- (PDF) পল্লিসাহিত্য কবিতার জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর গুলো সহ একসাথে পেতে ঘুরে আসুন আমাদের ওয়েব সাইটে । এখানে আপনারা সকল শ্রেণীর প্রশ্নোত্তর গুলো পাবেন একসাথে ।। PDF সহ ডাউনলোড করুন MCQ প্রশ্নোত্তর । এছাড়াও বাংলা ১ম পত্রের সকল অধ্যায়ের অতি সংক্ষিপ্ত ও সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর পাবেন আমাদের এখানে । আরো পাবেন এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের বহু নির্বাচনী, অতিসংক্ষিপ্ত ও সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর সমুহ।
(PDF) পল্লিসাহিত্য কবিতার জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন-১. পল্লির কোথায় কোথায় সাহিত্য লুকিয়ে আছে?
উত্তর: পল্লির ঘাটে-মাঠে পল্লির আলো-বাতাসে পল্লির প্রত্যেক পরতে পরতে সাহিত্য ছড়িয়ে আছে।
প্রশ্ন-২.‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ কে সংগ্রহ করেছেন?
উত্তর: মৈমনসিংহ গীতিকা সংগ্রহ করেছেন চন্দ্র কুমার দে।
প্রশ্ন-৩. ‘পিড়েয় বসে পেঁড়োর খবর’ প্রবাদ বাক্যটি কোন সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়?
উত্তর: ‘পিড়েয় বসে পেঁড়োর খবর’ প্রবাদ বাক্যটি সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয় যখন পান্ডুয়া বঙ্গের রাজধানী ছিল।
প্রশ্ন-৪.ফুটবল, ব্যাটবলের আগে কোন খেলার খুব ধুম ছিল?
উত্তর: ফুটবল, ব্যাটবলের আগে কপাটি খেলার খুব ধুম ছিল।
প্রশ্ন-৫. কোন গানগুলো এখন বর্বর চাষার গান বলে ভদ্র সমাজে আর বিকায় না?
উত্তর: পল্লিগানগুলো এখন বর্বর গান বলে ভদ্র সমাজে আর বিকায় না।
পল্লিসাহিত্য কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন-১.পল্লির উপকথাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে কেন?
উত্তর: আধুনিক শিক্ষার কর্মনাশা স্রোতের ফলে পল্লির উপকথাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।
এখনকার শিক্ষিত জননীরা সন্তানদের পল্লিগ্রমের রাখালের পিঠায় কথা, রাক্ষসপুরীর ঘুমন্ত রাজকন্যার কথা বা পঙ্খিরাজ ঘোড়ার কথা এখন আর শোনা যায় না। তাদেরকে শোনান আরব্য উপন্যাসের গল্প। আধুনিক শিক্ষার ফলে এসব পল্লি উপকথাগুলো চাষা ভোষার গল্প বিবেচনায় হারিয়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন-২. ঋড়ষশষড়ৎব ঝড়পরবঃ- এর কাজ হচ্ছে উপকথাগুলো সংগ্রহ করে অন্য সভ্য দেশের উপকথার সঙ্গে সাদৃশ্য বিচার করা।
ইউরোপ ও আমোরিকায় বড় বড় বিদ্বাদদের সভার নাম হলো ঋড়ষশষড়ৎব ঝড়পরবঃু। এই সংগঠনের কাজ হলো লোকমুখে প্রচলিত সব উপকথাগুলো সংগ্রহ করা। তারপর অন্য সভ্য দেশের উপকথার সাথে এসব উপকথার সাদৃশ্য আছে কি না তা বিচার করা।
বাংলা ১ম ‘পল্লিসাহিত্য’ গল্পের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর-এসএসসি (PDF)
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর : ০১
‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়
আমি ধরতে পারলে মন বেড়ি দিতাম পাখির পায়।’
সিডি প্লেয়ারে গানটি শুনতে শুনতে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আফসার সাহেবের চোখ ছলছল করছিল। কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁর অশ্রুসিক্ত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘এগুলোই আমাদের অস্তিত্ব। কিন্তু দিন দিন তোমরা শিকড়-বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছ।
’ স্যারের এ অভিব্যক্তি দেখে একজন শিক্ষার্থী বলে উঠল,“ স্যার,আমরা ‘বাংলা সংসদ’ থেকে গ্রীষ্মের ছুটিতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে বিলুপ্ত প্রায় লোকসংগীতগুলো সংগ্রহ করে সিডি/ডিভিডি আকারে বাজারজাত করতে চাই।” আফসার সাহেব খুশি হয়ে বলেন,‘জাতির আত্মাকে বাচাঁবে তোমরাই।’
ক. ‘দেওয়ানা-মদিনা’ লোকগাথার নায়িকার নাম কি?
