PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি: রুশো সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ও PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি: রুশো সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর সহ শিক্ষমূলক সকল বিষয় পাবে এখান থেকে: অধ্যায় ৫.৮ : রুশো, এর অতিসংক্ষিপ্ত, প্রশ্নোত্তর,সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ও
রচনামূলক প্রশ্নোত্তর, সাজেশন সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে পারবেন। সুতরাং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনার্স ১ম বর্ষের যেকোন বিভাগের সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি: রুশো সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
অনার্স প্রথম বর্ষ
বিষয়ঃ রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি
অধ্যায় ৫.৮ : রুশো
বিষয় কোডঃ ২১১৯০৯
খ-বিভাগঃ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
০১. রুশোর জন্ম ও শৈশব সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
অথবা, রুশোর জন্ম ও শৈশব সম্পর্কে কী জান? সংক্ষেপে লেখ ।
উত্তর : ভূমিকা: জ্যা জ্যাক রুশো ফরাসি রাষ্ট্রচিন্তার এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। জন্মসূত্রে সুইজারল্যান্ডের অধিবাসী হলেও তিনি ছিলেন ফরাসি জ্ঞানালোক আন্দোলনের অন্যতম প্রতিনিধি এবং ইউরোপের প্রগতিবাদী ও গণতান্ত্রিক সমাজচেতনার প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
তিনি হতদরিদ্র অবস্থা থেকে ক ফরাসি বিপ্লবের ন্যা ন্যায় পৃথিবী আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি ঘটনার জন্ম দিয়েছেন যা যুগ যুগ ধরে স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস।
রুশোর জন্ম ও শৈশব : নিম্নে রুশোর জন্ম ও শৈশব সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
রুশোর জন্ম : রুশোর পুরো নাম জ্যা জ্যাক রুশো। রুশো ১৭১২ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে দরিদ্র সুইস পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।
- আরো পড়ুন:-PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি রুশো: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-(ফ্রি PDF) রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি লক: রচনামুলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি লক: রচনামুলক প্রশ্নোত্তর (ফ্রি PDF)
- আরো পড়ুন:-রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি লক: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ফ্রি PDF
- আরো পড়ুন:- PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি লক: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি লক: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDFডাউনলোড অনার্স রাজনৈতিক হবস: রচনামুলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- অনার্স রাজনৈতিক হবস: রচনামুলক প্রশ্নোত্তর PDFডাউনলোড
- আরো পড়ুন:- অনার্স রাজনৈতিক হবস: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF ডাউনলোড
পিতামাতা : রুশোর পিতার নাম আইজ্যাক রুশো (Isaac Rousseau)। তিনি ছিলেন একজন ঘড়ি প্রস্তুতকারক। তার মায়ের নাম ছিল সুজান বার্নার্ড রুশো (Suzanne Bernard Rousseau)। তার পারিবারিক উপাধি রুশো।
শৈশব : সাধারণ শিশুদের মতো রুশোর শৈশব স্বাচ্ছন্দ্যে কাটেনি। জন্মের সময়ই তার মা মারা যান। মাত্র ১০ বছর বয়সে দরিদ্রতার কারণে তার পিতা তাকে পরিত্যাগ করেন।
এরপর তিনি তার মামার বাড়িতে চলে যান এবং সেখানে একটি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বারো বছর বয়সে তিনি স্কুল পরিত্যাগ করে বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসায়ে শিক্ষানবিশি শুরু করেন।
তাতেও তিনি সফল হতে পারেননি। ১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে তিনি প্যারিস গমন করেন এবং তৎকালীন সুধী সমাজের নৈকট্য লাভ করেন
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রুশোর জন্ম ও শৈশব অন্য শিশুদের মতো স্বাচ্ছন্দ্যে কাটেনি। প্রতিনিয়ত দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করতে হয়েছে। অভিভাবকহীন ভবঘুরে জীবন কাটানোর পর হঠাৎ ২৬ বছর বয়সে তিনি বুঝতে পারলেন অসংযত ও
দায়িত্বজ্ঞানহীন জীবন মোটেই সুখের নয়। সময়কে ভালোভাবে কাজে লাগানো উচিত। তখন থেকেই তিনি পড়াশুনায় মনোনিবেশ করেন এবং জীবনে সাফল্য লাভ করেন।
০২. রুশোর সামাজিক চুক্তি তত্ত্ব বর্ণনা কর ।
অথবা, রুশোর সামাজিক চুক্তি মতবাদটি সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : ইউরোপের প্রগতিবাদী এবং গণতান্ত্রিক সমাজ চেতনার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন রুশো। জ্যা জ্যাক রুশো রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তিনি যে সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা রেখে গেছেন তা তাকে রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে অমর করে রেখেছে। রুশো তার বিখ্যাত ”The Social Contract’ গ্রন্থে সামাজিক চুক্তি মতবাদ তত্ত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন।
রুশোর সামাজিক চুক্তি তত্ত্ব : রুশোর রাষ্ট্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ হলো সামাজিক চুক্তি মতবাদ। রুশো সামাজিক চুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, “প্রকৃতির রাজ্যের মানুষ কখনও স্বার্থপর, কলহপ্রিয় ও আত্মকেন্দ্রিক ছিল না।”
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে মানুষ জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে । ফলে মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব, কলহের সৃষ্টি হয়।
মানুষ এ দ্বন্দ্ব কলহ থেকে মুক্তির পথ খোঁজে। আর এরই ফলশ্রুতিতে মানুষ সমাজ, সংগঠন, আইন প্রণয়ন ও সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ।
এ সম্পর্কে রুশো বলেন, এভাবেই মানুষ সমিতিভুক্ত হয়ে তার যাবতীয় অধিকার সমাজের কাছে অর্পণ করে সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করে।
সামাজিক চুক্তির প্রকৃতি : রুশো তার ”The Social Contract” গ্রন্থে সামাজিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন রুশো বলেন, চুক্তি সম্পাদনকারী প্রতিটি ব্যক্তির স্থানে এমন একটি নৈতিক ও যৌথ ব্যবস্থার সৃষ্টি হয় যার নিজস্ব সত্তা ও ইচ্ছা বিদ্যমান।
আর সে ইচ্ছা ও সত্তা মানুষের ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এ ইচ্ছা ও সত্তা থেকেই গঠিত সংস্থাকে সিটি রিপাবলিক বা বডি পলিটিক নামে অভিহিত করা হয়।
প্রকৃতির রাজ্যের মানুষ কীভাবে রাষ্ট্র গঠন শুরু করে রুশো তার সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে তা বর্ণনা করেছেন। প্রকৃতির রাজ্যের মানুষ নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রকৃতির বাধাকে এককভাবে প্রতিহত করতে পারছিল না।
অথচ বাধা না দিলে ধ্বংস অনিবার্য। তাই জোটবদ্ধভাবে প্রকৃতির বাধাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করল। এভাবেই সমাজ চুক্তির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির হাতে নয়; বরং গোটা সমাজের হাতে তাদের শাসনভার তুলে দিল।
সামাজিক চুক্তির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে রুশো বলেন, “ব্যক্তি নিজ নিরাপত্তার স্বার্থে পরস্পরের সাথে একটি চুক্তি সম্পাদন করে তাদের ক্ষমতা এ চুক্তির নিকট অর্পণ করে এবং চুক্তি ব্যক্তি সমষ্টি সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও নিরাপত্তা বিধান করে।”
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রুশোর সামাজিক চুক্তি মতবাদ তার রাষ্ট্রদর্শনের একটি উল্লেখযোগ্য মতবাদ। রুশো তার সামাজিক চুক্তি মতবাদের দ্বারা রাষ্ট্রগঠন রাষ্ট্রের কল্যাণে জনগণকে জোটবদ্ধভাবে সব বাধা অতিক্রম করার পথ দেখিয়েছেন।
আর তখনই মানুষ সামাজিক চুক্তির কথা চিন্তা করে। রুশো বিশ্বাস করেন যে, চুক্তি সম্পাদনের ফলে যে নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয় তার মধ্যে মানুষের সাম্য ও স্বাধীনতা অবলুপ্ত না হয়ে নতুনভাবে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়।
০৩. রুশোর সাধারণ ইচ্ছা কী?
অথবা, রুশো সাধারণ ইচ্ছা বলতে কী বুঝিয়েছেন? সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর : ভূমিকা: যে দার্শনিকের সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার বাণী আজও পৃথিবীতে বিরাজ করছে তিনি হলেন ফরাসি রাষ্ট্রচিন্তাবিদ জ্যা জ্যাক রুশো। তিনি যেসব মতবাদ প্রদান করেছেন তার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সাধারণ ইচ্ছাতত্ত্ব।
সাধারণ ইচ্ছাকে তিনি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী করে একে এক বিশিষ্ট আসনে অধিষ্ঠিত করেন। ১৭৬২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত “The Social Contract” গ্রন্থে রুশো তার সাধারণ ইচ্ছাতত্ত্ব বর্ণনা করেন।
সাধারণ ইচ্ছার উদ্ভব : রুশোর সামাজিক চুক্তি থেকেই সাধারণ ইচ্ছাতত্ত্বের উৎপত্তি। সাধারণ ইচ্ছার উদ্ভব প্রসঙ্গে রুশো বলেন, “মানুষ তার দেহ, সম্পত্তি, নিরাপত্তা,
স্বাধীনতা ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নিজেদের ম মধ্যে পারস্পরিক সমর্থন ও সহযোগিতার ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদন করে এ চুক্তির ফলেই সাধারণ ইচ্ছার জন্ম হয়।”
সামাজিক চুক্তি সমাজ ও রাষ্ট্র সৃষ্টির পরেই মানুষের ব্যক্তিগত ইচ্ছা সমগ্র সম্প্রদায়ের ইচ্ছায় পরিণত হয়। আর এভাবেই জন্ম হয় সাধারণ ইচ্ছার।
সাধারণ ইচ্ছার সংজ্ঞা : রুশোর সামাজিক চুক্তি অনুযায়ী যে রাষ্ট্রের জন্ম হয় তার একটি স্বতন্ত্র ইচ্ছা থাকে । সাধারণ ইচ্ছার অর্থ হলো জনগণের ইচ্ছা। যার দ্বারা জনগণের কল্যাণ সাধিত হয়। রুশোর মতে, যে ইচ্ছা সর্বদাই জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করে তাই সাধারণ ইচ্ছা।
রুশোর সাধারণ ইচ্ছা প্রসঙ্গে “সকলের ইচ্ছার প্রসঙ্গে ইবেনস্টাইন(Ebenstain) বলেন, যেসব সংযোজক ও বিয়োজক একটি অপরটিকে বাতিল করে দেয় সেগুলো যদি অপসৃত করা যায় তাহলে যেসব ইচ্ছা অবশিষ্ট থাকে তাদের সমষ্টিকে ধরা হয় সাধারণ ইচ্ছা।”
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রুশোর সাধারণ ইচ্ছাতত্ত্বটি রাজনৈতিক দর্শনে একটি উল্লেখযোগ্য মতবাদ। তিনি তার রচনার মাধ্যমে সাধারণ ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটান। সাধারণ ইচ্ছা ব্যক্তির কল্যাণসাধনে নিয়োজিত থাকে।
বস্তুত সাধারণ ইচ্ছার মাধ্যমে রাষ্ট্র, সমাজ, সংগঠনের উন্নয়নে গতি ত্বরান্বিত হয়। রুশোর সাধারণ ইচ্ছা সম্পর্কে অধ্যাপক ম্যাক্সি (Maxey) অভিমত প্রকাশ করেন যে, “রুশোর মতবাদে সাধারণ ইচ্ছা বলতে সমষ্টিগত চেতনা, জনকল্যাণমুখী মনোভাব এবং যৌথ অভিপ্রায়ের কথাই বুঝায়।
০৪. প্রকৃতির রাজ্য সম্পর্কে রুশোর ধারণা ব্যক্ত কর।
অথবা, রুশোর প্রকৃতির রাজ্য সম্পর্কে যা জান সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর : ভূমিকা : ফরাসি বিপ্লবের স্লোগান হলো সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা। এ অমোঘ বাণীর স্রষ্টা জ্যা জ্যাক রুশো ছিলেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক। রুশোর রাষ্ট্রদর্শনের মধ্যে প্রকৃতির রাজ্য নিয়ে আলোচনা ছিল অন্যতম।
রুশোর প্রকৃতির রাজ্য সম্পর্কে অধ্যাপক ডানিং বলেন, “In the state of nature men are to be found the elements of perfect happiness. He is independent, contented, self-sufficing. ”
প্রকৃতির রাজ্য সম্পর্কে রুশোর ধারণা : রুশোর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের সূচনা হয় প্রকৃতির রাজ্য থেকে। রুশোর অঙ্কিত প্রকৃতির রাজ্য ছিল প্রাক-রাষ্ট্রনৈতিক।
