(PDF) অধ্যায় ৩:আমলাতন্ত্র লোকপ্রশাসন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, অধ্যায়: ৩ প্রশ্নোত্তর ও সাজেশন সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে পারবেন। সুতরাং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনার্স ১ম বর্ষের যেকোন বিভাগের সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
(PDF) অধ্যায় ৩:আমলাতন্ত্র লোকপ্রশাসন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
অনার্স প্রথম বর্ষ
বিষয়ঃ লোকপ্রশাসন পরিচিতি
অধ্যায় ৩ : আমলাতন্ত্র
বিষয় কোডঃ ২১১৯০৭
খ-বিভাগঃ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
০৫. আমলাতন্ত্রকে অধিক কার্যকর করার উপায় ব্যাখ্যা কর। অথবা, আমলাতন্ত্রকে দায়িত্বশীল ও জবাবদিহি করার পদ্ধতি আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : আমলাতন্ত্র হচ্ছে আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র আমলাতন্ত্রের যেমন গুণগত দিক রয়েছে তেমনি রয়েছে এর ত্রুটি-বিচ্যুতি।
বর্তমানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক সমস্যা জটিল আকার ধারণ করছে। সাধারণ মানুষের মনে আমলাতন্ত্র সম্পর্কে নানাবিধ নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে।
সেজন্য একে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করতে হবে । আমলাতন্ত্রকে অধিক কার্যকর/শক্তিশালী করার উপায় আমলাতন্ত্রের ভালোমন্দ দুটি দিকই রয়েছে। তাই আমলাতন্ত্রকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করা প্রয়োজন নিম্নে এর উপায় ব্যাখ্যা করা হলো-
১. শক্তিশালী রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ : ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক আমলাদের কাজকর্মের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হলে তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও উদাসীনতা প্রদর্শন করতে পারে না।
সরকার আমলাতন্ত্রকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে যাতে আমলাগণ সুষ্ঠুভাবে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে আরও বেশি উদ্যমী হয়। এতে প্রশাসনের কর্মদক্ষতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
২. বিকেন্দ্রীকরণ : আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হলে অনেক ত্রুটিবিচ্যুতি দূর হয়ে যাবে। প্রশাসন থেকে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ও দুর্নীতি দূর করতে বিকেন্দ্রীকরণের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং প্রশাসনে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করবে।
৩. উপযুক্ত নেতৃত্ব : আমলাতন্ত্রে প্রশাসনের বিভাগের প্রধান কর্মকর্তারা উপযুক্ত নেতৃত্ব প্রদান করতে না পারলে প্রশাসনিক কাঠামো ও কর্মতৎপরতা দুর্বল হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে বিভাগ অনুসারে দক্ষ, যোগ্য ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নির্বাহী প্রধানদের নিয়োগ করতে হবে। যোগ্য পরিচালনা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না।
- আরো পড়ুন:- অধ্যায় ৩:আমলাতন্ত্র লোকপ্রশাসন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(PDFফ্রি)
- আরো পড়ুন:- অধ্যায় ৩:আমলাতন্ত্র লোকপ্রশাসন অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরPDF
- আরো পড়ুন:- (ফ্রি পিডিএফ) অধ্যায়২: লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- অধ্যায়২: লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর ফ্রি পিডিএফ
- আরো পড়ুন:- অধ্যায়২: লোকপ্রশাসন রচনামূলক প্রশ্নোত্তর ৪টি ফ্রি পিডিএফ
৪. গতিশীল ও শক্তিশালী সংস্থা : আমলাতন্ত্রকে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়লে জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলে।
এজন্য আমলাতন্ত্রকে যেকোনো পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে নীতি ও কাজের ধারা পরিবর্তন করতে হবে। এমন গতিশীল ও শক্তিশালী সংস্থায় পরিণত করতে হবে যাতে এটি যেকোনো প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করতে পারে।
৫. গবেষণা : আইন প্রণয়ন, নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে এর ত্রুটিগুলো সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব।
প্রাপ্ত ত্রুটি ও সমস্যাগুলো সমাধান করার মাধ্যমে আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করা যায়। সুতরাং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা অতীব প্রয়োজনীয় ।
