেড শীট
৪) ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং বা আর্কিটেকচার বা এগ্রিকালচারপার্ট-২ / ৬ষ্ঠ / ৮ম পর্ব পরীক্ষার নম্বরপত্র বা গ্রেড শীট
৫) ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং/এগ্রিকালচার/আর্কিটেকচার পরীক্ষার সার্টিফিকেট
৬) সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হতে প্রাপ্ত প্রশংসাপত্র
৭) চাকুরীরত প্রার্থীর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের একটি অনুমতিপত্র।
বিশেষ কিছু কথাঃ ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষা সিলেবাস ও যোগ্যতা
১) ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা করলে প্রার্থী অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
২) চাকুরীরত অবস্থায় সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তার অনুমতি ব্যতিত কোন প্রার্থী ডুয়েটে অধ্যায়ন করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবন তার ভর্তি বাতিল করা হবে।
৩) ডুয়েত অধ্যয়নরত অবস্থায় কোন শিক্ষার্থী কোন ধরণের কোন চাকরীতে যোগদান করতে পারবেন না।
৪) ভর্তি সংক্রান্ত যে কোন ব্যাপারে ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষার জন্য সিলেবাসঃ ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষা সিলেবাস ও যোগ্যতা
ডুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সিলেবাস নিচে দেওয়া হলো। সিলেবাস pdf আকারেও ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সে জন্য ডাউনলোড বাটন ও নিচে যুক্ত করে দেওয়া হলো।
ডুয়েটে ভর্তি হওয়ার জন্য যেসব সিলেবাস আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন তা পিডিএফ আঁকারে আপনি এখানে পেয়ে যাবেন।
- আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স শেষ সাজেশন সমূহ।
- আরও পড়ুনঃ স্কলারশিপ নিয়ে কিভাবে বিদেশে ফ্রিতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারি।
পিডিএফ সিলেবাস ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুনঃ DOWNLOAD PDF
আশাকরি ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষা সিলেভাস ও যোগ্যতা সম্পর্কে আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত বুঝাতে পেরেছি এবং আপনারা এই আর্টিকেল হতে বিভিন্ন জিনিস শিখতে পারবেন। তাহলে আজকে এই পর্যন্তই, সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ!
উক্ত বিষয় সর্ম্পকে যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।