SSC-জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক সব প্রশ্নের উত্তর | কপোতাক্ষ নদ মূলত মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত একটি কবিতা । এই কবিতায় তিনি নিজের জন্মভূমির কথা স্মরণ করেছেন ।কপোতাক্ষ নদ কবিতার যেকোনো ধরনের প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন ।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য কপোতাক্ষ নদ কবিতা হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতে যাচ্ছি । সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
SSC-জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক সব প্রশ্নের উত্তর | কপোতাক্ষ নদ
জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন-১. বাংলা কাব্যে সনেটের প্রবর্তন করেন কে?
উত্তর: বাংলা কাব্যে সনেচের প্রবর্তন করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
প্রশ্ন-২. কবির মনে সর্বদা কোন নদের কথা মনে পড়ে?
উত্তর: কবির মনে সর্বদা কপোতাক্ষ নদের কথা মনে পড়ে।
প্রশ্ন-৩. কবি কীসের ছলনায় প্রাণ জুড়ান?
উত্তর: কবি ভ্রান্তির ছলনায় প্রাণ জুড়ান।
প্রশ্ন-৪. নিশার স্বপনে লোকে কী শোনে?
উত্তর: নিশার স্বপনে লোকে ‘মায়া-মন্ত্রধ্বনি’ শোনে।
প্রশ্ন-৫. ‘সতত’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘সতত’ শব্দটির অর্থ সর্বদা।
কপোতাক্ষ নদ কবিতার অনুধবনমূলক প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন-১. কপোতাক্ষ নদ সর্বদা কবির মনকে কীভাবে আলোড়িত করে?
উত্তর: কবি সর্বদাই কপোতাক্ষ নদের চিন্তায় বিভোর হয়ে থাকেন।
কবির মন সারাক্ষণই কপোতাক্ষকে স্মরণ করে চলে। একান্ত নির্জনে বসেও কবি কপোতাক্ষের স্মৃতি রোমন্থর করেন। প্রবাসে বসেও যেন তিনি কপোতাক্ষের কলকল ধ্বনি শুনতে পান। কপোতাক্ষ নদের কোনো বিকল্প কবি চিন্তাও করতে পারে না।
প্রশ্ন-২. ‘আর কি হে হবে দেখা?’ কবির এ ভাবনার কারণ কী?
উত্তর: কবি প্রবাসী হযে যাওয়ায় তাঁর মনে এ আশঙ্কা কাজ করেছে।
কবি সুধূর ফ্রান্সে গিয়ে বসবাস করছিলেন। দূরে বসেও তিনি সর্বদা বহু স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদের কথা চিন্তা করেন। কপোতাক্ষের সাথে পুনরায় দেখা হওয়ার অনিশ্চয়তা তাঁকে বেদনার্ত করে তোলে। তিনি বুঝতে পারেন না কপোতাক্ষ নদের সাথে তাঁর আবার দেখা হবে কি না।
প্রশ্ন-৩. ‘সততা তোমার কথা ভাবি এ বিরলে’Ñউক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কবি সর্বদা একান্ত নিরিবিলিতে কপোতক্ষ নদের কথাই ভাবেন।
কপোতাক্ষ নদ হচ্ছে কবির শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত নদী। সুদূর ফ্রান্সে বসবাস করা সত্তে¦ও শৈশবের এ নদীটিকে ভলতে পারেননি। সর্বদা তাঁর পাশে পাশেই থাকে। তাই তিনি একান্ত মুহুত্যে সর্বদা কপোতাক্ষ নদের কথাই ভাবেন।
প্রশ্ন-৪. ‘কপোতাক্ষ নদ’ একটি চতুর্দশপদী কবিতাÑ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটির রয়েছে চৌদ্দটি চরণ। এ চরণগুলোর মাঝে রয়েছে বিশেষ ধরনের অন্ত্যমিল যা চতুদর্শপদী কবিতার বৈশিষ্ট্যকেই ইঙ্গিত করে।
এর অনাত্যমিল বিন্যাস হচ্ছে-কখকখখকখ গঘগঘগঘ। কপোতাক্ষকে স্মরণ করার নানা ভঙ্গিমার মাধ্যমে কবি অষ্টকে ভাবের প্রর্বনা করেছেন এবং এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যমে ভাবের পরিণতি দেখিয়েছেন। তাই এটি একটি চতুর্দশপদী কবিতা।
প্রশ্ন-৫. ‘লইছে যে তব নাম বঙ্গের সঙ্গীতে’-উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কবি প্রবাসজীবনেও তাঁরা গানে, কবিতায় শৈশব স্মৃতিবিজড়িত নদীর গুনগান গেয়েছেন।
কপোতাক্ষ নদ কবির হৃদয়ের সবটুকু কাতরতা দখল করে আছে বলে তিনি বঙ্গবাসীর নিকটও তা কাব্যে ও গানে ব্যক্ত করেন। তাই প্রবাসজীবনেও তাঁর সকল গান ও কবিতায় শৈশব স্মৃতিবিজড়িত নদীর নামই নিয়েছেন।
প্র্যাকটিস অংশ:- জ্ঞান (ক) ও অনুধাবনমূলক (খ) প্রশ্ন
১. সনেট কী?
২. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের কোন কাব্যের অন্তর্গত?
৩. চতুর্দশপদী কবিতার প্রবর্তক কে?
৪. বহু দেশে কবি কী দেখেছেন?
- ৫. কপোতাক্ষ নদকে কবির কখন মনে পড়ে?
- ৬. “সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে” -কবি কার কথা ভাবেন?
- ৭. নদী কাকে প্রজারূপে বারিরূপ কর দান করে?
- ৮. কবির কাছে ‘দুগ্ধ -স্রোতোরূপী’ কোনটি?
- ৯. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটির উৎস নির্দেশ কর।
১০. সনেটের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
১১. চতুর্দশপদী কবিতা কাকে বলে?