খ. ‘নচেৎ এ সকল কেবলি ভুয়া,কেবলি ফক্কিকার’Ñকথাটি ব্যাখ্যা করো।
গ.গান শুনে আফসার সাহেবের চোখ ছলছল করার কারণ ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ.‘শিক্ষার্থীদের পদক্ষেপ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র চাওয়াকে তুলে ধরেছে।’Ñউক্তিটি ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন করো।
উত্তর: (ক)
‘দেওয়ানা-মদিনা’ লোকগাথার নায়িকার নাম মদিনা বিবি।
উত্তর: (খ)
‘নচেৎ এ সকল কেবলি ভুয়া,কেবলি ফক্কিকার’Ñ কথাটির মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে যথার্থ মনোযোগ ছাড়া পল্লিসাহিত্য সভার আয়োজন করা নিরর্থক মাত্র।
বাংলায় ছিল পল্লিসাহিত্য বিরাট সম্ভার,তার সম্পদ যৎসামান্য এখনো আছে। তবে সময় ও রুচির পরিবর্তনে এই সাহিত্য অনাদৃত হয়ে ধ্বংসের পথে দাড়িয়েছে।
সেকেলে পাড়াগাঁয়ের লোক ছাড়া সেগুলোকে আর কেউ আদর করে না। অথচ একদিন এ পল্লিসাহিত্যের আদরের অন্ত ছিল না। বর্তমানে দিকে দিকে পল্লিসাহিত্য নিয়ে বেশ কিছু সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু এ সাহিত্যের দিকে পল্লিজননীর সন্তানদের মনোযোগ ছাড়া এ আয়োজন সার্থক হবে না বরং পুরো ব্যাপারটি ভুয়া ও ফাঁকাবাজিতে পরিণত হবে।
উত্তর: (গ)
উদ্দিপকের আফসার সাহেব বুঝতে পারেন সময় ও রুচির পরিবর্তনে পল্লিসাহিত্যকে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে নাÑফলে বাঙালি শেকড়চ্যুত হয়ে পড়েছে এদিকটি ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধেও আলোচিত হয়েছে।
‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে একসময় পল্লিসাহিত্য সাধারণ মানুষের কাছে অনেক আদরণীয় ছিল। পল্লিগ্রামে বুড়োবুড়িরা সন্ধ্যায় নাতি-নাতনিদের রূপকথার গল্প শোনাতেন। কিন্তু আজকাল এ পল্লিসাহিত্য সর্বত্র উপেক্ষিত।
বর্তমান সাহিত্যে পল্লির কোনো স্থান নেই,পল্লিজীবনও সেখানে অনুপস্থিত। পল্লিসাহিত্যের বিশাল সম্ভারের কঙ্কালবিশেষ অবশিষ্ট থাকলেও সময় ও রুচির পরিবর্তনে সে খোঁজ আর কেউ রাখে না।
‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের আলোকে বলা যায়,আজকের দিনে পল্লিসাহিত্যের দুরবস্থার কথা ভেবেই উদ্দিপকের আফসার সাহেবের চোখ ছলছল করে। সিডি প্লেয়ারে সে সময়ের পল্লির গান শুনতে শুনতে তাঁর কান্না পায়।
কারণ তিনি বুঝতে পারেন এ গান আমাদের অস্তিত্ব হলেও বর্তমান সময়ে তা সর্বত্র অনাদৃত,ফলে বর্তমান প্রজন্ম এ গান সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যাচ্ছে। দিন দিন তারা শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পল্লিসাহিত্যের এ দুরবস্থা দেখে বাংলার অধ্যাপক নিজের অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি।
অধ্যায়-২ কপোতাক্ষ নদ কবিতার বহুনির্বাচনী – বাংলা ১ম পত্র
উত্তর: (ঘ)
গ্রামাঞ্চলে থেকে পল্লিসাহিত্যের নানা উপকরণ সংগ্রহের দিক থেকে উদ্দিপকের শিক্ষার্থীদের পদক্ষেপ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র চাওয়াকেই তুলে ধরেছে।
‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধে লেখক বলেছেন,সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ পল্লিজননীর বুকের কোণে লুকিয়ে আছে। কিন্তু এ অমূল্য সম্পদকে তার বুক থেকে লোকচক্ষুর গোচরে আনার মতো সংগ্রাহকের বড় অভাব এ দেশে।
কেউ যদি শহুরে চোখের অগোচরে পল্লিতে আত্মগোপন করে থাকা সাহিত্য সংগ্রহ করে জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিত,তবে দেখা যেত বাংলার লেখকরাও সাহিত্য সম্পদে অনেক ধনী।
প্রদত্ত উদ্দিপকে বাংলার অধ্যাপক আফসার সাহেবের ছলছল চোখ ও আক্ষেপের কথা শুনে তাঁর শিক্ষার্থীরা তাঁকে সান্তনা দেয়। শিক্ষার্থীরা আফসার সাহেবকে আরও বলে যে,তারা গ্রীষ্মের ছুটিতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে বিলুপ্তপ্রায় লোকসংগীত সংগ্রহ করবে।
তারপর ‘বাংলা সংসদ’ থেকে সেগুলোর সিডি/ডিভিডি করে বাজারজাত করবে। তাদের এ পদক্ষেপ প্রাবন্ধিকের চাওয়াকেই তুলে ধরেছে।
লেখক উপলদ্ধি করেছেন যে,সময় ও রুচির পরিবর্তনে পল্লিসাহিত্যের কঙ্কালবিশেষও এখন ধ্বংসের পথে। নেহাত পাড়াগাঁয়ের লোক ছাড়া তার আদর কেউ করে না। তিনি হতাশ হয়ে আক্ষেপ করে বলেছেন,এমন কি কেউ আছে যে এগুলো সংগ্রহ করে তাদের অবশ্যম্ভাবী ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবে।
উদ্দিপকের আফসার সাহেবের শিক্ষার্থীরা প্রাবন্ধিকের এ চাওয়াকে তুলে ধরেছে। শুধু তাই নয় তারা এ সাহিত্যকে শহুরে সাহিত্যের মাঝে ছড়িয়ে দিতেও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। ফ্রি পিডিএফ ফাইল এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন।