চতুর্থ শ্রেণীর হিন্দু ধর্ম | চতুর্থ অধ্যায় – শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা প্রশ্ন উত্তর : চতুর্থ শ্রেণির হিন্দু ধর্ম বিষয়টির চতুর্থ অধ্যায়টি হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
চতুর্থ অধ্যায় – শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা
অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব
শ্রদ্ধার অর্থ ও সংজ্ঞা
সহনশীলতার সংজ্ঞা ও মানব জীবনে সহনশীলতার প্রয়োজনীয়তা
পৃথিবীর বিভিন্ন মত ও পথে শ্রদ্ধা এবং সহনশীলতার গুরুত্ব
বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও রীতিনীতি
অধ্যায়ের মূলভাব জেনে নিই
শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা গুরুত্বপূর্ণ দু’টি নৈতিক. বা মানবিক. গুণ। শ্রদ্ধার অর্থ হলো- ভক্তি, ভালোবাসা, অন্যের প্রতি আস্থা বা বিশ্বাস। সহনশীলতা হলো সহ্য করার ক্ষমতা। প্রত্যেক. ধর্মেই শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার গুরুত্ব রয়েছে। এই পৃথিবীতে নানা পথ, মত ও ধর্মের মানুষ রয়েছেন। পৃথিবীর সব মানুষ এক. হলেও জীবন পদ্ধতি, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ভিন্ন রকমের। উদ্দেশ্য এক. হলেও বিভিন্ন ধর্মের রয়েছে ভিন্ন নামের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
তাই এতো ভিন্নতার মাঝেও আমরা যদি মানুষকে শ্রদ্ধা করি, তার উপর আস্থা রাখি, অন্যের প্রতি সহনশীল হই, তবেই সমাজ জীবন হবে সুন্দর। আর আমাদের মাঝে যদি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার গুণ না থাকে তবে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে দেখা দিবে বিশৃঙ্খলা, অশান্তি। তাই আমরা সবাই শ্রদ্ধা আর সহনশীলতার গুণ অর্জনের চেষ্টা করব।
ক. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১।শ্রদ্ধা কথাটির অর্থ ————– জানানো।
২।শ্রদ্ধা করা একটি নৈতিক. ————–।
৩।সহনশীলতা ধর্মের ————–।
৪।বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের পরস্পরের প্রতি ————– হওয়া আবশ্যক।
৫।সমাজে ————– জন্য দরকার সহনশীলতা।
উত্তর : ১। সম্মান ২। গুণ ৩। অঙ্গ ৪। সহনশীল ৫। ঐক্যের।
খ. ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও:
১। শ্রদ্ধা ধর্মের ২। সহনশীলতা সমাজের জন্য ৩। সহনশীলতার অভাবে সৃষ্টি হয় ৪। বৌদ্ধরা মন্দিরকে বলে ৫। সহনশীলতার অপর নাম |
অপরিহার্য। অশান্তি। প্যাগোডা। তিতিক্ষা। অঙ্গ। দয়া। |
উত্তর :
১।শ্রদ্ধা ধর্মের অঙ্গ।
২।সহনশীলতা সমাজের জন্য অপরিহার্য।
৩।সহনশীলতার অভাবে সৃষ্টি হয় অশান্তি।
৪।বৌদ্ধরা মন্দিরকে বলে প্যাগোডা।
৫।সহনশীলতার অপর নাম তিতিক্ষা।
গ. সঠিক. উত্তরটির পাশে টিক. () চিহ্ন দাও :
১। শ্রদ্ধা মানে
ক.দয়া করা
খ.মায়া দেখানো
গ.সম্মান জানানো
ঘ.করুণা করা
২। সহনশীলতা না থাকলে কী বিনষ্ট হয়?
ক.শৃঙ্খলা
খ.সরলতা
গ.মানবতা
ঘ.সামাজিকতা
৩।উপাসনার জন্য খ্রিষ্টানেরা যায়Ñ
ক.মন্দিরে
খ.গির্জায়
গ.মঠে
ঘ.মসজিদে
৪।সহনশীলতার প্রয়োজন কেন?
ক.যশের জন্য
খ.ধন-সম্পদের জন্য
গ.শিক্ষার জন্য
ঘ.ঐক্যের জন্য
৫।সহনশীলতার মধ্য দিয়ে আসে
ক.স¤প্রীতি
খ.আনন্দ
গ.অশান্তি
ঘ.ধন-সম্পদ
ঘ. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১.শ্রদ্ধা ছাড়া কি অর্জন করা যায় না?
উত্তর : শ্রদ্ধা ছাড়া জ্ঞান অর্জন করা যায় না।
২. সহনশীলতার অর্থ কী?
উত্তর : সহনশীলতার অপর নাম সহিষ্ণুতা। সহিষ্ণুতা মানে হলো সহ্য করার ক্ষমতা। হিন্দু ধর্মে একে তিতিক্ষাও বলা হয়েছে।
৩. হিন্দুদের তিনটি প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নাম লেখ।
উত্তর : হিন্দুদের প্রধান তিনটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলো-
ক) দুর্গাপূজা, খ) জন্মাষ্টমী, গ) সরস্বতীপূজা।
৪. সম্প্রীতি কাকে বলে?
উত্তর : সকল ধর্মের লোক. এক. সাথে মিলেমিশে থাকাকেই বলে স¤প্রীতি।
৫. সহনশীলতার অভাবে কী ক্ষতি হয়?
উত্তর : সহনশীলতার অভাবে সমাজে বিচ্ছিন্নতা ও সংকীর্ণতা, অস্থিরতা ও অশান্তি ইত্যাদি তৈরি হয়। ফলে সামাজিক. শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়।
ঙ. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১. শ্রদ্ধার প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর : মানবিক, নৈতিক. বা ধর্মীয় জ্ঞান হিসেবে শ্রদ্ধার প্রয়োজনীয়তা অনেক। যেমন-
১. শ্রদ্ধা না থাকলে জ্ঞান অর্জন করা যায় না।
২. সমাজের বিশৃঙ্খলা ও সংঘাত এড়াতে শ্রদ্ধাবোধ প্রয়োজন।
৩. সমাজের ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রদ্ধাবোধ প্রয়োজন।
৪.সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রদ্ধাবোধ প্রয়োজন ইত্যাদি।
২. সহনশীলতার প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর : সহনশীলতা হলো সহ্য করার ক্ষমতা। সমাজ জীবনে সহনশীলতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেমন-
১. সহনশীলতার কারণে নানা মত ও পথের মানুষ এক. সঙ্গে চলতে পারে।
২. সহনশীলতা সমাজের বিশৃঙ্খলা, হানাহানি ও অশান্তি দূর করে।
৩. ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে শান্তি ও শৃঙ্খলা আনতে সহনশীলতার প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক।
৩. সকল ধর্মের মানুষদের মধ্যে কীভাবে স¤প্রীতি গড়ে তোলা যায়?
উত্তর : সকল ধর্মের মানুষদের মধ্যে স¤প্রীতি গড়তে আমরা অন্য ধর্মাবলম্বী লোকদের বিভিন্ন সামাজিক. ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাব। অন্যদের সামাজিক. ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমরা সানন্দে অংশগ্রহণ করব।
৪. সকল ধর্মের প্রতি সহনশীল হওয়ার উপকারিতা কী?
উত্তর : সকল ধর্মের প্রতি সহনশীল হলে-
ক) সমাজে অস্থিরতা ও অশান্তি থাকবে না;
খ) সমাজে সা¤প্রদায়িকতা থাকবে না।
৫. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি সহনশীল হব কেন?
উত্তর : সকল জীবের মধ্যে ঈশ্বর আত্মারূপে বিরাজ করেন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা ঈশ্বরেরই সৃষ্টি। তাই তাদেরকে কষ্ট দিলে বা তাদের প্রতি অন্যায় আচরণ করলে ঈশ্বর কষ্ট পান। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি সহনশীল থাকলে ঈশ্বর আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন। ফলে সমাজে শান্তি বিরাজ করবে।
ডান পাশ থেকে শব্দ এনে বাম পাশের শব্দের সঙ্গে মেলাও :
১. জীবের মধ্যে আত্মারূপে ২. শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা ৩. ধর্মের উদ্দেশ্য হলো ৪. সকল ধর্মই বলে ৫. হিন্দুরা ঈশ্বরের |
স্রষ্টার কাছে আত্ম নিবেদন। স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস রাখবে। নাম কীর্তন করে। ডেকে আনে বিচ্ছিন্নতা ও সংকীর্ণতা। সামপ্রদায়িকতা দূর করে। ঈশ্বর বিরাজ করেন। |
উত্তর :
১.জীবের মধ্যে আত্মারূপে ঈশ্বর বিরাজ করেন।
২.শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা সা¤প্রদায়িকতা দূর করে।
৩.ধর্মের উদ্দেশ্য হলো স্রষ্টার কাছে আত্মনিবেদন।
৪.সকল ধর্মই বলে স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস রাখবে।
৫.হিন্দুরা ঈশ্বরের নাম কীর্তন করে।
শুদ্ধ ও অশুদ্ধ নির্ণয় কর :
১.শ্রদ্ধা ধর্মেরও অঙ্গ।
২.সহনশীলতার অপর নাম সহিষ্ণুতা।
৩.সহনশীলতা ঐক্য বা শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে।
৪.পৃথিবীর সব মানুষের মত বা পথ এক।
৫.পথ ভিন্ন হলেও ধর্মের উদ্দেশ্য এক।
উত্তর : ১. ‘শু’ ২. ‘শু’ ৩. ‘অ’ ৪. ‘অ’ ৫. ‘শু’
শূন্যস্থান পূরণ :
১.শ্রদ্ধা করা একটি ————– গুণ এবং ————– অঙ্গ।
২.শ্রদ্ধা না থাকলে ————– অর্জন করা যায় না।
৩.অনেক. দেশ নিয়ে আমাদের ————–।
৪.হিন্দুরা ————– নাম কীর্তন করেন।
৫.কঠিন চীবর দান ————– উৎসব।
উত্তর : ১. নৈতিক, ধর্মের ২. জ্ঞান ৩. পৃথিবী ৪. ঈশ্বরের ৫. বৌদ্ধদের।
শ্রদ্ধা
১. শ্রদ্ধা শব্দের অর্থ কোনটি?
ক.সম্মান জানানো
খ.আস্থাঝ
গ.ভালোবাসা
ঘ.উপরের সবগুলো
২. শ্রদ্ধা কোন ধরনের গুণ?
ক.নৈতিক
খ.পারিবারিকচ
গ.ব্যক্তিগত
ঘ.সামাজিক
৩. কোনটি না থাকলে জ্ঞান অর্জন করা যায় না?
ক.সম্পত্তি
খ.শ্রদ্ধাছ
গ.বিদ্যা
ঘ.ক্ষমতা
সহনশীলতা
৪. সহনশীলতার অপর নাম কী?
ক.শ্রদ্ধা
খ.ভালোবাসাজ
গ.সহিষ্ণুতা
ঘ.বিশ্বাস
৫. হিন্দু ধর্মে সহনশীলতাকে কী বলা হয়েছে?
ক.গুরুভক্তি
খ.তিতিক্ষাছ
গ.বিসর্জন
ঘ.আরাধনা
৬. পৃথিবীর প্রধান ধর্ম কয়টি?
ক.৪টি
খ.৫টি
গ.৬টি
ঘ.৭টি
৭. হিন্দুরা কোথায় উপাসনা করেন?
ক.মসজিদে
খ.প্যাগোডায়ঝ
গ.গির্জায়
ঘ.মন্দিরে
৮. ঈশ্বর কোথায় বিরাজ করেন?
ক.ধনী লোকের মাঝে
খ.জীবের মধ্যেছ
গ.ধর্মীয় লোকের মাঝে
ঘ.দরিদ্র লোকের মাঝে
যোগ্যতাভিত্তিক
শিখনফল : সহনশীলতার শিক্ষা লাভ করব।
৯. রাম, রহিম ও জন তিন মতের হয়েও ভালো বন্ধু। কোন গুণের কারণে তারা ভালো বন্ধু হতে পেরেছে?
ক.দানশীলতা
খ.সহনশীলতাছ
গ.পরোপকারিতা
ঘ.সত্যবাদিতা
শিখনফল : শ্রদ্ধার অর্থ জানতে পারব।
১০. তোমার বাবা প্রতিবেশী সুধীর কাকাকে দশ হাজার টাকা কর্জ দিলেন। এখানে তোমার বাবার মাঝে শ্রদ্ধা গুণের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
ক.ভক্তি করা
খ.সম্মান জানানোজ
গ. বিশ্বাস
ঘ.ভালোবাসা
শিখনফল : সহনশীলতার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারব।
১১. ভবানী পাড়ায় বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে। তাদের সমাজে কখনো ঐক্য বা শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয় না। এই সমাজের মানুষের মাঝে কোন গুণটি রয়েছে?
ক.শ্রদ্ধা
খ.ভক্তিঝ
গ.ভালোবাসা
ঘ.সহিষ্ণুতা
শিখনফল : হিন্দুদের উপাসনা সম্পর্কে জানতে পারব।
১২. নন্দিনী ফুল, বেলপাতা, চন্দন ও অন্যান্য উপকরণ নিয়ে উপাসনার জন্য তৈরি হয়েছে। সে কোন ধর্মের অনুসারী?
ক.ইসলাম
খ.হিন্দুছ
গ.বৌদ্ধ
ঘ.খ্রিষ্টান
শিখনফল : বৌদ্ধধর্মের উৎসব সম্পর্কে জানতে পারবে।
১৩. তোমার প্রতিবেশী ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কয়েকজন সন্ন্যাসীদের হাতে বোনা বস্ত্র দান করেন। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী?
ক.হিন্দু
খ.ইসলামজ
গ.বৌদ্ধ
ঘ.খ্রিষ্টান
শিখনফল : ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে পারব।
১৪. তোমার কয়েকজন খ্রিষ্টান বন্ধু উপাসনার জন্য কোন প্রতিষ্ঠানে যাবে?
ক.মসজিদে
খ.মন্দিরেঝ
গ.প্যাগোডায়
ঘ.গির্জায়
প্রশ্ন ও উত্তরঃ
১. সমাজে কখন অশান্তি সৃষ্টি হয়?
উত্তর : একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও সংঘাত দেখা দেয় এবং সমাজের ঐক্য বিনষ্ট হয়। ফলে সমাজে অশান্তির সৃষ্টি হয়।
২. ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে সহনশীলতার গুরুত্ব অত্যধিক. কেন?
উত্তর : সহনশীলতার মানে হলো সহ্য করার ক্ষমতা। সহনশীলতা সমাজকে সুষ্ঠুভাবে চলতে সাহায্য করে। এই গুণের কারণে সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যক্তিগত জীবনে শৃঙ্খলা আসে। সমাজে শান্তি বজায় থাকে। তাই ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে সহনশীলতার গুরুত্ব অত্যধিক।
৩. হিন্দুরা কী কী উৎসব পালন করেন?
উত্তর : হিন্দুরা সারা বছরই নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন। দুর্গাপূজা, সরস্বতীপূজা, ল²ীপূজা, জন্মাষ্টমী, দোলযাত্রা, শিবরাত্রি ব্রত প্রভৃতি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
৪. খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসবের নাম লেখ।
উত্তর : খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব হলো বড়দিন, ইস্টার স্যাটার ডে, ইস্টার সান ডে প্রভৃতি।
৫. সকল ধর্মের শিক্ষা কী?
উত্তর : সকল ধর্মই মানুষের মঙ্গলের কথা বলে। সত্য বলা, সৎ পথে চলার শিক্ষা দেয়। চুরি করতে নিষেধ করে। গুরুজনদের শ্রদ্ধা করতে এবং স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস রাখতে বলে।
৬. বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়ের নাম লেখ।
উত্তর : বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন উপাসনালয় রয়েছে। যেমন-হিন্দুদের মন্দির, বৌদ্ধদের মঠ বা প্যাগোডা, খ্রিষ্টানদের গির্জা এবং মুসলমানদের মসজিদ।
৭. ধর্মের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : ধর্মের উদ্দেশ্য হলো- স্রষ্টার কাছে আত্মনিবেদন এবং জগৎ ও জীবনের মঙ্গল প্রার্থনা।
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | পাঠান মুলুকে | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | কাজলা দিদি | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
- চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | পাখির জগৎ | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
সাধারণ
১. শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার গুরুত্ব লেখ।
উত্তর : শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা না থাকলে নানা মত ও পথের মানুষ একসঙ্গে চলতে পারত না। শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার অভাবে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা, হানাহানি ও অশান্তি। সুতরাং ব্যক্তিজীবন ও সমাজজীবনে শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার মতো মানবিক. ও নৈতিক. গুণের গুরুত্ব অপরিসীম।
২. পৃথিবীর সব মানুষ এক. ঈশ্বরের সৃষ্টি, কিন্তু মত ভিন্ন। কেন?
উত্তর : অনেক. দেশ নিয়ে আমাদের পৃথিবী। প্রতিটি দেশে রয়েছে অনেক. মানুষ। তারা তাদের নিজ নিজ ধর্ম বা মত অনুসারে চলে। পৃথিবীর সব মানুষ এক. ঈশ্বরের সৃষ্টি। কিন্তু সকলের মত বা পথ এক. নয়। ধর্মবিশ্বাস ও জীবনযাপন প্রণালি ভিন্ন-ভিন্ন। তাই পৃথিবীর সব মানুষ এক. হলেও ধর্ম বা মতে ভিন্নতা দেখা যায়।
৩. বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর উপাসনা সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : বিভিন্ন ধর্মের মানুষের উপাসনা পদ্ধতি ভিন্ন রকমের। যেমন- হিন্দুরা ঈশ্বরের নাম কীর্তন করেন। ফুল, বেলপাতা, চন্দন ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে দেব-দেবীর পূজা করেন। বৌদ্ধরা বুদ্ধের পূজা করেন। মুসলমানেরা নামাজ পড়েন। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা ঈশ্বরের ও যীশুর গুণগান করেন।
যোগ্যতাভিত্তিক
৪. তোমার কোন কোন কাজ শ্রেণির সবাইকে শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার গুণ অর্জনে সহায়তা করবে? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা মানুষের নৈতিক. গুণ এবং এগুলো ধর্মেরও অঙ্গ। আমার যে সকল কাজ শ্রেণির সবাইকে শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার গুণ অর্জনে সহায়তা করবে সেগুলো নিচে ৫টি বাক্যে লেখা হলো :
১) কোনো জীবকে কষ্ট না দেওয়া; কারণ জীবের মধ্যে আত্মারূপে ঈশ্বর বিরাজ করেন।
২) বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু, নারী-পুরুষ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহনশীল হওয়া।
৩) নিজেদের সামাজিক. ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অন্য ধর্মাবলম্বীদের আমন্ত্রণ জানানো।
৪) অন্যদের সামাজিক. ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হলে সেখানে সানন্দে যোগদান করা।
৫) অন্যের মত ও পথের প্রতি বা ধর্মের প্রতি অশ্রদ্ধা ও অসহনশীলতা না দেখানো।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।