Hsc বাংলা ২য় পত্র মডেল টেস্ট 2024 উত্তরসহ ।। এইচএসসি-২০২৩ বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট ।। HSC বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বাংলা দ্বিতীয় পত্র (ব্যাকরণ ও নির্মিতি) এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট দেওয়া হলো।
এছাড়া আমাদের জাগোরিক এ বিনামূল্যে ব্যকরণিক অংশ হতে প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ অধ্যায় হতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের এই ওয়েবসাইটে পাবেন। প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন ।
এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়টির ব্যকরণিক অংশ হতে এইচএসসি-২০২৪ বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট এ গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এইচ এস সি- HSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।
Hsc বাংলা ২য় পত্র মডেল টেস্ট 2024 উত্তরসহ
এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট
এইচএসসি-২০২৪পরীক্ষা প্রস্তুতির পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট-১
বিষয়: বাংলা দ্বিতীয় পত্র (ব্যাকরণ ও নির্মিতি)
সময়: ৩ ঘণ্টা মিনিটপূর্ণমান: ১০০
ক-বিভাগ: ব্যাকরণ (৩০ নম্বর)
১. (ক) উচ্চারণ রীতি কাকে বলে? বাংলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
অথবা,
(খ) নিচের যেকোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখ :
নদী, প্রশ্ন, পদ্য, ধার্য, নক্ষত্র, অলি, শ্রদ্ধাস্পদ, শ্রবণ, শ্রম।
২. (ক) বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত বাংলা বানানের দু’টি নিয়ম লেখ।
অথবা,
(খ) নিচের যেকোনো পাঁচটি শব্দের শুদ্ধ বানান লেখ :
কুপম-ূক, উপরোক্ত, মুহূর্মুহু, প্রোজ্জলন, পিপিলীকা, দিবারাত্রি, সুষ্ট, স্টেডিয়াম।
৩. (ক) বিশেষ্য কাকে বলে? বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহারণসহ লিখ।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্দেশ কর :
i) আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
ii) হঠাৎ সে দেখতে পেল চলন্ত বাস থেকে যাত্রীরা লাফিয়ে নামছে।
iii) কেউ কেউ ঘটনাটা সত্য বলে জানে।
iv) যেমন কর্ম তেমন ফল।
v ) কে এই আগন্তুক?
vi) ডাক্তার এসে দেখেন যে রোগী মারা গেছে।
vii) আপনার যাত্রা শুভ হোক।
viii) ভালো করে লেখাপড়া করো।
৪. (ক) উপসর্গ কাকে বলে? বাংলা শব্দ গঠনে উপসর্গের ভূমিকা কী?
অথবা,
(খ) নিচের যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ :
কালান্তর, ঈগল পাখি, কর্ণফুলি, গণ্যমান্য, ওষ্ঠাধর, চৌমুহনী, মায়ে-ঝিয়ে, নাতিদীর্ঘ।
৫. (ক) বাক্য বলতে কী বোঝ? একটি সার্থক বাক্য গঠনে কী কী গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন? উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি) :
- সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূর হয়। (যৌগিক)
- জাদুঘর আমাদের আনন্দ দেয়। (প্রশ্নবোধক)
- তুমি যা বললে তা অসত্য। (সরল)
- বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। (প্রশ্নবোধক)
- আমি আশায় রইলাম। (অস্তিবাচক)
- সদা সত্য কথা বলা উচিত। (অনুজ্ঞা)
- সে সুন্দর গান গায়। (বিস্ময়সূচক)
- সে আর ভিক্ষা করে না। (প্রশ্নবোধক)
৬. (ক) নিচের যেকোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখ :
- গীতাঞ্জলী’ রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ।
- সব পাখিরা উড়ে গেল।
- তার দু’চোখ অশ্রুজলে ভেসে গেল।
- অধ্যক্ষ সাহেব স্বপরিবারে কক্সবাজারে বেড়াতে গেছেন।
- বিদ্যানকে সকলে শ্রদ্ধা করে।
- তাহারা মাঠে খেলা করছে।
- দারিদ্র্যতা আমাদের অভিশাপ।
- পাতায় পাতায় পড়ে শিশির নিশির।
অথবা,
(খ) অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগগুলো শুদ্ধ কর :
উন্নতশীল বাংলাদেশের এক অসহায় কৃষক সফিক। দারিদ্রতা তার নিত্য সঙ্গী। অহোরাত্রি পরিশ্রম করেও অধীন সকল সদস্যবৃন্দের মুখে খাদ্য তুলে দিতে সে অক্ষম।
খ-বিভাগ: নির্মিতি (৭০ নম্বর) Hsc বাংলা ২য় পত্র মডেল টেস্ট 2024 উত্তরসহ
৭. (ক) যেকোনো দশটি শব্দের পারিভাষিক রূপ লেখ :
Query: Latitude; Theory; Zone; Zoom; Transparency; Autonomous; Axis; Bacteria; Boycott; Green House; Green Room; Guard.
