HSC | ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা: দ্বিতীয় পত্র | নৌ বিমা | PDF: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বাদশ, ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ অধ্যায়হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের দ্বাদশ, ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
দ্বাদশ অধ্যায়: নৌ বিমা
১. কর্ণফুলি শিপিং কর্পোরেশন এর জাহাজ ‘মোহনা’ ইতালির ভেনিস সমুদ্রবন্দর হতে চট্টগ্রাম বন্দরের নির্দিষ্ট পথে এক মাসের মধ্যে পৌঁছবে। এ জন্য পদ্মা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। পথিমধ্যে নাবিক ভুল করে জাহাজ নিয়ে অন্য পথে ঢুকে পড়ে এবং বরফ খণ্ডে আঘাত লেগে জাহাজ ডুবে যায়। পদ্মা শিপিং কর্পোরেশন বিমা দাবি আদায়ের আবেদন পেশ করে। [আবদুল কাদির মোলা সিটি কলেজ, নরসিংদী]
ক. চার্টার পার্টি কী?
খ. বিমাকৃত সম্পদের বৈধতা নৌ-বিমা চুক্তির কোন ধরনের শর্ত? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘মোহনা’ জাহাজের জন্য কোন প্রকৃতির নৌ-বিমাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. পদ্মা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড জাহাজের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য কি-না? উদ্দীপকের আলোকে উত্তরের যথার্থতা নিরূপণ করো।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৪৭২ এর ২০ নম্বর দ্রষ্টব্য।
২. পূরবি শিপিং কোম্পানি মংলা বন্দর থেকে চীনের সেনছেন বন্দরে নির্দিষ্ট পথের জন্য প্রত্যাশা বিমা কোম্পানির নিকট হতে একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। কিন্তু যাত্রাকালে জাহাজের নাবিক ভুলক্রমে ভিন্ন পথে যাত্রা করে। এক সময় সমুদ্রের গভীরে নিমজ্জিত হিমবাহে ধাক্কা লেগে জাহাজটি অচল হয়ে পড়ে। বিমা কোম্পাানির নিকট ক্ষতিপূরণ দাবি করলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়।
[রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক. প্রিমিয়াম কাকে বলে?
খ. বিমাযোগ্য স্বার্থ বিমা ব্যবসায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উলিখিত বিমাপত্রটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. বিমা কোম্পানি কর্তৃক বিমা দাবি প্রত্যাখ্যানের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৪৬৮ এর ১৩ নম্বর দ্রষ্টব্য।
ক ও খ নং প্রশ্নের সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. নৌ বিমা কী? [রা. বো.; চ. বো. ১৭; ঢা. বো. ১৬]
উত্তর: নৌ বিমা হচ্ছে ক্ষতিপূরণের চুক্তি যেখানে নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বিমাকারী নৌযাত্রায় ব্যবহৃত জাহাজ বা জাহাজে রক্ষিত পণ্য সামগ্রির কোনো ক্ষতি হলে বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণের অঙ্গীকার প্রদান করে।
প্রশ্ন-২. পণ্য পরিবহন বিমা কী?
উত্তর: নৌপথে পণ্য পরিবহনকালে জাহাজে রক্ষিত পণ্যের ক্ষতির বিপরীতে যে বিমা করা হয় তাকে পণ্য পরিবহন বিমা বলে।
প্রশ্ন-৩. জাহাজী বিমা কী? [ঢা. বো. ১৭]
উত্তর: পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত জাহাজের সম্ভাব্য ক্ষতির বিপরীতে যে বিমা করা হয় তা হলো জাহাজী বিমা।
প্রশ্ন-৪. সামুদ্রিক ক্ষতি কাকে বলে? [দি. বো. ১৬]
উত্তর: সামুদ্রিক জাহাজ বা নৌ-যান সমুদ্রপথে মালামাল নিয়ে চলাচলের সময় প্রাকৃতিক বা অপ্রাকৃতিক বিপদের কারণে যে ক্ষতির সম্মুখিন হয় তাকেই সামুদ্রিক ক্ষতি বলে।
প্রশ্ন-৫. নৌ-বিপদ কী? [সি. বো. ১৭; কু. বো. ১৬]
উত্তর: সমুদ্রপথে যে সকল বিপদের কারণে জাহাজ, জাহাজস্থিত পণ্য ও মাশুলের ক্ষতি হয় তাকে নৌ-বিপদ বলে।
প্রশ্ন-৬. ভাসমান বিমাপত্র কী?
উত্তর: একই মালিক বা প্রতিষ্ঠানের একাধিক জাহাজ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একই বিমাপত্রের আওতায় বিমা করা হলে তাকে ভাসমান বিমাপত্র বলে।
প্রশ্ন-৭. যুগ্ম বিমাপত্র কী? [চ. বো. ১৬]
উত্তর: একই বিষয়বস্তুর জন্য প্রিমিয়াম প্রদান করে দুবার বিমাপত্র গ্রহণ করাকে যুগ্ম বিমাপত্র বলে।
প্রশ্ন-৮. মূল্যায়িত বিমাপত্র কী?
উত্তর: যে নৌ বিমাপত্রে বিমাগ্রহীতার বিমাকৃত বিষয়বস্তুর মূল্য নির্ধারণ করে সেই পরিমাণ অর্থ বিমাপত্রে বিমাকৃত অঙ্ক হিসেবে উলেখ করা হয় তাকে মূল্যায়িত বিমাপত্র বলে।
- HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- (১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- (১ম পত্র) অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- (PDF ১ম পত্র) অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-৯. অ-মূল্যায়িত বিমাপত্র কী?