৬. নাগরিক নিয়ন্ত্রণ : সাধারণ নাগরিকগণের ইচ্ছা ও চিন্তাকে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় প্রাধান্য দেওয়া হলে আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা আরও কার্যকর ও শক্তিশালী হবে। ফলে আমলারা ক্ষমতার অপব্যবহার করতে সাহস পাবে না ।
৭. উপযুক্ত বেতন ও ভাতা : আমলাতন্ত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা যথেষ্ট না হলে প্রশাসনিক কর্মতৎপরতা গতিহীন হয়ে পড়ে এক্ষেত্রে তারা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে।
ফলে প্রশাসন ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তাই আমলাদেরকে উপযুক্ত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হলে প্রশাসন কার্যকর ও শক্তিশালী হবে ।
৮. জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ : আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও সরকার কর্তৃক আমলাদের কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে আমলাতন্ত্র আরও শক্তিশালী, কার্যকর ও গতিশীল হবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রশাসন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করে আমলাতন্ত্রের ত্রুটিসমূহ দূর করা যেতে পারে এবং একে অধিকতর কার্যকর ও বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন সংগঠনে পরিণত করা যেতে পারে। আমলাতন্ত্রের যেসব ত্রুটিবিচ্যুতি রয়েছে, সেগুলোকে দূর করার মাধ্যমে আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কার্যকারিতা ও গতিশীলতা আনা সম্ভব।
০৬. ম্যাক্স ওয়েবারের আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর । অথবা, ম্যাক্স ওয়েবারের আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর ।
উত্তর : ভূমিকা : বর্তমানে আমলাতন্ত্র একটি বিশ্বজনীন ধারণা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অপরিহার্য অংশ। বস্তুত আমলাতন্ত্র হচ্ছে আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র ।
আমলাতন্ত্র ছাড়া আধুনিক রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না। জার্মান দার্শনিক ও সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবারকে আমলাতন্ত্রের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
ম্যাক্স ওয়েবারের আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য : ম্যাক্স ওয়েবার আমলাতন্ত্রের, কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলো-
১. আইনগত কাঠামো : ম্যাক্স ওয়েবারের মতে, আমলাদের আচরণ আইনের অনুশাসন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। এখানে আইনের অনুশাসন বলতে বুঝায় যেসব কাজে নাগরিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হয়, সেসব কাজের পিছনে আইনের অনুমোদন থাকতে হবে।
এরূপ ক্ষেত্রে আমলারা নিজেদের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না। প্রশাসনিক ক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রয়েছে। এক্ষেত্রে নাগরিক ইচ্ছা করলে আপিল করতে পারেন।
২. যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ : শিক্ষা ও যোগ্যতা অনুসারে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ম্যাক্স ওয়েবারের মতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
প্রতিটি পদের কার্যপ্রণালি বিশ্লেষণ করা এবং সে অনুযায়ী শিক্ষা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। নিয়োগের পরবর্তী ধাপ হলো প্রশিক্ষণ । প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তার নির্ধারিত কাজের জন্য দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব ।
৩. বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা : আমলাতন্ত্রে প্রশাসনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে যোগ্যতা অনুসারে বেতন দেওয়া হয়। ম্যাক্স ওয়েবারের মতে, মুদ্রার মাধ্যমে আমলাদের বেতন নির্ধারিত হওয়া উচিত।
প্রাচীন মিসর ও চীনে আমলাদেরকে জিনিসপত্রের মাধ্যমে বেতন দেওয়া হতো। আমলারা বেতনের পাশাপাশি নানারকম ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
৪. পদসোপান পদ্ধতি : ম্যাক্স ওয়েবারের মতে, পদসোপান পদ্ধতির মাধ্যমে পদগুলোকে সুসংগঠিত করা হয়। প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে থাকে। ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা তার অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করেন ।
৫. স্থায়িত্ব : সাধারণত একটি বেসরকারি সংস্থার স্থায়িত্ব নির্ভর করে ঐ সংস্থার মুনাফা অর্জনের ওপর। সরকারি সংস্থা শুধু জনকল্যাণমূলক কাজ করে। ম্যাক্স ওয়েবারের মতে, আমলারা চাকরিতে দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব ভোগ করবে। তবে কোনো আমলা যদি গুরুতর কোনো অপরাধ করেন তাহলে তাকে ছাঁটাই করা হতে পারে।
৬. নিরপেক্ষতা : ম্যাক্স ওয়েবারের মতে, আমলাতন্ত্রের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো নিরপেক্ষতা। আমলারা নিরপেক্ষভাবে, রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে জনগণের সেবা করবেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বা স্বজনপ্রীতি প্রদর্শন করে আমলারা কোনো প্রশাসনিক কার্যসম্পাদন করবে না।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ম্যাক্স ওয়েবার বিশ্ব ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ের সমাজব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে আমলাতান্ত্রিক সংগঠনের উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহের উল্লেখ করেছেন।
তবে ম্যাক্স ওয়েবারের আমলাতন্ত্রের ধারণার ব্যাপারে যথেষ্ট সমালোচনা রয়েছে। তবে ম্যাক্স ওয়েবারের আমলাতন্ত্রের সমালোচনা থাকলেও তিনি আমলাতন্ত্রের সকল জটিলতা দূর করার জন্য একটি সহজ ও সর্বজনবোধ্য ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন ।
০৭. ম্যাক্স ওয়েবারকে আমলাতন্ত্রের জনক বলা হয় কেন? অথবা, ম্যাক্স ওয়েবারকে আমলাতন্ত্রের জনক বলার কারণসমূহ কী?
উত্তর : ভূমিকা : আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রশাসন পরিচালনা করার জন্য আমলাতন্ত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা। আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়। এটি প্রশাসনের সাথে এমনভাবে জড়িত যে একে আলাদা করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা চিন্তা করা যায় না। সরকারি নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে আমলারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ম্যাক্স ওয়েবারকে আমলাতন্ত্রের জনক বলার কারণ : নিম্নে তাকে আমলাতন্ত্রের জনক বলার কারণ আলোচনা করা হলো-
১. সার্থক ধারণা প্রদান : একমাত্র ম্যাক্স ওয়েবারই আমলাতন্ত্রের সার্থক ধারণা প্রদান করেছেন। তার মতে, “আমলাতন্ত্র এমন এক ধরনের প্রশাসন ব্যবস্থা যার মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধ নিরপেক্ষতা।” এ কারণেই তাকে আমলাতন্ত্রের জনক বলা হয়।
২. যৌক্তিকতা সাধন : ম্যাক্স ওয়েবারই (Max Weber) একমাত্র সমাজবিজ্ঞানী যিনি আমলাতন্ত্রের যৌক্তিকতা সাধন করেছেন। আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যাবলি বর্ণনা করার মাধ্যমে তিনি প্রশাসন ব্যবস্থায় এর প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করেছেন। এজন্য তাকে আমলাতন্ত্রের জনক বলা হয় ।
৩. আদর্শ আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রবর্তন : ম্যাক্স ওয়েবার কর্তৃক প্রদত্ত আমলাতন্ত্রকে আদর্শ ধরনের আমলাতন্ত্র বলা হয়। বিশ্বজুড়ে তার আদর্শ আমলাতান্ত্রিক ধারণা বেশ সমাদৃত। তাকে আমলাতন্ত্রের জনক হিসেবে বিবেচনা করার জন্য এটি অন্যতম একটি কারণ।
৪. সর্বজনীন স্বীকৃতি : বর্তমানে ম্যাক্স ওয়েবার কর্তৃক প্রদত্ত আমলাতন্ত্র পুরো বিশ্বে চর্চা করা হয়। ফলে সর্বজনীন স্বীকৃতি প্রাপ্তির মাধ্যমে ম্যাক্স ওয়েবার আমলাতন্ত্রের জনক হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন।
৫. বস্তুনিষ্ঠ সংগঠন প্রতিষ্ঠাকরণ : আমলাতন্ত্রকে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় আদর্শ, যৌক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ম্যাক্স ওয়েবার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আমলাতন্ত্রের বর্তমান অবস্থানে আসার জন্য ম্যাক্স ওয়েবার অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাই তাকে আমলাতন্ত্রের জনক বলা হয়।
৬. অনুসরণীয় মডেল উপস্থাপন : ম্যাক্স ওয়েবার আমলাতন্ত্রকে একটি আইনগত ও যুক্তিসংগত মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি এমন এক মডেলের উদ্ভাবন করেছেন যা এখন বিশ্বজুড়ে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আমলাতন্ত্র সম্পর্কে আধুনিক ধারণার প্রবক্তা হচ্ছেন ম্যাক্স ওয়েবার। তার দেওয়া আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যগুলো এখন সারাবিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে। বস্তুত ম্যাক্স ওয়েবারের ধারণা এবং লেখাই আধুনিককালে আমলাতন্ত্রের পাঠ এবং ধারণাকে সুসংগঠিত করেছে। এজন্য তাকে আমলাতন্ত্রের জনক বলে অভিহিত করা হয়।
০৮ লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কী? অথবা, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বলতে কী বুঝ?
উত্তর : ভূমিকা : বর্তমান বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। এটি দেশের পুরো শাসনব্যবস্থাকে পরিচালিত করে। কিন্তু এর কিছু ত্রুটি রয়েছে। আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে তার মধ্যে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ অন্যতম।
সরকারি কাজে নিয়মতান্ত্রিকতার অজুহাতে দীর্ঘদিন ফাইল বন্দি অবস্থায় ফেলে রাখাকে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ বলে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য : লাল ফিতা প্রত্যয়টি সপ্তদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে প্রচলিত হয়।
সে সময়ে সরকারি ফাইলপত্র লাল রঙের ফিতা দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। এখান থেকেই আমলাতন্ত্রের আনুষ্ঠানিকতা, দীর্ঘসূত্রতা, নিয়মকানুনের কড়াকড়ি ও বাড়াবাড়ি বুঝাতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কথাটির ব্যবহার শুরু হয়।
সাধারণত আমলাতন্ত্রে প্রচলিত নিয়মকানুনের ওপর অনেক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। আমলারা খুব বেশি আনুষ্ঠানিকভাবে সবকিছু করতে চান। সমস্যা সমাধানে বিধি মোতাবেক যথাযোগ্য নিয়মে অগ্রসর হতে গিয়ে সময় নষ্ট হয় এবং সমস্যা আরও জটিল হয়ে পড়ে।
জনগণের আবেদন আমলাতন্ত্রের লাল ফিতার বাঁধনে আটকা পড়ে থাকে। সুতরাং আমলাতন্ত্রের দৌরাত্ম্য, আনুষ্ঠানিকতার বাড়াবাড়ি, অহেতুক বিলম্ব ইত্যাদি বুঝাতে মন্দ অর্থে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য শব্দটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : র্যালফ সি. চ্যান্ডলার এবং জ্যাক সি. প্ল্যানো (Ralph C. Chandler and Jack C. Plano) বলেছেন, “Red tapism refers to bureaucratic procedure characterized by mechanical adherence to regulations, evasive formality attention to routine, and the complication of large amounts of extraneous information resulting in prolonged delay or inaction.
” অর্থাৎ, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বলতে এমন সব আমলাতান্ত্রিক কার্যপ্রণালিকে বুঝায় যেগুলো আইনের প্রতি যান্ত্রিক আনুগত্য, অত্যধিক আনুষ্ঠানিকতা, নিত্যকর্মসূচির প্রতি মনোযোগ ইত্যাদি দ্বারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এবং এ বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণে ফাইল আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা বা নিষ্ক্রিয়তা ঘটে ।
উইলিয়াম এবং ম্যারি মরিস (William and Mary Morris) বলেছেন, “ঊনবিংশ শতাব্দীতে লাল ফিতার ব্যবহার করা হতো মূলত অকার্যকারিতা বা বিলম্ব অর্থে যা দাপ্তরিক ভাবালুতা থেকে উদ্ভূত এবং এখান থেকেই এটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠেছিল ।”
অ্যালভিন ডব্লিউ. গোল্ডনারের (Alvin W. Gouldner) মতে, “Alienation the impersonalization and the rules and regulations that affect bureaucracy.” অর্থাৎ, লাল ফিতার দৌরাত্ম্যের কারণে বিচ্ছিন্নতা, উদাসীনতা ও নিয়মকানুনে কঠোরতা তৈরি হয়, যা আমলাতন্ত্রকে প্রভাবিত করে।
রোজেনফেল্ড (Rosenfeld) বলেন, “Red tapism is guidelines, procedures, forms and governmental interventions that are perceived as excessive, unwieldy or pointless in relationship to decision making or implementation of decisions.” অর্থাৎ, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বলতে বুঝায়, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারি কাজে ত্রুটিযুক্ত নির্দেশনা ও কার্যপ্রণালি ।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হার্বার্ট কাফম্যন (Herbert Kaufmen) বলেন, “লাল ফিতাকে সচরাচর সমার্থক বলে মনে করা হয়। এসব শব্দ জনগণের অধিকার রক্ষা করে আবার অনেক সময় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অন্যতম একটি কারণ লাল ফিতার দৌরাত্ম্য। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বলতে পূর্ববর্তী নিয়মকে অন্ধভাবে অনুসরণ ও অনুকরণ করাকে বুঝায়। প্রশাসন থেকে এ সমস্যা দূর করা সম্ভব হলে আমলাতন্ত্র আরও কার্যকর ও গতিশীল হবে। জনগণ অহেতুক হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে।