১২. কপোতাক্ষ নদের সঙ্গে কবির সম্পর্ক নির্দেশ কর।
১৩. কপোতাক্ষ নদের কাছে কবির মিনতি ব্যাখ্যা কর।
- ১৪. ‘ভ্রান্তির ছলনে’-বলতে কবি কী বুঝাতে চেয়েছেন?
- ১৫. “সনেটের গঠন-প্রকৃতি ও চরণের মিল নির্দিষ্ট।”-ব্যাখ্যা কর।
- ১৬. সবসময় কপোতাক্ষের কথা কবির মনে পড়ার কারণ দর্শাও।
- ১৭. দুগ্ধ স্রোতের সাথে কিসের তুলনা করা হয়েছে?
১৮. “দুগ্ধ -স্রোতোরূপী তুমি জš§ভ‚মি স্তনে।” -ব্যাখ্যা কর।
১৯. “আর কিহে হবে দেখা?” – কবির এ সংশয়ের কারণ ব্যাখ্যা কর।
২০. “¯েœহের তৃষ্ণা’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
১ নং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর:
“আবার আসিব ফিরে ধানঁিড়ির তীরে- এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শঙ্খচির শালিকের বেশে; হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়।”
ক. চতুর্দশপদী কবিতা কী?
খ. “এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে/লইছে যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে”- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতা ও উদ্দীপকে কবির আকুলতা একই ধারায় উৎসারিত কবিতা ও উদ্দীপক অনুসারে বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ- (ক).
চতুর্দশপদী কবিতা হলো চৌদ্দ চরণসমন্বিত ভাবসঙ্গত সুনির্দিষ্ট কবিতা।
উত্তরঃ- (খ).
স্বদেশ আর স্বভাষা ছাড়া অন্য কোন দেশ ও ভাষা যে মানুষের আশ্রয় হতে পারে না, তার অকাট্য প্রমাণ ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
কবি একসময় বিদেশী ভাষার প্রতি প্রবলভাবে আকৃষ্ট হয়ে নিজ দেশ ও ভাষাকে অবজ্ঞা করে পাড়ি জমান সুদূও ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে। তিনি প্রবাসে থেকেও কপোতাক্ষ নদেও কথা স্মরণ করেন। দূর প্রবাসে বসে তাই কপোতাক্ষের কাছে অনুরোধ করেছেন।
তিনি যেমন হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা দিয়ে স্মরণ করেছেন এ নদকে, তেমনি এ নদও যেন তাঁকে স্মরণ করে তাঁর নাম পৌঁছে দেয় বঙ্গবাসীর কানে। কপোতাক্ষের প্রতি কবির এ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে গভীর স্বদেশপ্রেমেরই উৎসারণ ঘটেছে।
উত্তরঃ- (ঘ).
উদ্দীপকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার স্বদেশের প্রতি গভীর আকর্ষন অনুভব করার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবি সাহিত্য সাধনার শুরুর দিকে স্বদেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমান। কিন্তু স্বদেশকে তিনি কোন মতে ভুলতে পারেননি।
বিশেষ করে তার শৈশবের নদ কপোতাক্ষ ছিল তার ভালবাসার প্রতীক। এ নদের তীওে কবি পেয়েছেন মানসিক প্রশান্তি ও তুপ্তি।মূলত কবি বিদেশ থেকেও এ নদের মাধ্যমে স্বদেশকে স্মরণ করেছেন।
উদ্দীপকের কবিও স্বদেশের প্রতি গভীর টান অনুভব করেন। তিনি মৃত্যুও পরও স্বদেশে ফিরে আসতে চান। স্বদেশের প্রকৃতির মাঝে খুঁজে পান প্রাণের স্পন্দন। কবিতায় কবির মধ্যেও এরূপ দেশপ্রেম বিদ্যমান। তাই বলা যায়,উদ্দীপকে কবিতায় বর্ণিত দেশপ্রেমের দিকটি প্রতিয়লিত হয়েছে।
উত্তরঃ- (ঘ).
‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতা ও উদ্দীপকের কবির আতুলতা দেশপ্রেমের ধারায় উৎসারিত।
‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবি দেশপ্রেমে উদ্বুগ্ধ। সাহিত্য সাধনার শুরুর দিকে স্বদেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমান। কিন্তু স্বদেশকে তিনি কোন মতে ভুলতে পারেননি।
তার স্মৃতি জেগে আছে কপোতাক্ষ নদের কল কল ধ্বনিঅ কবির শৈশবের নদ এটি।এই নদের তীওে কবি পেয়েছেন ¯েœহ, মমতা। তাই বিদেশ থেকেও কবির স্মৃতিতে স্বদেশ চিরভাস্বর।
উদ্দীপকের কবির মধ্যে আকুলতা বিদ্যমান। কবি বার বার বাংলার বুকে ফিরে আসতে চান। বাংলা প্রকৃতির প্রতি গভীর মমত্ব তার। এদেশের প্রকৃতির মাঝে তিনি পেয়েছেন তৃপ্তির আনন্দ। তাই কবি মৃত্যুর পরও বিভিন্ন বেশে এদেশের প্রকৃতিতে ফিরে আসতে চান।
স্বদেশের প্রতি আর্কষণ মানুষের চিরকালীন। আর উদ্দীপকের কবি ও ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি দুজনই স্বদেশ প্রেমে উদ্বুগ্ধ। তাই সঙ্গত কারণেই বলা যায়, উভয় কবির চেতনা দেশপ্রেম থেকে উৎসারিত।
২.নং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরে শফিক জন্মগ্রহণ করে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে শফিককে তার স্বদশে ছেড়ে পাড়ি জমাতে হয় সুদূও সৌদি আরবে। কিন্তু দূর প্রবাসে বসে দেশের স্মৃতি মনে হয়, তখন তার অন্তরাত্মা হু হু করে কেঁদে ওঠে। স্বদেশে ফিরে আসার জন্যমুখ থেকে বার বার ধ্বনিত হয় করুণ আর্তি।
ক. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কোন জাতীয় কবিতা?