উত্তর: যে বিমাপত্রে বিমাকৃত বিষয়বস্তুর মূল্য বিমাকারী পূর্ব হতে নির্ধারণ না করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর নির্ধারণ করে তাকে অ-মূল্যায়িত বিমাপত্র বলে।
প্রশ্ন-১০. বৃহৎ ঝুঁকির বিমাপত্র কী?
উত্তর: অনেক সময় একাধিক বিমা কোম্পানি একত্রে মিলিত হয়ে বৃহৎ অঙ্কের অর্থের নৌ বিমার দায়িত্ব নিয়ে থাকে তাকে বৃহৎ ঝুঁকির বিমাপত্র বলে।
প্রশ্ন-১১. বন্দর ঝুঁকি বিমাপত্র কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট বন্দরে নির্দিষ্ট সময় অবস্থানকালে জাহাজ বা পণ্যের ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তায় যে বিমাপত্র গ্রহণ করা হয় তাকে বন্দর ঝুঁকি বিমাপত্র বলে।
প্রশ্ন-১২. প্রাকৃতিক বিপদ কী?
উত্তর: সমুদ্র পথে জাহাজ চলাকালে প্রাকৃতিক কারণে সংঘটিত বিপর্যয় বা দুর্ঘটনাসমূহকে প্রাকৃতিক বিপদ বলে।
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. নৌ বিমা চুক্তিকে কেন ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয়? ব্যাখ্যা করো। [রা. বো. ১৭]
উত্তর: নৌ বিমা চুক্তিতে বিমাকৃত বিষয়বস্তুর কোনো ক্ষতি হলে বিমাকারী বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য থাকে। তাই একে ক্ষতিপূলণের চুক্তি বলা হয়।
এ ধরনের বিমা চুক্তিতে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে এ মর্মে চুক্তি সম্পাদিত হয়, সমুদ্র যাত্রায় নিয়োজিত জাহাজ এবং এর সাথে সম্পৃক্ত স্বার্থের কোনো ক্ষতির জন্য বিমাকারী চুক্তি অনুসারে বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
প্রশ্ন-২. বিমাকৃত সম্পদের বৈধতা নৌ বিমা চুক্তির কোন ধরনের শর্ত? ব্যাখ্যা করো। [কু. বো. ১৭]
উত্তর: বিমাকৃত সম্পদের বৈধতা নৌ বিমা চুক্তির ব্যক্ত শর্ত। বিমা চুক্তি লিখিত হওয়া আবশ্যক বিধায় নৌবিমা চুক্তিতে শর্ত লিখিতভাবে উলেখ থাকে, যা নৌ বিমার ব্যক্ত শর্ত নামে পরিচিত।
বিমাকৃত সম্পদ যে বৈধ এ বিষয়ে বিমাগ্রহীতাকে অবশ্যই ঘোষণা দিতে হয়। আর এরূপ ঘোষণা ব্যতীত চুক্তি সম্পাদিত হলে সেজন্য বিমা কোম্পানি দায়ী হয়ে থাকে। অবৈধ বা বেআইনি কোনো পণ্য বহন করা হচ্ছে না এটা নিশ্চিত করার জন্যই মূলত নৌ বিমা চুক্তিতে এ ধরনের শর্ত উলেখ করা হয়।
প্রশ্ন-৩. সামুদ্রিক ঝড় কোন ধরনের বিপদ? বুঝিয়ে লেখো। [য. বো. ১৭]
উত্তর: সামুদ্রিক ঝড় প্রাকৃতিক নৌ বিপদ।
সমুদ্রপথে জাহাজ চলাকালে প্রাকৃতিক কারণে সংঘটিত বিপর্যয় বা দুর্ঘটনাসমূহই প্রাকৃতিক বিপদ নামে পরিচিত। এরূপ বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার বিষয়ে মানুষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে কিন্তু প্রতিরোধ করতে পারে না।
প্রশ্ন-৪. কখন সমুদ্রে পণ্য নিক্ষেপ করা হয় এবং কেন? [ঢা. বো. ১৭; চ. বো. ১৬]
উত্তর: সামুদ্রিক ঝড়, জলোচ্ছ¡াস বা অন্যবিধ কারণে বিপদগ্রস্ত জাহাজকে হালকা করার জন্য পণ্য সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়।
পণ্য নিক্ষেপ শুধু জাহাজ ও এর অধিকাংশ মালামালকে বিপদমুক্ত করার প্রয়োজনেই করা হয়ে থাকে। যা মানুষ সৃষ্ট বা অপ্রাকৃতিক বিপদ হিসেবে দেখা হয়। তবে সামুদ্রিক ক্ষতির ক্ষেত্রে পণ্য নিক্ষেপ আংশিক ক্ষতির সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন-৫. জেটিসনের ফলে কোন ধরনের সামুদ্রিক ক্ষতির উদ্ভব হয়? বুঝিয়ে লেখো। [সি. বো. ১৭]
উত্তর: জাহাজ ও জাহাজস্থিত পণ্যকে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষার জন্য পরিবহনকৃত পণ্যের অংশবিশেষ সমুদ্রে নিক্ষেপ করাকেই পণ্য নিক্ষেপণ বা জেটিসন বলে।
এরূপ পণ্য নিক্ষেপণের উদ্দেশ্য হলো পণ্যবাহী জাহাজকে কিছুটা হালকা করে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা। পণ্যের অংশবিশেষ সমুদ্রে ফেলায় আংশিক সামগ্রিক ক্ষতির উদ্ভব হয়।
প্রশ্ন-৬. পণ্য নিক্ষেপণ বলতে কী বোঝ? [চ. বো. ১৭; ঢা. বো., রা. বো., দি. বো. ১৬]
উত্তর: জাহাজ বা জাহাজস্থ পণ্যকে বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে বাহিত পণ্যের অংশবিশেষ সমুদ্রে ফেলে দেয়াকে পণ্য নিক্ষেপণ বলে।
এর মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে পণ্যবাহী জাহাজকে কিছুটা হালকা করে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা। বিমাকারী আনুপাতিক হারে এ ক্ষতি পূরণ করে থাকে।
প্রশ্ন-৭. ভাসমান বিমাপত্র বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একই মালিক বা প্রতিষ্ঠানের একাধিক জাহাজের জন্য একটি মাত্র বিমাচুক্তি করা হলে তাকে ভাসমান বিমাপত্র বলে।
ভাসমান বিমার ক্ষেত্রে জাহাজের অবস্থান, মান, মূল্য বিবেচনা করে গড় মূল্য নির্ণয় করা হয়। পরবর্তীতে সেইভাবেই বিমাকৃত মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এই বিমার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বন্দর ছেড়ে যাওয়া জাহাজ সম্পর্কে বিমাকারীকে অবহিত করতে হয়।
প্রশ্ন-৮. জাহাজ ব্যবসায়ীদের জন্য ভাসমান নৌ-বিমাপত্র অধিক উপযোগী কেন?
উত্তর: একই মালিক বা প্রতিষ্ঠানের একাধিক জাহাজ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একই বিমাপত্রের আওতায় বিমা করা হলে তাকে ভাসমান বিমাপত্র বলে।
বড় জাহাজ ব্যবসায়ীদের অনেক জাহাজ বিভিন্ন বন্দরে ও রুটে কর্মরত থাকে।
এ সকল জাহাজ প্রতিটার জন্য বিমা করা কষ্টসাধ্য বিষয়। তাই একক বিমাপত্রের অধীনে সবগুলো জাহাজ বিমা করা গেলে তা জাহাজ ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধাজনক হয়। ভাসমান নৌ-বিমাপত্রে সেই সুযোগ থাকায় বড় জাহাজ ব্যবসায়ীদের জন্য ভাসমান নৌ বিমাপত্র অধিক উপযোগী।
ত্রয়োদশ অধ্যায়: অগ্নিবিমা
১. মি. আজাদ একজন প্রতিষ্ঠিত এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী। ঝুঁকি কমাতে তিনি তার সকল সম্পদ ৪০ লাখ টাকার পণ্যের বিপরীতে বিমা করেছেন। বিমাকারী তার ঝুঁকি কমাতে অন্য একটি বিমা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। অগ্নিকাণ্ড মি. আজাদের ৩০ লাখ টাকার সম্পদ সম্পূর্ণ ভস্মীভ‚ত হয়। তিনি তার বিমাকারির কাছে দাবি পেশ করেছেন। [আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক. অগ্নিজনিত ঝুঁকি কী?
খ. প্রত্যক্ষ কারণ নীতি কাকে বলে? ব্যাখ্যা করো।
গ. মি. আজাদের বিমাকারী বিমাকৃত বিষয়বস্তুর উপর কীরূপ বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. মি. আজাদ কি বিমাকারির নিকট হতে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাবেন? যুক্তি দাও।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৪৮৬ এর ১৪ নম্বর দ্রষ্টব্য।
২. মি. রনির একটি ঔষধ তৈরির কারখানা আছে যেখানে অনেক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেখান থেকে যে কোনো সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে ভেবে ক্ষতি সংগটনের পর ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করার শর্তে তিনি ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের পণ্যদ্রব্যের বিপরীতে একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। প্রথম কিস্তির প্রিমিয়াম প্রদানের পরপরই অগ্নিকান্ডে ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের সব পণ্যদ্রব্য ভস্মিভ‚ত হয়ে যায়। তিনি কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেছেন। [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. স্বাস্থ্য বিমা কী?
খ. শস্য বিমা কৃষকদের স্বনির্ভরতা অর্জনে সাহায্য করে কীভাবে?
গ. মি. রনি কোন প্রকৃতির অগ্নিবিমা পত্র গ্রহণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. মি. রনি বিমা কোম্পানির নিকট হতে কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাবেন? যুক্তিসহ মতামত দাও।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৪৮৬ এর ১৫ নম্বর দ্রষ্টব্য।
ক ও খ নং প্রশ্নের সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. অগ্নিবিমা কী? [ঢা. বো.; য. বো.; ব. বো. ১৭]
উত্তর: অগ্নিজনিত ক্ষতির বিপক্ষে আর্থিক প্রতিরক্ষাই হলো অগ্নিবিমা।
প্রশ্ন-২. গড়পড়তা বিমাপত্র কী? [রা. বো. ১৭]
উত্তর: যে বিমাপত্রের ক্ষেত্রে ক্ষতির উদ্ভব হলে বিমাপত্রে উলিখিত পরিমাণ বিমা দাবি পরিশোধ না করে গড়পড়তা হারে তা নির্ণয় করা হয় তাকে গড়পড়তা বিমাপত্র বলে।
প্রশ্ন-৩. অগ্নিবিমার মূল ভিত্তি কী?
উত্তর: অগ্নিবিমার মূল ভিত্তি হলো অগ্নি বিমাপত্র।
প্রশ্ন-৪. আধুনিক অগ্নিবিমার জনক কে?
উত্তর: নিকোলাস বারবনকে আধুনিক অগ্নিবিমার জনক বলা হয়।
প্রশ্ন-৫. ঘোষণাযুক্ত বিমাপত্র কী? [সি. বো. ১৭]
উত্তর: পরবর্তী ঘোষণার মাধ্যমে প্রিমিয়াম নির্ধারিত হবে এ মর্মে সর্বোচ্চ মজুতের ওপর যে অগ্নিবিমাপত্র গৃহীত হয় তাকে ঘোষণা বিমাপত্র বলে।
প্রশ্ন-৬. অগ্নি অপচয় কী? [দি. বো. ১৬]
উত্তর: অগ্নিকাণ্ডের ফলে সম্পদ-সম্পত্তির যে ক্ষতি হয় তাকে অগ্নি ক্ষতি বা অপচয় বলে।
প্রশ্ন-৭. অগ্নিজনিত ক্ষতি কী?
উত্তর: অগ্নিকাণ্ডের ফলে দালান-কোঠা, শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সম্পত্তি প্রভৃতির যে আর্থিক ক্ষতি হয় তাকে অগ্নিজনিত ক্ষতি বলে।
প্রশ্ন-৮. নৈতিক ঝুঁকি কী? [কু. বো. ১৬]
উত্তর: বিমাগ্রহীতার চরিত্র বা পার্শ্ববর্তী লোকজনের কার্যকলাপ অর্থাৎ মানুষের অসততা, অসতর্কতা, অবহেলা প্রভৃতি কারণে যে ঝুঁকি সৃষ্টি হয় তাকে নৈতিক ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-৯. অগ্নিজনিত ঝুঁকি কাকে বলে? [ঢা. বো. ১৬]
উত্তর: অগ্নিকাণ্ডের কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাকে অগ্নিজনিত ঝুঁকি বলে।
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. অগ্নিবিমা কোন ধরনের চুক্তি তা বুঝিয়ে লিখ? [কু. বো. ১৭]
উত্তর: অগ্নিবিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
এরূপ বিমা হলো অগ্নিজনিত ক্ষতির বিপক্ষে আর্থিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যে কারণে তা নিঃসন্দেহে ক্ষতিপূরণের চুক্তি। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ঝুঁকি বিমা করা হলো বিমা কোম্পানি আংশিক ক্ষতির বেলায় আংশিক এবং সম্পূর্ণ ক্ষতির বেলায় বিমাকৃত সম্পূর্ণ অর্থ প্রদানে বাধ্য থাকে।
প্রশ্ন-২. গড়পড়তা বিমাপত্র বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যে বিমাপত্রে বিমাকৃত মূল্যে ক্ষতিপূরণ না করে গড়পড়তা হারে ক্ষতিপূরণ করা হয় তাকে গড়পড়তা বিমাপত্র বলে।
গড়পড়তা বিমাপত্রের মূল্য উদ্দেশ্য হলো গ্রাহক যেন সম্পত্তির মূল্য অধিক দেখিয়ে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ না নিতে পারে সে ব্যবস্থা করা। সম্পত্তির আংশিক ক্ষতিতেও গড়পড়তা নীতিতে ক্ষতিপূরণ করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৩. অগ্নিবিমায় কোন ধরনের ঝুঁকি বেশি? ব্যাখ্যা করো। [রা. বো.; চ. বো. ১৭]
উত্তর: অগ্নিবিমায় নৈতিক ঝুঁকি বেশি থাকে।
বিমাগ্রহীতার চরিত্র বা পার্শ্ববর্তী লোকজনের কার্যকলাপ থেকে সৃষ্ট ঝুঁকিকেই অগ্নিবিমায় নৈতিক ঝুঁকি বলে। নৈতিক ঝুঁকি অদৃশ্যমান এবং তা মানুষের ওপর নির্ভরশীল। প্রাকৃতিক ঝুঁকির মতো এ ঝুঁকি অনুমান করা প্রায় অসম্ভব। পণ্য গুদাম বিমা করে পণ্য সরিয়ে আগুন লাগানো ও ক্ষতিপূরণ আদায় করা নৈতিক ঝুঁকির আওতাভুক্ত।
প্রশ্ন-৪. অগ্নিবিমাকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয় কেন?
[ঢা. বো.; সি. বো.; য. বো.; ব. বো. ১৭; কু. বো., চ. বো. ১৬]
উত্তর: অগ্নিবিমা হলো অগ্নিজনিত ক্ষতির বিপক্ষে আর্থিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এ কারণে তা নিঃসন্দেহে ক্ষতিপূরণের চুক্তি।
অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিমাকৃত সম্পত্তি নষ্ট হলে চুক্তি অনুযায়ী বিমাকারী আর্থিক ক্ষতিপূরণে বাধ্য থাকে। এক্ষেত্রে ক্ষতি আংশিক বা সম্পূর্ণ যাই হোক না কেন বিমা কোম্পানি আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ করে থাকে।
প্রশ্ন-৫. অগ্নিবিমায় কেন দাবির প্রমাণপত্র পেশ করতে হয়?
উত্তর: অগ্নিবিমায় বিমাগ্রহীতার দাবি বৈধ কিনা তা যাচাই করার জন্য দাবির প্রমাণপত্র পেশ করতে হয়।
উপযুক্ত সকল প্রকার প্রমাণ ও তথ্য যাচাই-বাছাই করে বিমা কোম্পানি বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ করে। অগ্নিবিমায় চুক্তিপত্রে উলিখিত কারণে বিমাকৃত বস্তুর ক্ষতি হলে বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।
প্রশ্ন-৬. অগ্নিবিমায় প্রত্যক্ষ কারণে ক্ষতি বিবেচনা করার কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যে অগ্নিবিমাপত্রে বিমাকৃত সম্পত্তির একটি সুনির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করে বিমাচুক্তি সম্পাদন করা হয় তাকে নির্দিষ্ট বিমাপত্র বলে।
ধরা যায়, ১০ হাজার টাকার সম্পত্তি ৬ হাজার টাকায় বিমা করা হয়েছে। এখন যদি ৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয় তাহলে বিমাগ্রহীতা ৬ হাজার টাকা পাবে। যদি ৮ হাজার টাকা ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রেও বিমাগ্রহীতা ৬ হাজার টাকা পাবে।
প্রশ্ন-৭. মূল্যায়িত বিমাপত্র বলতে কী বোঝ? [দি. বো. ১৬]
উত্তর: অগ্নিবিমা চুক্তির সময় বিমাপত্রে বিমাকৃত বিষয়বস্তুর মূল্য পূর্বেই নির্ধারণ করা থাকলে তাকে মূল্যায়িত বিমাপত্র বলে।
এক্ষেত্রে দুর্ঘটনার পর ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করা হয় না এবং সম্পত্তির মূল্যের কোনো প্রমাণাদিও দাখিল করতে হয় না। সম্পত্তির বাজারমূল্য যাই হোক না কেন বিমাগ্রহীতা পূর্ব নির্ধারিত মূল্যেই ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে।
প্রশ্ন-৮. অগ্নিবিমায় প্রত্যক্ষ কারণ বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ কেন? [ঢা. বো. ১৬]
উত্তর: অগ্নিবিমায় নৈতিক ঝুঁকি বেশি হওয়ায় অগ্নিবিমার প্রত্যক্ষ কারণ বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
অগ্নিবিমার ক্ষেত্রে যে কেউ পণ্য সরিয়ে ইচ্ছে করে আগুন লাগিয়ে বিমাদাবি পেশ করতে পারে। এছাড়া অবহেলা, অসতর্কতা ইত্যাদি কারণেও অগ্নিসংযোগ ঘটতে পারে। তাই ক্ষতিপূরণ প্রদানের পূর্বে অগ্নিবিমার প্রত্যক্ষ কারণ বিবেচনা করা বিমা কোম্পানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্দশ অধ্যায়: বিবিধ বিমা
১. মি. সিয়ামের একটি ২,০০,০০০ টাকার মোটর বাইক আছে। তিনি মোটর বাইকের জন্য একটি ২,০০,০০০ টাকার বিমা গ্রহণ করেন। কিছুদিন পর তাঁর মোটর বাইকটি সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয় এবং দুমড়ে মুচড়ে যায়। মি. সিয়াম বিমা কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বিমা কোম্পানি ২,০০,০০০ টাকা দিতে রাজি হন। দুর্ঘটনা গ্রন্থ মোটর বাইকটি ১০,০০০ টাকায় বিক্রয় করা হয়। মি. সিয়াম ঐ ১০,০০০ টাকার মালিকানা দাবি করলে বিমা কোম্পানি অসম্মতি জানায়। [নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ]
ক. ঝুঁকি কী?
খ. বিমা ব্যবসায়ের ঝুঁকি জনিত প্রতিবন্ধকতা দূর করে ব্যাখ্যা করো।
গ. বিমাকারী কোম্পানি কোন নীতির আলোকে মি. সিয়ামকে ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হলো? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত মোটর বাইকটির ভগ্নাবশেষ মূল্য মি. সিয়ামকে প্রদানে বিমা কোম্পানি যে অসম্মতি জানিয়েছেন তা কতটুকু যৌক্তিক বলে তুমি মনে কর? বুঝিয়ে বল।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৫০৩ এর ১২ নম্বর দ্রষ্টব্য।
২. বলাকা পরিবহন ও গুডলাইন পরিবহন দু’টি স্বনামধন্য পরিবহন সংস্থা। বাংলাদেশের পরিবহন খাতটি খুবই দুর্ঘটনাপ্রবণ। বলাকা পরিবহন-এর ক্ষেত্রে বিআরটিসি থেকে লাইসেন্স গ্রহণের সময়-এর মালিককে বাধ্যতামূলকভাবে একটি বিমাপত্র নিতে হয়েছিল। অন্যীদকে গুডলাইন পরিবহন সংস্থাটি পরিবহন খাতে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ঝুঁকির কথা চিন্তা করে সকল ঝুঁকির বিপক্ষে একটিমাত্র বিমাপত্র সংগ্রহ করেন। [আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা]
ক. দায়বিমা কী?
খ. স্বাস্থ্য বিমা কীভাবে মানসিক স্বস্তি দেয়? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বলাকা পরিবহনকে কোন ধরনরে বিমাপত্র সংগ্রহ করতে হয়েছিল? বর্ণনা করো।
ঘ. ‘বলাকা পরিবহনের গৃহীত বিমাপত্র হতে গুডলাইন পরিবহনের সংগৃহীত বিমাপত্রের আওতা ব্যাপক”Ñউক্তিটির সাথে তুমি কি একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।
উত্তর: মেইড ইজি উত্তরপত্র বইয়ের পৃষ্ঠা ৫০১ এর ৯ নম্বর দ্রষ্টব্য।
ক ও খ নং প্রশ্নের সাজেশন
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. দুর্ঘটনা বিমা কী? [দি. বো. ১৭]
উত্তর: অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার ফলে ব্যক্তির জীবন বা সম্পত্তির ক্ষতি হলে তা আর্থিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য বিমাগ্রহীতা ও বিমাকারীর মধ্যে যে চুক্তি সম্পাদিত হয় তাকে দুর্ঘটনা বিমা বলে।
প্রশ্ন-২. ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বিমা কী? [কু. বো.; ব. বো. ১৭]
উত্তর: কোনো দুর্ঘটনায় বা রোগ ব্যাধিতে বিমাগ্রহীতার মৃত্যু হলে বা উপার্জনক্ষমতা সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রতিশ্র“তির ভিত্তিতে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে যে চুক্তি সম্পাদিত হয় তাকে ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বিমা বলে।
প্রশ্ন-৩. স্বাস্থ্য বিমা কী? [চ. বো., সি. বো. ১৬]
উত্তর: মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য যে বিমা করা হয় তাকে স্বাস্থ্য বিমা বলে।
প্রশ্ন-৪. যেকোনো প্রকার রোগ ও দুর্ঘটনা বিমা কী?
উত্তর: দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বা দুর্ঘটনাজনিত অক্ষমতা বিমাপত্রে যদি দুর্ঘটনার কারণে সৃষ্ট ঝুঁকির বাইরেও যেকোনো ধরনের রোগে বিমাগ্রহীতা অক্ষম হলে ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্র“তি থাকে তবে তাকে যেকোনো প্রকার রোগ ও দুর্ঘটনা বিমা বলে।
প্রশ্ন-৫. সম্পত্তি দুর্ঘটনা বিমা কী?
উত্তর: অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে যাওয়া কোনো দুর্ঘটনার কারণে সম্পত্তির কোনো ক্ষতি হলে তা পূরণের প্রতিশ্র“তি দিয়ে বিমাকারী বিমাগ্রহীতার সাথে চুক্তিবদ্ধ হলে বা বিমাপত্র ইস্যু করা হলে তাকে সম্পত্তি দুর্ঘটনা বিমা বলে।
প্রশ্ন-৬. বিমান বিমা কী?
উত্তর: দুর্ঘটনার কারণে বিমান ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়া বা আংশিক ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাসের উদ্দেশ্যে যে বিমা করা হয় তাকে বিমান বিমা বলে।
প্রশ্ন-৭. পণ্য দায় বিমা কী?
উত্তর: কোন যানবাহনে একস্থান থেকে অন্য স্থানে পণ্য পরিবহনকালে পথিমধ্যে কোন কারণে পণ্য হারানো গেলে বা বিনষ্ট হলে সে ক্ষতিপূরণের জন্য পরিবহন কোম্পানি যে বিমা গ্রহণ করে তাকে পণ্য দায় বিমা বলে।
প্রশ্ন-৮. চৌর্য বিমা কী?
উত্তর: চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি বা জালিয়াতির মাধ্যমে মূল্যবান সম্পত্তি বেহাত হওয়ার ঝুঁকি থাকলে তার জন্য যে ধরনের বিমাপত্র গ্রহণ করা হয় তাকে চৌর্য বিমা বলে।
প্রশ্ন-৯. শস্য বিমা কী? [সি. বো.; য. বো. ১৭]
উত্তর: শস্য বিনষ্টের সম্ভাব্য প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক ঝুঁকিসমূহ মোকাবিলার জন্য যে বিমা গ্রহণ করা হয় তাকে শস্য বিমা বলে।
প্রশ্ন-১০. গবাদিপশু বিমা কী?
উত্তর: বিভিন্ন প্রকার রোগে অথবা কোনো দুর্ঘটনার কারণে গবাদি পশুর আংশিক অক্ষমতা বা মৃত্যুর ঝুঁকির বিপরীতে যে বিমা গ্রহণ করা হয় তাকে গবাদিপশু বিমা বলে।
প্রশ্ন-১১. প্রাকৃতিক ঝুঁকি কী?
উত্তর: বন্যা, খরা, ভ‚মিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, জলোচ্ছ¡াস, রোগ, পোকামাকড় প্রভৃতি কারণে যে ঝুঁকির উৎপত্তি ঘটে তাকে প্রাকৃতিক ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-১২. সামাজিক ঝুঁকি কী?
উত্তর: অগ্নি সংযোগ, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, যুদ্ধ, দাঙ্গা, যান্ত্রিক পরিবর্তন ইত্যাদির ফলে যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয় তাকে সামাজিক ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-১৩. অর্থনৈতিক ঝুঁকি কী?
উত্তর: পণ্যের মূল্য হ্রাস, চাহিদা হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি ও সংকোচন প্রভৃতি কারণে যে ঝুঁকির উৎপত্তি হয় তাকে অর্থনৈতিক ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন-১৪. ভ‚মিকম্প বিমা কী?
উত্তর: ভ‚মিকম্পের ফলে সৃষ্ট সম্পত্তির ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য যে বিমা করা হয় তাকে ভ‚মিকম্প বিমা বলে।
প্রশ্ন-১৫. সকল ঝুঁকির শস্য বিমা কী?
উত্তর: শস্যের বিভিন্ন প্রাকৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক ঝুঁকি বিবেচনা করে যে বিমাপত্র গ্রহণ করা হয় তাকে সকল ঝুঁকির জন্য শস্য বিমা বলে।
প্রশ্ন-১৬. গণদায় বিমা কী?
উত্তর: মোটর যান, রেলগাড়ি বা বিমানে চলাচলের সময় এর যাত্রীদের দুর্ঘটনাজনিত সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলার জন্য পরিবহন প্রতিষ্ঠান যে ধরনের বিমা গ্রহণ করে তাকে গণদায় বিমা বলে।
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. কোন বিমার ক্ষেত্রে নগদ অর্থ দ্বারা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয় না? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতাকে নগদ অর্থ দ্বারা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয় না।
স্বাস্থ্য বিমা হলো বিমাগ্রহীতা এবং বিমাকারীর মধ্যে এমন একটি চুক্তি যেখানে বিমাগ্রহীতা নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বিমাকারীর নিকট অসুস্থতাজনিত কারণে যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যয় হয় তার ভার হস্থান্তর করে। শুধুমাত্র রোগাক্রান্ত হলে বিমাগ্রহীতার সুস্থতার জন্য বিমা কোম্পানি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করে থাকে।
প্রশ্ন-২. সার্বিক মোটর বিমাপত্র বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে বিমাপত্রের অধীনে অনেকগুলো মোটরগাড়ির সম্ভাব্য ঝুঁকি অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাকে সার্বিক মোটর বিমাপত্র বলে।
এ বিমাপত্রে যদি অনেক মোটরগাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে বিমা কোম্পানি সব মোটরগাড়ির ক্ষতিপূরণ বহন করবে। এতে করে মালিকদের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
প্রশ্ন-৩. সম্পত্তি বিমায় ক্ষতিপূরণের দাবি উত্থাপনের পদ্ধতি আলোচনা করো।
উত্তর: সম্পত্তি বিমায় দাবি উত্থাপন করতে হলে বিমাকারীকে তার সম্পদের ক্ষতির সম্ভাব্য কারণ, ক্ষতির পরিমাণ ইত্যাদি জানিয়ে বিমা কোম্পানির নিকট লিখিত আবেদন করতে হবে।
পরবর্তীতে বিমা কোম্পানি এর সত্যতা যাচাই করে সম্পদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে।
প্রশ্ন-৪. দায় বিমার দাবি আদায়ের পদ্ধতি আলোচনা করো।
উত্তর: দায় বিমার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তৃতীয় পক্ষ প্রথমে তার ক্ষতির পরিমাণ মালিককে জানায়, তারপর মালিক তা লিখিতভাবে বিমা কোম্পানির নিকট আবেদন করেন। অতঃপর বিমা কোম্পানি এর সত্যতা যাচাই করে মালিকের নিকট ক্ষতিপূরণ প্রেরণ করে এবং মালিক তা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রেরণ করেন।
প্রশ্ন-৫. গবাদিপশু বিমা নবায়ন করা হয় না কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: বিমাচুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সাথে সাথে গবাদিপশুর বয়স ও স্বাস্থ্যের পরিবর্তন হয় বলে গবাদিপশুর বিমা নবায়ন করা যায় না।
গৃহপালিত পশুর অসুস্থতা ও মৃত্যুজনিত ক্ষতি মোকাবিলা করার জন্য গবাদিপশু বিমা করা হয়। এ বিমাপত্রের মেয়াদ এক বছর। এক বছর পর এ বিমা নবায়ন করা যায় না কারণ এক বছরে পশুর বয়স ও স্বাস্থ্যের পরিবর্তন হয়। তাই এক বছর পর যদি কেউ এ বিমা পুনরায় রাখতে চায় তবে তাকে আবার নতুন করে বিমাপত্র গ্রহণ করতে হবে।
প্রশ্ন-৬. বিমা চুক্তির প্রতিদান বৈধ হওয়া উচিত কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে চুক্তির প্রতিদান বৈধ হওয়া উচিত।
এক পক্ষের আইনগত প্রস্তাব এবং অপরপক্ষের আইনগত স্বীকৃতির ফলে বিমা চুক্তি সৃষ্টি হয়। তাই চুক্তির প্রতিদান বৈধ হতে হয়। কেননা অবৈধ কোনো প্রতিদান আইন সমর্থন করে না।
প্রশ্ন-৭. বঞ্ঝন্ঠিগত দুঘট্টটনা বিমাএত পিণ্ঠমিয়াম কীভাএব নিধট্টারিত হয়? বঞ্ঝাখঞ্ঝা কএরা।
উত্তর: ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বিমাতে ঝুঁকির ধরনের ওপর নির্ভর করে প্রিমিয়াম নির্ধারিত হয়।
এক্ষেত্রে ব্যক্তির পেশা, চরিত্র, অভ্যাস ইত্যাদি মুখ্য ভ‚মিকা পালন করে থাকে। ব্যক্তির পেশা ঝুঁকিপূর্ণ হলে বা তার চরিত্র ও অভ্যাস খারাপ হলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এতে প্রিমিয়ামও বেশি ধরা হয়। আর যদি ব্যক্তি কম ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন এবং তার চরিত্র ও অভ্যাস ভালো হয় তবে প্রিমিয়ামের পরিমাণ কম ধরা হয়।
প্রশ্ন-৮. বন্যা-খরায় ফসলহানির জন্য কোন ধরনের বিমা করা হয়? ব্যাখ্যা করো। [কু. বো. ১৭]
উত্তর: বন্যা খরায় ফসলহানির জন্য শস্য বিমা করা হয়।
প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক নানান বিপদে শস্যহানি হলে তার ক্ষতির হাত থেকে কৃষকদেরকে আর্থিকভাবে সুরক্ষার জন্য শস্য বিমার উদ্ভব ঘটেছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ; যেমন- খারাপ আবহাওয়া, বন্যা, খরা, শিলাবৃষ্টি, বিভিন্ন রোগ ও পোকা-মাকড়ের উপদ্রব এবং সেই সাথে মনুষ্য সৃষ্ট বিপদই হলো শস্য বিমার মূল বিষয়।
প্রশ্ন-৯. শস্য বিমা কৃষকের উৎপাদন অব্যাহত রাখে কীভাবে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: শস্য বিমার কল্যাণে কৃষকেরা আর্থিক নিশ্চয়তা পায় ফলে তাদের উৎপাদন অব্যাহত থাকে।
প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক নানা বিপদ শস্যের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। এ ক্ষতি হতে রক্ষা পাওয়ার জন্যই শস্য বিমার উদ্ভব হয়েছে। কোনো শস্য বা ফসলের ক্ষতি হলে কৃষকরা নিঃস্ব হয়ে যেতে পারে।
এক্ষেত্রে যদি ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের বা শস্যের বিমা করা থাকে তবে কৃষকরা বিমা কোম্পানির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। ফলে উৎপাদন অব্যাহত রাখাও সম্ভব হয়। এভাবেই আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে শস্য বিমা কৃষকের উৎপাদন অব্যাহত রাখে।
প্রশ্ন-১০. সংঘর্ষ বিমাপত্র বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সংঘর্ষ বিমাপত্রে সংঘর্ষ বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে মোটরযান ও সম্পদের ক্ষতি হলে বিমাকারী উক্ত ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্র“তি দেয়।
এ বিমাপত্রের মোটরযানের আওতাভুক্ত সকল ঝুঁকি প্রতিরোধের নিশ্চয়তা থাকে। ফলে মোটরগাড়ির সংঘর্ষজনিত ঝুঁকি হ্রাস পায়।
প্রশ্ন-১১. মোটর গাড়ি বিমা সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর: মোটরযানের দুর্ঘটনাজনিত সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলার জন্য আর্থিক প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হলো মোটর গাড়ি বিমা।
যে বিমা চুক্তি দ্বারা চালকের অসাবধানতা, অগ্নি অথবা অন্যান্য কারণে মোটরযানের ক্ষতি, পথচারী ও যাত্রীর জীবনাবসান প্রভৃতি ক্ষতির বিপরীতে আর্থিক সহায়তা দানের প্রতিশ্র“তি দেয়া হয় তাকে মোটর গাড়ি বিমা বলে। সাধারণত সংঘর্ষ, সম্পত্তি বিনষ্ট, অগ্নি, চৌর্য প্রভৃতি ঝুঁকিসমূহের কারণে মোটর গাড়ি বিমার প্রবর্তন।
প্রশ্ন-১২. গবাদি পশু বিমা বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। [দি. বো. ১৭]
উত্তর: যে বিমা চুক্তিতে বিমাকারী গবাদি পশুর মৃত্যুজনিত ক্ষতি আর্থিকভাবে মোকাবিলা করার নিশ্চয়তা প্রদান করে তাকে গবাদি পশু বিমা বলে।
গবাদি পশু বিমার ক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতা ও বিমাকারী উভয়পক্ষ পরম বিশ্বাসের নীতি মেনে বিমাচুক্তি সম্পাদন করে। এ ক্ষেত্রে বিমাপত্রে উলিখিত কোনো রোগে বা দুর্ঘটনায় গবাদি পশুর মৃত্যু হলে বিমাকারী ক্ষতিপূরণ প্রদান করে থাকে। গবাদি পশু বিমার চুক্তির মেয়াদ সর্বোচ্চ এক বছর হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-১৩. গবাদিপশু বিমা কেন করা হয়? [ব. বো. ১৭]
উত্তর: গবাদিপশুর মৃত্যুজনিত ক্ষতির হাত থেকে আর্থিকভাবে রক্ষার জন্য বিমাগ্রহীতা এ বিমাপত্র গ্রহণ করে।
গবাদিপশু মূল্যবান সম্পদ বিধায় এক্ষেত্রে সম্পত্তি বিমার নিয়ম প্রযোজ্য হয়। সাধারণত এক বছর বা তার চেয়ে কম সময়ের জন্য এরূপ বিমপত্র খোলা হয়। ক্ষতিপূরণের নীতি অনুযায়ী এক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়।
- উত্তর ডাউনলোড করুন> (১ম পত্র) ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন
- উত্তর ডাউনলোড করুন>(১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন>অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- উত্তর ডাউনলোড করুন> অধ্যায়৩: SSC ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং‘র জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরPDF
প্রশ্ন-১৪. কোন ধরনের সম্পত্তি বিমায় নৈতিক ঝুঁকির মাত্রা বেশি থাকে? ব্যাখ্যা করো। [সি. বো. ১৭]
উত্তর: গবাদিপশু বিমায় নৈতিক ঝুঁকির মাত্রা বেশি থাকে।
গবাদিপশুর মৃত্যুজনিত ক্ষতির হাত থেকে বিমাগ্রহীতাকে আর্থিকভাবে রক্ষার জন্য গবাদিপশু বিমার উদ্ভব ঘটেছে। গবাদিপশু মূল্যবান সম্পদ বিধায় এক্ষেত্রে সম্পত্তি বিমার নিয়ম প্রযোজ্য হয়। এ ধরনের বিমায় নৈতিক ঝুঁকির মাত্রা বেশি থাকায় বিমা করার ক্ষেত্রে বিমা কোম্পানি বিমাগ্রহীতার সততা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করে।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।