০৯. লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কীভাবে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি করে? লেখ । অথবা, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি করে— ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভূমিকা : আমলাতন্ত্র আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহের প্রশাসনিক কাঠামোর অপরিহার্য অংশ। আমলাতন্ত্র হচ্ছে আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র।
তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করে যা কাজের ধারাবাহিকতা ও পরিবেশ বিনষ্ট করে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্যকে বিলোপ করা সম্ভব হলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ আরও সহজ হবে।
লাল ফিতার দৌরাত্ম্য যেভাবে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি করে : প্রশাসনে আমলাতন্ত্রের দীর্ঘসূত্রতার কারণে জনগণের মনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য যেভাবে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি করে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো—
১. পূর্বনজির অনুসরণ : আমলাগণ পূর্বনজির অনুসরণ ও মেনে চলে তাদেরকে কোনো কাজ হস্তান্তর করা হলে তারা পূর্ববর্তী আমলাদের ন্যায় মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ঐ কাজ আটকে রাখে। আর এভাবেই লাল ফিতার দৌরাত্ম্য প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি করে।
২. দায়িত্বহীনতা : আমলাগণ চাকরির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব ভোগ করে। অন্যদের তুলনায় তাদের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা অনেক কম। তাই তাদের মধ্যে এক ধরনের দায়িত্বহীনতা কাজ করে। এ দায়িত্বহীনতাই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতার জন্য দায়ী।
৩. জবাবদিহিতার অভাব : আমলাগণ নিয়ম অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট দায়বদ্ধ থাকলেও বাস্তবে উল্টো চিত্র দেখা যায়। এক্ষেত্রে তারা রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।
৪. দুর্বল পদসোপান নীতি পদসোপান নীতি দুর্বল হওয়ার কারণে ফাইল আদানপ্রদানে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ফাইল আদানপ্রদান হয় না। ফলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়। পদসোপান নীতি শক্তিশালী ও গতিশীল হলে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য লোপ পাবে।
৫. অতি আনুষ্ঠানিকতা : আমলাতন্ত্রে সাধারণত প্রাচীন রীতিনীতি অনুযায়ী অফিস-আদালত পরিচালিত হয়। আমলাগণ জনগণের সুযোগ সুবিধার কথা বিবেচনা না করে শুধু কর্মপদ্ধতিকে প্রাধান্য দেন, কিন্তু তা প্রশাসনিক উদ্দেশ্য অর্জনে কতটুকু সফল সেদিকে কেউ খেয়াল করেন না।
অতি আনুষ্ঠানিকতার কারণে অনেক সময় ফাইল নিম্নতম পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রে যেতে এত সময় লাগে যে, তখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয় না।
৬. অসহনশীল মনোভাব : আমলাগণ নিজেদেরকে অনেক শিক্ষিত, দক্ষ ও উন্নত শ্রেণির অধিকারী হিসেবে মনে করেন। ফলে সাধারণ জনগণের প্রতি তাদের অসহনশীল মনোভাব বিরাজ করে। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে অধিক স্থায়িত্ব ভোগ করার কারণে তারা সাধারণ নাগরিকদের চাহিদার প্রতি মনোনিবেশ করতে চান না ।
৭. উদাসীনতা : আমলাগণ হলেন জনগণের চাহিদার অভিভাবক, রাষ্ট্রের কী নেই এবং কী প্রয়োজন তার প্রতি আমলাদের দৃষ্টি রাখতে হয়। কিন্তু বাস্তবে আমলাগণ জনগণের চাহিদার প্রতি উদাসীন। কেননা সাধারণ নাগরিকদের সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির ওপর তাদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা নির্ভর করে না। আর এভাবেই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আমলাতন্ত্রের নিয়মনীতির কঠোরতা তথা লাল ফিতার দৌরাত্ম্য প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি করে। প্রশাসনিক রীতিনীতি নমনীয় হলে এবং ধরাবাঁধা নিয়মকানুন পরিহার করা হলে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য লোপ পাবে এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হবে।
