আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানব ডুয়েট আর বুয়েট এর মধ্যে পার্থক্য এবং আজকে আমরা জানব ডুয়েট এবং বুয়েট এর নানা ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারব।
আসলে অনেকেই বলে ডুয়েট ভালো নাকি বুয়েট ভালো? ডুয়েটের বেশি পপুলারিটি নাকি বুয়েটের।
BUET=Bangladesh University of Engineering and Technology
DUET=Dhaka University of Engineering & Technology
বুয়েট জেনালেল লাইনের student দের জন্য আর ডুয়েট পলিটেকনিক্যাল student দের জন্য।
বুয়েট বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
ডুয়েট বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
যারা এইচএসসির পর বিসএসসি করে তাদের জন্য হলো বুয়েট।
আর যারা পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা করে তাদের বিএসসির জন্য হলো ডুয়েট।
এদের নিজস্ব ভুমিকাঃ ডুয়েট আর বুয়েট এর মধ্যে পার্থক্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ( বুয়েট) হচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল-সম্পর্কিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এটি ঢাকা শহরের পলাশী এলাকায় অবস্থিত।
প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী এখানে প্রকৌশল, স্থাপত্য, পরিকল্পনা ও বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করেন এখানে।
DUET-Dhaka University of Engineering and Technology ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর অবস্থিত।
ডুয়েট বাংলাদেশের একটি প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান্ ।
ডুয়েট আর বুয়েট এর মধ্যে পার্থক্য (কোনটা ভালো)
- আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স শেষ সাজেশন সমূহ।
- আরও পড়ুনঃ স্কলারশিপ নিয়ে কিভাবে বিদেশে ফ্রিতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারি।
১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়।
দেশে ক্রমবর্ধমান আধুনিক প্রকৌশল বিদ্যার প্রয়োজনিয়তা বিবেচনা করে এই বিশ্ববিদ্যালয় পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ কৌশলে চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী প্রদান করে আসছে।
ডুয়েট এবং বুয়েট এর ইতিহাস।
ডুয়েট ইতিহাসঃ ১৯৮০ সালে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
সেসময় এখান থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করা যেতো।
১৯৮৩ সালে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর নাম পরিবর্তন করে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (ডিইসি) নামে গাজীপুরের বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে সম্মুখীন হওয়া বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় ১৯৮৬ সালে সরকারের অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে ডিইসিকে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (বিআইটি) ঢাকাতে রুপান্তরিত করা হয়।
সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।
বুয়েট ইতিহাসঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বাংলার শিল্পায়নের জন্য তৎকালীন সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
তখন এতদঞ্চলে দক্ষ জনশক্তির অভাব দেখা দেয়।
ডুয়েট আর বুয়েট এর মধ্যে পার্থক্য (কোনটা ভালো)
- আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স শেষ সাজেশন সমূহ।
- আরও পড়ুনঃ স্কলারশিপ নিয়ে কিভাবে বিদেশে ফ্রিতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারি।
তৎকালীন সরকার নিযুক্ত একটি কমিটি যন্ত্র, তড়িৎ, কেমি ও কৃষি প্রকৌশলে ৪ বছর মেয়াদী ডিগ্রি কোর্সে ১২০ জন ছাত্রের জন্য ঢাকায় একটি প্রকৌশল কলেজ স্থাপন করা হয়।
এবং স্কুলটিকে তৎকালীন পলাশী ব্যারাকে স্থানান্তর করে পুর, যন্ত্র, ও তড়িৎ কৌশলে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সে ৪৮০ জন ছাত্র ভর্তির সুপারিশ করেন।
১৯৪৭ সালের মে মাসে সরকার ঢাকায় একটি প্রকৌশল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন ।
ছাত্র ভর্তির জন্য বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের শিবপুরস্থ বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ঢাকায় আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে পরীক্ষা নেয়া হয়।
