HSC | বাংলা ২য় পত্র | সারমর্ম ১-৩০ | PDF Download: বাংলা দ্বিতীয় পত্র হতে গুরুত্বপূর্ণ সব সারমর্ম গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়টির গুরুপূর্ণ কিছু সারমর্ম নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
সারমর্ম ১-৩০
১. বসুমতি, কেন তুমি এতই কৃপণা?
কত খোঁড়াখুঁড়ি করে পাই শস্যকণা।
দিতে যদি হয়, দে মা প্রসন্ন সহাস,
কেন এ মাথার ঘাম পায়েতে বহাস?
বিনা চাষে শস্য দিলে কি তাহাতে ক্ষতি?
শুনিয়া ঈষৎ হাসি কন্ বসুমতি
আমার গৌরব তাতে সামান্যই বাড়ে,
তোমার গৌরব তাতে একেবারেই ছাড়ে।
[ঢা. বো. ১১; রা. বো. ১৩; সি. বো. ১৫, ১৩]
সারাংশ : মানবজীবনে শ্রমের মূল্য অপরিসীম। অপরের করুণা কিংবা সাহায্য প্রত্যাশা না করে নিজের ক্ষমতা বা সামর্থ্যকে কাজে লাগানোই বুদ্ধিমানের কাজ। এর মাধমেই মানুষের গৌরব বাড়ে এবং সে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়।
২. আমার একার সুখ, সুখ নহে ভাই,
সকলের সুখ, সখা, সুখ শুধু তাই।
আমার একার আলো সে যে অন্ধকার
যদি না সবারে অংশ আমি দিতে পাই।
সকলের সাথে বন্ধু সকলের সাথে,
যাইব কাহারে বলো ফেলিয়া পশ্চাতে?
ভাইটি আমার যে তো ভাইটি আমার।
নিয়ে যদি নাহি পারি হতে অগ্রসর,
সে আমার দুর্বলতা, শক্তি সে তো নয়।
সবই আপন হেথা, কে আমার পর?
হৃদয়ের যোগ সে কি কভু ছিন্ন হয়?
এক সাথে বাঁচি আর এক সাথে মরি
এসো বন্ধু, এ জীবন মধুময় করি। [কু. বো. ১০]
সারমর্ম : একাকী জীবনে কখনোই সুখ উপলব্ধি করা যায় করা না। কেননা সমগ্র মানবজাতিই আত্মার নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ। তাই সবাই মিলেমিশে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে আত্মীয়তার বন্ধনে জড়িয়ে থাকার মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত।
৩. এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান;
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিছে।
চলে যেতে হবে আমাদের।
চলে যাব তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবো জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাবো আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সারমর্ম : পৃথিবীতে নতুনের জন্য পুরাতনকে স্থান ছেড়ে দিতে হয়Ñ এটাই প্রকৃতির নিয়ম। জীর্ণ পৃথিবীর ব্যর্থ, মৃত, ধ্বংসস্তূপ আর গøানি দূর করে তাকে নবীনদের বাসযোগ্য আবাসভ‚মি হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের একান্ত কাম্য।
৪. কহিল মনের খেদে মাঠ সমতল
মাঠ ভরে দেই আমি কত শস্য ফল
পর্বত দাঁড়ায়ে রহে কি জানি কি কাজ
পাষাণের সিংহাসনে তিনি মহারাজ
বিধাতার অবিচার কেন উঁচু নিচু
সে কথা বুঝিতে আমি নাহি পারি কিছু।
গিরি কহে সব হলে সমতল পারা,
নামিত কি ঝরনার সুশীতল ধারা? [চ. বো. ১০]