১০. আমলাতন্ত্রের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি লেখ। অথবা, আমলাতন্ত্রের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর : ভূমিকা : একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্রের গুরুত্ব ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমলাতন্ত্রকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করতে এর ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। বিশেষ করে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। নিয়ন্ত্রণহীন আমলাতন্ত্র দুর্নীতিগ্রস্ত ও বিশেষ গোষ্ঠীর কল্যাণে নিয়োজিত হয়ে পড়ে।
আমলাতন্ত্রের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি : নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
১. আইনসভার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ : আইনসভার হাতে আমলাদের নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকলে আমলাদেরকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ব্রিটেন ও ভারতে আইনসভার বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে আমলাদের কাজকর্মের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়। এতে তারা কিছুটা সংগত ও আইনানুসারে নিজেদের কাজকর্ম পরিচালনা করতে পারে। বাংলাদেশেও এ ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে।
- আরো পড়ুন:-প্রশাসন ও সংগঠনের নীতিমালা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(ফ্রি PDF)
- আরো পড়ুন:-প্রশাসন ও সংগঠনের নীতিমালা,অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(PDF)
- আরো পড়ুন:-লোকপ্রশাসন পরিচিতির রচনামূলক প্রশ্নোত্তর (ফ্রি PDF)
- আরো পড়ুন:- (ফ্রি PDF) লোকপ্রশাসন পরিচিতির রচনামূলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- লোকপ্রশাসন পরিচিতির রচনামূলক প্রশ্নোত্তর(ফ্রি PDF)
- আরো পড়ুন:- ফ্রি PDF লোকপ্রশাসন পরিচিতি‘র (খ) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
২. মন্ত্রিসভার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ : মন্ত্রিসভার মাধ্যমে আমলাতন্ত্রকে বাহ্যিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মন্ত্রীরা আমলাদের সাথে প্রশাসনিক কার্যাবলি ভাগাভাগি করেন। মন্ত্রীরাই আমলাদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক পরামর্শ পেয়ে থাকেন। সুতরাং মন্ত্রীদের সাথে আমলাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো হওয়ার কারণে মন্ত্রিসভার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।
৩. রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ : বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে আমলাতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় । এ কাজ বিশেষ করে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অনেক সময় রাজনীতির অপব্যবহারও হয়ে থাকে।
৪. চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীসমূহের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ : বিভিন্ন চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী বাহ্যিকভাবে আমলাতন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। যেমন— সাধারণ জনগণ, ছাত্রসমাজ, সুশীল সমাজ, শ্রমিক ইউনিয়ন ইত্যাদি। এ গোষ্ঠীগুলো নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্রের গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ প্রদান করে থাকে। ফলে আমলারা নিজেদের কাজের ব্যাপারে আরও সচেতন হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি একটি কার্যকর পদ্ধতি। বস্তুত একটি দেশের উন্নয়নে আমলাতন্ত্রের ভূমিকা অত্যধিক। সরকারি গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো আমলারাই বাস্তবায়ন করে থাকেন। তাই তারা যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েন তাহলে এটি একটি দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে উঠবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। ফ্রি পিডিএফ ফাইল এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন। (PDF) অধ্যায় ৩:আমলাতন্ত্র লোকপ্রশাসন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর