HSC | সাম্যবাদী | Sammobadi | সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ৬-১১ | PDF: বাংলা ১ম পত্রের সাম্যবাদী কবিতাটি হতে যেকোনো ধরনের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা ১ম পত্রের সাম্যবাদী কবিতাটি হতে গুরুপূর্ণ কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
৬. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয়
পথের দুধারে আছে মোর দেবালয়।
ক. পারস্যের অগ্নি উপাসকদের ধর্মগ্রন্থের নাম কী?
খ. ‘মগজে হানিছ শূল?’-বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে ‘সাম্যবাদী’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে-ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “দু’চরণের এ উদ্দীপকটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতার একটি সমার্থক দলিল।”-উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. পারস্যের অগ্নি উপাসকদের ধর্মগ্রন্থের নাম আবেস্তা।
খ. আপন অন্তরে স্রষ্টাকে উপলব্ধি না করে বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করে সৃষ্টিকর্তার রহস্য উদঘাটনের ব্যর্থ চেষ্টাকে ‘মগজে হানিছ শূল’ বলা হয়েছে।
মানুষের হৃদয়েই স্রষ্টার অবস্থান। আপন অন্তরে স্রষ্টাকে উপলব্ধি না করে নানা ধর্মগ্রন্থ ঘেটে দেখা পণ্ডশ্রম। তাই শুধু ধর্মশাস্ত্র না পড়ে আপন হৃদয়ে অনুসন্ধান চালানো হলে বিধাতার অস্তিত্ব উপলব্ধি করা সম্ভব হবে। অন্যথায় হৃদয়ের ঐশ্বর্যকে অবহেলা করে স্রষ্টাকে খুঁজে ফেরা মগজে শূল হানারই নামান্তর।
গ. দেবতাকে পেতে পথের প্রান্তে, অর্থাৎ অনন্তের পথে ধাবিত হওয়ার দরকার নেই বরং মানুষের হৃদয়েই তার অবস্থান-উদ্দীপকের এই দিকটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় ফুটে উঠেছে।
‘সাম্যবাদী’ কবিতায় মানুষের আপন অন্তরের ঐশ্বর্যকে স্বীকার করা হয়েছে। সেখানে সকল তীর্থ ও ধর্মগ্রন্থের সারাৎসার নিহিত রয়েছে। হৃদয়ের ঐশ্বর্যকে উপলব্ধি করতে পারলে তীর্থে নিজের ভেতর স্রষ্টার অস্তিত্বের উপলব্ধি হবে।
উদ্দীপকটিতে মানুষের মাঝে দেবতার অবস্থানের কথা বলা হয়েছে। অনেকে জগৎ সংসারের মায়া ছিন্ন করে তীর্থে তীর্থে ঘুরে বেড়ায় দেবতার নৈকট্য লাভের বাসনায়। এরূপ মানসিকতার লোকেরা ভুলে যায় যে জীবের মাঝেই অবস্থান করেন জগৎপতি। এজন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার প্রয়োজন নেই।
‘সাম্যবাদী’ কবিতায়ও মানব হৃদয়ে বিশ্ব-দেউল বা সকল দেবতার অবস্থান রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। কিছু মানুষ নিজ হৃদয়ের ঐশ্বর্য উপলব্ধি করতে পারে না। তাই তারা তীর্থস্থানে ঘুরে বেড়ায়। ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় প্রকাশিত এ সহজবোধটিই উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
ঘ. “দু’চরণের এ উদ্দীপকটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতার একটি সমার্থক দলিল।” -উক্তিটি সঠিক।
‘সাম্যবাদী’ কবিতার মূলবক্তব্যে মানুষের হৃদয়ের ঐশ্বর্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মানুষের হৃদয়ের চেয়ে বড় মন্দির কিংবা কাবা নেই। মানুষের নিজ প্রাণেই সকল শাস্ত্র-পুঁথি-কেতাবের সন্ধান রয়েছে । এজন্য বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করতে গিয়ে পণ্ডশ্রম করার প্রয়োজন পড়ে না।
উদ্দীপকের বর্ণনায় দেবতার সান্নিধ্য লাভের বাসনায় অনেক মানুষ পথের প্রান্তে, অর্থাৎ দূরবর্তী স্থানে অগ্রসর হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেবতার খোঁজে তীর্থস্থানে যাবার দরকার নেই-কেননা, পথের দুধারে, অর্থাৎ আমাদের চারপাশের মানুষের মাঝেই দেবালয় আছে বলে উদ্দীপকটিতে বলা হয়েছে।
‘সাম্যবাদী’ কবিতার বিষয়বস্তু হলো আপন সত্তায় দেবালয়ের অবস্থান আর উদ্দীপকে দূরের তীর্থ নয় বরং চারপাশের মানুষের মধ্যেই স্রষ্টার অবস্থানের দিকটিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
পরিশেষে উপরিউক্ত আলোচনার আলোকে এক বাক্যে বলা যায়, দুই চরণের এ উদ্দীপকটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতার একটি সমার্থক দলিল। সুতরাং, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি বস্তুনিষ্ঠ।
৭. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
“শুনহে মানুষ ভাই
সবার ওপরে মানুষ সত্য
তাহার উপরে নাই।”
ক. বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘নজরুল রচনাবলি’ গ্রন্থের সম্পাদক কে?
খ. “এই হৃদয়ই সে নীলাচল।”-একথা বলার কারণ কী?
গ. উদ্দীপক ও ‘সাম্যবাদী’ কবিতার মধ্যে সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের যে অমৃত সার্থক বাণী প্রকাশ পেয়েছে তা ‘সাম্যবাদী’ কবিতারও মূল উপজীব্য।” মন্তব্যটি-মূল্যায়ন কর।
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. নজরুল রচনাবলি গ্রন্থের সম্পাদক আবদুল কাদির।
খ. মানুষের হৃদয় মহাপবিত্র বলে মানবহৃদয়কে নীলাচল বা জগন্নাথক্ষেত্র বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
বিবেকবান মানুষের হৃদয় মহৎ হয়। মহৎ হৃদয়ের অধিকারী মানুষেরা অপরাপর মানুষের জন্য নিজের অন্তরকে উন্মুক্ত রাখেন। হৃদয়ের জোরে তারা বিশ্বজয়ী হন। এরূপ হৃদয়ই তো সত্যিকার তীর্থক্ষেত্র।
গ. মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের মধ্য দিয়ে উদ্দীপক ও ‘সাম্যবাদী’ কবিতার মধ্যে সাদৃশ্য প্রতীয়মান হয়।
মানুষ হৃদয়ের ঐশ্বর্যে গরীয়ান। তাই সৃষ্টির অপরাপর কোনো কিছুই মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, সত্য ও সুন্দর নয়। উদ্দীপকে প্রকাশিত মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব, সৌন্দর্য, সত্যবাদিতার এ পরম স্বাভাবিক দিকটিই কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় ফুটে উঠেছে।
মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের কাছে জাগতিক সংস্কার, পুঁথি, ধর্মগ্রন্থ উপাসনালয় প্রভৃতি কোনো কিছুই অধিক গুরুত্বপূর্ণ নয়। মানুষের মর্যাদা সবার উপরে বিবেচিত। জগতের সবকিছুরই সৃষ্টি মানুষের কল্যাণের জন্য।
তাই কোনো সামাজিক রীতি, ধর্মীয় ভাবধারা, জাগতিক মূল্যবোধ মানুষের চেয়ে অধিক মর্যাদাকর হতে পারে না। ‘সাম্যবাদী’ কবিতা ও উদ্দীপকে এ বক্তব্যের মধ্যে সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
ঘ. “উদ্দীপকে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের যে অমৃত সার্থক বাণী প্রকাশ পেয়েছে তা ‘সাম্যবাদী’ কবিতারও মূল উপজীব্য”-মন্তব্যটি সঠিক।
‘সাম্যবাদী’ কবিতায় মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের সাথে সাথে মানুষের একত্ব ও সাম্যের দিকটিও ঘোষিত হয়েছে, যা উদ্দীপকেরও মূল উপজীব্য। জ্ঞানের উৎকর্ষ এবং মানবহৃদয়ের ঐশ্বর্যের এ চিরন্তন ও অভেদ বাণীই ‘সাম্যবাদী’ কবিতা ও উদ্দীপকে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
মানুষের স্থান সবার উপরে। সৃষ্টির সেরা জীব বলে মানুষ সত্য ও সুন্দরের প্রতীক। বিবেক-বুদ্ধি-আত্মমর্যাদা ও নৈতিকতার কারণে জগতে মানুষের প্রাধান্য ও শ্রেষ্ঠত্ব বিরাজমান। মানুষের সৌন্দর্য ও গুরুত্ব সর্বজনস্বীকৃত। আলোচ্য উদ্দীপকে ফুটে ওঠা এ অকাট্য ও যৌক্তিক মন্তব্যটিই কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে।
‘সাম্যবাদী’ কবিতায় মানুষের হৃদয়ে সকল ধর্মগ্রন্থ এবং তীর্থের অবস্থানের কথা বলার মধ্য দিয়ে মানুষের শ্রেষ্ঠত্বকেই স্বীকার করা হয়েছে। উদ্দীপকে সবার উপরে স্থান দেয়ার মাধ্যমে মানুষের শ্রেষ্ঠত্বই স্বীকৃত হয়েছে।
সুতরাং, সার্বিক আলোচনা শেষে বলা যায়, “উদ্দীপকে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের যে অমৃত সার্থক বাণী প্রকাশ পেয়েছে তা ‘সাম্যবাদী’ কবিতারও মূল উপজীব্য।” কাজেই মন্তব্যটি সার্থক।
৮. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
‘আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে
দেখতে আমি পাইনি তোমায়
দেখতে আমি পাইনি।
বাহির পানে চোখ মেলেছি বাহির পানে
আমার হৃদয় পানে চাইনি।’
ক. কাজী নজরুল ইসলাম কত বছর বয়সে লেটো গানের দলে যোগ দেন?
খ. ঈসা-মুসা কীভাবে সত্যের পরিচয় পেলেন?
গ. উদ্দীপক ও ‘সাম্যবাদী’ কবিতার সাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ. “আমরা আপন অস্তিত্বে বিশ্বাসী নই বলেই স্রষ্টাকে বাহিরে খুঁজে ফিরি”মন্তব্যটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতার আলোকে মূল্যায়ন কর।
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কাজী নজরুল ইসলাম বারো বছর বয়সে লেটো গানের দলে যোগ দেন।
খ. অন্তরের অন্তস্থল থেকে ঈশ্বরের ডাক শুনেই ঈসা-মুসা সত্য-সুন্দরের পরিচয় পেয়েছেন।
ঈসা, অর্থাৎ খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের পরম পুরুষ যিশু খ্রিস্ট আর মুসা, অর্থাৎ বিখ্যাত নবি হযরত মুসা (আ) হৃদয় মন্দিরে বসেই সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ করেছিলেন। আপন অন্তরে সত্য ও সুন্দরের আহŸান পেয়েই ঈসা-মুসা সত্যের সন্ধান পান। মানবহৃদয় সত্য সন্ধানের প্রকৃত ও পরম স্থান, যেখানে বসে ঈশ্বরের সান্নিধ্য পাওয়া যায়, যা ঈসা-মুসা পেয়েছেন।
গ. উদ্দীপক ও ‘সাম্যবাদী’ কবিতার মধ্যে সাদৃশ্য হলো আপন হিয়ার মাঝে লুকিয়ে থাকা পরমাত্মার সন্ধান না জেনে বাহিরে স্রষ্টার অস্তিত্ব খোঁজার চেষ্টা করা।
‘সাম্যবাদী’ কবিতায় অমৃত হিয়ার নিভৃত অন্তরালে সৃষ্টিকর্তার হাস্যবদনে অবস্থান করার কথা প্রকাশ পেয়েছে। আর মানুষ আপন অন্তরে সেই স্রষ্টার অনুধাবন করতে না পেরে বাহ্যিক জগতে তাঁকে সন্ধান করতে থাকেন।
উদ্দীপকে হিয়ার মাঝে লুকিয়ে থাকা পরম সাধনার ধন স্রষ্টাকে চিনতে না পেরে বাহির পানে ঘুরে বেড়ানোর কথা বলা হয়েছে। মানুষ আপন হিয়ার মাঝে অবস্থিত বিধাতাকে অনুধাবন করতে প্রায়শই ব্যর্থ হয়। তাই বাইরের কল্পলোকে বিধাতার অবস্থান কল্পনা করে। অথচ আপন অন্তরের ঐশ্বর্যের সন্ধান পায় না।
উদ্দীপকের এ ভাবটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘সাম্যবাদী’ কবিতাতেও প্রকাশ পেয়েছে। এদিক থেকে উদ্দীপক ও ‘সাম্যবাদী’ কবিতার মধ্যে সাদৃশ্য প্রতীয়মান।
‘আমরা আপন অস্তিত্বের বিশ্বাসী নই বলেই স্রষ্টাকে বাহিরে খুঁজে ফিরি’- মন্তব্যটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতার আলোকে যথার্থ।
ঘ.‘সাম্যবাদী’ কবিতায় কবি মানুষের আত্মশক্তি এবং এর সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরেছেন। প্রকৃতপক্ষে মানব হৃদয়ই সকল ঐশ্বর্যের আধার। তাই আপন অস্তিত্বকে অস্বীকার করে স্রষ্টাকে অšে¦ষণ বৃথা।
উদ্দীপকে মানুষের হৃদয়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা পরমাত্মার অবস্থান বুঝতে না পেরে বাহির পানে তাকে দর্শনের চেষ্টা করার কথা প্রকাশ পেয়েছে। মানুষ অজ্ঞতাবশত আপন অন্তরে পরম পুরুষকে অনুধাবন করতে প্রায়শই ব্যর্থ হয়। তাই তারা বাইরের জগতে স্রষ্টাকে দর্শনের চেষ্টা করে। অন্তরে পরমাত্মার অস্তিত্ব অনুধাবনে ব্যর্থতার দিকটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় ফুটে ওঠা কবির মনোভাবেরই প্রতিরূপ।
মানবহৃদয়ে সকল কালের জ্ঞান, সকল ধর্ম এবং সকল যুগাবতারের অবস্থান রয়েছে বলে ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় যে দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ তা আলোচ্য উদ্দীপকের মূলবক্তব্যেরই অনুরূপ। উদ্দীপক এবং ‘সাম্যবাদী’ কবিতা উভয়ক্ষেত্রে অন্তরে অবস্থিত পরম পুরুষকে চিনতে না পেরে বাহির পানে চোখ মেলে খোঁজার কথা প্রকাশ পেয়েছে। সুতরাং, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতার আলোকে যথাযথ।
৯. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
“সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে”-গানটিকে লালন ফকির মানুষের জাত-পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। জাতকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না। মনুষ্যধর্মই মূলকথা। ধর্ম বা স¤প্রদায়গত পরিচিতির চেয়ে মানুষ হিসেবে পরিচয়টাই বড়। আর মানুষমাত্রই সমান। ছোটলোক-বড়লোক, উচ্চ-নীচ এসব কৃত্রিম ব্যবধান। অজ্ঞতাবশে মানুষ এসব নিয়ে অহংকার করে।
ক. ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় কবি কীসের গান গেয়েছেন?
খ. “পেটে পিঠে, কাঁধে-মগজে যা-খুশি পুঁথি ও কেতাব বও”-বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকে ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘সামবাদী’ কবিতার ভাবার্থের দর্পণ।”-মন্তব্যটি যাচাই কর।
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় কবি সাম্যের গান গেয়েছেন।
খ. “পেটে পিঠে, কাঁধে-মগজে যা খুশি পুঁথি ও কেতাব বও” বলতে কবি পাণ্ডিত্য জাহিরে বা বিভেদ সৃষ্টিতে পুঁথি-কিতাবের আশ্রয় নেয়ার অসারতাকে বুঝিয়েছেন।
সাম্যবাদী কবির কাছে মনুষ্যধর্মের বিভেদ ও অবমাননার কোনো মূল্য নেই। তাই বিভেদ-বৈষম্য সৃষ্টির অপপ্রয়াসে নানা পুঁথি-কিতাব টানাও তাঁর কাছে কোনো গুরুত্ব বহন করে না।
ঘ. উদ্দীপকে ‘সাম্যবাদী’ কবিতার প্রথম অংশে উচ্চারিত কবির অসা¤প্রদায়িক মানবসমাজের প্রত্যাশা প্রতিফলিত হয়েছে।
ধর্মীয় গণ্ডিতে আমরা নিজ নিজ ধর্মের অনুসারী হলেও সবার মধ্যে একটা মানবতাবোধ আছে, তাই আমরা মনুষ্যজাতি। যারা বিশ্বমানবতাবাদে বিশ্বাসী তাদের জাতির একটি নাম হচ্ছে মানবজাতি।
উদ্দীপকের আলোচনায় দেখা যায়, মানবতাবাদী লালন ফকির মানুষের পরিচয় হিসেবে জাতের পরিচয়কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না। তাঁর কাছে মনুষ্যধর্মই মূলকথা। ধর্ম বা স¤প্রদায়গত পরিচিতির চেয়ে মানুষ হিসেবে পরিচয়টাই বড়। তিনি আরও মনে করেন, মানুষমাত্রই সমান।
উদ্দীপকে লালন ফকিরের ভাবনা ও বক্তব্যে ‘সাম্যবাদী’ কবিতার কবির মনুষ্যধর্ম সম্পর্কে চিন্তা ও দর্শন প্রতিফলিত হয়েছে। ‘সাম্যবাদী’ কবিতার প্রারম্ভেই কবি সমতা বা সাম্যের গান গেয়েছেন।
তার মানসভূমিতে হিন্দু মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের মধ্যকার সব বাধা-ব্যবধান বিলোপ হয়েছে। পার্সি-জৈন, ইহুদি-সাঁওতাল, ভীল-গারোর পরিচয়ে বিভেদ-বৈষম্যও লোপ পেয়েছে। সেখানে আজ মানুষ হিসেবে মনুষ্যত্বের পরিচয়ই মুখ্য হয়ে উঠেছে।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতার ভাবার্থের দর্পণ।”মন্তব্যটি যথার্থ।
পৃথিবীতে নানান স¤প্রদায়ের লোক বাস করে। ধর্মীয় গণ্ডিতে প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্মের অনুসারী হলেও সবার মধ্যে একটা অভিন্ন মানবতাবোধ রয়েছে। প্রকৃতির রাজ্যে আমরা একই উপাদানে গঠিত। আমরা একই পৃথিবীতে, একই আকাশের নিচে, একই মাটির আঙিনায়, একই চন্দ্র-সূর্যের আলোয় বাঁচি।
উদ্দীপকে লালন ফকিরের মতে, মনুষ্যধর্মই মূলকথা। ধর্ম বা স¤প্রদায়গত পরিচিতির চেয়ে মানুষ হিসেবে পরিচয়টাই বড়। আর মানুষমাত্রই সমান। একমাত্র অজ্ঞতাবশেই মানুষ ছোট-বড়, জাত-পাত নিয়ে বড়াই করে। উদ্দীপকের এ বক্তব্যকে মনে হয় ‘সাম্যবাদী’ কবিতার ভাবার্থের দর্পণ।
কেননা, ‘সাম্যবাদী’ কবিতাটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনুষ্যত্বের জয়গানে, মানুষে মানুষে সাম্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশায় উচ্চকিত। ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় কবি সাম্যের গান গেয়েছেন। যে সমতাবিধানে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, পার্সি-জৈন, শিখ-ইহুদি হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে মানুষের পরিচয়টা বড় হয়ে উঠেছে।
কবি মনুষ্যত্বের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের প্রবর্তক পুরুষদের কীর্তি মহিমা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মানুষের হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির-কাবা কোথাও নেই। ‘সাম্যবাদী’ কবিতার এসব ভাবার্থ প্রদত্ত উদ্দীপক দর্পণের মতো ধারণ করেছে।
১০. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
জগৎসংসারে সবাই সবার আপনজন, এক আদম-হাওয়ার সন্তান। সন্ধান করলে দেখা যাবে কোনো না কোনোভাবে একে অপরের সাথে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। এই আত্মীয়তার বন্ধন যে-আঁচলে বাঁধা সে আঁচলের খোঁজ পেলেই আসবে মুক্তি। বিধাতার সে আঁচল কোনো মৃত-পুঁথি-কঙ্কালের স্তূপ নয়, এটি অমৃত হিয়ার নিভৃত অন্তরালের দেবালয়।
ক. ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় কবির মতে আমাদের হৃদয় কী?
খ. পথে তাজা ফুল ফোটে কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতার কোন দিকটিতে ইঙ্গিত করে? নির্ণয় কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতার এক বিশেষ দিককে প্রতিকার করেছে মাত্র।”: মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় কবির মতে আমাদের হৃদয় সকলের দেবতার বিশ্ব-দেউল।
খ. ধর্ম-স¤প্রদায় নিয়ে বিভেদ ও কলহের জেরে পথে তাজা ফুল ফোটে, অর্থাৎ বুকের লাল রক্তে রঞ্জিত হয়।
মানুষে মানুষে সমতা ও একতা প্রতিষ্ঠার লোক যেমন সমাজে আছে, তেমনি বিভেদ-বৈষম্য সৃষ্টির লোকেরও অভাব নেই। সমাজের এ বিভেদ সৃষ্টিকারী লোকেরা মানুষকে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, পার্সি-জৈন-ইহুদি-সাঁওতাল, ভীল, গারো-এমনই নানা শ্রেণি-স¤প্রদায়ে বিভক্ত করার অপপ্রয়াস চালায়। এর ফলে দোকানে এসব বিতর্কিত বিষয়ে দরকষাকষি চলে আর রাস্তায় বুকের রক্তে তাজা ফুল ফোটে।
উদ্দীপকটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতার মানুষের অন্তরাত্মার তথা মানবাত্মার শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়-যেখানে স্বয়ং স্রষ্টার অধিষ্ঠান, তাকেই ইঙ্গিত করে।
স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিরূপে মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন। তাই সবার উপরে মানুষের মর্যাদা স্বীকার করতে হয়। মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে বিবেচনা করে তার গুরুত্ব অনুধাবন করা দরকার। প্রাণিকুলের মধ্যে অন্তরধর্ম বা অন্তরাত্মার কারণে মানুষের স্থান সবার উপরে।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, জগৎসংসারে সবাই সবার আপনজন। এ আত্মীয়তার বন্ধন যে আঁচলে বাঁধা, সেই আঁচলের খোঁজ পেলেই আসবে মুক্তি। উদ্দীপকের এ কাক্সিক্ষত মুক্তির পথ সম্পর্কে ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় বলা হয়েছে, মানুষের মাঝেই সকল ধর্মগ্রন্থের সারকথা এবং অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎকালের জ্ঞান সঞ্চিত রয়েছে।
সেটাকে পেতে হলে নিজের প্রাণ, অর্থাৎ অন্তরাত্মার উপলব্ধিকে খুঁজে পেতে হবে। নানা ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জাতি, স¤প্রদায়ে বিভক্ত মানুষকে এক অভেদ মানুষরূপে গড়ে তুলতে কবি সকল মানুষকে সমানরূপে দেখার কথা বলেছেন। প্রদত্ত উদ্দীপকে ‘সাম্যবাদী’ কবিতার এ দিকটিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতার একটি বিশেষ দিক, অর্থাৎ মানবের অন্তরাত্মা বা মানবাত্মা অনুসন্ধানের দিকটিকে প্রতিকার করেছে মাত্র।” মন্তব্যটি যথার্থ।
মানুষ হিসেবে মানুষের উচিত সব বিভেদ ভুলে যাওয়া এবং পৃথিবীকে সকলের জন্য এক ও অভিন্ন পৃথিবী হিসেবে গড়ে তোলা। আর সবার উপরে সবার মনুষ্যত্বকে মূল্যায়ন করা।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই, জগৎসংসারে সবাই সবার আপনজন এ সত্যটি উচ্চারণ করা হয়েছে। সেই সাথে এক মানুষ যে অপর মানুষের আত্মীয়তার এক আঁচলে বাঁধা এ বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
বিধাতার সেই আঁচল যেকোনো মৃত-পুঁথি কঙ্কালের স্তূপ নয়, এটি যে অমৃত হিয়ার নিভৃত অন্তরালের দেবালয়-এ বিষয়টি বিশেষভাবে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। উদ্দীপকের এ বক্তব্য বিষয় ‘সাম্যবাদী’ কবিতার শুরুতে “গাহি সাম্যের গান-সেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান”
পঙ্ক্তিদ্বয়ের উচ্চারণের সাথে সাথে “কেন খুঁজে ফের দেবতা-ঠাকুর মৃত-পুঁথি-কঙ্কালে? হাসিছেন তিনি অমৃত হিয়ার নিভৃত অন্তরালে!” পঙ্ক্তিদ্বয়ে পরিপূর্ণরূপে ফুটে উঠেছে। কিন্তু এ পঙ্ক্তিগুলো ‘সাম্যবাদী’ কবিতার এক বিশেষ দিক মাত্র।
‘সাম্যবাদী’ কবিতায় উপর্যুক্ত বিষয় ছাড়াও জগতের নানা ধর্ম-জাতি-গোষ্ঠী-স¤প্রদায় ও তাদের প্রবর্তক পুরুষ এবং গ্রন্থসমূহের পরিচয় ও নির্যাস আলোচিত হয়েছে। আলোচিত হয়েছে মানবাত্মার পরিচয় ও তার শ্রেষ্ঠত্বের। মানুষের বিভেদ-বৈষম্য দূরীকরণে প্রবর্তক পুরুষগণের মানবিক আচরণ ও শিক্ষা ফুটে উঠেছে।
এছাড়া মানবের অন্তরাত্মায় স্রষ্টার বাস দেখিয়ে সবকিছুর উপরে মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচয়কে বড় করে তোলা হয়েছে, যা প্রদত্ত উদ্দীপকে অনুপস্থিত। অতএব, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
১১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
প্রতিটি মানুষের মনের মন্দিরে বসবাস করেন মহান সৃষ্টিকর্তা। যেখানে সৃষ্টিকর্তার আবাস, তার থেকে উপযুক্ত পবিত্র কোনো উপাসনালয় থাকতে পারে না। মনের মন্দিরেই স্রষ্টার প্রতি আরাধনা হয় নিগূঢ়ভাবে। তাই জাগতিক যত মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা থাকুক না কেন, হৃদয়ের স্থান সবচেয়ে ঊর্ধ্বে।
ক. শাক্যমুনি কে?
খ. ‘বাঁশির কিশোর’ বলতে কবি কাকে বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকটিতে ‘সাম্যবাদী’ কবিতার যে বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘সাম্যবাদী’ কবিতা উভয়ের মূলসুর এক ও অভিন্ন।”মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. শাক্যমুনি হলেন বৌদ্ধধর্ম দর্শনের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ।
খ. ‘বাঁশির কিশোর’ বলতে কবি সত্য, ন্যায় ও প্রেমের যুগাবতার শ্রীকৃষ্ণকে বুঝিয়েছেন।
হিন্দু ধর্মানুসারে বাল্যকালে মথুরার বৃদ্ধাবনে শ্রীকৃষ্ণ যখন তাঁর শৈশব-কৈশোর কাটান, তখন বাঁশি বাজানো ছিল তাঁর অন্যতম প্রিয় বিনোদন। শ্রীকৃষ্ণের এ বাঁশি বাজানো ও বাঁশিপ্রীতিকে উপলক্ষ করে বৈষ্ণব সাহিত্যের এক বিশাল ভাণ্ডার সৃষ্টি হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির সুরে মানুষ তো বটেই, পশু-পাখি পর্যন্ত বিমোহিত ও প্রেমরসে আপ্লুত হয়ে উঠত। এই শ্রীকৃষ্ণকেই কবি ‘বাঁশির কিশোর’ বলেছেন।
গ. উদ্দীপকটিতে ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় বর্ণিত জাত-পাত-ধর্ম-বর্ণ ও নানা স¤প্রদায়ে বিভক্ত বাইরের মানুুষের চেয়ে অন্তরের অন্তস্থলের নিভৃত কোণে বাস করা মানবিক হৃদয়সম্পন্ন মানুষের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষকে বিবেক-বিবেচনা ও বুদ্ধি সহকারে অন্যান্য জীব থেকে আলাদারূপে সৃষ্টি করেছেন। সেজন্য মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। পাপ-পুণ্য, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় এটা মানুষের মনই নির্ধারণ করে।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, প্রতিটি মানুষের মনের মন্দিরে বসবাস করেন মহান সৃষ্টিকর্তা। যেখানে সৃষ্টিকর্তার আবাস, তার থেকে উপযুক্ত পবিত্র কোনো উপাসনালয় থাকতে পারে না। মনের মন্দিরেই স্রষ্টার প্রতি আরাধনা হয় নিগূঢ়ভাবে। তাই জাগতিক যত মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা থাকুক না কেন হৃদয়ের স্থান সবার উপরে।
উদ্দীপকের এ বক্তব্য ‘সাম্যবাদী’ কবিতার মাঝের ও শেষের দিকের কয়েকটি পঙ্ক্তির প্রতি গুরুত্বারোপ করে, যেখানে মানুষের হৃদয়-মনকে সকলের দেবতার বিশ্ব-দেউল বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, “এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির-কাবা নাই।” ‘সাম্যবাদী’ কবিতার মানবের অন্তঃকরণের পরিশুদ্ধতার প্রতি, আন্তরিকতার প্রতি যে আবেগ, তার প্রতিই প্রদত্ত উদ্দীপকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | আনিসুজ্জামান | বাংলা ১ম পত্র | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-৯ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | জাদুঘরে কেন যাব | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | বাংলা ১ম | PDF
HSC | বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ | মাইকেল মধুসূদন দত্ত | PDF
HSC | বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | PDF
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘সাম্যবাদী’ কবিতা উভয়ের মূলসুর এক ও অভিন্ন।” প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ নয়।
মানুষ মন্দির অথবা মসজিদে যায় স্রষ্টার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য। কিন্তু মন যদি অপবিত্র থাকে তাহলে কঠোর আরাধনা বা প্রার্থনা করেও স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করা যায় না। এজন্য সর্বপ্রথম দরকার মনের পবিত্রতা, যার দ্বারা স্রষ্টাকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, মানুষের হৃদয়ই হচ্ছে সমস্ত উপাসনালয়ের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান। কেননা, প্রতিটি মানুষের মনের মন্দিরে বসবাস করেন মহান সৃষ্টিকর্তা। যেখানে সৃষ্টিকর্তার আবাস, তার থেকে পবিত্র কোনো উপাসনালয় থাকতে পারে না।
উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘সাম্যবাদী’ কবিতার মধ্যমাংশ ও শেষাংশের দিকের দু-একটি পঙ্ক্তির মিল রয়েছে। যেখানে মানুষের মানবাত্মাপূর্ণ হৃদয়-মনকে সকলের দেবতার বিশ্ব-দেউল বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে-“এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির-কাবা নাই।” কিন্তু এ রকম দু-একটি পঙ্ক্তিই ‘সাম্যবাদী’ কবিতার পরিপূর্ণ অবয়ব বা মূলসুর নয়।
‘সাম্যবাদী’ কবিতায় মূলত জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র ও নানা স¤প্রদায়ে বিভক্ত মানবসমাজের ঐক্য, সমতা এবং এর প্রয়োজনে নিজ সত্তার অনুসন্ধান ও আবিষ্কারকে তুলে ধরা হয়েছে। আলোচনা করা হয়েছে বিভিন্ন জাতি-ধর্মের মহান প্রবর্তকগণের মহান শিক্ষা, কীর্তি ও সাধনার কথা। প্রদত্ত উদ্দীপকে ‘সাম্যবাদী’ কবিতার এসব বিষয় আসে নি। যে কারণে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিকে যথার্থ বলা চলে না।
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।