তিনি বলেন, “সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে মানুষ যে পরিবেশে বসবাস করতো সেটি ছিল প্রকৃতির রাজ্য। প্রকৃতির রাজ্য স্বাধীনতা ও সমতার লীলাভূমি । কেউ সেখানে রাজা ছিল না, কেউ প্রজা ছিল না। সবাই ছিল মানব। তাই সেখানে কোনো প্রথার দ্বন্দ্ব বা বিবাদ ছিল না।”
প্রকৃতির রাজ্যে মানুষ যেকোনো স্থিতিশীল পরিবার গঠন করতে সক্ষম বলে মানুষের হৃদয়ে স্নেহ, ভালোবাসা, আবেগ অনুভূতির মানব চরিত্রের সূক্ষ্ম দিকগুলো গড়ে ওঠেনি। আর এসব না থাকায় তাদের মধ্যে সামাজিকতাবোধের বিকাশ ঘটেনি।
ফলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, সংঘাত, আত্মকেন্দ্রিকতা জন্মলাভ করেনি। বিজ্ঞান ও সভ্যতার উন্নতিতে মানুষের মধ্যে স্বার্থপরতা, আত্মকেন্দ্রিকতা জন্মলাভ করে। সভ্যতার বিভিন্ন স্তরে মানুষের সামাজিক অবস্থা বিচারের মানদণ্ড হলো প্রকৃতির রাজ্য।
রুশো তার ”The Social Contract’ গ্রন্থে বলেন, “Man is born free, but everywhere he is in chains.” তার এ উক্তির তাৎপর্য হলো মানুষ প্রকৃতির রাজ্যেই স্বাধীনভাবে জন্মাতে পারে কিন্তু সভ্য সমাজে নয়। সভ্যতার পরিবর্তন রুশোর এ প্রকৃতির রাজ্যে সমতা ও শান্তির ভিত্তিমূলে আঘাত করেছে।
প্রকৃতির রাজ্যের মানুষকে রুশো মহান বর্বর’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং যুক্তিবাদী মানুষ’ অপেক্ষা এসব মহান বর্বরদের প্রতি অনুরাগ প্রদর্শন করেছেন। প্রকৃতির রাজ্যের বাস্তবতা সম্পর্কে রুশো বলেন, বর্তমানে এরূপ রাজ্যের কোনো অস্তিত্ব নেই । অতীতেও হয়তো ছিল না এবং ভবিষ্যতেও হয়তো থাকবে না। তথাপি তিনি মনে করেন তার এ ধারণা ঐতিহাসিক কেবল মনস্তাত্ত্বিক নয়
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রুশোর প্রকৃতির রাজ্য বর্তমান সভ্য সমাজ বা রাষ্ট্রের চেয়ে অনেক উন্নত। এটি ছিল আদর্শ সুখ ও শান্তির স্থান। সেখানে কোনো রাজা বা প্রজা ছিল না। সবাই ছিল সমান।
সেখানে কোনো দ্বন্দ্ব কলহ ছিল না। বিধায় সেখানে মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতো। রুশোর এ তত্ত্বের মধ্যেই নিহিত ছিল ফরাসি বিপ্লবের ইন্ধন যোগানো সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার মহান বাণী।
- আরো পড়ুন:- PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি লক: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি লক: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:-PDFডাউনলোড অনার্স রাজনৈতিক হবস: রচনামুলক প্রশ্নোত্তর
- আরো পড়ুন:- অনার্স রাজনৈতিক হবস: রচনামুলক প্রশ্নোত্তর PDFডাউনলোড
- আরো পড়ুন:- অনার্স রাজনৈতিক হবস: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF ডাউনলোড
০৫. রুশোকে সর্বাত্মকবাদী গণতন্ত্রী বলার কারণ কী? সংক্ষেপে লেখ ।
অথবা, রুশোকে সর্বাত্মকবাদী গণতন্ত্রী বলা হয় কেন? আলোচনা কর ।
উত্তর : ভূমিকা : ফরাসি জ্ঞানালোক আন্দোলনের অন্যতম প্রতিনিধি এবং ইউরোপের প্রগতিবাদী ও গণতান্ত্রিক সমাজ চেতনার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জ্যা জ্যাক রুশোর কার্যকলাপ,
শিক্ষা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে ফ্রান্স হয়ে উঠেছিল অষ্টাদশ শতাব্দীর ইউরোপীয় সভ্যতার পথপ্রদর্শক। কেননা রুশো সমকালীন ফরাসি সমাজের সামাজিক ও রাজনৈতিক অন্যায়ের সমাধানের লক্ষ্যে লেখনী ধারণ করেছিলেন ।
রুশোকে সর্বাত্মকবাদী গণতন্ত্রী বলার কারণ : রুশোর বিভিন্ন রচনাবলি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, তিনি সর্বাত্মকবাদের পক্ষে কথা বলেছেন। আবার গণতন্ত্রকেও সমর্থন করেছেন।
এজন্য সমালোচকগণ রুশোকে সর্বাত্মকবাদী গণতন্ত্রী বলে আখ্যায়িত করেছেন। নিম্নে রুশোকে সর্বাত্মকবাদী গণতন্ত্রী বলার কারণ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
