(PDF Download) শ্রেণী সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর SSC – এখানে অতি গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর গুলো পাবেন ।
কলিজার প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য সাধারণ বিজ্ঞান হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন-উত্তর সমুহ আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
(PDF Download) শ্রেণী সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর SSC:
প্রশ্ন -১৬ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সেলিম সাতক্ষীরায় তার মামার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। তার মামা বললেন এ অ লের মিঠাপানির উৎসগুলো ক্রমশ কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
ক. ইটিপি কী?
খ. আমাদের পরিচিত একটি সামুদ্রিক মাছ এক সময় মিঠা পানিতে চলে আসে− কেন?
গ. জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী এবং দৈনন্দিন কাজে উদ্দীপকে উল্লিখিত পানির প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যা সৃষ্টির কারণ বিশ্লেষণ কর।
🢖🢔 ১৬নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. ইটিপি হলো বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা।
খ. ইলিশ মাছ লবণাক্ত পানির মাছ হলেও প্রজননের সময় মিঠা পানিতে চলে আসে। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি ইলিশের ডিম নষ্ট করে ফেলে। তাই ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে চলে আসে।
গ. সেলিমের মামার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায় যা সমুদ্রের কাছে অবস্থিত। এ অ লের মিঠা পানির উৎসগুলোতে দিন দিন লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এ পানি প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
পানি লবণাক্ত হওয়ার কারণে কৃষিকাজে এবং শিল্প কারখানাতেও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কারণ এ অ লের বেশির ভাগ ফসল লবণ পানিতে জম্মাতে পারে না। লবণ পানি শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতিকে নষ্ট করে ফেলে। এর ফলে এ অ লের জনগণ অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
- SSC | জীববিজ্ঞান | বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর | জীবনীশক্তি | PDF
- (PDF Download) শ্রেণী সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর SSC
মিঠা পানির উৎসগুলোতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে মিঠা পানিতে বসবাসকারী জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলোও মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। লবণাক্ততার কারণে জলজ জীবগুলোর প্রজনন ব্যাহত হবে, বংশবৃদ্ধি হবে না। এছাড়া পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেলে পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন কমে যাবে, ফলে তারা বাঁচতে পারবে না। এতে করে এ অ লে জলজ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যার কারণ হলো- এ অ লের মিঠা পানির উৎসগুলোতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়া। এটি সৃষ্টির কারণগুলোর বিশ্লেষণ নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. বৈশ্বিক উষ্ণতা : বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব বাংলাদেশে যে পড়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীর সি ত বরফ গলে যাচ্ছে এবং সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে।
এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে জোয়ারের পানি মিঠা পানির উৎসগুলোতে প্রবেশ করছে এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমা লের পানি লবণাক্ত হয়ে পড়েছে।
২. চিংড়ি চাষ : সাতক্ষীরাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমা লের অনেক জেলায় চিংড়ি চাষের জন্য নালা কেটে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি মূল ভ‚খণ্ডে আনা হচ্ছে। এ কারণে ওইসব অ লের ভ‚গর্ভস্থ পানিসহ মিঠা পানির উৎসগুলো লবণাক্ত হয়ে পড়ায় খাওয়ার পানি ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার উপযোগী পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
প্রশ্ন -১৭ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কৃষকরা টি.এস.পি ও ইউরিয়া সার প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করছে। বেশ কয়টি নদীর পাড়ে শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। জমি ও শিল্পকারখানা থেকে প্রচুর পরিমাণে ফসফেট ও নাইট্রোজেনসহ অন্যান্য রাসায়নিক বর্জ্য পানি নদীতে পড়ছে। নদীগুলোতে আর পূর্বের মতো মাছ দেখা যাচ্ছে না।
ক. রামসার কনভেনশন কখন অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
খ. ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পানির দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করলে কী হতে পারে?
গ. উদ্দীপকের নদীগুলোতে জলজ প্রাণী স¤প্রদায় বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট অক্সিজেন পাবে কি? ব্যাখ্যাসহ লেখ।
ঘ. উদ্দীপকে নদীর পানি দূষণ ও তার প্রতিরোধ সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।
🢖🢔 ১৭নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রæয়ারি রামসার কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
খ. ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন কমিয়ে দেয়। আর যদি ওইসব পদার্থ খুব বেশি থাকে তাহলে পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্যে নেমে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে পানিতে বসবাসকারী মাছসহ সকল প্রাণী অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে মারা যাবে। এই অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকলে এক পর্যায়ে ওইসব জলাশয় প্রাণীশূন্য হয়ে পড়বে।
গ. জলজ জীবস¤প্রদায় পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। এদের বেঁচে থাকার জন্য ১ লিটার পানিতে ন্যূনতম ৫ মিলি গ্রাম অক্সিজেন থাকা প্রয়োজন।
জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত টি.এস.পি ও ইউরিয়া সার থেকে উদ্দীপকের নদীগুলোতে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন ও ফসফেট বৃষ্টির পানির সাথে চলে আসে। ফলে নদীর পানিতে ফসফেট ও নাইট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। শিল্প কারখানার বর্জ্য পানিতে নানা ধরনের দূষিত পদার্থের সাথে ফসফেট থাকে যা নদীতে এসে পড়ে।
পানিতে নাইট্রোজেন ও ফসফেট খুব বৃদ্ধি পেলে তা প্রচুর শ্যাওলা জন্মাতে সাহায্য করে। এই শ্যাওলাগুলো যখন মরে যায় তখন পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এর ফলে পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় এবং এক সময় অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্যে নেমে আসতে পারে। এতে করে পানিতে বসবাসকারী প্রাণী স¤প্রদায় অক্সিজেনের সল্পতার কারণে মারা যাবে।
সুতরাং এ অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকলে এক পর্যায়ে এ সকল নদীর জলজ প্রাণী স¤প্রদায় শূন্য হয়ে পড়বে এবং এক পর্যায়ে মরা নদীতে পরিণত হবে।
ঘ. উদ্দীপকে নদীগুলোর দূষণের কারণসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে। এই দূষণ প্রতিরোধে কী কী কৌশল অবলম্বন করা যায় তা নিচে আলোচনা করা হলো :
১. কৃষকরা যদি রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করে তাহলে জৈব সার মিশ্রিত মাটি পানিকে ধরে রাখতে সহায়তা করবে। ফলে বৃষ্টির পানিতে নাইট্রোজেন ও ফসফেট বাহিত হয়ে নদীর পানি দূষিত হবে না এবং দূষণ হ্রাস পাবে।
এছাড়া কৃষকরা যদি যখন তখন রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করে সময়মতো কৃষিকর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে যতখানি সারের প্রয়োজন ততখানি সার প্রয়োগ করে তাহলেও নদীর পানির দূষণ কমে যাবে।
২. শিল্প কারখানার সৃষ্ট বর্জ্য দ্বারা দূষণ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল উপায় হলো, সৃষ্ট বর্জ্য পানি পরিশোধন করে তারপর নদীতে ফেলা। এ জন্য প্রয়োজন বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা ইটিপি (Effluent Treatment Plant ev ETP)।
শিল্প-কারখানাগুলোর বর্জ্যে কী ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ বিদ্যমান তার ওপর ভিত্তি করে ঐ অ লে ইটিপি তৈরি করতে হবে। নদীর পাড়ে একই ধরনের শিল্প কারখানা দিয়ে একটি শিল্পা ল গড়ে তুলে সব কারখানার বর্জ্য পানি একত্রিত করে একটি ইটিপিতে পরিশোধন করে নদীতে সে পানি ফেলা যেতে পারে। এটি সাশ্রয়ী হবে।
প্রশ্ন -১৮ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাফাত তার বন্ধুকে বলল এখন গ্রীষ্মকাল খুব বেশি গরম পড়ছে। বৃষ্টিপাতও ঠিকমতো হয় না। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অ লের বেশ কিছু এলাকায় মিঠা পানির উৎসগুলোতে লবণাক্ততা বেড়ে গেছে। এসব কিছু ঘটছে জলবায়ুজনিত পরিবর্তনের কারণে।
ক. পানির রাসায়নিক সংকেত লেখ।
খ. আমরা যে পানি ব্যবহার করি তার উৎসগুলো কী কী এবং একে মিঠা পানি বলা হয় কেন?