খ. ‘যেমতি লোকে নিশার স্বপনে শোানে মায়ামন্ত্র ধ্বনি’- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শফিকের যে মানসিক দিকটি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির সাথে সাদৃশ্য রয়েছে- তা নিরুপণ কর।
ঘ. “প্রবাসঝবিনে শফিকের তৃষ্ণার্ত মন তিতাসের স্মৃতিতে ভারাক্রান্ত”। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার আলোকে শফিকের স্বদেশ প্রেমের স্বরূপ আলোচনা কর।
উত্তরঃ- (ক).
‘কপোতাক্ষ নদ’ সনেট জাতীয় কবিতা।
উত্তরঃ- (খ).
প্রশ্নোক্ত চরণটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে কবি বিদেশ থেকেও তার প্রিয় নদের কল কল ধ্বনি শয়নে স্বপনে শুনতে পান।
কবি মোহের বশবর্তী হয়ে স্বদেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু তার প্রিয় নদ কপোতাক্ষকে কিছুতেই ভুলতে পারেননি। জন্মভূমির শৈশব-কৈশোরের বেদনা-বিবুর স্মৃতি তাঁর মনে জাগিয়েছে কাতরতা। তাই কবি বিদেশ থেকেও শয়নে-স্বপনে এর ধ্বনি শুনতে পেয়েছেন।
উত্তরঃ- (গ).
উদ্দীপকে উল্লিখিত শফিকের দেশপ্রেমের মানসিক দিকটি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবির মধ্যে গভীর দেশপ্রেমের চিত্র ফুটে উঠেছে। কবি সাহিত্য সাধনার শুরুর দিকে স্বদেশ ছেড়ে পাড়ি জমান বিদেশে। কিন্তু বিদেশে অবস্থান করলেও তিনি মুহূর্তেও জন্য কপোতাক্ষ নদ ঘেরা আপন ভূমিকে ভুলতে পারেননি।
কপোতাক্ষ নদের তীরে কাটানো শৈশব স্মৃতি বার বার তার হৃদয়কে আন্দোলিত করছিল। তাই কবি কপোতাক্ষ নদের মাধ্যমে তার প্রিয় দেশকে স্মরণ করেছেন।
উদ্দীপকে শফিক তিতাস নদীর তীরে জন্মগ্রহন করেছেন। জীবিকার তাগিদে সে পাড়ি জমায় দূর প্রবাসে। কিন্তু স্বদেশের স্মৃতি সে ভুলতে পারেনি। তাই বিদেশে বসে স্বদেশের জন্য তার প্রাণ কেঁদে উঠেছে। যা কবিতার কবির মধ্যেও লক্ষণীয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের শফিক দেশপ্রেমের মানসিকতায় কবিতার কবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
উত্তরঃ- (ঘ).
উদ্দীপকের শফিক তার স্মৃতিবিজড়িত নদী তিতাস এবং ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি কপোতাক্ষ নদের মাধ্যমে দেশপ্রেম ফুটিয়ে তুলেছেন।
কপোতাক্ষ নদ কবির শৈশবের নদ। এ নদকে ঘিরে আছে তার শৈশবস্মৃতি। যা কবির মনে চিরজাগ্রত। তাই তিনি বিদেশ থেকেও এ নদকে স্মরণ করেছেন। তার স্মৃতিতে বার বার ভেসে উঠেছে এ নদের ¯েœহ-মমতা। তাই কবি এ নদের মাধ্যমে স্মরণ করেছেন তার প্রিয় মাতৃভূমিকে।
উদ্দীপকে শফিক তিতাস নদীর তীরে জন্মেছে। এ নদীর তীরে কেটেছে তার শৈশব। আজ জীবিকার তাগিদে সে বিদেশে অবস্থান করলেও এ নদের স্মৃতি তার মনে সদা জাগ্রত রয়েছে। মূলত এ নদীর স্মৃতিকে ঘিরেই তার উজ্জল দেশপ্রেম ফুটে উঠেছে।
উদ্দীপকের শফিক তিতাস নদীর মাধ্যমে তার দেশপ্রেম প্রকাশ করেছে। ঠিক একই ভাবে কবিতার কবির মধ্যে প্রিয় কপোতাক্ষ নদের মাধ্যমে দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে। তাই বলা যায়, তারা দুজনেই দেশপ্রেমিক।
৩. নং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর:
(র) সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!
কথা তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;
সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনে
শোনে মায়া-মন্ত্রধ্বনি) তব কল কলে
জুড়াই জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!
(রর) এ আমার শৈশবের নদী, এই জলের প্রহার
সারাদিন তীর ভাঙে, পাক খায়, ঘোলা স্রোত টানে
যৌবনের প্রতীকের মতো অসংখ্য নৌকার পালে
গতির প্রবাহ হানে।
(আন্ত:শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রণীত প্রাক নির্বাচনি পরীক্ষা : ২০০৯)
(ক) উদ্দীপকের প্রথম অংশটুকু কোন কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে?
(খ) ‘ভ্রান্তির ছলনে’ – বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
(গ) উদ্দীপকের কোন অংশে রচয়িতার ¯েœহের তৃষ্ণা মুখ্য হয়ে
উঠেছে – তা নিরূপণ কর।
(ঘ) “কবিতাংশ দু’টির মূলভাব একই ধারায় উৎসারিত”-বক্তব্যটির যথার্থতা বিশে−ষণ কর।
উত্তরঃ- (ক).
উদ্দীপকের প্রথম অংশটুকু ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
উত্তরঃ- (খ).
‘ভ্রান্তির ছলনে’ অর্থ ভ্রান্তির ছলনায়। কপোতাক্ষ নদ কবিতায় কবি ‘আশার ছলনা’ – কে বোঝাতে চেয়েছেন।
‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি খ্যাতি লাভের আশায় নিজ দেশ ও
সংস্কৃতি ত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু প্রবাসে এক সময় তাঁর মাতৃভ‚মির প্রতি তীব্র আকষর্ণ সৃষ্টি হয়। তাঁর প্রবাসে চলে যাওয়াও নদীর ধ্বনি শোনাকে ‘ভ্রান্তির ছলনে’ বলেছেন।
উত্তরঃ- (গ).
উদ্দীপকের দু’টি অংশের প্রথমটি নেওয়া হয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতা থেকে এবং দ্বিতীয় অংশটি নেওয়া হয়েছে কবি আল মাহমুদের ‘তিতাস’ কবিতা থেকে।
‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে অবস্থানকালে শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদের স্রোতধ্বনি শোনা বাস্তবে সম্ভব নয় বলে স্মৃতিকাতর মনে বিভ্রম তৈরি হচ্ছে। তাই উদ্দীপকের প্র ম অংশে কবির স্মৃতিকাতরতায় স্নেহের আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে।
দ্বিতীয় অংশে কবি আল মাহমুদের শৈশবের নদীর সৌন্দর্যের বর্ণনা আছে। এ নদীর সঙ্গে কবির আজীবনের সখ্যতা।
তাই উদ্দীপকের প্রথম অংশে রচয়িতার স্নেহের তৃষ্ণা প্রকাশিত হয়েছে।
উত্তরঃ- (ঘ).
উদ্দীপকের প্র ম অংশ কবি মাইকেল মধুসদ ন দত্ত রচিত “কপোতাক্ষ নদ” কবিতার প্র মাংশ। কবি স্বধমর্ ও স্বদেশ পরিত্যাগ করে দীর্ঘকাল প্রবাসে জীবনযাপন করেন। “কপোতাক্ষ নদ” কবিতাংশের প্রতি ছত্রে ধ্বনিত হয়েছে কবির করণ“ আতির্।
শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদের স্রোতধ্বনি বা ঝবে শোনা সম্ভব না হলেও স্মৃতিকাতর মনের বিভ্রম হিসেবে কবি কপোতাক্ষের কলকল ধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তার তীব্র দেশপ্রেম প্রকাশ পাচ্ছে।
দ্বিতীয় অংশ আল মাহমুদের ‘তিতাস’ কবিতায় নদী তাঁর জীবনযাপনের এক অনিবাযর্ অনুষঙ্গ অনুভ‚তিটির মধ্য দিয়েও ম লত দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে। গভীর মমত্ববোধসহকারে দু তীরের দৃশ্যাবলি ও নদীর স্রোতধারার সৌন্দর্যের উপস্থাপনে কবি তাঁর দেশপ্রেমকে চিত্রিত করেছেন।
“কবিতাংশ দুটির ম লভাব একই ধারায় উৎসারিত” − বক্তব্যটি যথাথ।
৪. নং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ছোটকালে ছিলাম বাঙালিদের বালুচরে,
সাঁতরায়ে নদী পাড়ি দিতাম বারবার এপার হতে ওপারে,
ডিভি লটারি সুযোগ করে দিলে ছুটে চলে যায় আমেরিকায়
কিন্তু আজ মন শুধু ছটফটায় আর শয়নে স্বপনে বাড়ি দিয়ে যায়,
মধুময় স্মৃতিগুলো আমাকে কাঁদায়, তবু দেশে আর নাহি ফিরা হয়।
- (ক) সনেটের ষষ্টকে কী থাকে?
- (খ) ‘স্নেহের তৃষ্ণা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
- (গ) উদ্দীপকে প্রতিফলিত অনুভূতি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার আলোকে তুলে ধর।
- (ঘ) “উদ্দীপকে প্রতিফলিত অনুভূতির অন্তরালে যে ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে তাই ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মূলভাব” কথাটির সত্যতা বিচার কর।
(ক) জ্ঞানমূলক :
সনেটের ষষ্টকে ভাবের পরিণতি থাকে।
(খ) অনুধাবনমূলক :
‘স্নেহের তৃষ্ণা’ বলতে কপোাতক্ষ নদ কবির গভীর মমত্ববোধকে বোঝানো হয়েছে।
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত শৈশবে কপোতাক্ষ নদের প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন। কিন্তু তিনি যখন বিদেশে পাড়ি জমান তখন বারবার শৈশবের স্মৃতি তাঁর মনে পড়েছে।
কপোতাক্ষ নদের প্রতি কবি যে মমতা প্রকাশ করেছেন তা মূলত দেশপ্রেমরই অংশ। কত দেশে কত নদী তিনি দেখেছেন কিন্তু জন্মভূমির এই নদ যেন তাকে মায়ের স্নেহডোরে বেঁধে রেখেছে, কিছুতেই তিনি তাকে ভুলতে পারেন না।
(গ) প্রয়োগমূলক :
উদ্দীপকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার আক্ষেপ করার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।
কবি মাইকের মধুসূদন দত্ত যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে কবি এই নদের তীরে, প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন, কিন্তু তিনি মাতৃভূমি ছেড়ে সুদূর ফ্রান্সে পাড়ি জমিয়েছেন।
তখন কিশেঅর বয়সের স্মৃতি তাঁর মনে কাতরতা সৃষ্টি করেছে। তিনি বহুদেশে ঘুরে বহু নদ দেখেছেন, কিন্তু তাঁর জন্মভূমির কপোতাক্ষ নদের কথা ভুলতে পারেননি। তাই তাঁর মনে সন্দেহ জেগেছে যে, তিনি আর কখনো প্রিয় কপোতাক্ষ নদের দেখা পাবেন কিনা।
উদ্দীপকে এক বাঙালি নাগরিকের আক্ষেপ করার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বাংলার প্রকৃতির বুকে বেড়ে উঠেছেন। কিন্তু যখন অর্থের মোহে বিদেশে পাড়ি জমান তখন স্বদেশের জন্য তার মন কেঁদে উঠেছে। তার মনে শঙ্কা জেগেছে আর স্বদেশে ফেরা হবে কিনা এই নিয়ে।
শৈশবের, কৈশোরের বেদনাÑবিধুর স্মৃতি তার মনে জাগিযেছে কাতরতা, সুতরাং বলা যায় উদ্দীপকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মতো আক্ষেপ করার বিষয়টি লক্ষ করা যায়।
(ঘ) উচ্চতর দক্ষতামূলক :
উদ্দীপকে আক্ষেপ করার অন্তরালে দেশপ্রেমের ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে।
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠেন। কিন্তু তিনি যখন মাতৃভূমি ছেড়ে বিদেশের মাটিতে পাড়ি জমিয়েছেন তখন তিনি মাতৃভূমির টানে কাতর হয়ে উঠেছেন। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের জন্য তার মন কেঁদে উঠেছে।
কবি বহু দেশ ঘুরে বহু নদ দেখেছেন কিন্তু কপোতাক্ষ নদের স্মৃতি তিনি ভুলতে পারেননি। কারণ এদেশে কবির জন্মভূমি, এদেশের সাথে কার রক্তের সম্পর্ক। তাই তিনি স্বদেশের মানুষের প্রতি ও মাতৃভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধ প্রকাশ করেছেন Ñএ কবিতার ক্যানভাসে।
উদ্দীপকের মূল বক্তব্যে এক বাঙালির স্বদেশপ্রেমের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সে অর্থের মোহে মাতৃভূমি ছেড়ে পানি জমান আমেরিকায়। কিন্তু আমেরিকাতে গিয়ে সে বুঝতে পারে যে মাতৃভূমি ছেড়ে এসে ভুল করেছে। তাই মাতৃভূমিতে ফিরে আসার জন্য সে কাতর হয়ে উঠেছে।
স্বদেশের সাথে মানুষের আত্মার সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত দেশের প্রতি মানুষের গভীর মমতা প্রকাশ করেছেন। তিনি সুদূর ফ্রান্সে বসেও শৈশবের স্মৃতি মনে করে কাতর হয়েছেন। তাই বলা যায় উদ্দীপকের আক্ষেপ করার বিষয়টি স্বদেশ প্রেমে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
প্র্যাকটিস অংশ: সৃজনশীল রচনামূলক প্রশ্ন:
১. ছোটকালে ছিলাম বাঙালিদের বালুচরে,
সাঁতরায়ে নদী পাড়ি দিতাম বারবার এপার হতে ওপারে,
ডিভি লটারি সুযোগ করে দিলে ছুটে চলে যায় আমেরিকায়
কিন্তু আজ মন শুধু ছটফটায় আর শয়নে স্বপনে বাড়ি দিয়ে যায়,
মধুময় স্মৃতিগুলো আমাকে কাঁদায়, তবু দেশে আর নাহি ফিরা হয়।
- (ক) সনেটের ষষ্টকে কী থাকে ?
- (খ) ‘স্নেবহের তৃষ্ণা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
- (গ) উদ্দীপকে প্রতিফলিত অনুভূতি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার আলোকে তুলে ধর।
- (ঘ) ‘উদ্দীপকে প্রতিফলিত অনুভূতির অন্তরালে যে ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে তাই ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মূলভাব’Ñ কথাটির সত্যতা বিচার কর।
২. ইকরাম গত এক বছর হলো আমেরিকায় গিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে সে বুঝতে শুরু করেছে, স্বদেশের মূল্য কতখানি। সেখানকার চাকচিক্যময় জীবনযাপনও তার মাতৃভ‚মির সহজ-সরল জীবনের স্মৃতি মুছে দিতে পারে নি, বরং সে জীবনের সবসময়ই তার মধ্যে বয়ে চলেছে নিরন্তর হাহাকার। আসলে বিদেশে গেলেই দেশের প্রতি মানুষের প্রকৃত মমত্ববোধ ধরা পড়ে।
(ক) ‘কপোতাক্ষ নদ’ কোন শ্রেণির কবিতা?
(খ) কপোতাক্ষ নদকে ‘দুগ্ধ-স্রোতোরূপী’ বলা হয়েছে কেন?
(গ) ইকরামের দেশপ্রেম ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার আলোকে তুলে ধরো।
(ঘ) ‘বিদেশ গেলেই দেশের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ ধরা পড়ে’Ñ উক্তিটির সত্যতা মাইকেল মধুসদন দত্তের অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ্লেষণ করো।
৩. হৃদয় আমার বাংলার লাগি
যে দেশেই থাকি সদা থাকে জাগি
স্বর্গ হতেও শ্রেষ্ঠ সে আমার
বাংলা আমার অমিয় ধারা।
- (ক) মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত সালে জš§গ্রহণ করেন?
- (খ) সনেটের অষ্টকের মূল বিষয়বস্তু কী ব্যাখ্যা করো?
- (গ) ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মূলভাব উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে কি? Ñ ব্যাখ্যা করো।
- (ঘ) ‘মাইকেল মধুসূদন-এর দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্দীপকের কবির দৃষ্টিভঙ্গি এক নয়’Ñ উক্তিটির সাথে তুমি তোমার মতামত যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করো।
৪. ১৯৫২ সালের ২১-এ ফ্রেব্রুয়ারি। মিছিলটি যখন মেডিকেল কলেজের সামনে আসে তখন এলোপাথারি গুলিতে ছত্রভঙ্গ ছাত্র-জনতা। তপু প্ল্যাকার্ড হাতে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। তপুর প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’।
- (ক) ফ্রান্সে মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার কবিতা পড়েছিলেন কোথায়?
- (খ) চতুর্দশপদী কবিতার অষ্টক-ষটকের বর্ণনা দাও।
- (গ) তপুর দেশপ্রেমের সাথে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি মাইকেল মধুসদন দত্তের দেশপ্রেমের সাদৃশ্য অঙ্কন করো।
- (ঘ) উদ্দীপকের আলোকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
৫ .শাহেনা এক বিদেশিকে বিয়ে করে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছে। এখন আমেরিকাই তার প্রিয় দেশ স্বপেড়বর দেশ। অথচ বাংলাদেশে থাকতে এর চেয়ে সুন্দর দেশ, বাংলার মতো সুন্দর ভাষা আর কোথাও নেই এমনই বলত। এখন বাংলাদেশকে নিয়ে যেন কোনো স্মৃতিই নেই, নেই স্মৃতিকাতরতাও।
- (ক) বহুদেশে কবি কী দেখেছেন?
- (খ) ‘তব নাম বঙ্গো সঙ্গীতে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
- (গ) উদ্দীপকের সাথে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার সম্পর্ক নিরুপণ করো।
- (ঘ) ‘বাংলাদেশকে নিয়ে তার যেন কোন স্মৃতি নেই-নেই স্মৃতিকাতরতা’ ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতা অনুসরণে উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক সৃজনশীল সব প্রশ্ন:
৬ .রাজীবের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার গড়াই নদীর তীরে কুসুমপুর গ্রামে। গড়াই নদীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার শৈশবস্মৃতি। তাই এ নদীর সঙ্গে তার আত্মিক সম্পর্ক ও সুগভীর। লেখাপড়া শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্যে লন্ডনে পাড়ি জমায়। কিন্তু মনে পড়ে থাকে ছোটবেলার স্মৃতিবিজড়িত গড়াইয়ের তীরে।
- (ক) ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার অন্ত্যমিল বিন্যাস কেমন?
- (খ) ‘আর কি হে হবে দেখা?’Ñ কবির মনে কেন এ সংশয় জেগেছে?
- (গ) উদ্দীপকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
- (ঘ) ‘রাজীবের অনুভ‚তি ও মধুসদনের অনুভ‚তি যেন এক সূত্রে গাঁথা’Ñ মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো।
৭. মানুষ বহুদূরে চলে গেলে, দীর্ঘকাল বিচ্ছিন্ন থাকলে একসময় স্মৃতিভারে আচ্ছন্ন হয়। মনে পড়ে আপন পরিবেশ, আপনজনদের। ত্রিশ বছর আগে মালেক পাড়ি জমিয়েছে বিদেশে। অবসরে তার মনে পড়ে আমলকী গাছটির কথা, যেটি সে শখ করে লাগিয়েছিল।
তার মনে পড়ে লাল বাছুরটির কথা যেটি তার ঘাড়ে থুতনি রেখে আদর করত। তার হৃদয়ে সূক্ষ¥ অনুভ‚তির সৃষ্টি হয়। চিন্ চিন্ করে সে অনুভ‚তি অন্তরে ঝংকার তোলে, বেদনা সঞ্চার করে। নিজেকে বড় অচেনা মনে হয়।
- (ক) ‘বিরলে’ শব্দটির অর্থ কী?
- (খ) ‘সনেট’ বলতে কী বুঝ?
- (গ) উদ্দীপকের সঙ্গে ‘কপোতাক্ষ নদ’ এর কোনো সাদৃশ্য থাকলে তা নিজের ভাষায় লেখ।
- (ঘ) ‘কপোতাক্ষ নদ’ একটি উৎকৃষ্ট চতুর্দশপদী কবিতা’Ñ কথাটার যথার্থতা প্রতিপন্ন কর।
৮. অনিন্দের জš§ যমুনা পাড়ের গ্রাম মাটিকাটায়। বার বছর বয়সে সে তার বাবা-মার সাথে ঢাকার জিগাতলায় চলে এসেছে। কিন্তু এখনও মনে তাজা হয়ে আছে গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ, যমুনায় সাঁতার কাটা, স্বচ্ছ পানি পান করা। এ নদী আর নদীর পাড়ই ছিল তার সারাদিনের সঙ্গী। বাবা ব্যস্ত থাকেন। মার কাছে গ্রামে যাওয়ার কথা বললে তিনি বিরক্ত হন।
- (ক) মাইকেল মধুসূধন দত্ত কী প্রবর্তন করে বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন?
- (খ) ‘আর কি হে হবে দেখা?’Ñ কবির এ সংশয় কেন?
- (গ) উদ্দীপকের সাথে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার সাদৃশ্য কতটুকু? লেখ।
- (ঘ) ‘মার কাছে গ্রামে যাওয়ার কথা বললে তিনি বিরক্ত হন’Ñ ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতা অনুসরণে উদ্দীপকের এ কথাটা মূল্যায়ন কর।
৯. কবি কায়কোবাদের প্রিয় নদী ধলেশ্বরী। এ নদী কবির শৈশবের নদী। এ নদীর প্রতি কবির টান অত্যন্ত গভীর। কর্মজীবনে কবি নানা জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিন্তু শৈশবের প্রিয় এ নদী কবির স্মৃতিতে সর্বদাই রয়েছে জাগরূক।
- (ক) ‘কপোতাক্ষ নদ’ রচনাকালে কবি কোথায় ছিলেন?
- (খ) ‘বারি-রূপ কর’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
- (গ) উদ্দীপকের সাথে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কী সাদৃশ্য আছে? তুলনামূলক আলোচনা কর।
- (ঘ) ‘শৈশবের প্রিয় এ নদী কবির স্মৃতিতে সর্বদাই রয়েছে জাগরূক।’Ñ ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় বিধৃত স্বদেশপ্রেম উদ্দীপকের একথাটি অনুসরণে বিশ্লেষণ কর।
১০. . বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ দলে,
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?
দুগ্ধ -স্রোতোরূপী তুমি জš§ভ‚মি স্তনে।
রর. কিছুই খুঁজিনি আমি, যতবার এসেছি এ তীরে
নীরব তৃপ্তির জন্য আনমনে বসে থেকে ঘাসে
নির্মল বাতাস টেনে বহুক্ষণ ভরেছি এ বুক।
- (ক) উদ্দীপকের দ্বিতীয় কবিতাংশটি কোন কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে?
- (খ) “দগ্ধু -স্রোতোরূপী তুমি জš§ভ‚মি স্তনে”Ñ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
- (গ) উদ্দীপকের কোন অংশে কবির তৃষ্ণাকাতরতা প্রকাশ পেয়েছেÑ ব্যাখ্যা কর।
- (ঘ) উদ্দীপকের প্রথম অংশ ও দ্বিতীয় অংশের মধ্যে স্বদেশপ্রীতি যেভাবে ফুটে উঠেছে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার আলোকে তার স্বরূপ বিশ্লেষণ কর।
১১. উচ্চাভিলাষী যুবক মধুসূদন ইউরোপীয় সাহিত্যে পাকা সাহেব হওয়ার জন্য ইংরেজি সাহিত্যে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। মাতৃভাষা ও মাতৃভ‚মির প্রতি প্রদর্শন করেছেন অশ্রদ্ধা। প্রবাসে যাওয়ার পরই কবি মর্মে মর্মে মাতৃভ‚মির মায়া মমতাকে উপলব্ধি করেছেন।
তিনি স্মৃতিতাড়িত, অনুশোচনাগ্রস্ত। নিজ গ্রামের শৈশব সাথী কপোতাক্ষ নদকে তিনি গভীরভাবে অনুভব করে তার তীরে ছুটে যেতে ব্যাকুল। কিন্তু তার তীরে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
অবশেষে কপোতাক্ষের প্রতি কবির সকরুণ মিনতি আর যদি দেখা না-ও হয়। বাংলার প্রতি মহাকবির হৃদয়ে যে গভীর অনুরাগ এবং ভালোবাসা ছিল সে কথাটি যেন কপোতাক্ষ তার স্রোতধারায় চিরজাগরূক করে রাখে।
- (ক) চতুর্দশপদী কবিতার অষ্টকে মূলত কী থাকে?
- (খ) কবি কপোতাক্ষকে ‘দুগ্ধ-স্রোতোরূপী’ কল্পনা করেছেন কেন?
- (গ) কপোতাক্ষ নদের কাছে কবির প্রাণের আকুতি তোমার নিজের ভাষায় বর্ণনা কর।
- (ঘ) ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতার আবরণে তাঁর অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে।Ñ উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
১২. মতিন সাহেব দেশ ছেড়েছেন বহু বছর আগে। জীবিকার কারণে বর্তমানে বাস করছেন লন্ডনের টেমস নদীর ধারে। তার শৈশব কৈশোর কেটেছে তিতাস নদী ক‚লের ছোট্ট গ্রামে। নদীর বহমান স্রোতধারা, অবাধ সাঁতার, দুরন্তপনা, মায়ের স্মৃতি জাগানিয়া গুনগুন গান তাকে বারবার পিছু ডাকে।
- (ক) ‘সনেট’ কী?
- (খ) “দুগ্ধ – স্রোতোরূপী তুমি জš§ভ‚মি স্তনে।”- ব্যাখ্যা কর।
- (গ) মতিন সাহেবের পিছুটানের কারণ ব্যাখ্যা কর।
- (ঘ) উদ্দীপকের মতিন সাহেব একজন দেশপ্রেমিক – উক্তিটির সপক্ষে যুক্তি দাও।
১৩. কবি আনিসুল হকের গ্রামের বাড়ি তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী। এই নদীর ক‚লে কেটেছে কবির শৈশব ও কৈশরের দিনগুলি। শিক্ষা অর্জনের প্রয়োজনে ও কর্ম জীবনের তাগিদে কবিকে গ্রাম ছেড়ে শহরে এবং সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়।
কবি এখন ইচ্ছে করলেই আর তিস্তার পাড়ে যেতে পারেন না। কিন্তু তিস্তার স্মৃতি কবির মনে সদা জাগ্রত থাকে। ঠিক যেমন গ্রামে বসবাসরত মায়ের কথা কবির সর্বক্ষণ স্মরণে থাকে।
- (ক) সনেট-এর বাংলা রূপ কী?
- (খ) প্রজারুপে রাজরুপ সাগরেরে দিতে- বিষয়টি কবি কীভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
- (গ) উদ্দীপকের কবি আনিসুল হকের সঙ্গে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি মাইকেল মধুসদন দত্তের চেতনাগত মিলগুলো তুলে ধর।
- (ঘ) “লইছে যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে” লাইনটিতে উদ্দীপক ও পাঠ্য কবিতার মূলভাব প্রকাশিত হয়েছে বিশ্লেষণ কর।
১৪. কীর্তনখোলা নদীর তীরে বসে কাটত সারা বিকাল শাহানার। কলকল শব্দ আজও কানে বাজে তার। জীবিকার তাগিদে আজ শাহানাকে অবস্থান করতে হচ্ছে কীর্তনখোলা থেকে বহু দূরে। তবু সে কিছুতেই ভুলতে পারছে না সে নদীকে। কারণ সে ছিল শাহানার জš§ভ‚মির মাতৃরূপ নদী।
(ক) ‘কপোতাক্ষ নদ’ কোন ধরনের কবিতা?
(খ) “কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?” কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
(গ) “মাতৃরূপ কীর্তনখোলা”- উক্তিটির আলোকে কপোতাক্ষ নদ
ও কবির স্মৃতিময়তা ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) শাহানার স্মৃতিময় কীর্তনখোলা নদের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কীভাবে ফুটে উঠেছে তা বিচার কর।
জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক সৃজনশীল সব প্রশ্ন:
১৫. কুষ্টিয়া জেলার গড়াই নদীর তীরে ওসমানপুর গ্রামে মোঃ আব্দুল জলিলের বাড়ি। শৈশবে তিনি এ নদীর তীরে প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন। এ নদীর পানি, পাড়ের বাতাস আর তীরের মাটির সাথে তিনি একাত্ত হয়ে আছেন।
দজর প্রবাসে লন্ডনে বসবাস করা অবস্থায় তাঁর বারংবার মনে পড়ে শৈশব কৈশোর স্মৃতিজড়িত গ্রাম আর নদীর কথা। মায়ায় ভরে উঠে প্রাণ স্মৃতিকাতরতায় তিনি মুহ্য। দূরে বসেও তিনি গড়াই নদীর সেই কলকল ধ্বনি শুনতে পান।
- (ক) কপোতাক্ষ নদ কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?