১. সার্বভৌমত্ব : রুশোর মতে, জনগণ নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। তিনি সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত করেন। এ থেকে বুঝা যায় তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে কেননা আধুনিক গণতন্ত্রে জনগণের সার্বভৌমত্ব স্বীকৃত।
২. জনগণের অংশগ্রহণ : গণতন্ত্রের মূলভিত্তি হলো জনগণের অংশগ্রহণ। রুশোর সাধারণ ইচ্ছাতত্ত্বে জনগণের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জনগণ রাষ্ট্রের মূল স্রোতের সাথে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ করবে।
৩. রাষ্ট্রই সর্বেসর্বা : রুশোর মতে, রাষ্ট্র অত্যন্ত ক্ষমতাসম্পন্ন। রাষ্ট্রই সব ক্ষমতার উৎস। জনগণ তাদের সব ক্ষমতা যৌথ । ব্যক্তিত্ব বা রাষ্ট্রের নিকট অর্পণ করবে। রুশোর এ ধারণা তাকে সর্বাত্মকবাদী বলে পরিচয় দেয়।
৪. সরকার গঠন : গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিরা আইন তৈরি করে প্রয়োগ করে এবং রাষ্ট্রপরিচালনা করে। রুশোর সাধারণ ইচ্ছাতত্ত্বে জনগণ নিজেদের কল্যাণের জন্য নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করে এবং জনকল্যাণ নিহিত থাকে। রুশোর বর্ণিত সরকারের গঠনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করে ।
৫. ব্যক্তিস্বার্থ বিরোধী : রুশোর মতবাদসমূহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, রুশোর দর্শন ব্যক্তিস্বার্থ বিরোধী। রুশোর চিন্তাধারায় সামগ্রিক সমাজের স্বার্থ সবক্ষেত্রেই ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে প্রতিফলিত হওয়ায় তা সমাজতান্ত্রিক ও একনায়ক দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করে। সমাজতন্ত্রে ব্যক্তিকে প্রাধান্য না দিয়ে রাষ্ট্রকে প্রাধান্য দেওয়াই সর্বাত্মক ব্যবস্থার নামান্তর ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রুশো একজন সর্বাত্মকবাদী গণতন্ত্রী ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রের জনগণের কল্যাণের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন। প্রকৃতপক্ষে, রুশোর সামগ্রিক দর্শনের মূলে ছিল ব্যক্তিস্বাধীনতা।
সর্বাত্মকবাদ প্রতিষ্ঠা করা তার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে তিনি গণতন্ত্রের পাশাপাশি সর্বাত্মকবাদ সম্পর্কেও তার ধারণা ব্যক্ত করেন । সুতরাং রুশো একজন সর্বাত্মকবাদী গণতন্ত্রী ছিলেন।
০৬. মানব প্রকৃতি সম্পর্কে রুশোর ধারণা ব্যক্ত কর ।
অথবা, রুশোর মানব প্রকৃতির ধারণা দাও।
উত্তর : ভূমিকা : অষ্টাদশ শতাব্দীর এক গৌরবময় লগ্ন অথচ হতাশাজনক পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রচিন্তার জগতে রাষ্ট্রদার্শনিক ও চিন্তানায়ক জ্যা জ্যাক রুশো আবির্ভূত হলেন যাদের কার্যকলাপ,
শিক্ষা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে ফ্রান্স হয়ে উঠেছিল সভ্যতার পথপ্রদর্শক তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রুশো। রুশো তার বিখ্যাত ”The Social Contract” গ্রন্থে যেসব বিষয়ে মতবাদ তুলে ধরেন তার মধ্যে মানব প্রকৃতি হলো অন্যতম ।
মানব প্রকৃতি সম্পর্কে রুশোর ধারণা : রুশোর মতে, মানুষ প্রকৃতির রাজ্যে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতো। প্রকৃতির রাজ্যে মানুষের জীবন ছিল সৎ, সুন্দর, স্বাধীন ও প্রীতিপূর্ণ।
মানব প্রকৃতি সম্পর্কে রুশো তার ”Discourse on the Origin of Inequality’ M«‡š’ e‡jb, “The natural man appears first as the solitary savage, living the happy, care- free of the brute with fixed abode, without articulate speech, with no needs or desires that cannot be satisfied through the nearest instinct.”
