HSC | ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা: দ্বিতীয় পত্র | দশম অধ্যায় | PDF : ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দশম অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দশম অধ্যায় অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
দশম অধ্যায়: বিমা সম্পর্কে মৌলিক ধারণা
১. সাজিদ তাঁর মোটরসাইকেলের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা করেন। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাজিদ বিমা দাবি উপস্থাপন করলে বিমা কোম্পানি দাবিকৃত ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। পরবর্তীকালে মোটরসাইলেকটি ৫০,০০০ টাকায় সাজিদ বিক্রয় করতে চাইলে বিমা কোম্পানি তাঁকে বাধা দেয়। [জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক. বিশুদ্ধ ঝুঁকি কী?
খ. স্বার্থ ছাড়া বিমা চুক্তি সম্পন্ন হয় না কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. সাজিদ কোন নীতির আওতায় বিমা কোম্পানির কাছ থেকে অর্থ লাভ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে বিমা কোম্পানি কর্তৃক সাজিদকে বাধা দেয়ার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৪৩৫ এর ১৪ নম্বর দ্রষ্টব্য।
২. ঢাকার কবির চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে জাপান থেকে অটোমোবাইল যন্ত্রাংশ আমদানি করেন। সমুদ্রপথে ঝড়ঝঞ্ঝা, বজ্রপাত, জলদস্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি মর্ডান ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাথে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের শর্তে প্রতিবছর ১.৫ লক্ষ টাকা প্রিমিয়ামের বিনিময়ে একটি বিমাচুক্তি সম্পন্ন করেন। বিমাচুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পূর্বেই কবিরের পণ্য পরিবহনকৃত জাহাজ বরফের সাথে ধাক্কা লেগে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। [আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক. জীবন বিমা কর্পোরেশন কী?
খ. বিমাকে সদ্বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয় কেন?
গ. কবির কোন ধরনের বিমা গ্রহণ করেছিলেন? বর্ণনা করো।
ঘ. কবির কী বিমাকারির নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৪৩২ এর ৮ নম্বর দ্রষ্টব্য।
ক ও খ নং প্রশ্নের সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. বিমা কী? [ঢা. বো.; রা. বা.; দি. বো; ব. বো. ১৭]
উত্তর: বিমা হলো এক ধরনের লিখিত চুক্তি, যেখানে বিমাগ্রহীতা নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে তার সম্ভাব্য ঝুঁকি বা বিপদের ভার বিমাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্পণ করে।
প্রশ্ন-২. ঝুঁকি কী?
উত্তর: কোনো বিনিয়োগ থেকে প্রত্যাশিত আয় অপেক্ষা প্রাপ্ত আয় কম হওয়ার সম্ভাবনাকেই ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-৩. আর্থিক ঝুঁকি কী?
উত্তর: কোনো বিপদজনক বা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা, কার্যক্রম বা দুর্ঘটনা থেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যায় তাকে আর্থিক ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-৪. নির্দিষ্ট ঝুঁকি কী?
উত্তর: যে ঝুঁকি ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কারণে সৃষ্টি হয় এবং এর ফলাফলও কোনো বিশেষ ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গ বা প্রতিষ্ঠানের ওপর আবর্তিত হয় তাকে নির্দিষ্ট ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-৫. বিমা চুক্তি কী? [চ. বো. ১৭]
উত্তর: প্রিমিয়ামের বিনিময়ে অন্যের ঝুঁকি নিজের কাঁধে নেয়ার জন্য বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে যে চুক্তি সম্পাদিত হয় তাকে বিমা চুক্তি বলে।
প্রশ্ন-৬. সাধারণ বিমা কর্পোরেশন কী?
উত্তর: বাংলাদেশ সরকারের মালিকানায় পরিচালিত সম্পত্তি বিমার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানই হলো সাধারণ বিমা কর্পোরেশন।
প্রশ্ন-৭. সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক কী?
উত্তর: বিমায় সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক বলতে বিমা সম্পর্কিত সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপনে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা উভয়পক্ষের বাধ্যবাধকতাকে বোঝায়।
প্রশ্ন-৮. আর্থিক ক্ষতিপূরণের নীতি কী?
উত্তর: যে নীতি অনুযায়ী বিমাগ্রহীতা কর্তৃক চুক্তিতে উলেখ্য বিমাকৃত সম্পত্তির ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ প্রদান করে তাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের নীতি বলে।
প্রশ্ন-৯. প্রত্যক্ষ কারণের নীতি কী?
উত্তর: যে নীতি অনুযায়ী বিমা চুক্তিতে উলেখ্য কারণের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত কোনো ঘটনার ফলে জীবন বা সম্পত্তির হানি হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ প্রদান করে তাকে প্রত্যক্ষ কারণের নীতি বলে।
প্রশ্ন-১০. আনুপাতিক অংশগ্রহণের নীতি কী?
উত্তর: কোনো সম্পত্তি একাধিক বিমা কোম্পানির নিকট বিমা করা হলে এবং তার আংশিক ক্ষতির ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে সকল বিমা কোম্পানি তাদের বিমাকৃত অঙ্কের আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণে বাধ্য থাকার নীতিকে আনুপাতিক অংশগ্রহণের নীতি বলে।
প্রশ্ন-১১. প্রিমিয়াম কী? [ঢা. বো.; দি. বো.; চ. বো.; য. বো. ১৭; ব. বো. ১৬]
উত্তর: বিমাচুক্তিতে বিমাকারীর ঝুঁকি বহনের বিনিময়ে বিমাগ্রহীতা বিমাকারীকে যে অর্থ প্রদান করে তাকে প্রিমিয়াম বলে।
প্রশ্ন-১২. স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি কী? [দি. বো.; কু. বো. ১৭]
উত্তর: যে নীতি অনুযায়ী বিমাকৃত সম্পত্তির ক্ষতিতে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণের পর অবশিষ্ট সম্পত্তির মালিকানা বিমা কোম্পানির নিকট স্থানান্তরিত হয় তাকে স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি বলে।
প্রশ্ন-১৩. বিশুদ্ধ ঝুঁকি কী? [দি. বো. ১৬]
উত্তর: যে সকল সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি বা ঝুঁকিগত অবস্থায় অথবা কোনো দুর্ঘটনায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিতভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয় তাকে বিশুদ্ধ ঝুঁকি বলে।
- উত্তর ডাউনলোড করুন>SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং:অনুধাবনমূলক-জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তোর
- উত্তর ডাউনলোড করুন> SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর ১ম,PDF ফ্রি
- উত্তর ডাউনলোড করুন>SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংজ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর ১ম,PDF ফ্রি
- উত্তর ডাউনলোড করুন> MCQ PDF অধ্যায় চতুর্থ: ssc business studies assignment
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায় তৃতীয়: ssc business studies assignment MCQ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> ssc business studies assignment MCQ PDF অধ্যায়ঃ প্রথম
প্রশ্ন-১৪. মৌলিক ঝুঁকি কী?
উত্তর: যে ঝুঁকি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ অযোগ্য কোনো কারণে উদ্ভ‚ত হয় এবং এর ফলাফল সবাইকে সাধারণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাকে মৌলিক ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-১৫. বার্ষিক বৃত্তি কী? [ঢা. বো. ১৬]
উত্তর: বিমা কোম্পানি বিমাগ্রহীতাকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বা জীবনের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রতিবছর নির্দিষ্ট হারে যে অর্থ প্রদান করে তাকে বার্ষিক বৃত্তি বলা হয়।
প্রশ্ন-১৬. বিমাযোগ্য স্বার্থ কী? [কু. বো.; চ. বো.; সি. বো. ১৭; রা. বো. ১৬]
উত্তর: বিমাযোগ্য স্বার্থ বলতে বিমাকৃত সম্পদ বা জীবনের ওপর বিমাগ্রহীতার আর্থিক স্বার্থকে বোঝায়।
প্রশ্ন-১৭. জীবন বিমা কর্পোরেশন কী?
উত্তর: বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীনে পরিচালিত জীবন বিমা সংশ্লিষ্ট একক প্রতিষ্ঠানটিই হলো জীবন বিমা কর্পোরেশন।
প্রশ্ন-১৮. বিশ্বস্ততা বিমা কী?
উত্তর: যে বিমার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রবঞ্চনা বা অসাধুতার দ্বারা সৃষ্ট বিপদের ঝুঁকি থেকে পরিত্রাণ পায় তাকে বিশ্বস্ততা বিমা বলে।
প্রশ্ন-১৯. অবিমাযোগ্য ঝুঁকি কী?
উত্তর: যে ঝুঁকির বিপক্ষে বিমা সুবিধা লাভ করা যায় না তাকে অবিমাযোগ্য ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-২০. বিমাচুক্তিতে কোন দুটি পক্ষ জড়িত থাকে?
