জরায়ুর সমস্যা ও সমাধান > ভ্যাজাইনাল হিস্টেরেক্টমি কী? একটি ভ্যাজাইনাল হিস্টেরেক্টোমির সময়, যোনির শীর্ষে তৈরি ছেদের মাধ্যমে গর্ভাশয় এবং জরায়ু অপসারণ করা হয়। গর্ভাশয়টিকে স্বস্থানে ধরে থাকা লিগামেন্টগুলি থেকে পৃথক করার জন্য যোনিতে বিশেষ অস্ত্রোপচারের যন্ত্র প্রবেশ করানো হয়। গর্ভাশয় এবং জরায়ুর অপসারণের পরে, কাটা স্থানটি সেলাই করা হবে।
এন্ডোমেট্রিওসিস শব্দটি ইংরাজি, বাংলায় এর অর্থ জরায়ুর অন্তর বেষ্টকের টিসু যদি জরায়ুর বাইরে কোথাও জন্মায় যেমন-ডিম্বাশয়ে বা ফেলোপিয়ান টিউবে। এন্ডোমেট্রিওসিস হলে সাধারণত মাসিকের সময় অসহনীয় ব্যথা হয়। কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে দংশেনি যারে- ব্যথার জ্বালা না দেখান যায় না বোঝান যায়।
এমন কি আধুনিক মেশিনের সাহায্যেও দেখান যায় না। মহিলারা চাপা স্বাভাবের হওয়ায় শরীরের সমস্যা লুকিয়ে রাখতে চেষ্টা করে এবং ঔষধও খেতে চায় না ।
এমনও মহিলা আছে যে, নিজের সমস্যার কথা মনের মানুষ তথা স্বামীকে পর্যন্ত বলতে চায় না। মহিলাদের অনেকে তলপেটে ব্যথা এবং শ্রোণী দেশের ব্যথায় ভোগেন। বিশেষ করে মাসিক হওয়ার আগে তলপেটে প্রচÐব্যথা শুরু হয়।
আরো পড়ুন:-
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার> কিডনি রোগ কি?> কিডনি মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ যাকে বাংলায় বৃক্ক বলা হয়। কিডনি রক্তে উপস্থিত দূষিত পদার্থগুলো পরিশোধন করে এবং মূত্রের মাধ্যমে সেগুলো দেহ থেকে বের করে দেয়। কিডনিতে যখন কোন সমস্যা হয় বা সমস্যার কারনে যখন কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়ে তখন তাকে …
চোখের জ্যোতি বাড়াতে পুষ্টি খাবার> চোখের জ্যোতি বাড়াতে কয়েকটি খাবারের গুরুত্ব রয়েছে। এর মধ্যে প্রথমেই ভিটামিন ‘এ’–এর কথা চলে আসে। বেশ কয়েক বছর আগের এক
মাসিক হওয়ার সময় ব্যথা খুব বেড়ে যায় এবং মাসিক শেষে ব্যথা কমে যায়। এই ব্যথার সঙ্গে কিশোরি বয়সের মাসিকের সূচনার মিল থাকে না। যৌন মিলনের সময় বা পরে তলপেটে প্রচÐ যন্ত্রণা হয়।
ওভারী (ডিম্বাশয়) বা পেরিটোনিয়মেও জরায়ু ঝিল্লি বা এন্ডোমেট্রিয়াম ঢুকে যেতে পারে। পায়ু ও জরায়ুর মধ্যের অংশেও এন্ডোমেট্রিয়াম ঢুকে যেতে পারে। আবারও বৃহদান্তের গায়ে লেগে যেতে পারে। যার ফলে মাসিক ঋতুচক্র জরায়ুর বাইরেও হতে পারে। কিন্তু সেই রক্ত¯্রাব বাইরে বেরোনর পথ না পেয়ে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে বা সিস্ট তথা ছোট ছোট রক্তপূর্ণ থলির মতো হয়ে যায়।
পরর্বতীকালে রক্ত থেকে জলীয় অংশ শোষিত হয়ে যায়। সেই জমা রক্তের রং চকলেটের মত গাঢ় হয়। তাই একে চিকিৎসকরা চকলেট সিস্ট বলে। এই সিস্ট পেটের ভিতর যে কোন জায়গাতে হতে পারে । তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সিস্ট হয় ডিম্বাশয়ের জরায়ুর পিছন দিকে এবং জরায়ুর ধারে।
আরো পড়ুন:-
চর্মরোগ থেকে মুক্তির সহজ উপায়> মেডিটেইশন ও যোগ ব্যায়াম পুরো শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন কারণে ত্বকে চুলকানি বা চর্মরোগ হতে পারে। তবে কিছুটা সচেতন হলে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে চর্মরোগ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যায়। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি, ফল-মূল এবং পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। চর্মরোগ …
পেরিটোনিয়াম আক্রান্ত হলে এটি জট পাকিয়ে সন্তান ধারণের সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দেয়। সাধারণত সন্তান জন্ম দেওয়ার বয়সের (১৮-৪৫) বছর পর্যন্ত এন্ডোমেট্রিওসিস দেখা যায়। মনে রাখতে হবে জরায়ুর অন্তর বেষ্টকের প্রদাহ এন্ডোমেট্রাইসির মূল সমস্যা হলো ব্যথা।
এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণ : ১. অনিয়মিত মাসিক ২. মাসিকের সময় তীব্র যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা ৩. বেদনায় সহবাসের সময় স্পর্শ পর্যন্ত করতে দেয় না। ৪. মল-মূত্র ত্যাগ কালে যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হয় ও ব্যথা হয়। ৫. হাত, পা, শরীর আগুনে পোড়ার মত জ্বালা করে। ৬. প্র¯্রাবের সময় ও পরে তীব্র যন্ত্রণাদায়ক বেদনা। ৭. জরায়ুর গ্রীক ফোলা ও শক্ত থাকে। ৮. জন্ম নিয়ন্ত্র বড়ি সেবন ও কপারটি ব্যবহার করার কারণেও এন্ডোমেট্রিওসিস হতে পারে।
তলপেটে, কোমরের নিচে ব্যথা হয় এবং সে ব্যথা লাগাতার চলতে থাকে। মূত্রথলি এবং পায়ুদার লাগোয়া এলাকাতেও ব্যথা হয়। এ সময় জীবনে ক্লান্তি, হতাশা, বিষন্নতায় যেন স্বাস্থ্য ভেঙে পড়তে পারে এবং মানসিক অবসাদ কুরে কুরে খায়। মন লাগে না কোনো কাজেই। আগে জরায়ুর অপারেশন হয়েছে সেই কাটা এলাকায়ও কারো কারো এন্ডোমেট্রিওসিস হয়।
এন্ডোমেট্রিওসিস কেন হয়: আমরা সোজাভাবে বলে থাকি, মাসিকের সময় জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াম তথা জরায়ুর ভিতরকার ঝিল্লির পর্দা পুরু হয়ে যায়। শুক্রাণু বা ডিম্বানু যাতে জরায়ুর দেওয়ালে গেঁথে যেতে পারে সেজন্যই এই প্রাচীর পুরু হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন:-
চোখের জ্যোতি বাড়াতে পুষ্টি খাবার
কিন্তু গর্ভযোগ না ঘটলে অর্থাৎ ডিম্ব না তৈরি হলে পুরু হয়ে যাওয়া এই প্রাচীর খসে পড়ে। এইসব জরায়ুর ঝিল্লি কোষ বা এন্ডোমেট্রিয়াম ফ্যালোপিয়ান টিউব দিয়ে পেটের মধ্যে ঢুকে গেল এই এন্ডোমেট্রিয়াল কোষ সেখানে বাড়তে থাকে এবং পরবর্তীকালে মাসিকের সময় সেখান থেকে পেটের ভিতরে রক্ত¯্রাব হয়।
সেই রক্ত¯্রাব জমে জমে এন্ডোমেট্রাইটিস বা প্রদাহ হয়। যারা অনেকদিন ধরে গর্ভরোধ করে থাকেন তাদেরই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এই রোগে আক্রান্তরা অনেকেই পায়খানা করার সময় ব্যথা টের পান। কারো করো শরীরে জ্বর জ্বর ভাবও দেখা যায়। বারবার প্র¯্রাব হয়, প্র¯্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়ে। জরায়ু বা ওভারি অপারেশনের পর পেটের কাটা জায়গায় বা নাভিমূলে এই রোগ নীল রঙ্গের পিন্ড তৈরি করে।
প্রতিবার মাসিকের সময় এইসব পিন্ড তথা সিস্ট থেকে রক্ত¯্রাব হওয়ার ফলে সে জায়গায় ফুলে ওঠে ও চামড়ার ওপর থেকে তা দেখতে নীলবর্ণ হয়। সিজারিয়ান সেকশন, টিউবেকটামির অস্ত্র পাচারের স্থান। এপিসিয়েটমির কাটা স্থানেও এন্ডোমেট্রিওসিস হয়। কিছু মহিলার শরীরে জ্বিনগত কারণেও এন্ডোমেট্রিওসিস হয়।
ডিম্বাশয় (ওভারি) যদি আক্রান্ত হয় তাহলে ডিম্বাণু তৈরি ব্যহত হবে। ভ্রæণ তৈরি হবে না। রোগ বাড়তে থাকলে ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং ওভারি জট পাকিয়ে ফ্যালোপিয়ান টিউব অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ডিম্বানু প্রবেশ ও নির্গমন বন্ধ হয়ে যায়। কখনো কখনো ফ্যালোপিয়ান টিউব ও ওভারি জট পাকিয়ে যায়।
বড় সিস্ট হলে অন্ত্রনালি, পায়ু, মলাশয় সব জট পাকিয়ে যেতে পারে। চিকিৎসক ভিতরটা পরীক্ষা করে সিস্টের অবস্থান অনুভব করতে পারেন। রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, সিটিস্ক্যান, এম. আর. আই স্ক্যানের মাধ্যমে এন্ডোমেট্রিওসিস শনাক্ত করা যায়। হোমিওচিকিৎসায় এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ডা.এস এম আব্দুল আজিজ
সেক্রেটারী: আইডিয়াল ডক্টর্স ফোরাম অব হোমিওপ্যাথি।
আল-আজিজ হেলথ সেন্টার, বাইতুল আবেদ,
৫৩ পুরানা পল্টন , ঢাকা-১০০০ ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।