সারমর্ম : সমতল উর্বর মাঠের তুলনায় অটল পর্বতকে নিষ্ফলা পাষাণ মনে হলেও পর্বত থেকে নেমে আসা ঝর্ণাধারাতেই পুষ্ট ও সিক্ত হয় সমতল ভ‚মির ফসলের ক্ষেত। বস্তুত পৃথিবীতে ছোট-বড়, উঁচু-নিচু সব কিছুই একে অপরের পরিপূরক। কোনোটিই অপ্রয়োজনীয় নয়।
৫. ধন্য আশা কুহকিনী! তোমার মায়ায়
অসার সংসার চক্র ঘোরে নিরবধি;
দাঁড়াইত স্থিরভাবে চলিত না, হায়
মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি।
ভবিষ্যৎ অন্ধ মূঢ় মানবসকল
ঘুরিতেছে কর্মক্ষেত্রে বর্তুল-আকার;
তব ইন্দ্রজাল মুগ্ধ, পেয়ে তব বল
যুঝিছে জীবন যুদ্ধে হায় অনিবার।
নাচায় পুতুল যেবা দক্ষ বাজিকরে,
নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে।
সারমর্ম : জীবনে আশাই মানুষের অদৃশ্য চালিকাশক্তি। আশার ছলনায় পড়ে মানুষ সংসারের নানা ঘূর্ণিপাকে আবর্তিত হয়ে প্রতারিত হচ্ছে বার বার। কিন্তু আশাই মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আশার তরি বেয়েই মানবজীবন এগিয়ে চলে।
৬. মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই,
এই সূর্যকরে এই পুষ্পিত কাননে
জীবন্ত হৃদয়-মাঝে যদি স্থান পাই।
ধরার প্রাণের খেলা চিরতরঙ্গিত,
বিরহ মিলন কত হাসি-অশ্র-ময়,
মানবের সুখে দুঃখে গাঁথিয়া সংগীত
যদি গো রচিতে পারি অমর-আলয়।
তা যদি না পারি তবে বাঁচি যত কাল
তোমাদেরি মাঝখানে লভি যেন ঠাঁই,
তোমরা তুলিবে বল সকাল বিকাল
নব নব সংগীতের কুসুম ফুটাই।
হাসিমুখে নিয়ো ফুল, তার পরে হায়,
ফেলে দিয়ো ফুল, যদি সে ফুল শুকায়।
সারমর্ম : সুন্দর এই পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ ছেড়ে কেউ চলে যেতে চায় না। সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ও মিলন-বিরহে পরিপূর্ণ এই জগৎ-সংসার। জীবনে সেই লীলাবৈচিত্র্যকে উপেক্ষা করা অসম্ভব। তাই প্রত্যেক মানুষ সৃষ্টির লীলাবৈচিত্র্যকে ভালোবেসে চিরকাল বেঁচে থাকতে চায়।
৭. হউক সে মহাজ্ঞানী মহা ধনবান,
অসীম ক্ষমতা তার অতুল সম্মান,
হউক বিভব তার সম সিন্ধু জল,
হউক প্রতিভা তার অক্ষুণœ উজ্জ্বল,
হউক তাহার বাস রম্য হর্ম্য মাঝে,
থাকুক সে মণিময় মহামূল্য সাজে,
হউক তাহার রূপ চন্দ্রের উপম,
হউক বীরেন্দ্র সেই যেন সে রোস্তম,
শত দাস দাসী তার সেবুক চরণ,
করুক স্তাবকদল স্তব সংকীর্তন।
কিন্তু যে সাধেনি কভু জন্মভ‚মি হিত,
স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিৎ,
জানাও সে নরাধমে জানাও সত্বর
অতীব ঘৃণিত সেই পাষণ্ড বর্বর।
সারমর্ম : জন্মভ‚মির প্রতি যার ভালোবাসা নেই সে পশুর চেয়ে অধম। মানুষ জ্ঞান, সম্মান, সম্পদের অধিকারী হয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে পারে। খ্যাতির শীর্ষে উঠলেও দেশপ্রেমহীন মানুষের কোনো মর্যাদা নেই। সে পাষণ্ড ও বর্বর হিসেবেই ঘৃণিত হয়ে থাকে।
৮. হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান!
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিষ্টের সম্মান
কণ্টক মুকুট শোভা; Ñদিয়াছ তাপস,
অসংকোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস;
উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি; বাণী ক্ষুরধার,
বীণা মোর শাপে তব হল তরবার।
দুঃসহ দাহনে তব হে দর্পী তাপস,
অ¤øান স্বর্গেরে মোর করিলে বিরস, [ঢা. বো. ১২]
সারমর্ম : দারিদ্র্য জীবনক্যে করে মহিমান্বিত। দারিদ্র্য মানুষকে স্পষ্টভাষী করে, ফলে সে নির্মম বাণী প্রকাশের প্রেরণা পায়। নিজের দাবি জানাতে সাহস পায়। কিন্তু দারিদ্র্যের অভিশাপে জীবনের অনেক স্বপ্ন অপূর্ণ থাকে এবং সৌন্দর্য-আনন্দ বিনষ্ট হয়।
৯. ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা
হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা
তোমার আদেশে। যেন রসনায় মম
সত্যবাক্য ঝলি ওঠে খরখর সম
তোমার ইঙ্গিতে। যেন রাখি তব মান
তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে।
সারমর্ম : ক্ষমা মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণ এবং এটি মহত্তে¡র লক্ষণ। কিন্তু এই ক্ষমা যেন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার অন্তরায় না হয়, যেন তা অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেয়। কারণ, অন্যায় করা আর অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া দুই-ই সমান অপরাধ।
১০. পরের মুখে শেখা বুলি পাখির মত কেন বলিস?
পরের ভঙ্গি নকল করে নটের মত কেন চলিস?
তোর নিজস্ব সর্বাঙ্গে তোর দিলেন ধাতা আপন হাতে,
মুছে সেটুকু বাজে হলি, গৌরব কি বাড়ল তাতে?
আপনারে যে ভেঙে চুরে গড়তে চায় পরের ছাঁচে,
অলীক, ফাঁকি, মেকি সে জন নামটা তার কদিন বাঁচে?
পরের চুরি ছেড়ে দিয়ে আপন মাঝে ডুবে যারে,
খাঁটি ধন যা সেথায় পাবি, আর কোথাও পাবি নারে। [চ. বো. ১৪]
সারমর্ম : অন্ধ অনুকরণপ্রবণতা মানুষের জন্য বিশেষ ক্ষতিকর। কারণ, তাতে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, গুণাবলি ও সৃজনশীলতার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তাই কেবল নিজ মেধা ও যোগ্যতায় বিকাশের মাধ্যমেই মানুষ সত্যিকারের গৌরব ও মর্যাদা অর্জন করতে পারে।
১১. পুণ্যে পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে
মানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানে।
হে স্নেহার্ত বঙ্গভ‚মি, তব গৃহ ক্রোড়ে
চিরশিশু করে আর রাখিয়ো না ধরে।
দেশ দেশান্তর-মাঝে যার যেথা স্থান
খুঁজিয়া লইতে দাও করিয়া সন্ধান।
পদে পদে ছোটো ছোটো নিষেধের ডোরে,
বেঁধে বেঁধে রাখিয়ো না ভাল ছেলে করে।
প্রাণ দিয়ে, দুঃখ স’য়ে, আপনার হাতে
সংগ্রাম করিতে দাও ভালোমন্দ সাথে।
সারমর্ম : মাতৃক্রোড়ে স্নেহবন্দি বাঙালি স্বদেশের সীমীত পরিসরে সমাজ ও ধর্মের নানা বিধিনিষেধের বেড়াজালে আবদ্ধ। ফলে মুক্তপ্রাণের বিকাশ ব্যাহত। কঠিন জীবন-সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালিকে যথার্থ মানুষ হতে হলে বিশ্বের বিপুল কর্মোদ্যোগের স্রোতধারায় যুক্ত হতে হবে। তাহলেই চিন্তা ও কর্মের প্রসারিত চেতনায় জাতি হবে সমৃদ্ধ।
১২. শৈশবে সদুপদেশ যাহার না রোচে,
জীবনে তাহার কভু মূর্খতা না ঘোচে।
চৈত্র মাসে চাষ দিয়া না বোনে বৈশাখে,
কবে সেই হৈমন্তিক ধান্য পেয়ে থাকে?
