SSC – জীবনের জন্য পানি: বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর (PDF) ১-৪ – সাধারণ বিজ্ঞান হতে যেকোনো ধরনেরসৃজনশীল প্রশ্ন-গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয়া ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেন আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য সাধারণ বিজ্ঞান হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন সমুহ আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
SSC – জীবনের জন্য পানি: বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর (PDF) ১-৪
প্রশ্ন -১ 🢖 নিচের চিত্রটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. পানিতে দ্রবীভ‚ত কোন গ্যাসের সাথে গ্লুকোজ বিক্রিয়া করে?
খ. পানির পুনঃআবর্তন বলতে কী বোঝায়?
গ. নদীটি কোন ধরনের নদীতে পরিণত হতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর নদীটিকে জলজ প্রাণী বসবাসের উপযোগী করা সম্ভব? যুক্তিসহ মতামত দাও।
🢖🢔 ১নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন গ্যাসের সাথে গ্লুকোজ বিক্রিয়া করে।
খ. সূর্যের তাপে ভ‚পৃষ্ঠের পানির উৎস- সমুদ্র, নদনদী, খাল-বিল, পুকুর, হ্রদ এর পানি বাষ্পীভ‚ত হয়ে বায়ুমণ্ডলে চলে আসে। এরপর ঘনীভ‚ত হয়ে প্রথমে মেঘ ও পরে তা বৃষ্টি আকারে ভ‚পৃষ্ঠে ফিরে আসে।
এই বৃষ্টির পানির বড় অংশ আবার নদনদী, সমুদ্র, খাল ও বিলে গিয়ে পড়ে এবং আবার বাষ্পীভ‚ত ও ঘনীভ‚ত হয়ে বৃষ্টির আকারে ভ‚পৃষ্ঠে ফিরে আসে। প্রাকৃতিকভাবে সংগঠিত এ চক্রটিকে পানির পুনঃআবর্তন বলে।
গ. নদীটি মরা নদীতে পরিণত হতে পারে।
নদীটি দখল করে নানারকম শিল্প কারখানা এমনকি আবাসিক এলাকা পর্যন্ত গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে নদীর গতিপথ সরু হয়ে গেছে এবং পানি ধারণক্ষমতা অনেকটাই কমে আসছে।
শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্যপানি নদীর পানিকে দূষিত করে তুলছে। ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ল , স্টিমার বা জাহাজ থেকে ফেলা মলমূত্র ও তেল জাতীয় পদার্থের মাধ্যমে নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়ছে।
এই বর্জ্য পানিতে রোগজীবাণু থেকে শুরু করে নানারকম রাসায়নিক বস্তু মিশ্রিত অবস্থায় আছে। এর ফলে পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে আসছে। এক্ষেত্রে পানিতে বসবাসকারী মাছসহ সকল প্রাণী অক্সিজেন স্বল্পতায় ভুগছে।
এ অবস্থায় বেশি দিন চলতে থাকলে একপর্যায়ে এ নদী প্রাণিশূন্য হয়ে পড়বে। তখন নদীটি মরা নদীতে পরিণত হবে।
ঘ. আমি মনে করি নদীটির জলজ প্রাণী বসবাসের উপযোগী করা সম্ভব।
শিল্পকারখানার সৃষ্ট বর্জ্যপানি বিশেষ করে নদীর পানি দূষণের অন্যতম কারণ। এই প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, সৃষ্ট বর্জ্যপানি পরিশোধন করে তারপর নদীতে ফেলা। এ পরিশোধন কাজের জন্য দরকার বর্জ্য পরিশোধন অথবা (ঊভভষঁবহঃ ঞৎবধঃসবহঃ চষধহঃ বা ঊঞচ) ইটিপি।
ইটিপি কীভাবে তৈরি করা হবে তা নির্ভর করে কী ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ বর্জ্য পানিতে বিদ্যমান তার ওপর। যেহেতু একেক ধরনের বর্জ্যপানি একেক শিল্পকারখানা থেকে বের হয় তাই একটি সাধারণ ইটিপি দিয়ে সব কারখানার বর্জ্যপানি পরিশোধন করা সম্ভব নয়।
তবে একই ধরনের শিল্প কারখানা দিয়ে একটি শিল্পা ল গড়ে তুলে সব কারখানার বর্জ্য পানি একত্রিত করে একটি ঊঞচ তে পরিশোধন করা যেতে পারে।
উদ্দীপকের চিত্রের কলকারখানার বর্জ্য পরিশোধনের জন্য একটি ঊঞচ স্থাপন করে, তাতে বর্জ্যসমূহ পরিশোধন করে নদীতে ফেলা হলে নদীর পানির ঢ়ঐ পরিবর্তন এবং জলজ পরিবেশ নষ্ট হবে না।
তাছাড়া নদীতে চলাচলকারী জলযান হতে তেল ও বর্জ্য নদীতে নিক্ষেপ করার ওপর আইন প্রণয়ন এবং জনমত গড়ে তোলা গেলে চিত্রের নদীটি জলজ প্রাণীর বসবাসের উপযোগী করা সম্ভব।
সুতরাং আমি মনে করি, জলজ পরিবেশ রক্ষার জন্য জনমত গড়ে তোলা এবং পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে নদীটিতে জলজ প্রাণী বসবাসের উপযোগী করা সম্ভব।
প্রশ্ন -২ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জমিলা খাতুন বাড়ির পাশের পুকুরের ঘোলা পানিকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় রান্নার উপযোগী করেন। অপরদিকে রতন সাহেব তার পানি বোতলজাতকরণ কারখানায় ও ঔষধ তৈরির কারখানায় পানিকে জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করেন।
ক. পানির স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে?
খ. জলজ উদ্ভিদ পানির স্রোতে ভেঙে যায় না কেন?
গ. জমিলা খাতুন পুকুরের পানিকে কীভাবে রান্নার উপযোগী করেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রতন সাহেব তার দুই কারখানার কাজে ব্যবহার করা পানি কি একইভাবে জীবাণুমুক্ত করেন? যুক্তিসহ মতামত দাও।
🢖🢔 ২নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. বায়ুমণ্ডলীয় চাপে পানি যে তাপমাত্রায় বাষ্পে পরিণত হয়, তাকে পানির স্ফুটনাঙ্ক বলে।
খ. জলজ উদ্ভিদের কাণ্ড ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুব নরম হয় যা পানির স্রোত ও জলজ প্রাণীর চলাচলের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। তাই এটি এক ধরনের অভিযোজন। পানির স্রোত এগুলোতে প্রভাব ফেলতে পারে না। এজন্যই জলজ উদ্ভিদ পানির স্রোতে ভেঙে যায় না।
গ. জমিলা খাতুন পুকুরের পানিকে রান্নার উপযোগী করতে পরিস্রাবণ পদ্ধতিকে কাজে লাগান। কারণ পুকুরের পানি ঘোলা ছিল।
পরিস্রাবণ হলো তরল ও কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে আলাদা করার একটি প্রক্রিয়া। পানিতে অদ্রবণীয় ধুলাবালির কণা থেকে শুরু করে নানারকম ময়লা আবর্জনার কণা মিশে থাকে।
এজন্য পুকুর বা নদনদীর পানি অনেকসময় ঘোলা দেখায়। পরিস্রাবণের মাধ্যমে এদের পানি থেকে দূর করা যায়। এক্ষেত্রে বালি ও পাথরের স্তরের মধ্য দিয়ে পানিকে প্রবাহিত করা হয়।
এতে করে পানিতে অদ্রবণীয় ময়লার কণাগুলো বালির স্তরে আটকে যায়। বালির স্তর ছাড়াও খুব সূ²ভাবে তৈরি কাপড় ব্যবহার করে পরিস্রাবণ করা যায়। এ পদ্ধতিতে অদ্রবণীয় সূ² ভাসমান পদার্থও পৃথক হয়। জমিলা খাতুন পুকুরের পানিকে এভাবেই রান্নার উপযোগী করে থাকেন।
ঘ. রতন সাহেব তার দুই কারখানার কাজে ব্যবহার করা পানি একইভাবে জীবাণুমুক্ত করেন না।
পানি বোতলজাতকরণ কারখানায় তিনি ক্লোরিনেশন পদ্ধতির সাহায্যে পানিকে জীবাণুমুক্ত করেন। এজন্য নানারকম জীবাণুনাশক পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ক্লোরিন গ্যাস (ঈষ২)।
এছাড়া সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড (ঘধঙঈষ) এবং আরও কিছু পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে এবং যা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে তা ব্যবহার করা হয়। তবে রতন সাহেব বোতলজাত পানির কারখানায় ওজোন (ঙ৩) গ্যাস দিয়ে অথবা অতিবেগুনি রশ্মি দিয়েও পানিতে থাকা রোগজীবাণু ধ্বংস করে পানিকে রোগজীবাণুমুক্ত করেন।
ওষুধ তৈরির জন্য ও পরীক্ষাগারে রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইত্যাদি কাজে পুরোপুরি বিশুদ্ধ পানির দরকার হয়। তখন পাতন প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ করা হয়।
এই প্রক্রিয়ায় একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাপ দিয়ে বাষ্পে পরিণত করা হয়। পরে ঐ বাষ্পকে আবার ঘনীভ‚ত করে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধকৃত পানিতে অন্য পদার্থ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
এজন্য রতন সাহেব পাতন পদ্ধতিতে ওষুধ কারখানার পানি বিশুদ্ধ করেন।
প্রশ্ন -৩ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
চিত্র : অ চিত্র : ই
ক. গলনাংক কাকে বলে? ১
খ. ক্লোরিনেশন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. চিত্রে অ উদ্ভিদটির টিকে থাকার জন্য পানি আবশ্যকÑ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বর্তমানে নদ-নদীতে ই চিত্রের প্রাণীটির কমে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪
🢖🢔 ৩নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. কোনো কঠিন পদার্থ যে তাপমাত্রায় গলে যায় বা তরলে পরিণত হয় তাকে ঐ পদার্থের গলনাংক বলে।
খ. নানা রকমের জীবাণু নাশক পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ক্লোরিন (ঈষ২) গ্যাস। এছাড়া বিøচিং পাউডার ও সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইড এবং অন্যান্য পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে ব্যবহার করে পানিকে বিশুদ্ধকরণ করা হয়। ক্লোরিন দিয়ে যেহেতু পানিকে বিশুদ্ধ করা হয় যেহেতু পানির এই বিশুদ্ধকরণ পদ্ধতিকে ক্লোরিনেশন বলা হয়।
গ. চিত্রের অ উদ্ভিদটি একটি জলজ উদ্ভিদ।
জলজ উদ্ভিদসমূহ পানিতে বাস করে। জলজ উদ্ভিদসমূহ মূল ও সারা দেহের মাধ্যমে পানিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান বিশেষ করে খনিজ লবণ সংগ্রহ করে থাকে।
তাই এদের সমগ্র দেহ পানির সংস্পর্শে না এলে এদের বেড়ে ওঠার ব্যাঘাত ঘটত। আরেকটি লক্ষণীয় ব্যাপার হলো জলজ উদ্ভিদের কাণ্ড ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুব নরম হয় যা পানিতে স্রোত ও জলজ প্রাণির চলাচলের সঙ্গে মানানসই।
তাছাড়া জলজ উদ্ভিদসমূহ সাধারণত অঙ্গজ উপায়ে বংশবিস্তার করে থাকে। পানি না থাকলে এরা বাঁচতে পারবে না। এরা পানিতে দ্রবীভ‚ত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরী করে। পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন গ্রহণ করে শ্বসন কার্য সম্পন্ন করি। জলজ উদ্ভিদগুলো শুধুমাত্র পানিতে জন্মায় ও বংশবৃদ্ধির জন্য অভিযোজিত হয়েছে।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে চিত্রের অ উদ্ভিদটির টিকে থাকার জন্য পানি একান্ত আবশ্যক।
ঘ. ই চিত্রের প্রাণীটি হলো মাছ যা বর্তমানে নদ-নদীতে কমে যাওয়ার কারণ হলো পানি দূষণ এবং অক্সিজেনের অভাব।
হাজারো জলজ প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত জলজ প্রাণী হলো মাছ। অক্সিজেন ছাড়া মাছ বাঁচতে পারে না। মাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে ফুলকার মাধ্যমে। আর ফুলকা এমনভাবে তৈরি যে, এটি শুধু পানি থেকেই অক্সিজেন নিতে পারে, বাতাস থেকে নয়। তাই পানিতে অক্সিজেন না থাকলে মাছ বাঁচতে পারে না। পানিতে অক্সিজেন কমে যাওয়ার কারণগুলো নিচে বিশ্লেষণ করা হলো।