ডুয়েট এবং বুয়েটের মান কি সমানঃ ডুয়েট আর বুয়েট এর মধ্যে পার্থক্য
জি! বুয়েট জেনারেল লাইনের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য।
আর ডুয়েট পলেটেকনিক লাইনের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। দুটোর মান-ই সমান। দুই জায়গা থেকে বের হলেই প্রকৌশলী হওয়া যায়।
বু্য়েট এবং ডুয়েট দুটোতেই বিএসসি,এমএসসি ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
দুটোর সার্টিফিকেটের মান একই কিন্তু মূল্যায়নের ক্ষেত্রে দুটোর মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।যেকোন ক্ষেত্রে ডুয়েট থেকে বুয়েট কে কিছুটা বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়।
- আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স শেষ সাজেশন সমূহ।
- আরও পড়ুনঃ স্কলারশিপ নিয়ে কিভাবে বিদেশে ফ্রিতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারি।
বু্য়েট এবং ডুয়েট দুটোতেই বিএসসি,এমএসসি ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
দুটোর সার্টিফিকেটের মান একই কিন্তু মূল্যায়নের ক্ষেত্রে দুটোর মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।
যেকোন ক্ষেত্রে ডুয়েট থেকে বুয়েট কে কিছুটা বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়।
ডুয়েট এবং বুয়েট নির্মিত খরচ।
প্রথমেই দেখব ডুয়েটের নির্মিত খরচ।
প্রকল্প শুরু করতে দেরি হওয়াসহ নানা কারণে খরচ ও মেয়াদ বাড়ছে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) উন্নয়ন প্রকল্পে। এটির মূল খরচ ছিল ২৭৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সেখান থেকে ২৮৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা বৃদ্ধি করে এখন ৫৬১ কোটি ৮০ লাখ টাকা করা হচ্ছে।
এছাড়া প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল।
কিন্তু এখন দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্ব পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স শেষ সাজেশন সমূহ।
- আরও পড়ুনঃ স্কলারশিপ নিয়ে কিভাবে বিদেশে ফ্রিতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারি।
এজন্য ‘ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
এটি বাস্তবায়ন করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এবার দেখব বুয়েটের নির্মান খরচ।
বুয়েট অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে নির্মিত হয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রায় আগে থেকেই বুয়েট নির্মিত আছে। আর এর ফলেই বুয়েট নির্মানে সঠিক খরচ আমরা জানতে পারিনি।
আমরা সঠিক তথ্য ছাড়া আপনাদের কাছে কোন তথ্য পৌঁছাই না, আর তাই সঠিক তথ্য না পাওয়ায় আপনাদেরকে কোন তথ্য দিতে পারিনি। এই জন্য দুঃখিত।
বুয়েট এবং ডুয়েট ক্যাম্পাসঃ ডুয়েট আর বুয়েট এর মধ্যে পার্থক্য
বুয়েট ক্যাম্পাসঃ বুয়েট ক্যাম্পাস ঢাকার পলাশী এলাকায় অবস্থিত। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে একই নওয়াবের প্রদানকৃত জমির উপরে গড়ে উঠেছে বিধায় পাশাপাশি অবস্থিত।
ক্যাম্পাসের পশ্চিম দিকে ইইই, সিএসই এবং বিএমই বিভাগের জন্য ১২ তলা ইসিই ভবন নির্মিত হয়েছে। তবে ক্যাম্পাসের মূল অংশে যন্ত্রকৌশল, পুরাকৌশল, আর্কিটেকচার ভবনসহ ড, রশিদ একাডেমিক ভবন উপস্থিত।
শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো একাডেমিক ভবন থেকে হাঁটার দূরত্বে অবস্থিত। বর্তমানে ক্যাম্পাসের আয়তন হল ৭৬.৮৫ একর (৩১১,০০০ ব.মি.)।
- আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স শেষ সাজেশন সমূহ।
- আরও পড়ুনঃ স্কলারশিপ নিয়ে কিভাবে বিদেশে ফ্রিতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারি।
ডুয়েট ক্যাম্পাসঃ রাজধানী ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং গাজীপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে ভাওয়াল গড় এলাকায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০.২৯ একর জমির উপর অবস্থিত।
বাস্তব কথা হচ্ছে এগুলো শুধুই মানুষের মুখের কথা! বুয়েট এবং ডুয়েট দুইটাই তাদের নিজস্ব জায়গায় বাংলাদেশের শির্ষে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেস্ট ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করে এই দুই জায়গাতে।
বুয়েট এবং ডুয়েট সম্পর্কে আপনাদের আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।