সময় ছাড়িয়া দিয়া করে পণ্ডশ্রম,
ফল কহে সেও অতি নির্বোধ অধম।
খেয়াতরী চলে গেলে বসে থাকে তীরে,
কিসে পার হবে তারা না আসিলে ফিরে
[চ. বো. ১৫, ব. বো. ১৫]
সারমর্ম : সময়ের কাজ সময়ে করার মাধ্যমেই মানুষ জীবনে সফলতা লাভ করে। সততা ও নৈতিকতার শিক্ষা ও গ্রহণ করা উচিত শৈশবকালেই। এই সময় সৎ কাজ করতে না শিখলে পরে সে অভ্যাস গড়ে ওঠে না। সময়ের কাজ সময়ে না করলে তার জন্যও জীবনে প্রচুর খেসারত দিতে হয়। কারণ, সুযোগ চলে গেলে তা হয়তো আর ফিরে আসে না।
১৩. “নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল
তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল,
গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান,
কাষ্ঠ দগ্ধ হয়ে করে পরে অন্ন দান;
স্বর্ণ করে নিজ রূপে অপরে শোভিত,
বংশী করে নিজ সুরে অপরে মোহিত;
শস্য জন্মাইয়া নাহি খায় জলধরে,
সাধুর ঐশ্বর্য শুধু পরহিত তরে।” [কু. বো. ০৯]
সারমর্ম : পরের জন্য জীবন উৎসর্গ করার মাঝেই জীবনের সার্থকতা। নদী যেমন নিজ জল পান না করে এটি অপরকে দান করে সেই রূপে বৃক্ষ, গাভী, কাষ্ট, স্বর্ণ, বংশী ও জলধর পরের উপকারের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়; এমনকি জীবন পর্যন্ত দান করে। মহৎ ব্যক্তিরা এদের মতো নিজ স্বার্থ উপেক্ষা করে পরের উপকারে আত্মদান করেন। ত্যাগেই তাদের প্রকৃত সুখ।
১৪. নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো,
যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরে আলো।
সবাই মোরে ছাড়তে পারে বন্ধু যারা আছে,
নিন্দুক সে ছায়ার মত থাকবে পাছে পাছে,
বিশ্বজনে নিঃস্ব করে, পবিত্রতা আনে,
সাধকজনে নিস্তারিতে তার মত কে জানে?
বিনামূল্যে ময়লা ধুয়ে করে পরিষ্কার
বিশ্ব মাঝে এমন দয়াল মিলবে কোথা আর।
নিন্দুক যে বেঁচে থাকুক বিশ্ব হিতের তরে;
আমার আশা পূর্ণ হবে তাহার কৃপা ভরে। [সি. বো. ১০]
সারমর্ম : যারা পরচর্চা করে তারাই নিন্দুক। নিন্দুকেরা সবারই ঘৃণার পাত্র। কিন্তু সে এখানে নিন্দুককে হৃদয়ের গভীর প্রশস্ততা দিয়ে পরম বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কবির মতে, নিন্দুকের নিন্দার ভয়েই মানুষ নিজেকে সচেতন করে তোলে। তখন মানুষ আত্মশুদ্ধি অর্জন করে। নিজেকে পবিত্র করতে পারে। এ কারণে নিন্দুক কবির প্রিয়পাত্র।
গুরুত্বপূর্ণ সব সারমর্ম সুমুহ:
১৫. হায় হায়, জন্মিয়া যদি না ফুটালে
একটি কুসুম কলি নয়ন কিরণে;
একটি জীবন-ব্যথা যদি না জুড়ালে,
বুক ভরা প্রেম ঢেলে, বিফল জীবনে,
আপনা রাখিলে, ব্যর্থ জীবন সাধনা,
জনম বিশ্বের তরে, পরার্থে কামনা। [য. বো. ১৩]