উত্তর: বিমাচুক্তিতে দুটি পক্ষ জড়িত থাকে। যথা- বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা।
প্রশ্ন-২১. দায় বিমা কী? [ঢা. বো. ১৬]
উত্তর: যে চুক্তি মোতাবেক নির্ধারিত ঝুঁকিজনিত যেকোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ করার জন্য বিমাগ্রহীতার ন্যায় বিমাকারী প্রতিষ্ঠানও সমভাবে দায়বদ্ধ থাকে তাকে দায় বিমা বলে।
প্রশ্ন-২২. ওউজঅ-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর: ‘ওউজঅ’-এর পূর্ণরূপ হলো ‘ওহংঁৎধহপব উবাবষড়ঢ়সবহঃ ্ জবমঁষধঃড়ৎু অঁঃযড়ৎরঃু.’
প্রশ্ন-২৩. সেবার নীতি কী?
উত্তর: বিমা কোম্পানিগুলো বিমাগ্রহীতাদেরকে সম্ভাব্য সকল উপায়ে বিভিন্নমুখী সুবিধা প্রদানে যে নীতি ব্যবহার করে তাকে সেবার নীতি বলে।
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. বিমাকে ঝুঁকি বণ্টনের যৌথ ব্যবস্থা বলা হয় কেন? [সি. বো., য. বো. ১৭]
উত্তর: বিমার মাধ্যমে বিমাগ্রহীতা তার সম্ভাব্য ঝুঁকিকে কয়েকটি পক্ষের মধ্যে বণ্টন করে, তাই বিমাকে ঝুঁকি বণ্টনের যৌথ ব্যবস্থা বলা হয়।
বিমা এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিমাগ্রহীতার ক্ষতিকে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থা করা যায়। এ ব্যবস্থায় বিমিকারী বিভিন্ন বিমাগ্রহীতার কাছ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ক্ষতিগ্রস্ত বিমাগ্রহীতার ক্ষতিপূরণ করে।
প্রশ্ন-২. ‘বিমা চুক্তিকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি’ বলা হয় কেন? [দি. বো. ১৭]
উত্তর: বিমা হলো এক ধরনের লিখিত চুক্তি। এই চুক্তিতে বিমাগ্রহীতা বিমাকৃত বস্তুর ক্ষতির ভার নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে বিমা কোম্পানির ওপর অর্পণ করে।
সাধারনত কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে বিমা চুক্তি করা হয়। এ চুক্তি অনুসারে বিমাকৃত বস্তু যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে বিমা কোম্পানি বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। যেহেতু ক্ষতি হতে রক্ষার্থে এ চুক্তি সম্পাদন করা হয় তাই বিমা চুক্তিকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয়।
প্রশ্ন-৩. স্বার্থ ছাড়া বিমা চুক্তিসম্পন্ন হয় না কেন, ব্যাখ্যা কর। [ব. বো. ১৭]
উত্তর: সম্পদের ক্ষতিতে এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষ কেবল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় বিমা চুক্তি সম্পাদনে বিমাযোগ্য স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়।
এরূপ চুক্তিতে বিমাকৃত বিষয়বস্তুর ওপর বিমাগ্রহীতার আর্থিক স্বার্থ থাকা আবশ্যক। এরূপ স্বার্থ না থাকলে বিমা চুক্তি করা যায় না।
প্রশ্ন-৪. ক্ষতিসাধণের নিকটতম কারণকে কী বলে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ক্ষতির নিকটতম কারণ বলতে ক্ষতির প্রত্যক্ষ কারণকে বোঝায়।
বিমা চুক্তির ক্ষেত্রে চুক্তিতে উলিখিত কারণেই বিমাকৃত ব্যক্তি বা বস্তুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে। এক্ষেত্রে যদি দূরবর্তী কোনো কারণে ক্ষতি সাধন হয় তবে বিমা কোম্পানি কোনো ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে না। যেমন: একটি জাহাজ প্রাকৃতিক বিপদের জন্য বিমা করা হলো। কিন্তু জাহাজটি যদি মানবসৃষ্ট কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে জাহাজের জন্য বিমা কোম্পানি কোনো ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে না।
প্রশ্ন-৫. আনুপাতিক হারে অংশগ্রহণ নীতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: আনুপাতিক হারে অংশগ্রহণের নীতি অনুযায়ী বিমার বিষয়বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা কোম্পানি কর্তৃক বিমা মূল্যের আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।
সাধারণত কোনো সম্পত্তি বা বিষয় বস্তুর ঝুঁকি বেশি হলে একাধিক বিমা কোম্পানিতে বিমা করা হয়। যদি বিমার বিষয়বস্তুর আংশিক ক্ষতি হয় তবে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত বিমা কোম্পানিগুলো তাদের বিমাকৃত মূল্যের অনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকে। এটিই আনুপাতিক হারে অংশগ্রহণের নীতি।
প্রশ্ন-৬. কোন বিমাপত্রে নগদ বিমাদাবি পূরণ করা হয় না? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: পুনঃস্থাপন বিমাপত্রের ক্ষেত্রে নগদ বিমাদাবি পূরণ করা হয় না।
পুনঃস্থাপন বিমাচুক্তি এমন এক ধরনের বিমাপত্র যেখানে বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে নগদ কোনো অর্থ প্রদান করা হয় না। এ বিমাপত্রের ক্ষেত্রে বিমাকৃত বস্তু দুর্ঘটনায় ক্ষতির স্বীকার হলে বিমা কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত বস্তুর পরিবর্তে নতুন বস্তু বা সামগ্রী প্রদান করে অথবা মেরামত করে দেয়।
প্রশ্ন-৭. চুক্তি ছাড়া বিমা হয় না কেন?
উত্তর: চুক্তি ছাড়া বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণে বাধ্য না থাকায় চুক্তি ছাড়া বিমা হয় না।
মানুষের জীবন বা সম্পত্তির ঝুঁকি আর্থিকভাবে মোকাবিলার কৌশল হলো বিমা চুক্তি। এ চুক্তিতে একপক্ষ থাকে বিমাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং অপরপক্ষ হলো বিমাগ্রহীতা। এক পক্ষের প্রস্তাব ও অপরপক্ষের স্বীকৃতির মধ্য দিয়েই চুক্তি সম্পাদিত হয়। ফলে বিমাকৃত বস্তুর ক্ষতি হলে ঝুঁকি গ্রহণকারী পক্ষ চুক্তি অনুযায়ী বিমাগ্রহিতাকে নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকে। তাই চুক্তি ছাড়া বিমা হয় না।
প্রশ্ন-৮. বিমা চুক্তিকে পরম বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয় কেন? [রা. বো.; দি. বো. ১৭]
উত্তর: বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা উভয়পক্ষই আবশ্যকীয় সকল তথ্য একে অন্যকে প্রদানে বাধ্য থাকে বিধায় বিমা চুক্তিকে পরম বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়।
বিমা চুক্তির মাধ্যমে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। আর সে কারণে চুক্তিবদ্ধ প্রত্যেকে একে অন্যের কাছে সঠিক তথ্য প্রকাশে বাধ্য থাকে। কোনো পক্ষ যদি সঠিক তথ্য প্রদান না করে তাহলে বিমা চুক্তি বাতিল হতে পারে।
প্রশ্ন-৯. বিমাযোগ্য স্বার্থ বলতে কী বোঝায়? [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: বিমাকৃত বিষয়বস্তুতে বিমাগ্রহীতার যে আর্থিক স্বার্থ থাকে তাকে বিমাযোগ্য স্বার্থ বলে। এ ধরনের স্বার্থ না থাকলে বিমা চুক্তি করা যায় না।
সাধারণত বিমাযোগ্য স্বার্থ বিমাকারী প্রতিষ্ঠান দ্বারা সংরক্ষিত হয়। মূলত বিমার বিষয়বস্তুর ওপর বিমাকারীর আর্থিক স্বার্থ থাকে এবং বিমাকারী প্রতিষ্ঠান এ বিমাকৃত বিষয়বস্তুর আর্থিক ক্ষতি হলে তা পূরণের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
প্রশ্ন-১০. বিমাকে ঝুঁকি বণ্টন ব্যবস্থা বলে আখ্যায়িত করা হয় কেন? [চ. বো. ১৭]
উত্তর: বিমা মানুষের জীবন ও সম্পদের আর্থিক ঝুঁকি গ্রহণ করে সবার মাঝে ঝুঁকি বণ্টন করে দেয় বলে একে ঝুঁকি বণ্টন ব্যবস্থা বলে।
মানুষের জীবন ও সম্পত্তির ঝুঁকি আর্থিকভাবে মোকাবিলার ব্যবস্থা হলো বিমা। বিমাকারী প্রিমিয়াম সংগ্রহের মাধ্যমে তহবিল তৈরি করে। ক্ষতিগ্রস্ত বিমাগ্রহীতাদের ক্ষতিপূরণের দাবি বিমাকারী প্রতিষ্ঠান অন্যান্য বিমাগ্রহীতাদের নিকট হতে প্রাপ্ত প্রিমিয়াম হতে মিটিয়ে থাকে। এজন্য বিমাকে ঝুঁকি বণ্টন ব্যবস্থা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
প্রশ্ন-১১. বাংলাদেশে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিমা ব্যবসায়ের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর: বাংলাদেশে বিমা ব্যবসায়ের কার্যকর তত্ত¡াবধান, পলিসি গ্রাহক ও এর অধীন উপকারভোগীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং বিমা শিল্পের কার্যকর উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার প্রতিষ্ঠিত নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বলে।
বাংলাদেশে বিমা ব্যবসায় প্রতিনিয়ত সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমতাবস্থায় এরূপ ব্যবসায় যাতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। সেই সাথে যারা বিমা পলিসি খোলেন তাদের বা জীবন বিমার ক্ষেত্রে উপকারভোগীদের স্বার্থ যেন রক্ষিত হয় তার নিশ্চয়তা বিধানও গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিমা ব্যবসায়ের উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
একাদশ অধ্যায়: জীবন বিমা
১. জনাব রিফাত সাহেব তার একটি মেশিন ক্রয়ের জন্য ‘সোনালী’ বিমা কোম্পানির সাথে ২,০০,০০০ টাকা এবং ‘রমনা’ বিমা কোম্পানির সাথে ৪,০০,০০০ টাকার বিমা পত্র ক্রয়ের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হলেন। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত মেশিনটির ২,০০,০০০ টাকা সমমূল্যের ক্ষতি সংঘটিত হয়। [ভোলা সরকারি কলেজ]
ক. দায় বিমা কী?
খ. ‘নৈতিক ঝুঁকি’ কীভাবে বিমা পলিসিতে প্রভাব ফেলল?
গ. উদ্দীপকের জনাব রিফাত সাহেব মেশিনের জন্য কোন ধরনের বিমাপত্র গ্রহণ করেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে এ ধরনের বিমাপত্র গ্রহণের যৌক্তিকতা কতটুকু? মূল্যায়ন করো।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৪৫৮ এর ৩৪ নম্বর দ্রষ্টব্য।
২. জনাব পলক এবং জনাব কবির দুইজন সরকারি চাকরজীবী। জনাব পলক দুই বছরের জন্য দেশের বাহিরে যান। তিনি তাঁর সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দুই বৎসরের জন্য একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন, যেখানে তিনি মারা গেলেই কেবল তাঁর সন্তানেরা বিমাদাবি পাবে। অপরদিকে জনাব কবির বার্ষিক ৫০,০০০ টাকা বিমা কিস্তিতে ১৫ বছরের জন্য সাত লক্ষ টাকার একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। এ ধরনের বিমাপত্রে তিনি জীবিত থাকলেও নির্দিষ্ট সময় শেষে বিমাদাবি পাবেন। [ঢাকা সিটি কলেজ]
ক. মৃত্যুহার পঞ্জি কাকে বলে?
খ. ‘জীবন বিমা নিশ্চয়তার চুক্তি’ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে জনাব পলকের গৃহীত বিমাত্রটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. জনাব পলক এবং জনাব কবিরের গৃহীত দুটি বিমাপত্রের মধ্যে কোনটি বেশি লাভজনক বলে তুমি মনে করো? উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৪৫৪ এর ২৪ নম্বর দ্রষ্টব্য।
ক ও খ নং প্রশ্নের সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. জীবন বিমা কী? [রা. বো. ১৭]
উত্তর: প্রিমিয়াম বা বিমা সেলামির বিনিময়ে বিমাগ্রহীতা নিজের বা অন্যের জীবনের ঝুঁকিজনিত ক্ষতির প্রতিরোধ বা লাঘব করার জন্য বিমা কোম্পানির কাছ থেকে যে প্রতিশ্র“তি পেয়ে থাকেন তাকেই জীবন বিমা বলা হয়।
প্রশ্ন-২. একক বা একমাত্র কিস্তি বিমা কী?
উত্তর: যে বিমাপত্রে সম্পূর্ণ বিমাকৃত অর্থের জন্য একটিমাত্র বিমা কিস্তি প্রদান করা হয় তাকে একক বা একমাত্র কিস্তি বিমাপত্র বলা হয়।
প্রশ্ন-৩. সমকিস্তি বিমাপত্র কী?
উত্তর: যে ধরনের বিমাপত্রে সাধারণত বার্ষিক, সাপ্তাহিক, ত্রৈমাসিক বা মাসিক ভিত্তিতে সমান কতগুলো কিস্তিতে বিমা প্রিমিয়াম গ্রহণ করা হয় তাকে সমকিস্তি বিমাপত্র বলা হয়।
প্রশ্ন-৪. বোনাস কী?
উত্তর: বিমা কোম্পানির মুনাফার যে অংশ বিমা গ্রহীতাদের মধ্যে বিতরণ করা হয় তাকে বোনাস বলে।
প্রশ্ন-৫. ‘অহহঁরঃু’ শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?
উত্তর: ‘অহহঁরঃু’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ‘বার্ষিক বৃত্তি’।
প্রশ্ন-৬. বার্ষিক বৃত্তি কী?
উত্তর: বিমা কোম্পানি বিমাগ্রহীতাকে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বা জীবনের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রতিবছর যে নির্দিষ্ট হারে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে তাকে বার্ষিক বৃত্তি বলা হয়।
প্রশ্ন-৭. পুনর্বিমা কী?
উত্তর: বিমাকারীর পক্ষে বিমাকৃত ঝুঁকি একা বহন না করে অন্য কোনো বিমা কোম্পানির সাথে একটি নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে পুনরায় চুক্তি সম্পাদন করাকে পুনর্বিমা বলে।
প্রশ্ন-৮. দ্বৈত বিমা কী?
উত্তর: কোনো বিমাগ্রহীতা যখন একই বিষয়বস্তুর জন্য একাধিক বিমা কোম্পানির সাথে পৃথক পৃথক বিমা চুক্তি সম্পাদন করে থাকে তাকে দ্বৈত বিমা বলে।
প্রশ্ন-৯. দ্বৈত বিমা আর কী নামে পরিচিত?
উত্তর: দ্বৈত বিমা ‘যুগ্ম বিমা’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-১০. মেয়াদি বিমাপত্র কী?
উত্তর: যে বিমাপত্র একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য করা হয়, তাকে মেয়াদি বিমাপত্র বলে।
প্রশ্ন-১১. আজীবন বিমাপত্র কী? [কু. বো. ১৭]
উত্তর: যে জীবন বিমাপত্রে শুধু বিমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পরই তার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমাদাবি পরিশোধ করা হয় তাকে আজীবন বিমাপত্র বলে।
প্রশ্ন-১২. সাময়িক বিমাপত্র কী?
উত্তর: স্বল্পমেয়াদ অর্থাৎ তিন মাস থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য যে জীবন বিমাপত্র খোলা হয় তাকে সাময়িক বিমাপত্র বলে।
প্রশ্ন-১৩. গোষ্ঠী বিমা কী?
উত্তর: যে বিমা ব্যবস্থায় একটি বিশেষ গোষ্ঠীর সবার জীবনকে একক বিমাপত্রের অধীনে বিমা করা হয় তাকে গোষ্ঠী বিমা বলে।
প্রশ্ন-১৪. সমর্পণ মূল্য কী? [ব. বো. ১৭; দি. বো. ১৬]
উত্তর: সমর্পণ মূল্য হলো বিমাগ্রহীতা কর্তৃক পরিশোধিত প্রিমিয়ামের সেই অংশ, যা বিমাপত্র ফেরতদানের সময় তাকে পরিশোধ করা হয়।
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. জীবন বিমা কোন ধরনের চুক্তি এবং কেন? [রা. বো.; চ. বো. ১৭; ঢা. বো. ১৬]
উত্তর: জীবন বিমা হলো নিশ্চয়তার চুক্তি।
যে চুক্তিতে ক্ষতি সংঘটিত হলে ক্ষতিপূরণ না করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেয়া হয় তাকে নিশ্চয়তার চুক্তি বলে। সম্পত্তি বিমায় ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ নির্ণয় করা যায় বিধায় তা ক্ষতিপূরণের চুক্তি। কিন্তু জীবন বিমায় জীবন হানি হলে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায় না। এক্ষেত্রে কেউ মারা গেলে বা পঙ্গুত্ব বরণ করলে কী পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে বিমা কোম্পানি তার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে।
প্রশ্ন-২. ‘জীবন বিমা মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের আর্থিক হাতিয়ারস্বরূপ’ Ñ কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। [ব. বো. ১৭]
উত্তর: জীবন বিমা আর্থিক নিশ্চয়তার চুক্তি, যা ক্ষতি সংঘটিত হলে ক্ষতিপূরণ না করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেয়।
