চতুর্থ শ্রেণি | বাংলা | বীরপুরুষ | অনুশীলনী ও অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর: চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বিষয়টির বীরপুরুষ গল্পটির অনুশীলনী হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
বীরপুরুষ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কবি পরিচিতি
নাম : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
জন্মতারিখ. : ৭ই মে, ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ।
জন্মস্থান : কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি।
পরিচিতি : কবি, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, দার্শনিক, গীতিকার, সুরস্রষ্টা, চিত্রশিল্পী, সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত।
সৃষ্ট রচনা : তাঁর রচনা ভাণ্ডার বিশাল। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও নাটক. রচনা করেছেন। এছাড়াও লিখেছেন বহু চিঠিপত্র। ‘বীরপুরুষ’ কবিতাটি নেওয়া হয়েছে তাঁর ‘শিশু’ কাব্যগ্রন্থ থেকে।
পুরস্কার : ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
মৃত্যুতারিখ. : ৭ই আগস্ট, ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ।
কবিতাটি পড়ে জানতে পারব
¦ শিশুমনের কল্পনার কথা
¦ মা ও সন্তানের মাঝে ভালোবাসার কথা
বানানগুলো লক্ষ করি
রাঙা, জোড়াদিঘি, সোঁতা, স্মরণ, অন্ধকার, কাঁটাবন, দুর্দশা, কল্পনা, দূর দেশ, মোকাবেলা, বীর।
১. জেনে নিই।
ক) শিশুরা কল্পনা করতে ভালোবাসে। এই কবিতাটিও তেমনি এক. ছোট্ট শিশুর কল্পনা। কল্পনায় সে মায়ের সঙ্গে দূর দেশে যায়। পথে সে ডাকাতদের মোকাবেলা করে, বীরের মতো লড়াই করে মাকে রক্ষা করে।
২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং নতুন বাক্য লিখি।
টগবগিয়ে রাঙা পাট জোড়াদিঘি স্মরণ বেয়ারা (বেহারা) থরোথরো ঝনঝনিয়ে দুর্দশা সোঁতা
উত্তর :
শব্দ ———-অর্থ ———-বাক্য
টগবগিয়ে—–পানি ফুটবার মতো শব্দ করে, ধাবমান ঘোড়ার পায়ের শব্দ করে।—–পানি টগবগিয়ে ফুটছে। ঘোড়া টগবগিয়ে ছুটছে।
রাঙা—–রঙিন।—–পূর্ব আকাশ রাঙা হয়ে উঠেছে।
পাট—–আকাশের পশ্চিম দিকের শেষ ভাগে, অস্তাচল, যেখানে সূর্য ডোবে।—–‘সূর্য নামে পাটে’ (সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে)।
জোড়াদিঘি—–যেখানে পাশাপাশি দুটি দিঘি রয়েছে।—–জোড়াদিঘির পাড়ে মাথা উঁচু করে আছে একটি তালগাছ।
স্মরণ—–মনে করা।—–দূরে গেলে মাকে স্মরণ করি।
বেয়ারা (বেহারা)—–যারা কাঁধে পালকি বহন করেন।—–বেয়ারাগুলো দুপুর রোদে ঘেমে নেয়ে উঠেছে।
থরোথরো—–প্রচণ্ড কম্পন।—–ডাকাতের ভয়ে গ্রামবাসীরা থরোথরো কাঁপছে।
ঝনঝনিয়ে—–ঝনঝন শব্দে।—–কাঁসার থালাটা মাটিতে পড়ে ঝনঝনিয়ে উঠল।
দুর্দশা—–খারাপ অবস্থা, কষ্ট।—–গরিব লোকের দুর্দশার শেষ নেই।
সোঁতা—–ক্ষীণ স্রোত বা প্রবাহ।—–মরা নদীর সোঁতা দূরে মিলিয়ে গেছে।
৩. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) খোকা মাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছে?
উত্তর : খোকা মাকে নিয়ে অনেক. দূর বিদেশে যাচ্ছে।
খ) মা ও খোকা কীভাবে যাচ্ছে?
উত্তর : মা পালকি চড়ে, দরজা দুটো একটু ফাঁক. করে যাচ্ছে। খোকা রাঙা ঘোড়ায় চড়ে টগবগিয়ে ধুলো উড়িয়ে মায়ের পালকির পাশে পাশে যাচ্ছে।
গ) তারা কখন জোড়াদিঘির ঘাটে পৌছাল? এমন সময় কী ঘটল?