সুতরাং বলা যায় যে, রুশোর প্রকৃতির রাজ্যের মানুষ ছিল সুখী, স্বাধীন, নিঃস্বার্থ, পরোপকারী। প্রকৃতির রাজ্যের মানুষ এতই সহজ সরল ছিল যে তারা কেউ কাউকে আক্রমণ করতো না।
অর্থাৎ প্রকৃতির রাজ্যের মানুষের মধ্যে হিংসা, বিদ্বেষ, দ্বন্দ্ব, কলহ ছিল না। তারা ছিল অনেকটাই আত্মকেন্দ্রিক। তারা নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকত ।
প্রকৃতির রাজ্যের মানুষের মধ্যে কোনো পারিবারিক বন্ধন ছিল না। ফলে তাদের হৃদয়ে আবেগ, অনুভূতি, স্নেহ, ভালোবাসা, মায়া মমতা দেখা যায় না। রুশোর মতে, প্রকৃতির রাজ্যের মানুষের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল চরম স্বাধীনতা।
রুশো মনে করেন মানুষের প্রকৃত রূপ সামাজিক আচরণ দ্বারা পরিবেষ্টিত। এ আচরণ উন্মোচিত হলে যে মানুষ হয় উদ্ভাসিত, সেই হলো স্বাভাবিক ও প্রকৃত মানুষ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রুশোর প্রকৃতির রাজ্যের মানুষ ছিল সহজ সরল। রুশো তার মানব প্রকৃতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন, প্রকৃতির রাজ্য ছিল পৃথিবীতে স্বর্গরাজ্যের ন্যায়। এখানে ছিল আদর্শ সুখ ও শান্তি।
রুশোর মানব প্রকৃতি সম্পর্কে অধ্যাপক ডানিং বলেন, “In the state of nature men are to be found the elements of perfect happiness. He is independent, contented, self- sufficing.”
PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি: রুশো সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
০৭. রুশোর সাধারণ ইচ্ছা ও সকলের ইচ্ছার মধ্যে পার্থক্য কী?