জীবন বিমা হলো মানব জীবন সংশ্লিষ্ট বিমা চুক্তি। আর এ বিমা চুক্তি ব্যক্তির যেকোনো দুর্ঘটনায় অক্ষমতা বা তার মৃত্যুতে পরিবারের আর্থিক অসহায়ত্বে আর্থিক নিরাপত্তার প্রতিশ্র“তি প্রদান করে। যা প্রাত্যহিক জীবনে আর্থিক হাতিয়ার স্বরূপ।
প্রশ্ন-৩. মৃত্যুহার পঞ্জি বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। [রা. বো.; দি. বো.; কু. বো. ১৬]
উত্তর: পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নির্দিষ্ট বয়স সীমায় নির্দিষ্ট এলাকায় প্রতি হাজারে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা সম্বলিত সারণীকে মৃত্যুহার পঞ্জি বলে।
এই সারনী বা তালিকা মূলত নির্দিষ্ট বয়সের লোকদের হাজার প্রতি মৃত্যু সংখ্যা নির্দেশ করে। এই তালিকা বা পঞ্জি নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের মৃত্যুঝুঁকি ও প্রিমিয়ামের পরিমাণ নির্ধারণে সহায়তা করে।
প্রশ্ন-৪. জীবন বিমায় মৃত্যুহার পঞ্জি ব্যবহার করা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। [য. বো. ১৭]
উত্তর: জীবন বিমা ব্যবসায়কে অনুমানের গতানুগতিক ধারা থেকে বৈজ্ঞানিক হিসাব-নিকাশের ধারায় নিয়ে আসতে মৃত্যুহার পঞ্জি ব্যবহার করা হয়।
অতীত পরিসংখ্যান ও অভিজ্ঞতার আলোকে নির্দিষ্ট বয়সসীমার প্রতি হাজারে সম্ভাব্য মৃত ব্যক্তির সংখ্যা সম্বলিত সারণী দ্বারা মৃত্যুহার পঞ্জি নির্ণয় করা হয়। এরূপ পঞ্জি মৃত্যু ঝুঁকি ও প্রিমিয়ামের পরিমাণ নির্ধারণ সহায়তা করে।
প্রশ্ন-৫. প্রিমিয়াম বলতে কী বোঝায়? [ব. বো. ১৬]
উত্তর: বিমা চুক্তিতে বিমাগ্রহীতা এককালীন অথবা নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিমাকারীকে যে অর্থ প্রদান করে তাকে প্রিমিয়াম বলে।
প্রিমিয়ামের বিনিময়েই বিমাকারী বিমাগ্রহীতার ঝুঁকি হ্রাস করে। অর্থাৎ ঝুঁকি গ্রহণের প্রতিদান হিসেবে বিমাগ্রহীতার নিকট থেকে এককালীন অথবা কিস্তিতে অর্থ গ্রহণই হলো প্রিমিয়াম।
প্রশ্ন-৬. জীবন বিমায় চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক কেন প্রয়োজন? [ঢা. বো. ১৬]
উত্তর: জীবন বিমায় বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা উভয় পক্ষ একে অন্যের সকল তথ্য সম্পূর্ণ ও নির্ভুলভাবে প্রদানে বাধ্য থাকে বিধায় তাদের মধ্যে চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক স্থাপনের প্রয়োজন হয়।
চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাস ভঙ্গ হলে অর্থাৎ কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন বা মিথ্যা বর্ণনা করা হলে জীবন বিমা চুক্তি বাতিল হতে পারে। এর ফলে বিমাকারী অথবা বিমাগ্রহীতা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। অন্যান্য বিমা চুক্তির ন্যায় জীবন বিমা চুক্তিতেও উভয়পক্ষের মধ্যে চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন-৭. পুনর্বিমা কেন করা হয়? [রা. বো. ১৬]
উত্তর: ঝুঁকি হ্রাসে বিমাগ্রহীতাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানের জন্যই পুনর্বিমা করা হয়।
বিমাকারী কর্তৃক গৃহীত বিষয়বস্তুর মূল্য বেশি হলে স্বভাবত তার ঝুঁকির পরিমাণও বেশি হয়। এরূপ বৃহৎ ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে বিমাকারী ঐ বিষয়বস্তুর ওপর অন্য বিমা প্রতিষ্ঠানের সাথে যে বিমা চুক্তি করে যাকে পুনর্বিমা বলা হয়।
প্রশ্ন-৮. বিমাযোগ্য স্বার্থ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। [চ. বো. ১৬]
উত্তর: বিমাকৃত বিষয়বস্তুর ওপর বিমাগ্রহীতার আর্থিক স্বার্থকে বিমাযোগ্য স্বার্থ বলে।
বিমাযোগ্য স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমাগ্রহীতা ক্ষতিগ্রস্ত হন। আর এ আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই বিমাগ্রহীতা বিমার আশ্রয় নেন, যাতে বিমাকারী বিমাগ্রহীতার এ স্বার্থ রক্ষার প্রতিশ্র“তি প্রদান করে থাকে।
প্রশ্ন-৯. জীবন বিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি নয় কেন?
উত্তর: জীবন বিমা চুক্তি অন্যান্য বিমা চুক্তি থেকে আলাদা। কারণ অন্যান্য বিমা চুক্তিতে বিমাকৃত বিষয়বস্তুর ক্ষতির ক্ষেত্রে বিমাকারী শুধু বিমাগ্রহীতার আর্থিক ক্ষতি হলে বিমাকৃত অর্থ প্রদান করে অথবা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে।
যমন: পাঁচ বছরের জন্য কোনো গাড়ির বিমা করা হলে ঐ সময়ের মধ্যে গাড়িটি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমাকারী ক্ষতিপূরণের যথাযথ ব্যবস্থা করে। কিন্তু জীবন বিমার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মেয়াদ অতিক্রম করলে বিমাকারী বিমাকৃত অর্থ বিমাগ্রহীতাকে প্রদান করে। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিমাগ্রহীতার মৃত্যু হলে মনোনীত ব্যক্তি বিমাকৃত অর্থ পায়। এজন্য বলা হয় জীবন বিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি নয়।
প্রশ্ন-১০. দ্বৈত বিমা বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। [চ. বো. ১৬]
উত্তর: কোনো বিমাগ্রহীতা যখন একই বিষয়বস্তুর জন্য একাধিক কোম্পানির নিকট থেকে বিমাপত্র গ্রহণ করে তখন তাকে দ্বৈত বিমাপত্র বলে।
দ্বৈত বিমার ক্ষেত্রে যেহেতু বিমাগ্রহীতা একাধিক কোম্পানিতে বিমা করেন, সেহেতু তিনি সকল বিমা কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরণের জন্য বিমা দাবি করতে পারবেন। এতে যদি বিমা দাবিটি যৌক্তিক হয় তবে একাধিক বিমা কোম্পানি আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য থাকবে। আর এভাবেই দ্বৈত বিমা ক্ষতিপূরণের অধিক নিশ্চয়তা দেয়।
প্রশ্ন-১১. সমর্পণ মূল্য বলতে কী বোঝায়? [ঢা. বো.; দি. বো. ১৭]
উত্তর: যদি বিমাগ্রহীতা কর্তৃক বিমাপত্রের প্রিমিয়াম নিয়মিত পরিশোধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে তিনি বিমা কোম্পানিকে তা সমর্পণ করে কিছু অর্থ গ্রহণ করেন, একে সমর্পণ মূল্য বলে।
সমর্পণ মূল্য প্রিমিয়ামের একটি অংশ। বিমা চুক্তির মেয়াদ কমপক্ষে দুই বছর উত্তীর্ণ হওয়ার পর সমর্পণ মূল্য পরিশোধ করা হয়।
- HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- (১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- (১ম পত্র) অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- (PDF ১ম পত্র) অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-১২. কোন ধরনের বিমাপত্রের অধীনে কারখানার সকল শ্রমিকের বিমাপত্র করা যায়? ব্যাখ্যা করো। [কু. বো. ১৭]
উত্তর: গোষ্ঠী বিমাপত্রের অধীনে কারখানার সকল শ্রমিকের বিমাপত্র করা যায়।
এ বিমাপত্রের আওতায় একটি বিশেষ গোষ্ঠীর জীবনকে একক বিমাপত্রের অধীনে বিমা করা হয়। সাধারণত একই স্থানে কর্মরত কর্মীদের জন্য এ ধরনের বিমা করা হয়ে থাকে। নিয়োগকর্তা এ ধরনের বিমা করে কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।