উত্তর : সূর্য পাটে নেমে যখন সন্ধ্যা হলো তখন তারা জোড়াদিঘির ঘাটে পেঁৗঁছাল। তারা যখন সেখানে পৌঁছাল তখন চারদিক. ছিল জনমানবহীন। হঠাৎ ‘হাঁরে রে-রে-রে-রে’ হাঁক. ছেড়ে একদল ডাকাত তাদের আক্রমণ করল।
ঘ) বেয়ারারা কোথায় পালাল?
উত্তর : বেয়ারারা ডাকাতের ভয়ে পালকি ছেড়ে পাশের কাঁটাবনে গিয়ে পালাল।
ঙ) ‘ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল’- মা একথা বললেন কেন?
উত্তর : ডাকাতদের সাথে সাহসিকতার সাথে লড়াই করে খোকা মাকে রক্ষা করে। খোকা না থাকলে ডাকাতদল সবার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ত এবং সবাইকে অনেক. দুর্দশার শিকার হতে হতো। মা তাই খোকার সাথে থাকাকে সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন।
চ) বীরপুরুষ কে? সে কাদের হারিয়ে বীরপুরুষ হলো?
উত্তর : ‘বীরপুরুষ’ কবিতার খোকা হলো বীরপুরুষ। ভয়ংকর একদল ডাকাত খোকাদের আক্রমণ করেছিল। খোকা তাদের হারিয়ে বীরপুরুষ হলো।
৪. নিচের শব্দগুলোর মধ্যে অর্থের পার্থক্য জেনে নিই ও শব্দ দিয়ে তৈরি বাক্যগুলো শুদ্ধ উচ্চারণে পড়ি।
কাটা—–অঘ্রাণ মাসে ধান কাটা শেষ হয়েছে।
কাঁটা—–চোরাকাঁটায় মাঠ ভরে আছে।
কোন—–তুমি কোন কাজ করবে?
কোণ—–ঘরের কোণে বসে থাকলে চলবে না, কাজে নেমে পড়ো।
৫. বিপরীত শব্দ জেনে নিই ও বাক্য তৈরি করি।
ভয় – সাহস, সাহসের কাছে সবাই পরাজিত হয়।
বিদেশ – স্বদেশ, ………………………..।
দূরে – কাছে, ………………………..।
সকাল – সন্ধ্যা, ………………………..।
আলো – আঁধার, অন্ধকার ………………………..।
উত্তর :
মূলশব্দ———- বিপরীত শব্দ বাক্য
ভয় – সাহস, সাহসের কাছে সবাই পরাজিত হয়।
বিদেশ – স্বদেশ, রাতুল স্বদেশ ফিরে এলো।
দূরে – কাছে, আমার কাছে বসো।
সকাল – সন্ধ্যা, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো।
আলো – আঁধার, অন্ধকার অন্ধকারে সাবধানে পা বাড়াও।
৬. ‘বীরপুরুষ’ কবিতায় ‘ধূ-ধূ’ শব্দ আছে, এরকম আরও শব্দের ব্যবহার জেনে নিই।
ধূ-ধূ—–চারদিকে মানুষজন নেই, গ্রামটা যেন ধূ-ধূ করছে।
হু-হু—–হু-হু করে হাওয়া বইছে।
সোঁ-সোঁ—–সোঁ-সোঁ করে বাতাস ছুটেছে।
ঝনঝন—–কাচের আয়নাটা ঝনঝন করে ভেঙে গেল।
ভনভন—–ময়লা জায়গাটায় ভনভন করে মাছি উড়ছে।
৭. কবিতাটি স্পষ্ট ও শুদ্ধ উচ্চারণে স্বাভাবিক. গতিতে আবৃত্তি করি।
উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবিতাটি প্রথমে কবির নামসহ মুখস্থ করে নাও। তারপর শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে আবৃত্তি কর।
৮. কর্ম-অনুশীলন।
আমি যদি বীরপুরুষ হতাম তাহলে কী করতাম তা লিখে জানাই।
উত্তর : আমি যদি বীরপুরুষ হতাম তাহলেÑ
ক) গরিব মানুষদের অধিকার আদায়ে কাজ করতাম।
খ) সমাজ থেকে সব অন্যায় ও অত্যাচার দূর করতাম।
গ) দরিদ্র শিশুরা যাতে স্কুলে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতাম।
সঠিক. উত্তরটি খাতায় লেখ।
১) মা কিসে চড়ে যাচ্ছিলেন?
ক. ঘোড়ার পিঠে
খ. পালকিতে
গ. হাতির পিঠে
ঘ. নৌকায়
২) ঘোড়ার খুরের আঘাতে কী উড়ে আসে? জ
ক. মাটি
খ. কাদা
গ. ধুলো
ঘ. পানি
৩) জোড়াদিঘির মাঠটি ছিল ছ
ক. কোলাহলপূর্ণ
খ. নির্জন
গ. আলোকিত
ঘ. মানুষে ভরা
৪) বেয়ারাগুলো কী করেছিল?
ক. মাকে পাহারা দিয়েছিল
খ. ডাকাতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল
গ. খোকার যুদ্ধ দেখছিল
ঘ. ভয়ে পালিয়েছিল
নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
পালকি, সূর্য, স্মরণ।
উত্তর :
শব্দ ———-বাক্য
পালকি—–নতুন বউ পালকি চড়ে যাচ্ছে।
সূর্য—–সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে।
স্মরণ—–বীরশ্রেষ্ঠদের আমরা চিরদিন স্মরণ করব।
নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর।
স্ত, ন্ধ, স্ম, চ্ছ।
উত্তর :
স্ত = স + ত – সস্তা
ন্ধ = ন + ধ – প্রবন্ধ
স্ম = স + ম – স্মৃতি
চ্ছ = চ + ছ – স্বেচ্ছা
নিচের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ করে লেখ।
রাঙ্গা, স্নরণ, দূর্দশা, ক্ষিণ, সোতা।
উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান
রাঙ্গা – রাঙা
স্নরণ – স্মরণ
দূর্দশা – দুর্দশা
ক্ষিণ – ক্ষীণ
সোতা – সোঁতা
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) জোড়াদিঘির মাঠে কিছু ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না কেন?
উত্তর : জোড়াদিঘির মাঠে অন্ধকারের কারণে ভালোভাবে কিছু দেখা যাচ্ছিল না।
খ) ঢাল তলোয়ার কেমন শব্দে বাজে?
উত্তর : ঢাল তলোয়ার ঝনঝন শব্দে বাজে।
নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
সন্ধে হলো, সূর্য নামে পাটে,
এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে।
এমন সময় ‘হাঁরে রে রে রে রে রে’
ওই-যে কারা আসতেছে ডাক. ছেড়ে?
তুমি ভয়ে পালকিতে এক. কোণে
ঠাকুর-দেবতা স্মরণ করছ মনে,
আমি যেন তোমায় বলছি ডেকে,
‘আমি আছি, ভয় কেন, মা, করো!’
ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে,
ঢাল তলোয়ার ঝনঝনিয়ে বাজে,
কী ভয়ানক. লড়াই হলো মা যে
শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা।
কত লোক. যে পালিয়ে গেল ভয়ে,
কত লোকের মাথা পড়ল কাটা।
১. সঠিক. উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) সূর্য কখন অস্ত যায়?
(ক) সকালে
(খ) সন্ধ্যায়
(গ) ভোরে
(ঘ) রাতে
২) খোকা মাকে
(ক) অভয় দেয়
(খ) ভয় দেখায়
(গ) পালাতে বলে
(ঘ) লুকিয়ে রাখে
৩) খোকা কী ছুটিয়ে লড়াই করতে গেল?
(ক) হাতি
(খ) ঘোড়া
(গ) গাড়ি
(ঘ) বাঘ
৪) কী শুনলে মায়ের গায়ে কাঁটা দেবে?
(ক) ডাকাতদের হাঁক
(খ) খোকার পরাজয়ের সংবাদ
(গ) বেয়ারাদের দুর্দশার কথা
(ঘ) ডাকাতদের সাথে লড়াইয়ের বর্ণনা
৫) কবিতাংশে প্রকাশিত হয়েছে
(ক) ডাকাতদের সাহসিকতার বর্ণনা
(খ) বেয়ারাদের কঠিন জীবনের চিত্র
(গ) শিশুমনের কল্পনা
(ঘ) গরিব মানুষের দুর্দশার কথা
উত্তর : ১) (খ) সন্ধ্যায়; ২) (ক) অভয় দেয়;
৩) (খ) ঘোড়া; ৪) (ঘ) ডাকাতদের সাথে লড়াইয়ের বর্ণনা; ৫) (গ) শিশুমনের কল্পনা।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
সন্ধে, ঢাল, স্মরণ, ভয়ে, ভয়ানক।
উত্তর : শব্দ অর্থ
সন্ধে—–সন্ধ্যাবেলা।
ঢাল—–যুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহৃত এক. ধরনের হাতিয়ার।
স্মরণ—–মনে করা।
ভয়ে—–ভীত হয়ে।
ভয়ানক.—–ভয়ংকর।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) ‘হাঁরে রে-রে-রে-রে’ হাঁক. ছেড়ে কারা আসছিল?