- (খ) ‘দুগ্ধ -স্রোতরুপী তুমি জš§ভ‚মি স্তনে’- কথাটি কেন বলা হয়েছে?
- (গ) উদ্দীপকে জলিল সাহেবের সাথে কবি মাইকেল মধুসদূন দত্তের যে মিল খুঁজে পাওয়া যায় তার স্বরূপ বর্ণনা কর।
- (ঘ) ‘জলিল সাহেব যেন একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক।’ – “কপোতাক্ষ নদ” কবিতার আলোকে তা মূল্যায়ন কর।
১৬. হাসানের বহুদিন ধরে প্রত্যাশা সে বিদেশে যাবে। স্বদেশ যেন তার নিকট ভালো লাগে না। এক দিন তার ইচ্ছা পূর্ণ হলো। লটারিতে তার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ হলো। কিছু দিন ভালোই কাটলো হাসানের বিদেশে।
কয়েক দিন বাদে সকল প্রাচুর্য যেন ফ্যাকাশে হতে থাকলো। স্বদেশের মাটি, পানি, বাতাস, বাংলার মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা তাকে প্রবলভাবে আকর্ষিত করতে লাগলো। বাড়ির নিকট দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর কুলকুল ধ্বনি যেন তার কানে সব সময় বাজে। আজ দেশের প্রতি তার শত গুণ মমত্ব।
- (ক) সনেটের প্রবর্তক কে?
- (খ) কবি কেন কপোতাক্ষ নদকে ভুলতে পারেন নি?
- (গ) ‘আজ দেশের প্রতি তার শত গুণ মমত’¡ – এ কথার আলোকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতা অবলম্বনে আলোচনা কর।
- (ঘ) হাসানের দেশের প্রতি মমত্ববোধের আলোকে ‘কপোতাক্ষ
- নদ’ কবিতায় কবির স্মৃতিচারণা আলোচনা কর।
অধ্যায়-২ কপোতাক্ষ নদ কবিতার বহুনির্বাচনী – বাংলা ১ম পত্র
১৭. মানুষ বহুদূরে চলে গেলে, দীর্ঘকাল বিচ্ছিনড়ব থাকলে একসময় স্মৃতিভারে আচ্ছন্ন হয়। মনে পড়ে আপন পরিবেশ, আপনজনদের। ত্রিশ বছর আগে মালেক পাড়ি জমিয়েছে বিদেশে। অবসরে তার মনে পড়ে আমলকী গাছটির কথা, যেটি সে শখ করে লাগিয়েছিল।
তার মনে পড়ে লাল বাছুরটির কথা যেটি তার ঘাড়ে থুতনি রেখে আদর করত। তার হৃদয়ে সূক্ষ¥ অনুভ‚তির সৃষ্টি হয়। চিন্ চিন্ করে সে অনুভ‚তি অন্তরে ঝংকার তোলে, বেদনা সঞ্চার করে। নিজেকে বড় অচেনা মনে হয়।
- (ক) ‘বিরলে’ শব্দটির অর্থ কী?
- (খ) ‘সনেট’ বলতে কী বুঝ?
- (গ) উদ্দীপকের সঙ্গে ‘কপোতাক্ষ নদ’ এর কোনো সাদৃশ্য থাকলে তা নিজের ভাষায় লেখ।
- (ঘ) ‘কপোতাক্ষ নদ’ একটি উৎকৃষ্ট চতুর্দশপদী কবিতা’ – কথাটার যথার্থতা প্রতিপন্ন কর।
বাংলা ১ম:অন্ধবধূ কবিতার সৃজনশীল বহু নির্বাচনী প্রশ্নোত্তর (PDF)
১৮. যে নদে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিদিন কেটেছি সাঁতার আমার শরীরে আজও তাহার ঢেউয়ের ছোঁয়া টের পাই – যেন মায়ের আদরমাখা দ’ু হাতের দোলা। সুবিশাল আমাজান কিংবা নীলনদের বাহুডোরে এমন সুস্বাদ স্নেহ পাই নি তো আমি!
(ক) ‘ছলনে’ শব্দটির অর্থ কী?
(খ) ‘কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?’-কবিরও প্রশ্ন কেন?
(গ) ‘কপোতাক্ষ নদ’ এর সাথে উদ্ধৃতিটির কী সাদৃশ্য আছে?
আলোচনা কর।
(ঘ) ‘কপোতাক্ষ নদ’ সুখ স্মৃতির অনুপম নিদর্শন’- উদ্দীপক অনুসরণে ‘কপোতাক্ষ নদ’ সম্পর্কে মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
১৯. ইকরাম গত এক বছর হলো আমেরিকায় গিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে সে বুঝতে শুরু করেছে, স্বদেশের মূল্য কতখানি। সেখানকার চাকচিক্যময় জীবনযাপনও তার মাতৃভ‚মির সহজ-সরল জীবনের স্মৃতি মুছে দিতে পারে নি, বরং সে জীবনের সবসময়ই তার মধ্যে বয়ে চলেছে নিরন্তর হাহাকার। আসলে বিদেশে গেলেই দেশের প্রতি মানুষের প্রকৃত মমত্ববোধ ধরা পড়ে।
(ক) ‘কপোতাক্ষ নদ’ কোন শ্রেণির কবিতা?
(খ) কপোতাক্ষ নদকে ‘দুগ্ধ-স্রোতোরূপী’ বলা হয়েছে কেন?
(গ) ইকরামের দেশপ্রেম ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার আলোকে তুলে ধরো।
(ঘ) ‘বিদেশ গেলেই দেশের প্রতি মানুষের মমত¦বোধ ধরা পড়ে’- উক্তিটির সত্যতা মাইকেল মধুসদন দত্তের অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ্লেষণ করো।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। ফ্রি পিডিএফ ফাইল এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন। ফ্রি অনার্স প্লেটো:পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা রচনামূলক প্রশ্নোত্তর