SSC | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ১ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | PDF : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পত্রের প্রথম অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পত্রের প্রথম অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
১ নং সৃজনশীল প্রশ্ন
‘ক’ এলাকার পূর্বদিকের জনগণ শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ ও অবহেলার বিরুদ্ধে ১০ দফা দাবি করে আন্দোলন করে। সরকার একে বিচ্ছিন্ন কর্মসূচি বলে আখ্যায়িত করে। ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি আন্দোলনের পর পূর্বদিকের জনগণ আলাদা রাষ্ট্র গঠন করতে সক্ষম হয়।
ক. যুক্তফ্রন্টভুক্ত কৃষক-শ্রমিক পার্টির নেতা কে ছিলেন?
খ. আওয়ামী মুসলিম লীগ কীভাবে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে? ব্যাখ্যা কর।
গ. পূর্বদিকের প্রথম আন্দোলনটি পূর্ববাংলা কোন আন্দোলনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর বাংলাদেশ নামক আলাদা রাষ্ট্র পূর্বদিকের জনগণের রাষ্ট্রের মতোই গঠিত হয়েছিল? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. যুক্তফ্রন্টভুক্ত কৃষক শ্রমিক পার্টির নেতা ছিলেন শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক।
খ. আওয়ামী মুসলিম লীগ অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শ ধারণ করে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে।
আওয়ামী মুসলিম লীগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব বাংলার আপামর জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষা করা। এ কারণে ১৯৫৫ সালে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে দলটি অসাম্প্রদায়িক আদর্শের অনুসারী হয়। ফলে ধর্ম পরিচয় নির্বিশেষে সকল বাঙালি ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীসমূহ জাতীয়তাবাদের ধারায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
গ. পূর্বদিকের প্রথম আন্দোলনটি উদ্দেশ্যগত দিক থেকে পূর্ববাংলার ৬ দফা আন্দোলনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
৬ দফা আন্দোলনকে পূর্ব বাংলার মুক্তির আন্দোলন বলা যায়। এই আন্দোলন পশ্চিম পাকিস্তানের সকল বৈষম্যমূলক আচরণ ও অবহেলা থেকে, তাদের অন্যায় শোষণ থেকে মুক্তির আন্দোলন ছিলো। উদ্দীপকেও একই ধরনের প্রেক্ষাপটে পূর্ব দিকের ১০ দফা আন্দোলনটি সংঘটিত হয়েছে।
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর থেকেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে। তাদের অন্যায় শাসন ও শোষণের ফলে ধীরে ধীরে বাংলার মানুষের মনে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এর ফলশ্রæতিতে সংগঠিত হয় বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় ভাষা আন্দোলন।
তবে পাকিস্তানিদের চরম বৈষম্যমূলক আচরণ ও অবহেলার বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম সুস্পষ্ট রূপলাভ করে ৬ দফার স্বায়ত্তশাসনের দাবিনামায়। ৬ দফা পূর্ব বাংলার জনগণের অর্থনৈতিক রাজনৈতিক, সামরিকসহ সকল অধিকারের কথা তুলে ধরে। আইয়ুব সরকার একে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মসূচি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।
উদ্দীপকেও ‘ক’ এলাকার পূর্ব দিকের জনগণ শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছে। তাদের এই যৌক্তিক আন্দোলনকেও পূর্ব বাংলার ৬ দফার আন্দোলনের ন্যায় শাসকগোষ্ঠী ‘বিচ্ছিন্ন কর্মসূচি’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সুতরাং এ দুই আন্দোলনের মধ্যে সুস্পষ্ট মিল বিদ্যমান।
ঘ. বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পূর্বদিকের জনগণের রাষ্ট্রের মতোই গঠিত হয়েছিল বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এ দেশের জনগণকে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ক’ এলাকার পূর্বদিকের রাষ্ট্রটিও অনুরূপ সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে।
৬ দফা ছিল পূর্ব বাংলার মুক্তিসনদ। এ কর্মসূচি বাঙালির জাতীয় চেতনা মূলে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার কথা বলা না হলেও এ ৬ দফা কর্মসূচি বাঙালিদের স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তোলে।
এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি সরকার বঙ্গবন্ধু বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক আগরতলা মামলা দায়ের করলে ছাত্রদের এগারো দফা আন্দোলন শুরু হয়। ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলনের ফলে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়।
এর ফলে পূর্ব বাংলার জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ১৯৬৯ সালে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন সংঘটিত হয়। ইতিহাসে এটি ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান নামে পরিচিত।
পরবর্তীতে ৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ঘটনাটিও গুরুত্বপূর্ণ। এরপর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা এবং দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা অর্জন করে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে সুস্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছে।
২ নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
কোনো এক নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ‘কৎ নামক দল কেন্দ্রীয় আইন পরিষদে নির্ধারিত ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭টি এবং প্রাদেশিক আইন পরিষদে নির্ধারিত ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮ আসনে বিজয়ী হয়। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল ‘ক’ দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের চরম বিরোধিতা ও ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
ক. যুক্তফ্রন্ট সরকার কতদিন ক্ষমতায় ছিল?
খ. কোন কোন দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়?
গ. উদ্দীপকে কোন নির্বাচনের প্রতিফলন হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পরবর্তী ঘটনা প্রবাহে উদ্দীপকে প্রতিফলিত নির্বাচনের প্রভাব বিশ্লেষণ কর।
২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. যুক্তফ্রন্ট সরকার মাত্র ৫৬ দিন ক্ষমতায় ছিল।
খ. আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম ও গণতন্ত্রী দল-এ চারটি দল নিয়ে কেন্দ্রীয় যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিলো।
প্রাদেশিক সরকার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানা পূর্ব বাংলার জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয় ঘটানোর লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালের ১৪ নভেম্বর আওয়ামী লীগ যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলো।
গ. উদ্দীপকে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের প্রতিফলন হয়েছে।
১৯৭০ সালের নির্বাচন ছিল তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রথম ও শেষ সাধারণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। এসব দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন (৭টি মহিলা আসনসহ) লাভ করে।
প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ৩০০টি নির্ধারিত আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসনে বিজয়ী হয়। এতদসত্তে¡ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে চরম বিরোধিতা ও ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কিত উল্লিখিত তথ্যসমূহের সাথে উদ্দীপকের ইঙ্গিতকৃত নির্বাচনের পুরোপুরি সাদৃশ্য রয়েছে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের প্রতিফলন রয়েছে।
- আরো পড়ুন:-পৌরনীতি ও নাগরিকতা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রথম অধ্যায়
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর PDF
- আরো পড়ুন:- PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDF অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDF
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত ১৯৭০ সালের নির্বাচনের প্রভাব ১৯০ সালের নির্বাচন পরবর্তী ঘটনা প্রবাহে ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত নির্বাচনে ‘ক’ দল কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন এবং প্রাদেশিক আইন পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আমসে জয় লাভ করে। যা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত আসন সংখ্যার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করার কারণে ৬ দফা ও ১১ দফার প্রতি জনগণের অকুন্ঠ সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক বিজয় ঘটে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান গ্রহণ করে।
১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যূদয়ের পিছনে এই নির্বাচনের অপরিসীম গুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে উঠে। এই নির্বাচন বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রাকে মুক্তিযুদ্ধের চরিত্র দানে বিশাল ভূমিকা রাখে। পরিণতিতে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ১৯৭০ সালের নির্বাচন পরবর্তী ঘটনা প্রবাহে উদ্দীপকে প্রতিফলিত নির্বাচনের প্রভাব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তরঃ
প্রশ্ন: ১. কত সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৫৩ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়।
প্রশ্ন: ২. ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ গানটি কে লিখেছেন?
উত্তর: ‘ওরা আমার মুখে ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ গানটি লিখেছেন আব্দুল লতিফ।
প্রশ্ন: ৩. পাকিস্তানকালীন সময়ে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন কত তারিখে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৫৪ সালের ৮ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন: ৪. পাকিস্তানের গর্ভনর কত তারিখে যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বরখাস্ত করে?
উত্তর: পাকিস্তানের গর্ভনর ১৯৫৪ সালের ৩০ মে যুক্তফ্রন্ট সরকারের বরখাস্ত করে।
প্রশ্ন: ৫. ছয় দফা দাবিতে মুদ্রার ক্ষেত্রে কী বলা হয়েছিল?
উত্তর: সারা দেশে অবাধে বিনিময়যোগ্য দু’ধরনের মুদ্রা থাকবে, না হলে বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে একই ধরনের মুদ্রা থাকবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তরঃ
প্রশ্ন: ১. জাতীয়তাবোধ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: জাতীয়তাবোধ হলো সমজাতীয় রাজনৈতিক চেতনা, মতাদর্শ ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক আদর্শ। বাঙালির জাতীয়তাবাদের বিকাশে ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে। ভাষা কেন্দ্রিক এই ঐক্যই বাঙালিদের জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি রচনা করে যা পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রশ্ন: ২. ‘তমদ্দুন মজলিশ’ সংগঠনটির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে তমদ্দুন মজলিশ সংগঠনটি।
মূলত রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সংগঠনটি গড়ে ওঠে। এ সংগঠন ১৫ সেপ্টেম্বর ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাসা বাংলা না উর্দু’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে। এছাড়া ‘তমদ্দুন মজলিশ’ ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে।
প্রশ্ন: ৩. আওয়ামী মুসলিম লীগের গঠন সম্পর্কে লেখ।
উত্তর: মুসলিম লীগের দ্বি-জাতিতাত্তি¡ক ধ্যান-ধারণা থেকে বের হয়ে প্রগতিশীল বাঙালি রাজনৈতিক নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালের ২৩-২৪ জুন এক সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠন করে। প্রথম সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হক এবং যুগ্ম সম্পাদক হন শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রশ্ন: ৪. কীভাবে পূর্ববাংলা একটি প্রদেশে পরিণত হয়?
ধর্মীয় ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছিল। তৎকালীন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলসমূহ নিয়ে গঠিত হয়েছিল পাকিস্তান রাষ্ট্র। আর পূর্ববাংলাও ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল। তাই পূর্ববাংলাকে পাকিস্তান রাষ্ট্রের একটি প্রদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর এভাবেই পূর্ববাংলা পাকিস্তানের একটি প্রদেশে পরিণত হয়।
প্রশ্ন: ৫. আইয়ুব খান প্রবর্তিত মৌলিক গণতন্ত্রের ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান প্রবর্তিত এক বিশেষ ব্যবস্থান হল মৌলিক গণতন্ত্র। এ ব্যবস্থায় পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে মোট ৮০ হাজার নির্বাচিত ইউনিয়ন কাউন্সিল সদস্য নিয়ে নির্বাচনমন্ডলী গঠন হবে। তাদের ভোটেই রাষ্ট্রপতি জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিধান রাখা হয়। এটি ছিল পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিমূলক ব্যবস্থা।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।