HSC | ঐকতান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর | PDF : বাংলা ১ম পত্রের ঐকতান কবিতাটি হতে যেকোনো ধরনের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা ১ম পত্রের ঐকতান কবিতাটি হতে গুরুপূর্ণ কিছু জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
রিভিশন অংশ
আলোচ্য অংশে জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য বাড়ির কাজ, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা, জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর উলেখ করা হয়েছে। এ অংশটি অনুশীলনের মাধ্যমে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও জবারংরড়হ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
বাড়ির কাজ
‘ঐকতান’ কবিতায় পৃথিবীর বিচিত্র দেশ ও বৈচিত্র্যময় জনজীবনের সঙ্গে একাত্মতার যে আকাক্সক্ষা প্রকাশ পেয়েছে, তা ব্যাখ্যা কর।
‘ঐকতান’ কবিতায় কবি সমাজের প্রান্তিক ও অবহেলিত মানুষের প্রতি যে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন, তার স্বরূপ বিশ্লেষণ কর।
‘ঐকতান’ কবিতায় নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষের কর্মের প্রতি যে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে তা আলোচনা কর।
‘ঐকতান’ কবিতায় জনমানবের সঙ্গে কবির সম্পৃক্ততার আকাক্সক্ষা ও এ সংক্রান্ত বাস্তবতার দ্ব›দ্ব প্রসঙ্গে তোমার মতামত দাও।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকণিকা
এ মহাবিশ্বে অনেক দেশ, নদী, জীব ইত্যাদির সমাহার রয়েছে, যার অতি ক্ষুদ্র অংশই আমরা জানি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেকে পৃথিবীর কবি বলে দাবি করেছেন। তার মতো পৃথিবীতে আরো অনেক কবি আছেন। জীবনের নানা জটিলতার কারণে সমস্ত কবিদের ডাক আর বাণী একত্র হতে পারছে না। ফলে ঐক্যে ফাঁক রয়ে গেছে।
চাকচিক্য আর আভিজাত্যকে মানুষ প্রাধান্য দেয়। কিন্তু কবি কৃত্রিমতাকে সমর্থন করেন না। যে মাটির কাছাকাছি আছে, প্রকৃতির মতোই সত্য, কবি তার বাণী শোনার অপেক্ষায় আছেন।
যারা সামান্য পরিচয়ের সাধারণ মানুষ, কবি তাদের সম্মান করতে বলেছেন। বিশ্বের সব সাধারণ মানুষের অব্যক্ত সব কথাই কবির কাছে সাহিত্যের ঐকতান সংগীত হিসেবে বিবেচিত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ঐকতান’ কবিতাটি ‘জন্মদিনে’ নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে।
এ কবিতায় বিশাল পৃথিবীর বৈচিত্র্য ও কবির জ্ঞানের অপূর্ণতার কথা প্রকাশ পেয়েছে।
‘ঐকতান’ কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। এ কবিতায় ৮ + ৬ ও ৮ + ১০ মাত্রার পর্ব সবচেয়ে বেশি।
ক জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ১৮৬১ সালে
২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর : ১৯১৩ সালে
৩. কোন গ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর : ‘ঝড়হম ঙভভবৎরহম’ং-গ্রন্থের জন্য।
৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপাধি কী ছিল?
উত্তর : বিশ্বকবি।
৫. কবির পঠিত গ্রন্থে কী আছে?
উত্তর : ভ্রমণবৃত্তান্ত কাহিনি আছে।
৬. বিশাল বিশ্বের আয়োজনের এক কোণে কার মন জুড়ে থাকে?
উত্তর : কবির মন জুড়ে থাকে।
৭. কবির পঠিত ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকে কবি কী কুড়িয়ে আনেন?
উত্তর : কবি চিত্রময়ী বর্ণনার বাণী কুড়িয়ে আনেন।
৮. কীসের দীনতা কবির মনে?