🔾 কিছু কিছু রাসায়নিক পদার্থ আছে, যেমনÑ গোবর, গাছপালার ধ্বংসাবশেষ, খাদ্যদ্রব্য বিশেষ করে চিনি, গøুকোজ ইত্যাদি পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। ফলে পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন কমে যায়। আর যদি ঐ সকল পদার্থ খুব বেশি থাকে তাহলে পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্যে নেমে আসতে পারে।
🔾 পানিতে ফসফেট ও নাইট্রোজেন খুব বেড়ে গেলে তা প্রচুর শ্যাওলা জন্মাতে সাহায্য করে। এই শ্যাওলাগুলো যখন মরে যায় তখন পানিতে থাকা দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এর ফলে পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয় এবং তার ফলে মাছসহ সকল প্রাণী মরে যায়।
🔾 পানির তাপমাত্রা এবং লবণাক্ততা বাড়লে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন কমে। অর্থাৎ বৈশ্বিক উষ্ণতাও পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণ।
অতএব, উপরিউক্ত কারণে বর্তমানে নদনদীতে মাছ কমে যাচ্ছে।
প্রশ্ন -৪ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঢাকা নিবাসী নিশাদদের বাসায় পানির লাইনে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি আসে। এতে তাদের প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘিœত হয়। এছাড়া ঢাকা শহরে অপরিকল্পিতভাবে শিল্প কারখানা স্থাপন, ভাসমান লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি, অধিক যানবাহনে নদীর পানি যেমন দূষিত হচ্ছে, পাশাপাশি শহরের বাতাসও হচ্ছে দূষিত।
ক. ব্লিচিং পাউডারের সংকেত লেখ। ১
খ. পানিকে একটি সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয় কেন? ২
গ. নিশাদদের বাসার পানি ব্যবহার উপযোগী করার উপায়সমূহ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের এরূপ অবস্থার জন্য জনগণের অসচেতনতাই দায়ী। উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
PDF : সাধারণ বিজ্ঞান হতে গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন সমুহ : SSC
PDF File সহ -সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : SSC
🢖🢔 ৪নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. ব্লিচিং পাউডারের সংকেত হলো [ঈধ(ঙঈষ)ঈষ)]
খ. পানি বেশিরভাগ অজৈব যৌগ ও অনেক জৈব যৌগকে দ্রবীভ‚ত করতে পারে বলে পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।
পানি পৃথিবীর সবচেয়ে সহজলভ্য তরল পদার্থ। পৃথিবীপৃষ্ঠের শতকরা ৭৫ ভাগই পানি দিয়ে গঠিত। এর বিশেষ ধর্ম হলো এটি খুব ভালো একটি দ্রাবক। পৃথিবীর অধিকাংশ মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ, জৈব ও অজৈব পদার্থকে পানি দ্রবীভ‚ত করতে পারে। যা অন্য কোনো তরল পারে না। এ কারণেই পানিকে একটি সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।
গ. নিশাদদের পানিতে যেহেতু দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি আসে, তাই তাদের পানি অত্যন্ত ভালোরূপে বিশুদ্ধ করা প্রয়োজন।
নিচে উক্ত পানি ব্যবহার উপযোগী করার উপায়গুলো ব্যাখ্যা করা হলো। পরিস্রাবণ : প্রথমে পানিতে অদ্রবণীয় ধূলি-বালির কণা থেকে শুরু করে নানারকম ময়লা আবর্জনার কণা পরিস্রাবণের মাধ্যমে পানি থেকে দূর করতে হবে। বালির স্তরের মধ্য দিয়ে পানিকে প্রবাহিত করলে, পানিতে অদ্রবণীয় ময়লার কণাগুলো তাতে আটকে যায়।
বালির স্তর ছাড়াও খুব সূ²ভাবে তৈরি কাপড় ব্যবহার করে পরিস্রাবণ করা যায়। ইদানিং বাসা-বাড়িতে যেসব ফিল্টার ব্যবহৃত, সেখানে আরো উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে পরিস্রাবণ করা হয়। নিশাদের বাসার পানি পরিস্রাবণ করার পর নিম্নোক্ত উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যেতে পারে।
ক্লোরিনেশন : যদি পানিতে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু থাকে, তবে নানারকম জীবাণুনাশক যেমন : ক্লোরিন গ্যাস (ঈষ২), বিøচিং পাউডার [ঈধ(ঙঈষ)ঈষ] এবং আরও কিছু পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে এবং যা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে তা ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বা সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড (ঘধঙঈষ) পানিতে থাকা রোগজীবাণুকে ধ্বংস করে।
স্ফুটন : পানিকে খুব ভালোভাবে ফুটালে এতে উপস্থিত জীবাণু মরে যায়। স্ফুটন শুরু হওয়ার পর ১৫Ñ২০ মিনিট ধরে স্ফুটন করলে পানি জীবাণুমুক্ত হয়। বাসা-বাড়িতে খাওয়ার পানির জন্য এটি একটি সহজ ও সাশ্রয়ী প্রক্রিয়া।
পাতন : এ প্রক্রিয়ায় একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাপ দিয়ে বাষ্পে পরিণত করে। ঐ বাষ্পকে আবার ঘনীভ‚ত করে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধকৃত পানিতে অন্য পদার্থ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
উপযুক্ত পদ্ধতিগুলো আলোচনা করে দেখা যায় দুগন্ধযুক্ত ময়লা পানি ভালোভাবে বিশুদ্ধ করার জন্য প্রত্যেকটি উপায় কার্যকরী। তাই যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করেই নিশাদদের বাসার পানি ব্যবহার উপযোগী করা যেতে পারে।
ঘ. উদ্দীপকে যে অবস্থার কথা বলা হয়েছে তা হলো পানিদূষণ। আর পানির এই দূষিত অবস্থার জন্য দায়ী মানুষের তথা জনগণের সচেতনতার অভাব।
উদ্দীপকে পানি দূষণ, বায়ু দূষণের কথা বলা হয়েছে যার কারণ শহরে অপরিকল্পিতভাবে শিল্প কারখানা স্থাপন, ভাসমান লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি, অধিক যানবাহন ইত্যাদি নিচে কারণগুলো ব্যাখ্যা করা হলো।
১. গোসল, পায়খানাসহ অন্যান্য কাজের পর বর্জ্যপানির বড় একটি অংশ নর্দমার নলের মাধ্যমে নদ-নদীতে নিয়ে ফেলা হয়। এই বর্জপানিতে রোগজীবাণু থেকে শুরু করে নানারকম রাসায়নিক বস্তু থাকে। ফলে পানি দূষিত হয়।
২. বাসা-বাড়িতে যেসব বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়, সেগুলো সাধারণত বাড়ির পাশে ডাস্টবিন বা খোলা জায়গায় ফেলা হয় দু’ এক দিনের মধ্যে তা পচে বৃষ্টির পানির সাথে মিশে নদ-নদী, খাল-বিল বা লেকের পানিকে দূষিত করে।
৩. কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, জৈব সার ও কীটনাশক বৃষ্টি বা বন্যার পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে।
৪. টেক্সটাইল মিল, ডাইং, রং তৈরির কারখানা, সার কারখানা, কাগজ তৈরির কারখানা ইত্যাদি নানারকম শিল্প কারখানার বর্জ্যপদার্থের দ্বারা নদীর পানি দূষিত হচ্ছে।
নৌকা, ল , স্টিমার বা জাহাজ থেকে ফেলা মলমূত্র ও তেল জাতীয় পদার্থের মাধ্যমে নদ-নদী ও সমুদ্রের পানি দূষিত হয়। পরীক্ষাগার থেকে সৃষ্ট বর্জ্য পানি যেখানে এসিড, ক্ষারসহ নানারকম রাসায়নিক পদার্থ থাকে, তাও পানিকে দূষিত করে।
দেখা যাচ্ছে যে, মানুষের বিভিন্ন অসচেতন ও যাচ্ছে তাই কর্মকাণ্ডের জন্যই পানির এত দূষণ ও দূরাবস্থা। কাজেই, উদ্দীপকের উল্লিখিত অবস্থার জন্য জনগণের সচেতনতাই দায়ীÑ উক্তিটি যথার্থ ও বাস্তবসম্মত।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।