গ. রাফাত তার বন্ধুকে যা বলল তার কারণ কী এবং এতে করে ভবিষ্যতে মিঠা পানিতে থাকা জলজ প্রাণীদের কী অবস্থা হতে পারে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে বাংলাদেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কী? আলোচনা কর।
🢖🢔 ১৮নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. পানির রাসায়নিক সংকেত H2O।
খ. আমরা যে পানি ব্যবহার করি তার উৎসগুলো : নদনদী, খালবিল, পুকুর, হ্রদ ও ভ‚গর্ভ। এই পানিকে মিঠা পানি বলা হয়। কারণ এটি স্বাদহীন, গন্ধহীন ও বর্ণহীন এবং নিরপেক্ষ ধর্মী অর্থাৎ এর ঢ়ঐ ৭।
গ. উদ্দীপকে রাফাত তার বন্ধুকে যা বলল তার কারণ হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব।
বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে পানির তাপমাত্রাও বেড়ে যাবে। ফলে মেরু অ লসহ অন্যান্য জায়গায় সি ত বরফ গলতে শুরু করবে। এই বরফ গলা পানি সমুদ্রে গিয়ে পড়বে এবং পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। ফলে সমুদ্র উপক‚লীয় অ লগুলোর মিঠা পানির উৎসগুলোতে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি ঢুকে যাবে এবং পানি লবণাক্ত হয়ে পড়বে।
এর ফলে মিঠা পানিতে বসবাসকারী প্রাণীগুলো মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তাপমাত্রা বাড়লে পানির দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন কমে যায়। আবার লবণাক্ততা বাড়লে পানির অভিস্রবণ চাপ বেড়ে যাবে ফলে মিঠা পানির জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলোর শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া বিঘিœত হবে এবং এতে করে সেগুলো মরে যেতে পারে।
সুতরাং বৈশ্বিক উষ্ণতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অ লের বেশ কিছু এলাকায় জলজ প্রাণীসমূহ বাঁচতে পারবে না এবং সেখানকার জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।
ঘ. রাফাত তার বন্ধুকে যা বলেছে তা বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব। এটি বাংলাদেশে বেশ স্পষ্ট। বর্তমানে তাপমাত্রার উপাত্ত থেকে এটি অত্যন্ত স্পষ্ট যে গ্রীষ্মকাল ও শীতকাল দুই সময়েই তাপমাত্রা আগের তুলনায় বেশি থাকে।
ভবিষ্যতে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব আরও তীব্রতর হলে, বঙ্গোপসাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে আমাদের দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে তলিয়ে যাবে। সাগরের লবণাক্ত পানি মূল ভ‚খণ্ডে ঢুকে যাবার কারণে নদনদী, খালবিল ও ভ‚গর্ভস্থ পানি লবণাক্ত হয়ে যাবে। মিঠা পানি বলতে আর কিছু থাকবে না। দক্ষিণ-পশ্চিমা লে ইতিমধ্যে এর প্রভাব শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে বৃষ্টিপাতের ধরন পাল্টে যেতে পারে এবং এতে করে নদনদীর প্রবাহ ও গতিপথও পাল্টে যেতে পারে।
প্রশ্ন -১৯ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রহমত ঢাকায় থাকে। তার বন্ধু সালাম এর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে দেখল তাদের বিশুদ্ধ পানির কোনো অভাব নেই। সে সালামকে বলল অপরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনা এবং ঢাকার বাসিন্দাদের অসচেতনতার কারণে ঢাকার ট্যাপের পানি এবং পার্শ্ববর্তী নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়ছে।
ক. বৈশ্বিক উষ্ণতা কী?
খ. যদি একটা পুকুরের পানিতে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন ও ফসফেট বেড়ে যায় তাহলে পুকুরটির পরিণতি কী হবে?
গ. রহমত কী কী সহজ পদ্ধতিতে ট্যাপের পানিকে পানযোগ্য করবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নদীর পানিদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় বিকল্প ব্যবস্থা কী কী গ্রহণ করা যায় মতামত দাও।
🢖🢔 ১৯নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. বিশ্বের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বলা হয়।
খ. একটি পুকুরের পানিতে নাইট্রোজেন ও ফসফেট প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেলে সেখানে প্রচুর শ্যাওলা জন্মাবে। এগুলো যখন মরে যাবে তখন পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে পানিতে অক্সিজেনের স্বল্পতা সৃষ্টি করবে। এতে করে জলজ প্রাণীগুলো মরে যাবে এবং একপর্যায়ে মরা পুকুরে পরিণত হবে।
গ. পানিকে পানযোগ্য করা মানে পানিকে জীবাণুমুক্ত করা।
রহমত ট্যাপের পানিকে ক্লোরিনেশন এবং স্ফুটন পদ্ধতিতে পানযোগ্য করতে পারে।
ক্লোরিনেশন পদ্ধতিতে ক্লোরিন গ্যাস, বিøচিং পাউডার এবং আরও কিছু পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে তা ব্যবহার করে পানিকে জীবাণু মুক্ত করা যায়। এছাড়া সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড (ঘধঙঈষ) ট্যাবলেট ব্যবহার করে পানিকে পানযোগ্য করা যায়।
স্ফুটন পদ্ধতিতে পানিকে ১৫-২০ মিনিট ধরে ফুটালে পানি জীবাণুমুক্ত হয়। পরে এ পানিকে ঠাণ্ডা করে পানযোগ্য করা যায়। এছাড়াও বর্তমানে উন্নত ধরনের ফিল্টার দ্বারা পানিকে পরিস্রাবণ করে পানযোগ্য করা যায়।
ঘ. রহমত ঢাকার পার্শ্ববর্তী নদী বলতে বুঝিয়েছে বুড়িগঙ্গা নদীর কথা। এর দূষণ রোধে বিকল্প ব্যবস্থাসমূহ :
১. শহরা লে পানি দূষণের একটি বড় কারণ বৃষ্টির পানি প্রবাহ। রাস্তাঘাট পাকা হওয়ায় বৃষ্টির পানি এর ভেতর দিয়ে ভ‚গর্ভে যেতে পারে না। ফলে বৃষ্টির পানি যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ নিয়ে নর্দমা ও নালার মাধ্যমে নদীতে গিয়ে পানিকে দূষিত করে। এক্ষেত্রে বাসাবাড়ির ছাদে এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জলাধার তৈরি করে বৃষ্টির পানিকে ধরে রাখলে নদীর পানির দূষণ কমবে।
২. কংক্রীটের বদলে গ্রাভেল জাতীয় ছিদ্রযুক্ত এমন পদার্থ ব্যবহার করলে, এর ভেতর দিয়ে বৃষ্টির পানি ভ‚গর্ভে জমা হতে থাকবে।
৩. শিল্প কারখানার বর্জ্য পানি নদীর পানি দূষণের অন্যতম কারণ। এই দূষণ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হলো বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা যাকে ঊঞচ (ঊভভষঁবহঃ ঞৎবধঃসবহঃ চষধহঃ) বলে। নির্দিষ্ট ঊঞচ তৈরি করে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ রোধ করা যায়।
এগুলো ছাড়া ঢাকা শহরের বাসিন্দাদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে তারা পানিদূষণকারী বর্জ্যসমূহ যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে।
প্রশ্ন -২০ 🢖 নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আনিস তার কাকার বাড়িতে বেড়াতে এসে দেখল নদীর পানি কালো এবং বাজে দুর্গন্ধযুক্ত। তার কাকা বললেন চামড়াজাত দ্রব্য তৈরির কারখানা এই নদীর তীরে অবস্থিত। এছাড়া এ নদীতে বিভিন্ন কারখানার বর্জ এসে পড়ছে।
ক. ঢ়ঐ কী?
খ. দুটি ধাতব পদার্থ দ্বারা দূষিত পানি আমাদের দেহে কী কী রোগ নষ্ট করতে পারে?
গ. উদ্দীপকের নদীর পানির যে সমস্যাটি তুলে ধরা হয়েছে তার কারণসমূহ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নদীর চামড়া কারখানার বর্জ্য পরিশোধনের জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে? আলোচনা কর।
PDF File সহ -সাধারণ বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : SSC
পানি: জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর: সাধারণ বিজ্ঞান-PDF
🢖🢔 ২০নং প্রশ্নের উত্তর 🢖🢔
ক. ঢ়ঐ হলো এমন একটি রাশি যার দ্বারা বোঝা যায় জলীয় দ্রবণ এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ।
খ. পানি যে সমস্ত ক্ষতিকর ধাতব পদার্থ দ্বারা দুষিত হতে পারে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পারদ, সিসা ও আর্সেনিক।
পারদ : মস্তিষ্কের ব্যাধি, ত্বকের ক্যান্সার এবং বিকলাঙ্গ সৃষ্টি করে।
আর্সেনিক : ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার এবং পাকস্থলীর রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
গ. উদ্দীপকে যে নদীটির কথা বলা হয়েছে সেটি বুড়িগঙ্গা নদী। কারণ বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে উঠেছে চামড়ার তৈরি দ্রব্যের কারখানাগুলো চামড়ার কারখানা ছাড়াও নদীটি দুষিত হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। কৃষি জমি প্লাবিত হলে কৃষি জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ও জৈবসার এবং কীটনাশক দ্রব্যগুলো নদীর পানিতে মিশে দুষিত করে।
এ নদীর তীরে গড়ে উঠা অন্যান্য কারখানা যেমন : টেক্সটাইল ও ডাইংমিল, রং তৈরির কারখানা, কাগজ তৈরির কারখানা, সার কারখানা থেকে নানা রকমের বর্জ্য পদার্থের দ্বারা দূষিত হয়। নৌকা, ল , স্টিমার ও অন্যান্য নৌযান থেকে ফেলা মলমূত্র আবর্জনা ও তেল এ নদীর পানিকে দূষিত করছে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চামড়াজাত দ্রব্য তৈরির কারখানার বর্জ্যগুলো নদীতে না ফেলে মাটিতে পুতে ফেলে নদীর পানি কিছুটা দূষণ মুক্ত থাকবে। বর্জ্য পানি নদীতে না ফেলে। দুষণ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা হলো, বর্জ্য পানি পরিশোধন করে নদীতে ফেলা।
এ পরিশোধন কাজ সম্পন্ন করা যায় বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা (ঊভভষঁবহঃ ঞৎবধঃসবহঃ চষধহঃ বা ঊঞচ) দ্বারা। ঊঞচ কীভাবে তৈরি করা হবে তা নির্ভর করে কী ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ বর্জ্য পানিতে আছে তার ওপর যেহেতু এ নদীর তীরে গড়ে উঠা একেক ধরনের শিল্প কারখানা থেকে একেক ধরনের বর্জ্যপানি বের হয়।
তাই একটি সাধারণ ঊঞচ দিয়ে সব বর্জ্যপানি পরিশোধন সম্ভব নয়। সেজন্য বুড়িগঙ্গার তীরে শুধু চামড়ার কারখানা গড়ে তুলে সব বর্জ্য পানি একত্রিত করে একটি ঊঞচ তে পরিশোধন করে পরিশোধিত পানি নদীতে ফেলে নদীটি দুষণমুক্ত থাকবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।