উত্তর : জ্ঞানের দীনতা।
৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ঐকতান’ কবিতায় নিজেকে কোথাকার কবি বলে পরিচয় দিয়েছেন?
উত্তর : পৃথিবীর কবি বলে পরিচয় দিয়েছেন।
১০. চারদিকে ধ্বনি উঠলে তখন কবির মনে কীসের সুর জাগবে?
উত্তর : বাঁশির সুর জাগবে।
১১. কবির স্বরসাধনায় কী রয়ে গেছে?
উত্তর : কবির স্বরসাধনায় ফাঁক রয়েছে।
১২. কবি কোথায় প্রবেশের দ্বার খুঁজে পান না?
উত্তর : কবি অন্তরে প্রবেশের দ্বার খুঁজে পান না।
১৩. কবির অন্তরে প্রবেশের দ্বার খোঁজায় কী বাধা হয়ে আছে?
উত্তর : কবির অন্তরে প্রবেশের দ্বার খোঁজায় জীবনযাত্রার বেড়াগুলো বাধা হয়ে আছে।
১৪. কবি সমাজের উচ্চমঞ্চের কোথায় বসেছেন?
উত্তর : সংকীর্ণ বাতায়নে বসেছেন।
১৫. মাঝে মাঝে কবি ওপাড়ার কোথায় বিচরণ করেছেন?
উত্তর : প্রাঙ্গণের ধারে বিচরণ করেছেন।
১৬. কবি জীবনের সাথে কী যোগ করতে বলেছেন?
উত্তর : কবি জীবনের সাথে জীবন যোগ করতে বলেছেন।
১৭. জীবনের সাথে জীবন যোগ না হলে কীসে ব্যর্থ হবে গানের পসরা?
উত্তর : কৃত্রিম পণ্যে ব্যর্থ হবে গানের পসরা।
১৮. কবির জীবনে কীসের অপূর্ণতার কথা বলেছেন?
উত্তর : সুরের অপূর্ণতার কথা বলেছেন।
১৯. কার জীবনের শরিক হলে সত্য আত্মীয় অর্জন করা সম্ভব?
উত্তর : কৃষাণের জীবনের শরিক হলে সত্য আত্মীয় অর্জন করা সম্ভব।
২০. কীসের তাপে এদেশ শুষ্ক নিরানন্দ?
উত্তর : অবজ্ঞার তাপে।
২১. কবি কাকে শুষ্ক নিরানন্দ মরুভূমিকে রসে পূর্ণ করে দিতে বলেছেন?
উত্তর : জনের কবিকে।
২২. ‘ঐকতান’ কবিতায় কবি একতারা যাদের তাদের কোথায় সম্মান পাওয়ার কথা বলেছেন?
উত্তর : ঐকতান সংগীতসভায় সম্মান পাওয়ার কথা বলেছেন।
২৩. কারা সুখে-দুঃখে নতশির স্তব্ধ করে আছে বিশ্বের সম্মুখে?
উত্তর : মূর্খ যারা তারা সুখে-দুঃখে নতশির স্তদ্ধ করে আছে বিশ্বের সম্মুখে।
২৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : ১৯৪১ সালে
খ অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
১. কবি বিপুলা এ পৃথিবীর সব কিছু জানেন না কেন?
উত্তর : সংক্ষিপ্ত জীবনে জ্ঞানের অপূর্ণতার কারণে কবি বিপুলা এ পৃথিবীর সব কিছু জানেন না।
বিশাল এই পৃথিবীতে রয়েছে কত দেশ, নগর, রাজধানী, মানুষের কত কীর্তি, নদী-গিরি-সিন্ধু-মরুভূমি, কত অজানা জীব, অপরিচিত তরঙ্গ। সৃষ্টিজগতের এই সব জিনিস নিত্য বয়ে যাচ্ছে অগোচরে। কবির মন বিশাল এই বিশ্বের আয়োজনের অতি ক্ষুদ্র এক কোণে পড়ে আছে। তাই, কবির এই সংকীর্ণ জীবনের অর্জিত জ্ঞানের সুধা দ্বারা বিশাল পৃথিবীর সব কিছু অবলোকন করা অত্যন্ত দুরূহ।
২. “কৃত্রিম পণ্যে ব্যর্থ হয় গানের পসরা” বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : “কৃত্রিম পণ্যে ব্যর্থ হয় গানের পসরা” বলতে কবি বুঝিয়েছেন মানুষের সকল মহৎ কর্মই তাকে বাঁচিয়ে রাখে মহাকালের স্রোতে, কিন্তু সেই কর্ম মাঝে মধ্যেই ব্যর্থ করে দিয়ে যায় জীবনের কিছু অসৎ কর্ম ঢুকে।
কবি বলতে চেয়েছেন এই নশ্বর মানবজীবন একদিন মহাকালের অতলগর্ভে তলিয়ে যাবে। কিন্তু কিছু কিছু সুর, সংগীত, কর্ম মানুষকে চিরজীবন বাঁচিয়ে রাখে। যদিও তিনি মহাকালের অনিবার্য পরিণতি এড়াতে পারেন না তবুও তাঁর সৃষ্ট মহৎ কর্মগুলোই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখে অনন্তকাল। মানুষ এটা না বুঝে কৃত্রিম নকল কিছু আনুষ্ঠানিক কর্ম নিয়ে নিজেকে ব্যতিব্যস্ত রাখে, যা তার সারা জীবনের সঞ্চিত গানের পসরা ব্যর্থ করে দেয়।
৩. জীবনে জীবন যোগ করা প্রয়োজনীয় কেন?
উত্তর : শিল্প সাধনাকে পূর্ণতা দেয়ার জন্য জীবনে জীবন যোগ করা প্রয়োজনীয়।
কবির মতে, জীবনের সঙ্গে জীবনের সংযোগ ঘটাতে না পারলে শিল্পীর সৃষ্টি কৃত্রিম পণ্যে পরিণত হয়। অর্থাৎ, শিল্প-সাহিত্যে শ্রমজীবী মানুষের অবদান যথাযথভাবে স্বীকৃত না হলে শিল্প-সাহিত্য অপূর্ণ থেকে যায়। তাই শিল্প সাধনাকে পূর্ণ করতে জীবন যোগ করতে হবে। অর্থাৎ শ্রমজীবী মানুষকে শিল্প-সাহিত্যের অঙ্গণে যোগ্য স্থান দিতে হবে।
৪. ‘ঐকতান’ কবিতায় কবি কবির আবির্ভাব প্রত্যাশা করেছেন কেন?
উত্তর : কবি অখ্যাত মানুষের, অব্যক্ত মনের জীবনকে আবিষ্কার করার জন্য একজন কবির আবির্ভাব প্রত্যাশা করেছেন।
কবি সমাজের উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন বলে শ্রমজীবী মানুষের মর্মবেদনাকে আবিষ্কার করতে পারেননি। এ ব্যর্থতাকে পুষিয়ে দিতে কবি মহৎ একজন কবির আবির্ভাব প্রত্যাশী। যিনি অখ্যাত, পীড়িত মানুষের জীবনসত্যকে আবিষ্কার করতে সক্ষম হবেন।
৫. কবির মন ক্ষুদ্র এক কোণে আবদ্ধ থাকার কারণ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : বিশাল এ পৃথিবীর বিচিত্র আয়োজন কবি স্বচক্ষে দেখতে পারেননি বলে তাঁর মন ক্ষুদ্র এক কোণে আবদ্ধ।
জীবন ও জড় বৈচিত্র্যের বিশাল সম্ভার নিয়ে এই বিশাল জগৎ। কিন্তু অনেক কিছুই কবির অগোচরে রয়ে গেছে। কবির পক্ষে এ বিশাল পৃথিবী ভ্রমণ সম্ভব হয়নি। তাই তাঁর মন ক্ষুদ্র এক কোণে আবদ্ধ।
পরীক্ষা-প্রস্তুতি যাচাই অংশ
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন ১ । উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মানবকল্যাণে স্বয়ম্ভূ, বিচ্ছিন্ন, সম্পর্ক-রহিত হতে পারে না। প্রতিটি মানুষ যেমন সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত, তেমনি তার কল্যাণও সামগ্রিকভাবে সমাজের ভালো-মন্দের সঙ্গে সংযুক্ত। উপলব্ধি ছাড়া মানবকল্যাণ স্রেফ দান-খয়রাত আর কাঙালি ভোজনের মতো মানব-মর্যাদার অবমাননাকর এক পদ্ধতি না হয়ে যায় না, যা আমাদের দেশ আর সমাজে হয়েছে। এ সবকে বাহবা দেয়ার এবং এ সব করে বাহবা কুড়োবার লোকেরও অভাব নেই দেশে।
ক. কবি কাদের বাণী শুনতে চেয়েছেন? ১
খ. “এই স্বরসাধনায় পৌঁছিল না বহুতর ডাক, রয়ে গেছে ফাঁক” বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকটিতে ‘ঐকতান’ কবিতার কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকে প্রতিফলিত মানবকল্যাণের মূল সুর এবং ‘ঐকতান’ কবিতায় প্রতিফলিত মানবকল্যাণের মূল সুর এক ও অভিন্ন।”-মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. কবি তাদের বাণী শুনতে চেয়েছেন, যারা তার কাছে থেকেও দূরে অবস্থান করে।
খ. “এই স্বরসাধনায় পৌঁছিল না বহুতর ডাক, রয়ে গেছে ফাঁকা” বলতে কবি তাঁর নিজের সুরসাধনার ব্যর্থতাকে বুঝিয়েছেন।
‘ঐকতান’ কবিতায় কবি নিজের আনন্দানুভূতি, চাওয়া-পাওয়া, ব্যর্থতা-সফলতা প্রভৃতি ব্যক্তিগত বিষয় তুলে ধরেছেন। সেখানে প্রকৃতির বিচিত্র সৌন্দর্যের সুর মিলেমিশে এক হয়ে কবির অনুভূতিতে জেগে উঠেছে। তিনি পৃথিবীতে যেখানে যত ধ্বনি ওঠে, সুর ওঠে সেগুলোকে এক সুরে পেয়ে মুগ্ধ হন।
তাঁর বাঁশির সুরও সেই সুরটির সাথে মিলাতে চান। কিন্তু তিনি পুরোপুরি সফল হতে পারেন না তাঁর জ্ঞানের দীনতার জন্য। ফলে সেই সুর এবং কবির বাঁশির সুরের মধ্যে কোথায় যেন ফাঁক থেকে যায়।
টিপস্
গ. প্রথমে উদ্দীপকটি মনোযোগ সহকারে পড়ে তার মূল বিষয়বস্তু অনুধাবন কর। তারপর ‘ঐকতান’ কবিতার কোন অংশের সাথে উদ্দীপকের মিল আছে তা নির্দেশ করে ব্যাখ্যা কর। উদ্দীপকে যে মানবতাবোধ ও মানবকল্যাণে মাটির কাছাকাছি থাকা কবির বাণীর কথা বলা হয়েছে সেই বিষয়টি বিশ্লেষণ কর এবং উদ্দীপকে তা কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর এবং উভয়ের সাথে সাদৃশ্যের অংশটুকু তুলে ধর।
ঘ. উদ্দীপকটি ভালো করে পড় এবং এর ভাবগত দিক অনুধাবন কর। তারপর ‘ঐকতান’ কবিতায় উদ্দীপকের ঐ ভাবটি চিিহ্নত কর। উদ্দীপকে মানবকল্যাণের সুরটি কী? তা বুঝে, ঐকতান কবিতায় তা কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তা বুঝিয়ে দাও। এবার উদ্দীপক ও কবিতার মূলবক্তব্য পাশাপাশি আলোচনা কর। মূল্যায়ন অংশে তোমার বক্তব্য উপস্থাপন কর।
প্রশ্ন : ২। উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দেখিনু সেদিন রেলে,
কুলি বলে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিল নিচে ফেলে!
চোখ ফেটে এল জল,
এমন করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?
ক. অজ্ঞাত তারা কোন মেরুর ঊর্ধ্বে? ১
খ. “বাধা হয়ে আছে মোর বেড়াগুলি জীবনযাত্রার।”Ñ কবি কীসের বাধাকে বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘ঐকতান’ কবিতার সাথে কীভাবে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব ও চেতনা ‘ঐকতান’ “কবিতার মূলভাব ও চেতনার বিপরীতমুখী।”Ñ মন্তব্যটি কতটুকু সত্য? প্রমাণ কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. অজ্ঞাত তারা দক্ষিণ মেরুর ঊর্ধ্বে।
খ. “বাধা হয়ে আছে মোর বেড়াগুলি জীবনযাত্রার।” বলতে কবি নিম্নশ্রেণির মানুষের সাথে মিশতে না পারার কারণ বুঝিয়েছেন।
‘ঐকতান’ কবিতায় কবি নিম্নশ্রেণির সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে না পারার ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন। কবি তাঁর সাহিত্যকর্মে চাষি, মুটে, মজুর, তাঁতি, জেলে ইত্যাদি শ্রেণি-পেশার মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারেন নি।
তাঁর সমাজধর্ম ও আভিজাত্যবোধ তাঁর মনের চারদিকে প্রাচীর তুলে দিয়েছে। কবি তাই তাঁর উচ্চাসন ছেড়ে মাটির কাছাকাছি মানুষের সাথে মিশতে পারেন নি। এই বিষয়টিই আলোচ্য পঙ্ক্তিটিতে প্রকাশ পেয়েছে।
টিপস্
গ. প্রথমে উদ্দীপকটি মনোযোগ দিয়ে পড়। তারপর উদ্দীপকের বিষয় অনুধাবন করার চেষ্টা কর। একবার পড়ে অর্থ বুঝতে না পারলে একাধিকবার পড়। তারপর উদ্দীপকের কবিতাংশের ব্যাখ্যা করে এর মূলভাব এক বাক্যে স্থির কর। তারপর ‘ঐকতান’ কবিতার মূলভাব ব্যাখ্যা করে উদ্দীপকের সাথে বৈসাদৃশ্যগুলো তুলে ধর।
ঘ. উদ্দীপকটি একাধিকবার পড়ে এর মূলভাব অনুধাবন কর। তারপর ‘ঐকতান’ কবিতার মূলভাবের সাথে যেসব দিকের বিশেষ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় সেগুলো ব্যাখ্যা কর। উদ্দীপকের কবিতাংশের মূল চেতনা কী তা এক বা একাধিক বাক্যে ব্যাখ্যা কর।
অন্যদিকে ‘ঐকতান’ কবিতার মূল বিষয়বস্তু অনুধাবন করে কবিতার মূলচেতনা তুলে ধর। তারপর উভয়ের মধ্যে অমিলগুলো তুলে ধর। মূল্যায়ন অংশে তোমার মতামতসহ উদ্দীপক ও কবিতার মধ্যে চেতনাগত বৈসাদৃশ্যের দিকটি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দাও।
প্রশ্ন : ৩। উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জীবনবৈশিষ্ট্যই সংস্কৃতির মৌলিক নিয়ন্তা। মহত্তর লক্ষ্যে সকল আলাদা আলাদা সংস্কৃতির মধ্যে মিলনের একাত্মতার ঐক্যের সূত্র সব সময়েই আমরা খুঁজে পাব। কিন্তু আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার এবং সাংস্কৃতিক নিজস্বতার স্বীকৃতিতে পর্যুদস্ত করে ঐ লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে ব্যাপকতর কল্যাণ তো আসেই না; বরং মূলেই হানাহানি লেগে যায়। বিকশিত সংস্কৃতিতে ঐকসম্ভাবনার যে মুক্তি রয়েছে, স্বাতন্ত্র্যের সহজ স্বীকৃতির অভাবে সেই সম্ভাবনাই নষ্ট হয়ে যায়। অস্তিত্বকে অস্বীকার নয়, স্বীকার করার মধ্যেই বৃহত্তর ঐক্যের বীজ বিদ্যমান।
ক. কবির কোনটি বিচিত্র পথে গেলেও সর্বত্রগামী হয় নি? ১
খ. কল্পনায় অনুমানে ধরিত্রীয় মহা ‘ঐকতান’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘ঐকতান’ কবিতার কোন অংশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব ‘ঐকতান’ কবিতার অংশবিশেষের মূলভাবকে ধারণ করে, পুরো ভাবকে নয়।”মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ক. কবির লেখা কবিতা বিচিত্রপথে গেলেও সর্বত্রগামী হয়নি।
খ. “কল্পনার অনুমানে ধরিত্রীর মহা ঐকতান” বলতে কবি জগতের সমস্ত সুরের মিলিত সুরকে বুঝিয়েছেন।
‘ঐকতান’ কবিতায় কবি বহু সুন্দরের ও সুরের এক সুর হয়ে তাঁকে মুগ্ধ করার কথা বলেছেন। তিনি কল্পনায় জগতের সমস্ত সুরের মিলিত সুর মহা ঐকতান অনুমান করেছেন। তাঁর জীবনের বহু নিস্তব্ধ সময়ে সেই ঐকতান এসে তাঁর হৃদয়কে ভরিয়ে দিয়ে গেছে, মনকে পূর্ণ করে তুলেছে। সেই অশ্র“ত গান তুষারে আচ্ছন্ন দুর্গম পাহাড় ও নিঃশব্দ মহাশূন্য ঘুরে বারবার কবির অন্তরে এসে স্থান করে নিয়েছে। কবি সেই সুরের সাথে জেগে ওঠার নিমন্ত্রণ পেয়েছেন।
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | আনিসুজ্জামান | বাংলা ১ম পত্র | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-৯ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ | মাইকেল মধুসূদন দত্ত | PDF
HSC | বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | PDF
টিপস্
গ. প্রথমে উদ্দীপকটি ভালো করে পড় এবং এর মূলভাব অনুধাবন কর। তারপর উদ্দীপকটি ‘ঐকতান’ কবিতার যে অংশকে নির্দেশ করে সেই অংশটুকু চিিহ্নত কর। ঐ চিিহ্নত অংশের মূলভাব ব্যাখ্যা করে উদ্দীপকের সাথে মিল আছে কি না তা যাচাই কর। যে যে মিল খুঁজে পাবে সেগুলো দিয়ে উদ্দীপক ও কবিতার ঐ চিিহ্নত অংশের সাথে সাদৃশ্য তুলে ধরবে।
ঘ. উদ্দীপকটি পড়ে এর মূলভাব অনুধাবন কর এবং ‘ঐকতান’ কবিতার যে অংশের সাথে তার মিল পাওয়া যায় তা চিিহ্নত কর। তারপর ঐ চিিহ্নত অংশের মূলভাবের বাইরে ‘ঐকতান’ কবিতার আর কী কী বিষয় আছে তা একে একে উলে¬খ কর। এতে করে কবিতার পুরো বিষয়বস্তুটি উঠে আসবে। মূল্যায়ন অংশে তোমার মতামতসহ উদ্দীপকের মূলভাব কবিতার মূলভাবের একটি বিশেষ অংশ ছাড়া আর বাকি অংশকে যে নির্দেশ করে নি তা তুলে ধর।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।