উত্তর : ‘হাঁরে রে-রে-রে-রে’ হাঁক. ছেড়ে ডাকাতরা আসছিল।
খ) মা ভয় পেয়ে কী করতে লাগলেন?
উত্তর : মা ভয় পেয়ে পালকির এক. কোণে বসে মনে মনে ঠাকুর-দেবতাদের স্মরণ করতে লাগলেন।
গ) খোকা ডাকাতদের সাথে কেমন লড়াই করল?
উত্তর : খোকা ডাকাতদের সাথে বীরপুরুষের মতো লড়াই করল। সেই লড়াইয়ে অনেক. ডাকাতের মাথা কাটা পড়ল, আর বাকিরা পালিয়ে বাঁচল।
৪. কবিতাংশটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : কবিতাংশে প্রকাশিত হয়েছে শিশুমনের কল্পনা। খোকা আর তার মা ডাকাতদের হামলার মুখে পড়ে। মা ভয় পেয়ে গেলেও খোকা মাকে অভয় দেয়। ডাকাতদের সাথে বীরের মতো লড়াই করে তাদের হারিয়ে দেয়। মনে মনে এভাবেই খোকা বীরপুরুষের মতো মাকে রক্ষা করার কথা ভাবে।
এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশটি পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে (৫) বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (৬) শূন্যস্থান পূরণ (৭) প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ. নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
……………………………………………………………..
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ. দেখাও।
ঙ্গ, ক্ত, ল্প, ট্ট, ক্ষ।
উত্তর :
ঙ্গ. = ঙ + গ.—–সঙ্গ
তুমি আমার সঙ্গে যাবে?
ক্ত = ক. + ত—–বিরক্ত
আমি তার ওপর বিরক্ত।
ল্প = ল + প—–গল্প
আমি দাদুর কাছে গল্প শুনি।
ট্ট = ট + ট—–চট্টগ্রাম
রাতুলের বাড়ি চট্টগ্রামে।
ক্ষ = ক. + ষ—–ক্ষতি
না ঘুমালে শরীরের ক্ষতি হয়।
৯. সঠিক. স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
(পদ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
১০. নিচের ক্রিয়াপদগুলোর চলিত রূপ লেখ।
যাইতেছি, উড়াইয়া, কাঁপিতেছে, পড়িল, লইতেছ।
উত্তর :
ক্রিয়াপদ ———-চলিত রূপ
যাইতেছি – যাচ্ছি
উড়াইয়া – উড়িয়ে
কাঁপিতেছে – কাঁপছে
পড়িল – পড়ল
লইতেছ – নিচ্ছ
১১. নিচের শব্দগুলোর সমার্থক. শব্দ লেখ।
মা, ঘোড়া, সূর্য, আলো, লড়াই।
উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক. শব্দ
মা – জননী, আম্মা।
ঘোড়া – তুরগ, বাজী।
সূর্য – দিবাকর, ভানু।
আলো – জ্যোতি, প্রভা।
লড়াই – যুদ্ধ, সংঘাত।
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমি বলছি, ‘ভয় কোরো না মা গো,
তুমি যেন আপন-মনে তাই
কোনোখানে জনমানব নাই,
ধূ ধূ করে যে দিক-পানে চাই,
ওই দেখা যায় মরা নদীর সোঁতা।’
ভয় পেয়েছ-ভাবছ, ‘এলেম কোথা।’
ক) কবিতার চরণগুলো সাজিয়ে লেখ।
খ) কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?
গ) কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ) মা ভয় পেয়ে যান কেন?
উত্তর :
ক) কবিতার চরণগুলো নিচে সাজিয়ে লেখা হলোÑ
ধূ ধূ করে যে দিক-পানে চাই,
কোনোখানে জনমানব নাই,
তুমি যেন আপন-মনে তাই
ভয় পেয়েছ-ভাবছ, ‘এলেম কোথা।’
আমি বলছি, ‘ভয় কোরো না মা গো,
ওই দেখা যায় মরা নদীর সোঁতা।’
খ) কবিতাংশটি ‘বীরপুরুষ’ কবিতার অংশ।
গ) কবিতাটির কবির নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
ঘ) আশপাশে যতদূর চোখ. যায় কোনো মানুষের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এমন নির্জন জায়গায় এসে মা ভয় পেয়ে যান।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।