সারমর্ম : অপরের কল্যাণ সাধন মানবজীবনের মূল উদ্দেশ্য। নিজের নয়, অপরের ব্যথা ও ব্যর্থতাকে দূর করার জন্যই তার জন্ম। জীবনে যেখানে দুঃখ-হতাশা মানবজীবন কুসুমকে ¤øান করে তুলেছে, সেখানে সকলের উচিত প্রেম ও ভালোবাসায় মানুষকে কাছে টানা। নচেৎ জীবন ব্যর্থ, কর্ম ব্যর্থ। অপরের হিত সাধন করতে পারাই জীবনের সার্থকতা।
১৬. স্বাধীনতা স্পর্শমণি সবাই ভালোবাসে;
সুখের আশা জ্বালে বুকে দুঃখের ছায়া নাশে।
স্বাধীনতা সোনার কাঠি খোদার সুধা দান,
স্পর্শে তাহার নেচে উঠে পূর্ণ দেহে দাণ।
মনুষ্যত্বের বান ডেকে যায় যাহার হৃদয় তলে
বুক ফুলায়ে দাঁড়ায় ভীরু স্বাধীনতার বলে।
দর্পভরে পদাহত উচ্চ করে শির,
শক্তিহীনেও স্বাধীনতা আখ্যাদানে বীর। [চ. বো. ০৮]
সারমর্ম : স্বাধীনতা মানুষের অমূল্য সম্পদ। স্পর্শমণির মতো এটি মানব-মন থেকে সকল দুঃখ গøানি দূর করে আশা-আনন্দে মন-প্রাণ ভরিয়ে দেয়। স্বাধীনতার স্পর্শে ভীরু কাপুরুষের বক্ষে ও প্রাণের সঞ্চার হয় এবং তারা একসময় মাথা উঁচু করে বীরের মতো দণ্ডায়মান হয়।
১৭. নমঃ নমঃ নমঃ সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি!
গঙ্গার তীর, স্নিগ্ধ সমীর, জীবন জুড়ালে তুমি।
অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধূলি
ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি।
পল্লবঘন আম্রকানন রাখালের খেলাগেহ,
স্তব্ধ অতল দিঘি কালোজলÑ নিশীথশীতল স্নেহ।
বুকভরা মধু বঙ্গের বধূ জল লয়ে যায় ঘরে
মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে।
সারমর্ম : মা ও মাতৃভূমি সবার কাছে প্রিয়। বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি-এর আকাশ-বাতাস, নদী, মাঠ, প্রকৃতি-নিসর্গ, মানুষ সবই আমাদের ভালোবাসার ধন। বাংলার আবহমান অপরূপ রূপে প্রতিটি বাঙালিই মোহমুগ্ধ।
১৮. ভদ্র মোরা, শান্ত বড়ো, পোষ-মানা এ প্রাণ
বোতাম-আঁটা জামার নিচে শান্তিতে শয়ান।
দেখা হলেই মিষ্ট অতি,
মুখের ভাব শিষ্ট অতি,
অলস দেহ ক্লিষ্ট গতি,
গৃহের প্রতি টান
তৈল-ঢালা স্নিগ্ধ তনু নিদ্রা রসে ভরা
মাথায় ছোটো বহরে বড় বাঙালি সন্তান।
ইহার চেয়ে হতাম যদি আরব বেদুইন
চরণতলে বিশাল মরু দিগন্তে বিলীন।
ছুটছে ঘোড়া উড়েছে বালি,
জীবনস্রোত আকাশে ঢালি
হৃদয়-তলে বহ্নি জ্বালি চলেছি নিশিদিন
বরশা হাতে, ভরসা প্রাণে,
সদাই নিরুদ্দেশ
মরুর ঝড় যেমন বহে সকল বাধা-হীন।
সারমর্ম : বাঙালি শান্তশিষ্ট, কর্মহীন, আরামপ্রিয় ও অলস জাতি। এ জীবন কারো কাম্য হতে পারে না। তার চেয়ে সাহসী, কর্মী ও চঞ্চলতা-মুখর জীবনের অধিকারী হওয়া অনেক বেশি সম্মানের।
১৯. এই যে বিটপি-শ্রেণি হেরি সারি সারি
কি আশ্চর্য শোভাময় যাই বলিহারি!