অথবা,
(খ) বাংলায় অনুবাদ কর :
Shaheed Minar is the symbol of our love and sincerity for the supreme sacrifice of our language martyrs. It is located in front of Dhaka Medical College. Hamidur-Rahman, a famous architect designed this significant monument. Its vertical lines symbolize the manifestations of inner strength. The four columns on both sides of the central structure reflect the balance and harmony of united stand. Today, it has become a part of our political as well as cultural achievement and national source of inspiration.
৮. (ক) লঞ্চডুবির ঘটনা নিয়ে একটি দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) তোমার দেখা একটি গ্রামীণ মেলা নিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
৯. (ক) মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের ক্ষতিগুলো উল্লেখ করে বন্ধুদের প্রেরণের জন্য একটি ই-মেইল প্রেরণ কর।
অথবা,
(খ) স্টোর কিপার পদে চাকরির জন্য একটি আবেদনপত্র রচনা কর।
১০. (ক) সারাংশ লেখ :
সমাজের কাজ কেবল টিকে থাকার সুবিধা দেওয়া নয়, মানুষকে বড় করে তোলা, বিকশিত জীবনের জন্য মানুষের জীবনে আগ্রহ জাগিয়ে দেওয়া। স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধি ও জবরদস্তিপ্রিয় মানুষে সংসার পরিপূর্ণ। তাদের কাজ নিজের জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করে তোলা নয়, অপরের সার্থকতার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করা। প্রেম ও সৌন্দরে্যর স্পর্শ লাভ করেনি বলে এরা নিষ্ঠুর ও বিকৃত বুদ্ধি। এদের একমাত্র দেবতা অহংকার। ব্যক্তিগত অহংকার, পারিবারিক অহংকার, জাতিগত অহংকার- এসবের নিশান উড়ানোই এদের কাজ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর :
জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।
১১. (ক) ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ বিষয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা কর।
অথবা,
(খ) নিম্নোক্ত ইঙ্গিত অবলম্বনে একটি খুদে গল্প রচনা কর।
আশরাফ সাহেব একজন মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও তিনি মনে করেন দেশের জন্য অনেক কাজ করার বাকি রয়ে গেছে। তাই এই প্রৌঢ় বাসে ও….
১২. যেকোনো একটি বিষয় অবলম্বনে প্রবন্ধ লেখ :
(ক) স্বদেশপ্রেম,
(খ) শ্রমের মর্যাদা,
(গ) মহান একুশে ফেব্রুয়ারি,
(ঘ) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১
উত্তরমালা
১. (ক) উচ্চারণ রীতি কাকে বলে? বাংলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম লেখ।
উত্তর: বাংলা ভাষার প্রতিটি শব্দের যথার্থ উচ্চারণের জন্য কতকগুলো নিয়ম বা সূত্র প্রণীত হয়েছে। এ নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে বলা হয় উচ্চারণ রীতি। বাংলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম নিচে তুলে ধরা হলো :
১. শব্দের প্রথমে যদি ‘অ’ থাকে এবং তারপরে ই-কার, ঈ-কার বা উ- কার, উ-কার থাকে তাহলে সেই ‘অ’-এর উচ্চারণ ও-কারের মতো হয়। যেমন- অভিধান (ওভিধান), অনূদিত (ওনুদিতো), নদী (নোদি), বউ (বোউ), অতি (ওতি) ইত্যাদি।
২. শব্দমধ্যস্থিত ‘অ’ ই ()ি, ঈ (ী), উ (ু ), উ (ূ), ঋ (ৃ) ও য-ফলার আগে থাকলে, সেই ‘অ’-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’ কারের মতো হয়। যেমন- সুমতি (শুমোতি), আলস্য (আলোগ্শো), তরণী (তরোনি), সমভূমি (শমোভূমি) ইত্যাদি।
৩. সাধারণত শব্দের আদ্য ‘এ’-কারের পরে ‘অ’ বা ‘আ’ থাকলে ‘এ’-কার ‘অ্যা’-কার রূপে উচ্চারিত হয়। যেমন- এখন (অ্যাখোন), কেমন (ক্যামোন), একা (অ্যাকা), যেন (জ্যানো) ইত্যাদি।
৪. ঞ সাধারণত ‘চ’ বর্গের চারটি বর্ণের (চ ছ জ ঝ) পূর্বে যুক্তাবস্থায় ব্যবহৃত হলেও ক্ষেত্রবিশেষে চ-এর পরে বসে এবং বাংলা উচ্চারণে ‘ঞ’ দন্ত-ন-এর মতো হয়। যেমন- পঞ্চ (পনচো), ব্যঞ্জন (ব্যান্ জোন), খঞ্জনা (খন্জোনা) ইত্যাদি ।
Hsc বাংলা ২য় পত্র মডেল টেস্ট 2024 উত্তরসহ
৫. ‘হ’-এর সঙ্গে য-ফলা (্য) যুক্ত হলে ‘হ’-এর নিজস্ব কোনো উচ্চারণ থাকে না, য-এর দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়, প্রথমটি অল্পপ্রাণ হসন্ত (জ) এবং দ্বিতীয়টি মহাপ্রাণ (ঝ) ‘ও’ কারান্ত হয়। যেমন- সহ্য (সোজঝো), ঐতিহ্য (ওইতিজঝো), উহ্য (উজঝো) ইত্যাদি।
অথবা,
(খ) নিচের যেকোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখ :
নদী, প্রশ্ন, পদ্য, ধার্য, নক্ষত্র, অলি, শ্রদ্ধাস্পদ, শ্রবণ, শ্রম।
উত্তর:নিচে পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখা হল-
নদী – নোদি
প্রশ্ন – প্রোস্নো
পদ্য – পোদ্দো
ধার্য – র্ধাজো
নক্ষত্র – নোক্খোত্ত্রো
অলি – ওলি
শ্রদ্ধাস্পদ – স্রোদ্ধাশ্পদো
শ্রবণ – স্রোবোন্
শ্রম – স্রোম
২. (ক) বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত বাংলা বানানের দু’টি নিয়ম লেখ।
উত্তর:
বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত বাংলা বানানের দু’টি নিয়ম হলো:
১. যেসব তৎসম শব্দে ই, ঈ, উ, ঊ উভয়ই শুদ্ধ সেসব শব্দে কেবল ই বা উ এবং তার কারচিহ্ন ”ি, ‘ু’ ব্যবহৃত হবে। যেমন- কিংবদন্তি, খঞ্জনি, চিৎকার, ধমনি, ধূলি, পঞ্জি, পদবি, ভঙ্গি, মঞ্জুরি, মসি, লহরি, সরণি, সূচিপত্র, ঊর্ণা, ঊষা।
২. রেফ-এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন- অর্জন, কার্য, গর্জন, মূর্ছা, কার্তিক, বার্ধক্য, বার্তা, সূর্য।
অথবা,
(খ) নিচের যেকোনো পাঁচটি শব্দের শুদ্ধ বানান লেখ :
কুপম-ূক, উপরোক্ত, মুহূর্মুহু, প্রোজ্জলন, পিপিলীকা, দিবারাত্রি, সুষ্ট, স্টেডিয়াম।
উত্তর:
কুপম-ূক – কূপম-ূক
উপরোক্ত – উপর্যুক্ত
মুহূর্মুহু – মুহুর্মুহু
প্রোজ্জলন – প্রজ্বলন
পিপিলীকা – পিপীলিকা
দিবারাত্রি -দিবারাত্র
সুষ্ট – সুষ্ঠু
স্টেডিয়াম – স্টেডিয়াম
৩. (ক) বিশেষ্য কাকে বলে? বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহারণসহ লিখ।
উত্তর: কোনোকিছুর নামকেই বিশেষ্য বলে। অন্যভাবে বলা যায়, বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত যেসব পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, কাল, জাতি, সমষ্টি, কর্ম, ভাব এবং গুণের নাম বোঝায়, সেগুলোকে বিশেষ্য বা নাম পদ বলে। যেমন: রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, আইনস্টাইন, পদ্মা, পথের পাঁচালি, চন্দ্র, সূর্য, দুধ, গম, সোনা, পানি, মাটি, বাতাস, মুসলমান, ইংরেজ, বাঙালি, হিন্দু, সমিতি, শয়ন, ভোজন, শ্যামল, মনন ইত্যাদি।
বিশেষ্য পদ নিম্নোক্ত সাত ভাগে বিভক্ত :
ক. সংজ্ঞা বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো একটি ব্যক্তি, স্থান, নদী, পর্বত, দেশ, শহর, গ্রাম, পুস্তক, সৌধ প্রভৃতির নাম বোঝায়, তাকে সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: নজরুল, শেলি, বাংলাদেশ, ইলিয়াড, তাজমহল ইত্যাদি।
খ. সাধারণ বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো একজাতীয় প্রাণী, বস্তু বা বিষয়ের সকলকে বা প্রত্যেককে বোঝায়, তাকে সাধারণ বা জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : ফুল, ফল, বই, গরু, মানুষ, বাঙালি, মুসলমান, বেল, নক্ষত্র, কোকিল ইত্যাদি।
গ. বস্তু বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো বস্তু বা দ্রব্যকে বোঝায় যা গণনা বা পরিমাপ করা যায়, তাকে বস্তু বিশেষ্য বলে। যেমন : দুধ, পানি, ওষুধ, বই, সোনা, লোহা, কলম, গাছ, পাথর, বাতাস ইত্যাদি।
ঘ. ক্রিয়া বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে ক্রিয়া বিশেষ্য বলে। যেমন : ঘুমানো, রান্না, দর্শন, গমন, শয়ন, পড়া ইত্যাদি।
ঙ. সমষ্টি বিশেষ্য : যে বিশেষ্য দ্বারা কিছুসংখ্যক ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টিকে বোঝায়, তাকে সমষ্টি বিশেষ্য বলে। যেমন : দল, বাহিনী, ঝাঁক, জনতা, সভা, সমিতি, সংঘ, পাল, পঞ্চায়েত ইত্যাদি।
চ. বিশেষণজাত বা গুণ বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো বস্তুর দোষ বা গুণের নাম বোঝায়, তাকে বিশেষণজাত বা গুণ বিশেষ্য বলে। যেমন : তারুণ্য, সৌন্দর্য, বীরত্ব, তিক্ততা, মধুরতা, তারল্য, সৌরভ, যৌবন ইত্যাদি।
ছ. ভাব বিশেষ্য (Abstract) : নির্বস্তুক অবস্থা, মনোগত ভাব ইত্যাদির নাম বোঝায়। যেমন : ইচ্ছা, আনন্দ, দুঃখ, শান্তি, রাগ, পাপ, পুণ্য ইত্যাদি।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্দেশ কর :
- আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
- হঠাৎ সে দেখতে পেল চলন্ত বাস থেকে যাত্রীরা লাফিয়ে নামছে।
- কেউ কেউ ঘটনাটা সত্য বলে জানে।
- যেমন কর্ম তেমন ফল।
- কে এই আগন্তুক?
- ডাক্তার এসে দেখেন যে রোগী মারা গেছে।
- আপনার যাত্রা শুভ হোক।
- ভালো করে লেখাপড়া করো।
HSC | বাংলা ২য় | ব্যকরণিক: সমাস নির্ণয় | PDF Download
উত্তর:
- বিশেষণ
- ক্রিয়া বিষেশণ
- অনির্দিষ্ট সড়বনাম
- সাপেক্ষ সর্বনাম
- প্রশ্নবাচক সর্বনাম
- সংযোগ সর্বনাম
- সম্ভ্রমাত্মক সর্বনাম
- অসমাপিকা ক্রিয়া
৪. (ক) উপসর্গ কাকে বলে? বাংলা শব্দ গঠনে উপসর্গের ভূমিকা কী?
উত্তর:
উপসর্গ : যেসব অব্যয়সূচক শব্দাংশ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা ক্রিয়ামূল কিংবা নাম শব্দের পূর্বে বসে ধাতুটির বা শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটায় বা নানা অর্থ সৃষ্টি করে, অথচ নিজেরা কোনো বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে না। সেগুলোকে উপসর্গ বলা হয়।
শব্দ গঠনে উপসর্গের ভূমিকা : পৃথিবীতে বিভিন্ন রকম ভাষা আছে। সব ভাষারই শব্দ গঠনের জন্য কতকগুলো নিয়মরীতি অনুসরণ করতে হয়। পৃথিবীর যে ভাষা যত বেশি শব্দ ধারণ করতে পারে সে ভাষা তত বেশি উন্নত। এদিক বিচারে উপসর্গের ভূমিকা বা গুরুত্ব অপরিসীম। উপসর্গ হলো এক শ্রেণির অব্যয় যা নতুন নতুন শব্দ গঠনে সহায়তা করে।
এগুলো শব্দের বা ধাতুর পূর্বে বসে ধাতু বা শব্দের অর্থ এবং আকৃতির পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সাধন করে। যেমন- নাম শব্দের পূর্বে অপ, প্র, সু, দু, পরি, উপ ইত্যাদি উপসর্গ যোগ করলে যথাক্রমে অপনাম, প্রণাম, সুনাম, দুর্নাম, পরিণাম, উপনাম ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন অর্থের পৃথক পৃথক শব্দ সৃষ্টি হয়। উপসর্গগুলো এভাবে নতুন নতুন শব্দ গঠন করে থাকে। কাজেই বাংলা শব্দ গঠনে উপসর্গের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অথবা,
(খ) নিচের যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ :
কালান্তর, ঈগল পাখি, কর্ণফুলি, গণ্যমান্য, ওষ্ঠাধর, চৌমুহনী, মায়ে-ঝিয়ে, নাতিদীর্ঘ।
উত্তর:
প্রদত্ত শব্দ ব্যাসবাক্য সমাসের নাম
কালান্তর অন্য কাল নিত্য সমাস
ঈগল পাখি ঈগল যে পাখি কর্মধারয়
কর্ণফুলি কর্ণের ফুল ষষ্ঠী তৎপুরুষ
গণ্যমান্য গণ্য ও মান্য দ্ব›দ্ধ
ওষ্ঠাধর ওষ্ঠ ও অধর দ্ব›দ্ধ
চৌমুহনী চার মোহনার সমাহার দ্বিগু
মায়ে-ঝিয়ে মায়ে ও ঝিয়ে অলুক দ্ব›দ্ধ
নাতিদীঘ নয় অতি দীর্ঘ নঞ্ তৎপুরুষ
৫. (ক) বাক্য বলতে কী বোঝ? একটি সার্থক বাক্য গঠনে কী কী গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন? উদাহরণসহ আলোচনা কর।
উত্তর:
বাক্য : পরস্পর অর্থ সম্বন্ধবিশিষ্ট যেসব পদ দ্বারা একটি সম্পূর্ণ ধারণা বা বক্তব্য বা ভাব প্রকাশ পায় সেই পদগুলোর সমষ্টিকে বাক্য বলে। যেমন- “চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে কদম তলায় কে।” এখানে চাঁদ, ফুল ও কদমতলা সম্পর্কে কয়েকটি শব্দ দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ পেয়েছে।
সার্থক বাক্যের গুণাবলি বা বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ:
বাক্যকে সার্থক করে গঠন করতে হলে তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। যথা-
১. আকাক্সক্ষা : বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা তাকে আকাক্সক্ষা বলে। যেমন- ‘আমি বাড়ি’ বললে বাক্যটি মনের সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে না, আরও কিছু শোনার আকাক্সক্ষা থাকে। ‘আমি বাড়ি যাব’ বললে বাক্যটি পূর্ণ হয় এবং আকাক্সক্ষা মিটে যায়।
২. আসত্তি : বাক্যের অর্থসংগতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসই আসত্তি।
যেমন- “ভালো কবিতা হক লেখেন লিলি” বললে পদবিন্যাস সঠিকভাবে না হওয়ায় মনোভাবটি ঠিকমতো প্রকাশ পায়নি। কিন্তু “লিলি হক ভালো কবিতা লেখেন” বললে পদবিন্যাস সঠিক হওয়ার কারণে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। বাক্যের মধ্যে এ আসত্তিগুণ থাকা আবশ্যক।
৩. যোগ্যতা : বাক্যস্থিত পদসমূহের অর্থগত ও ভাবগত মিল বা সংগতি সাধনকে যোগ্যতা বলে। যেমনপ- “আকাশে পদ্ম ফোটে।” এ পদসমষ্টিতে এক পদের সাথে অন্য পদের অর্থগত মিল নেই। কারণ আকাশে পদ্ম ফোটে না। কিন্তু যদি বলা হয় “পুকুরে পদ্ম ফোটে” তবে পদগুলোর অর্থগত মিল পাওয়া যায়। সুতরাং বাক্যে আকাক্সক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতা এই তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি) :
- সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূর হয়। (যৌগিক)
- জাদুঘর আমাদের আনন্দ দেয়। (প্রশ্নবোধক)
- তুমি যা বললে তা অসত্য। (সরল)
- বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। (প্রশ্নবোধক)
- আমি আশায় রইলাম। (অস্তিবাচক)
- সদা সত্য কথা বলা উচিত। (অনুজ্ঞা)
- সে সুন্দর গান গায়। (বিস্ময়সূচক)
- সে আর ভিক্ষা করে না। (প্রশ্নবোধক)
উত্তর:
- সূর্যোদয় হয় এবং অন্ধকার দূর হয়।
- জাদুঘর আমাদের আনন্দ দেয় না কি?
- তোমার বলা কথাটা অসত্য।
- বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ নয় কি?
- আমি আশা ছাড়িতে অপারগ হইলাম।
- সদা সত্য কথা বলবে।
- বাঃ! সে কী সুন্দর গান গায়।
- সে আর ভিক্ষা করে কি?
৬. (ক) নিচের যেকোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখ :
- ‘গীতাঞ্জলী’ রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ।
- সব পাখিরা উড়ে গেল।
- তার দু’চোখ অশ্রুজলে ভেসে গেল।
- অধ্যক্ষ সাহেব স্বপরিবারে কক্সবাজারে বেড়াতে গেছেন।
- বিদ্যানকে সকলে শ্রদ্ধা করে।
- তাহারা মাঠে খেলা করছে।
- দারিদ্র্যতা আমাদের অভিশাপ।
- পাতায় পাতায় পড়ে শিশির নিশির।
উত্তর:
- গীতাঞ্জলী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি কাব্য গ্রন্থ।
- সব পাখি উড়ে গেল।
- তার দু’চোখ অশ্রুতে ভেসে গেল।
- অধ্যক্ষ সাহেব সপরিবারে কক্সবাজার বেড়াতে গেছেন।
- বিদ্বানকে সকলে শ্রদ্ধা করে।
- তাহারা মাঠে খেলা করিতেছে।
- দারিদ্র্য আমাদের অভিশাপ।
- পাতায় পাতায় পড়ে নিশির শিশির।
অথবা,
(খ) অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগগুলো শুদ্ধ কর : উন্নতশীল বাংলাদেশের এক অসহায় কৃষক সফিক। দারিদ্রতা তার নিত্য সঙ্গী। অহোরাত্রি পরিশ্রম করেও অধীন সকল সদস্যবৃন্দের মুখে খাদ্য তুলে দিতে সে অক্ষম।
উত্তর:উন্নয়নশীল বাংলাদেশের এক অসহায় কৃষক সফিক। দারিদ্র্য তার নিত্য সঙ্গী। অহোরাত্র পরিশ্রম করেও অধীন সব সদস্যের মুখে খাদ্য তুলে দিতে সে অক্ষম।
Hsc বাংলা ২য় পত্র মডেল টেস্ট 2024 উত্তরসহ
৭. (ক) যেকোনো দশটি শব্দের পারিভাষিক রূপ লেখ :
Query: Latitude; Theory; Zone; Zoom; Transparency; Autonomous; Axis; Bacteria; Boycott; Green House; Green Room; Guard..
উত্তর:Query- প্রশ্ন, Latitude – অক্ষাংশ, Theory – মত, Zone – বলয়, Zoom – বিমানের খাড়া উড্ডয়ন, Transparency- স্বচ্ছতা, Autonomous – স্বায়ত্তশাসিত, Axis – অক্ষ, Bacteria – জীবাণু , Boycott- বর্জন , Green House – সবুজ বলয়, Green Room – সাজঘর, Guard – রক্ষী
অথবা,
(খ) বাংলায় অনুবাদ কর :
Shaheed Minar is the symbol of our love and sincerity for the supreme sacrifice of our language martyrs. It is located in front of Dhaka Medical College. Hamidur-Rahman, a famous architect designed this significant monument. Its vertical lines symbolize the manifestations of inner strength. The four columns on both sides of the central structure reflect the balance and harmony of united stand. Today, it has become a part of our political as well as cultural achievement and national source of inspiration.
উত্তর: শহিদ মিনার হচ্ছে ভাষাশহিদদের সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রতি আমাদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসার প্রতীক। এটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে অবস্থিত। বিখ্যাত স্থপতি হামিদুর রহমান তাৎপর্যপূর্ণ এই স্মৃতিস্তম্ভটির নকশা করেছেন। এর খাড়া স্তম্ভগুলো অন্তর্নিহিত শক্তির প্রতীক। এর কেন্দ্রীয় কাঠামোর উভয় পাশের চারটি স্তম্ভ একত্রে দাঁড়ানোর ভারসাম্য ও ঐক্য প্রতিফলিত করে। বর্তমানে এটি আমাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অর্জনের অংশ এবং জাতীয় অনুপ্রেরণার উৎসে পরিণত হয়েছে।
HSC | বাংলা ২য় | ব্যকরণিক: প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ | PDF Download
৮. (ক) লঞ্চডুবির ঘটনা নিয়ে একটি দিনলিপি লেখ।
উত্তর:
১৮ এপ্রিল, ২০২৩
রাত ১১:৩০
লঞ্চডুবি
ফেরিতে করে নদী পার হওয়ার অভিজ্ঞতা আমার আগে ছিল না। পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরিতে উঠলাম দুপুরের ঠিক আগে। পদ্মা নদী পার হয়ে রূপারে যেতে অনেকে লজে গিয়েও উঠেছে। হঠাৎ পশ্চিম আকাশ কালো হয়ে যায়। বাতাস বইতে থাকে জোরাপোভাবে। তখন আমরা নদীর মাঝখানে। আমাদের খুব কাছাকাছি একটি লক্ষ ছিল।
লঞ্চ থেকে মানুষের চিৎকার ভেসে আসছিল। এমন কালো মেঘ ও ঝড়ো বাতাসে আমরাও খুব ভয় পেয়েছিলাম। পাটিতে অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় তা ঝড়ো বাতাসে প্রচ-ভাবে দুলছিল। মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে লঞ্চের ভেতরে ছোটাছুটি করাছিল।
কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্রতায় লক্ষটি কাত হয়ে যায়। ডুবতে শুরু করে লঞ্চটি। কেউ কেউ ঝাঁপ দিয়ে নদীতে সাঁতার কেটে আমাদের ফেরির দিকে আসার চেষ্টা করে। মানুষের আর্তনাদে চারদিক বিপন্ন হয়ে ওঠে।
আমার চোখের সামনে লঞ্চটি ডুবে গেল। তাদের উদ্ধারের জন্য আমাদের ফেরি এগিয়ে যায়। অনেকে উঠে আসে, অনেকে পরাজিত হয় ঝড়ো বাতাস ও নদীর স্রোতের কাছে। মানুষের এমন কান্না আর হাহাকার আমি জীবনে এর আগে দেখিনি।
লঞ্চডুবির এই করুণ অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা ওপারে পৌঁছাই। কষ্ট আরও বেড়ে যায় স্বজনদের হাহাকার দেখে। লাডুবির এই দুর্ঘটনায় আমার সারাদিন অস্থিরতায় কাটে। ভয়াবহতার কথা স্মরণ করে সারারাত ঘুমুতে পারিনি।
বোনিয়াজুড়ি, সাভার।
অথবা,
(খ) তোমার দেখা একটি গ্রামীণ মেলা নিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
উত্তর:
প্রতিবেদনের শিরোনাম: আমার দেখা একটি গ্রামীণ মেলা।
প্রতিবেদকের নাম: আবিদ আজম
স্থান/এলাকার নাম : চন্দ্রদ্বীপ, বরিশাল
সময় ও তারিখ: রাত ১০টা, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪
উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন। গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।