HSC | বাংলা ২য় | প্রতিবেদন রচনা ১০-১৫ | PDF Download: বাংলা দ্বিতীয় পত্র হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিবেদন রচনা পত্র গুলো আমাদের এই পোস্টে পাবেন।
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়টির গুরুপূর্ণ কিছু প্রতিবেদন রচনা পত্র নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
১১. কবি নজরুলের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের ওপর একটি প্রতিবেদন লেখো।
ত্রিশালে নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার কবির কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশালের দরিরামপুর নজরুল মঞ্চে কবির ১১৪তম জন্মবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। ত্রিশাল ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক পরিবেশন করে। ত্রিশাল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তত্ত¡াবধানে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়া নজরুল একাডেমি মাঠে নজরুল বইমেলার আয়োজন করা হয়। এতে ছিল সব শ্রেণির মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুস্তাকিম বিলাহ ফারুকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে নজরুল স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন নজরুল বিশেষজ্ঞ ড. হায়াৎ মামুদ।
আলোচনায় অংশ নেন কবি আসাদ চৌধুরী এবং নজরুল গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক জনাব মো. আনিসুর রহমান। অতিথিগণ নজরুলের শিল্প-সাহিত্যের গতিপথ ও চমৎকারিত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। নজরুলের রচনাসম্ভার কীভাবে বাংলা সাহিত্যিকে সমৃদ্ধ করেছে সেটিও তুলে ধরেন বক্তারা। আলোচনা সভার শেষে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা নজরুলের কবিতা ও সংগীত পরিবেশন করে।
নজরুল বইমেলাকে ঘিরে স্থানীয় জনগণের বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপন লক্ষ করা গেছে। বইয়ের ক্রেতাও ছিল প্রচুর। নজরুলের কাব্যগ্রন্থগুলো ক্রয়ের প্রতিই বেশি আগ্রহ ছিল মানুষের।
প্রতিবেদক
মো. হাসানুজ্জামান খান
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, ময়মনসিংহ
২৬-০৫-২০১৬।
[এখানে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
১২. বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
[য. বো. ১৫]
বিজয় দিবসের আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠে ছিল জাতি
বিজয় দিবসে বাংলাদেশ এবার যেন মেতে উঠেছিল মহাউৎসবে। রাত বারোটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে আতশবাজি ফুটিয়ে, কামান দাগিয়ে, হুইসেল বাজিয়ে বরণ করা হয় বিজয় দিবসকে। পাড়ায় পাড়ায় মাইকে বেজে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের গান।
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থা নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরিবেশিত হয় আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, পথনাটকসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামের দিনগুলো নিয়ে নানা আলেখ্য ও বর্ণনামূলক অনুষ্ঠান।
বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত হয় মুক্তিযুদ্ধের গান, নাটক ও কবিতা। ঢাকা শহরে নেমেছিল জনতার ঢল। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, রমনার বটমূল, টিএসসি, বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমি ও আশপাশের এলাকা সব বয়সী মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে।
১৫ই ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে টিএসসিতে আতশবাজি পুড়িয়ে আর ৪৪টি ফানুস উড়িয়ে বিজয় দিবসকে স্বাগত জানানো হয়। তারপর কিছুক্ষণ চলে মনোমুগ্ধকর লেজার লাইট শো। এর পরপরই শুরু হয় দেশাত্মবোধক গান আর আবৃত্তি অনুষ্ঠান। পুরো এলাকা মেতে ওঠে বিজয় উৎসবে।
এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট অনেকগুলো মঞ্চ তৈরি করে। দেশের কৃতী সন্তানদের নামে নামকরণ করা হয় সেসব মঞ্চ। যেমন নরেন বিশ্বাস আবৃত্তি মঞ্চ, শওকত ওসমান নাট্যমঞ্চ ইত্যাদি। এসব মঞ্চে এক যোগে প্রচারিত হয় সংগীতানুষ্ঠান, আবৃত্তি, চরমপত্র পাঠ, কবিকণ্ঠে কবিতা, বাউল গান ইত্যাদি।
বিজয় দিবসের ভোরবেলা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে একাত্তরের শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তারপর দলে দলে বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষ সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
বিকেল থেকে উৎসব হয়ে ওঠে আরও উৎসাহ ও আনন্দমুখর। সন্ধ্যার পর মনোরম আলোকমালায় সেজে ওঠে ঢাকা নগরী। মানুষজন মনের আনন্দে শহরজুড়ে ঘুরে বেড়ায়। বিজয়ের উৎসবে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে সাড়া দেয় গোটা জাতি।
প্রতিবেদক
আশরাফ হোসেন
রামপুরা, ঢাকা
১৭/১২/২০১৬।
[এখানে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানাসংবলিত খাম আঁকতে হবে]
১৩. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ ও তার প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।
অথবা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন লেখো। ঢা. বো. ১৫, কু. বো. ১৫, দি. বো. ১৫]
দফায় দফায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি : জনগণের নাভিশ্বাস
স্টাফ রিপোর্টার \ রাজধানীসহ সমগ্র দেশজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর প্রতিনিয়ত মূল্যবৃদ্ধি ঘটেই চলছে। এ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। সরকার, প্রশাসন কারোরই এদিকে খেয়াল নেই। সাধারণ জনগণ নির্দিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রেণির হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য কেজিতে পাঁচ থেকে পনেরো টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঁচাবাজারে সবজির পর্যাপ্ত জোগান থাকা সত্তে¡ও দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীত শেষে সবজির দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। করলা ৪৫-৫৫ টাকা, ঢেড়শ ৬০-৭০, লাউ ৩০-৪০, আলু ২৫-৩০, বরবটি ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
উৎপাদক পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি দ্রব্যই কৃষকের বিক্রীত মূল্যের ৪/৫ গুণ অধিক মূল্যে ভোক্তাসাধারণ ক্রয় করছে। এ ব্যাপারে খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, তাঁদের চড়া দামে পাইকারদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে হচ্ছে। পাইকাররা দাম বৃদ্ধির জন্য সা¤প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিজনিত পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়, যানজটের কারণে দ্রæত পচনশীল সবজি নষ্ট হওয়া ইত্যাদিকে দায়ী করেন।
মুদি-মনোহারি দ্রব্যের দোকানে গিয়ে দেখা যায় তেল, আটা, ময়দা ইত্যাদির দাম প্রতি কেজিতে এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে পনেরো হতে বিশ টাকা পর্যন্ত। সয়াবিন তেল ১১০-১২০ টাকা, চিনি ৫০-৬০, মসুর ডাল ১২০-১৩০, আটা ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে চিকন চালের দাম। গুড়, গুঁড়োদুধ ও শিশুখাদ্যের দাম গত এক মাসের ব্যবধানে গড়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে।
ডিম, মুরগি, মাছের দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। মুদি-মনোহারি দ্রব্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীরা সরকারের যথাযথ তদারকির অভাব, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বগতি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ইত্যাদি কারণ উল্লেখ করেন।
কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বলে দেখা যায়, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে অসন্তোষ বেড়েছে। একজন ভ্যানচালক ক্ষোভের সঙ্গে জানান তার সারা দিনের আয়ে পরিবারের জন্য দুবেলা দু’মুঠো ভাতের জোগাড় হচ্ছে না। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়াচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে টিসিবি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে সরাসরি দায়ী করেন।
টিসিবির পরিচালক জানান, দ্রুত টিসিবির মাধ্যমে তেল, চিনি, ডাল প্রভৃতি ভোগ্যপণ্য আমদানি করে রাজধানীসহ সকল বিভাগীয় শহরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রয়ের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে সরকার। এছাড়া আসন্ন ধান-চাল সংগ্রহের মৌসুমে স্থানীয় কৃষকদের নিকট হতে ধান সংগ্রহের মাধ্যমে খাদ্য মজুদ বৃদ্ধিতে সরকার চেষ্টা করছে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, সরকার শীঘ্রই বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু করবে।
এ অবস্থায় সরকারকে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধ, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু, জেলা শহরগুলোতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানো, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, বাজারে পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সরকার জনগণকে বর্তমান অবস্থা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে সরকার, ব্যবসায়ী, জনগণসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন ও আন্তরিক হতে হবে।
[এখানে পত্রিকার ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
১৪. ‘যানজট একটি ভয়াবহ সমস্যা এই শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
ভয়াবহ যানজট জীবনের স্বাভাবিক গতিকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে
যানজটের কারণে ঢাকা শহরে স্বাভাবিক ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যানজট শুধু আমাদের অমূল্য সময়ই কেড়ে নিচ্ছে না, নাগরিক জীবনেও ডেকে আনছে নানা দুর্ভোগ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক, পথচারী সবাই আজ সর্বগ্রাসী যানজটের শিকার। এখন নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
যানজটের কারণে গতি থমকে থাকলেও সময় থমকে থাকে না। কর্মস্থলে সময়মতো পৌঁছতে না পারার কারণে কাজের কাজ কিছুই হয় না। দশ মিনিটের রাস্তা পেরোতে লাগে এক ঘণ্টা। সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা, যখন-তখন, যেখানে-সেখানে যানজট। রাজপত, গলিপথ, ফুটপাত কোথাও স্বস্তি নেই। সর্বত্র ভিড় আর ভিড়, গাড়ির ভিড়, মানুষের ভিড়। যানজটের ভিড়ে একবার আটকে গেলে কখন তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা বলা মুশকিল।
রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্স যখন যানজটে আটকিয়ে পড়ে তখন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, এমনকি পথিমধ্যে যানজটের কারণে রোগীর মৃত্যুও ঘটে। বর্তমানে নাগরিকের অপরিসীম ক্ষতি, ক্ষোভ ও বিরক্তির একটা বড় কারণ এ যানজট। এতে প্রতিদিন হারিয়ে যাচ্ছে অগণিত শ্রমঘণ্টা।
এর অর্থমূল্য নির্ণয় করা গেলে দেখা যেত প্রতিদিন কী বিশাল অঙ্কের অর্থের অপচয় হচ্ছে যানজটের কারণে। যানজট মোকাবিলা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল করার জন্য বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। কিন্তু এতেও সমস্যার তেমন কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না।
সীমিত রাস্তাঘাটের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যাধিক্যই যানজটের প্রধান কারণ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, অপরিকল্পিত ও ভারসাম্যহীন নগরায়ন, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে যানজট ও রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দেশের সড়ক ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ সড়কগুলোর কার্যকর পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব রয়েছে।
আবাসন সংকট ও নগরায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাস্তাঘাটের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন হচ্ছে না। অপরিকল্পিতভাবে ওয়াসা, ডেসা, গ্যাস, টেলিফোন, টেলিগ্রাফ ও বেসরকারি সংস্থা বিজ্ঞাপন বিলবোর্ডসহ নানা কারণে প্রায়ই জনবহুল রাস্তাসহ আবাসিক রাস্তাতেও খোঁড়াখুঁড়ি করে। খোঁড়াখুঁড়ির পর পুনরায় রাস্তা মেরামত হয় না সময়মতো।
রাস্তায় ওভারব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন না মানা এবং রাস্তা পারাপারে নিয়ম মেনে না চলা, আধাপাকা ও কাঁচা রাস্তায় অতিরিক্ত মাল ও যাত্রীবোঝাই যানবাহন চলাচল করা, যত্রতত্র গাড়ি পার্ক করা ইত্যাদির কারণে যানজট বেড়েই চলেছে। জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য ২৫% ফুটপাত থাকার কথা, কিন্তু তা নেই।
আবার যেটুকু আছে তার অধিকাংশ স্থান কলকারখানা, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ফেরিওয়ালাদের দখলে। রাস্তার অনেকাংশে যত্রতত্র বাসস্ট্যান্ড, ট্রাকস্ট্যান্ড ও টেম্পোস্ট্যান্ড দখল করে রেখেছে। এসব কারণে রাস্তা সংকীর্ণ ও অরক্ষিত হয়ে পড়ছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
যানজট কমানোর জন্য কতকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন
১। অবৈধ রিকশার দৌরাত্ম্য কমানো হবে;
২। যত্রতত্র গড়ে ওঠা বাজার, মার্কেট, বিপণিবিতান উচ্ছেদ করা;
৩। যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে লোক ওঠা-নামা না করা; ৪। অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা;
৫। ফুটপাতগুলোকে হকারমুক্ত করা;
৬। বেশিরভাগ রাস্তাকে ওয়ানওয়ে করা ও ক্রসিং কমিয়ে দেওয়া;
৭। রাজধানীতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির প্রতিযোগিতা বন্ধ করা;
৮। শহরের ব্যস্ত এলাকায় বাস টার্মিনাল উঠিয়ে দেওয়া;
৯। রাজধানীর অভ্যন্তরে শিল্প-কারখানাগুলোকে শহরের বাইরে নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা;
১০। শহর থেকে কিছু হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়া;
১১। নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেলের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সর্বোপরি যানজট নিরসনের অন্যতম কৌশল হিসেবে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে হবে।
নাগরিক জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্য, সাবলীল ও গতিশীল করে তুলতে যানজট সমস্যার সমাধান অবশ্যই করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সকলের সদিচ্ছা ও সময়োপযোগী সুন্দর বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা ও তার দ্রæত বাস্তবায়ন।
প্রতিবেদক
কামরুল ইসলাম
মগবাজার, ঢাকা
০৭/০৫/২০১৬।
[এখানে পত্রিকার ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৬১-১৮৫ | PDF Download
HSC | বাংলা ২য় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১৪১-১৬০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | কলেজ ভিত্তিক অনুবাদ ১২১-১৪০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় | বোর্ড ভিত্তিক অনুবাদ ১০১-১২০ | PDF Download
HSC | বাংলা দ্বিতীয় পত্র | অনুবাদ ৬১-৮০ | Onubad | PDF Download
১৫. তোমার দেখা একটি সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন লেখো।
[সি. বো. ১৫]
করটিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা; গতকাল শুক্রবার ভোরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের করটিয়ায় মুখোমুখি দুটি বাস দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
শুক্রবার সকালে বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা এস.আর. ট্র্যাভেলস (বগুড়া ক-২৯২৪) বাসটির সঙ্গে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অপর একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এতে এস.আর. ট্র্যাভেলস বাসের ৬ জন যাত্রী ও অন্য বাসটির ৪ জন যাত্রী নিহত হয়।
আহত যাত্রীদের প্রথমে স্থানীয় করটিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে কিছুসংখ্যক যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুমূর্ষু ১২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহতদের মাঝে এখন পর্যন্ত চারজনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হচ্ছে ১। আবদুর রহিম তালুকদার (গ্রাম : বেরের বাড়ি, উপজেলা : ধুনট, জেলা : বগুড়া) ২। কলিম খান (গ্রাম : সোনাতলা, উপজেলা : সোনাতলা, জেলা-বগুড়া) ৩। মরিয়ম বিবি (মালতিনগর, বগুড়া শহর) ৪। বশির মিয়া (২৭, আর.কে মিশন রোড, ঢাকা)। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আহত যাত্রীদের জন্য জরুরি রক্তের প্রয়োজন।
আগ্রহী রক্তদাতাগণকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে রক্ত দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুর্ঘটনার ফলে উভয় দিকের যানচলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। দুই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঐ দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। তবে আহত একজন যাত্রী জানিয়েছে বগুড়া থেকে আসা বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারালে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
পুলিশ কর্মকর্তাগণ দুর্ঘটনার স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত করা হবে বলে জানান এক কর্মকর্তা। পুলিশ এস.আর. ট্র্যাভেলস বাসটির হেলপারকে আটক করেছে।
প্রতিবেদক
হাবিবুর রহমান
করটিয়া, টাঙ্গাইল
১৮/০৪/২০১৬।
[এখানে পত্রিকার ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।