কেহ বা সরল সাধু-হৃদয় যেমন,
ফল-ভারে নত কেহ গুণীর মতন।
এদের স্বভাব ভালো মানবের চেয়ে,
ইচ্ছা যার দেখ দেখ জ্ঞানচক্ষে চেয়ে।
যখন মানবকুল ধনবান হয়,
তখন তাদের শির সমুন্নত রয়।
কিন্তু ফলশালী হলে এই তরুগণ,
অহংকারে উচ্চশির না করে কখন।
ফলশূন্য হলে সদা থাকে সমুন্নত,
নীচ প্রায় কার ঠাঁই নহে অবনত।
সারমর্ম : গাছ ফলে পরিপূর্ণ হয়ে নত হয়। তাতে তার গৌরব থাকলেও অহংকার থাকে না। কিন্তু মানুষের অর্থ হলেই অহংকার, অর্থ ফুরিয়ে গেলেই মাথা নিচু হয়। গাছ ফলশূন্য হলেও কিন্তু মাথা সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকে। নীচ স্বভাবের মানুষের মতো সে কারো কাছে অবনত হয় না।
২০. সাম্যের গান গাই
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই।
বিশ্বের যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।
জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান
মাতা ভগ্নী ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।
কোন রণে কত খুন দিল নর, লেখা আছে ইতিহাসে,
কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।
কত মাতা দিল হৃদয় উপাড়ি কত বোন দিল সেবা,
বীরের স্মৃতি-স্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা?
কোনো কালে একা হয়নি কো জয়ী পুরুষের তরবারি,
প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-ল²ী নারী।
সারমর্ম : মানবসভ্যতা নির্মাণে নারী ও পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। কিন্তু ইতিহাসে পুরুষের কথা যতটা লেখা হয়েছে, নারীর ততটা হয়নি। নারীকে তার কর্ম-স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এখন দিন এসেছে সম-অধিকারের। নারী-পুরুষ সবাইকে সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
২১. হে সূর্য! শীতের সূর্য!
হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায়
আমরা থাকি
যেমন প্রতীক্ষা করে থাকে কৃষকের চঞ্চল চোখ
ধানকাটার রোমাঞ্চকর দিনগুলির জন্যে।
হে সূর্য, তুমি তো জানো,
আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব!
সারারাত খড়কুটো জ্বালিয়ে
এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে,
কত কষ্টে আমরা শীত আটকাই!
সকালের এক টুকরো রোদ্দুর
এক টুকরো সোনার চেয়েও মনে হয় দামি।
সারমর্ম : সূর্যের শক্তিতে ভ‚-পৃষ্ঠে গাছপালা, জীব-জন্তু ও মানুষ জীবনধারণ করে। প্রচণ্ড শীতে সূর্যের একটু উত্তাপের জন্য সারারাত অপেক্ষা করে বস্ত্রহীন, আশ্রয়হীন শীতার্ত মানুষ। সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষের কাছে সূর্যের উষ্ণতা সোনার চেয়েও মূল্যবান।
২২. সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
সার্থক জনম মা গো, তোমায় ভালোবেসে
জানি নে তোর ধনরতন আছে কি না রানির মতন,
শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে
কোন বনেতে জানি নে ফুল গন্ধে এমন করে আকুল,
কোন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে
আঁখি মেলে তোমার আলো প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে
[দি. বো. ১৫, সি. বো. ১৪, ব. বো. ১৪, রা. বো. ১২]
সারমর্ম : ধন-রতে পূর্ণ না থাকলেও মাতৃভ‚মি প্রতিটি মানুষের কাছেই প্রিয়। স্বদেশ মানুষের মনে পূর্ণতা এনে দেয়। এজন্যই মানুষ দেশের মাটিতেই শেষ আশ্রয়টুকু চায়।
২৩. পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মতো সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
পরের কারণে মরণেও সুখ;
‘সুখ’ ‘সুখ’ করি কেঁদ না আর,
যতই কাঁদিবে, যতই ভাবিবে
ততই বাড়িবে হৃদয় ভার।
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী ’পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা,
প্রত্যেকে মোরা পরের তরে। [ঢা. বো. ১৪]
সারমর্ম : ত্যাগের মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত। অন্যকে বাদ দিয়ে কেউ একা চলতে পারে না। সব মানুষেরই দায়িত্ব অন্যের আনন্দ-বেদনাকে নিজের বলে গ্রহণ করা। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই সুখী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
২৪. জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে
সে জাতির নাম মানুষ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি শশী মোদের সাথি।
শীতাতপ ক্ষুধা তৃষ্ণার জ্বালা
সবাই আমরা সমান বুঝি,
কচি কাঁচাগুলো ডাঁটো করে তুলি
বাঁচিবার তরে সমান যুঝি।
দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধি গো,
জলে ডুবি, বাঁচি পাইলে ডাঙা,
কালো আর ধলো বাহিরে কেবল
ভিতরে সবারই সমান রাঙা।
সারমর্ম : জাতি, ধর্ম, গোত্র, বর্ণ ইত্যাদিতে পার্থক্য থাকলেও এ সকল পরিচয়ের ঊর্ধ্বে হচ্ছে মানুষ জাতি। সব মানুষের অনুভ‚তিই সমান। মানুষে মানুষে পার্থক্য করা তাই অযৌক্তিক। সকলের অনুভ‚তিকে মূল্য দিয়ে একসঙ্গে জীবনযাপন করলেই পৃথিবী সুন্দর হবে।
২৫. ছোট বালুকার কণা, বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।
মুহূর্ত নিমেষ কাল, তুচ্ছ পরিমাণ,
রচে যুগ-যুগান্তর-অনন্ত মহান,
প্রত্যেক সামান্য ত্রæটি ক্ষুদ্র অপরাধ,
ক্রমে টানে পাপ পথে ঘটায় প্রমাদ।
প্রতি করুণার দান, স্নেহপূর্ণ বাণী,
-এ ধরায় স্বর্গ শোভা নিত্য দেয় আনি। [দি. বো. ১২]
সারমর্ম : পৃথিবীর কোনো কিছুই তুচ্ছ নয়। ছোট ছোট বালুকণা যেমন মহাদেশ তৈরি করে, তেমনি বিন্দু বিন্দু জল মহাসাগরের জন্ম দেয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় যুগ-যুগান্তরের। সামান্য অপরাধের পথ ধরেই আসে মহাপাপ। আবার সামান্য একটু করুণা ও স্নেহের বাণী এ পৃথিবীতে স্বর্গসুখ এনে দিতে পারে।
২৬. কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক- মানুষেতে সুরাসুর-
রিপুর তাড়নে যখন মোদের বিবেক পায়গো লয়,
আত্মগøানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।
[চ. বো. ১২, য. বো. ১৫]
সারমর্ম : স্বর্গ বা নরক দূরে কোথাও নয় বরং মানুষের মাঝেই বিরাজ করে। খারাপ কাজ করে মানুষ যখন অনুতপ্ত হয়ে যন্ত্রণায় ভোগে, তখন সেটাই নরকযন্ত্রণা। পরস্পরের প্রতি বিভেদ ও স্বার্থের দ্ব›েদ্ব মানুষ এই পৃথিবীকে নরকে পরিণত করে। যখন সব বৈরিতা ভুলে একে অন্যকে বিশুদ্ধভাবে ভালোবাসে, তখনই পৃথিবীতে নেমে আসে স্বর্গীয় সুখ।
২৭. আসিতেছে শুভদিন,
দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ!
হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়,
পাহাড়-কাটা সেই পথের দু-পাশে পড়িয়া যাদের হাড়,
তোমারে সেবিতে হইলো যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি,
তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি,
তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদের গান,
তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান! [রা. বো. ১৫]
সারমর্ম : পৃথিবীর যত উন্নতি সবই শ্রমজীবী মানুষের দান। তাদের নিরলস সেবা ও শ্রমের কল্যাণেই আমরা সুখী জীবনযাপন করি। অথচ তাদের এই শ্রমের মূল্য আমরা দিই না, তাদের দুঃখ-বেদনা অনুভব করতে চাই না। শ্রমজীবী এই মানুষেরাই সভ্যতার অগ্রযাত্রার মূল কারিগর। তারাই প্রকৃত শ্রদ্ধার পাত্র। তাদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করা আমাদের কর্তব্য।
২৮. বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রার্থনা-
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
দুঃখ-তাপে ব্যথিত চিতে নাই-বা দিলে সান্ত¡না,
দুঃখ যেন করিতে পারি জয়।
সহায় মোর না যদি জুটে, নিজের বল না যেন টুটে,
সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি, লভিলে শুধু বঞ্চনা,
নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়
সারমর্ম : কবি সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন না। কবি কামনা করেন, তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারেন। বিপদ থেকে রক্ষা, দুঃখে সান্ত¡না, কর্মের ভার লাঘব ইত্যাদি তাঁর প্রত্যাশিত নয়। কবির কামনা বিপদে, দুঃখে, ভয়ে তাঁর মনোবল যেন অটুট থাকে।
২৯. ‘তরুতলে বসে পান্থ শ্রান্তি করে দূর,
ফল আস্বাদনে পায় আনন্দ প্রচুর।
বিদায়ের কালে হাতে ডাল ভেঙে লয়,
তরু তবু অকাতর, কিছু নাহি কয়।
দুর্লভ মানব জন্ম পেয়েছে যখন,
তরুর আদর্শ কর জীবনে গ্রহণ।
পরার্থে আপন সুখ দিয়ে বিসর্জন,
তুমিও হও গো ধন্য তরুর মতোন।’
সারমর্ম : নিজেকে প্রকৃত মানুষরূপে প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবারই বৃক্ষের আদর্শ থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। মানুষ বৃক্ষের ছায়ায় আশ্রয় নেয়, এর ফল আস্বাদন করে, আবার যাওয়ার সময় সেই বৃক্ষের ডালপালা অকারণে ভেঙে যায়। কিন্তু বৃক্ষ কোনো প্রতিবাদ না করে নীরবে কেবল দান করে যায়। যেসব মানুষ অপরের আঘাতে জর্জরিত হয়েও তাদের মঙ্গল কামনা করে চলেন তাঁরাই প্রকৃত মহৎ।
HSC | বাংলা ২য় | প্রতিবেদন রচনা ১-৫ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | প্রতিবেদন রচনা ৬-১০ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | প্রতিবেদন রচনা ১০-১৫ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | প্রতিবেদন রচনা ১৬-২১ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | সংলাপ রচনা ১-১০ | PDF Download
৩০. আমরা চলিব পশ্চাতে ফেলি পচা অতীত
গিরি-গুহা ছাড়ি খোলা প্রান্তরে গাহিব গীত।
সৃজিব জগৎ বিচিত্রতর, বীর্যবান,
তাজা জীবন্ত সে সব সৃষ্টি শ্রম-মহান,
চলমান-বেগে প্রাণ-উছল
রে নবযুগের স্রষ্টাদল
জোর কদমে চল্ রে চল্।
সারমর্ম : নষ্ট অতীতকে পেছনে ফেলে সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে তরুণরাই এক নতুন জগৎ তৈরি করবে। তাদের সাধনাতেই জন্ম নেবে নতুন সৃষ্টি। তাই প্রাণচঞ্চল তরুণদেরকে দৃপ্তপদে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।