অথবা, সাধারণ ইচ্ছা ও সকলের ইচ্ছার পার্থক্য লেখ।
উত্তর : ভূমিকা : রাষ্ট্রচিন্তার জগতে জ্যা জ্যাক রুশো যে অবদান রেখে গেছেন তার মধ্যে সাধারণ ইচ্ছাতত্ত্বটি রাষ্ট্রদর্শনে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তার মতবাদের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সাধারণ ইচ্ছাতত্ত্ব।
সাধারণ ইচ্ছাকে তিনি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী করে একে এক বিশিষ্ট আসনে অধিষ্ঠিত করেন। ১৭৬২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত The Social Contract” গ্রন্থে রুশো তার সাধারণ ইচ্ছাতত্ত্ব বর্ণনা করেন।
সাধারণ ইচ্ছা ও সকলের ইচ্ছার মধ্যে পার্থক্য : রুশোর ধারণা সাধারণ ইচ্ছা ও সকলের ইচ্ছা এক নয়। এদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। নিম্নে রুশোর সাধারণ ইচ্ছা ও সকলের ইচ্ছার মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হলো-
১. সংজ্ঞাগত পার্থক্য : রুশোর সাধারণ ইচ্ছা ও সকলের ইচ্ছার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হলো সংজ্ঞাগত পার্থক্য। সাধারণ ইচ্ছা বলতে জনগণের কল্যাণকামী ইচ্ছাকে বুঝায় আর সকলের ইচ্ছা বলতে নাগরিকের ইচ্ছার সমষ্টিকে বুঝায়। সুতরাং সংজ্ঞার দিক থেকে উভয়ের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।
২. প্রকৃতিগত পার্থক্য : প্রকৃতিগত দিক থেকেও রুশোর সাধারণ ইচ্ছা ও সকলের ইচ্ছার মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। সাধারণ ইচ্ছা গণতান্ত্রিক। এটি ব্যক্তিস্বাধীনতা ও জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে। অপরদিকে, সকলের ইচ্ছা গোষ্ঠীর স্বার্থের পরিবর্তে সংকীর্ণ ব্যক্তি স্বার্থকেই বড় করে। তাই এটি কিছুটা অভিজাততন্ত্রের সহায়ক।
৩. আদর্শের ক্ষেত্রে পার্থক্য: আদর্শগত দিক থেকেও সাধারণ ইচ্ছা ও সকলের ইচ্ছার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। সাধারণ ইচ্ছা সঠিক বিবেকসম্পন্ন এবং সমাজ সেবার আদর্শে উজ্জীবিত। কিন্তু সকলের ইচ্ছা ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষায় নিমজ্জিত থাকে বলে উন্নততর আদর্শে উজ্জীবিত হতে পারে না ।
৪. সামাজিক চরিত্রের ক্ষেত্রে পার্থক্য : রুশোর সাধারণ ইচ্ছা সমষ্টিগত ইচ্ছার কল্যাণসাধনে প্রয়াসী। সবার ইচ্ছার ত্রুটিবিচ্যুতি সংশোধন করাই সাধারণ ইচ্ছা। অপরপক্ষে, সকলের ইচ্ছা একটি সাধারণ রূপ। যেখানে ব্যক্তি ও সমাজ স্বাভাবিকরূপে অবস্থিত সেখানে হিংসা বিদ্বেষ অতি সাধারণ বিষয়।
৫. স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে পার্থক্য : রুশোর মতে, সাধারণ ইচ্ছা স্থায়ী। কিন্তু সকলের ইচ্ছা সাময়িক। সাধারণ ইচ্ছা জনগণের স্থায়ী মঙ্গল কামনায় সদা ব্যাপৃত থাকে। অন্যদিকে, সকলের ইচ্ছা ক্ষণস্থায়ী মঙ্গলকামনায় ব্যস্ত ।
৬. স্বার্থের ক্ষেত্রে পার্থক্য : সাধারণ ইচ্ছা ও সকলের ইচ্ছার মধ্যে স্বার্থগত পার্থক্য দেখা যায়। সাধারণ ইচ্ছা সব নাগরিকের সমষ্টিগত ইচ্ছার সমন্বয়সাধন করে এবং অভিন্ন ব্যক্তিস্বার্থের কথা চিন্তা করে। কিন্তু সকলের ইচ্ছা কতিপয় বিশেষ বিশেষ ইচ্ছার যোগফল ছাড়া আর কিছুই নয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রুশোর সাধারণ ইচ্ছা ও সকলের ইচ্ছার মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে পার্থক্য থাকলেও প্রকৃতপক্ষে সাধারণ ও সকলের ইচ্ছা মতবাদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রুশোর রাষ্ট্রদর্শনে সাধারণ ইচ্ছা মতবাদটি তাকে স্থায়ী আসনে অধিষ্ঠিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। সাধারণ ইচ্ছা গোষ্ঠীস্বার্থে নিয়োজিত বিধায় সমাজের সব শ্রেণির কল্যাণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে। আর সকলের ইচ্ছা ব্যক্তিস্বার্থে কাজ করে বিধায় এটি ব্যক্তির স্বার্থ উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট ।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। ফ্রি পিডিএফ ফাইল এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন। PDF রাজনৈতিক তত্ত্ব পরিচিতি: রুশো সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর